মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মসজিদের ইমাম ও খতিব হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। ইসলামের প্রথম যুগে সাধারণত খলিফাগণই রাষ্ট্রের প্রধান মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তী সময় থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন দ্বীনদার আলেমগণ এই গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে আসছেন। ইসলামি গবেষকগণ কোরআন ও হাদিসের মূলনীতি অনুসারে যোগ্য খতিবের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
তাকওয়া
মসজিদের খতিব মানুষকে পাপাচারের পথ ছেড়ে পুণ্যের পথে চলার আহ্বান জানাবেন। এখন তিনি নিজেই যদি আমলদার না হন, তাহলে তাঁর আহ্বান তেমন ফলপ্রসূ হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও, তোমরা যে কিতাব শিক্ষা দাও এবং যা কিছু নিজেরা পড়ো তার ফলশ্রুতিতে।’ (সুরা আল ইমরান: ৭৯) অন্য আয়াতে বে-আমল উপদেশ দানকারীদের তিরস্কার করে বলেন, ‘তোমরা অন্যদের সৎকর্মশীলতার পথ অবলম্বন করতে বলো, কিন্তু নিজেদের কথা ভুলে যাও। অথচ তোমরা কিতাব পাঠ করে থাকো। তোমরা কি জ্ঞানবুদ্ধি একটুও কাজে লাগাও না?’ (সুরা বাকারা: ৪৪)
ধর্মীয় জ্ঞান
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তাদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব সবচেয়ে যে ভালো পড়তে জানে, সে ইমামতি করবে। এ ক্ষেত্রে সবাই সমান হলে সুন্নাহ সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি যে জানে সে ইমাম হবে।’ (মুসলিম)
আপসহীনতা
জুমার খুতবা দিতে হয় নির্ভীক ও বলিষ্ঠ কণ্ঠে, যেন কোরআন-হাদিসের কথাগুলো মানুষের কর্ণকুহর ভেদ করে হৃদয়ে গেঁথে যায়। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) যুদ্ধগামী সৈন্যদলকে সতর্ক করার মতো বলিষ্ঠ কণ্ঠে খুতবা দিতেন। (মুসলিম)
স্পষ্ট ও শুদ্ধ ভাষা
খতিব যিনি হবেন, তিনি মূলত খুতবার মাধ্যমে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেবেন। সুতরাং, তাঁর মুখের ভাষা স্পষ্ট ও বিশুদ্ধ হওয়া আবশ্যক। মুসা (আ.) যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার আদেশপ্রাপ্ত হন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে তাঁর মুখের জড়তা দূর করে দেওয়ার দোয়া করেন এবং ভাই হারুন (আ.)কে স্পষ্টভাষী হওয়ার কারণে নিজের সহযোগী হিসেবে পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। (সুরা তহা: ২৭; সুরা কাসাস: ৩৪)
নিয়ন্ত্রিত কথা বলা
এক খতিব খুতবার মধ্যে একটা কথাকে এমনভাবে উপস্থাপন করলেন যে তা থেকে আল্লাহ ও রাসুলের মর্যাদা সমান হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ পায়। এটা জানার পর রাসুল (সা.) তার প্রতিবাদ করলেন এবং বললেন, ‘তুমি তো মন্দ খতিব!’ (মুসলিম) রাসুল (সা.) নিজেও খুতবায় নির্দিষ্ট করে কোনো ব্যক্তির নিন্দা করতেন না। বরং কারও কোনো অপরাধ দৃষ্টিগোচর হলে সাধারণভাবে সেই অপরাধের ব্যাপারে কথা বলতেন, নির্দিষ্ট কারও নামোল্লেখ করতেন না। (আবু দাউদ)
নির্লোভ মনোভাব
খতিবের মনে যদি সম্পদ বা অন্য কোনো পার্থিব স্বার্থ অর্জনের লোভ থাকে, তা তাকে সত্য উচ্চারণে বাধা দেবে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলার সব নবী-রাসুল নির্লোভ ছিলেন। তাঁরা মানুষের কাছে সত্যের আহ্বান পৌঁছানোর বিনিময় চাইতেন না। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা এমন লোকজনের কথা মেনে নাও, যারা তোমাদের কাছে বিনিময় চায় না এবং তারা সুপথপ্রাপ্ত।’ (সুরা ইয়াসিন: ২১)
প্রয়োজনীয় সাধারণ জ্ঞান
বৈশ্বিক পরিস্থিতি অনুসারে মুসলমানদের কখন কী করণীয়—কোরআন ও হাদিসের আলোকে মানুষকে জানানো খতিবের দায়িত্ব। তাই খতিবকে ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখতে হবে এবং বিচার-বিশ্লেষণ করার যোগ্যতা থাকতে হবে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে যুদ্ধ, মহামারিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হতো মসজিদের মিম্বার থেকে।
নিরহংকার হওয়া
অহংকার মানুষকে অপ্রিয় করে তোলে। অহংকারী মানুষের কথা কেউ কানে নিতে চায় না। খতিবের মাঝে এই নিকৃষ্ট স্বভাবটি থাকলে তার থেকে জাতি, রাষ্ট্র ও ইসলামের কোনো উপকার আশা করা যায় না। রাসুল সা. সম্পূর্ণ নিরহংকার ছিলেন। কোনো দাসীও যদি তাঁকে কিছু বলতে চাইত, তিনি আগ্রহ নিয়ে তার কথা শুনতেন। কোনো প্রয়োজনে তাঁকে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি তার সঙ্গে যেতে দ্বিধা করতেন না। (বুখারি) খুতবা দেওয়ার সময় কোনো ছোট বাচ্চা তাঁর দিকে ছুটে গেলে তাকে কোলে তুলে নিতেন। (তিরমিজি)
যুগোপযোগী প্রাণবন্ত আলোচনা
সংবাদ পড়ার মতো একনাগাড়ে বয়ান করে গেলে মুসল্লিদের মধ্যে প্রচণ্ড বিরক্তি চলে আসে। প্রতি জুমায় একই বিষয়ে কিংবা ঘুরেফিরে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকলেও বয়ানের প্রতি মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই খতিবকে একদিকে যেমন আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে বয়ান করতে হবে, তেমনি প্রতি জুমায় প্রয়োজনীয় ও যুগোপযোগী বিষয়ের ওপর তাত্ত্বিক আলোচনা করতে হবে। বয়ানে কোরআন ও হাদিস থেকে রেফারেন্স এনে আলোচ্য বিষয়কে সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। রাসুল (সা.) ও সাহাবিগণ তা-ই করতেন।
হাদিসশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য
জুমার বয়ানে অনেক খতিব অসত্য ও অপ্রমাণিত কিসসা-কাহিনি বর্ণনা করেন। অসংখ্য জাল ও বানোয়াট হাদিস বলে থাকেন। এই প্রবণতা খুবই জঘন্য। হাদিসে রাসুল (সা.) এই নিকৃষ্ট কাজ থেকে বিরত থাকার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং অমান্যকারীদের জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছেন। (বুখারি ও মুসলিম) এ কারণেই গবেষকগণ বলেন, মসজিদের মিম্বারে এমন লোকজনকে বসাতে হবে, যাঁরা হাদিস শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন, অর্থাৎ হাদিসের শুদ্ধ-অশুদ্ধ যাচাই করার যোগ্যতা রাখেন।
সূত্র: খামসুনা ওয়াসিয়্যাতান লিতাকুনা খতিবান নাজিহান

মসজিদের ইমাম ও খতিব হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। ইসলামের প্রথম যুগে সাধারণত খলিফাগণই রাষ্ট্রের প্রধান মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তী সময় থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন দ্বীনদার আলেমগণ এই গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে আসছেন। ইসলামি গবেষকগণ কোরআন ও হাদিসের মূলনীতি অনুসারে যোগ্য খতিবের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
তাকওয়া
মসজিদের খতিব মানুষকে পাপাচারের পথ ছেড়ে পুণ্যের পথে চলার আহ্বান জানাবেন। এখন তিনি নিজেই যদি আমলদার না হন, তাহলে তাঁর আহ্বান তেমন ফলপ্রসূ হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও, তোমরা যে কিতাব শিক্ষা দাও এবং যা কিছু নিজেরা পড়ো তার ফলশ্রুতিতে।’ (সুরা আল ইমরান: ৭৯) অন্য আয়াতে বে-আমল উপদেশ দানকারীদের তিরস্কার করে বলেন, ‘তোমরা অন্যদের সৎকর্মশীলতার পথ অবলম্বন করতে বলো, কিন্তু নিজেদের কথা ভুলে যাও। অথচ তোমরা কিতাব পাঠ করে থাকো। তোমরা কি জ্ঞানবুদ্ধি একটুও কাজে লাগাও না?’ (সুরা বাকারা: ৪৪)
ধর্মীয় জ্ঞান
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তাদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব সবচেয়ে যে ভালো পড়তে জানে, সে ইমামতি করবে। এ ক্ষেত্রে সবাই সমান হলে সুন্নাহ সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি যে জানে সে ইমাম হবে।’ (মুসলিম)
আপসহীনতা
জুমার খুতবা দিতে হয় নির্ভীক ও বলিষ্ঠ কণ্ঠে, যেন কোরআন-হাদিসের কথাগুলো মানুষের কর্ণকুহর ভেদ করে হৃদয়ে গেঁথে যায়। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) যুদ্ধগামী সৈন্যদলকে সতর্ক করার মতো বলিষ্ঠ কণ্ঠে খুতবা দিতেন। (মুসলিম)
স্পষ্ট ও শুদ্ধ ভাষা
খতিব যিনি হবেন, তিনি মূলত খুতবার মাধ্যমে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেবেন। সুতরাং, তাঁর মুখের ভাষা স্পষ্ট ও বিশুদ্ধ হওয়া আবশ্যক। মুসা (আ.) যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার আদেশপ্রাপ্ত হন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে তাঁর মুখের জড়তা দূর করে দেওয়ার দোয়া করেন এবং ভাই হারুন (আ.)কে স্পষ্টভাষী হওয়ার কারণে নিজের সহযোগী হিসেবে পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। (সুরা তহা: ২৭; সুরা কাসাস: ৩৪)
নিয়ন্ত্রিত কথা বলা
এক খতিব খুতবার মধ্যে একটা কথাকে এমনভাবে উপস্থাপন করলেন যে তা থেকে আল্লাহ ও রাসুলের মর্যাদা সমান হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ পায়। এটা জানার পর রাসুল (সা.) তার প্রতিবাদ করলেন এবং বললেন, ‘তুমি তো মন্দ খতিব!’ (মুসলিম) রাসুল (সা.) নিজেও খুতবায় নির্দিষ্ট করে কোনো ব্যক্তির নিন্দা করতেন না। বরং কারও কোনো অপরাধ দৃষ্টিগোচর হলে সাধারণভাবে সেই অপরাধের ব্যাপারে কথা বলতেন, নির্দিষ্ট কারও নামোল্লেখ করতেন না। (আবু দাউদ)
নির্লোভ মনোভাব
খতিবের মনে যদি সম্পদ বা অন্য কোনো পার্থিব স্বার্থ অর্জনের লোভ থাকে, তা তাকে সত্য উচ্চারণে বাধা দেবে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলার সব নবী-রাসুল নির্লোভ ছিলেন। তাঁরা মানুষের কাছে সত্যের আহ্বান পৌঁছানোর বিনিময় চাইতেন না। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা এমন লোকজনের কথা মেনে নাও, যারা তোমাদের কাছে বিনিময় চায় না এবং তারা সুপথপ্রাপ্ত।’ (সুরা ইয়াসিন: ২১)
প্রয়োজনীয় সাধারণ জ্ঞান
বৈশ্বিক পরিস্থিতি অনুসারে মুসলমানদের কখন কী করণীয়—কোরআন ও হাদিসের আলোকে মানুষকে জানানো খতিবের দায়িত্ব। তাই খতিবকে ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখতে হবে এবং বিচার-বিশ্লেষণ করার যোগ্যতা থাকতে হবে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে যুদ্ধ, মহামারিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হতো মসজিদের মিম্বার থেকে।
নিরহংকার হওয়া
অহংকার মানুষকে অপ্রিয় করে তোলে। অহংকারী মানুষের কথা কেউ কানে নিতে চায় না। খতিবের মাঝে এই নিকৃষ্ট স্বভাবটি থাকলে তার থেকে জাতি, রাষ্ট্র ও ইসলামের কোনো উপকার আশা করা যায় না। রাসুল সা. সম্পূর্ণ নিরহংকার ছিলেন। কোনো দাসীও যদি তাঁকে কিছু বলতে চাইত, তিনি আগ্রহ নিয়ে তার কথা শুনতেন। কোনো প্রয়োজনে তাঁকে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি তার সঙ্গে যেতে দ্বিধা করতেন না। (বুখারি) খুতবা দেওয়ার সময় কোনো ছোট বাচ্চা তাঁর দিকে ছুটে গেলে তাকে কোলে তুলে নিতেন। (তিরমিজি)
যুগোপযোগী প্রাণবন্ত আলোচনা
সংবাদ পড়ার মতো একনাগাড়ে বয়ান করে গেলে মুসল্লিদের মধ্যে প্রচণ্ড বিরক্তি চলে আসে। প্রতি জুমায় একই বিষয়ে কিংবা ঘুরেফিরে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকলেও বয়ানের প্রতি মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই খতিবকে একদিকে যেমন আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে বয়ান করতে হবে, তেমনি প্রতি জুমায় প্রয়োজনীয় ও যুগোপযোগী বিষয়ের ওপর তাত্ত্বিক আলোচনা করতে হবে। বয়ানে কোরআন ও হাদিস থেকে রেফারেন্স এনে আলোচ্য বিষয়কে সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। রাসুল (সা.) ও সাহাবিগণ তা-ই করতেন।
হাদিসশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য
জুমার বয়ানে অনেক খতিব অসত্য ও অপ্রমাণিত কিসসা-কাহিনি বর্ণনা করেন। অসংখ্য জাল ও বানোয়াট হাদিস বলে থাকেন। এই প্রবণতা খুবই জঘন্য। হাদিসে রাসুল (সা.) এই নিকৃষ্ট কাজ থেকে বিরত থাকার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং অমান্যকারীদের জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছেন। (বুখারি ও মুসলিম) এ কারণেই গবেষকগণ বলেন, মসজিদের মিম্বারে এমন লোকজনকে বসাতে হবে, যাঁরা হাদিস শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন, অর্থাৎ হাদিসের শুদ্ধ-অশুদ্ধ যাচাই করার যোগ্যতা রাখেন।
সূত্র: খামসুনা ওয়াসিয়্যাতান লিতাকুনা খতিবান নাজিহান
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

মসজিদের ইমাম ও খতিব হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। ইসলামের প্রথম যুগে সাধারণত খলিফাগণই রাষ্ট্রের প্রধান মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তী সময় থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন দ্বীনদার আলেমগণ এই গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে আসছেন। ইসলামি গবেষকগণ কোরআন ও হাদিসের মূলনীতি অনুসারে যোগ্য খতিবের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
তাকওয়া
মসজিদের খতিব মানুষকে পাপাচারের পথ ছেড়ে পুণ্যের পথে চলার আহ্বান জানাবেন। এখন তিনি নিজেই যদি আমলদার না হন, তাহলে তাঁর আহ্বান তেমন ফলপ্রসূ হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও, তোমরা যে কিতাব শিক্ষা দাও এবং যা কিছু নিজেরা পড়ো তার ফলশ্রুতিতে।’ (সুরা আল ইমরান: ৭৯) অন্য আয়াতে বে-আমল উপদেশ দানকারীদের তিরস্কার করে বলেন, ‘তোমরা অন্যদের সৎকর্মশীলতার পথ অবলম্বন করতে বলো, কিন্তু নিজেদের কথা ভুলে যাও। অথচ তোমরা কিতাব পাঠ করে থাকো। তোমরা কি জ্ঞানবুদ্ধি একটুও কাজে লাগাও না?’ (সুরা বাকারা: ৪৪)
ধর্মীয় জ্ঞান
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তাদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব সবচেয়ে যে ভালো পড়তে জানে, সে ইমামতি করবে। এ ক্ষেত্রে সবাই সমান হলে সুন্নাহ সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি যে জানে সে ইমাম হবে।’ (মুসলিম)
আপসহীনতা
জুমার খুতবা দিতে হয় নির্ভীক ও বলিষ্ঠ কণ্ঠে, যেন কোরআন-হাদিসের কথাগুলো মানুষের কর্ণকুহর ভেদ করে হৃদয়ে গেঁথে যায়। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) যুদ্ধগামী সৈন্যদলকে সতর্ক করার মতো বলিষ্ঠ কণ্ঠে খুতবা দিতেন। (মুসলিম)
স্পষ্ট ও শুদ্ধ ভাষা
খতিব যিনি হবেন, তিনি মূলত খুতবার মাধ্যমে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেবেন। সুতরাং, তাঁর মুখের ভাষা স্পষ্ট ও বিশুদ্ধ হওয়া আবশ্যক। মুসা (আ.) যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার আদেশপ্রাপ্ত হন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে তাঁর মুখের জড়তা দূর করে দেওয়ার দোয়া করেন এবং ভাই হারুন (আ.)কে স্পষ্টভাষী হওয়ার কারণে নিজের সহযোগী হিসেবে পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। (সুরা তহা: ২৭; সুরা কাসাস: ৩৪)
নিয়ন্ত্রিত কথা বলা
এক খতিব খুতবার মধ্যে একটা কথাকে এমনভাবে উপস্থাপন করলেন যে তা থেকে আল্লাহ ও রাসুলের মর্যাদা সমান হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ পায়। এটা জানার পর রাসুল (সা.) তার প্রতিবাদ করলেন এবং বললেন, ‘তুমি তো মন্দ খতিব!’ (মুসলিম) রাসুল (সা.) নিজেও খুতবায় নির্দিষ্ট করে কোনো ব্যক্তির নিন্দা করতেন না। বরং কারও কোনো অপরাধ দৃষ্টিগোচর হলে সাধারণভাবে সেই অপরাধের ব্যাপারে কথা বলতেন, নির্দিষ্ট কারও নামোল্লেখ করতেন না। (আবু দাউদ)
নির্লোভ মনোভাব
খতিবের মনে যদি সম্পদ বা অন্য কোনো পার্থিব স্বার্থ অর্জনের লোভ থাকে, তা তাকে সত্য উচ্চারণে বাধা দেবে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলার সব নবী-রাসুল নির্লোভ ছিলেন। তাঁরা মানুষের কাছে সত্যের আহ্বান পৌঁছানোর বিনিময় চাইতেন না। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা এমন লোকজনের কথা মেনে নাও, যারা তোমাদের কাছে বিনিময় চায় না এবং তারা সুপথপ্রাপ্ত।’ (সুরা ইয়াসিন: ২১)
প্রয়োজনীয় সাধারণ জ্ঞান
বৈশ্বিক পরিস্থিতি অনুসারে মুসলমানদের কখন কী করণীয়—কোরআন ও হাদিসের আলোকে মানুষকে জানানো খতিবের দায়িত্ব। তাই খতিবকে ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখতে হবে এবং বিচার-বিশ্লেষণ করার যোগ্যতা থাকতে হবে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে যুদ্ধ, মহামারিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হতো মসজিদের মিম্বার থেকে।
নিরহংকার হওয়া
অহংকার মানুষকে অপ্রিয় করে তোলে। অহংকারী মানুষের কথা কেউ কানে নিতে চায় না। খতিবের মাঝে এই নিকৃষ্ট স্বভাবটি থাকলে তার থেকে জাতি, রাষ্ট্র ও ইসলামের কোনো উপকার আশা করা যায় না। রাসুল সা. সম্পূর্ণ নিরহংকার ছিলেন। কোনো দাসীও যদি তাঁকে কিছু বলতে চাইত, তিনি আগ্রহ নিয়ে তার কথা শুনতেন। কোনো প্রয়োজনে তাঁকে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি তার সঙ্গে যেতে দ্বিধা করতেন না। (বুখারি) খুতবা দেওয়ার সময় কোনো ছোট বাচ্চা তাঁর দিকে ছুটে গেলে তাকে কোলে তুলে নিতেন। (তিরমিজি)
যুগোপযোগী প্রাণবন্ত আলোচনা
সংবাদ পড়ার মতো একনাগাড়ে বয়ান করে গেলে মুসল্লিদের মধ্যে প্রচণ্ড বিরক্তি চলে আসে। প্রতি জুমায় একই বিষয়ে কিংবা ঘুরেফিরে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকলেও বয়ানের প্রতি মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই খতিবকে একদিকে যেমন আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে বয়ান করতে হবে, তেমনি প্রতি জুমায় প্রয়োজনীয় ও যুগোপযোগী বিষয়ের ওপর তাত্ত্বিক আলোচনা করতে হবে। বয়ানে কোরআন ও হাদিস থেকে রেফারেন্স এনে আলোচ্য বিষয়কে সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। রাসুল (সা.) ও সাহাবিগণ তা-ই করতেন।
হাদিসশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য
জুমার বয়ানে অনেক খতিব অসত্য ও অপ্রমাণিত কিসসা-কাহিনি বর্ণনা করেন। অসংখ্য জাল ও বানোয়াট হাদিস বলে থাকেন। এই প্রবণতা খুবই জঘন্য। হাদিসে রাসুল (সা.) এই নিকৃষ্ট কাজ থেকে বিরত থাকার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং অমান্যকারীদের জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছেন। (বুখারি ও মুসলিম) এ কারণেই গবেষকগণ বলেন, মসজিদের মিম্বারে এমন লোকজনকে বসাতে হবে, যাঁরা হাদিস শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন, অর্থাৎ হাদিসের শুদ্ধ-অশুদ্ধ যাচাই করার যোগ্যতা রাখেন।
সূত্র: খামসুনা ওয়াসিয়্যাতান লিতাকুনা খতিবান নাজিহান

মসজিদের ইমাম ও খতিব হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। ইসলামের প্রথম যুগে সাধারণত খলিফাগণই রাষ্ট্রের প্রধান মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তী সময় থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন দ্বীনদার আলেমগণ এই গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে আসছেন। ইসলামি গবেষকগণ কোরআন ও হাদিসের মূলনীতি অনুসারে যোগ্য খতিবের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। এখানে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।
তাকওয়া
মসজিদের খতিব মানুষকে পাপাচারের পথ ছেড়ে পুণ্যের পথে চলার আহ্বান জানাবেন। এখন তিনি নিজেই যদি আমলদার না হন, তাহলে তাঁর আহ্বান তেমন ফলপ্রসূ হবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও, তোমরা যে কিতাব শিক্ষা দাও এবং যা কিছু নিজেরা পড়ো তার ফলশ্রুতিতে।’ (সুরা আল ইমরান: ৭৯) অন্য আয়াতে বে-আমল উপদেশ দানকারীদের তিরস্কার করে বলেন, ‘তোমরা অন্যদের সৎকর্মশীলতার পথ অবলম্বন করতে বলো, কিন্তু নিজেদের কথা ভুলে যাও। অথচ তোমরা কিতাব পাঠ করে থাকো। তোমরা কি জ্ঞানবুদ্ধি একটুও কাজে লাগাও না?’ (সুরা বাকারা: ৪৪)
ধর্মীয় জ্ঞান
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তাদের মধ্যে আল্লাহর কিতাব সবচেয়ে যে ভালো পড়তে জানে, সে ইমামতি করবে। এ ক্ষেত্রে সবাই সমান হলে সুন্নাহ সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি যে জানে সে ইমাম হবে।’ (মুসলিম)
আপসহীনতা
জুমার খুতবা দিতে হয় নির্ভীক ও বলিষ্ঠ কণ্ঠে, যেন কোরআন-হাদিসের কথাগুলো মানুষের কর্ণকুহর ভেদ করে হৃদয়ে গেঁথে যায়। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) যুদ্ধগামী সৈন্যদলকে সতর্ক করার মতো বলিষ্ঠ কণ্ঠে খুতবা দিতেন। (মুসলিম)
স্পষ্ট ও শুদ্ধ ভাষা
খতিব যিনি হবেন, তিনি মূলত খুতবার মাধ্যমে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেবেন। সুতরাং, তাঁর মুখের ভাষা স্পষ্ট ও বিশুদ্ধ হওয়া আবশ্যক। মুসা (আ.) যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার আদেশপ্রাপ্ত হন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে তাঁর মুখের জড়তা দূর করে দেওয়ার দোয়া করেন এবং ভাই হারুন (আ.)কে স্পষ্টভাষী হওয়ার কারণে নিজের সহযোগী হিসেবে পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। (সুরা তহা: ২৭; সুরা কাসাস: ৩৪)
নিয়ন্ত্রিত কথা বলা
এক খতিব খুতবার মধ্যে একটা কথাকে এমনভাবে উপস্থাপন করলেন যে তা থেকে আল্লাহ ও রাসুলের মর্যাদা সমান হওয়ার সম্ভাবনা প্রকাশ পায়। এটা জানার পর রাসুল (সা.) তার প্রতিবাদ করলেন এবং বললেন, ‘তুমি তো মন্দ খতিব!’ (মুসলিম) রাসুল (সা.) নিজেও খুতবায় নির্দিষ্ট করে কোনো ব্যক্তির নিন্দা করতেন না। বরং কারও কোনো অপরাধ দৃষ্টিগোচর হলে সাধারণভাবে সেই অপরাধের ব্যাপারে কথা বলতেন, নির্দিষ্ট কারও নামোল্লেখ করতেন না। (আবু দাউদ)
নির্লোভ মনোভাব
খতিবের মনে যদি সম্পদ বা অন্য কোনো পার্থিব স্বার্থ অর্জনের লোভ থাকে, তা তাকে সত্য উচ্চারণে বাধা দেবে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলার সব নবী-রাসুল নির্লোভ ছিলেন। তাঁরা মানুষের কাছে সত্যের আহ্বান পৌঁছানোর বিনিময় চাইতেন না। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমরা এমন লোকজনের কথা মেনে নাও, যারা তোমাদের কাছে বিনিময় চায় না এবং তারা সুপথপ্রাপ্ত।’ (সুরা ইয়াসিন: ২১)
প্রয়োজনীয় সাধারণ জ্ঞান
বৈশ্বিক পরিস্থিতি অনুসারে মুসলমানদের কখন কী করণীয়—কোরআন ও হাদিসের আলোকে মানুষকে জানানো খতিবের দায়িত্ব। তাই খতিবকে ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখতে হবে এবং বিচার-বিশ্লেষণ করার যোগ্যতা থাকতে হবে। ইসলামের প্রাথমিক যুগে যুদ্ধ, মহামারিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হতো মসজিদের মিম্বার থেকে।
নিরহংকার হওয়া
অহংকার মানুষকে অপ্রিয় করে তোলে। অহংকারী মানুষের কথা কেউ কানে নিতে চায় না। খতিবের মাঝে এই নিকৃষ্ট স্বভাবটি থাকলে তার থেকে জাতি, রাষ্ট্র ও ইসলামের কোনো উপকার আশা করা যায় না। রাসুল সা. সম্পূর্ণ নিরহংকার ছিলেন। কোনো দাসীও যদি তাঁকে কিছু বলতে চাইত, তিনি আগ্রহ নিয়ে তার কথা শুনতেন। কোনো প্রয়োজনে তাঁকে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি তার সঙ্গে যেতে দ্বিধা করতেন না। (বুখারি) খুতবা দেওয়ার সময় কোনো ছোট বাচ্চা তাঁর দিকে ছুটে গেলে তাকে কোলে তুলে নিতেন। (তিরমিজি)
যুগোপযোগী প্রাণবন্ত আলোচনা
সংবাদ পড়ার মতো একনাগাড়ে বয়ান করে গেলে মুসল্লিদের মধ্যে প্রচণ্ড বিরক্তি চলে আসে। প্রতি জুমায় একই বিষয়ে কিংবা ঘুরেফিরে নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকলেও বয়ানের প্রতি মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই খতিবকে একদিকে যেমন আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে বয়ান করতে হবে, তেমনি প্রতি জুমায় প্রয়োজনীয় ও যুগোপযোগী বিষয়ের ওপর তাত্ত্বিক আলোচনা করতে হবে। বয়ানে কোরআন ও হাদিস থেকে রেফারেন্স এনে আলোচ্য বিষয়কে সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। রাসুল (সা.) ও সাহাবিগণ তা-ই করতেন।
হাদিসশাস্ত্রে পাণ্ডিত্য
জুমার বয়ানে অনেক খতিব অসত্য ও অপ্রমাণিত কিসসা-কাহিনি বর্ণনা করেন। অসংখ্য জাল ও বানোয়াট হাদিস বলে থাকেন। এই প্রবণতা খুবই জঘন্য। হাদিসে রাসুল (সা.) এই নিকৃষ্ট কাজ থেকে বিরত থাকার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং অমান্যকারীদের জাহান্নামের ভয় দেখিয়েছেন। (বুখারি ও মুসলিম) এ কারণেই গবেষকগণ বলেন, মসজিদের মিম্বারে এমন লোকজনকে বসাতে হবে, যাঁরা হাদিস শাস্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন, অর্থাৎ হাদিসের শুদ্ধ-অশুদ্ধ যাচাই করার যোগ্যতা রাখেন।
সূত্র: খামসুনা ওয়াসিয়্যাতান লিতাকুনা খতিবান নাজিহান

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০২ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মসজিদের ইমাম ও খতিব হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। ইসলামের প্রথম যুগে সাধারণত খলিফাগণই রাষ্ট্রের প্রধান মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তী সময় থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন দ্বীনদার আলেমগণ এই গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে আসছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়। তাই একজন মুমিন কোনো বিজয়কেই নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দেখে না; বরং সর্বাবস্থায় নিজের সব সাফল্যকে আল্লাহ তাআলার রহমতের ওপর ন্যস্ত করে। এ কারণেই বিজয়ের দিনে মুমিনের করণীয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রতিটি বিজয় প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও অনুগ্রহেরই ফল। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বিজয় তো কেবল আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, যিনি পরিপূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী এবং পরিপূর্ণ প্রজ্ঞার মালিক।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২৬) সুতরাং বিজয়ের মুহূর্তে মুমিনের প্রথম করণীয় হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে শোকর আদায় করা।
অনেক সময় বিজয় মানুষকে ভুল পথ তথা অহংকার, গাফিলতি ও আত্মতুষ্টির দিকে নিয়ে যায়। অথচ আল্লাহ তাআলা অহংকারী ও দাম্ভিক ব্যক্তিকে অপছন্দ করেন। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারী ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা লুকমান: ১৮) প্রকৃত মুমিন বিজয়ের পর আরও বিনয়ী হয় এবং কৃতজ্ঞতায় আল্লাহ তাআলার দরবারে নত হয়ে পড়ে।
কোনো বিজয়ই কখনো একক প্রচেষ্টার ফল নয়। এর পেছনে থাকে বহু মানুষের অক্লান্ত শ্রম, অপরিসীম ত্যাগ, রক্ত ও জীবনের কোরবানি। তাই যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজয় অর্জিত হয়েছে, বিজয় দিবসে তাদের জন্য দোয়া করা কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ। জীবিতদের দোয়াই মৃতদের জন্য উপকারী। এর বাইরে বিজয় দিবসকে ঘিরে পরিচালিত অন্যান্য আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তাদের কোনো উপকারে আসে না।
বিজয় আসে ধৈর্য, ত্যাগ, নৈতিকতা ও আল্লাহর ওপর ভরসার মাধ্যমে। এই বিজয়কে তাই স্থায়ী করতে হলে সমাজে ন্যায়, সততা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যথায় সমাজ ও রাষ্ট্রে বিজয়ের প্রকৃত সুফল পাওয়া যাবে না।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

মসজিদের ইমাম ও খতিব হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। ইসলামের প্রথম যুগে সাধারণত খলিফাগণই রাষ্ট্রের প্রধান মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তী সময় থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন দ্বীনদার আলেমগণ এই গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে আসছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০১ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১২ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৫ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৫ মিনিট | ০৬: ৩৪ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৫ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মসজিদের ইমাম ও খতিব হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। ইসলামের প্রথম যুগে সাধারণত খলিফাগণই রাষ্ট্রের প্রধান মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তী সময় থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন দ্বীনদার আলেমগণ এই গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে আসছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

সৌদি কর্তৃপক্ষ মসজিদে হারামের অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া শিশু ও বয়স্কদের খুঁজে বের করার জন্য বিনা মূল্যে সেফটি ব্রেসলেট (রিস্টব্যান্ড) বিতরণ করছে। এই ব্রেসলেটগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে আজইয়াদ গেট ৩ এবং কিং ফাহাদ গেট ৭৯-এ।
গ্র্যান্ড মসজিদে আগত অভিভাবকেরা নির্দিষ্ট গেটগুলোতে প্রবেশের সময় এই ব্রেসলেটগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। কর্মী বাহিনী এই সুনির্দিষ্ট স্থানগুলোতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করছে।
এই সুরক্ষা ব্রেসলেটগুলো গ্র্যান্ড মসজিদের ভেতরে শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে—তাদের সহজে ট্র্যাক করতে সাহায্য করছে এবং হারিয়ে যাওয়া শিশুর ঘটনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনেছে।
নিরাপত্তাকর্মী ও মসজিদ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শিশু বা বয়স্কদের দেখলে ব্রেসলেটগুলো পরীক্ষা করতে পারেন এবং দ্রুত সেখানে তালিকাভুক্ত অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ব্রেসলেটগুলোতে যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকে, যাতে কোনো হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে দ্রুত তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
প্রতিটি ব্রেসলেটে একটি অনন্য আরএফআইডি (RFID) আইডি রয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কেউ আলাদা হয়ে গেলে, নিরাপত্তাকর্মীরা আইডি স্ক্যান করে দ্রুত তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন বা অ্যাপের প্রয়োজন নেই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ব্রেসলেটগুলো একজন দর্শনার্থীর অবস্থানকালীন পুরো সময়জুড়ে সক্রিয় থাকে এবং প্রস্থান করার সময় নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর জন্য কোনো খরচ লাগে না এবং কোনো ব্যক্তিগত তথ্যও সংরক্ষণ করা হয় না।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন

মসজিদের ইমাম ও খতিব হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্ব। ইসলামের প্রথম যুগে সাধারণত খলিফাগণই রাষ্ট্রের প্রধান মসজিদে ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তী সময় থেকে যোগ্যতাসম্পন্ন দ্বীনদার আলেমগণ এই গুরুদায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে আসছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
বিজয় মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। ব্যক্তিগত, সামাজিক কিংবা রাষ্ট্রীয়—যে রূপেই হোক না কেন, প্রতিটি বিজয় আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহের ফল। মানুষ যত চেষ্টা ও সাধনাই করুক, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর দয়া, এহসান ও সাহায্য ছাড়া বিজয় কখনো সম্ভব নয়।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে