কে এম ছালেহ আহমদ জাহেরী

ইসলামে ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এসবের মাধ্যমে ব্যবসাকে প্রতারণা ও অন্যায়মুক্ত করা হয়েছে। এখানে আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি মন্দ দিক তুলে ধরা হলো, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
প্রতারণা
ব্যবসায় প্রতারণা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। একদিন রাসুল (সা.) এক শস্যবিক্রেতার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি শস্যের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দেখলেন, তা ভেজা বা নিম্নমানের কি না। এরপর রাসুল (সা.) বললেন, ‘হে পণ্যের মালিক, এটা কী?’ লোকটি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এতে বৃষ্টি পড়েছিল।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এগুলো শস্যস্তূপের ওপরে রাখলে না কেন? তাহলে লোকজন দেখতে পেত। যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মত নয়।’ (মুসলিম: ১০২)
ওজনে গড়বড়
ওজনে বেশি-কম করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধ্বংস তাদের জন্য, যারা ওজনে কম দেয়, যারা মানুষের কাছ থেকে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে আর দেওয়ার সময় কম দেয়।’ (সুরা মুতাফফিফিন: ১-৩) রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো সম্প্রদায়ের লোক ওজনে বা মাপে কম দেয়, তখন শাস্তিস্বরূপ তাদের খাদ্যশস্য উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং দুর্ভিক্ষ তাদের গ্রাস করে।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ৭৮৫)
মিথ্যা শপথ
পণ্যের দাম বা অন্য বিষয়ে মিথ্যা শপথ করা নিষেধ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন ব্যক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলবেন না, তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। তাদের একজন হলো, যে তার ব্যবসায়িক পণ্য মিথ্যা কসম খেয়ে বিক্রি করে।’ (মুসলিম: ১০৬)
সুদ মেশানো
ব্যবসায়ের সঙ্গে সুদি লেনদেন যুক্ত করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। সুদ অন্যতম কবিরা গুনাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা সুদ খায়, তারা সেই লোকের মতো করে (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দিয়েছে। এটা এ জন্য যে তারা বলে, বেচাকেনা সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ বেচাকেনা হালাল করেছেন আর সুদ হারাম করেছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৭৫)
মোজাবানা
ব্যবসায় মোজাবানা করা নিষেধ। এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) মোজাবানা থেকে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ বাগানে যদি খেজুরগাছ থাকে, তবে তার কাঁচা খেজুর পরিমাপকৃত খুরমার বিনিময়ে বেচাকেনা করা; আর যদি আঙুর থাকে, তবে তা পরিমাপকৃত কিশমিশের বিনিময়ে কেনাবেচা করা। আর যদি তা খেতের ফসল হয়, তবে তা পরিমাপকৃত গমের বিনিময়ে কেনা—এসব থেকে তিনি নিষেধ করেছেন। (মুসলিম: ৩৭৫৫)
পণ্য আত্মসাৎ
ব্যবসায় অন্যের টাকা বা পণ্য আত্মসাৎ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয়, তা বৈধ।’ (সুরা নিসা: ২৯)
ঠকা বা ঠকানো
ব্যবসায় নিজে যেমন ঠকা যাবে না এবং অন্যকেও ঠকানো যাবে না। এটিই ইসলামের নির্দেশনা। এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে অভিযোগ করল, সে বেচাকেনা করলেই ঠকে। রাসুল (সা.) বললেন, ‘যখন তুমি বেচাকেনা করবে, তখন বলে দেবে, ঠকবাজির দায়িত্ব আমি নেব না। তোমার জন্য তিন দিন পর্যন্ত পণ্য ফেরত দেওয়ার অধিকার রয়েছে।’ (বুখারি: ৬৯৬৪)
খতিব: আবারপাড়া জামে মসজিদ ও ঈদগাহ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা

ইসলামে ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এসবের মাধ্যমে ব্যবসাকে প্রতারণা ও অন্যায়মুক্ত করা হয়েছে। এখানে আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি মন্দ দিক তুলে ধরা হলো, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
প্রতারণা
ব্যবসায় প্রতারণা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। একদিন রাসুল (সা.) এক শস্যবিক্রেতার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি শস্যের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দেখলেন, তা ভেজা বা নিম্নমানের কি না। এরপর রাসুল (সা.) বললেন, ‘হে পণ্যের মালিক, এটা কী?’ লোকটি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এতে বৃষ্টি পড়েছিল।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এগুলো শস্যস্তূপের ওপরে রাখলে না কেন? তাহলে লোকজন দেখতে পেত। যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মত নয়।’ (মুসলিম: ১০২)
ওজনে গড়বড়
ওজনে বেশি-কম করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধ্বংস তাদের জন্য, যারা ওজনে কম দেয়, যারা মানুষের কাছ থেকে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে আর দেওয়ার সময় কম দেয়।’ (সুরা মুতাফফিফিন: ১-৩) রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো সম্প্রদায়ের লোক ওজনে বা মাপে কম দেয়, তখন শাস্তিস্বরূপ তাদের খাদ্যশস্য উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং দুর্ভিক্ষ তাদের গ্রাস করে।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ৭৮৫)
মিথ্যা শপথ
পণ্যের দাম বা অন্য বিষয়ে মিথ্যা শপথ করা নিষেধ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন ব্যক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলবেন না, তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। তাদের একজন হলো, যে তার ব্যবসায়িক পণ্য মিথ্যা কসম খেয়ে বিক্রি করে।’ (মুসলিম: ১০৬)
সুদ মেশানো
ব্যবসায়ের সঙ্গে সুদি লেনদেন যুক্ত করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। সুদ অন্যতম কবিরা গুনাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা সুদ খায়, তারা সেই লোকের মতো করে (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দিয়েছে। এটা এ জন্য যে তারা বলে, বেচাকেনা সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ বেচাকেনা হালাল করেছেন আর সুদ হারাম করেছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৭৫)
মোজাবানা
ব্যবসায় মোজাবানা করা নিষেধ। এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) মোজাবানা থেকে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ বাগানে যদি খেজুরগাছ থাকে, তবে তার কাঁচা খেজুর পরিমাপকৃত খুরমার বিনিময়ে বেচাকেনা করা; আর যদি আঙুর থাকে, তবে তা পরিমাপকৃত কিশমিশের বিনিময়ে কেনাবেচা করা। আর যদি তা খেতের ফসল হয়, তবে তা পরিমাপকৃত গমের বিনিময়ে কেনা—এসব থেকে তিনি নিষেধ করেছেন। (মুসলিম: ৩৭৫৫)
পণ্য আত্মসাৎ
ব্যবসায় অন্যের টাকা বা পণ্য আত্মসাৎ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয়, তা বৈধ।’ (সুরা নিসা: ২৯)
ঠকা বা ঠকানো
ব্যবসায় নিজে যেমন ঠকা যাবে না এবং অন্যকেও ঠকানো যাবে না। এটিই ইসলামের নির্দেশনা। এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে অভিযোগ করল, সে বেচাকেনা করলেই ঠকে। রাসুল (সা.) বললেন, ‘যখন তুমি বেচাকেনা করবে, তখন বলে দেবে, ঠকবাজির দায়িত্ব আমি নেব না। তোমার জন্য তিন দিন পর্যন্ত পণ্য ফেরত দেওয়ার অধিকার রয়েছে।’ (বুখারি: ৬৯৬৪)
খতিব: আবারপাড়া জামে মসজিদ ও ঈদগাহ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা
কে এম ছালেহ আহমদ জাহেরী

ইসলামে ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এসবের মাধ্যমে ব্যবসাকে প্রতারণা ও অন্যায়মুক্ত করা হয়েছে। এখানে আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি মন্দ দিক তুলে ধরা হলো, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
প্রতারণা
ব্যবসায় প্রতারণা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। একদিন রাসুল (সা.) এক শস্যবিক্রেতার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি শস্যের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দেখলেন, তা ভেজা বা নিম্নমানের কি না। এরপর রাসুল (সা.) বললেন, ‘হে পণ্যের মালিক, এটা কী?’ লোকটি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এতে বৃষ্টি পড়েছিল।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এগুলো শস্যস্তূপের ওপরে রাখলে না কেন? তাহলে লোকজন দেখতে পেত। যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মত নয়।’ (মুসলিম: ১০২)
ওজনে গড়বড়
ওজনে বেশি-কম করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধ্বংস তাদের জন্য, যারা ওজনে কম দেয়, যারা মানুষের কাছ থেকে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে আর দেওয়ার সময় কম দেয়।’ (সুরা মুতাফফিফিন: ১-৩) রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো সম্প্রদায়ের লোক ওজনে বা মাপে কম দেয়, তখন শাস্তিস্বরূপ তাদের খাদ্যশস্য উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং দুর্ভিক্ষ তাদের গ্রাস করে।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ৭৮৫)
মিথ্যা শপথ
পণ্যের দাম বা অন্য বিষয়ে মিথ্যা শপথ করা নিষেধ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন ব্যক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলবেন না, তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। তাদের একজন হলো, যে তার ব্যবসায়িক পণ্য মিথ্যা কসম খেয়ে বিক্রি করে।’ (মুসলিম: ১০৬)
সুদ মেশানো
ব্যবসায়ের সঙ্গে সুদি লেনদেন যুক্ত করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। সুদ অন্যতম কবিরা গুনাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা সুদ খায়, তারা সেই লোকের মতো করে (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দিয়েছে। এটা এ জন্য যে তারা বলে, বেচাকেনা সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ বেচাকেনা হালাল করেছেন আর সুদ হারাম করেছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৭৫)
মোজাবানা
ব্যবসায় মোজাবানা করা নিষেধ। এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) মোজাবানা থেকে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ বাগানে যদি খেজুরগাছ থাকে, তবে তার কাঁচা খেজুর পরিমাপকৃত খুরমার বিনিময়ে বেচাকেনা করা; আর যদি আঙুর থাকে, তবে তা পরিমাপকৃত কিশমিশের বিনিময়ে কেনাবেচা করা। আর যদি তা খেতের ফসল হয়, তবে তা পরিমাপকৃত গমের বিনিময়ে কেনা—এসব থেকে তিনি নিষেধ করেছেন। (মুসলিম: ৩৭৫৫)
পণ্য আত্মসাৎ
ব্যবসায় অন্যের টাকা বা পণ্য আত্মসাৎ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয়, তা বৈধ।’ (সুরা নিসা: ২৯)
ঠকা বা ঠকানো
ব্যবসায় নিজে যেমন ঠকা যাবে না এবং অন্যকেও ঠকানো যাবে না। এটিই ইসলামের নির্দেশনা। এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে অভিযোগ করল, সে বেচাকেনা করলেই ঠকে। রাসুল (সা.) বললেন, ‘যখন তুমি বেচাকেনা করবে, তখন বলে দেবে, ঠকবাজির দায়িত্ব আমি নেব না। তোমার জন্য তিন দিন পর্যন্ত পণ্য ফেরত দেওয়ার অধিকার রয়েছে।’ (বুখারি: ৬৯৬৪)
খতিব: আবারপাড়া জামে মসজিদ ও ঈদগাহ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা

ইসলামে ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এসবের মাধ্যমে ব্যবসাকে প্রতারণা ও অন্যায়মুক্ত করা হয়েছে। এখানে আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি মন্দ দিক তুলে ধরা হলো, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
প্রতারণা
ব্যবসায় প্রতারণা স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। একদিন রাসুল (সা.) এক শস্যবিক্রেতার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি শস্যের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দেখলেন, তা ভেজা বা নিম্নমানের কি না। এরপর রাসুল (সা.) বললেন, ‘হে পণ্যের মালিক, এটা কী?’ লোকটি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এতে বৃষ্টি পড়েছিল।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এগুলো শস্যস্তূপের ওপরে রাখলে না কেন? তাহলে লোকজন দেখতে পেত। যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মত নয়।’ (মুসলিম: ১০২)
ওজনে গড়বড়
ওজনে বেশি-কম করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধ্বংস তাদের জন্য, যারা ওজনে কম দেয়, যারা মানুষের কাছ থেকে মেপে নেওয়ার সময় পূর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে আর দেওয়ার সময় কম দেয়।’ (সুরা মুতাফফিফিন: ১-৩) রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো সম্প্রদায়ের লোক ওজনে বা মাপে কম দেয়, তখন শাস্তিস্বরূপ তাদের খাদ্যশস্য উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং দুর্ভিক্ষ তাদের গ্রাস করে।’ (আত তারগিব ওয়াত তারহিব: ৭৮৫)
মিথ্যা শপথ
পণ্যের দাম বা অন্য বিষয়ে মিথ্যা শপথ করা নিষেধ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ তিন ব্যক্তির সঙ্গে কোনো ধরনের কথা বলবেন না, তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি। তাদের একজন হলো, যে তার ব্যবসায়িক পণ্য মিথ্যা কসম খেয়ে বিক্রি করে।’ (মুসলিম: ১০৬)
সুদ মেশানো
ব্যবসায়ের সঙ্গে সুদি লেনদেন যুক্ত করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। সুদ অন্যতম কবিরা গুনাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা সুদ খায়, তারা সেই লোকের মতো করে (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দিয়েছে। এটা এ জন্য যে তারা বলে, বেচাকেনা সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ বেচাকেনা হালাল করেছেন আর সুদ হারাম করেছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৭৫)
মোজাবানা
ব্যবসায় মোজাবানা করা নিষেধ। এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) মোজাবানা থেকে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ বাগানে যদি খেজুরগাছ থাকে, তবে তার কাঁচা খেজুর পরিমাপকৃত খুরমার বিনিময়ে বেচাকেনা করা; আর যদি আঙুর থাকে, তবে তা পরিমাপকৃত কিশমিশের বিনিময়ে কেনাবেচা করা। আর যদি তা খেতের ফসল হয়, তবে তা পরিমাপকৃত গমের বিনিময়ে কেনা—এসব থেকে তিনি নিষেধ করেছেন। (মুসলিম: ৩৭৫৫)
পণ্য আত্মসাৎ
ব্যবসায় অন্যের টাকা বা পণ্য আত্মসাৎ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস কোরো না। তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয়, তা বৈধ।’ (সুরা নিসা: ২৯)
ঠকা বা ঠকানো
ব্যবসায় নিজে যেমন ঠকা যাবে না এবং অন্যকেও ঠকানো যাবে না। এটিই ইসলামের নির্দেশনা। এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে অভিযোগ করল, সে বেচাকেনা করলেই ঠকে। রাসুল (সা.) বললেন, ‘যখন তুমি বেচাকেনা করবে, তখন বলে দেবে, ঠকবাজির দায়িত্ব আমি নেব না। তোমার জন্য তিন দিন পর্যন্ত পণ্য ফেরত দেওয়ার অধিকার রয়েছে।’ (বুখারি: ৬৯৬৪)
খতিব: আবারপাড়া জামে মসজিদ ও ঈদগাহ, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামে ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এসবের মাধ্যমে ব্যবসাকে প্রতারণা ও অন্যায়মুক্ত করা হয়েছে। এখানে আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি মন্দ দিক তুলে ধরা হলো, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ইসলামে ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এসবের মাধ্যমে ব্যবসাকে প্রতারণা ও অন্যায়মুক্ত করা হয়েছে। এখানে আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি মন্দ দিক তুলে ধরা হলো, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামে ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এসবের মাধ্যমে ব্যবসাকে প্রতারণা ও অন্যায়মুক্ত করা হয়েছে। এখানে আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি মন্দ দিক তুলে ধরা হলো, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ইসলামে ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এসবের মাধ্যমে ব্যবসাকে প্রতারণা ও অন্যায়মুক্ত করা হয়েছে। এখানে আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত কয়েকটি মন্দ দিক তুলে ধরা হলো, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে