আমজাদ ইউনুস

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহর নৈকট্য এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী তথা শবে কদর লাভের অন্যতম মাধ্যম।
রাসুল (সা.) তাঁর মদিনার জীবনে প্রতি রমজানে ইতিকাফ করতেন। এক রমজানে কোনো কারণে ইতিকাফ ছুটে গেলে পরবর্তী রমজানে ২০ দিন ইতিকাফ করে তা পূরণ করে নিয়েছেন। (আবু দাউদ: ২৪৬৩)
পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও ইতিকাফের অনুমতি ও বৈধতা রয়েছে। তবে নারীদের জন্য ইতিকাফ করা মুস্তাহাব। আর পুরুষদের জন্য তা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই রমজানের শেষ দশকে মহল্লার মসজিদে ন্যূনতম একজন পুরুষ ইতিকাফ করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। তবে নারীর ইতিকাফ পুরুষের জন্য যথেষ্ট নয়।
রাসুল (সা.) পবিত্র স্ত্রীগণ ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি: ২০২৬; মুসলিম: ১১৭২)
একজন নারী যেকোনো প্রকারের মসজিদে ইতিকাফ করতে পারেন। সেটা পাঞ্জেগানা মসজিদ তথা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত হয় এমন মসজিদ হওয়া শর্ত নয়। কারণ জামাতে নামাজ আদায় করা নারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। (আল-মুগনি, ইবনে কুদামা: ৪ / ৪৬৪)
হানাফি মাজহাব এবং অন্যান্য ফকিহদের ভাষ্যমতে, নারীগণ যেভাবে ঘরে নামাজ পড়েন, ঠিক সেভাবে তাঁরা ঘরেই ইতিকাফ করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা ঘরে নামাজের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা থাকলে সেখানেই ইতিকাফ করবেন। আর কোনো জায়গা সুনির্দিষ্ট না থাকলে ইতিকাফের আগে ইবাদতের জন্য উপযোগী একটি জায়গা নির্ধারণ করে নেবেন। অবশ্য কোনো নারী মসজিদে ইতিকাফ করলেও তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে নিজ ঘরে ইতিকাফ করাই নারীর জন্য উত্তম। এটিই বিশুদ্ধ মত। (উমদাতুল কারি: ১১ / ১৪৮; আল মাবসুত লি-সারাখসি: ৩ / ১১৯)
নারীদের ইতিকাফের জন্য স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন। ইতিকাফ একটি নফল ইবাদত। ইতিকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি আবশ্যক। আয়েশা (রা.) ইতিকাফের আগে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। অতএব, স্বামী বা অভিভাবক অনুমতি দিলে ইতিকাফ করা উচিত এবং যদি কোনো নারী তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতিকাফ করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমের অভিমত হলো, তাঁর স্বামী চাইলে তাঁকে ইতিকাফ ভেঙে ফেলতে হবে। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫; বুলুগুল আমানি: ১০ / ২৫০)
যে মসজিদে নারীরা ইতিকাফ করবেন সেখানে তাঁদের জন্য সম্পূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের অজু, গোসল এবং বাথরুমের আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের ইতিকাফের স্থানের অংশটি অবশ্যই পুরুষদের যাতায়াত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। আর যদি এ ধরনের সুযোগ–সুবিধা না থাকে এবং ফিতনার সম্ভাবনা থাকে, তবে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ না করাই উত্তম। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫ /)
নারীদের ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতিকাফ করা যাবে না। কেননা এ অবস্থায় রোজা রাখা যায় না। আর সুন্নত ইতিকাফের জন্য রোজাদার হওয়া শর্ত। (বাদায়েউস সানায়ে: ২ / ২৭৪; ফাতাওয়া আলমগিরি: ১ / ২১১)
ইতিকাফ শুরু করার পর ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গেলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। পরে শুধু একদিনের ইতিকাফ রোজাসহ কাজা করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৪ / ৫০২)
ইতিকাফ অবস্থায় কোনো ভাবেই স্বামী–স্ত্রীর মেলামেশা করা যাবে না। করলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া শামি: ৩৪৪২)
ইতিকাফ অবস্থায় গিবত ও অশ্লীল কথাবার্তা পরিহার করে কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ, ইস্তিগফারসহ নফল ইবাদতে মগ্ন থাকা উচিত।
লেখক: শিক্ষক

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহর নৈকট্য এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী তথা শবে কদর লাভের অন্যতম মাধ্যম।
রাসুল (সা.) তাঁর মদিনার জীবনে প্রতি রমজানে ইতিকাফ করতেন। এক রমজানে কোনো কারণে ইতিকাফ ছুটে গেলে পরবর্তী রমজানে ২০ দিন ইতিকাফ করে তা পূরণ করে নিয়েছেন। (আবু দাউদ: ২৪৬৩)
পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও ইতিকাফের অনুমতি ও বৈধতা রয়েছে। তবে নারীদের জন্য ইতিকাফ করা মুস্তাহাব। আর পুরুষদের জন্য তা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই রমজানের শেষ দশকে মহল্লার মসজিদে ন্যূনতম একজন পুরুষ ইতিকাফ করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। তবে নারীর ইতিকাফ পুরুষের জন্য যথেষ্ট নয়।
রাসুল (সা.) পবিত্র স্ত্রীগণ ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি: ২০২৬; মুসলিম: ১১৭২)
একজন নারী যেকোনো প্রকারের মসজিদে ইতিকাফ করতে পারেন। সেটা পাঞ্জেগানা মসজিদ তথা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত হয় এমন মসজিদ হওয়া শর্ত নয়। কারণ জামাতে নামাজ আদায় করা নারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। (আল-মুগনি, ইবনে কুদামা: ৪ / ৪৬৪)
হানাফি মাজহাব এবং অন্যান্য ফকিহদের ভাষ্যমতে, নারীগণ যেভাবে ঘরে নামাজ পড়েন, ঠিক সেভাবে তাঁরা ঘরেই ইতিকাফ করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা ঘরে নামাজের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা থাকলে সেখানেই ইতিকাফ করবেন। আর কোনো জায়গা সুনির্দিষ্ট না থাকলে ইতিকাফের আগে ইবাদতের জন্য উপযোগী একটি জায়গা নির্ধারণ করে নেবেন। অবশ্য কোনো নারী মসজিদে ইতিকাফ করলেও তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে নিজ ঘরে ইতিকাফ করাই নারীর জন্য উত্তম। এটিই বিশুদ্ধ মত। (উমদাতুল কারি: ১১ / ১৪৮; আল মাবসুত লি-সারাখসি: ৩ / ১১৯)
নারীদের ইতিকাফের জন্য স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন। ইতিকাফ একটি নফল ইবাদত। ইতিকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি আবশ্যক। আয়েশা (রা.) ইতিকাফের আগে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। অতএব, স্বামী বা অভিভাবক অনুমতি দিলে ইতিকাফ করা উচিত এবং যদি কোনো নারী তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতিকাফ করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমের অভিমত হলো, তাঁর স্বামী চাইলে তাঁকে ইতিকাফ ভেঙে ফেলতে হবে। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫; বুলুগুল আমানি: ১০ / ২৫০)
যে মসজিদে নারীরা ইতিকাফ করবেন সেখানে তাঁদের জন্য সম্পূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের অজু, গোসল এবং বাথরুমের আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের ইতিকাফের স্থানের অংশটি অবশ্যই পুরুষদের যাতায়াত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। আর যদি এ ধরনের সুযোগ–সুবিধা না থাকে এবং ফিতনার সম্ভাবনা থাকে, তবে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ না করাই উত্তম। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫ /)
নারীদের ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতিকাফ করা যাবে না। কেননা এ অবস্থায় রোজা রাখা যায় না। আর সুন্নত ইতিকাফের জন্য রোজাদার হওয়া শর্ত। (বাদায়েউস সানায়ে: ২ / ২৭৪; ফাতাওয়া আলমগিরি: ১ / ২১১)
ইতিকাফ শুরু করার পর ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গেলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। পরে শুধু একদিনের ইতিকাফ রোজাসহ কাজা করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৪ / ৫০২)
ইতিকাফ অবস্থায় কোনো ভাবেই স্বামী–স্ত্রীর মেলামেশা করা যাবে না। করলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া শামি: ৩৪৪২)
ইতিকাফ অবস্থায় গিবত ও অশ্লীল কথাবার্তা পরিহার করে কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ, ইস্তিগফারসহ নফল ইবাদতে মগ্ন থাকা উচিত।
লেখক: শিক্ষক
আমজাদ ইউনুস

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহর নৈকট্য এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী তথা শবে কদর লাভের অন্যতম মাধ্যম।
রাসুল (সা.) তাঁর মদিনার জীবনে প্রতি রমজানে ইতিকাফ করতেন। এক রমজানে কোনো কারণে ইতিকাফ ছুটে গেলে পরবর্তী রমজানে ২০ দিন ইতিকাফ করে তা পূরণ করে নিয়েছেন। (আবু দাউদ: ২৪৬৩)
পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও ইতিকাফের অনুমতি ও বৈধতা রয়েছে। তবে নারীদের জন্য ইতিকাফ করা মুস্তাহাব। আর পুরুষদের জন্য তা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই রমজানের শেষ দশকে মহল্লার মসজিদে ন্যূনতম একজন পুরুষ ইতিকাফ করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। তবে নারীর ইতিকাফ পুরুষের জন্য যথেষ্ট নয়।
রাসুল (সা.) পবিত্র স্ত্রীগণ ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি: ২০২৬; মুসলিম: ১১৭২)
একজন নারী যেকোনো প্রকারের মসজিদে ইতিকাফ করতে পারেন। সেটা পাঞ্জেগানা মসজিদ তথা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত হয় এমন মসজিদ হওয়া শর্ত নয়। কারণ জামাতে নামাজ আদায় করা নারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। (আল-মুগনি, ইবনে কুদামা: ৪ / ৪৬৪)
হানাফি মাজহাব এবং অন্যান্য ফকিহদের ভাষ্যমতে, নারীগণ যেভাবে ঘরে নামাজ পড়েন, ঠিক সেভাবে তাঁরা ঘরেই ইতিকাফ করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা ঘরে নামাজের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা থাকলে সেখানেই ইতিকাফ করবেন। আর কোনো জায়গা সুনির্দিষ্ট না থাকলে ইতিকাফের আগে ইবাদতের জন্য উপযোগী একটি জায়গা নির্ধারণ করে নেবেন। অবশ্য কোনো নারী মসজিদে ইতিকাফ করলেও তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে নিজ ঘরে ইতিকাফ করাই নারীর জন্য উত্তম। এটিই বিশুদ্ধ মত। (উমদাতুল কারি: ১১ / ১৪৮; আল মাবসুত লি-সারাখসি: ৩ / ১১৯)
নারীদের ইতিকাফের জন্য স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন। ইতিকাফ একটি নফল ইবাদত। ইতিকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি আবশ্যক। আয়েশা (রা.) ইতিকাফের আগে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। অতএব, স্বামী বা অভিভাবক অনুমতি দিলে ইতিকাফ করা উচিত এবং যদি কোনো নারী তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতিকাফ করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমের অভিমত হলো, তাঁর স্বামী চাইলে তাঁকে ইতিকাফ ভেঙে ফেলতে হবে। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫; বুলুগুল আমানি: ১০ / ২৫০)
যে মসজিদে নারীরা ইতিকাফ করবেন সেখানে তাঁদের জন্য সম্পূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের অজু, গোসল এবং বাথরুমের আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের ইতিকাফের স্থানের অংশটি অবশ্যই পুরুষদের যাতায়াত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। আর যদি এ ধরনের সুযোগ–সুবিধা না থাকে এবং ফিতনার সম্ভাবনা থাকে, তবে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ না করাই উত্তম। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫ /)
নারীদের ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতিকাফ করা যাবে না। কেননা এ অবস্থায় রোজা রাখা যায় না। আর সুন্নত ইতিকাফের জন্য রোজাদার হওয়া শর্ত। (বাদায়েউস সানায়ে: ২ / ২৭৪; ফাতাওয়া আলমগিরি: ১ / ২১১)
ইতিকাফ শুরু করার পর ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গেলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। পরে শুধু একদিনের ইতিকাফ রোজাসহ কাজা করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৪ / ৫০২)
ইতিকাফ অবস্থায় কোনো ভাবেই স্বামী–স্ত্রীর মেলামেশা করা যাবে না। করলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া শামি: ৩৪৪২)
ইতিকাফ অবস্থায় গিবত ও অশ্লীল কথাবার্তা পরিহার করে কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ, ইস্তিগফারসহ নফল ইবাদতে মগ্ন থাকা উচিত।
লেখক: শিক্ষক

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহর নৈকট্য এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী তথা শবে কদর লাভের অন্যতম মাধ্যম।
রাসুল (সা.) তাঁর মদিনার জীবনে প্রতি রমজানে ইতিকাফ করতেন। এক রমজানে কোনো কারণে ইতিকাফ ছুটে গেলে পরবর্তী রমজানে ২০ দিন ইতিকাফ করে তা পূরণ করে নিয়েছেন। (আবু দাউদ: ২৪৬৩)
পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও ইতিকাফের অনুমতি ও বৈধতা রয়েছে। তবে নারীদের জন্য ইতিকাফ করা মুস্তাহাব। আর পুরুষদের জন্য তা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। তাই রমজানের শেষ দশকে মহল্লার মসজিদে ন্যূনতম একজন পুরুষ ইতিকাফ করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যাবে। তবে নারীর ইতিকাফ পুরুষের জন্য যথেষ্ট নয়।
রাসুল (সা.) পবিত্র স্ত্রীগণ ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) মৃত্যু পর্যন্ত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।’ (বুখারি: ২০২৬; মুসলিম: ১১৭২)
একজন নারী যেকোনো প্রকারের মসজিদে ইতিকাফ করতে পারেন। সেটা পাঞ্জেগানা মসজিদ তথা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত হয় এমন মসজিদ হওয়া শর্ত নয়। কারণ জামাতে নামাজ আদায় করা নারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়। (আল-মুগনি, ইবনে কুদামা: ৪ / ৪৬৪)
হানাফি মাজহাব এবং অন্যান্য ফকিহদের ভাষ্যমতে, নারীগণ যেভাবে ঘরে নামাজ পড়েন, ঠিক সেভাবে তাঁরা ঘরেই ইতিকাফ করবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা ঘরে নামাজের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো জায়গা থাকলে সেখানেই ইতিকাফ করবেন। আর কোনো জায়গা সুনির্দিষ্ট না থাকলে ইতিকাফের আগে ইবাদতের জন্য উপযোগী একটি জায়গা নির্ধারণ করে নেবেন। অবশ্য কোনো নারী মসজিদে ইতিকাফ করলেও তা শুদ্ধ হয়ে যাবে। তবে নিজ ঘরে ইতিকাফ করাই নারীর জন্য উত্তম। এটিই বিশুদ্ধ মত। (উমদাতুল কারি: ১১ / ১৪৮; আল মাবসুত লি-সারাখসি: ৩ / ১১৯)
নারীদের ইতিকাফের জন্য স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন। ইতিকাফ একটি নফল ইবাদত। ইতিকাফের জন্য স্বামীর অনুমতি আবশ্যক। আয়েশা (রা.) ইতিকাফের আগে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। অতএব, স্বামী বা অভিভাবক অনুমতি দিলে ইতিকাফ করা উচিত এবং যদি কোনো নারী তাঁর স্বামীর অনুমতি ছাড়া ইতিকাফ করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমের অভিমত হলো, তাঁর স্বামী চাইলে তাঁকে ইতিকাফ ভেঙে ফেলতে হবে। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫; বুলুগুল আমানি: ১০ / ২৫০)
যে মসজিদে নারীরা ইতিকাফ করবেন সেখানে তাঁদের জন্য সম্পূর্ণ পর্দার ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের অজু, গোসল এবং বাথরুমের আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাঁদের ইতিকাফের স্থানের অংশটি অবশ্যই পুরুষদের যাতায়াত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে হবে। আর যদি এ ধরনের সুযোগ–সুবিধা না থাকে এবং ফিতনার সম্ভাবনা থাকে, তবে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ না করাই উত্তম। (ফাতহুল বারি: ৪ / ৩২৫ /)
নারীদের ঋতুস্রাব অবস্থায় ইতিকাফ করা যাবে না। কেননা এ অবস্থায় রোজা রাখা যায় না। আর সুন্নত ইতিকাফের জন্য রোজাদার হওয়া শর্ত। (বাদায়েউস সানায়ে: ২ / ২৭৪; ফাতাওয়া আলমগিরি: ১ / ২১১)
ইতিকাফ শুরু করার পর ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গেলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। পরে শুধু একদিনের ইতিকাফ রোজাসহ কাজা করতে হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৪ / ৫০২)
ইতিকাফ অবস্থায় কোনো ভাবেই স্বামী–স্ত্রীর মেলামেশা করা যাবে না। করলে ইতিকাফ ভেঙে যাবে। (ফাতাওয়া শামি: ৩৪৪২)
ইতিকাফ অবস্থায় গিবত ও অশ্লীল কথাবার্তা পরিহার করে কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ পাঠ, ইস্তিগফারসহ নফল ইবাদতে মগ্ন থাকা উচিত।
লেখক: শিক্ষক

জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। এ ছাড়া এটি এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের অধিকার।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৯৩৫)
আমাদের সমাজে সাধারণত জানাজার নামাজ ও দাফন প্রক্রিয়ায় পুরুষদেরই দেখা যায় দেখা যায় অংশগ্রহণ করতে। তবে নারীদের জন্য জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ বিষয়ে ইসলামবিষয়ক গবেষকদের মত হলো, নারীদের জন্য জানাজার নামাজ আদায় করা মৌলিকভাবে নিষিদ্ধ নয়। চাইলে তারাও জানাজায় শরিক হতে পারবে। এতে জানাজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে জানাজায় অংশগ্রহণের বিষয়ে নারীদেরকে ইসলাম নিরুৎসাহিত করে থাকে।
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধান সম্মত নয়। কেননা, ইসলামের বিধান মতে—জানাজার নামাজ আদায়, মৃতদেহ বহন এবং দাফন সংক্রান্ত সামগ্রিক দায়িত্ব মূলত পুরুষদের ওপরই ন্যস্ত।
এ ছাড়া শরিয়তবিরোধী কোনো পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকার কারণে অনেক আলেম নারীদের জানাজায় অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
২৭ মার্চ ২০২৪
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৭ ঘণ্টা আগেআবরার নাঈম

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের অধিকার অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি: সালামের জবাব দেওয়া, রোগীকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচি দিলে তার জবাব দেওয়া।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯০০)
কোনো মুসলমানের জানাজায় অংশগ্রহণ ও তাকে কবরস্থ করা সমাজের মুসলমানদের ইমানি দায়িত্ব। পাশাপাশি এতে রয়েছে অধিক পরিমাণে সওয়াব। যদিও সবার অংশগ্রহণ জরুরি নয়। তাই বলে এমন সওয়াবের কাজ থেকে পিছিয়ে থাকা কখনোই সমীচীন নয়।
জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণের লাভ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (আল্লাহর প্রতি) বিশ্বাস রেখে এবং নেকির আশা রেখে কোনো মুসলমানের জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জানাজার নামাজ আদায় করবে এবং দাফন করা পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকবে, সে দুই কিরাত (পরিমাপের একক) সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে। এক কিরাত উহুদ পাহাড়ের সমান। আর যে ব্যক্তি জানাজার নামাজ আদায় করে মৃতকে সমাধিস্থ করার আগেই ফিরে আসবে, সে এক কিরাত সওয়াব নিয়ে (বাড়ি) ফিরবে।’ (রিয়াদুস সলেহিন: ৯৩৫)

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
২৭ মার্চ ২০২৪
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৬ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন—‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯০০)
কারও মৃত্যুর পর তাঁর পাশে উপস্থিত হলে লাশ দেখার সময় দোয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রোগী কিংবা মৃতের কাছে উপস্থিত হলে ভালো কথা বলবে। কেননা তোমরা যা বলবে, ফেরেশতারা তার ওপর আমিন বলবেন।’
এই অবস্থায় এই দোয়া পড়া সুন্নত—‘আল্লাহুম্মাগফিরলি ওয়া লাহু ওয়া আকিবনি মিনহু উকবান হাসানাহ।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাকে ও তাকে ক্ষমা করো এবং আমাকে তার চেয়েও উত্তম প্রতিদান দাও।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৪৪৭)
পবিত্র কোরআনে পূর্ববর্তী নবীগণ নিজেদের এবং সমস্ত মুমিনের জন্য যেভাবে দোয়া করেছেন, তা আমাদের জন্য বড় শিক্ষা।
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বানাগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
হজরত নুহ (আ.)-এর দোয়া—‘রব্বিগফিরলি ওয়ালিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও-ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত।’
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও; আর যে ইমান অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে এবং সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও।’ (সুরা নুহ: ২৮)

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
২৭ মার্চ ২০২৪
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
৭ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।
রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির সপ্তম মাস হলো রজব। এটি ‘আশহুরে হুরুম’ বা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত চারটি সম্মানিত মাসের অন্যতম। রজব মাসের আগমন আমাদের সামনে রমজানের বারতা নিয়ে আসে। ইবাদত-বন্দেগির বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত রমজান মাসের প্রস্তুতির শুরু হয় মূলত এই রজব মাস থেকেই।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাস শুরু হলে একটি বিশেষ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন (অর্থাৎ রমজান পাওয়ার তৌফিক দান করুন)।’ (মুসনাদে আহমদ: ২৩৪৬)
এই মাসের আমল সম্পর্কে কিছু জরুরি দিক হলো: ১. ফরজ ইবাদতে যত্নবান হওয়া: যেকোনো ফজিলতপূর্ণ সময়ের প্রথম শর্ত হলো ফরজ ইবাদতগুলো নিখুঁতভাবে পালন করা। বিশেষ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। ২. নফল ইবাদত বৃদ্ধি: এই মাসে নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। ৩. গুনাহ বর্জন: যেহেতু এটি সম্মানিত মাস, তাই এই সময়ে পাপাচার থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। ৪. বেশি বেশি নফল রোজা: যদিও রজব মাসের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো রোজার বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং আইয়ামে বিজের (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখার মাধ্যমে নিজেকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করা যায়।
রজব মাস আমাদের আত্মশুদ্ধি এবং রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শেখানো দোয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে বরকত প্রার্থনা করি।

ইতিকাফ শব্দের অর্থ অবস্থান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, নিয়তসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এমন মসজিদে কেবল ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
২৭ মার্চ ২০২৪
জানাজার স্থানে যদি পর্দার খেলাপ কিংবা নারীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে সেখানে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ইসলাম দেয় না। জানাজার নামাজ যেহেতু নারীদের জন্য আবশ্যক নয়, তাই এতে অংশ নিতে গিয়ে কোনো ফরজ বিধান লঙ্ঘন করা বিধানসম্মত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৩ ঘণ্টা আগে
মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আমলের দুয়ার বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় বিলাপ কিংবা উচ্চ স্বরে কান্নাকাটি মৃত ব্যক্তির কোনো উপকারে আসে না; বরং তাঁর জন্য মাগফিরাতের দোয়া এবং তাঁর ভালো গুণগুলো স্মরণ করাই প্রকৃত কল্যাণকর।
৬ ঘণ্টা আগে