ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান

মিরাজ রাসুল (সা.)-এর জীবনে অলৌকিক ঘটনা হিসেবে সংঘটিত হলেও এর মধ্যে মানবজীবনে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় অগণিত শিক্ষা রয়েছে। এখানে কয়েকটি শিক্ষা তুলে ধরা হলো।
সান্ত্বনা দেওয়া: মহানবী (সা.)-এর মিরাজ সংঘটিত হয় তাঁর চরম দুঃখের বছরে। কারণ সে বছর তাঁর অভিভাবক চাচা আবু তালেব ও সহধর্মিণী খাদিজা (রা.) ইন্তেকাল করেন। মহানবী (সা.) তাঁদের বিয়োগে যখন চিন্তাকাতর, ঠিক সে সময়ই আল্লাহ তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য মিরাজের আয়োজন করেন।
সাবধানতা অবলম্বন: মহানবী (সা.) মিরাজের রাতে বায়তুল মোকাদ্দাসে গিয়ে তাঁর বাহন বোরাককে বেঁধে রাখেন। তিনি না বাঁধলেও পারতেন, বরং ভাবতে পারতেন আল্লাহ আমাকে এনেছেন, তিনিই সংরক্ষণ করবেন। এ থেকে বলা যায়, এর মাধ্যমে তিনি সাবধানতা শিখিয়েছেন। কারণ আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসার পাশাপাশি উপায় অবলম্বন করা তাওয়াক্কুল পরিপন্থী নয়।
ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়া: কারও ঘরে প্রবেশের আগে সালামের মাধ্যমে গৃহকর্তার অনুমতি নেওয়া ইসলামের বিধান। মিরাজের ঘটনায় হজরত জিবরাইল (আ.)সহ মহানবী (সা.) এ কাজটিই করেছেন এবং প্রতিটি আসমানের দরজায় গিয়ে অনুমতি প্রার্থনা করেছেন।
নিজের পরিচয় দেওয়া: মহানবী (সা.)কে নিয়ে জিবরাইল (আ.) যখনই কোনো আসমানের দরজায় গিয়ে অনুমতি প্রার্থনা করেছেন, তখনই প্রশ্ন করা হয়েছে—কে? উত্তরে জিবরাইল (আ.) ‘আমি’ না বলে বলেছেন, ‘আমি জিবরাইল’। এ থেকে প্রমাণিত হয়, প্রশ্নকারীর উত্তরে কেবল ‘আমি’ না বলে নামসহ ‘আমি’ বলা উচিত।
নামাজের গুরুত্ব: মহানবী (সা.) মিরাজের রাতে ফরজ নামাজ পরিত্যাগকারীদের দেখেন, তাদের মাথা পাথর দ্বারা চূর্ণবিচূর্ণ করা হচ্ছে। সুতরাং নামাজ ত্যাগ করা যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি ইচ্ছাকৃত সালাত পরিত্যাগ করবে না। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত তা করে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের দায়িত্ব থেকে মুক্ত।’ (আহমাদ)
জাকাতের গুরুত্ব: এই রাতে মহানবী (সা.) এমন জাতিকে দেখেন, যারা জাকাত আদায় করত না। তাদের গুপ্তাঙ্গের সামনে-পেছনে লেংটি মোড়ানো এক খণ্ড কাপড়। মনে হয় তারা অভাবের কারণে এমন কাপড় পরিধান করেছে। আর তারা পশুর মতো চরছিল এবং জাক্কুম ও জাহান্নামের পাথর খাচ্ছিল।
মানুষকে গুমরাহ করার পরিণাম: মিরাজের রাতে মহানবী (সা.) এমন কিছু বক্তাকে দেখেন, যারা মানুষকে পথভ্রষ্ট করার ওয়াজ করত, তাদের জিহ্বা ও ঠোঁট ধারালো কাঁচি দিয়ে কাটা হচ্ছে এবং তা সঙ্গে সঙ্গে আগের মতো ভালো হয়ে যাচ্ছে।
মা-বাবার খুশি-অখুশি: প্রত্যেক মা-বাবা সন্তানের কল্যাণের জন্য কাজ করেন। সন্তানের ভালো কিছু হলে যেমন তাঁরা খুশি হন, তেমনি মন্দ হলে তাঁরা অখুশি হন। মিরাজের ঘটনায় দেখা যায়, হজরত আদম (আ.) তাঁর ডান দিকে জান্নাতি সন্তানদের দেখে আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে হাসছেন। অন্যদিকে যখন তিনি বাঁ দিকে তাকিয়ে জাহান্নামিদের অবস্থা দেখছেন, তখন কাঁদছেন।
সুদের ভয়ংকর পরিণতি: সুদ এমন একটি ব্যাধি, যা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার পাশাপাশি আখিরাতে বান্দার জাহান্নাম নিশ্চিত করে। তাই আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিবকে সুদখোরদের পরিণতি প্রত্যক্ষ করান, যাতে তাঁর উম্মত এই ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে পারে।
ব্যভিচারের পরিণাম: ব্যভিচার এমন একটি সামাজিক ব্যাধি, যা থেকে ক্রমশ বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। মিরাজের রাতে আল্লাহ তাঁর রাসুলকে ব্যভিচারীদের পরিণাম প্রত্যক্ষ করান। তাই তো আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট পথ।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩২)
তাহিয়্যাতুল মসজিদ: মসজিদে প্রবেশ করে বসার আগে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত। এই নামাজকে তাহিয়্যাতুল মসজিদ বলা হয়। মহানবী (সা.) বায়তুল মোকাদ্দাসে প্রবেশ করে এই সালাতই আদায় করেছিলেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যদি তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন বসার আগে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে।’ (বুখারি)
ইমামের বৈশিষ্ট্য: মহানবী (সা.) বায়তুল মোকাদ্দাসে সব নবীর ইমাম হয়ে সালাত আদায় করেছেন। সুতরাং দলের মধ্যে যিনি উত্তম, তিনি ইমাম হওয়ার অধিক হকদার, তা এখান থেকে বোঝা যায়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে সর্বাপেক্ষা বেশি কোরআনের পাঠক এবং কোরআনি জ্ঞানের অধিকারী, সে-ই মানুষের ইমামতি করবে।’ (মুসলিম)
সৎ পরামর্শ দেওয়া: মিরাজের রাতে যখন মহানবী (সা.)-এর উম্মতের জন্য ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়, তখন হজরত মুসা (আ.) তা কমানোর জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে আবেদন করতে বলেন। তাঁর পরামর্শেই মহানবী (সা.) বারবার আবেদন করলে নামাজের সংখ্যা পাঁচ ওয়াক্তে উপনীত হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয়, কারও কল্যাণ কামনায় সৎ পরামর্শ প্রদান করা উচিত।
উপাধি দেওয়ার বিধান: কোনো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কাউকে কোনো উপাধি দিয়ে সম্মানিত করা ইসলাম বৈধ মনে করে। এতে করে উপাধিপ্রাপ্ত ব্যক্তি আরও আগ্রহ নিয়ে কাজ সম্পাদন করতে পারে। ফলে সামাজিক উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। যেমন মিরাজের ঘটনাকে সত্যায়ন করার কারণে হজরত
আবু বকর (রা.)কে ‘সিদ্দিক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মিরাজ রাসুল (সা.)-এর জীবনে অলৌকিক ঘটনা হিসেবে সংঘটিত হলেও এর মধ্যে মানবজীবনে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় অগণিত শিক্ষা রয়েছে। এখানে কয়েকটি শিক্ষা তুলে ধরা হলো।
সান্ত্বনা দেওয়া: মহানবী (সা.)-এর মিরাজ সংঘটিত হয় তাঁর চরম দুঃখের বছরে। কারণ সে বছর তাঁর অভিভাবক চাচা আবু তালেব ও সহধর্মিণী খাদিজা (রা.) ইন্তেকাল করেন। মহানবী (সা.) তাঁদের বিয়োগে যখন চিন্তাকাতর, ঠিক সে সময়ই আল্লাহ তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য মিরাজের আয়োজন করেন।
সাবধানতা অবলম্বন: মহানবী (সা.) মিরাজের রাতে বায়তুল মোকাদ্দাসে গিয়ে তাঁর বাহন বোরাককে বেঁধে রাখেন। তিনি না বাঁধলেও পারতেন, বরং ভাবতে পারতেন আল্লাহ আমাকে এনেছেন, তিনিই সংরক্ষণ করবেন। এ থেকে বলা যায়, এর মাধ্যমে তিনি সাবধানতা শিখিয়েছেন। কারণ আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসার পাশাপাশি উপায় অবলম্বন করা তাওয়াক্কুল পরিপন্থী নয়।
ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়া: কারও ঘরে প্রবেশের আগে সালামের মাধ্যমে গৃহকর্তার অনুমতি নেওয়া ইসলামের বিধান। মিরাজের ঘটনায় হজরত জিবরাইল (আ.)সহ মহানবী (সা.) এ কাজটিই করেছেন এবং প্রতিটি আসমানের দরজায় গিয়ে অনুমতি প্রার্থনা করেছেন।
নিজের পরিচয় দেওয়া: মহানবী (সা.)কে নিয়ে জিবরাইল (আ.) যখনই কোনো আসমানের দরজায় গিয়ে অনুমতি প্রার্থনা করেছেন, তখনই প্রশ্ন করা হয়েছে—কে? উত্তরে জিবরাইল (আ.) ‘আমি’ না বলে বলেছেন, ‘আমি জিবরাইল’। এ থেকে প্রমাণিত হয়, প্রশ্নকারীর উত্তরে কেবল ‘আমি’ না বলে নামসহ ‘আমি’ বলা উচিত।
নামাজের গুরুত্ব: মহানবী (সা.) মিরাজের রাতে ফরজ নামাজ পরিত্যাগকারীদের দেখেন, তাদের মাথা পাথর দ্বারা চূর্ণবিচূর্ণ করা হচ্ছে। সুতরাং নামাজ ত্যাগ করা যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি ইচ্ছাকৃত সালাত পরিত্যাগ করবে না। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত তা করে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের দায়িত্ব থেকে মুক্ত।’ (আহমাদ)
জাকাতের গুরুত্ব: এই রাতে মহানবী (সা.) এমন জাতিকে দেখেন, যারা জাকাত আদায় করত না। তাদের গুপ্তাঙ্গের সামনে-পেছনে লেংটি মোড়ানো এক খণ্ড কাপড়। মনে হয় তারা অভাবের কারণে এমন কাপড় পরিধান করেছে। আর তারা পশুর মতো চরছিল এবং জাক্কুম ও জাহান্নামের পাথর খাচ্ছিল।
মানুষকে গুমরাহ করার পরিণাম: মিরাজের রাতে মহানবী (সা.) এমন কিছু বক্তাকে দেখেন, যারা মানুষকে পথভ্রষ্ট করার ওয়াজ করত, তাদের জিহ্বা ও ঠোঁট ধারালো কাঁচি দিয়ে কাটা হচ্ছে এবং তা সঙ্গে সঙ্গে আগের মতো ভালো হয়ে যাচ্ছে।
মা-বাবার খুশি-অখুশি: প্রত্যেক মা-বাবা সন্তানের কল্যাণের জন্য কাজ করেন। সন্তানের ভালো কিছু হলে যেমন তাঁরা খুশি হন, তেমনি মন্দ হলে তাঁরা অখুশি হন। মিরাজের ঘটনায় দেখা যায়, হজরত আদম (আ.) তাঁর ডান দিকে জান্নাতি সন্তানদের দেখে আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে হাসছেন। অন্যদিকে যখন তিনি বাঁ দিকে তাকিয়ে জাহান্নামিদের অবস্থা দেখছেন, তখন কাঁদছেন।
সুদের ভয়ংকর পরিণতি: সুদ এমন একটি ব্যাধি, যা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার পাশাপাশি আখিরাতে বান্দার জাহান্নাম নিশ্চিত করে। তাই আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিবকে সুদখোরদের পরিণতি প্রত্যক্ষ করান, যাতে তাঁর উম্মত এই ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে পারে।
ব্যভিচারের পরিণাম: ব্যভিচার এমন একটি সামাজিক ব্যাধি, যা থেকে ক্রমশ বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। মিরাজের রাতে আল্লাহ তাঁর রাসুলকে ব্যভিচারীদের পরিণাম প্রত্যক্ষ করান। তাই তো আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট পথ।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩২)
তাহিয়্যাতুল মসজিদ: মসজিদে প্রবেশ করে বসার আগে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত। এই নামাজকে তাহিয়্যাতুল মসজিদ বলা হয়। মহানবী (সা.) বায়তুল মোকাদ্দাসে প্রবেশ করে এই সালাতই আদায় করেছিলেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যদি তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন বসার আগে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে।’ (বুখারি)
ইমামের বৈশিষ্ট্য: মহানবী (সা.) বায়তুল মোকাদ্দাসে সব নবীর ইমাম হয়ে সালাত আদায় করেছেন। সুতরাং দলের মধ্যে যিনি উত্তম, তিনি ইমাম হওয়ার অধিক হকদার, তা এখান থেকে বোঝা যায়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে সর্বাপেক্ষা বেশি কোরআনের পাঠক এবং কোরআনি জ্ঞানের অধিকারী, সে-ই মানুষের ইমামতি করবে।’ (মুসলিম)
সৎ পরামর্শ দেওয়া: মিরাজের রাতে যখন মহানবী (সা.)-এর উম্মতের জন্য ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়, তখন হজরত মুসা (আ.) তা কমানোর জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে আবেদন করতে বলেন। তাঁর পরামর্শেই মহানবী (সা.) বারবার আবেদন করলে নামাজের সংখ্যা পাঁচ ওয়াক্তে উপনীত হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয়, কারও কল্যাণ কামনায় সৎ পরামর্শ প্রদান করা উচিত।
উপাধি দেওয়ার বিধান: কোনো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কাউকে কোনো উপাধি দিয়ে সম্মানিত করা ইসলাম বৈধ মনে করে। এতে করে উপাধিপ্রাপ্ত ব্যক্তি আরও আগ্রহ নিয়ে কাজ সম্পাদন করতে পারে। ফলে সামাজিক উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। যেমন মিরাজের ঘটনাকে সত্যায়ন করার কারণে হজরত
আবু বকর (রা.)কে ‘সিদ্দিক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মিরাজ রাসুল (সা.)-এর জীবনে অলৌকিক ঘটনা হিসেবে সংঘটিত হলেও এর মধ্যে মানবজীবনে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় অগণিত শিক্ষা রয়েছে। এখানে কয়েকটি শিক্ষা তুলে ধরা হলো।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

মিরাজ রাসুল (সা.)-এর জীবনে অলৌকিক ঘটনা হিসেবে সংঘটিত হলেও এর মধ্যে মানবজীবনে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় অগণিত শিক্ষা রয়েছে। এখানে কয়েকটি শিক্ষা তুলে ধরা হলো।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মিরাজ রাসুল (সা.)-এর জীবনে অলৌকিক ঘটনা হিসেবে সংঘটিত হলেও এর মধ্যে মানবজীবনে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় অগণিত শিক্ষা রয়েছে। এখানে কয়েকটি শিক্ষা তুলে ধরা হলো।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিরাজ রাসুল (সা.)-এর জীবনে অলৌকিক ঘটনা হিসেবে সংঘটিত হলেও এর মধ্যে মানবজীবনে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় অগণিত শিক্ষা রয়েছে। এখানে কয়েকটি শিক্ষা তুলে ধরা হলো।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে