Ajker Patrika

মিরাজের ঘটনার তাৎপর্য ও শিক্ষা

ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
মিরাজের ঘটনার তাৎপর্য ও শিক্ষা

মিরাজ রাসুল (সা.)-এর জীবনে অলৌকিক ঘটনা হিসেবে সংঘটিত হলেও এর মধ্যে মানবজীবনে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় অগণিত শিক্ষা রয়েছে। এখানে কয়েকটি শিক্ষা তুলে ধরা হলো। 

সান্ত্বনা দেওয়া: মহানবী (সা.)-এর মিরাজ সংঘটিত হয় তাঁর চরম দুঃখের বছরে। কারণ সে বছর তাঁর অভিভাবক চাচা আবু তালেব ও সহধর্মিণী খাদিজা (রা.) ইন্তেকাল করেন। মহানবী (সা.) তাঁদের বিয়োগে যখন চিন্তাকাতর, ঠিক সে সময়ই আল্লাহ তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য মিরাজের আয়োজন করেন। 

সাবধানতা অবলম্বন: মহানবী (সা.) মিরাজের রাতে বায়তুল মোকাদ্দাসে গিয়ে তাঁর বাহন বোরাককে বেঁধে রাখেন। তিনি না বাঁধলেও পারতেন, বরং ভাবতে পারতেন আল্লাহ আমাকে এনেছেন, তিনিই সংরক্ষণ করবেন। এ থেকে বলা যায়, এর মাধ্যমে তিনি সাবধানতা শিখিয়েছেন। কারণ আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসার পাশাপাশি উপায় অবলম্বন করা তাওয়াক্কুল পরিপন্থী নয়। 

ঘরে প্রবেশে অনুমতি নেওয়া: কারও ঘরে প্রবেশের আগে সালামের মাধ্যমে গৃহকর্তার অনুমতি নেওয়া ইসলামের বিধান। মিরাজের ঘটনায় হজরত জিবরাইল (আ.)সহ মহানবী (সা.) এ কাজটিই করেছেন এবং প্রতিটি আসমানের দরজায় গিয়ে অনুমতি প্রার্থনা করেছেন। 

নিজের পরিচয় দেওয়া: মহানবী (সা.)কে নিয়ে জিবরাইল (আ.) যখনই কোনো আসমানের দরজায় গিয়ে অনুমতি প্রার্থনা করেছেন, তখনই প্রশ্ন করা হয়েছে—কে? উত্তরে জিবরাইল (আ.) ‘আমি’ না বলে বলেছেন, ‘আমি জিবরাইল’। এ থেকে প্রমাণিত হয়, প্রশ্নকারীর উত্তরে কেবল ‘আমি’ না বলে নামসহ ‘আমি’ বলা উচিত। 

নামাজের গুরুত্ব: মহানবী (সা.) মিরাজের রাতে ফরজ নামাজ পরিত্যাগকারীদের দেখেন, তাদের মাথা পাথর দ্বারা চূর্ণবিচূর্ণ করা হচ্ছে। সুতরাং নামাজ ত্যাগ করা যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি ইচ্ছাকৃত সালাত পরিত্যাগ করবে না। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত তা করে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের দায়িত্ব থেকে মুক্ত।’ (আহমাদ) 

জাকাতের গুরুত্ব: এই রাতে মহানবী (সা.) এমন জাতিকে দেখেন, যারা জাকাত আদায় করত না। তাদের গুপ্তাঙ্গের সামনে-পেছনে লেংটি মোড়ানো এক খণ্ড কাপড়। মনে হয় তারা অভাবের কারণে এমন কাপড় পরিধান করেছে। আর তারা পশুর মতো চরছিল এবং জাক্কুম ও জাহান্নামের পাথর খাচ্ছিল। 

মানুষকে গুমরাহ করার পরিণাম: মিরাজের রাতে মহানবী (সা.) এমন কিছু বক্তাকে দেখেন, যারা মানুষকে পথভ্রষ্ট করার ওয়াজ করত, তাদের জিহ্বা ও ঠোঁট ধারালো কাঁচি দিয়ে কাটা হচ্ছে এবং তা সঙ্গে সঙ্গে আগের মতো ভালো হয়ে যাচ্ছে। 

মা-বাবার খুশি-অখুশি: প্রত্যেক মা-বাবা  সন্তানের কল্যাণের জন্য কাজ করেন। সন্তানের ভালো কিছু হলে যেমন তাঁরা খুশি হন, তেমনি মন্দ হলে তাঁরা অখুশি হন। মিরাজের ঘটনায় দেখা যায়, হজরত আদম (আ.) তাঁর ডান দিকে জান্নাতি সন্তানদের দেখে আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে হাসছেন। অন্যদিকে যখন তিনি বাঁ দিকে তাকিয়ে জাহান্নামিদের অবস্থা দেখছেন, তখন কাঁদছেন। 

সুদের ভয়ংকর পরিণতি: সুদ এমন একটি ব্যাধি, যা ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার পাশাপাশি আখিরাতে বান্দার জাহান্নাম নিশ্চিত করে। তাই আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিবকে সুদখোরদের পরিণতি প্রত্যক্ষ করান, যাতে তাঁর উম্মত এই ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে পারে। 

ব্যভিচারের পরিণাম: ব্যভিচার এমন একটি সামাজিক ব্যাধি, যা থেকে ক্রমশ বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। মিরাজের রাতে আল্লাহ তাঁর রাসুলকে ব্যভিচারীদের পরিণাম প্রত্যক্ষ করান। তাই তো আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট পথ।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩২)

তাহিয়্যাতুল মসজিদ: মসজিদে প্রবেশ করে বসার আগে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত। এই নামাজকে তাহিয়্যাতুল মসজিদ বলা হয়। মহানবী (সা.) বায়তুল মোকাদ্দাসে প্রবেশ করে এই সালাতই আদায় করেছিলেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যদি তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন বসার আগে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে।’ (বুখারি) 

ইমামের বৈশিষ্ট্য: মহানবী (সা.) বায়তুল মোকাদ্দাসে সব নবীর ইমাম হয়ে সালাত আদায় করেছেন। সুতরাং দলের মধ্যে যিনি উত্তম, তিনি ইমাম হওয়ার অধিক হকদার, তা এখান থেকে বোঝা যায়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে সর্বাপেক্ষা বেশি কোরআনের পাঠক এবং কোরআনি জ্ঞানের অধিকারী, সে-ই মানুষের ইমামতি করবে।’ (মুসলিম) 

সৎ পরামর্শ দেওয়া: মিরাজের রাতে যখন মহানবী (সা.)-এর উম্মতের জন্য ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়, তখন হজরত মুসা (আ.) তা কমানোর জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে আবেদন করতে বলেন। তাঁর পরামর্শেই মহানবী (সা.) বারবার আবেদন করলে নামাজের সংখ্যা পাঁচ ওয়াক্তে উপনীত হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয়, কারও কল্যাণ কামনায় সৎ পরামর্শ প্রদান করা উচিত। 

উপাধি দেওয়ার বিধান: কোনো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কাউকে কোনো উপাধি দিয়ে সম্মানিত করা ইসলাম বৈধ মনে করে। এতে করে উপাধিপ্রাপ্ত ব্যক্তি আরও আগ্রহ নিয়ে কাজ সম্পাদন করতে পারে। ফলে সামাজিক উন্নতি ত্বরান্বিত হয়। যেমন মিরাজের ঘটনাকে সত্যায়ন করার কারণে হজরত 
আবু বকর (রা.)কে ‘সিদ্দিক’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। 

লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মক্কা-মদিনায় এক মাসে প্রায় ৭ কোটি মুসল্লির সমাগম

ইসলাম ডেস্ক 
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।

কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের সতর্কবার্তা

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।

পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।

পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৮ মিনিট
ফজর০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৯ মিনিট
জোহর১২: ০১ মিনিট০৩: ৪৪ মিনিট
আসর০৩: ৪৫ মিনিট০৫: ২০ মিনিট
মাগরিব০৫: ২২ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় ৫০০ কোরআনের হাফেজকে রাজকীয় সংবর্ধনা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্‌যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।

আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।

তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।

রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।

অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।

সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত