আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: নাক-কান ফোঁড়ানো সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
নাবিলা জামান, ঢাকা
উত্তর: ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের জন্য নাক-কান ফোঁড়ানো জায়েজ। মহানবী (সা.)-এর সময়ের বিভিন্ন ঘটনা থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। নারীদের নাক-কান ফুঁড়তে কখনো নিষেধ বা নিরুৎসাহিতও করেননি তিনি। তাই গয়না পরার জন্য নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানো ইসলামে সম্পূর্ণ বৈধ বিষয়।
হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুর রহমান ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। আমি এক ব্যক্তিকে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করতে শুনেছি, ‘ঈদুল ফিতর বা আজহার কোনো একটিতে কি আপনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ। অবশ্যই তাঁর সঙ্গে আমার এত ঘনিষ্ঠতা না থাকলে স্বল্প বয়সের কারণে আমি তাঁর সঙ্গে উপস্থিত হতে পারতাম না।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বের হলেন। তারপর নামাজ আদায় করলেন। খুতবা দিলেন।’ ...‘এরপর তিনি নারীদের কাছে এলেন এবং তাদের ওয়াজ-নসিহত করলেন। তাদের দান-সদকা করার আদেশ দিলেন। আমি দেখলাম, তারা তাদের কান ও গলার দিকে হাত প্রসারিত করে (কান ও গলায় পরিহিত গয়নাগুলো) হজরত বিলাল (রা.)-এর কাছে দিয়ে দিচ্ছেন। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত বিলাল (রা.)-এর ঘরে গেলেন।’ (বুখারি)
আরেকটি হাদিসে এসেছে, একাদশতম নারী বলল, ‘আমার স্বামী আবু জারা। তার কথা আমি কী বলব? সে আমাকে এত বেশি গয়না দিয়েছে যে আমার কান ভারী হয়ে গেছে।...’ হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, ‘হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘আবু জারা তার স্ত্রী উম্মে জারার জন্য যেমন, আমিও তোমার প্রতি তেমন।’ (বুখারি)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: নাক-কান ফোঁড়ানো সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী?
নাবিলা জামান, ঢাকা
উত্তর: ইসলামের দৃষ্টিতে নারীদের জন্য নাক-কান ফোঁড়ানো জায়েজ। মহানবী (সা.)-এর সময়ের বিভিন্ন ঘটনা থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায়। নারীদের নাক-কান ফুঁড়তে কখনো নিষেধ বা নিরুৎসাহিতও করেননি তিনি। তাই গয়না পরার জন্য নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানো ইসলামে সম্পূর্ণ বৈধ বিষয়।
হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুর রহমান ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। আমি এক ব্যক্তিকে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করতে শুনেছি, ‘ঈদুল ফিতর বা আজহার কোনো একটিতে কি আপনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ। অবশ্যই তাঁর সঙ্গে আমার এত ঘনিষ্ঠতা না থাকলে স্বল্প বয়সের কারণে আমি তাঁর সঙ্গে উপস্থিত হতে পারতাম না।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বের হলেন। তারপর নামাজ আদায় করলেন। খুতবা দিলেন।’ ...‘এরপর তিনি নারীদের কাছে এলেন এবং তাদের ওয়াজ-নসিহত করলেন। তাদের দান-সদকা করার আদেশ দিলেন। আমি দেখলাম, তারা তাদের কান ও গলার দিকে হাত প্রসারিত করে (কান ও গলায় পরিহিত গয়নাগুলো) হজরত বিলাল (রা.)-এর কাছে দিয়ে দিচ্ছেন। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত বিলাল (রা.)-এর ঘরে গেলেন।’ (বুখারি)
আরেকটি হাদিসে এসেছে, একাদশতম নারী বলল, ‘আমার স্বামী আবু জারা। তার কথা আমি কী বলব? সে আমাকে এত বেশি গয়না দিয়েছে যে আমার কান ভারী হয়ে গেছে।...’ হজরত আয়েশা (রা.) বললেন, ‘হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘আবু জারা তার স্ত্রী উম্মে জারার জন্য যেমন, আমিও তোমার প্রতি তেমন।’ (বুখারি)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
আল্লাহর দরবারে বান্দার আমল কবুল হওয়ার প্রধানতম শর্ত হচ্ছে ইখলাস বা নিষ্ঠা। আমল হবে কেবল আল্লাহর জন্য, আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে; মানুষের প্রশংসা বা পার্থিব সুবিধার চিন্তা এতে থাকবে না। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তাদের কেবল একনিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর ইবাদতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
৮ ঘণ্টা আগেসুরা ইখলাস পবিত্র কোরআনের ১১২তম সুরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার চারটি আয়াত রয়েছে। মুশরিকেরা রাসুল (সা.)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, তার উত্তরে এই সুরা অবতীর্ণ হয়। উবাই ইবন কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, মুশরিকেরা একবার রাসুল (সা.)-কে বলল, ‘আপনি আপনার প্রভুর বংশতালিকা বর্ণনা করুন। আল্লাহ তাআলা তখন
১ দিন আগেহজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। তবে এর সঙ্গে আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্যের বিষয় জড়িত। তাই সবার জন্য হজ ফরজ নয়। হজ ফরজ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে।
২ দিন আগেইসলামে ভ্রমণের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহর কুদরত এবং পূর্ববর্তী জাতিগুলোর পরিণাম দেখতে মহান আল্লাহ মানুষকে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের আদেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় ভ্রমণ করেছেন।
৩ দিন আগে