আসআদ শাহীন

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা, নরম ব্যবহার করা, তাঁদের অবস্থা লক্ষ্য রাখা, কখনোই তাঁদের প্রতি অসদাচরণ না করা এবং এমনকি তাঁদের বন্ধুদের প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করা।
এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পিতামাতার প্রতি সদাচরণকে তাঁর ইবাদত ও তাওহিদের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতাকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে একত্রে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন—‘আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং তোমার পিতামাতার প্রতিও কৃতজ্ঞ হও। আমারই কাছে (তোমাদের) প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা লুকমান, আয়াত: ১৪-১৫)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কারও ইবাদত না করতে এবং পিতামাতার প্রতি সদাচরণ করতে।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ২৩)
পক্ষান্তরে পিতামাতার প্রতি অসদাচরণ করা, কষ্ট দেওয়া বা তাঁদের কথা অমান্য করা, আর তাঁরা যদি এতে কষ্ট পেয়ে বদদোয়া বা অভিশাপ দেন, তাহলে তা আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন প্রকারের দোয়া অবশ্যই মঞ্জুর করা হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া, মুসাফিরের দোয়া এবং সন্তানের প্রতি বাবা-মার বদদোয়া।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯০৫)
এমনই এক মায়ের বদদোয়ার ঘটনা সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যাঁর দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেছেন। নিচে ওই ঘটনা তুলে ধরা হলো—
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেন, তিনজন শিশু ছাড়া আর কেউ দোলনায় থেকে কথা বলেনি। প্রথমজন ইসা (আ.)। দ্বিতীয়জন (এক শিশু, যার কথা এসেছে) বনি ইসরাইলের ‘জুরাইজ’ নামের এক ব্যক্তির ঘটনায়। একদা ইবাদতে রত থাকা অবস্থায় জুরাইজের মা এসে তাঁকে ডাকলেন। তিনি ভাবলেন, আমি কি তাঁর ডাকে সাড়া দেব, না নামাজ আদায় করতে থাকব। তাঁর মা বললেন, ‘হে আল্লাহ, ব্যাভিচারিণীর মুখ না দেখা পর্যন্ত তুমি তাকে মৃত্যু দিও না।’ জুরাইজ তাঁর ইবাদতখানায় থাকতেন। একবার তাঁর কাছে এক নারী এসে তাঁর সঙ্গে (মনোবাসনা পূরণের) কথা বললেন। কিন্তু জুরাইজ তা অস্বীকার করলেন। এরপর নারীটি একজন রাখালের কাছে গেলেন এবং তাঁকে দিয়ে মনোবাসনা পূর্ণ করলেন। পরে তিনি এক পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এটি কার বাচ্চা?’ ওই নারী বললেন, ‘জুরাইজের।’ লোকজন তাঁর কাছে এলো এবং তাঁর ইবাদতখানা ভেঙে দিল। আর তাঁকে নিচে নামিয়ে এনে গালিগালাজ করল। তখন জুরাইজ অজু সেরে ইবাদত করলেন। এরপর নবজাত শিশুটির কাছে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে শিশু, তোমার পিতা কে?’ সে জবাব দিল, ‘অমুক রাখাল।’ তারা বলল, ‘আমরা আপনার ইবাদতখানাটি সোনা দিয়ে তৈরি করে দিচ্ছি।’ জুরাইজ বললেন, ‘না। তবে মাটি দিয়ে।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৪৩৬; মুসলিম, হাদিস: ২৫৫০)
এ এক দুর্লভ দৃষ্টান্ত। মায়ের অভিশাপের শক্তি যেমন অপ্রতিরোধ্য, তেমনি আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতেও সক্ষম।
গল্প থেকে শিক্ষা
পিতামাতার অবাধ্যতা ও তাঁদের প্রতি সদাচরণ না করা এবং তাঁদের আদেশ অমান্য করা মানুষের জীবনে নানা বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। যেমনটি ঘটেছিল এই নেককার ও পরহেজগার (জুরাইজ) ব্যক্তির ক্ষেত্রে, যিনি তাঁর মায়ের প্রতি কর্তব্য পালনে অবহেলা করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলা তাঁর নেক বান্দাদের সততা ও তাকওয়ার প্রতিদান দেন। যেমন তিনি জুরাইজ নামক ওই নেককার ব্যক্তিকে মিথ্যা অপবাদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং তাঁর নির্দোষ হওয়ার বিষয়টি একটি শিশুর মুখ থেকে প্রমাণ করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলার অসীম ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কথা বলিয়ে দেওয়া, যাদের কথা বলার সাধ্য নেই। যেমন, তিনি জুরাইজকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য এক নবজাতক শিশুকে কথা বলিয়েছিলেন।
যদি কেউ নফল নামাজ আদায়রত থাকে এবং তার পিতামাতা কোনো ন্যায়সঙ্গত প্রয়োজনে ডাক দেয়, তবে তাকে নামাজ ছেড়ে তাঁদের ডাকে সাড়া দেওয়া উচিত। কেননা, হাদিস থেকে বোঝা যায়, জুরাইজ তাঁর মায়ের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ভুল করেছিলেন এবং এ কারণে আল্লাহর নিকট তিনি অপরাধী সাব্যস্ত হন।
যদি কোনো বান্দা ধৈর্য ও তাকওয়ার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সম্মুখীন হয়, তবে পরিণামে তার অবস্থার উন্নতি হয়। যেমন, জুরাইজের সম্মান ও মর্যাদা তাঁর বিপদের পর আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল—মানুষের দৃষ্টিতে এবং সর্বোপরি আল্লাহর নিকটও।
কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে প্রমাণ ও সুনিশ্চিত সাক্ষ্য ছাড়া তা বিশ্বাস করা উচিত নয়। জুরাইজের কওম তাঁর অপরাধ যাচাই না করেই তাঁর ওপর চড়াও হয়েছিল, তাঁকে গালি দিয়েছিল, এমনকি আঘাতও করেছিল। অথচ, তাঁদের উচিত ছিল সঠিক তদন্ত করা, সত্য-মিথ্যা যাচাই করা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা, নরম ব্যবহার করা, তাঁদের অবস্থা লক্ষ্য রাখা, কখনোই তাঁদের প্রতি অসদাচরণ না করা এবং এমনকি তাঁদের বন্ধুদের প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করা।
এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পিতামাতার প্রতি সদাচরণকে তাঁর ইবাদত ও তাওহিদের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন এবং তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতাকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে একত্রে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন—‘আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং তোমার পিতামাতার প্রতিও কৃতজ্ঞ হও। আমারই কাছে (তোমাদের) প্রত্যাবর্তন হবে।’ (সুরা লুকমান, আয়াত: ১৪-১৫)
পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কারও ইবাদত না করতে এবং পিতামাতার প্রতি সদাচরণ করতে।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ২৩)
পক্ষান্তরে পিতামাতার প্রতি অসদাচরণ করা, কষ্ট দেওয়া বা তাঁদের কথা অমান্য করা, আর তাঁরা যদি এতে কষ্ট পেয়ে বদদোয়া বা অভিশাপ দেন, তাহলে তা আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন প্রকারের দোয়া অবশ্যই মঞ্জুর করা হয়, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া, মুসাফিরের দোয়া এবং সন্তানের প্রতি বাবা-মার বদদোয়া।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৯০৫)
এমনই এক মায়ের বদদোয়ার ঘটনা সহিহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যাঁর দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করেছেন। নিচে ওই ঘটনা তুলে ধরা হলো—
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) বলেন, তিনজন শিশু ছাড়া আর কেউ দোলনায় থেকে কথা বলেনি। প্রথমজন ইসা (আ.)। দ্বিতীয়জন (এক শিশু, যার কথা এসেছে) বনি ইসরাইলের ‘জুরাইজ’ নামের এক ব্যক্তির ঘটনায়। একদা ইবাদতে রত থাকা অবস্থায় জুরাইজের মা এসে তাঁকে ডাকলেন। তিনি ভাবলেন, আমি কি তাঁর ডাকে সাড়া দেব, না নামাজ আদায় করতে থাকব। তাঁর মা বললেন, ‘হে আল্লাহ, ব্যাভিচারিণীর মুখ না দেখা পর্যন্ত তুমি তাকে মৃত্যু দিও না।’ জুরাইজ তাঁর ইবাদতখানায় থাকতেন। একবার তাঁর কাছে এক নারী এসে তাঁর সঙ্গে (মনোবাসনা পূরণের) কথা বললেন। কিন্তু জুরাইজ তা অস্বীকার করলেন। এরপর নারীটি একজন রাখালের কাছে গেলেন এবং তাঁকে দিয়ে মনোবাসনা পূর্ণ করলেন। পরে তিনি এক পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এটি কার বাচ্চা?’ ওই নারী বললেন, ‘জুরাইজের।’ লোকজন তাঁর কাছে এলো এবং তাঁর ইবাদতখানা ভেঙে দিল। আর তাঁকে নিচে নামিয়ে এনে গালিগালাজ করল। তখন জুরাইজ অজু সেরে ইবাদত করলেন। এরপর নবজাত শিশুটির কাছে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে শিশু, তোমার পিতা কে?’ সে জবাব দিল, ‘অমুক রাখাল।’ তারা বলল, ‘আমরা আপনার ইবাদতখানাটি সোনা দিয়ে তৈরি করে দিচ্ছি।’ জুরাইজ বললেন, ‘না। তবে মাটি দিয়ে।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৪৩৬; মুসলিম, হাদিস: ২৫৫০)
এ এক দুর্লভ দৃষ্টান্ত। মায়ের অভিশাপের শক্তি যেমন অপ্রতিরোধ্য, তেমনি আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতেও সক্ষম।
গল্প থেকে শিক্ষা
পিতামাতার অবাধ্যতা ও তাঁদের প্রতি সদাচরণ না করা এবং তাঁদের আদেশ অমান্য করা মানুষের জীবনে নানা বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। যেমনটি ঘটেছিল এই নেককার ও পরহেজগার (জুরাইজ) ব্যক্তির ক্ষেত্রে, যিনি তাঁর মায়ের প্রতি কর্তব্য পালনে অবহেলা করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলা তাঁর নেক বান্দাদের সততা ও তাকওয়ার প্রতিদান দেন। যেমন তিনি জুরাইজ নামক ওই নেককার ব্যক্তিকে মিথ্যা অপবাদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন এবং তাঁর নির্দোষ হওয়ার বিষয়টি একটি শিশুর মুখ থেকে প্রমাণ করেছিলেন।
আল্লাহ তাআলার অসীম ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কথা বলিয়ে দেওয়া, যাদের কথা বলার সাধ্য নেই। যেমন, তিনি জুরাইজকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য এক নবজাতক শিশুকে কথা বলিয়েছিলেন।
যদি কেউ নফল নামাজ আদায়রত থাকে এবং তার পিতামাতা কোনো ন্যায়সঙ্গত প্রয়োজনে ডাক দেয়, তবে তাকে নামাজ ছেড়ে তাঁদের ডাকে সাড়া দেওয়া উচিত। কেননা, হাদিস থেকে বোঝা যায়, জুরাইজ তাঁর মায়ের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ভুল করেছিলেন এবং এ কারণে আল্লাহর নিকট তিনি অপরাধী সাব্যস্ত হন।
যদি কোনো বান্দা ধৈর্য ও তাকওয়ার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সম্মুখীন হয়, তবে পরিণামে তার অবস্থার উন্নতি হয়। যেমন, জুরাইজের সম্মান ও মর্যাদা তাঁর বিপদের পর আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল—মানুষের দৃষ্টিতে এবং সর্বোপরি আল্লাহর নিকটও।
কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে প্রমাণ ও সুনিশ্চিত সাক্ষ্য ছাড়া তা বিশ্বাস করা উচিত নয়। জুরাইজের কওম তাঁর অপরাধ যাচাই না করেই তাঁর ওপর চড়াও হয়েছিল, তাঁকে গালি দিয়েছিল, এমনকি আঘাতও করেছিল। অথচ, তাঁদের উচিত ছিল সঠিক তদন্ত করা, সত্য-মিথ্যা যাচাই করা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১০ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার বেলা ২টায় পার্লামেন্ট ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা...
১৬ মার্চ ২০২৫
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১০ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
ইসলাম এ বিপদে ধৈর্য ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার শিক্ষা দেয়। তবে কান্না করাকে নিষেধ করেনি, বরং তা স্বাভাবিক ও মানবিক অনুভূতির প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। রাসুলুল্লাহও (সা.) কেঁদেছেন তাঁর সন্তান ইবরাহিম (রা.)-এর মৃত্যুর সময়।
সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বিস্ময় প্রকাশ করলে নবীজি (সা.) বলেন, ‘এ কান্না স্নেহ-ভালোবাসার প্রকাশ। আমার হৃদয় বেদনাহত, চোখ দুটো সিক্ত, তবে আমি বলছি সেই কথাই, যা আমার রবকে সন্তুষ্ট করে। ইবরাহিম, তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকাহত।’ (সহিহ বুখারি)
ইসলাম কান্নাকে মানবিক বললেও অতিরিক্ত বিলাপ, উচ্চ স্বরে চিৎকার, গায়ে চপেটাঘাত, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা বা আকুতি-মিনতি করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মৃতের জন্য বিলাপ করা জাহিলি যুগের প্রথা। বিলাপকারী যদি মৃত্যুর আগে তওবা না করে, তবে কিয়ামতের দিন তাকে আগুনের পোশাক ও আলকাতরার চাদর পরানো হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা...
১৬ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার অন্যতম এক বাতিঘর ছিলেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কজন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধর্মীয় চেতনা ও মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন, খালেদা জিয়ার নাম সেখানে অনেকটা অগ্রভাগেই থাকবে।
খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতির ময়দানেই বিচরণ করেননি, তিনি অন্তরে লালন করতেন বাংলাদেশি মুসলিম জাতীয়তাবাদের আদর্শ। গৃহবধূ থেকে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বে উঠে আসার দীর্ঘ লড়াইয়ে তিনি সব সময় আলেমসমাজকে পরম মমতায় কাছে টেনে নিয়েছেন।
১৯৯১ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর যখন নানামুখী রাজনৈতিক চাপ ছিল, তখন খালেদা জিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ বজায় রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ২০০৫ সালের সংসদীয় কার্যবিবরণী সাক্ষ্য দেয়, তিনি বারবার সংসদে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলেন।
আলেমসমাজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের হৃদয়ে খালেদা জিয়া অমর হয়ে থাকবেন তাঁর শিক্ষা সংস্কারের জন্য।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সংস্কার, জাতীয় ঈদগাহের আধুনিকায়ন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম-মুয়াজ্জিন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ছিল তাঁর নিয়মিত কাজের অংশ। আল্লাহর ওলিদের মাজার রক্ষণাবেক্ষণেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি হজযাত্রীদের যাতায়াত সহজ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে শক্তিশালী করা এবং সৌদি সরকারের সঙ্গে সফল কূটনীতির মাধ্যমে ভিসা সমস্যার সমাধান করেছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শাসনামলেই বাংলাদেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ও ইসলামি আর্থিক ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃত হয়। মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ইসলামি ব্যাংকিংকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে তাঁর সরকার নীতিগত সহায়তা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ওআইসিসহ সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাইয়ের মতো মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
২০০৫ সালে ইউরোপে নবীজি (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশিত হলে তাঁর সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর নিন্দা জানিয়েছিল।
আজ ফজরের পর তিনি যখন মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন, তখন পেছনে রেখে গেছেন এমন এক কর্মময় জীবন, যা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের মর্যাদা রক্ষা এবং ইসলামি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন, তা আজ এক বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে।
আল্লাহ তাঁকে তাঁর সকল নেক আমল কবুল করে এবং ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকাম দান করুন।

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা...
১৬ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১০ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
১৩ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

মানুষের জন্ম যেমন অবশ্যম্ভাবী, তেমনি তার মৃত্যুও পৃথিবীর এক অমোঘ সত্য। জীবনে চলার পথে যত সাফল্য, ব্যস্ততা বা আকাঙ্ক্ষা থাকুক; মৃত্যুর মুহূর্তে সবকিছু থেমে যায়। ইসলাম এই বাস্তবতাকে অত্যন্ত গভীরভাবে তুলে ধরেছে এবং আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে প্রতিটি প্রাণী একদিন তার প্রভুর কাছে ফিরে যাবে।
মৃত্যু অবধারিত সত্য। তা থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। কোনো বস্তু জীবনের অস্তিত্ব লাভ করলে তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
কেউ যখন মারা যায়, তার মৃত্যুর খবর শুনলে একটি দোয়া পড়তে হয়, দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতে।
দোয়াটি হলো: ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি; ওয়া আখলিফ-লি খাইরাম মিনহা।’
দোয়ার অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর এবং নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই ফিরে যাব। হে আল্লাহ, আমাকে আমার এই বিপদে বিনিময় দান করুন এবং আমার জন্য এর চেয়ে উত্তম ব্যবস্থা করে দিন।’

পিতামাতার মর্যাদা আল্লাহ তাআলার কাছে অত্যন্ত মহান। তাই তিনি তাঁদের প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং বিশেষভাবে মায়ের অধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। পিতামাতার প্রতি সদাচরণ হলো—তাঁদের প্রতি সদয় হওয়া, সহানুভূতি প্রদর্শন করা...
১৬ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজায় ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ...
৭ ঘণ্টা আগে
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১০ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার ভোরে যখন কুয়াশাভেজা প্রকৃতিতে ফজরের আজান ধ্বনিত হচ্ছিল, এর ঠিক কিছু পরেই চিরদিনের জন্য চোখ বুজলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খালেদা জিয়া। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন সফল প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর স্বার্থরক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে...
১১ ঘণ্টা আগে