Ajker Patrika

বাগেরহাটে নারীরা তারাবিহর নামাজ আদায় করেন যে মসজিদে

বাগেরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৯: ৩৩
বাগেরহাটে নারীরা তারাবিহর নামাজ আদায় করেন যে মসজিদে

পুরুষের পাশাপাশি নারীদের মসজিদে নামাজ পড়ার বিধান থাকলেও, নানা কারণে বাংলাদেশের সেই প্রচলন নেই। তবে বাগেরহাট শহরের সোনাতলা এলাকার আওলিয়াবাদ জামে মসজিদে নিয়মিত তারাবিহর নামাজ আদায় করছেন নারীরা। মসজিদে এসে নামাজ আদায়ের ফলে নারীরা আরও বেশি আমলদার হতে পারছেন বলে দাবি মসজিদ কর্তৃপক্ষের।

সরেজমিন দেখা যায়, খুলনা বাগেরহাট মহাসড়কের পাশে সোনাতলা মোড় এলাকায় তিনতলাবিশিষ্ট এই মসজিদের দোতলায় নামাজ আদায় করেন নারীরা। আলাদা সিঁড়ি দিয়ে নামাজের জন্য ওঠেন তাঁরা। পুরুষেরা যে ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করেন, নারীরাও একই ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করেন। পাঁচ বছর ধরে নারীরা এই মসজিদে কোনো প্রকার বিতর্ক ও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শরিয়ত সম্মতভাবে তারাবিহর নামাজ আদায় করছেন। ভবিষ্যতে জুমা ও ওয়াক্তের নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ কারি মো. মোবারক হোসেন।

মসজিদের ইমাম মো. মোবারক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মসজিদের মুসল্লিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পাঁচ বছর আগে মসজিদে নারীদের নামাজের ব্যবস্থা করি। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত নিয়মিত নারীরা তারাবিহ নামাজ পড়ছেন।’ 

ইমাম মোবারক হোসেন আরও বলেন, ‘দেশের অর্ধেক মানুষ নারী। কিন্তু নারীদের মসজিদে আসার সুযোগ না থাকায় তারা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান থেকে দূরে রয়েছে। মসজিদে আসলে নারীরা ইসলাম সম্পর্কে আরও বেশি জানতে পারবে। কারণ, মসজিদে জুমার খুতবাসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এ ছাড়া নবীজির আমলেও মসজিদে নারীরা নামাজ পড়তেন। মসজিদে নারীদের নামাজ পড়ায় শরিয়তের কোনো বাধা নেই। অন্য মসজিদেও এভাবে নারীদের মসজিদে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত।’

বাগেরহাটে নারীরা তারাবিহর নামাজ আদায় করতে পারেন এ মসজিদেএদিকে আওলিয়াবাদ জামে মসজিদের বিষয়টি দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে পার্শ্ববর্তী দশানী এলাকার বায়তুন নাজাত জামে মসজিদেও তিন বছর ধরে নারীরা নিয়মিত তারাবিহর নামাজ আদায় করছেন। সেই সঙ্গে নারীদের জুমার নামাজ আদায়েরও ব্যবস্থা রয়েছে। পথচারী নারীদের জন্য ওয়াক্তের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে এই মসজিদে।

বায়তুন নাজাত জামে মসজিদে মায়ের সঙ্গে তারাবিহ পড়তে আসা ১১ বছর বয়সী ফাতেমা তুজজোহরা ইমা আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘মায়ের সঙ্গে প্রথমবারের মতো মসজিদে এসে তারাবিহ পড়তে পেরে আমাদের খুব ভালো লাগছে। মসজিদের দোতলায় আমরা নামাজ পড়ি। আলাদা সিঁড়িতে ওঠানামার ব্যবস্থা আছে, কোনো সমস্যা হয় না।’

নাবিলা তাবাচ্ছুম নামের এক নারী বলেন, ‘মসজিদের নারীদের তারাবিহ করার ব্যবস্থাটা খুবই ভালো হয়েছে। তবে শহরের মসজিদগুলোতে যাতে নারীরা ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে পারে, সেই ধরনের ব্যবস্থা রাখলে খুব ভালো হতো।’

বায়তুন নাজাত জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. বশির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহান আল্লাহ তাআলা ইবাদতের জন্য নারী ও পুরুষকে সমান অধিকার দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। যে যেমন ভালো কাজ করবেন, আল্লাহ তেমন প্রতিদান দেবেন। মক্কা-মদিনা ও বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে নারীরা মসজিদে নামাজ আদায় করেন। আমাদের দেশেও এটা শুরু হয়েছে। আমাদের এই মসজিদে শতাধিক নারী তারাবিহ ও জুমার নামাজ আদায় করেন।’

নারীদের আরও বেশি বেশি মসজিদে আসা উচিত মন্তব্য করে বশির উদ্দিন আরও বলেন, ‘পুরুষেরা জুমা ও ওয়াক্তের নামাজে মসজিদে আসেন। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও ইসলামিক আলোচনায় হরহামেশাই যায়। যেখানে তাঁরা ইসলামিক আলোচনা শুনতে পারেন। কিন্তু নারীদের এই সুযোগ খুব সীমিত। তাই নারীদের মসজিদে আসা উচিত বলে মনে করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মক্কা-মদিনায় এক মাসে প্রায় ৭ কোটি মুসল্লির সমাগম

ইসলাম ডেস্ক 
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র কাবা। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।

কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।

সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের সতর্কবার্তা

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।

পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।

পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৮ মিনিট
ফজর০৫: ১৯ মিনিট০৬: ৩৯ মিনিট
জোহর১২: ০১ মিনিট০৩: ৪৪ মিনিট
আসর০৩: ৪৫ মিনিট০৫: ২০ মিনিট
মাগরিব০৫: ২২ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৫: ১৮ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় ৫০০ কোরআনের হাফেজকে রাজকীয় সংবর্ধনা

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্‌যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।

আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।

তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।

রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।

অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।

আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।

সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত