ইজাজুল হক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় গড়ে উঠেছে নান্দনিক স্থাপত্য জেবুন নেসা মসজিদ। শিল্প এলাকা আশুলিয়ার জামগড়ায় নির্মিত এই স্থাপনায় পরিবেশবান্ধব নকশা গুরুত্ব পেয়েছে। ঢাকার আজিমপুরের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদ, দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদ কিংবা লক্ষ্মীপুরের রামগতির আস-সালাম জামে মসজিদের পর প্রাকৃতিক নকশায় নির্মিত মসজিদের ধারায় এটি নতুন সংযোজন।
মসজিদটি এমন এক সময়ে নির্মিত হলো, যখন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবে বাংলাদেশের আবহাওয়া দিন দিন খারাপ হচ্ছে, তাপমাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলছে এবং প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট এসব সংকট থেকে মুক্তির একটিই পথ—প্রকৃতি বাঁচাতে হবে এবং আমাদের যান্ত্রিক জীবন যতটুকু সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদানে সাজাতে হবে; এমন সব উপাদান ত্যাগ করতে হবে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের এই দেশে মানুষকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ প্রয়োজন। কারণ ইসলাম এই বিষয়কে সর্বতোভাবে সমর্থন করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘জল-স্থলে মানুষের কৃতকর্মের কারণেই বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।’ (সুরা রুম: ৪১) তাফসিরকারগণ বলেন, এখানে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের পেছনে যে মানুষের হাত রয়েছে, সে কথাও অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নকশা থেকে শুরু করে সবকিছুতে পরিবেশ রক্ষার স্পষ্ট বার্তা থাকা উচিত।
ঢাকার স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান স্টুডিও মরফোজেনেসিসের অন্যতম পরিচালক সাইকা ইকবাল মেঘনা জেবুন নেসা মসজিদের প্রধান স্থপতি। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্থাপত্যে পড়াশোনা করেছেন এবং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায়ও যুক্ত রয়েছেন। মসজিদের জমিদাতা নিজের প্রয়াত মা জেবুন নেসার নামেই এর নামকরণ করেন।
একটি ছায়াঘেরা পুকুরের পাড়ে গোলাপি ইটের বুননে দাঁড়িয়ে থাকা অভিনব নকশার এই মসজিদ যেকোনো দর্শকেরই দৃষ্টি কাড়ে। মসজিদের ভেতর-বাইরের পরিবেশ এতই চমৎকার ও প্রাকৃতিক যে এই এলাকার শ্রমিক, পথচারী ও মুসল্লিদের দুদণ্ড প্রশান্তির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
নকশাকারদের মতে, মসজিদটি সমতল থেকে কিছুটা উঁচুতে অবস্থিত। বৃষ্টির মৌসুমে ভারী বর্ষণ হলে যেন তা উপচে পড়ে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ না করে, সে জন্যই প্রচলিত এই শৈলী গ্রহণ করা হয়েছে। আশপাশের ভারী শিল্প এলাকার কঠোরতা থেকে কোমলতার দিকে আনতেই মসজিদের গায়ে গোলাপি রং ব্যবহার করা হয়েছে। এই ধুলোময় গোলাপি আভা ঐতিহাসিক মোগল, সুলতানি ও ইন্দো-সারাসেনিক স্থাপত্যে ব্যবহৃত লাল-গোলাপি মাটির প্রতিনিধিত্ব করে।
সামনের আলোহীন আবদ্ধ মিহরাবের প্রচলিত নকশার বিপরীতে এই মসজিদে রয়েছে ব্যতিক্রমী এক খোলা মিহরাব। সামনে রয়েছে স্বচ্ছ পানির কৃত্রিম জলাধার। এরপর রয়েছে বড় প্রাকৃতিক পুকুর। প্রশস্ত খোলা খিলান দিয়ে মুসল্লিরা সামনের জলাশয় ও পুকুরটি স্পষ্ট দেখতে পান। অবশ্য বাতাসের সরাসরি ক্ষতিকর প্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে জলাশয়ের পর পুকুরপাড়ে মসজিদের সামনের খিলানের সমপরিমাণ কাচ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
জেবুন নেসা মসজিদ যেন মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার এক নিরাপদ আস্তানা। স্থপতিদের ভাষায় এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্রেদিং প্যাভিলিয়ন’। মসজিদের চারপাশের দেয়ালগুলোতে রয়েছে অসংখ্য আয়তাকার ছিদ্র, যা দিয়ে আলো-বাতাস প্রবাহিত হয়। মসজিদের স্থপতি সাইকা ইকবাল মেঘনা বলেন, ‘এসব ছিদ্র প্রাচীন ইসলামি স্থাপত্যের আদলে মসজিদের ভেতরে আলোর মায়াজাল বোনে। ছোট ছোট ছিদ্রের মধ্য দিয়ে পরিশোধিত আলোর মিছিল যেন মসজিদের ভেতরে ঝাড়বাতির আবহ তৈরি করে।’
প্রাকৃতিক বায়ু চলাচলের জন্য মসজিদের সামনে-পেছনে আধখোলা কাঠামো রয়েছে, যা একই সঙ্গে সূর্যের সরাসরি আলো ও বৃষ্টি থেকে নিস্তার দেয়। ভেতরের কাঠামো গোলাকার হয়ে ওপরে উঠে বিশালাকার অগভীর গম্বুজ তৈরি করেছে। মাঝখানে কোনো স্তম্ভ নেই। গম্বুজের বাইরের চারপাশে কিছুটা ফাঁকা রেখে গড়ে ওঠা হালকা বাঁকানো ছিদ্রযুক্ত চারদেয়াল মসজিদের নকশাকে নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব করে তুলেছে। মসজিদের সামনে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ।
পূর্ব পাশে বাইরে একটি ইস্পাতের সিঁড়ি রয়েছে। সিঁড়ির ওপরে অর্ধচাঁদ আকারের একটি ফ্লোর তৈরি করা হয়েছে, যেখান থেকে সরাসরি নিচতলার ইমাম ও মুসল্লিদের স্থান দেখা যায়। মেজ্জানাইন নামের এই স্থান নারীদের নামাজের জন্য বরাদ্দ। স্থপতি সাইকা ইকবাল মেঘনা বলেন, ‘একজন ধর্মপ্রাণ নারীর নামে নির্মিত এই মসজিদে নারীদেরও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একজন নারী হিসেবে এই মসজিদের নকশা করতে পেরে আমি গর্বিত।’
লাল সিমেন্ট ও ভাঙা ইটের টুকরোয় তৈরি হয়েছে খানিক প্রসারিত বাইরের মেঝেটি। সেখানে এক পাশে রয়েছে স্বচ্ছতা ও পবিত্রতার প্রতীক ফিরোজা মোজাইকে তৈরি অজুখানা। কিছুটা নিচু আলাদা ছাদে নির্মিত হয়েছে অজুখানাটি, যেখান থেকে পাশের বড় পুকুরটি স্পষ্ট দেখা যায়। পূর্ব পাশের মাটির উঠোনে গজাচ্ছে সবুজ ঘাস। সব মিলিয়ে জেবুন নেসা মসজিদের নকশা দুর্দান্ত বলা যায়। এ যেন প্রকৃতির মাঝে বসে স্রষ্টার কৃতজ্ঞতায় নুয়ে পড়ার সেরা আয়োজন।
তথ্যঋণ: ডিজিন ডটকম

রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় গড়ে উঠেছে নান্দনিক স্থাপত্য জেবুন নেসা মসজিদ। শিল্প এলাকা আশুলিয়ার জামগড়ায় নির্মিত এই স্থাপনায় পরিবেশবান্ধব নকশা গুরুত্ব পেয়েছে। ঢাকার আজিমপুরের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদ, দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদ কিংবা লক্ষ্মীপুরের রামগতির আস-সালাম জামে মসজিদের পর প্রাকৃতিক নকশায় নির্মিত মসজিদের ধারায় এটি নতুন সংযোজন।
মসজিদটি এমন এক সময়ে নির্মিত হলো, যখন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবে বাংলাদেশের আবহাওয়া দিন দিন খারাপ হচ্ছে, তাপমাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলছে এবং প্রচণ্ড দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট এসব সংকট থেকে মুক্তির একটিই পথ—প্রকৃতি বাঁচাতে হবে এবং আমাদের যান্ত্রিক জীবন যতটুকু সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদানে সাজাতে হবে; এমন সব উপাদান ত্যাগ করতে হবে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের এই দেশে মানুষকে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ প্রয়োজন। কারণ ইসলাম এই বিষয়কে সর্বতোভাবে সমর্থন করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘জল-স্থলে মানুষের কৃতকর্মের কারণেই বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।’ (সুরা রুম: ৪১) তাফসিরকারগণ বলেন, এখানে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের পেছনে যে মানুষের হাত রয়েছে, সে কথাও অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নকশা থেকে শুরু করে সবকিছুতে পরিবেশ রক্ষার স্পষ্ট বার্তা থাকা উচিত।
ঢাকার স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান স্টুডিও মরফোজেনেসিসের অন্যতম পরিচালক সাইকা ইকবাল মেঘনা জেবুন নেসা মসজিদের প্রধান স্থপতি। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্থাপত্যে পড়াশোনা করেছেন এবং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায়ও যুক্ত রয়েছেন। মসজিদের জমিদাতা নিজের প্রয়াত মা জেবুন নেসার নামেই এর নামকরণ করেন।
একটি ছায়াঘেরা পুকুরের পাড়ে গোলাপি ইটের বুননে দাঁড়িয়ে থাকা অভিনব নকশার এই মসজিদ যেকোনো দর্শকেরই দৃষ্টি কাড়ে। মসজিদের ভেতর-বাইরের পরিবেশ এতই চমৎকার ও প্রাকৃতিক যে এই এলাকার শ্রমিক, পথচারী ও মুসল্লিদের দুদণ্ড প্রশান্তির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
নকশাকারদের মতে, মসজিদটি সমতল থেকে কিছুটা উঁচুতে অবস্থিত। বৃষ্টির মৌসুমে ভারী বর্ষণ হলে যেন তা উপচে পড়ে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ না করে, সে জন্যই প্রচলিত এই শৈলী গ্রহণ করা হয়েছে। আশপাশের ভারী শিল্প এলাকার কঠোরতা থেকে কোমলতার দিকে আনতেই মসজিদের গায়ে গোলাপি রং ব্যবহার করা হয়েছে। এই ধুলোময় গোলাপি আভা ঐতিহাসিক মোগল, সুলতানি ও ইন্দো-সারাসেনিক স্থাপত্যে ব্যবহৃত লাল-গোলাপি মাটির প্রতিনিধিত্ব করে।
সামনের আলোহীন আবদ্ধ মিহরাবের প্রচলিত নকশার বিপরীতে এই মসজিদে রয়েছে ব্যতিক্রমী এক খোলা মিহরাব। সামনে রয়েছে স্বচ্ছ পানির কৃত্রিম জলাধার। এরপর রয়েছে বড় প্রাকৃতিক পুকুর। প্রশস্ত খোলা খিলান দিয়ে মুসল্লিরা সামনের জলাশয় ও পুকুরটি স্পষ্ট দেখতে পান। অবশ্য বাতাসের সরাসরি ক্ষতিকর প্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে জলাশয়ের পর পুকুরপাড়ে মসজিদের সামনের খিলানের সমপরিমাণ কাচ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
জেবুন নেসা মসজিদ যেন মুক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়ার এক নিরাপদ আস্তানা। স্থপতিদের ভাষায় এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্রেদিং প্যাভিলিয়ন’। মসজিদের চারপাশের দেয়ালগুলোতে রয়েছে অসংখ্য আয়তাকার ছিদ্র, যা দিয়ে আলো-বাতাস প্রবাহিত হয়। মসজিদের স্থপতি সাইকা ইকবাল মেঘনা বলেন, ‘এসব ছিদ্র প্রাচীন ইসলামি স্থাপত্যের আদলে মসজিদের ভেতরে আলোর মায়াজাল বোনে। ছোট ছোট ছিদ্রের মধ্য দিয়ে পরিশোধিত আলোর মিছিল যেন মসজিদের ভেতরে ঝাড়বাতির আবহ তৈরি করে।’
প্রাকৃতিক বায়ু চলাচলের জন্য মসজিদের সামনে-পেছনে আধখোলা কাঠামো রয়েছে, যা একই সঙ্গে সূর্যের সরাসরি আলো ও বৃষ্টি থেকে নিস্তার দেয়। ভেতরের কাঠামো গোলাকার হয়ে ওপরে উঠে বিশালাকার অগভীর গম্বুজ তৈরি করেছে। মাঝখানে কোনো স্তম্ভ নেই। গম্বুজের বাইরের চারপাশে কিছুটা ফাঁকা রেখে গড়ে ওঠা হালকা বাঁকানো ছিদ্রযুক্ত চারদেয়াল মসজিদের নকশাকে নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব করে তুলেছে। মসজিদের সামনে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ।
পূর্ব পাশে বাইরে একটি ইস্পাতের সিঁড়ি রয়েছে। সিঁড়ির ওপরে অর্ধচাঁদ আকারের একটি ফ্লোর তৈরি করা হয়েছে, যেখান থেকে সরাসরি নিচতলার ইমাম ও মুসল্লিদের স্থান দেখা যায়। মেজ্জানাইন নামের এই স্থান নারীদের নামাজের জন্য বরাদ্দ। স্থপতি সাইকা ইকবাল মেঘনা বলেন, ‘একজন ধর্মপ্রাণ নারীর নামে নির্মিত এই মসজিদে নারীদেরও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একজন নারী হিসেবে এই মসজিদের নকশা করতে পেরে আমি গর্বিত।’
লাল সিমেন্ট ও ভাঙা ইটের টুকরোয় তৈরি হয়েছে খানিক প্রসারিত বাইরের মেঝেটি। সেখানে এক পাশে রয়েছে স্বচ্ছতা ও পবিত্রতার প্রতীক ফিরোজা মোজাইকে তৈরি অজুখানা। কিছুটা নিচু আলাদা ছাদে নির্মিত হয়েছে অজুখানাটি, যেখান থেকে পাশের বড় পুকুরটি স্পষ্ট দেখা যায়। পূর্ব পাশের মাটির উঠোনে গজাচ্ছে সবুজ ঘাস। সব মিলিয়ে জেবুন নেসা মসজিদের নকশা দুর্দান্ত বলা যায়। এ যেন প্রকৃতির মাঝে বসে স্রষ্টার কৃতজ্ঞতায় নুয়ে পড়ার সেরা আয়োজন।
তথ্যঋণ: ডিজিন ডটকম

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে। নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিসেও বারবার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াক্তমতো নামাজ আদায়ের ওপর। এমনকি আল্লাহর কাছেও এটি অত্যন্ত প্রিয় একটি আমল। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন আমল আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে সালাত আদায় করা।’ আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার।’ আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, ‘এরপর কোনটি?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহর পথে লড়াই করা’। (সহিহ্ বুখারি: ৫০২)
নামাজ পড়া সত্ত্বেও তিন শ্রেণির নামাজির জন্য পরকালে রয়েছে ভয়াবহ শাস্তির হুঁশিয়ারি। এই তিন শ্রেণি হলো: ১. যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। ২. যারা নামাজে চরম অমনোযোগী। ৩. যারা নামাজে চুরি করে, অর্থাৎ রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে না।
পবিত্র কোরআনে প্রথম দুই শ্রেণির কথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ‘অতএব সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী এবং যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির নামাজি তথা নামাজ চোরদের সম্পর্কে আবু কাতাদাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘চোরদের মধ্যে সবচেয়ে বড় চোর হলো ওই ব্যক্তি, যে নামাজে চুরি করে।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, নামাজে চুরি কীভাবে হয়?’ জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, ‘নামাজে চুরি হলো রুকু-সিজদা পূর্ণ না করা (ঠিকমতো আদায় না করা)।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্: ৮৮৫)

রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় গড়ে উঠেছে নান্দনিক স্থাপত্য জেবুন নেসা মসজিদ। শিল্প এলাকা আশুলিয়ার জামগড়ায় নির্মিত এই স্থাপনায় পরিবেশবান্ধব নকশা গুরুত্ব পেয়েছে। ঢাকার আজিমপুরের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদ, দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদ কিংবা লক্ষ্মীপুরের রামগতির আস-সালাম জামে মসজিদের পর প্রাক
০৩ মে ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৩ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৬ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৭ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৯ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় গড়ে উঠেছে নান্দনিক স্থাপত্য জেবুন নেসা মসজিদ। শিল্প এলাকা আশুলিয়ার জামগড়ায় নির্মিত এই স্থাপনায় পরিবেশবান্ধব নকশা গুরুত্ব পেয়েছে। ঢাকার আজিমপুরের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদ, দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদ কিংবা লক্ষ্মীপুরের রামগতির আস-সালাম জামে মসজিদের পর প্রাক
০৩ মে ২০২৪
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়, তাদের সঙ্গে তোমরাও অবনত হও।’ (সুরা বাকারা: ৪৩)
নামাজের প্রতি মুমিনের যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের (আসর) ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)
প্রতিদিন পাঁচবার আজানের মাধ্যমে মুসল্লিদের আল্লাহর ঘরের দিকে ডাকা হয়। আজানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং এর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা প্রতিটি মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য তা নির্দিষ্ট সময়ে বা ওয়াক্তমতো আদায় করা অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)
এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি, নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়া শর্ত, আজান হওয়া নয়। আজানের মূল উদ্দেশ্য হলো জামাতের সঙ্গে ফরজ নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো। যদি কোনো কারণে আজান হতে দেরি হয়, কিন্তু নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়, তবে আজানের আগেই নামাজ আদায় করে নেওয়া বৈধ এবং নামাজ হয়ে যাবে। মূলত, একাকী নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান হওয়া জরুরি নয়, বরং ওয়াক্ত শুরু হওয়াটাই আসল শর্ত। তবে ওয়াক্ত হওয়ার আগে নামাজ আদায় করলে তা কবুল হবে না।

রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় গড়ে উঠেছে নান্দনিক স্থাপত্য জেবুন নেসা মসজিদ। শিল্প এলাকা আশুলিয়ার জামগড়ায় নির্মিত এই স্থাপনায় পরিবেশবান্ধব নকশা গুরুত্ব পেয়েছে। ঢাকার আজিমপুরের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদ, দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদ কিংবা লক্ষ্মীপুরের রামগতির আস-সালাম জামে মসজিদের পর প্রাক
০৩ মে ২০২৪
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৮ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০২ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪১ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৭ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় গড়ে উঠেছে নান্দনিক স্থাপত্য জেবুন নেসা মসজিদ। শিল্প এলাকা আশুলিয়ার জামগড়ায় নির্মিত এই স্থাপনায় পরিবেশবান্ধব নকশা গুরুত্ব পেয়েছে। ঢাকার আজিমপুরের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদ, দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদ কিংবা লক্ষ্মীপুরের রামগতির আস-সালাম জামে মসজিদের পর প্রাক
০৩ মে ২০২৪
নামাজ বা সালাত অন্যতম প্রধান ফরজ ইবাদত। পবিত্র কোরআনের ৮২টি স্থানে নামাজের কথা উল্লেখ করে এর অপরিসীম গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা সালাত (নামাজ) পূর্ণ করবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে। অতঃপর যখন নিশ্চিন্ত হবে, তখন সালাত (পূর্বের নিয়মে) কায়েম করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
ইসলামি শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি মুসলমানের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। এটি ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও এবং যারা নামাজে অবনত হয়...
১ দিন আগে