শাব্বির আহমদ
মহররম মাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় দিন আশুরা। ইসলামে এ দিনের ইবাদতের তাৎপর্য অনেক। বছরের বরকতময় এই দিন কোরআন তিলাওয়াত, তওবা-ইস্তিগফার, জিকির-আসকার, নফল নামাজ, তসবিহ-তাহলিল, দরুদ পাঠ ও দান-সদকার মাধ্যমে অতিবাহিত করা উত্তম।
এসবের পাশাপাশি আশুরার দিনের রোজা মুস্তাহাব বা উত্তম। এই রোজার অনন্য ফজিলত রয়েছে। পূর্বের অনেক নবী-রাসুলের যুগেও আশুরার রোজার আমল ছিল। মক্কায় থাকাকালীন এ দিন নবী (সা.) রোজা রাখতেন। হিজরতের পর মদিনায় এসে তিনি দেখতে পেলেন, ইহুদিরা এই দিনে রোজা রাখে। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারলেন, এ দিন মুসা নবী অত্যাচারী ফেরাউনের কাছ থেকে রেহাই পাওয়ার কারণে ইহুদিরা রোজা রাখে। তখন তিনি সাহাবিদের বললেন, ‘মুসা (আ.)-এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ইহুদিদের চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ ও অগ্রগণ্য। সুতরাং তোমরাও আশুরার দিন রোজা রাখো।’
হিজরতের দ্বিতীয় বছর রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগপর্যন্ত আশুরার রোজা ছিল বাধ্যতামূলক। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর আশুরার রোজা মুস্তাহাব হয়ে যায়। তবে এখনো মর্যাদার দিক থেকে রমজানের রোজার পরেই আশুরার রোজার অবস্থান। এই রোজার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহ তাআলার কাছে আশা রাখি, যে ব্যক্তি মহররমের ১০ তারিখে রোজা রাখবে, তাঁর বিগত এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬২)
অনন্য ফজিলতের কারণে মদিনার মায়েরা তাঁদের শিশুদেরও আশুরার দিন রোজা রাখাতেন। রুবাইয়িউ (রা.) বলেন, ‘আমরা ওই দিন রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুদের রোজা রাখাতাম। আমরা তাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরি করে দিতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে, তাকে ওই খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৯৬০)
তবে আশুরার দিন রোজা রাখার ক্ষেত্রে নবী করিম (সা.)-এর একটি বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। রাসুল (সা.) যখন আশুরার রোজা রাখছিলেন এবং অন্যদের রোজা রাখতে বলেছিলেন তখন সাহাবিরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এ দিনকে তো ইহুদি-খ্রিষ্টানরা সম্মান করে!’ তখন নবীজি (সা.) বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আগামী বছর আমরা নবম তারিখেও রোজা রাখব।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৫৫৬)। নবীজি (সা.)-এর সেই নির্দেশনা অনুযায়ী এর পর থেকে সাহাবিরা আশুরা উপলক্ষে ১০ মহররমের পাশাপাশি ৯ বা ১১ তারিখও রোজা রাখতেন। ইহুদিরা রোজা রাখত একটি, সাহাবিরা রাখতেন দুটি। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলতেন, ‘তোমরা ৯ তারিখ এবং ১০ তারিখ রোজা রাখো, ইহুদিদের বিপরীত করো।’ (জামে তিরমিজি: ৭৫৫)
মহররম মাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় দিন আশুরা। ইসলামে এ দিনের ইবাদতের তাৎপর্য অনেক। বছরের বরকতময় এই দিন কোরআন তিলাওয়াত, তওবা-ইস্তিগফার, জিকির-আসকার, নফল নামাজ, তসবিহ-তাহলিল, দরুদ পাঠ ও দান-সদকার মাধ্যমে অতিবাহিত করা উত্তম।
এসবের পাশাপাশি আশুরার দিনের রোজা মুস্তাহাব বা উত্তম। এই রোজার অনন্য ফজিলত রয়েছে। পূর্বের অনেক নবী-রাসুলের যুগেও আশুরার রোজার আমল ছিল। মক্কায় থাকাকালীন এ দিন নবী (সা.) রোজা রাখতেন। হিজরতের পর মদিনায় এসে তিনি দেখতে পেলেন, ইহুদিরা এই দিনে রোজা রাখে। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারলেন, এ দিন মুসা নবী অত্যাচারী ফেরাউনের কাছ থেকে রেহাই পাওয়ার কারণে ইহুদিরা রোজা রাখে। তখন তিনি সাহাবিদের বললেন, ‘মুসা (আ.)-এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ইহুদিদের চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ ও অগ্রগণ্য। সুতরাং তোমরাও আশুরার দিন রোজা রাখো।’
হিজরতের দ্বিতীয় বছর রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগপর্যন্ত আশুরার রোজা ছিল বাধ্যতামূলক। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর আশুরার রোজা মুস্তাহাব হয়ে যায়। তবে এখনো মর্যাদার দিক থেকে রমজানের রোজার পরেই আশুরার রোজার অবস্থান। এই রোজার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহ তাআলার কাছে আশা রাখি, যে ব্যক্তি মহররমের ১০ তারিখে রোজা রাখবে, তাঁর বিগত এক বছরের (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬২)
অনন্য ফজিলতের কারণে মদিনার মায়েরা তাঁদের শিশুদেরও আশুরার দিন রোজা রাখাতেন। রুবাইয়িউ (রা.) বলেন, ‘আমরা ওই দিন রোজা রাখতাম এবং আমাদের শিশুদের রোজা রাখাতাম। আমরা তাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরি করে দিতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে, তাকে ওই খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৯৬০)
তবে আশুরার দিন রোজা রাখার ক্ষেত্রে নবী করিম (সা.)-এর একটি বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। রাসুল (সা.) যখন আশুরার রোজা রাখছিলেন এবং অন্যদের রোজা রাখতে বলেছিলেন তখন সাহাবিরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এ দিনকে তো ইহুদি-খ্রিষ্টানরা সম্মান করে!’ তখন নবীজি (সা.) বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আগামী বছর আমরা নবম তারিখেও রোজা রাখব।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৫৫৬)। নবীজি (সা.)-এর সেই নির্দেশনা অনুযায়ী এর পর থেকে সাহাবিরা আশুরা উপলক্ষে ১০ মহররমের পাশাপাশি ৯ বা ১১ তারিখও রোজা রাখতেন। ইহুদিরা রোজা রাখত একটি, সাহাবিরা রাখতেন দুটি। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলতেন, ‘তোমরা ৯ তারিখ এবং ১০ তারিখ রোজা রাখো, ইহুদিদের বিপরীত করো।’ (জামে তিরমিজি: ৭৫৫)
চল্লিশ বছর বয়সে যখন রাসুল (সা.)-এর ওপর নবুওয়াতের দায়িত্ব অর্পণ হয়। ফাতিমা (রা.) তখন মাত্র পাঁচ বছরের শিশু। কিন্তু সেই শিশুকালেই তিনি দেখেছেন—রাসুল (সা.)-এর ওপর কুরাইশ নেতাদের অমানবিক অত্যাচার। পিঠে উটের নাড়িভুঁড়ি ফেলে কুরাইশরা যখন রাসুল (সা.)-কে অপমান আর অত্যাচার করছিল, তখন তিনিই ছুটে গিয়ে তা...
১৩ ঘণ্টা আগেআল্লাহর ভয় বা তাকওয়া জীবনের একটি মূল স্তম্ভ। মুসলমানদের জীবনে আল্লাহর প্রতি ভয় এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভের আকাঙ্ক্ষাই তাদের আমল, চরিত্র এবং নৈতিকতার কেন্দ্রবিন্দু। কোরআন ও হাদিসে আল্লাহকে ভয় করার গুরুত্ব এবং প্রকৃত পদ্ধতি স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে...
১৩ ঘণ্টা আগেবৃষ্টি পৃথিবীর বিশুদ্ধ পানির অন্যতম একটি উৎস। আকাশ থেকে বর্ষিত বৃষ্টির পানি মৃত জমিন উর্বর করে। সুজলা সুফলা করে তোলে খেত-খামার। বিশুদ্ধ পানি শূন্য এলাকায় জনজীবনে সুপেয় পানির চাহিদা পূরণ করে।
১৩ ঘণ্টা আগেবৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কাজের দিন। জুমাবারের পূর্ববর্তী দিন হওয়ায় এটি জুমার দিনকে প্রস্তুত করে তোলে। এই দিন রোজা রাখা, নেক আমল করা এবং ইবাদত করার ফজিলত অপরিসীম। কেননা, নফল ইবাদত অন্তরকে পরিশুদ্ধ ও আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে।
২১ ঘণ্টা আগে