যাকারিয়া মাহমুদ

শাওয়াল আরবি ক্যালেন্ডারের দশম মাস। এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে এ মাস শুরু হতেই মোমিনের হৃদয়ে বয়ে যায় সুখের ফল্গুধারা। রমজানের ক্লান্তি বিদূরিত হয়। মোমিন খুঁজে পায় উৎসবমুখর এক নয়া জীবন।
শাওয়াল মাস নফল ইবাদতের মোক্ষম সময়। কারণ, রমজানে তাকওয়ার যে বৃক্ষের শাখা-প্রশাখা বিস্তার হয় অন্তরে, শাওয়ালে তা থাকে সতেজ, সজীব। ফলে এ মাসের নফল ইবাদতে ইখলাসের গভীরতা থাকে অন্য মাসের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া রমজানে অর্জিত তাকওয়া শাণিত করে এ মাসের নফল ইবাদত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এবং যখন তুমি (ফরজ ইবাদত থেকে) অবসর হবে। (নফল ইবাদতের মাধ্যমে) তোমার রবের দিকে মনোনিবেশ করো।’ (সুরা ইনশিরাহ: ০৮)
শাওয়ালের ছয় রোজা
শাওয়ালের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো—ছয় রোজা। নফল নামাজ যেমন ফরজ নামাজের ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণ। রমজানের ফরজ রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণও শাওয়ালের ছয় রোজা। রোজা ছয়টি রাখতে পারা বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। তদুপরি রমজানের রোজা কবুল হওয়ারও আলামত বিশেষ। রাসুল (সা.) নিজে এই ছয় রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদেরও নির্দেশ দিতেন। আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে রমজানের রোজা পূর্ণ করে, অতঃপর শাওয়ালের ছয় রোজা রাখে—সে যেন সারা বছর রোজা রাখল।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬৪৮)
সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের রোজা দশ মাসের রোজার সমান। আর শাওয়ালের ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং এই হলো পূর্ণ এক বছরের রোজা।’ (সুনানে নাসায়ি: ২/১৬২)
আইয়ামে বিজের রোজা
শাওয়াল মাসে নফল ইবাদত হিসেবে আইয়ামে বিজের রোজাও রাখা যেতে পারে। আইয়ামে বিজ বলা হয় চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে। নবীজি (সা.) প্রতি মাসে এই তিন দিন রোজা রাখতেন। সাহাবিদেরও রাখার উপদেশ দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.)-কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হে আবদুল্লাহ, তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা রাখবে। কেননা নেক আমলের পরিবর্তে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকি। এভাবে সারা বছরের রোজা (রাখার সওয়াব) হয়ে যায়।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬১৯)
রমজানের কাজা রোজা
রমজানের রোজা প্রাপ্তবয়স্ক নরনারীর ওপর ফরজ। কেউ ইচ্ছাকৃত বা শরিয়ত-সমর্থিত কোনো কারণ ছাড়া রোজা ভাঙলে, তার ওপর কাফফারা আবশ্যক। এ বিধান স্বতঃসিদ্ধ। তবে কেউ শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতায় রোজা ভাঙলে, কাজা আদায় করলেই যথেষ্ট হবে। শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতা হলো, নারীদের ঋতুস্রাব ও প্রসব-পরবর্তী স্রাবকাল, সফর, রোজার কারণে প্রাণঘাতী রোগের আশঙ্কা, গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতির ভয়, বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা ইত্যাদি।
রমজানের কাজা রোজা যেকোনো মাসেই আদায় করা যায়। তবে যথাসাধ্য দ্রুত অর্থাৎ শাওয়ালে আদায় করে নেওয়াই উত্তম। কেননা, কাজা ইবাদত আদায়ে যত দেরি হয়, আলস্য ততই বাড়ে। অলসতা এক নিন্দিত অভ্যাস। আল্লাহ তাআলা মুনাফেকের আলামত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘এবং তারা নামাজে আসে অলস অবস্থায়’ (সুরা তাওবা: ৫৪)
রমজানের রোজা যেহেতু নামাজের মতোই ফরজ বিধান, তাই এ ক্ষেত্রেও অলসতা কাম্য নয়।
হজের প্রস্তুতি
শাওয়াল হজের মাসসমূহের একটি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘হজের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস রয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আলেমগণ একমত, হজের মাস তিনটি। এর মধ্যে প্রথম মাস হলো শাওয়াল। তাই বলা যায়, শাওয়াল হজের প্রস্তুতি গ্রহণের মাস। ইতিহাসের পাতায় চোখ ফেরালেও আমরা দেখতে পাই, নবীজি (সা.) দশম হিজরির শাওয়াল মাসেই বিদায় হজের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এবং পরবর্তী মাস জিলকদে লক্ষাধিক সাহাবি নিয়ে মক্কার দিকে রওনা হয়েছেন। নবীজি (সা.)-এর ইন্তেকাল পরবর্তী যুগেও মুসলিমগণ এই ধারা জারি রেখেছেন।
বিয়ে
আমাদের সমাজে কেউ কেউ শাওয়াল মাসে বিয়ে করা অশুভ মনে করেন। জাহিলি যুগেও এমন একটি প্রথা ছিল। শুভ-অশুভ দিন দেখে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা ইসলামি বিশ্বাসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এই রীতি সম্পূর্ণ অজ্ঞতাপূর্ণ বিশ্বাস। এই ভ্রান্তি নিরসনের জন্য রাসুল (সা.) হজরত আয়েশা (রা.)-কে এ মাসে বিয়ে করেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) আমাকে শাওয়াল মাসেই বিয়ে করেছেন, শাওয়াল মাসেই বাসর করেছেন। তাঁর অনুগ্রহ লাভে আমার চেয়ে ভাগ্যবান স্ত্রী আর কে আছেন?’ (সহিহ্ মুসলিম: ৩৩৫২)
এ ছাড়া শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নত বা মোস্তাহাব হিসেবে একটি কথা প্রচলিত আছে, সেটিরও কোনো ভিত্তি নেই। এই মাসে বিয়ে করার আলাদা কোনো ফজিলত-মর্যাদার কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়নি। মহানবী (সা.)-এর বিয়েগুলো বছরের বিভিন্ন মাসে হয়েছে। শাওয়াল মাসে তিনি বিয়ে করেছিলেন জাহিলি যুগের কুসংস্কার ভাঙতে। ইসলামে নির্দিষ্ট কোনো মাস, দিন বা সময়ে বিয়ে করার কথা আসেনি। তাই বছরের যেকোনো সময়ে বিয়ে করাই সুন্নতসম্মত।
উল্লিখিত আমলগুলো ছাড়াও, ফরজ পালনের পাশাপাশি যেকোনো নফল আমলে নিমগ্ন হওয়া যেতে পারে শাওয়াল মাসে। যেমন— প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা, রোজকার নফল নামাজ, তাসবিহ-তাহলিল, দান-সদকা ইত্যাদি। এসব ব্যক্তিসংশ্লিষ্ট বিষয়। প্রত্যেকেরই উচিত ফরজ বিধান পালন শেষে অধিক পরিমাণে নফল ইবাদতে মনোনিবেশ করা। কারণ—নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্পসময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।

শাওয়াল আরবি ক্যালেন্ডারের দশম মাস। এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে এ মাস শুরু হতেই মোমিনের হৃদয়ে বয়ে যায় সুখের ফল্গুধারা। রমজানের ক্লান্তি বিদূরিত হয়। মোমিন খুঁজে পায় উৎসবমুখর এক নয়া জীবন।
শাওয়াল মাস নফল ইবাদতের মোক্ষম সময়। কারণ, রমজানে তাকওয়ার যে বৃক্ষের শাখা-প্রশাখা বিস্তার হয় অন্তরে, শাওয়ালে তা থাকে সতেজ, সজীব। ফলে এ মাসের নফল ইবাদতে ইখলাসের গভীরতা থাকে অন্য মাসের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া রমজানে অর্জিত তাকওয়া শাণিত করে এ মাসের নফল ইবাদত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এবং যখন তুমি (ফরজ ইবাদত থেকে) অবসর হবে। (নফল ইবাদতের মাধ্যমে) তোমার রবের দিকে মনোনিবেশ করো।’ (সুরা ইনশিরাহ: ০৮)
শাওয়ালের ছয় রোজা
শাওয়ালের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো—ছয় রোজা। নফল নামাজ যেমন ফরজ নামাজের ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণ। রমজানের ফরজ রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণও শাওয়ালের ছয় রোজা। রোজা ছয়টি রাখতে পারা বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। তদুপরি রমজানের রোজা কবুল হওয়ারও আলামত বিশেষ। রাসুল (সা.) নিজে এই ছয় রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদেরও নির্দেশ দিতেন। আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে রমজানের রোজা পূর্ণ করে, অতঃপর শাওয়ালের ছয় রোজা রাখে—সে যেন সারা বছর রোজা রাখল।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬৪৮)
সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের রোজা দশ মাসের রোজার সমান। আর শাওয়ালের ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং এই হলো পূর্ণ এক বছরের রোজা।’ (সুনানে নাসায়ি: ২/১৬২)
আইয়ামে বিজের রোজা
শাওয়াল মাসে নফল ইবাদত হিসেবে আইয়ামে বিজের রোজাও রাখা যেতে পারে। আইয়ামে বিজ বলা হয় চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে। নবীজি (সা.) প্রতি মাসে এই তিন দিন রোজা রাখতেন। সাহাবিদেরও রাখার উপদেশ দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.)-কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হে আবদুল্লাহ, তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা রাখবে। কেননা নেক আমলের পরিবর্তে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকি। এভাবে সারা বছরের রোজা (রাখার সওয়াব) হয়ে যায়।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬১৯)
রমজানের কাজা রোজা
রমজানের রোজা প্রাপ্তবয়স্ক নরনারীর ওপর ফরজ। কেউ ইচ্ছাকৃত বা শরিয়ত-সমর্থিত কোনো কারণ ছাড়া রোজা ভাঙলে, তার ওপর কাফফারা আবশ্যক। এ বিধান স্বতঃসিদ্ধ। তবে কেউ শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতায় রোজা ভাঙলে, কাজা আদায় করলেই যথেষ্ট হবে। শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতা হলো, নারীদের ঋতুস্রাব ও প্রসব-পরবর্তী স্রাবকাল, সফর, রোজার কারণে প্রাণঘাতী রোগের আশঙ্কা, গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতির ভয়, বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা ইত্যাদি।
রমজানের কাজা রোজা যেকোনো মাসেই আদায় করা যায়। তবে যথাসাধ্য দ্রুত অর্থাৎ শাওয়ালে আদায় করে নেওয়াই উত্তম। কেননা, কাজা ইবাদত আদায়ে যত দেরি হয়, আলস্য ততই বাড়ে। অলসতা এক নিন্দিত অভ্যাস। আল্লাহ তাআলা মুনাফেকের আলামত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘এবং তারা নামাজে আসে অলস অবস্থায়’ (সুরা তাওবা: ৫৪)
রমজানের রোজা যেহেতু নামাজের মতোই ফরজ বিধান, তাই এ ক্ষেত্রেও অলসতা কাম্য নয়।
হজের প্রস্তুতি
শাওয়াল হজের মাসসমূহের একটি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘হজের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস রয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আলেমগণ একমত, হজের মাস তিনটি। এর মধ্যে প্রথম মাস হলো শাওয়াল। তাই বলা যায়, শাওয়াল হজের প্রস্তুতি গ্রহণের মাস। ইতিহাসের পাতায় চোখ ফেরালেও আমরা দেখতে পাই, নবীজি (সা.) দশম হিজরির শাওয়াল মাসেই বিদায় হজের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এবং পরবর্তী মাস জিলকদে লক্ষাধিক সাহাবি নিয়ে মক্কার দিকে রওনা হয়েছেন। নবীজি (সা.)-এর ইন্তেকাল পরবর্তী যুগেও মুসলিমগণ এই ধারা জারি রেখেছেন।
বিয়ে
আমাদের সমাজে কেউ কেউ শাওয়াল মাসে বিয়ে করা অশুভ মনে করেন। জাহিলি যুগেও এমন একটি প্রথা ছিল। শুভ-অশুভ দিন দেখে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা ইসলামি বিশ্বাসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এই রীতি সম্পূর্ণ অজ্ঞতাপূর্ণ বিশ্বাস। এই ভ্রান্তি নিরসনের জন্য রাসুল (সা.) হজরত আয়েশা (রা.)-কে এ মাসে বিয়ে করেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) আমাকে শাওয়াল মাসেই বিয়ে করেছেন, শাওয়াল মাসেই বাসর করেছেন। তাঁর অনুগ্রহ লাভে আমার চেয়ে ভাগ্যবান স্ত্রী আর কে আছেন?’ (সহিহ্ মুসলিম: ৩৩৫২)
এ ছাড়া শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নত বা মোস্তাহাব হিসেবে একটি কথা প্রচলিত আছে, সেটিরও কোনো ভিত্তি নেই। এই মাসে বিয়ে করার আলাদা কোনো ফজিলত-মর্যাদার কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়নি। মহানবী (সা.)-এর বিয়েগুলো বছরের বিভিন্ন মাসে হয়েছে। শাওয়াল মাসে তিনি বিয়ে করেছিলেন জাহিলি যুগের কুসংস্কার ভাঙতে। ইসলামে নির্দিষ্ট কোনো মাস, দিন বা সময়ে বিয়ে করার কথা আসেনি। তাই বছরের যেকোনো সময়ে বিয়ে করাই সুন্নতসম্মত।
উল্লিখিত আমলগুলো ছাড়াও, ফরজ পালনের পাশাপাশি যেকোনো নফল আমলে নিমগ্ন হওয়া যেতে পারে শাওয়াল মাসে। যেমন— প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা, রোজকার নফল নামাজ, তাসবিহ-তাহলিল, দান-সদকা ইত্যাদি। এসব ব্যক্তিসংশ্লিষ্ট বিষয়। প্রত্যেকেরই উচিত ফরজ বিধান পালন শেষে অধিক পরিমাণে নফল ইবাদতে মনোনিবেশ করা। কারণ—নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্পসময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—
চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।
হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)
নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

শাওয়াল আরবি ক্যালেন্ডারের দশম মাস। এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে এ মাস শুরু হতেই মোমিনের হৃদয়ে বয়ে যায় সুখের ফল্গুধারা। রমজানের ক্লান্তি বিদূরিত হয়। মোমিন খুঁজে পায় উৎসবমুখর এক নয়া জীবন।
০৪ এপ্রিল ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৫ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৮ মিনিট | ০৩: ৪০ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪১ মিনিট | ০৫: ১৬ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৮ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

শাওয়াল আরবি ক্যালেন্ডারের দশম মাস। এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে এ মাস শুরু হতেই মোমিনের হৃদয়ে বয়ে যায় সুখের ফল্গুধারা। রমজানের ক্লান্তি বিদূরিত হয়। মোমিন খুঁজে পায় উৎসবমুখর এক নয়া জীবন।
০৪ এপ্রিল ২০২৫
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

শাওয়াল আরবি ক্যালেন্ডারের দশম মাস। এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে এ মাস শুরু হতেই মোমিনের হৃদয়ে বয়ে যায় সুখের ফল্গুধারা। রমজানের ক্লান্তি বিদূরিত হয়। মোমিন খুঁজে পায় উৎসবমুখর এক নয়া জীবন।
০৪ এপ্রিল ২০২৫
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)
ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।
শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।
শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।
শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

শাওয়াল আরবি ক্যালেন্ডারের দশম মাস। এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে এ মাস শুরু হতেই মোমিনের হৃদয়ে বয়ে যায় সুখের ফল্গুধারা। রমজানের ক্লান্তি বিদূরিত হয়। মোমিন খুঁজে পায় উৎসবমুখর এক নয়া জীবন।
০৪ এপ্রিল ২০২৫
অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে...
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২০ ঘণ্টা আগে