ইসলাম ডেস্ক

প্রশ্ন: প্রি-অর্ডার হলো, একটি নির্দিষ্ট পণ্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই বিক্রেতার কাছে সেটির অর্ডার করা এবং প্রস্তুত হওয়ার পর ক্রেতার কাছে তা হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া। বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য, বিশেষ করে বই-পুস্তক এভাবে বিক্রি করাটা খুব স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের বেচাকেনা শরিয়তসম্মত কি না? বিস্তারিত জানতে চাই।
নজরুল ইসলাম, রংপুর
উত্তর: প্রি-অর্ডারে বেচাকেনা করার বিষয়টি ফিকহের কিতাবে উল্লিখিত ইসতিসনা চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইসতিসনা হলো, কোনো প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে (ম্যানুফ্যাকচারার) ক্রেতার জন্য নির্দিষ্ট জিনিস তৈরি করে দেওয়ার অর্ডার দেওয়া। যদি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নিজেদের পক্ষ থেকে কাঁচামাল দিয়ে ক্রেতার জন্য দ্রব্য তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়, তাহলে ইসতিসনা চুক্তি অস্তিত্ব লাভ করবে।
ইসতিসনা শরিয়তসম্মত হওয়ার জন্য অপরিহার্য শর্ত হলো, মূল্য উভয়ের সন্তুষ্টিতে নির্ধারিত করে নিতে হবে এবং কাঙ্ক্ষিত পণ্যের আবশ্যিক গুণাবলি উল্লেখ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পণ্যের দাম অগ্রিম, এককালীন বা কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। উৎপাদন ব্যয় নির্বাহের জন্য পণ্যের মূল্য অগ্রিম পরিশোধের দাবিও করা যাবে। আর উৎপাদনকাজ শুরু হলে চুক্তি বাতিল করা যাবে না। পণ্য কোথায়, কীভাবে, কার খরচে সরবরাহ করা হবে, তা চুক্তিতে উল্লেখ থাকতে হবে। কোনো পক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করলে দায়ী পক্ষের ওপর নির্দিষ্ট জরিমানা আরোপ করার শর্তও চুক্তিতে রাখা যাবে।
ইসতিসনা চুক্তির ব্যাপারে ফকিহদের বক্তব্য হলো, এটি জায়েজ। মূলত শুধু হানাফি মাজহাব মতেই ইসতিসনা বৈধ ছিল। পরে ১৯৯২ সালের মে মাসে সৌদি আরবের জেদ্দায় আন্তর্জাতিক ইসলামি ফিকহ সংস্থার ছয় দিনব্যাপী ‘সপ্তম ফিকহ সেমিনার’-এ সব মতের দলিল-প্রমাণ পর্যালোচনা করে চূড়ান্তভাবে সব মাজহাবে এর বৈধতা ঘোষণা দেওয়া হয়। (আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ) কারণ এর সপক্ষে কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের দলিল আছে।
সুরা কাহফের ৯৪ নম্বর আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, হে জুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ এ দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়। আমরা কি আপনার জন্য কিছু মূল্য নির্ধারণ করব, যার বিনিময়ে আপনি আমাদের ও তাদের মাঝখানে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন?’ বোঝা গেল, পূর্ববর্তী শরিয়তে ইসতিসনা বৈধ ছিল। আর পূর্ববর্তী শরিয়তের যেসব বিধান ইসলাম নিষিদ্ধ করেনি, সেগুলো সর্বসম্মতিক্রমে বৈধ।
ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) স্বর্ণের একটা আংটি অগ্রিম অর্ডার দিয়ে বানিয়ে আনেন।...’ (বুখারি) অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) এক আনসারি নারীর কাছে লোক পাঠিয়ে বললেন, ‘তোমার কাঠমিস্ত্রি ক্রীতদাসকে বলো, সে যেন আমার জন্য একটি কাঠের মিম্বার বানিয়ে দেয়।...’ (বুখারি ও মুসলিম)
এ বিষয়ে ইজমা হওয়া সম্পর্কে ইমাম কাসানি বলেন, ইসতিহসানের ভিত্তিতে ইসতিসনা চুক্তি জায়েজ। কারণ যুগ যুগ ধরে মানুষ তা করে আসছে। (বাদায়িয়ুস সানায়ে)
কিয়াস তথা শরয়ি যুক্তির আলোকেও তা বৈধ। মানুষের এমন অনেক বস্তুর প্রয়োজন পড়ে, যা সাধারণত আগে থেকে তৈরি থাকে না। ফলে অগ্রিম অর্ডার দিয়ে এগুলো তৈরি করিয়ে নিতে হয়। যদি ইসতিসনা বৈধ না হয়, তাহলে মানুষের অনেক কষ্ট হবে, যা ইসলাম কোনোভাবে চায় না। (বাদায়িয়ুস সানায়ে)
উল্লিখিত ফিকহ সেমিনারে ইসতিসনা বৈধ হওয়ার জন্য দুটি শর্ত নির্ধারণ করা হয়। এক. অর্ডার করা পণ্যের ধরন, পরিমাণ ও উদ্দিষ্ট গুণাবলি স্পষ্ট করা। দুই. পণ্য ডেলিভারির তারিখ নির্ধারণ করা। (আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ)
প্রশ্নে উল্লিখিত বর্তমান ই-কমার্সের প্রি-অর্ডার পদ্ধতি যেহেতু ইসতিসনার সঙ্গে অনেকটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাই উল্লিখিত শর্তসাপেক্ষে তা বৈধ হবে ইনশা আল্লাহ।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

প্রশ্ন: প্রি-অর্ডার হলো, একটি নির্দিষ্ট পণ্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই বিক্রেতার কাছে সেটির অর্ডার করা এবং প্রস্তুত হওয়ার পর ক্রেতার কাছে তা হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া। বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য, বিশেষ করে বই-পুস্তক এভাবে বিক্রি করাটা খুব স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের বেচাকেনা শরিয়তসম্মত কি না? বিস্তারিত জানতে চাই।
নজরুল ইসলাম, রংপুর
উত্তর: প্রি-অর্ডারে বেচাকেনা করার বিষয়টি ফিকহের কিতাবে উল্লিখিত ইসতিসনা চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইসতিসনা হলো, কোনো প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে (ম্যানুফ্যাকচারার) ক্রেতার জন্য নির্দিষ্ট জিনিস তৈরি করে দেওয়ার অর্ডার দেওয়া। যদি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নিজেদের পক্ষ থেকে কাঁচামাল দিয়ে ক্রেতার জন্য দ্রব্য তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়, তাহলে ইসতিসনা চুক্তি অস্তিত্ব লাভ করবে।
ইসতিসনা শরিয়তসম্মত হওয়ার জন্য অপরিহার্য শর্ত হলো, মূল্য উভয়ের সন্তুষ্টিতে নির্ধারিত করে নিতে হবে এবং কাঙ্ক্ষিত পণ্যের আবশ্যিক গুণাবলি উল্লেখ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পণ্যের দাম অগ্রিম, এককালীন বা কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। উৎপাদন ব্যয় নির্বাহের জন্য পণ্যের মূল্য অগ্রিম পরিশোধের দাবিও করা যাবে। আর উৎপাদনকাজ শুরু হলে চুক্তি বাতিল করা যাবে না। পণ্য কোথায়, কীভাবে, কার খরচে সরবরাহ করা হবে, তা চুক্তিতে উল্লেখ থাকতে হবে। কোনো পক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করলে দায়ী পক্ষের ওপর নির্দিষ্ট জরিমানা আরোপ করার শর্তও চুক্তিতে রাখা যাবে।
ইসতিসনা চুক্তির ব্যাপারে ফকিহদের বক্তব্য হলো, এটি জায়েজ। মূলত শুধু হানাফি মাজহাব মতেই ইসতিসনা বৈধ ছিল। পরে ১৯৯২ সালের মে মাসে সৌদি আরবের জেদ্দায় আন্তর্জাতিক ইসলামি ফিকহ সংস্থার ছয় দিনব্যাপী ‘সপ্তম ফিকহ সেমিনার’-এ সব মতের দলিল-প্রমাণ পর্যালোচনা করে চূড়ান্তভাবে সব মাজহাবে এর বৈধতা ঘোষণা দেওয়া হয়। (আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ) কারণ এর সপক্ষে কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের দলিল আছে।
সুরা কাহফের ৯৪ নম্বর আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, হে জুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ এ দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়। আমরা কি আপনার জন্য কিছু মূল্য নির্ধারণ করব, যার বিনিময়ে আপনি আমাদের ও তাদের মাঝখানে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন?’ বোঝা গেল, পূর্ববর্তী শরিয়তে ইসতিসনা বৈধ ছিল। আর পূর্ববর্তী শরিয়তের যেসব বিধান ইসলাম নিষিদ্ধ করেনি, সেগুলো সর্বসম্মতিক্রমে বৈধ।
ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) স্বর্ণের একটা আংটি অগ্রিম অর্ডার দিয়ে বানিয়ে আনেন।...’ (বুখারি) অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) এক আনসারি নারীর কাছে লোক পাঠিয়ে বললেন, ‘তোমার কাঠমিস্ত্রি ক্রীতদাসকে বলো, সে যেন আমার জন্য একটি কাঠের মিম্বার বানিয়ে দেয়।...’ (বুখারি ও মুসলিম)
এ বিষয়ে ইজমা হওয়া সম্পর্কে ইমাম কাসানি বলেন, ইসতিহসানের ভিত্তিতে ইসতিসনা চুক্তি জায়েজ। কারণ যুগ যুগ ধরে মানুষ তা করে আসছে। (বাদায়িয়ুস সানায়ে)
কিয়াস তথা শরয়ি যুক্তির আলোকেও তা বৈধ। মানুষের এমন অনেক বস্তুর প্রয়োজন পড়ে, যা সাধারণত আগে থেকে তৈরি থাকে না। ফলে অগ্রিম অর্ডার দিয়ে এগুলো তৈরি করিয়ে নিতে হয়। যদি ইসতিসনা বৈধ না হয়, তাহলে মানুষের অনেক কষ্ট হবে, যা ইসলাম কোনোভাবে চায় না। (বাদায়িয়ুস সানায়ে)
উল্লিখিত ফিকহ সেমিনারে ইসতিসনা বৈধ হওয়ার জন্য দুটি শর্ত নির্ধারণ করা হয়। এক. অর্ডার করা পণ্যের ধরন, পরিমাণ ও উদ্দিষ্ট গুণাবলি স্পষ্ট করা। দুই. পণ্য ডেলিভারির তারিখ নির্ধারণ করা। (আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ)
প্রশ্নে উল্লিখিত বর্তমান ই-কমার্সের প্রি-অর্ডার পদ্ধতি যেহেতু ইসতিসনার সঙ্গে অনেকটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাই উল্লিখিত শর্তসাপেক্ষে তা বৈধ হবে ইনশা আল্লাহ।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
ইসলাম ডেস্ক

প্রশ্ন: প্রি-অর্ডার হলো, একটি নির্দিষ্ট পণ্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই বিক্রেতার কাছে সেটির অর্ডার করা এবং প্রস্তুত হওয়ার পর ক্রেতার কাছে তা হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া। বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য, বিশেষ করে বই-পুস্তক এভাবে বিক্রি করাটা খুব স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের বেচাকেনা শরিয়তসম্মত কি না? বিস্তারিত জানতে চাই।
নজরুল ইসলাম, রংপুর
উত্তর: প্রি-অর্ডারে বেচাকেনা করার বিষয়টি ফিকহের কিতাবে উল্লিখিত ইসতিসনা চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইসতিসনা হলো, কোনো প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে (ম্যানুফ্যাকচারার) ক্রেতার জন্য নির্দিষ্ট জিনিস তৈরি করে দেওয়ার অর্ডার দেওয়া। যদি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নিজেদের পক্ষ থেকে কাঁচামাল দিয়ে ক্রেতার জন্য দ্রব্য তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়, তাহলে ইসতিসনা চুক্তি অস্তিত্ব লাভ করবে।
ইসতিসনা শরিয়তসম্মত হওয়ার জন্য অপরিহার্য শর্ত হলো, মূল্য উভয়ের সন্তুষ্টিতে নির্ধারিত করে নিতে হবে এবং কাঙ্ক্ষিত পণ্যের আবশ্যিক গুণাবলি উল্লেখ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পণ্যের দাম অগ্রিম, এককালীন বা কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। উৎপাদন ব্যয় নির্বাহের জন্য পণ্যের মূল্য অগ্রিম পরিশোধের দাবিও করা যাবে। আর উৎপাদনকাজ শুরু হলে চুক্তি বাতিল করা যাবে না। পণ্য কোথায়, কীভাবে, কার খরচে সরবরাহ করা হবে, তা চুক্তিতে উল্লেখ থাকতে হবে। কোনো পক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করলে দায়ী পক্ষের ওপর নির্দিষ্ট জরিমানা আরোপ করার শর্তও চুক্তিতে রাখা যাবে।
ইসতিসনা চুক্তির ব্যাপারে ফকিহদের বক্তব্য হলো, এটি জায়েজ। মূলত শুধু হানাফি মাজহাব মতেই ইসতিসনা বৈধ ছিল। পরে ১৯৯২ সালের মে মাসে সৌদি আরবের জেদ্দায় আন্তর্জাতিক ইসলামি ফিকহ সংস্থার ছয় দিনব্যাপী ‘সপ্তম ফিকহ সেমিনার’-এ সব মতের দলিল-প্রমাণ পর্যালোচনা করে চূড়ান্তভাবে সব মাজহাবে এর বৈধতা ঘোষণা দেওয়া হয়। (আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ) কারণ এর সপক্ষে কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের দলিল আছে।
সুরা কাহফের ৯৪ নম্বর আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, হে জুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ এ দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়। আমরা কি আপনার জন্য কিছু মূল্য নির্ধারণ করব, যার বিনিময়ে আপনি আমাদের ও তাদের মাঝখানে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন?’ বোঝা গেল, পূর্ববর্তী শরিয়তে ইসতিসনা বৈধ ছিল। আর পূর্ববর্তী শরিয়তের যেসব বিধান ইসলাম নিষিদ্ধ করেনি, সেগুলো সর্বসম্মতিক্রমে বৈধ।
ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) স্বর্ণের একটা আংটি অগ্রিম অর্ডার দিয়ে বানিয়ে আনেন।...’ (বুখারি) অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) এক আনসারি নারীর কাছে লোক পাঠিয়ে বললেন, ‘তোমার কাঠমিস্ত্রি ক্রীতদাসকে বলো, সে যেন আমার জন্য একটি কাঠের মিম্বার বানিয়ে দেয়।...’ (বুখারি ও মুসলিম)
এ বিষয়ে ইজমা হওয়া সম্পর্কে ইমাম কাসানি বলেন, ইসতিহসানের ভিত্তিতে ইসতিসনা চুক্তি জায়েজ। কারণ যুগ যুগ ধরে মানুষ তা করে আসছে। (বাদায়িয়ুস সানায়ে)
কিয়াস তথা শরয়ি যুক্তির আলোকেও তা বৈধ। মানুষের এমন অনেক বস্তুর প্রয়োজন পড়ে, যা সাধারণত আগে থেকে তৈরি থাকে না। ফলে অগ্রিম অর্ডার দিয়ে এগুলো তৈরি করিয়ে নিতে হয়। যদি ইসতিসনা বৈধ না হয়, তাহলে মানুষের অনেক কষ্ট হবে, যা ইসলাম কোনোভাবে চায় না। (বাদায়িয়ুস সানায়ে)
উল্লিখিত ফিকহ সেমিনারে ইসতিসনা বৈধ হওয়ার জন্য দুটি শর্ত নির্ধারণ করা হয়। এক. অর্ডার করা পণ্যের ধরন, পরিমাণ ও উদ্দিষ্ট গুণাবলি স্পষ্ট করা। দুই. পণ্য ডেলিভারির তারিখ নির্ধারণ করা। (আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ)
প্রশ্নে উল্লিখিত বর্তমান ই-কমার্সের প্রি-অর্ডার পদ্ধতি যেহেতু ইসতিসনার সঙ্গে অনেকটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাই উল্লিখিত শর্তসাপেক্ষে তা বৈধ হবে ইনশা আল্লাহ।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

প্রশ্ন: প্রি-অর্ডার হলো, একটি নির্দিষ্ট পণ্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই বিক্রেতার কাছে সেটির অর্ডার করা এবং প্রস্তুত হওয়ার পর ক্রেতার কাছে তা হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া। বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য, বিশেষ করে বই-পুস্তক এভাবে বিক্রি করাটা খুব স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের বেচাকেনা শরিয়তসম্মত কি না? বিস্তারিত জানতে চাই।
নজরুল ইসলাম, রংপুর
উত্তর: প্রি-অর্ডারে বেচাকেনা করার বিষয়টি ফিকহের কিতাবে উল্লিখিত ইসতিসনা চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইসতিসনা হলো, কোনো প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে (ম্যানুফ্যাকচারার) ক্রেতার জন্য নির্দিষ্ট জিনিস তৈরি করে দেওয়ার অর্ডার দেওয়া। যদি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নিজেদের পক্ষ থেকে কাঁচামাল দিয়ে ক্রেতার জন্য দ্রব্য তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়, তাহলে ইসতিসনা চুক্তি অস্তিত্ব লাভ করবে।
ইসতিসনা শরিয়তসম্মত হওয়ার জন্য অপরিহার্য শর্ত হলো, মূল্য উভয়ের সন্তুষ্টিতে নির্ধারিত করে নিতে হবে এবং কাঙ্ক্ষিত পণ্যের আবশ্যিক গুণাবলি উল্লেখ করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পণ্যের দাম অগ্রিম, এককালীন বা কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। উৎপাদন ব্যয় নির্বাহের জন্য পণ্যের মূল্য অগ্রিম পরিশোধের দাবিও করা যাবে। আর উৎপাদনকাজ শুরু হলে চুক্তি বাতিল করা যাবে না। পণ্য কোথায়, কীভাবে, কার খরচে সরবরাহ করা হবে, তা চুক্তিতে উল্লেখ থাকতে হবে। কোনো পক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করলে দায়ী পক্ষের ওপর নির্দিষ্ট জরিমানা আরোপ করার শর্তও চুক্তিতে রাখা যাবে।
ইসতিসনা চুক্তির ব্যাপারে ফকিহদের বক্তব্য হলো, এটি জায়েজ। মূলত শুধু হানাফি মাজহাব মতেই ইসতিসনা বৈধ ছিল। পরে ১৯৯২ সালের মে মাসে সৌদি আরবের জেদ্দায় আন্তর্জাতিক ইসলামি ফিকহ সংস্থার ছয় দিনব্যাপী ‘সপ্তম ফিকহ সেমিনার’-এ সব মতের দলিল-প্রমাণ পর্যালোচনা করে চূড়ান্তভাবে সব মাজহাবে এর বৈধতা ঘোষণা দেওয়া হয়। (আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ) কারণ এর সপক্ষে কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের দলিল আছে।
সুরা কাহফের ৯৪ নম্বর আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘তারা বলল, হে জুলকারনাইন, ইয়াজুজ ও মাজুজ এ দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়। আমরা কি আপনার জন্য কিছু মূল্য নির্ধারণ করব, যার বিনিময়ে আপনি আমাদের ও তাদের মাঝখানে একটি প্রাচীর নির্মাণ করে দেবেন?’ বোঝা গেল, পূর্ববর্তী শরিয়তে ইসতিসনা বৈধ ছিল। আর পূর্ববর্তী শরিয়তের যেসব বিধান ইসলাম নিষিদ্ধ করেনি, সেগুলো সর্বসম্মতিক্রমে বৈধ।
ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) স্বর্ণের একটা আংটি অগ্রিম অর্ডার দিয়ে বানিয়ে আনেন।...’ (বুখারি) অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) এক আনসারি নারীর কাছে লোক পাঠিয়ে বললেন, ‘তোমার কাঠমিস্ত্রি ক্রীতদাসকে বলো, সে যেন আমার জন্য একটি কাঠের মিম্বার বানিয়ে দেয়।...’ (বুখারি ও মুসলিম)
এ বিষয়ে ইজমা হওয়া সম্পর্কে ইমাম কাসানি বলেন, ইসতিহসানের ভিত্তিতে ইসতিসনা চুক্তি জায়েজ। কারণ যুগ যুগ ধরে মানুষ তা করে আসছে। (বাদায়িয়ুস সানায়ে)
কিয়াস তথা শরয়ি যুক্তির আলোকেও তা বৈধ। মানুষের এমন অনেক বস্তুর প্রয়োজন পড়ে, যা সাধারণত আগে থেকে তৈরি থাকে না। ফলে অগ্রিম অর্ডার দিয়ে এগুলো তৈরি করিয়ে নিতে হয়। যদি ইসতিসনা বৈধ না হয়, তাহলে মানুষের অনেক কষ্ট হবে, যা ইসলাম কোনোভাবে চায় না। (বাদায়িয়ুস সানায়ে)
উল্লিখিত ফিকহ সেমিনারে ইসতিসনা বৈধ হওয়ার জন্য দুটি শর্ত নির্ধারণ করা হয়। এক. অর্ডার করা পণ্যের ধরন, পরিমাণ ও উদ্দিষ্ট গুণাবলি স্পষ্ট করা। দুই. পণ্য ডেলিভারির তারিখ নির্ধারণ করা। (আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ)
প্রশ্নে উল্লিখিত বর্তমান ই-কমার্সের প্রি-অর্ডার পদ্ধতি যেহেতু ইসতিসনার সঙ্গে অনেকটা সামঞ্জস্যপূর্ণ, তাই উল্লিখিত শর্তসাপেক্ষে তা বৈধ হবে ইনশা আল্লাহ।
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৫ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৯ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০২ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

প্রি-অর্ডার হলো, একটি নির্দিষ্ট পণ্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই বিক্রেতার কাছে সেটির অর্ডার করা এবং প্রস্তুত হওয়ার পর ক্রেতার কাছে তা হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া। বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য, বিশেষ করে বই-পুস্তক এভাবে বিক্রি করাটা খুব স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
১৪ জুলাই ২০২৩
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৫ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

প্রি-অর্ডার হলো, একটি নির্দিষ্ট পণ্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই বিক্রেতার কাছে সেটির অর্ডার করা এবং প্রস্তুত হওয়ার পর ক্রেতার কাছে তা হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া। বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য, বিশেষ করে বই-পুস্তক এভাবে বিক্রি করাটা খুব স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
১৪ জুলাই ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

প্রি-অর্ডার হলো, একটি নির্দিষ্ট পণ্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই বিক্রেতার কাছে সেটির অর্ডার করা এবং প্রস্তুত হওয়ার পর ক্রেতার কাছে তা হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া। বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য, বিশেষ করে বই-পুস্তক এভাবে বিক্রি করাটা খুব স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
১৪ জুলাই ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

প্রি-অর্ডার হলো, একটি নির্দিষ্ট পণ্য প্রস্তুত হওয়ার আগেই বিক্রেতার কাছে সেটির অর্ডার করা এবং প্রস্তুত হওয়ার পর ক্রেতার কাছে তা হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া। বর্তমানে বিভিন্ন পণ্য, বিশেষ করে বই-পুস্তক এভাবে বিক্রি করাটা খুব স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
১৪ জুলাই ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১৫ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগে