Ajker Patrika

আজকের তারাবি-১২: আসহাবে কাহফের ৩০৯ বছরের বিস্ময়কর ঘুম

রায়হান রাশেদ
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৫, ১৩: ৩৯
আজকের তারাবি-১২: আসহাবে কাহফের ৩০৯ বছরের বিস্ময়কর ঘুম

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১৫ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইসরা ও সুরা কাহফের ১ থেকে ৭৪ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। এই অংশে নবী (সা.)-এর মেরাজ, আল্লাহ ও বান্দার হক, মা-বাবার প্রতি সদাচার, আসহাবে কাহফের ঘটনা, কোরআনের বৈশিষ্ট্য, মিতব্যয়িতা ও ব্যভিচারের শাস্তিসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—

নবীজির মেরাজের বয়ান সুরা ইসরা
সুরা ইসরা মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১১। পবিত্র কোরআনের ১৭ তম সুরা এটি। ইসরা অর্থ রাত্রিকালীন ভ্রমণ। নবীজির মেরাজ রাতে হয়েছিল, তাই এটিকে ইসরা বলা হয়। বিশেষত বায়তুল্লাহ থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত সফরকে ইসরা বলা হয়। এই সুরায় এ ঘটনার ইঙ্গিত আছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরাকে ইসরা বলা হয়। এ সুরায় বনি ইসরাইলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ থাকায় সুরা বনি ইসরাইলও বলা হয়। 

আজকের তারাবি ০১ : বনি ইসরাইলের ওপর আল্লাহর ক্রোধের কারণ অহেতুক প্রশ্ন

মহানবী (সা.)-এর বিস্ময়কর ঊর্ধ্বজগৎ ভ্রমণ 
নবীজির বয়স তখন ৫১ বছর। নবুওয়াতের ১১ তম বছরের ২৭ রজব। তখনো তিনি মক্কায়। রাতের বেলা শুয়ে আছেন। জিবরাইল ও মিকাইল (আ.) তাঁর কাছে এলেন। এর মধ্যে জমজমের পানি দিয়ে তাঁর বুক চিড়ে পবিত্র করা হলো। জিবরাইল-মিকাইল তাঁকে নিয়ে চললেন মেরাজের পথে। মেরাজ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। নবীজি সশরীরে সজ্ঞানে জাগ্রত অবস্থায় জিবরাইল ও মিকাইলের (আ.) সঙ্গে বিশেষ বাহন বোরাকে করে রাতে ভ্রমণ করেন। তিনি মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় যান। সেখানে তিনি সব নবী-রাসুলকে নিয়ে দুই রাকাত নামাজে ইমামতি করেন। জিবরাইল তাঁর সামনে দুধ ও শরাবের পেয়ালা ধরলে তিনি দুধের পেয়ালা গ্রহণ করেন।

ছবিতে মক্কা, মদিনা ও আল-আকসায় রমজানের প্রথম জুমা ও তারাবি

এরপর তিনি প্রথম আসমানে গমন করেন। ধারাবাহিকভাবে সপ্তম আসমান অতিক্রম করেন। সেখানে আসমানের ফেরেশতারা তাঁকে সম্ভাষণ জানান। সাত আসমানে সাতজন নবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। পরে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত এবং সেখান থেকে একাকী রফরফ বাহনে আরশে আজিম পর্যন্ত ভ্রমণ করে মহান রাব্বুল আলামিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করেন। পাশাপাশি জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন করে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। উম্মতের জন্য নিয়ে আসেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। 

তারাবির নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

নবী (সা.)-এর ইসরা ও মেরাজের কথা কাফেররা শুনে উপহাস করতে লাগল। নবীজির কাছে বায়তুল মুকাদ্দাসের বিবরণ চাইল। নবীজি বিব্রত হয়ে গেলেন। কারণ, রাতে তো আর মসজিদ ভালো করে দেখেননি। নবীজি বলেন, ‘এ রকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আমি আগে পড়িনি।’ আল্লাহ তাআলা প্রিয় বন্ধুকে সাহায্য করলেন। নবীজির চোখের সামনে মেলে ধরলেন বাইতুল মুকাদ্দাসের দৃশ্য। নবীজি দেখে দেখে তাদের প্রত্যেকটি জিজ্ঞাসার বিস্তারিত জবাব দিলেন। (বুখারি: ৩৮৮৬) 

আজকের তারাবি: জীবন-মৃত্যুর রহস্য ও স্ত্রীর অধিকার আদায়ের আদেশ

সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় ১৪ শিষ্টাচার
সুরা ইসরার ২২ থেকে ৪৪ নম্বর আয়াতে মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আল্লাহ ১৪টি বিষয়ের আদেশ করেছেন। যথা—
১. আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত না করা
২. বাবা-মায়ের সঙ্গে সদাচার
৩. আত্মীয়স্বজনদের অধিকার আদায়
৪. মিসকিনদের ও পথ সন্তানদের অধিকার আদায়
৫. অপচয় নিষেধ
৬. কৃপণতা নিষেধ
৭. সন্তানদের হত্যা করবে না
৮. ব্যভিচারের কাছেও যাওয়া যাবে না
৯. মানুষ হত্যা হারাম
১০. এতিমের সম্পদের কাছেও যাওয়া যাবে না
১১. ওয়াদা পালন
১২. সঠিকভাবে ওজন করা
১৩. জ্ঞান নেই, এমন বিষয়ের পেছনে না পড়া 
১৪. পৃথিবীতে দম্ভ নিয়ে না চলা

আজকের তারাবি: যে ১৪ নারীকে বিয়ে করা হারাম

মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার 
সন্তানের জন্য দয়ার ভান্ডার সঞ্চিত আছে মায়ের মনে। বাবার বিশাল হৃদয়ে আছে অফুরন্ত শুভকামনা। মা-বাবা নির্ভয় ও নির্ভরতার আশ্রয়স্থল। পবিত্রতার পরশে বেড়ে ওঠার আঁতুড়ঘর। সন্তানের অস্তিত্বের প্রকাশ জুড়ে আছে মা-বাবার আত্মত্যাগ। তাঁদের ত্যাগেই সন্তান বেড়ে ওঠে। সুতরাং তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মা-বাবার প্রতি সদ্ব্যবহার করো। তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদের (বিরক্তিসূচক) ‘উফ’ বলো না এবং তাদের ধমক দিও না। তাদের সঙ্গে সম্মানসূচক কথা বলো। তাদের জন্য সদয়ভাবে নম্রতার বাহু প্রসারিত করে দাও এবং বলো—হে আমার প্রতিপালক, তাঁদের প্রতি দয়া করুন, যেমনভাবে তাঁরা আমাকে শৈশবে লালনপালন করেছেন।’ (সুরা ইসরা: ২৩) 

আজকের তারাবি: দাম্পত্য কলহের সমাধান ও যে ১১ খাদ্য হারাম

সুরা কাহাফ—গুহাবাসী তরুণদের গল্প
সুরা কাহাফ মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১০। কোরআনের ১৮ তম সুরা এটি। কাহাফ অর্থ গুহা। সুরায় গুহাবাসীর কাহিনির বর্ণনা রয়েছে, সে দৃষ্টিকোণ থেকে সুরার নাম কাহাফ। নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে সুরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।’ (মুসলিম: ৮০৯) 

এ সুরায় বেশ কয়েকটি ঘটনার বিবরণ রয়েছে। যথা—
১.৭ তরুণের গুহাবাসী হওয়ার ঘটনা 
২. বাগানের মালিকের বিশ্বাসের ঘটনা 
৩. মুসা ও খিজির (আ.)-এর ঘটনা 
৪. বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনা 

আজকের তারাবি: ভ্রমণে তাগিদ এবং ১০ কাজ না করার আদেশ আল্লাহর

ইমান বাঁচাতে তরুণদের গুহায় আশ্রয়
সুরা কাহফের ৯ থেকে ২৬ নম্বর আয়াতে আসহাবে কাহফ তথা গুহাবাসীর ঘটনার বিবরণ রয়েছে। তখন সমাজ ছিল অবিশ্বাসে ভরা। কারও মধ্যে একত্ববাদের বিশ্বাস ছিল না। বাদশাহ ছিলেন মূর্তিপূজক। সেসময় সাতজন যুবক আল্লাহর প্রতি ইমান এনেছিলেন। তাঁরা গোপনে ইবাদত করতেন। বাদশাহর কাছে একদিন বিষয়টি ধরা পড়লে তিনি তাঁদের হত্যার ঘোষণা দেন। ফলে ইমান রক্ষার জন্য তাঁরা বেরিয়ে পড়েন। একটি পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নেন। তাঁদের সঙ্গে একটি কুকুরও ছিল। কুকুরের নাম ছিল কিতমির। কিতমির গুহামুখে বসে তাঁদের পাহারা দিল। বাদশাহর বাহিনী তাঁদের খুঁজে পেল না। 

আজকের তারাবি: যে কারণে ধ্বংস হয়েছিল প্রাচীন ৬ জাতি

৩০৯ বছরের বিস্ময়কর ঘুম
গুহায় আল্লাহ তাআলা আসহাবে কাহফের সদস্যদের ঘুম পাড়িয়ে দেন। সেই ঘুম ৩০৯ বছর পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। ঘুম ভাঙার পর তাদের একজন খাদ্য সংগ্রহের জন্য শহরে এলে লোকজন তাঁকে চিনে ফেলে। তিনি ভেবেছিলেন কেউ চিনবে না। এর মধ্যে এত পরিবর্তন দেখে তিনি আশ্চর্য হন। এদিকে জালিম বাদশাহও তত দিনে মারা গেছেন। তাঁদের ওপর দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে তিন তিনটি শতক। বর্তমান বাদশাহ আসমানি ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন। 

আজকের তারাবি: গনিমতের মাল বণ্টনের নীতি ও জাকাতের ৮ খাত

লোকেরা তাঁকে দেখে বিস্মিত হয়ে নানা কথা বলছিলেন। তিনি গুহায় সঙ্গীদের কথা বলে দ্রুত কেটে পড়েন। গুহায় ফিরে তাদের বিস্তারিত কাহিনি শোনান। এদিকে বর্তমান বাদশাহ খবর পেয়ে দলবল নিয়ে সেখানে যান এবং দেখেন গুহার ভেতর সবাই মারা গেছেন। বাদশাহ সেই গুহামুখে তাঁদের স্মরণে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। 

আজকের তারাবি: যে সুরাকে আল্লাহ ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনি’ আখ্যা দিয়েছেন

এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে ফেতনা-বিপর্যয় সৃষ্টির কারণে শাস্তি, সামাজিক জীবনে শিষ্টাচার, মানুষের তাড়াহুড়া, নবীজির প্রতি তাহাজ্জুদের নির্দেশ, আল্লাহর সুন্দর নাম, বান্দার ডাকে আল্লাহর সাড়া, আল্লাহর সামনে যুক্তিতর্ক নিষেধ, নেয়ামতের শুকরিয়া আদায়, প্রাণ হত্যা ও সততার সঙ্গে ব্যবসা ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রস্রাবের চাপ নিয়ে নামাজ আদায়ের বিধান

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৭
নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। ছবি: সংগৃহীত
নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। ছবি: সংগৃহীত

অনেক সময় মসজিদে জামাত শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের বেগ বা চাপ অনুভূত হয়। এ অবস্থায় নামাজ আদায় বা জামাতে শরিক হওয়ার বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে—

চাপের পরিমাণ ও বিধান: যদি প্রস্রাবের চাপ খুব সামান্য হয় এবং তাতে নামাজের মনোযোগ বা একাগ্রতা (খুশুখুজু) বিঘ্নিত না হয়, তবে ওই অবস্থায় নামাজ আদায় দোষণীয় নয়। কিন্তু চাপের পরিমাণ যদি এমন হয় যে মনোযোগসহকারে নামাজ আদায় কঠিন হয়ে পড়ে, তবে জামাত ছেড়ে দিয়ে আগে হাজত বা জরুরত সেরে নেওয়া আবশ্যক। কারণ, প্রস্রাবের তীব্র চাপ নিয়ে নামাজ আদায় মাকরুহ।

হাদিসের নির্দেশনা: প্রস্রাবের বেগ নিয়ে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ও পরকালের বিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য প্রস্রাবের চাপ থেকে স্বস্তি লাভ করা পর্যন্ত নামাজ আদায় বৈধ নয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৯১)। অন্য এক হাদিসে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর তোমাদের কারও শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সে যেন আগে তা সেরে নেয়।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৮৮)

নামাজের মূল প্রাণ হলো আল্লাহর সামনে বিনয় ও একাগ্রতার সঙ্গে দাঁড়ানো। শারীরিক অস্বস্তি নিয়ে নামাজ আদায় করলে একাগ্রতা বজায় থাকে না। তাই আগে প্রয়োজন সেরে, নতুনভাবে অজু করে নামাজ আদায় করাই উত্তম; এতে জামাত ছুটে গেলেও পরে একা বা অন্য জামাতে আদায় করা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০১ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৫ মিনিট
ফজর০৫: ১৬ মিনিট০৬: ৩৬ মিনিট
জোহর১১: ৫৮ মিনিট০৩: ৪০ মিনিট
আসর০৩: ৪১ মিনিট০৫: ১৬ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৮ মিনিট০৬: ৩৭ মিনিট
এশা০৬: ৩৮ মিনিট০৫: ১৫ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১১
ছবি: বাসস
ছবি: বাসস

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতকালে মুমিনের আত্মিক শিক্ষা ও নৈতিক দায়িত্ব

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭: ৫০
শীতকালে মুমিনের আত্মিক শিক্ষা ও নৈতিক দায়িত্ব

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)

ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।

শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।

শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।

শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত