Ajker Patrika

আজকের তারাবি-৯: যে সুরাকে আল্লাহ ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনি’ আখ্যা দিয়েছেন

রায়হান রাশেদ
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৫, ১৪: ২২
আজকের তারাবি-৯: যে সুরাকে আল্লাহ ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনি’ আখ্যা দিয়েছেন

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১২ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হুদের ৬ থেকে সুরা ইউসুফের ৫২ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে সৃষ্টিতত্ত্ব, পূর্ববর্তী নবীদের দাওয়াত, তাঁদের প্রতি নিজ সম্প্রদায়ের বিরূপ আচরণ, কাফেরদের প্রতি আল্লাহর আজাব এবং ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্পসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—

সব প্রাণের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর
আজকের তারাবিতে প্রথম তিলাওয়াত হবে রিজিক সম্পর্কিত আয়াত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই।’ (সুরা হুদ: ৬) 

পৃথিবীর জলে-স্থলে, বৃক্ষে-লতাগুল্মে আর বনে, গুহায়-গর্তে, আকাশে এবং পাতালে; যত স্থান হতে পারে এবং যত স্থানে প্রাণী থাকতে পারে, তাদের প্রত্যেকের আহারের ব্যবস্থা আল্লাহ তাআলা করে রেখেছেন। আকাশে বিচরণকারী সৃষ্টিজীবের জন্যও খাবার আছে। গভীর সমুদ্রের তলদেশে অবস্থানকারী প্রাণীও সময়মতো খাবার পাচ্ছে। গর্তের ক্ষুদ্র পিপীলিকা কিংবা এর চেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীও আহার পাচ্ছে। মায়ের উদরে জন্ম নেওয়া শিশুর খাবার, ভূমিষ্ঠ শিশুর জন্য মায়ের বুকে দুধ—সবই আল্লাহর দায়িত্বে। সবার রিজিকদাতা তিনি। কারণ তিনি সব প্রাণীর মালিক। সকল প্রাণী তার দাস। তাই রিজিক নিয়ে কখনো ভয় করা যাবে না। 

অনেকে আয়-রোজগার বা ভালো আর্থিক সুবিধার অজুহাতে বিয়ে করতে চান না, সন্তান নিতে চান না, এমন বিশ্বাস ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষ বা প্রাণী সৃষ্টি করেছেন মানে তাকে রিজিক দেবেন। তাকে খাবার দেবেন। মানুষের কাজ হচ্ছে চেষ্টা করে যাওয়া। রিজিক অনুসন্ধান করা। 

তবে আল্লাহ রিজিকের জিম্মাদার—কথাটির অর্থ এই নয় যে মানুষ তার জীবিকার জন্য আল্লাহর ওপর নির্ভর করে বসে থাকবে; বরং জীবিকার জন্য সবাইকে আল্লাহর ওপর ভরসা করে চেষ্টা চালাতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে রিজিক খুঁজে নিতে হবে।

আল্লাহ ছাড়া কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না
অদৃশ্যের খবর শুধু আল্লাহ তাআলা জানেন। তিনি ছাড়া পৃথিবীর কোনো নবী-রাসুল, ফেরেশতা, জিন, পীর-মাশায়েখ-আলেম; কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না। অনেকে মনে করেন, নবীরা গায়েবের (অদৃশ্য) খবর জানেন, এমন বিশ্বাস রাখলে ইমান থাকবে না। গায়েব তো ওই জ্ঞান, যা কোনো মাধ্যম ছাড়া সরাসরি জানা থাকে। মাধ্যম ছাড়া কোনো কিছু সরাসরি জানা একমাত্র আল্লাহর পক্ষেই সম্ভব। সৃষ্টির পক্ষে তা সম্ভব নয়। সৃষ্টি জ্ঞান লাভ করে বিভিন্ন মাধ্যমে। আল্লাহ নবীদের যা জানাতেন, তা জানতেন। মানুষকে যা জানান, তারা তা জানেন। এর বাইরে কোনো কিছু জানার ক্ষমতা কারও নেই।

গায়েবের মালিক একমাত্র আল্লাহ। অদৃশ্য জগৎ ও ভূপৃষ্ঠের অতি ক্ষুদ্র বিষয়েও তিনি অবগত। অণু-পরমাণু সম্পর্কেও মহান আল্লাহ অবগত আছেন। আর গায়েবের জ্ঞানীও একমাত্র তিনি। এটা ইসলামের বিশ্বাসসমূহের একটি। এ বিষয়টি কোরআনে কারিমের আরও বহু আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এটি গায়েবের খবর, আমি আপনার প্রতি অহি প্রেরণ করছি। এর আগে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না।’ (সুরা হুদ: ৪৯) 

কোরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনি—সুরা ইউসুফ
সুরা ইউসুফ মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১১। পবিত্র কোরআনের ১২ তম সুরা এটি। এ সুরায় ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনা বিবৃত হয়েছে, সে দৃষ্টিকোণ থেকে এই সুরার নাম সুরা ইউসুফ রাখা হয়েছে। আল্লাহ নিজে নবী ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনাকে ‘আহসানুল কাসাস’ তথা ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনি’ আখ্যায়িত করেছেন। এ সুরায় তাঁর ঘটনা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্য নবী-রাসুলদের ঘটনা কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় খণ্ড খণ্ডভাবে এবং একাধিকবার একই ঘটনা বর্ণিত হলেও নবী ইউসুফের বেলায় তা করা হয়নি। 

ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্প
সুরা ইউসুফে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নবী ইউসুফ (আ.)-এর শৈশব, কৈশোর ও পরিণত বয়সের ঘটনা পূর্ণাঙ্গ ধারাবাহিকভাবে বলা হয়েছে। ইয়াকুব (আ.)-এর ছিল বারো সন্তান। তাঁদের মধ্যে ইউসুফ ছিলেন অসম্ভব সুন্দর। তাঁর আচরণও ছিল মনে ধরার মতো। বাবা তাঁকে বেশ ভালোবাসতেন। ভালোবাসার অন্যতম কারণ হলো, ইউসুফ শৈশবে একটি বিস্ময়কর স্বপ্ন দেখেন, যা ছিল তার নবী হওয়ার শুভ বার্তা। এ ছাড়া ইউসুফ ছিলেন মা হারানো এতিম বালক ও ভাইদের মধ্যে ছোট। ইউসুফের প্রতি বাবার তুমুল ভালোবাসায় অন্য ভাইয়েরা হিংসায় জ্বলত। একদিন তারা বাবাকে বিনোদনের কথা বলে ইউসুফ (আ.)-কে নিয়ে জঙ্গলের কোনো এক কূপে ফেলে দেয়। তারা এসে বাবাকে ইউসুফের মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ দেয়। পুত্র শোকে কাঁদতে কাঁদতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন ইয়াকুব (আ.)। 

সেই পথ ফেরা একটি কাফেলা পানির প্রয়োজনে কূপ থেকে বালতি ওঠাতেই ফুটফুটে সুন্দর ইউসুফকে দেখতে পায়। তারা তাঁকে মিসরে বিক্রি করে দেয়। মিসরের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কিনে নিয়ে যান। সেখানেই সে বড় থাকে। একদিন যৌবনে পা রাখেন ইউসুফ। সেসময় আজিজে মিসরের স্ত্রী জুলেখা ইউসুফের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তিনি ইউসুফকে খারাপ কাজের প্রতি আহ্বান করেন, ইউসুফ তা প্রত্যাখ্যান করেন। 

জুলেখার সম্মান রক্ষায় মিথ্যা মামলায় ইউসুফকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেখানে ইউসুফ আল্লাহর পথে মানুষকে দাওয়াত দেন। অনেকে দাওয়াত গ্রহণ করে। সেসময় বাদশা একটি আশ্চর্য স্বপ্ন দেখেন। ইউসুফ সেই স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা দেন। ইউসুফের প্রতি বাদশাহর নজর পড়ে। কারাগার থেকে তাঁর মুক্তি মেলে। জুলেখা কর্তৃক অপবাদে ইউসুফের নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া, মিসরের মন্ত্রী হওয়া, বাবা ইয়াকুবের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া, বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ ইত্যাদি কাহিনি আগামীকাল তারাবিতে তিলাওয়াত করা হবে। 

এ ছাড়াও কোরআনের ব্যাপারে কাফেরদের সংশয়, দৃঢ়তার সঙ্গে ইসলামে অটল থাকা, জাতীয় জীবনে বিপর্যয়ের কারণ, বান্দার জন্য আল্লাহর পুরস্কার ইত্যাদি বিষয় আজকের তারাবির অংশে আলোচিত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক আজ

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১১
ছবি: বাসস
ছবি: বাসস

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক বসছে আজ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও রজব মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-৪১০৫৩২৯৪, ০২-২২৬৬৪০৫১০ ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ টেলিফোন নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতকালে মুমিনের আত্মিক শিক্ষা ও নৈতিক দায়িত্ব

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ 
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭: ৫০
শীতকালে মুমিনের আত্মিক শিক্ষা ও নৈতিক দায়িত্ব

শীতকাল কেবল আবহাওয়ার একটি পরিবর্তন নয়, বরং এটি মুমিনের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক প্রশিক্ষণের এক বিশেষ ঋতু। প্রকৃতির এই পরিবর্তন আমাদের মহান আল্লাহর অসীম মহিমা ও শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে তিনি ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে এবং রাত ও দিনের পালাবদলে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা নুর: ৪৪)

ইসলামে সুস্থতার গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন সবল ও সুস্থ মুমিন আল্লাহর কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম)। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, তাই মুমিনের উচিত সতর্ক থাকা। পর্যাপ্ত উষ্ণ কাপড় পরিধান করা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, বিশুদ্ধ পানি পান এবং নিয়মিত হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে ইবাদতের উপযোগী রাখা জরুরি।

শীতকালকে মুমিনের ইবাদতের বসন্ত বলা হয়। কেননা এ সময় দিন ছোট হওয়ায় সহজে রোজা রাখা যায় এবং রাত দীর্ঘ হওয়ায় আরামের ঘুম বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।

শীতের তীব্রতায় সমাজের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে ভোগে। মুমিনের ইবাদত কেবল নামাজ-রোজায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং আর্তমানবতার সেবাও ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যা উপার্জন করো এবং যা আমি তোমাদের জন্য জমিন থেকে উৎপন্ন করেছি, তা থেকে উত্তম বস্তু ব্যয় করো।’ (সুরা বাকারা: ২৬৭)। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবী মানুষের দুঃখ দূর করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দুঃখ দূর করে দেবেন।’ (জামে তিরমিজি)। তাই সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ও খাদ্য দিয়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ইমানি দায়িত্ব।

শীতকাল আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির শিক্ষা দেয়। তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত এই ঋতুকে অবহেলায় না কাটিয়ে ইবাদত, আর্তমানবতার সেবা ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সার্থক করে তোলা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১৪ মিনিট
ফজর০৫: ১৫ মিনিট০৬: ৩৫ মিনিট
জোহর১১: ৫৭ মিনিট০৩: ৪০ মিনিট
আসর০৩: ৪১ মিনিট০৫: ১৫ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৭ মিনিট০৬: ৩৬ মিনিট
এশা০৬: ৩৭ মিনিট০৫: ১৪ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নূরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৯০.৩৬

ইসলাম ডেস্ক 
নূরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৯০.৩৬

নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড বাংলাদেশ (এনটিকিউবি) পরিচালিত তৃতীয় শ্রেণির ১৯তম সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বোর্ডের মোহাম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শায়খুল কোরআন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের পরিচালক মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন।

দেশের মোট ১ হাজার ১২টি কেন্দ্রে গত ২৯ নভেম্বর দেশব্যাপী একযোগে এই সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৫৩২ এবং পাসের হার ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা কালিমুল্লাহ জামিল হুসাইন বলেন, ‘দেশব্যাপী তরুণ আলেমদের কাছে অনুরোধ করছি, একটি নীরব সাধনায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। তা হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় নূরানি মাদ্রাসা, নূরানি স্কুল, নূরানি মক্তব ও ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের প্রতিটি সন্তানের কাছে দ্বীন শেখাকে সহজ থেকে সহজতর করতে হবে।’

পরীক্ষা বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব ইসমাইল বেলায়েত হুসাইন বলেন, ‘শিশুরা কাঁচা মাটির মতো। তাদের যেভাবে গড়ে তুলবেন, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে। আমরা দ্বীন ধর্ম ও মাতৃভূমির ভালোবাসায় সন্তানদের গড়ে তুলি। সুনাগরিক ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করে নূরানী বোর্ড।’

এদিকে অনুষ্ঠানে তরুণদের জন্য ‘শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) স্কলারশিপ’-এরও ঘোষণা দেওয়া হয়। ১০ লাখ টাকা সমমূল্যের এই স্কলারশিপ পাবেন ১০০ তরুণ। মনোনীত ১০০ তরুণ ১০ হাজার টাকা সমমূল্যের নূরানি মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্সটি বিনা মূল্যে করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আবু বকর, মাওলানা তারেক হুসাইনসহ নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ডের কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলেরা।

প্রসঙ্গত, শায়খুল কোরআন আল্লামা কারি বেলায়েত হুসাইন (রহ.) প্রতিষ্ঠিত এই বোর্ডটি দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলেও শিশু শিক্ষায় অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এই ধারার হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সারা দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত