ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

মহান আল্লাহ বিশেষ কৌশল ও অনুগ্রহের মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টির বিভিন্ন প্রক্রিয়া হতে পারত, তবে মহান আল্লাহ একটি বিশেষ প্রক্রিয়াই অবলম্বন করেছেন। তা হলো—পৃথিবীর সব মানুষকে আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি করে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও আত্মীয়তার সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি করে দিয়েছেন।
প্রথম মানব-মানবীর সৃষ্টি: মহান আল্লাহ এই সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। আকাশ, বাতাস, ভূমি, সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বত, বৃক্ষলতা, পশুপাখিসহ অনেক অপূর্ব সৃষ্টিতে সমৃদ্ধ পৃথিবীতে এরপর মানুষ পাঠিয়েছেন। প্রথমে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন, এরপর হাওয়া (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁদের মাধ্যমেই মানবজাতির বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন। আদম (আ.)-কে মাটি দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কাদামাটি থেকে মানুষ সৃষ্টির সূচনা।’ (সুরা সাজদাহ: ৭) এ বিষয়ে একাধিক আয়াত রয়েছে। এরপর তাঁর পাঁজর থেকে হাওয়া (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন। এরপর তাঁদের থেকেই পুরো মানবজাতি সৃষ্টি করেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি (আদম) থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনী (হাওয়া)-কে সৃষ্টি করেছেন আর বিস্তার করেছেন তাদের দুজন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। …’ (সুরা নিসা: ১)
আদম (আ.) থেকেই সভ্যতার বিকাশ: আসমান-জমিন, সৃষ্টি জগৎ এবং মানুষ সৃষ্টির বিষয়ে পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা শুধু মানুষ সৃষ্টি করেই ক্ষান্ত হননি; বরং তাদের সঠিক পথের সন্ধান এবং সভ্য ও সুনাগরিক হিসেবে বসবাসের দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য নির্বাচিত মানুষদের নবী ও রাসুল বানিয়েছেন; যাঁরা অহির মাধ্যমে মানবজাতিকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন। প্রথম মানুষ থেকেই যেন সভ্য মানুষের আবির্ভাব হয়, সে জন্যই প্রথম মানুষ আদম (আ.)-কেই আল্লাহ তাআলা নবুওয়ত দিয়েছেন। কাজেই প্রথম থেকেই মানুষ সভ্যতার সন্ধান পেয়েছে। সন্ধান পেয়েছে আল্লাহর পরিচয় লাভ করে তাঁর নির্দেশিত পথে পরিচালিত হওয়ার। তবে যখন মানুষ নবুওয়তের শিক্ষা পরিহার করে প্রবৃত্তির পথ অনুসরণ করেছে, তখনই অসভ্য ও বর্বরতার কালো থাবা তাদের গ্রাস করেছে।
অবাধ্যতার কারণে মানুষ বানর হয়েছে: বনি ইসরাইলের জন্য শনিবার ছিল ইবাদতের নির্দিষ্ট ও পবিত্র দিন। এ দিন তাদের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। তারা সমুদ্র-উপকূলের অধিবাসী হওয়ায় মাছ ধরা ছিল তাদের প্রিয় কাজ। এদিকে অন্যান্য দিনের তুলনায় শনিবারে সমুদ্রকূলে মাছ আসত বেশি। আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই তারা মাছ ধরতে থাকে। এতে আল্লাহ তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন এবং তাদের ওপর বানর ও শূকরে রূপান্তরিত হওয়ার আজাব নেমে আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘন করেছিল, তাদের অবশ্যই তোমরা চেনো। এরপর আমি তাদের বললাম, তোমরা নিকৃষ্ট বানর হয়ে যাও। এরপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি।’
(সুরা বাকারা: ৬৫-৬৬)
বানর থেকে মানুষ আসেনি: মানুষ ও বানর আল্লাহ তাআলার ভিন্ন দুটি সৃষ্টি। বানর মানুষ ছিল না এবং মানুষও বানর ছিল না। এরা সম্পূর্ণ পৃথক দুটি প্রজাতি। আল্লাহ তাআলা আজাবস্বরূপ কিছু মানুষকে বানর-শূকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছিলেন। রূপান্তরিত বানর পৃথিবীতে বংশবিস্তার করেনি। সে অবস্থাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি একবার রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের যুগের বানর ও শূকরগুলো কি সেই রূপান্তরিত সম্প্রদায়?’ নবী (সা.) উত্তরে বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা যখন কোনো সম্প্রদায়ের আকৃতি রূপান্তরিত করেন, তখন তাদের বংশ বিস্তার হয় না; অর্থাৎ তারা রূপান্তরিত অবস্থায়ই ধ্বংস হয়ে যায়।’ তিনি আরও বললেন, ‘বানর ও শূকর তো পৃথিবীতে আগেও ছিল।’ (মুসলিম: ২৬৬৩)
সব সৃষ্টির মধ্যে মানুষকে আল্লাহ তাআলা উত্তম অবয়বে ও উৎকৃষ্টভাবে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে।’
(সুরা ত্বিন: ৪)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মহান আল্লাহ বিশেষ কৌশল ও অনুগ্রহের মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টির বিভিন্ন প্রক্রিয়া হতে পারত, তবে মহান আল্লাহ একটি বিশেষ প্রক্রিয়াই অবলম্বন করেছেন। তা হলো—পৃথিবীর সব মানুষকে আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি করে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও আত্মীয়তার সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি করে দিয়েছেন।
প্রথম মানব-মানবীর সৃষ্টি: মহান আল্লাহ এই সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। আকাশ, বাতাস, ভূমি, সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বত, বৃক্ষলতা, পশুপাখিসহ অনেক অপূর্ব সৃষ্টিতে সমৃদ্ধ পৃথিবীতে এরপর মানুষ পাঠিয়েছেন। প্রথমে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন, এরপর হাওয়া (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁদের মাধ্যমেই মানবজাতির বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন। আদম (আ.)-কে মাটি দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কাদামাটি থেকে মানুষ সৃষ্টির সূচনা।’ (সুরা সাজদাহ: ৭) এ বিষয়ে একাধিক আয়াত রয়েছে। এরপর তাঁর পাঁজর থেকে হাওয়া (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন। এরপর তাঁদের থেকেই পুরো মানবজাতি সৃষ্টি করেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি (আদম) থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনী (হাওয়া)-কে সৃষ্টি করেছেন আর বিস্তার করেছেন তাদের দুজন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। …’ (সুরা নিসা: ১)
আদম (আ.) থেকেই সভ্যতার বিকাশ: আসমান-জমিন, সৃষ্টি জগৎ এবং মানুষ সৃষ্টির বিষয়ে পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা শুধু মানুষ সৃষ্টি করেই ক্ষান্ত হননি; বরং তাদের সঠিক পথের সন্ধান এবং সভ্য ও সুনাগরিক হিসেবে বসবাসের দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য নির্বাচিত মানুষদের নবী ও রাসুল বানিয়েছেন; যাঁরা অহির মাধ্যমে মানবজাতিকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন। প্রথম মানুষ থেকেই যেন সভ্য মানুষের আবির্ভাব হয়, সে জন্যই প্রথম মানুষ আদম (আ.)-কেই আল্লাহ তাআলা নবুওয়ত দিয়েছেন। কাজেই প্রথম থেকেই মানুষ সভ্যতার সন্ধান পেয়েছে। সন্ধান পেয়েছে আল্লাহর পরিচয় লাভ করে তাঁর নির্দেশিত পথে পরিচালিত হওয়ার। তবে যখন মানুষ নবুওয়তের শিক্ষা পরিহার করে প্রবৃত্তির পথ অনুসরণ করেছে, তখনই অসভ্য ও বর্বরতার কালো থাবা তাদের গ্রাস করেছে।
অবাধ্যতার কারণে মানুষ বানর হয়েছে: বনি ইসরাইলের জন্য শনিবার ছিল ইবাদতের নির্দিষ্ট ও পবিত্র দিন। এ দিন তাদের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। তারা সমুদ্র-উপকূলের অধিবাসী হওয়ায় মাছ ধরা ছিল তাদের প্রিয় কাজ। এদিকে অন্যান্য দিনের তুলনায় শনিবারে সমুদ্রকূলে মাছ আসত বেশি। আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই তারা মাছ ধরতে থাকে। এতে আল্লাহ তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন এবং তাদের ওপর বানর ও শূকরে রূপান্তরিত হওয়ার আজাব নেমে আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘন করেছিল, তাদের অবশ্যই তোমরা চেনো। এরপর আমি তাদের বললাম, তোমরা নিকৃষ্ট বানর হয়ে যাও। এরপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি।’
(সুরা বাকারা: ৬৫-৬৬)
বানর থেকে মানুষ আসেনি: মানুষ ও বানর আল্লাহ তাআলার ভিন্ন দুটি সৃষ্টি। বানর মানুষ ছিল না এবং মানুষও বানর ছিল না। এরা সম্পূর্ণ পৃথক দুটি প্রজাতি। আল্লাহ তাআলা আজাবস্বরূপ কিছু মানুষকে বানর-শূকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছিলেন। রূপান্তরিত বানর পৃথিবীতে বংশবিস্তার করেনি। সে অবস্থাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি একবার রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের যুগের বানর ও শূকরগুলো কি সেই রূপান্তরিত সম্প্রদায়?’ নবী (সা.) উত্তরে বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা যখন কোনো সম্প্রদায়ের আকৃতি রূপান্তরিত করেন, তখন তাদের বংশ বিস্তার হয় না; অর্থাৎ তারা রূপান্তরিত অবস্থায়ই ধ্বংস হয়ে যায়।’ তিনি আরও বললেন, ‘বানর ও শূকর তো পৃথিবীতে আগেও ছিল।’ (মুসলিম: ২৬৬৩)
সব সৃষ্টির মধ্যে মানুষকে আল্লাহ তাআলা উত্তম অবয়বে ও উৎকৃষ্টভাবে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে।’
(সুরা ত্বিন: ৪)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

মহান আল্লাহ বিশেষ কৌশল ও অনুগ্রহের মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টির বিভিন্ন প্রক্রিয়া হতে পারত, তবে মহান আল্লাহ একটি বিশেষ প্রক্রিয়াই অবলম্বন করেছেন। তা হলো—পৃথিবীর সব মানুষকে আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি করে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও আত্মীয়তার সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি করে দিয়েছেন।
প্রথম মানব-মানবীর সৃষ্টি: মহান আল্লাহ এই সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। আকাশ, বাতাস, ভূমি, সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বত, বৃক্ষলতা, পশুপাখিসহ অনেক অপূর্ব সৃষ্টিতে সমৃদ্ধ পৃথিবীতে এরপর মানুষ পাঠিয়েছেন। প্রথমে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন, এরপর হাওয়া (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁদের মাধ্যমেই মানবজাতির বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন। আদম (আ.)-কে মাটি দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কাদামাটি থেকে মানুষ সৃষ্টির সূচনা।’ (সুরা সাজদাহ: ৭) এ বিষয়ে একাধিক আয়াত রয়েছে। এরপর তাঁর পাঁজর থেকে হাওয়া (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন। এরপর তাঁদের থেকেই পুরো মানবজাতি সৃষ্টি করেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি (আদম) থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনী (হাওয়া)-কে সৃষ্টি করেছেন আর বিস্তার করেছেন তাদের দুজন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। …’ (সুরা নিসা: ১)
আদম (আ.) থেকেই সভ্যতার বিকাশ: আসমান-জমিন, সৃষ্টি জগৎ এবং মানুষ সৃষ্টির বিষয়ে পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা শুধু মানুষ সৃষ্টি করেই ক্ষান্ত হননি; বরং তাদের সঠিক পথের সন্ধান এবং সভ্য ও সুনাগরিক হিসেবে বসবাসের দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য নির্বাচিত মানুষদের নবী ও রাসুল বানিয়েছেন; যাঁরা অহির মাধ্যমে মানবজাতিকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন। প্রথম মানুষ থেকেই যেন সভ্য মানুষের আবির্ভাব হয়, সে জন্যই প্রথম মানুষ আদম (আ.)-কেই আল্লাহ তাআলা নবুওয়ত দিয়েছেন। কাজেই প্রথম থেকেই মানুষ সভ্যতার সন্ধান পেয়েছে। সন্ধান পেয়েছে আল্লাহর পরিচয় লাভ করে তাঁর নির্দেশিত পথে পরিচালিত হওয়ার। তবে যখন মানুষ নবুওয়তের শিক্ষা পরিহার করে প্রবৃত্তির পথ অনুসরণ করেছে, তখনই অসভ্য ও বর্বরতার কালো থাবা তাদের গ্রাস করেছে।
অবাধ্যতার কারণে মানুষ বানর হয়েছে: বনি ইসরাইলের জন্য শনিবার ছিল ইবাদতের নির্দিষ্ট ও পবিত্র দিন। এ দিন তাদের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। তারা সমুদ্র-উপকূলের অধিবাসী হওয়ায় মাছ ধরা ছিল তাদের প্রিয় কাজ। এদিকে অন্যান্য দিনের তুলনায় শনিবারে সমুদ্রকূলে মাছ আসত বেশি। আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই তারা মাছ ধরতে থাকে। এতে আল্লাহ তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন এবং তাদের ওপর বানর ও শূকরে রূপান্তরিত হওয়ার আজাব নেমে আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘন করেছিল, তাদের অবশ্যই তোমরা চেনো। এরপর আমি তাদের বললাম, তোমরা নিকৃষ্ট বানর হয়ে যাও। এরপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি।’
(সুরা বাকারা: ৬৫-৬৬)
বানর থেকে মানুষ আসেনি: মানুষ ও বানর আল্লাহ তাআলার ভিন্ন দুটি সৃষ্টি। বানর মানুষ ছিল না এবং মানুষও বানর ছিল না। এরা সম্পূর্ণ পৃথক দুটি প্রজাতি। আল্লাহ তাআলা আজাবস্বরূপ কিছু মানুষকে বানর-শূকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছিলেন। রূপান্তরিত বানর পৃথিবীতে বংশবিস্তার করেনি। সে অবস্থাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি একবার রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের যুগের বানর ও শূকরগুলো কি সেই রূপান্তরিত সম্প্রদায়?’ নবী (সা.) উত্তরে বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা যখন কোনো সম্প্রদায়ের আকৃতি রূপান্তরিত করেন, তখন তাদের বংশ বিস্তার হয় না; অর্থাৎ তারা রূপান্তরিত অবস্থায়ই ধ্বংস হয়ে যায়।’ তিনি আরও বললেন, ‘বানর ও শূকর তো পৃথিবীতে আগেও ছিল।’ (মুসলিম: ২৬৬৩)
সব সৃষ্টির মধ্যে মানুষকে আল্লাহ তাআলা উত্তম অবয়বে ও উৎকৃষ্টভাবে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে।’
(সুরা ত্বিন: ৪)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মহান আল্লাহ বিশেষ কৌশল ও অনুগ্রহের মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টির বিভিন্ন প্রক্রিয়া হতে পারত, তবে মহান আল্লাহ একটি বিশেষ প্রক্রিয়াই অবলম্বন করেছেন। তা হলো—পৃথিবীর সব মানুষকে আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি করে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও আত্মীয়তার সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি করে দিয়েছেন।
প্রথম মানব-মানবীর সৃষ্টি: মহান আল্লাহ এই সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। আকাশ, বাতাস, ভূমি, সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বত, বৃক্ষলতা, পশুপাখিসহ অনেক অপূর্ব সৃষ্টিতে সমৃদ্ধ পৃথিবীতে এরপর মানুষ পাঠিয়েছেন। প্রথমে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন, এরপর হাওয়া (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁদের মাধ্যমেই মানবজাতির বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন। আদম (আ.)-কে মাটি দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কাদামাটি থেকে মানুষ সৃষ্টির সূচনা।’ (সুরা সাজদাহ: ৭) এ বিষয়ে একাধিক আয়াত রয়েছে। এরপর তাঁর পাঁজর থেকে হাওয়া (আ.)-কে সৃষ্টি করেছেন। এরপর তাঁদের থেকেই পুরো মানবজাতি সৃষ্টি করেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি (আদম) থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনী (হাওয়া)-কে সৃষ্টি করেছেন আর বিস্তার করেছেন তাদের দুজন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। …’ (সুরা নিসা: ১)
আদম (আ.) থেকেই সভ্যতার বিকাশ: আসমান-জমিন, সৃষ্টি জগৎ এবং মানুষ সৃষ্টির বিষয়ে পবিত্র কোরআনে অসংখ্য আয়াত রয়েছে। আল্লাহ তাআলা শুধু মানুষ সৃষ্টি করেই ক্ষান্ত হননি; বরং তাদের সঠিক পথের সন্ধান এবং সভ্য ও সুনাগরিক হিসেবে বসবাসের দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য নির্বাচিত মানুষদের নবী ও রাসুল বানিয়েছেন; যাঁরা অহির মাধ্যমে মানবজাতিকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছেন। প্রথম মানুষ থেকেই যেন সভ্য মানুষের আবির্ভাব হয়, সে জন্যই প্রথম মানুষ আদম (আ.)-কেই আল্লাহ তাআলা নবুওয়ত দিয়েছেন। কাজেই প্রথম থেকেই মানুষ সভ্যতার সন্ধান পেয়েছে। সন্ধান পেয়েছে আল্লাহর পরিচয় লাভ করে তাঁর নির্দেশিত পথে পরিচালিত হওয়ার। তবে যখন মানুষ নবুওয়তের শিক্ষা পরিহার করে প্রবৃত্তির পথ অনুসরণ করেছে, তখনই অসভ্য ও বর্বরতার কালো থাবা তাদের গ্রাস করেছে।
অবাধ্যতার কারণে মানুষ বানর হয়েছে: বনি ইসরাইলের জন্য শনিবার ছিল ইবাদতের নির্দিষ্ট ও পবিত্র দিন। এ দিন তাদের জন্য মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। তারা সমুদ্র-উপকূলের অধিবাসী হওয়ায় মাছ ধরা ছিল তাদের প্রিয় কাজ। এদিকে অন্যান্য দিনের তুলনায় শনিবারে সমুদ্রকূলে মাছ আসত বেশি। আল্লাহর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই তারা মাছ ধরতে থাকে। এতে আল্লাহ তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন এবং তাদের ওপর বানর ও শূকরে রূপান্তরিত হওয়ার আজাব নেমে আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘন করেছিল, তাদের অবশ্যই তোমরা চেনো। এরপর আমি তাদের বললাম, তোমরা নিকৃষ্ট বানর হয়ে যাও। এরপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি।’
(সুরা বাকারা: ৬৫-৬৬)
বানর থেকে মানুষ আসেনি: মানুষ ও বানর আল্লাহ তাআলার ভিন্ন দুটি সৃষ্টি। বানর মানুষ ছিল না এবং মানুষও বানর ছিল না। এরা সম্পূর্ণ পৃথক দুটি প্রজাতি। আল্লাহ তাআলা আজাবস্বরূপ কিছু মানুষকে বানর-শূকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছিলেন। রূপান্তরিত বানর পৃথিবীতে বংশবিস্তার করেনি। সে অবস্থাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি একবার রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাদের যুগের বানর ও শূকরগুলো কি সেই রূপান্তরিত সম্প্রদায়?’ নবী (সা.) উত্তরে বললেন, ‘আল্লাহ তাআলা যখন কোনো সম্প্রদায়ের আকৃতি রূপান্তরিত করেন, তখন তাদের বংশ বিস্তার হয় না; অর্থাৎ তারা রূপান্তরিত অবস্থায়ই ধ্বংস হয়ে যায়।’ তিনি আরও বললেন, ‘বানর ও শূকর তো পৃথিবীতে আগেও ছিল।’ (মুসলিম: ২৬৬৩)
সব সৃষ্টির মধ্যে মানুষকে আল্লাহ তাআলা উত্তম অবয়বে ও উৎকৃষ্টভাবে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে।’
(সুরা ত্বিন: ৪)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৩ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

মহান আল্লাহ বিশেষ কৌশল ও অনুগ্রহের মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টির বিভিন্ন প্রক্রিয়া হতে পারত, তবে মহান আল্লাহ একটি বিশেষ প্রক্রিয়াই অবলম্বন করেছেন। তা হলো—পৃথিবীর সব মানুষকে আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি করে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও আত্মীয়তার সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৩ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এই জোড়ে তাঁরাই অংশগ্রহণ করবেন, যাঁরা আল্লাহর রাস্তায় এক চিল্লা, তিন চিল্লা ও বিদেশ সফরের উদ্দেশ্যে বের হবেন এবং যাঁরা মেহনতের মাধ্যমে সাথিদের এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
একটি মহল শুরায়ি নেজামের এই খুরুজের জোড়কে বিশ্ব ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করে হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, এটি কোনো ইজতেমা নয়; বরং সীমিত পরিসরে খুরুজের প্রস্তুতিমূলক জোড়।
এদিকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী টঙ্গীতে ৫৯তম বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর তা আয়োজন করা হবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ি নেজাম) গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেছে।

মহান আল্লাহ বিশেষ কৌশল ও অনুগ্রহের মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টির বিভিন্ন প্রক্রিয়া হতে পারত, তবে মহান আল্লাহ একটি বিশেষ প্রক্রিয়াই অবলম্বন করেছেন। তা হলো—পৃথিবীর সব মানুষকে আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি করে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও আত্মীয়তার সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৪ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বহরের প্রতিটি ফ্লাইটে এখন থেকে এই বিশেষ পকেট জায়নামাজ পাওয়া যাবে। ফার্স্ট ক্লাস, বিজনেস ক্লাস কিংবা ইকোনমি—সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। ফ্লাইট চলাকালে নামাজের প্রয়োজন হলে যাত্রীরা কর্তব্যরত কেবিন ক্রুদের কাছে অনুরোধ করলেই দ্রুত এই জায়নামাজ সরবরাহ করা হবে।
এমিরেটস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে জায়নামাজটির মান ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

মহান আল্লাহ বিশেষ কৌশল ও অনুগ্রহের মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টির বিভিন্ন প্রক্রিয়া হতে পারত, তবে মহান আল্লাহ একটি বিশেষ প্রক্রিয়াই অবলম্বন করেছেন। তা হলো—পৃথিবীর সব মানুষকে আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি করে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও আত্মীয়তার সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৩ ঘণ্টা আগে
শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
১১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

শীতকালে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপে অনেকেই কানটুপি, উলের টুপি কিংবা হুডি পরে থাকেন। এসব পরিধান করা অবস্থায় অনেক সময় নামাজের সময় হয়ে যায়। তাই নানা সময়ে মনে প্রশ্ন জাগে, শীতের টুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে?
ইসলামের বিধান হলো, নামাজে মাথা ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়, বরং এটি নামাজের আদব ও সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাধারণত মাথা ঢেকেই নামাজ আদায় করতেন। আবু দাউদ শরিফে এসেছে, নবীজি (সা.) পাগড়ি পরিহিত অবস্থায় নামাজ আদায় করতেন। ফিকহের দৃষ্টিতে কানটুপি, উলের টুপি বা সাধারণ টুপি—সবই মাথা ঢাকার পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং, শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কানটুপি পরে নামাজ আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
কানটুপি বা হুডি পরে নামাজ আদায় করার সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি—সেটি হলো সিজদা। সিজদার সময় কপাল সরাসরি মাটিতে বা জায়নামাজে লাগানো আবশ্যক। যদি টুপিটি এমনভাবে পরা হয়, যা কপালকে ঢেকে রাখে এবং মাটিতে কপাল ঠেকতে বাধা দেয়, তবে সিজদা অপূর্ণ থেকে যেতে পারে। তাই সিজদার সময় কপাল উন্মুক্ত রাখা উত্তম। তবে কপাল সামান্য আবৃত থাকলেও নামাজ হয়ে যাবে।
শীত থেকে বাঁচতে নাক-মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা অনুচিত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুখ ঢেকে নামাজ আদায় করা মাকরুহ। তাই কান ও গলা আবৃত থাকলেও নাক-মুখ খোলা রাখা উচিত।
তাই শৈত্যপ্রবাহের সময় নিশ্চিন্তে কানটুপি পরা যাবে যদি টুপিটি পবিত্র (পাক-সাফ) হয়, এটি অহংকার বা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে না হয়ে কেবল শীত নিবারণের জন্য হয় এবং সিজদার সময় কপাল মাটিতে স্থাপনে কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।

মহান আল্লাহ বিশেষ কৌশল ও অনুগ্রহের মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টির বিভিন্ন প্রক্রিয়া হতে পারত, তবে মহান আল্লাহ একটি বিশেষ প্রক্রিয়াই অবলম্বন করেছেন। তা হলো—পৃথিবীর সব মানুষকে আদম (আ.) থেকে সৃষ্টি করে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও আত্মীয়তার সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ি নেজাম) ব্যবস্থাপনায় খুরুজের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
৩ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে ভ্রমণরত মুসলিম যাত্রীদের ধর্মীয় প্রয়োজনীয়তা ও স্বাচ্ছন্দ্যকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন উন্নত সংস্করণের পকেট জায়নামাজ চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইনস। আগের সংস্করণের তুলনায় জায়নামাজটি অধিক টেকসই ও আরামদায়ক হলেও এটি ওজনে হালকা এবং বহনে অত্যন্ত সুবিধাজনক।
৪ ঘণ্টা আগে