মাহমুদ হাসান ফাহিম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়। এমন কিছুও আমাদের দেখতে হয়, যার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত নই বা যা দিয়ে আমাদের কোনো উপকার নেই। তার ওপর সংযমের মাস রমজানে একজন রোজাদারের প্রধান দায়িত্বই হলো গুনাহ ও অহেতুক কাজমুক্ত একটি পবিত্র জীবন। তাই রোজাদারদের ব্যক্তিজীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রয়েছে দুটো দিক—আলো ও অন্ধকার। এখন ব্যবহারকারী আলোর পথে হাঁটবে, নাকি অন্ধকার ও গুনাহের অলিগলিতে ঘুরে নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে, সেটি একান্তই তার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। তবে একজন মুসলমান ও রোজাদার হিসেবে এসবের ব্যবহারে আমাদের রয়েছে অনেক করণীয় ও বর্জনীয়।
প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে আমাদের অবশ্যই উপকারী ও কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই হারাম ও ক্ষতিকর কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় গুনাহের কাজ। যেমন অশ্লীলতার বিস্তার ঘটানো, গুনাহের উপাদান প্রচার করা, গিবত করা, গালাগালি করা, কাউকে অপমান ও অপদস্থ করা, ট্রল করা, ভুয়া তথ্য প্রচার করা, কারও প্রতি মিথ্যা অপবাদ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা, দাঙ্গা-সংঘাত উসকে দেওয়ার জন্য গুজব ছড়ানো, কারও ব্যক্তিজীবনের দোষত্রুটি ফাঁস করা, গুনাহের কাজের ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ও নিন্দনীয়। এগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তো সমাজ ও দেশের প্রচলিত আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন বিষয় পোস্ট করা, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করা কিংবা সময় কাটানোর জন্য অহেতুক স্ক্রল করা, অপ্রয়োজনীয় ছবি-ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করা ইসলামের দৃষ্টিতে অনর্থক কাজ। এর মাধ্যমে সময়, শ্রম, অর্থ ও মেধা সবকিছুরই অপচয় হয়। ইসলামের সৌন্দর্য হলো অযথা ও অনর্থক যাবতীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘অনর্থক বিষয় পরিত্যাগ করা ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য।’ (তিরমিজি: ২৩১৭; ইবনে মাজাহ: ৩৯৭৬)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো চোখের গুনাহ। ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক ইত্যাদি মাধ্যমে এখন না চাইলেও অনেক গুনাহের ছবি-ভিডিও চলে আসে, যা ব্যবহারকারীর জন্য চোখের গুনাহের কারণ হয়। চোখের গুনাহের ভয়াবহতা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘চোখে দেখা, তাকানো বা হারাম দৃষ্টিপাত করা চোখের জেনা; যা নিঃসন্দেহে ইবাদত-বন্দেগিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।’ (মুসলিম: ২৬৫৭) সুতরাং রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবং নিজেকে আল্লাহর খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে এসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। আর এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার।
স্বাভাবিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় অপচয় করা ও নেশার মতো লেগে থাকা উচিত নয়। এর কারণে ইবাদত-বন্দেগিতে অলসতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। পবিত্র রমজান মাসে বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। কারণ রমজান মাস ইবাদত-বন্দেগি ও গুনাহ মাফের মাস। এখানে ফেলে আসা জীবনের ভুল-ভ্রান্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, সুন্দর আগামীর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির করা এবং তওবা-ইস্তিগফার করা আমাদের ইমানি দায়িত্ব। তাই রোজাদার হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের এমন পরিকল্পনা করা দরকার, আমরা খুবই প্রয়োজন ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় নষ্ট করব না। কোনো প্রয়োজন না থাকলে এক মাসের জন্য তা বন্ধ রাখাও যায়। সদিচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব।
ইসলামে সময়ের মূল্য অনুধাবন করতে হবে। সময়ের দাম কত বেশি, তা নবী (সা.) সাহাবিদের শিখিয়েছেন। তিনি তাঁদের পাঁচটি জিনিসকে পরের পাঁচটি জিনিস আসার আগে মূল্যায়ন করতে বলেছেন। এর মধ্যে দুটি হলো—অবসর সময়কে ব্যস্ততা আসার আগে এবং জীবনকে মৃত্যুর আগে মূল্যায়ন করা। (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৮০৫৮)

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়। এমন কিছুও আমাদের দেখতে হয়, যার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত নই বা যা দিয়ে আমাদের কোনো উপকার নেই। তার ওপর সংযমের মাস রমজানে একজন রোজাদারের প্রধান দায়িত্বই হলো গুনাহ ও অহেতুক কাজমুক্ত একটি পবিত্র জীবন। তাই রোজাদারদের ব্যক্তিজীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের রয়েছে দুটো দিক—আলো ও অন্ধকার। এখন ব্যবহারকারী আলোর পথে হাঁটবে, নাকি অন্ধকার ও গুনাহের অলিগলিতে ঘুরে নিজের ধ্বংস ডেকে আনবে, সেটি একান্তই তার ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। তবে একজন মুসলমান ও রোজাদার হিসেবে এসবের ব্যবহারে আমাদের রয়েছে অনেক করণীয় ও বর্জনীয়।
প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে আমাদের অবশ্যই উপকারী ও কল্যাণকর কাজে ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই হারাম ও ক্ষতিকর কাজে ব্যবহার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যা ইসলামের দৃষ্টিতে বড় গুনাহের কাজ। যেমন অশ্লীলতার বিস্তার ঘটানো, গুনাহের উপাদান প্রচার করা, গিবত করা, গালাগালি করা, কাউকে অপমান ও অপদস্থ করা, ট্রল করা, ভুয়া তথ্য প্রচার করা, কারও প্রতি মিথ্যা অপবাদ ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা, দাঙ্গা-সংঘাত উসকে দেওয়ার জন্য গুজব ছড়ানো, কারও ব্যক্তিজীবনের দোষত্রুটি ফাঁস করা, গুনাহের কাজের ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ ও নিন্দনীয়। এগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তো সমাজ ও দেশের প্রচলিত আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন বিষয় পোস্ট করা, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করা কিংবা সময় কাটানোর জন্য অহেতুক স্ক্রল করা, অপ্রয়োজনীয় ছবি-ভিডিও দেখে সময় নষ্ট করা ইসলামের দৃষ্টিতে অনর্থক কাজ। এর মাধ্যমে সময়, শ্রম, অর্থ ও মেধা সবকিছুরই অপচয় হয়। ইসলামের সৌন্দর্য হলো অযথা ও অনর্থক যাবতীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘অনর্থক বিষয় পরিত্যাগ করা ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য।’ (তিরমিজি: ২৩১৭; ইবনে মাজাহ: ৩৯৭৬)
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো চোখের গুনাহ। ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক ইত্যাদি মাধ্যমে এখন না চাইলেও অনেক গুনাহের ছবি-ভিডিও চলে আসে, যা ব্যবহারকারীর জন্য চোখের গুনাহের কারণ হয়। চোখের গুনাহের ভয়াবহতা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘চোখে দেখা, তাকানো বা হারাম দৃষ্টিপাত করা চোখের জেনা; যা নিঃসন্দেহে ইবাদত-বন্দেগিতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।’ (মুসলিম: ২৬৫৭) সুতরাং রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবং নিজেকে আল্লাহর খাঁটি বান্দা হিসেবে গড়ে তুলতে এসব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। আর এর জন্য প্রয়োজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার।
স্বাভাবিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় অপচয় করা ও নেশার মতো লেগে থাকা উচিত নয়। এর কারণে ইবাদত-বন্দেগিতে অলসতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, ইসলামি জ্ঞানচর্চা এবং নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবহেলার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। পবিত্র রমজান মাসে বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। কারণ রমজান মাস ইবাদত-বন্দেগি ও গুনাহ মাফের মাস। এখানে ফেলে আসা জীবনের ভুল-ভ্রান্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, সুন্দর আগামীর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, বেশি বেশি নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির করা এবং তওবা-ইস্তিগফার করা আমাদের ইমানি দায়িত্ব। তাই রোজাদার হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের এমন পরিকল্পনা করা দরকার, আমরা খুবই প্রয়োজন ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় নষ্ট করব না। কোনো প্রয়োজন না থাকলে এক মাসের জন্য তা বন্ধ রাখাও যায়। সদিচ্ছা থাকলে সবকিছুই সম্ভব।
ইসলামে সময়ের মূল্য অনুধাবন করতে হবে। সময়ের দাম কত বেশি, তা নবী (সা.) সাহাবিদের শিখিয়েছেন। তিনি তাঁদের পাঁচটি জিনিসকে পরের পাঁচটি জিনিস আসার আগে মূল্যায়ন করতে বলেছেন। এর মধ্যে দুটি হলো—অবসর সময়কে ব্যস্ততা আসার আগে এবং জীবনকে মৃত্যুর আগে মূল্যায়ন করা। (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৮০৫৮)

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত হয়েছেন। এই সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ২১ লাখ বেশি।
কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, মসজিদে হারামে প্রায় ৩ কোটি মুসল্লি ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ৭০০ জন কাবা শরিফসংলগ্ন হাতিমে কাবায় নামাজ আদায়ের সুযোগ পেয়েছেন। আর মসজিদে নববিতে ইবাদত ও জিয়ারতের জন্য গিয়েছেন ২ কোটি ৩১ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পবিত্র রিয়াজুল জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন ১৩ লাখ মুসল্লি এবং নবী করিম (সা.) এবং দুই খলিফার রওজা জিয়ারত করেছেন ২৩ লাখ মানুষ।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুধু জমাদিউস সানি মাসেই দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আগত ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখের বেশি। উন্নত ডিজিটাল সেবা, আধুনিক লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সহজলভ্য হওয়ায় ওমরাহ পালনকারীর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুসল্লিদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নেরই একটি অংশ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমানদের জন্য হজ, ওমরাহ ও জিয়ারতপ্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ এবং সহজ করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সৌদি সরকার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়।
১৪ মার্চ ২০২৪
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে। কিয়ামতের কঠিন ময়দানে হাশর-নশর শেষে মানুষের চিরস্থায়ী ঠিকানা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন কেউ কারও উপকারে আসবে না, এমনকি বাবা-মা বা সন্তান-সন্ততির কথাও কারও স্মরণে থাকবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ (হায় আমার কী হবে) বলে আর্তনাদ করতে থাকবে।
পবিত্র কোরআনে সেই বিভীষিকাময় দিনের বর্ণনা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই, মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, সহাস্য ও প্রফুল্ল। আর কিছু চেহারা হবে ধূলিমলিন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন।’ (সুরা আবাসা: ৩৪-৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন সতর্কবাণী দিয়েছেন। সহিহ্ মুসলিমের এক হাদিসে পাঁচ শ্রেণির জাহান্নামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে: ১. বিবেচনাহীন ব্যক্তি: এমন দুর্বল মানুষ যার ভালো-মন্দের পার্থক্য করার বুদ্ধি নেই এবং নিজের পরিবারের উন্নতির ফিকির না করে অন্যের তাঁবেদারি করে। ২. লোভী খিয়ানতকারী: যে অতি সামান্য বিষয়েও খিয়ানত বা বিশ্বাসভঙ্গ করে এবং যার লোভ সবার কাছে প্রকাশ্য। ৩. প্রতারক: যে ব্যক্তি পরিবার ও ধন-সম্পদের বিষয়ে মানুষের সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি করে। ৪. কৃপণ: যে আল্লাহর পথে ব্যয় না করে সম্পদ কুক্ষিগত করে রাখে। ৫. মিথ্যুক ও অশ্লীলভাষী: যারা সর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগালিতে লিপ্ত থাকে।
পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে মুক্তি পেতে হলে দুনিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে লোভ, প্রতারণা ও পাপাচার ত্যাগ করে মহান আল্লাহর প্রতি অনুগত হওয়া এবং নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে চলা একান্ত জরুরি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়।
১৪ মার্চ ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ০৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১৯ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| জোহর | ১২: ০১ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়।
১৪ মার্চ ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

গাজা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত আশ-শাতি শরণার্থীশিবিরে এক বিশাল কোরআনিক শোভাযাত্রা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনে প্রায় ৫০০ জন পবিত্র কোরআনের হাফেজ ও হাফেজা অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের কবলে পিষ্ট এই জনপদে শোভাযাত্রাটি আনন্দ ও উদ্যাপনের এক নতুন আমেজ নিয়ে আসে।
আইয়াদুল খাইর ফাউন্ডেশন এবং কুয়েতভিত্তিক চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন আলিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘গাজা কোরআনের হাফেজদের মাধ্যমে প্রস্ফুটিত হচ্ছে’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠানটি।
তাকবির ও তাহলিলের ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে আশ-শাতি শিবিরের ভেতর থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। সুশৃঙ্খলভাবে হাফেজ ও হাফেজারা সারিবদ্ধ হয়ে এতে অংশ নেন। তাঁদের হাতে ছিল পবিত্র কোরআন, ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা এবং ধৈর্য ও আশার প্রতীকসংবলিত নানা ফেস্টুন।
রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ করতালি ও দোয়ার মাধ্যমে এই গর্বের মুহূর্তের সঙ্গী হন। দীর্ঘদিনের বোমাবর্ষণ আর ধ্বংসস্তূপে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো এদিন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি আর জন-উৎসবে রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানের শেষে হাফেজ ও হাফেজাদের মধ্যে সম্মাননা সনদ ও বিশেষ উপহার বিতরণ করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, গাজা উপত্যকার এই কঠিন বাস্তবতায় ধর্মীয় পরিচয় রক্ষা এবং নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত রাখাই ছিল এ সামাজিক উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।
সূত্র: আল-আহেদ নিউজ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা এমন সব তথ্য পেতে থাকি, যা সব সময় সবার উপযোগী নয়। এখানে ভালো-মন্দের বাছবিচার করা হয় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় ভালো-মন্দ সবই আমাদের সামনে চলে আসে। বিষয়টি আমাদের প্রয়োজনের সীমায় সীমিত নয়।
১৪ মার্চ ২০২৪
সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় অবস্থিত পবিত্র দুই মসজিদে গত এক মাসে রেকর্ডসংখ্যক মুসল্লির আগমন ঘটেছে। দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, সদ্যসমাপ্ত জমাদিউস সানি মাসে মোট ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৩ জন ওমরাহ পালনকারী ও মুসল্লি মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে উপস্থিত...
১২ ঘণ্টা আগে
পরকালীন জীবনে সফল হতে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ ও আদর্শ অনুসরণ করা অপরিহার্য। পরকাল এক ধ্রুব সত্য; প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে এই জগতে প্রবেশ করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে