
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ব্যাপক ভয় করেন। ট্রাম্পের আমলে ইরাকে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি। তার পর থেকেই ট্রাম্প আশঙ্কা করে আসছেন, ইরান যেকোনোভাবে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে। এমনটাই দাবি করেছেন, তাঁকে নিয়ে লেখা ‘রিভেঞ্জ: দ্য ইনসাইড স্টোরি অব ট্রাম্পস রিটার্ন টু পাওয়ার’ বইয়ের লেখক অ্যালেক্স আইজেনস্ট্যাড।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসে আইজেনস্ট্যাড লিখেছেন, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এটা সবাই জানেন। আইজেনস্ট্যাড দাবি করেছেন, এই হামলার পেছনে ইরানের হাত ছিল। জনসমক্ষে ইরানের হুমকি সবাই যতটা ধারণা করে বাস্তবে এই হুমকি আরও বেশি ও গুরুতর। এই হুমকি মোকাবিলায় ট্রাম্পের দল বেশ কিছু ব্যতিক্রমী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল। যার মধ্যে একটি ছিল ছদ্মবেশী বিমান ব্যবহার করা, যাতে সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করা যায়।
আইজেনস্ট্যাড ‘রিভেঞ্জ: দ্য ইনসাইড স্টোরি অব ট্রাম্পস রিটার্ন টু পাওয়ার’ বইতে মার্কিন কর্তৃপক্ষ ইরানের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন ছিল এবং এই বিষয়টি ট্রাম্পকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ইরানি হুমকি যে, এখনো ট্রাম্পের মাথায় ঘুরছে তার ইঙ্গিত মেলে গত সপ্তাহে তাঁর এক বক্তব্য থেকে। ট্রাম্প বলেন, যদি ইরানি গোয়েন্দারা তাঁকে ‘হত্যার চেষ্টা করে’, তবে তিনি তাঁর প্রশাসনকে ইরানকে ‘সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস’ করার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন।
পরে অবশ্য ট্রাম্প তাঁর এই বক্তব্য খানিকটা সংশোধন করে বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে একটি ‘নিশ্চিত পারমাণবিক শান্তিচুক্তি’ চান। আইজেনস্ট্যাড দাবি করেন, ইরান ২০২০ সাল থেকেই ট্রাম্পকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। কারণ, সে বছরই ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তাঁর নির্দেশে এক বিমান হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতা কাসেম সোলাইমানি নিহত হন।
আইজেনস্ট্যাড তাঁর বইতে বলেছেন, ‘মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো গত বছর ট্রাম্পকে সতর্ক করেছিল যে ইরান যুক্তরাষ্ট্রে তাদের এজেন্ট মোতায়েন করেছে। এসব এজেন্টের কাছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও আছে।’
ট্রাম্পের দল আশঙ্কা করেছিল যে ইরানিরা তাঁর ব্যক্তিগত বিমানে হামলা চালাতে পারে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে ট্রাম্পের গলফ কোর্সে ট্রাম্পের দিকে গুলি চালানো হলে এই উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। অবশ্য, আইজেনস্ট্যাড স্বীকার করে নিয়েছেন, এই ঘটনায় ইরানের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই। একইভাবে এই ঘটনার ঠিক দুই মাস আগে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায়ও ইরানের জড়িত থাকার প্রমাণ নেই। এই হামলায় অবশ্য ট্রাম্পের কানের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তবে ফ্লোরিডার ঘটনার পরপরই ট্রাম্পের নিরাপত্তা দল এতটাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে যে তারা ট্রাম্পকে একটি ছদ্মবেশী বিমানে ভ্রমণের ব্যবস্থা করে। এই বিমানটি ছিল তাঁর বন্ধু ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী স্টিভ উইটকফের। এই উইটকফ বর্তমানে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত।
এরপর ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বিমান ‘ট্রাম্প ফোর্স ওয়ানে’ তাঁর প্রচারাভিযানের বেশির ভাগ স্টাফদের তোলা হতো। আর ট্রাম্প উঠতেন উইটকফের বিমানে। এই বিষয়টি ট্রাম্পের অনেক সহযোগীকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। কারণ, তাঁরা ভয় পাচ্ছিলেন, যদি ওই বিমানে হামলা হয়, তবে তাঁরা মারা যেতে পারেন।
প্রচারাভিযানের দুই প্রধান ব্যবস্থাপক সুজি ওয়াইলস (যিনি এখন হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ) ও ক্রিস লাসিভিটা নিরাপত্তার স্বার্থে আলাদা হয়ে যান। ওয়াইলস ট্রাম্পের সঙ্গে উইটকফের বিমানে ওঠেন, আর লাসিভিটা থাকেন ট্রাম্প ফোর্স ওয়ানে।
অনেকেই এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। কিছু সহকারী বিমান উড্ডয়নের ঠিক আগে বুঝতে পারেন, ট্রাম্পের নির্ধারিত জানালার আসনটি খালি পড়ে আছে। লাসিভিটা তখন সবাইকে বলেন, ‘বস আজ আমাদের সঙ্গে যাচ্ছেন না। তাঁকে অন্য এক বিমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটি ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার একটি পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ মাত্র।’
প্রচারাভিযানের শীর্ষ নেতারা আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন, ট্রাম্পের দল ইরানি হামলার টার্গেট হচ্ছে না। কিন্তু যেহেতু শত্রুর কাছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র থাকার শঙ্কা ছিল, অনেকেই ভাবতে বাধ্য হন, তাহলে তাদের কেন এই বিমানে তোলা হলো?
সেই ফ্লাইটের অভিজ্ঞতা ছিল যেন এক বিভীষিকা। সেখানে অনেক সহকর্মী একে অন্যের সঙ্গে রসিকতা করছিলেন, কিন্তু ভেতরে-ভেতরে চরম আতঙ্কিত ছিলেন। পরে ট্রাম্পের তিন সহযোগী আইজেনস্ট্যাডকে বলেন, ‘ব্যাপারটা ছিল ভয়ংকর, আমরা বুঝতে পারছিলাম, এটা সত্যিই গুরুতর ঘটনা।’
ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের মধ্যে ওই ফ্লাইটের কথা পরে ‘ঘোস্ট ফ্লাইট’ নামে পরিচিতি পায়। সেদিন সিক্রেট সার্ভিস একটি ছদ্মবেশী গাড়ি শোভাযাত্রাও চালু করেছিল। এর একটিতে ছিলেন ট্রাম্প, অন্যটিতে তাঁর সহকর্মীরা। এমন আরও কিছু আতঙ্কজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় ট্রাম্পের প্রচার দলকে।
১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে এক সমাবেশের পর সিক্রেট সার্ভিস ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের নেতাদের সতর্ক করে দেয়, তারা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে, ট্রাম্পের গাড়িবহরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। লাসিভিটা তখন ঠাট্টার সুরে ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান ড্যান স্কাভিনোকে বলেন, ‘গাড়ির জানালা দিয়ে মাথা বের করে ছবি তুলতে যেও না। কারণ, তুমি তখন একেবারে টার্গেট হয়ে যাবে।’
পরের সপ্তাহে পেনসিলভানিয়ার এক সফরে ট্রাম্পের গাড়িবহর লক্ষ্য করে একটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা গাড়ির ছাদ খুলে একটি তড়িৎ চুম্বকীয় বন্দুক দিয়ে ড্রোনটি নামিয়ে ফেলে।
ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের সদস্যরা জানান, ট্রাম্প ইরানি হুমকি নিয়ে জনসমক্ষে যতটা হালকাভাবে কথা বলতেন, বাস্তবে তিনি এর চেয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন। সমাবেশে তিনি প্রায়ই সোলাইমানিকে হত্যার বিষয়ে গর্বভরে বলতেন। কিন্তু যখন ইরানের হুমকি প্রকট হয়ে ওঠে, তখন সহকারীরা লক্ষ্য করেন, ‘তিনি এই বিষয়ে কম কথা বলতে শুরু করেছেন।’
ব্যক্তিগতভাবে, ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারের সমাবেশগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বেশি চিন্তা করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি ভাবতে থাকেন, ‘ভোটাররা কি চার বছর ধরে এই ধরনের হত্যাচেষ্টার শঙ্কা সহ্য করতে চাইবে?’
জনগণ সহ্য করবে কি না—তাই এখন দেখার বিষয়। তবে, আইজেনস্ট্যাডের বক্তব্য যদি সঠিক হয়, তবে এটি স্পষ্ট যে ট্রাম্প ইরানের ভয়ে ব্যাপকভাবে ভীত। আর যেহেতু তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই গেছেন, আগামী চার বছর মার্কিন জনগণকে ট্রাম্পের হত্যাচেষ্টার শিকার হওয়ার যে শঙ্কা সেটি মেনে নিতেই হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ব্যাপক ভয় করেন। ট্রাম্পের আমলে ইরাকে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি। তার পর থেকেই ট্রাম্প আশঙ্কা করে আসছেন, ইরান যেকোনোভাবে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে। এমনটাই দাবি করেছেন, তাঁকে নিয়ে লেখা ‘রিভেঞ্জ: দ্য ইনসাইড স্টোরি অব ট্রাম্পস রিটার্ন টু পাওয়ার’ বইয়ের লেখক অ্যালেক্স আইজেনস্ট্যাড।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসে আইজেনস্ট্যাড লিখেছেন, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এটা সবাই জানেন। আইজেনস্ট্যাড দাবি করেছেন, এই হামলার পেছনে ইরানের হাত ছিল। জনসমক্ষে ইরানের হুমকি সবাই যতটা ধারণা করে বাস্তবে এই হুমকি আরও বেশি ও গুরুতর। এই হুমকি মোকাবিলায় ট্রাম্পের দল বেশ কিছু ব্যতিক্রমী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল। যার মধ্যে একটি ছিল ছদ্মবেশী বিমান ব্যবহার করা, যাতে সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করা যায়।
আইজেনস্ট্যাড ‘রিভেঞ্জ: দ্য ইনসাইড স্টোরি অব ট্রাম্পস রিটার্ন টু পাওয়ার’ বইতে মার্কিন কর্তৃপক্ষ ইরানের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে কতটা উদ্বিগ্ন ছিল এবং এই বিষয়টি ট্রাম্পকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ইরানি হুমকি যে, এখনো ট্রাম্পের মাথায় ঘুরছে তার ইঙ্গিত মেলে গত সপ্তাহে তাঁর এক বক্তব্য থেকে। ট্রাম্প বলেন, যদি ইরানি গোয়েন্দারা তাঁকে ‘হত্যার চেষ্টা করে’, তবে তিনি তাঁর প্রশাসনকে ইরানকে ‘সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস’ করার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন।
পরে অবশ্য ট্রাম্প তাঁর এই বক্তব্য খানিকটা সংশোধন করে বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে একটি ‘নিশ্চিত পারমাণবিক শান্তিচুক্তি’ চান। আইজেনস্ট্যাড দাবি করেন, ইরান ২০২০ সাল থেকেই ট্রাম্পকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। কারণ, সে বছরই ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তাঁর নির্দেশে এক বিমান হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতা কাসেম সোলাইমানি নিহত হন।
আইজেনস্ট্যাড তাঁর বইতে বলেছেন, ‘মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো গত বছর ট্রাম্পকে সতর্ক করেছিল যে ইরান যুক্তরাষ্ট্রে তাদের এজেন্ট মোতায়েন করেছে। এসব এজেন্টের কাছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও আছে।’
ট্রাম্পের দল আশঙ্কা করেছিল যে ইরানিরা তাঁর ব্যক্তিগত বিমানে হামলা চালাতে পারে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে ট্রাম্পের গলফ কোর্সে ট্রাম্পের দিকে গুলি চালানো হলে এই উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। অবশ্য, আইজেনস্ট্যাড স্বীকার করে নিয়েছেন, এই ঘটনায় ইরানের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই। একইভাবে এই ঘটনার ঠিক দুই মাস আগে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায়ও ইরানের জড়িত থাকার প্রমাণ নেই। এই হামলায় অবশ্য ট্রাম্পের কানের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তবে ফ্লোরিডার ঘটনার পরপরই ট্রাম্পের নিরাপত্তা দল এতটাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে যে তারা ট্রাম্পকে একটি ছদ্মবেশী বিমানে ভ্রমণের ব্যবস্থা করে। এই বিমানটি ছিল তাঁর বন্ধু ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী স্টিভ উইটকফের। এই উইটকফ বর্তমানে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত।
এরপর ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বিমান ‘ট্রাম্প ফোর্স ওয়ানে’ তাঁর প্রচারাভিযানের বেশির ভাগ স্টাফদের তোলা হতো। আর ট্রাম্প উঠতেন উইটকফের বিমানে। এই বিষয়টি ট্রাম্পের অনেক সহযোগীকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। কারণ, তাঁরা ভয় পাচ্ছিলেন, যদি ওই বিমানে হামলা হয়, তবে তাঁরা মারা যেতে পারেন।
প্রচারাভিযানের দুই প্রধান ব্যবস্থাপক সুজি ওয়াইলস (যিনি এখন হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ) ও ক্রিস লাসিভিটা নিরাপত্তার স্বার্থে আলাদা হয়ে যান। ওয়াইলস ট্রাম্পের সঙ্গে উইটকফের বিমানে ওঠেন, আর লাসিভিটা থাকেন ট্রাম্প ফোর্স ওয়ানে।
অনেকেই এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। কিছু সহকারী বিমান উড্ডয়নের ঠিক আগে বুঝতে পারেন, ট্রাম্পের নির্ধারিত জানালার আসনটি খালি পড়ে আছে। লাসিভিটা তখন সবাইকে বলেন, ‘বস আজ আমাদের সঙ্গে যাচ্ছেন না। তাঁকে অন্য এক বিমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটি ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার একটি পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ মাত্র।’
প্রচারাভিযানের শীর্ষ নেতারা আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন, ট্রাম্পের দল ইরানি হামলার টার্গেট হচ্ছে না। কিন্তু যেহেতু শত্রুর কাছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র থাকার শঙ্কা ছিল, অনেকেই ভাবতে বাধ্য হন, তাহলে তাদের কেন এই বিমানে তোলা হলো?
সেই ফ্লাইটের অভিজ্ঞতা ছিল যেন এক বিভীষিকা। সেখানে অনেক সহকর্মী একে অন্যের সঙ্গে রসিকতা করছিলেন, কিন্তু ভেতরে-ভেতরে চরম আতঙ্কিত ছিলেন। পরে ট্রাম্পের তিন সহযোগী আইজেনস্ট্যাডকে বলেন, ‘ব্যাপারটা ছিল ভয়ংকর, আমরা বুঝতে পারছিলাম, এটা সত্যিই গুরুতর ঘটনা।’
ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের মধ্যে ওই ফ্লাইটের কথা পরে ‘ঘোস্ট ফ্লাইট’ নামে পরিচিতি পায়। সেদিন সিক্রেট সার্ভিস একটি ছদ্মবেশী গাড়ি শোভাযাত্রাও চালু করেছিল। এর একটিতে ছিলেন ট্রাম্প, অন্যটিতে তাঁর সহকর্মীরা। এমন আরও কিছু আতঙ্কজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় ট্রাম্পের প্রচার দলকে।
১৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে এক সমাবেশের পর সিক্রেট সার্ভিস ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের নেতাদের সতর্ক করে দেয়, তারা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে, ট্রাম্পের গাড়িবহরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। লাসিভিটা তখন ঠাট্টার সুরে ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান ড্যান স্কাভিনোকে বলেন, ‘গাড়ির জানালা দিয়ে মাথা বের করে ছবি তুলতে যেও না। কারণ, তুমি তখন একেবারে টার্গেট হয়ে যাবে।’
পরের সপ্তাহে পেনসিলভানিয়ার এক সফরে ট্রাম্পের গাড়িবহর লক্ষ্য করে একটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। সিক্রেট সার্ভিসের কর্মকর্তারা গাড়ির ছাদ খুলে একটি তড়িৎ চুম্বকীয় বন্দুক দিয়ে ড্রোনটি নামিয়ে ফেলে।
ট্রাম্পের প্রচারাভিযানের সদস্যরা জানান, ট্রাম্প ইরানি হুমকি নিয়ে জনসমক্ষে যতটা হালকাভাবে কথা বলতেন, বাস্তবে তিনি এর চেয়ে অনেক বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন। সমাবেশে তিনি প্রায়ই সোলাইমানিকে হত্যার বিষয়ে গর্বভরে বলতেন। কিন্তু যখন ইরানের হুমকি প্রকট হয়ে ওঠে, তখন সহকারীরা লক্ষ্য করেন, ‘তিনি এই বিষয়ে কম কথা বলতে শুরু করেছেন।’
ব্যক্তিগতভাবে, ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারের সমাবেশগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বেশি চিন্তা করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি ভাবতে থাকেন, ‘ভোটাররা কি চার বছর ধরে এই ধরনের হত্যাচেষ্টার শঙ্কা সহ্য করতে চাইবে?’
জনগণ সহ্য করবে কি না—তাই এখন দেখার বিষয়। তবে, আইজেনস্ট্যাডের বক্তব্য যদি সঠিক হয়, তবে এটি স্পষ্ট যে ট্রাম্প ইরানের ভয়ে ব্যাপকভাবে ভীত। আর যেহেতু তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই গেছেন, আগামী চার বছর মার্কিন জনগণকে ট্রাম্পের হত্যাচেষ্টার শিকার হওয়ার যে শঙ্কা সেটি মেনে নিতেই হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
২ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন।
গোপন নথি ফাঁসের দায়ে বর্তমানে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ফেল্ডস্টাইন এই প্রথম সরাসরি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনলেন।
ইলাই ফেল্ডস্টাইন জানান, ৭ অক্টোবরের সেই রক্তক্ষয়ী হামলার ঠিক পরেই নেতানিয়াহু তাঁকে ‘প্রথম কাজ’ হিসেবে দিয়েছিলেন—কীভাবে জবাবদিহি বা দায়বদ্ধতার প্রশ্ন থেকে রেহাই পাওয়া যায় তার উপায় বের করা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘হামলার পর নেতানিয়াহু আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘এখন কী ধরনের সংবাদ প্রচার হচ্ছে? তারা কি এখনো দায়বদ্ধতার কথা বলছে?’’ তাঁকে তখন বেশ আতঙ্কিত দেখাচ্ছিল। নেতানিয়াহু চেয়েছিলেন এমন কিছু বলা হোক, যাতে গণমাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে যে ঝড় উঠেছে, তা স্তিমিত হয়ে যায়।’
ফেল্ডস্টাইন আরও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেন যেকোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ‘দায়বদ্ধতা’ (Responsibility) শব্দটি ব্যবহার না করা হয়।
তবে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এই সাক্ষাৎকারকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং নিজের অপরাধ থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে এক ব্যক্তি এমন ডাহা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
কে এই ইলাই ফেল্ডস্টাইন
ইলাই ফেল্ডস্টাইন নেতানিয়াহুর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি দুটি বড় কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। গোপন নথি ফাঁস—গত আগস্টে গাজায় ছয় জিম্মি নিহতের পর প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমে সামরিক গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে তাঁর বিচার চলছে। কাতারগেট স্ক্যান্ডাল—নেতানিয়াহুর হয়ে কাজ করার সময় কাতারের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মধ্যে তিনি একজন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হয়। অনেকে মনে করেন, এই ব্যর্থতার দায় ঠেকানোর জন্য নেতানিয়াহু বরাবরই স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনে বাধা দিয়ে আসছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন।
গোপন নথি ফাঁসের দায়ে বর্তমানে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ফেল্ডস্টাইন এই প্রথম সরাসরি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনলেন।
ইলাই ফেল্ডস্টাইন জানান, ৭ অক্টোবরের সেই রক্তক্ষয়ী হামলার ঠিক পরেই নেতানিয়াহু তাঁকে ‘প্রথম কাজ’ হিসেবে দিয়েছিলেন—কীভাবে জবাবদিহি বা দায়বদ্ধতার প্রশ্ন থেকে রেহাই পাওয়া যায় তার উপায় বের করা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘হামলার পর নেতানিয়াহু আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘এখন কী ধরনের সংবাদ প্রচার হচ্ছে? তারা কি এখনো দায়বদ্ধতার কথা বলছে?’’ তাঁকে তখন বেশ আতঙ্কিত দেখাচ্ছিল। নেতানিয়াহু চেয়েছিলেন এমন কিছু বলা হোক, যাতে গণমাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে যে ঝড় উঠেছে, তা স্তিমিত হয়ে যায়।’
ফেল্ডস্টাইন আরও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেন যেকোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ‘দায়বদ্ধতা’ (Responsibility) শব্দটি ব্যবহার না করা হয়।
তবে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এই সাক্ষাৎকারকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং নিজের অপরাধ থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে এক ব্যক্তি এমন ডাহা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
কে এই ইলাই ফেল্ডস্টাইন
ইলাই ফেল্ডস্টাইন নেতানিয়াহুর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি দুটি বড় কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। গোপন নথি ফাঁস—গত আগস্টে গাজায় ছয় জিম্মি নিহতের পর প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমে সামরিক গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে তাঁর বিচার চলছে। কাতারগেট স্ক্যান্ডাল—নেতানিয়াহুর হয়ে কাজ করার সময় কাতারের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মধ্যে তিনি একজন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হয়। অনেকে মনে করেন, এই ব্যর্থতার দায় ঠেকানোর জন্য নেতানিয়াহু বরাবরই স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনে বাধা দিয়ে আসছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ব্যাপক ভয় করেন। ট্রাম্পের আমলে ইরাকে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি। তার পর থেকেই ট্রাম্প আশঙ্কা করে আসছেন, ইরান যেকোনোভাবে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে। এমনটাই দাবি করেছেন, তাঁকে নিয়ে লেখা ‘রিভেঞ্জ: দ্য ইনসাইড স্টোরি অব...
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক, তুলা, সবজি এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। বিপরীতে সেখান থেকে আমদানিপণ্য হিসেবে আসে প্রক্রিয়াজাত চামড়া। কাউন্সিল অব লেদার এক্সপোর্টের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আঞ্চলিক কমিটির সদস্য জিয়া নাফিস বলেন, ‘প্রতি বছর কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের মাধ্যমে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার প্রক্রিয়াজাত চামড়া আমদানি করা হয়। এই চামড়া মূলত ব্যাগ তৈরির কাজে লাগে। এখানকার চামড়ার চেয়ে গুণগত মান আলাদা এবং দাম কিছুটা সস্তা হওয়ায় আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তবে আমদানিকারকরা ঠিক তেমনই সমস্যায় পড়বেন, যেমনটা হয়েছিল চীনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সময়।’ নাফিসের মতে, চামড়া একটি প্রাকৃতিক পণ্য, তাই এর মান একেক লটে একেক রকম হয়। আমদানির আগে সরাসরি গিয়ে মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। ভিসা না থাকলে সশরীরে পণ্য দেখা সম্ভব হবে না, ফলে পণ্যের গুণগত মান নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়। ব্যবসা সচল রাখতে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ করা দরকার।
গত সোমবার নিজ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের মুখে দিল্লির কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলার মিশন ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত নোটিশও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির এখন ভরা মৌসুম। ঠিক এই সময়েই এমন স্থগিতাদেশ এল। এক রপ্তানি প্রতিনিধি জানান, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ঈদ পর্যন্ত পোশাকের চাহিদা খুব বেশি থাকে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০ টন পোশাক রপ্তানি হয়।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইন্ডিগোর একটি কার্গো ফ্লাইট কলকাতা থেকে ঢাকা শুধু পোশাকই নিয়ে যায়, অথচ এখন আরও কার্গো ফ্লাইটের প্রয়োজন ছিল।
বেঙ্গানি কমোডিটিসের পরিচালক এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের সাবেক আঞ্চলিক চেয়ারম্যান বিমল বেঙ্গানি জানান, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে প্রতি মাসে বাংলাদেশে যেতাম। গত এক বছরে একবারও যাইনি। বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ৬০০ ট্রাক বাংলাদেশে যেত; এখন তা নেমে এসেছে ৮ শতে। সমস্যা মেটানো আর নতুন বাজার খোঁজার জন্য ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করাটা খুব জরুরি।’
বিমল বেঙ্গানি মূলত পোলট্রি ফিড, মসলা এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করেন। তিনি যোগ করেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য গড়ে উঠেছে পারস্পরিক আস্থা ও যোগাযোগের ওপর। আমরা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগকে সম্মান করি, তবে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত ভিসা সমস্যার সমাধান চাই। ব্যবসায়ী, রোগী এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকা দুই দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এয়ারলাইনগুলোও চিন্তিত। বাংলাদেশের একটি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা জানান, ‘যাত্রী কমে যাওয়ায় ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। বর্তমানে যেসব ফ্লাইট চলছে তাতে যাত্রী ভালোই আছে, কিন্তু ভিসার ওপর কড়াকড়ি শুরু হলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব।’

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক, তুলা, সবজি এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। বিপরীতে সেখান থেকে আমদানিপণ্য হিসেবে আসে প্রক্রিয়াজাত চামড়া। কাউন্সিল অব লেদার এক্সপোর্টের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আঞ্চলিক কমিটির সদস্য জিয়া নাফিস বলেন, ‘প্রতি বছর কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের মাধ্যমে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার প্রক্রিয়াজাত চামড়া আমদানি করা হয়। এই চামড়া মূলত ব্যাগ তৈরির কাজে লাগে। এখানকার চামড়ার চেয়ে গুণগত মান আলাদা এবং দাম কিছুটা সস্তা হওয়ায় আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তবে আমদানিকারকরা ঠিক তেমনই সমস্যায় পড়বেন, যেমনটা হয়েছিল চীনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সময়।’ নাফিসের মতে, চামড়া একটি প্রাকৃতিক পণ্য, তাই এর মান একেক লটে একেক রকম হয়। আমদানির আগে সরাসরি গিয়ে মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। ভিসা না থাকলে সশরীরে পণ্য দেখা সম্ভব হবে না, ফলে পণ্যের গুণগত মান নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়। ব্যবসা সচল রাখতে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ করা দরকার।
গত সোমবার নিজ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের মুখে দিল্লির কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলার মিশন ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত নোটিশও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির এখন ভরা মৌসুম। ঠিক এই সময়েই এমন স্থগিতাদেশ এল। এক রপ্তানি প্রতিনিধি জানান, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ঈদ পর্যন্ত পোশাকের চাহিদা খুব বেশি থাকে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০ টন পোশাক রপ্তানি হয়।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইন্ডিগোর একটি কার্গো ফ্লাইট কলকাতা থেকে ঢাকা শুধু পোশাকই নিয়ে যায়, অথচ এখন আরও কার্গো ফ্লাইটের প্রয়োজন ছিল।
বেঙ্গানি কমোডিটিসের পরিচালক এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের সাবেক আঞ্চলিক চেয়ারম্যান বিমল বেঙ্গানি জানান, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে প্রতি মাসে বাংলাদেশে যেতাম। গত এক বছরে একবারও যাইনি। বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ৬০০ ট্রাক বাংলাদেশে যেত; এখন তা নেমে এসেছে ৮ শতে। সমস্যা মেটানো আর নতুন বাজার খোঁজার জন্য ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করাটা খুব জরুরি।’
বিমল বেঙ্গানি মূলত পোলট্রি ফিড, মসলা এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করেন। তিনি যোগ করেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য গড়ে উঠেছে পারস্পরিক আস্থা ও যোগাযোগের ওপর। আমরা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগকে সম্মান করি, তবে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত ভিসা সমস্যার সমাধান চাই। ব্যবসায়ী, রোগী এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকা দুই দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এয়ারলাইনগুলোও চিন্তিত। বাংলাদেশের একটি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা জানান, ‘যাত্রী কমে যাওয়ায় ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। বর্তমানে যেসব ফ্লাইট চলছে তাতে যাত্রী ভালোই আছে, কিন্তু ভিসার ওপর কড়াকড়ি শুরু হলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ব্যাপক ভয় করেন। ট্রাম্পের আমলে ইরাকে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি। তার পর থেকেই ট্রাম্প আশঙ্কা করে আসছেন, ইরান যেকোনোভাবে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে। এমনটাই দাবি করেছেন, তাঁকে নিয়ে লেখা ‘রিভেঞ্জ: দ্য ইনসাইড স্টোরি অব...
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতিতে তৈরি হওয়া ২০ দফার এই পরিকল্পনার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকানরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এই পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধ শেষ করার মূল রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, এতে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে রাশিয়া পুনরায় ইউক্রেন আক্রমণ করলে সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জেলেনস্কি বলেন, একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গঠন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে থাকায় মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা একটি অসামরিক অঞ্চল অথবা মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখানে দুটি পথ খোলা আছে—হয় যুদ্ধ চলবে, নতুবা সম্ভাব্য সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ এই ২০ দফার পরিকল্পনাটিকে কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার সঙ্গে করা ২৮ দফার মূল দলিলের একটি হালনাগাদ সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের সেই দলিলটি মূলত ক্রেমলিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যেই তৈরি বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়েছিল।
শান্তি চুক্তির বিনিময়ে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা থেকে ইউক্রেনকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলের বাকি অংশ ইতিমধ্যে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জেলেনস্কি ব্যাখ্যা করেন, ভূখণ্ড বিষয়ক স্পর্শকাতর প্রশ্নসহ অন্যান্য জটিল বিষয়গুলো ‘নেতৃপর্যায়ে’ সমাধান করতে হবে। তবে এই নতুন খসড়া ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ৮ লাখ সৈন্যের এক বিশাল সামরিক শক্তি নিশ্চিত করবে।
হালনাগাদ করা এই পরিকল্পনার অনেকটাই বার্লিনে সাম্প্রতিক আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে মার্কিন মধ্যস্থতাকারী উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা অংশ নিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহান্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সরে যায় মিয়ামিতে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রুশ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ এবং পরে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
ভূখণ্ড বিষয়ক ইস্যুতে এখন অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেনীয় পক্ষ এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ইউক্রেন যদি দোনেৎস্কের অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ এলাকায় একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তুলতে তাদের ভারী সামরিক সরঞ্জাম ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার পিছিয়ে নিতে রাজি হয়—যাতে এলাকাটি কার্যত অসামরিক হয়ে পড়ে—তবে জেলেনস্কির মতে, রাশিয়াকেও ‘অনুরূপভাবে ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার’ পিছু হটতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশেও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং নিপ্রোপেত্রভস্ক, মাইকোলাইভ, সুমি ও খারকিভ—এই চারটি অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতিতে তৈরি হওয়া ২০ দফার এই পরিকল্পনার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকানরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এই পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধ শেষ করার মূল রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, এতে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে রাশিয়া পুনরায় ইউক্রেন আক্রমণ করলে সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জেলেনস্কি বলেন, একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গঠন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে থাকায় মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা একটি অসামরিক অঞ্চল অথবা মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখানে দুটি পথ খোলা আছে—হয় যুদ্ধ চলবে, নতুবা সম্ভাব্য সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ এই ২০ দফার পরিকল্পনাটিকে কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার সঙ্গে করা ২৮ দফার মূল দলিলের একটি হালনাগাদ সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের সেই দলিলটি মূলত ক্রেমলিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যেই তৈরি বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়েছিল।
শান্তি চুক্তির বিনিময়ে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা থেকে ইউক্রেনকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলের বাকি অংশ ইতিমধ্যে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জেলেনস্কি ব্যাখ্যা করেন, ভূখণ্ড বিষয়ক স্পর্শকাতর প্রশ্নসহ অন্যান্য জটিল বিষয়গুলো ‘নেতৃপর্যায়ে’ সমাধান করতে হবে। তবে এই নতুন খসড়া ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ৮ লাখ সৈন্যের এক বিশাল সামরিক শক্তি নিশ্চিত করবে।
হালনাগাদ করা এই পরিকল্পনার অনেকটাই বার্লিনে সাম্প্রতিক আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে মার্কিন মধ্যস্থতাকারী উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা অংশ নিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহান্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সরে যায় মিয়ামিতে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রুশ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ এবং পরে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
ভূখণ্ড বিষয়ক ইস্যুতে এখন অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেনীয় পক্ষ এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ইউক্রেন যদি দোনেৎস্কের অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ এলাকায় একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তুলতে তাদের ভারী সামরিক সরঞ্জাম ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার পিছিয়ে নিতে রাজি হয়—যাতে এলাকাটি কার্যত অসামরিক হয়ে পড়ে—তবে জেলেনস্কির মতে, রাশিয়াকেও ‘অনুরূপভাবে ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার’ পিছু হটতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশেও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং নিপ্রোপেত্রভস্ক, মাইকোলাইভ, সুমি ও খারকিভ—এই চারটি অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ব্যাপক ভয় করেন। ট্রাম্পের আমলে ইরাকে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি। তার পর থেকেই ট্রাম্প আশঙ্কা করে আসছেন, ইরান যেকোনোভাবে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে। এমনটাই দাবি করেছেন, তাঁকে নিয়ে লেখা ‘রিভেঞ্জ: দ্য ইনসাইড স্টোরি অব...
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
২ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
২ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ ফয়সাল নোমান ২০০১ সালে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁকে ফজর নামাজের পরপরই মদিনার আল-বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল-বাকি কবরস্থান জান্নাতুল বাকি নামেও পরিচিত। এটি মদিনার সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি গোরস্তান। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সাহাবিদেরসহ হাজার হাজার প্রারম্ভিক যুগের মুসলিমদের শেষ আশ্রয়স্থল এটি।
শেখ ফয়সালের মৃত্যুর পর মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ তাঁর দেওয়া শেষ আজানের একটি আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছে। গত ২ নভেম্বর তিনি এই শেষ আজানটি দিয়েছিলেন।
আজানের সুর যেন শেখ ফয়সালের রক্তে মিশে ছিল। তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই মহান সেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা ও দাদা—উভয়েই এই পবিত্র মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দাদা যেমন মুয়াজ্জিন ছিলেন, তেমনি তাঁর বাবাও মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ৯০ বছরের বেশি বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাঁর বাবা এই খেদমত করে গেছেন। বাবার ইন্তেকালের পরই শেখ ফয়সাল নোমানকে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুই পবিত্র মসজিদের ধর্মীয় বিষয়াবলিসংক্রান্ত প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস তাঁর নিজের এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কর্মীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শেখ সুদাইস মরহুম মুয়াজ্জিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন যে, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং মসজিদে নববিতে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ার জন্য তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এবং কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের প্রধান শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল আল-শেখ ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে শেখ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজানকে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।

মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ ফয়সাল নোমান ২০০১ সালে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁকে ফজর নামাজের পরপরই মদিনার আল-বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল-বাকি কবরস্থান জান্নাতুল বাকি নামেও পরিচিত। এটি মদিনার সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি গোরস্তান। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সাহাবিদেরসহ হাজার হাজার প্রারম্ভিক যুগের মুসলিমদের শেষ আশ্রয়স্থল এটি।
শেখ ফয়সালের মৃত্যুর পর মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ তাঁর দেওয়া শেষ আজানের একটি আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছে। গত ২ নভেম্বর তিনি এই শেষ আজানটি দিয়েছিলেন।
আজানের সুর যেন শেখ ফয়সালের রক্তে মিশে ছিল। তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই মহান সেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা ও দাদা—উভয়েই এই পবিত্র মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দাদা যেমন মুয়াজ্জিন ছিলেন, তেমনি তাঁর বাবাও মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ৯০ বছরের বেশি বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাঁর বাবা এই খেদমত করে গেছেন। বাবার ইন্তেকালের পরই শেখ ফয়সাল নোমানকে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুই পবিত্র মসজিদের ধর্মীয় বিষয়াবলিসংক্রান্ত প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস তাঁর নিজের এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কর্মীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শেখ সুদাইস মরহুম মুয়াজ্জিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন যে, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং মসজিদে নববিতে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ার জন্য তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এবং কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের প্রধান শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল আল-শেখ ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে শেখ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজানকে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ব্যাপক ভয় করেন। ট্রাম্পের আমলে ইরাকে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি। তার পর থেকেই ট্রাম্প আশঙ্কা করে আসছেন, ইরান যেকোনোভাবে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করতে পারে। এমনটাই দাবি করেছেন, তাঁকে নিয়ে লেখা ‘রিভেঞ্জ: দ্য ইনসাইড স্টোরি অব...
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
২ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে