
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে ভালোবাসেন। তাই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান না। তবে রাশিয়ার যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়া যদি আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে আমি এটি করতে চাই না, কারণ আমি রাশিয়াকে ভালোবাসি।’
এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার আক্রমণ বাইডেন প্রশাসনের কারণে হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বাইডেন পুতিনকে উচ্চ জ্বালানি মূল্যের মাধ্যমে লাভবান করেছেন এবং ইউরোপের দেশগুলোকে ইউক্রেনকে আরও সমর্থন দিতে চাপ দেননি।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভূমিকা আছে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উভয়ই দায়ী।
গত ডিসেম্বরে প্যারিসে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ট্রাম্প। সে সময় ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে কী আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই। তবে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘জেলেনস্কি যুদ্ধের শুরুতেই রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা না করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘জেলেনস্কি...এমনটা হতে দেওয়া আপনার উচিত হয়নি। তিনি কোনো ফেরেশতা নন। আমি খুব সহজেই সেই চুক্তি করতে পারতাম। কিন্তু জেলেনস্কি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, “আমি লড়াই করব”।’ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অবশ্য ইউক্রেনের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, তারা রাশিয়ার মতো বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছি এবং ইউক্রেন তা সাহসের সঙ্গে ব্যবহার করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি এমন একটি যুদ্ধ, যা অবশ্যই থামাতে হবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখন শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি যথেষ্ট দেখেছেন এবং শান্তি চান।’ নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাশিয়ার আক্রমণের জন্য ইউক্রেনের পাশাপাশি বাইডেন প্রশাসনও দায়ী। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি ক্ষমতায় এলে দ্রুত একটি শান্তি চুক্তি নিশ্চিত করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র ৪৭ তম এই প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেন নীতির সমালোচনা করে বলেন, ‘তাঁর সময় পুতিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল।’ তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি পুতিনের সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, পুতিন চুক্তি করতে ব্যর্থ হলে তিনি রাশিয়ার ওপর ‘ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। এ সময় ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের এটি করা (যুদ্ধ শুরু করা) উচিত হয়নি। এটি থামাতে হবে।’
এদিকে, রাশিয়ার একটি সম্প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন দাবি করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেনে সংকট এড়ানো যেত। পুতিন আরও জানিয়েছেন, তিনি নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এই সংকট নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে, ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেনে যুদ্ধ হতো না। তবে এই প্রথমবার পুতিনও একই মত প্রকাশ করলেন। পাশাপাশি পুতিন আরও একবার বলেছেন, যে ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চুরি হয়েছে। পুতিন বলেন, ‘আমি ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে একমত যে, যদি ২০২০ সালের নির্বাচন চুরি না হতো, তবে ২০২২ সালে যে ইউক্রেনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা হয়তো ঘটত না।’
এর আগে, ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন যে, তিনি একদিনে ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করে দেবেন। কিন্তু পরে তিনি তাঁর ইউক্রেন ও রাশিয়ার জন্য নিয়োগকৃত বিশেষ দূত কিথ কেলোগকে ১০০ দিন সময় দেন সমাধান খুঁজে বের করার জন্য। তবে নতুন ট্রাম্প প্রশাসন এখনো ইউক্রেনে শান্তির জন্য কোনো শক্ত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেনি। তারপরও ট্রাম্প এই সপ্তাহে বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাঁকে বলেছেন যে, তিনি একটি চুক্তি করতে চান এবং পুতিনেরও একটি সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।
গত বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তো, আমি মনে করি, রাশিয়ার একটি চুক্তি করার ইচ্ছা থাকা উচিত। হয়তো তারা একটি চুক্তি করতে চায়। আমি যা শুনেছি, তাতে মনে হয় পুতিন আমাকে দেখতে চায়। যত দ্রুত সম্ভব আমরা সাক্ষাৎ করব। আমি সঙ্গে সঙ্গেই সাক্ষাৎ করব। আমরা সাক্ষাৎ না করলে, প্রতিদিন যুদ্ধে সৈন্যরা মারা যাবে।’
রুশ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিনের বক্তব্য থেকে মনে হয়েছে, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে ইচ্ছুক। পুতিনে বলেন, ‘রাশিয়া এমন সাক্ষাতের জন্য সব সময় প্রস্তুত।’ পুতিন বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলেছি, এবং এখনো আমি আবার জোর দিয়ে বলছি, আমরা ইউক্রেনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’ এক দিন আগে ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আয়োজনে ‘ওয়াশিংটনের সংকেতের’ অপেক্ষা করছে।
এর আগে, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে চলমান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি সেশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প হুমকি দেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর ওপর কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। তবে গতকাল শুক্রবার পুতিন সেই হুমকি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছেন, এমন পদক্ষেপ আমেরিকার অর্থনীতিরও ক্ষতি করবে।
পুতিন বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) শুধু একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি নন, তিনি একজন বাস্তববাদী ব্যক্তি। আমি কল্পনাই করতে পারি না যে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যা নিজেই আমেরিকার অর্থনীতির ক্ষতি করবে।’
এদিকে, পুতিনের বক্তব্যের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পুতিন তাঁর লক্ষ্য অর্জনে ট্রাম্পকে ‘প্রভাবিত’ করার চেষ্টা করছেন। জেলেনস্কি বলেন, শুক্রবার ইউক্রেনের সুপ্রিম কমান্ডার ইন চিফ স্টাফ মিটিংয়ে ‘রাশিয়ার সামরিক ক্ষমতা এবং পুতিনের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি এবং বিশ্বের নেতাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা’ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এবং বিশেষ করে, পুতিন শান্তি অর্জনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ইচ্ছাকে নিজের মতো করে প্রভাবিত করে পরিবর্তন করতে চান। আমি নিশ্চিত যে, আর কোনো রাশিয়ান ম্যানিপুলেশন সফল হবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে ভালোবাসেন। তাই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান না। তবে রাশিয়ার যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়া যদি আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে আমি এটি করতে চাই না, কারণ আমি রাশিয়াকে ভালোবাসি।’
এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার আক্রমণ বাইডেন প্রশাসনের কারণে হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বাইডেন পুতিনকে উচ্চ জ্বালানি মূল্যের মাধ্যমে লাভবান করেছেন এবং ইউরোপের দেশগুলোকে ইউক্রেনকে আরও সমর্থন দিতে চাপ দেননি।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভূমিকা আছে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি উভয়ই দায়ী।
গত ডিসেম্বরে প্যারিসে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ট্রাম্প। সে সময় ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে কী আলোচনা হয়েছিল তা প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষই। তবে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, ‘জেলেনস্কি যুদ্ধের শুরুতেই রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা না করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘জেলেনস্কি...এমনটা হতে দেওয়া আপনার উচিত হয়নি। তিনি কোনো ফেরেশতা নন। আমি খুব সহজেই সেই চুক্তি করতে পারতাম। কিন্তু জেলেনস্কি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, “আমি লড়াই করব”।’ সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প অবশ্য ইউক্রেনের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, তারা রাশিয়ার মতো বড় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমরা প্রচুর সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছি এবং ইউক্রেন তা সাহসের সঙ্গে ব্যবহার করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি এমন একটি যুদ্ধ, যা অবশ্যই থামাতে হবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এখন শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি যথেষ্ট দেখেছেন এবং শান্তি চান।’ নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাশিয়ার আক্রমণের জন্য ইউক্রেনের পাশাপাশি বাইডেন প্রশাসনও দায়ী। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি ক্ষমতায় এলে দ্রুত একটি শান্তি চুক্তি নিশ্চিত করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র ৪৭ তম এই প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের ইউক্রেন নীতির সমালোচনা করে বলেন, ‘তাঁর সময় পুতিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল।’ তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি পুতিনের সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন, পুতিন চুক্তি করতে ব্যর্থ হলে তিনি রাশিয়ার ওপর ‘ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। এ সময় ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের এটি করা (যুদ্ধ শুরু করা) উচিত হয়নি। এটি থামাতে হবে।’
এদিকে, রাশিয়ার একটি সম্প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন দাবি করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেনে সংকট এড়ানো যেত। পুতিন আরও জানিয়েছেন, তিনি নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এই সংকট নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে, ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেনে যুদ্ধ হতো না। তবে এই প্রথমবার পুতিনও একই মত প্রকাশ করলেন। পাশাপাশি পুতিন আরও একবার বলেছেন, যে ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চুরি হয়েছে। পুতিন বলেন, ‘আমি ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে একমত যে, যদি ২০২০ সালের নির্বাচন চুরি না হতো, তবে ২০২২ সালে যে ইউক্রেনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা হয়তো ঘটত না।’
এর আগে, ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন যে, তিনি একদিনে ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করে দেবেন। কিন্তু পরে তিনি তাঁর ইউক্রেন ও রাশিয়ার জন্য নিয়োগকৃত বিশেষ দূত কিথ কেলোগকে ১০০ দিন সময় দেন সমাধান খুঁজে বের করার জন্য। তবে নতুন ট্রাম্প প্রশাসন এখনো ইউক্রেনে শান্তির জন্য কোনো শক্ত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেনি। তারপরও ট্রাম্প এই সপ্তাহে বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাঁকে বলেছেন যে, তিনি একটি চুক্তি করতে চান এবং পুতিনেরও একটি সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।
গত বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তো, আমি মনে করি, রাশিয়ার একটি চুক্তি করার ইচ্ছা থাকা উচিত। হয়তো তারা একটি চুক্তি করতে চায়। আমি যা শুনেছি, তাতে মনে হয় পুতিন আমাকে দেখতে চায়। যত দ্রুত সম্ভব আমরা সাক্ষাৎ করব। আমি সঙ্গে সঙ্গেই সাক্ষাৎ করব। আমরা সাক্ষাৎ না করলে, প্রতিদিন যুদ্ধে সৈন্যরা মারা যাবে।’
রুশ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিনের বক্তব্য থেকে মনে হয়েছে, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে ইচ্ছুক। পুতিনে বলেন, ‘রাশিয়া এমন সাক্ষাতের জন্য সব সময় প্রস্তুত।’ পুতিন বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বলেছি, এবং এখনো আমি আবার জোর দিয়ে বলছি, আমরা ইউক্রেনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’ এক দিন আগে ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক আয়োজনে ‘ওয়াশিংটনের সংকেতের’ অপেক্ষা করছে।
এর আগে, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে চলমান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের একটি সেশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প হুমকি দেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর ওপর কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। তবে গতকাল শুক্রবার পুতিন সেই হুমকি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছেন, এমন পদক্ষেপ আমেরিকার অর্থনীতিরও ক্ষতি করবে।
পুতিন বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) শুধু একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি নন, তিনি একজন বাস্তববাদী ব্যক্তি। আমি কল্পনাই করতে পারি না যে, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যা নিজেই আমেরিকার অর্থনীতির ক্ষতি করবে।’
এদিকে, পুতিনের বক্তব্যের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পুতিন তাঁর লক্ষ্য অর্জনে ট্রাম্পকে ‘প্রভাবিত’ করার চেষ্টা করছেন। জেলেনস্কি বলেন, শুক্রবার ইউক্রেনের সুপ্রিম কমান্ডার ইন চিফ স্টাফ মিটিংয়ে ‘রাশিয়ার সামরিক ক্ষমতা এবং পুতিনের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি এবং বিশ্বের নেতাদের প্রভাবিত করার চেষ্টা’ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এবং বিশেষ করে, পুতিন শান্তি অর্জনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ইচ্ছাকে নিজের মতো করে প্রভাবিত করে পরিবর্তন করতে চান। আমি নিশ্চিত যে, আর কোনো রাশিয়ান ম্যানিপুলেশন সফল হবে না।’

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
২ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে আহত অস্ত্রোভস্কি একজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী। রক্তে ভেজা শরীর ও ব্যান্ডেজে মোড়ানো অবস্থায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে এখানে এসেছিলাম। চারদিকে শিশু, বৃদ্ধ, পরিবার—সবাই আনন্দ করছিল। হঠাৎ করেই সবকিছু বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। চারদিকে গুলির শব্দ, মানুষ দৌড়াচ্ছে, লুকোচ্ছে—পুরো জায়গা জুড়ে ভয়াবহ আতঙ্ক।’
অস্ত্রোভস্কি জানান, কোন দিক থেকে গুলি আসছিল, তা কেউ বুঝতে পারছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি নিজ চোখে দেখেছি এক বন্দুকধারী চারদিকে নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে। শিশুদের মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেছি, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের আহত হতে দেখেছি—এটা ছিল এক রক্তাক্ত বিভীষিকা।’
অস্ত্রোভস্কি এটাও জানান, তিনি ১৩ বছর ইসরায়েলে ছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাও তাঁর আছে। তাঁর ভাষায়, ‘সেই ঘটনার পর আবার এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখলাম। কখনো ভাবিনি অস্ট্রেলিয়ায়, তাও আবার বন্ডাই বিচের মতো জায়গায় এমন কিছু ঘটবে।’
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মীয় উৎসব হানুকা উদ্যাপনের সময় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ‘চানুকাহ বাই দ্য সি’ নামে একটি অনুষ্ঠানের মাঝেই এই হামলা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্যাম্পবেল প্যারেড এলাকায় একটি গাড়ি থেকে নেমে দুই সশস্ত্র ব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই উৎসবের আনন্দ রূপ নেয় বিভীষিকায়। পর্যটন এলাকা জুড়ে একের পর এক গুলির শব্দ শোনা যায়।
ঘটনাস্থলে বহু মানুষকে আহত অবস্থায় ঘাসের ওপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজনকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অপরজন আহত অবস্থায় আটক রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে ভালোবাসেন। তাই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান না। তবে রাশিয়ার যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া...
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সশস্ত্র হামলাকারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন এক পথচারী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই পথচারী হাজারো মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন।
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
অকস্মাৎ পেছন থেকে জাপটে ধরায় হামলাকারী ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এবং পিছু হটেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই পথচারীর এমন সাহসী পদক্ষেপে বহু মানুষের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।
যদিও ওই পথচারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে তাঁর এই অবিশ্বাস্য সাহসিকতার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক ব্যক্তি ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হিরো (একজন সাধারণ বেসামরিক) হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করেছেন। কেউ কেউ সাহসী আর কেউ কেউ...এই ধরনের।’ অন্য একজন বলেছেন, ‘এই অস্ট্রেলিয়ান বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসীদের একজনকে নিরস্ত্র করে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছেন। হিরো।’
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এটিকে তাঁর দেখা ‘সবচেয়ে অবিশ্বাস্য দৃশ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই লোকটি একজন প্রকৃত হিরো। তিনি নির্ভয়ে হামলাকারীর দিকে এগিয়ে গিয়ে তাঁকে নিরস্ত্র করলেন এবং অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করলেন। আমি নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তির সাহসিকতার জন্যই অনেক মানুষ বেঁচে আছেন।’

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও হামলার সময় অন্যদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসা নাগরিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই অস্ট্রেলীয়রা বিপদেও ছুটে গেছেন অন্যদের রক্ষা করতে। তাঁদের সাহসিকতাই অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।
উল্লেখ্য, গুলির ঘটনায় এখন পর্যন্ত হামলাকারীসহ ১২ জন নিহত বলে জানা গেছে। দুই হামলাকারীর মধ্যে একজন গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশের হেফাজতে আছেন। এ ঘটনায় তৃতীয় কোনো বন্দুকধারী জড়িত ছিলেন কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে ভালোবাসেন। তাই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান না। তবে রাশিয়ার যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া...
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে ভালোবাসেন। তাই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান না। তবে রাশিয়ার যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া...
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
২ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে ভালোবাসেন। তাই দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চান না। তবে রাশিয়ার যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে তিনি ‘মারাত্মক শুল্ক, কর এবং ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করবেন। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া...
২৫ জানুয়ারি ২০২৫
দুর্ভাগ্য আর কাকে বলে—অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আর্সেন অস্ত্রোভস্কি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার কবলেও পড়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য এই যে, দুই ঘটনায়ই তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন!
২ ঘণ্টা আগে
ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সাদা শার্ট পরা ওই পথচারী পার্কিং লট থেকে দৌড়ে গিয়ে রাইফেল হাতে থাকা হামলাকারীকে পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর তিনি হামলাকারীর কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেন এবং সেটি হামলাকারীর দিকেই তাক করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
৪ ঘণ্টা আগে