আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে অপমান সহ্য করেছে, সেটা তারা এত সহজে ভুলবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের ‘স্লিপার সেলের’ হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালানোর পর এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
স্লিপার সেল বলতে বোঝানো হয়, প্রতিপক্ষ দেশের ভেতরে গোপনে থাকা গুপ্তচর বা সন্ত্রাসীদের। যারা সাধারণ নাগরিকের ভেতর মিশে থাকে এবং নির্দিষ্ট সময় বা নির্দেশ পেলে সক্রিয় হয়। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কিছুটা কমে এলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ট্রাম্পের আগের প্রশাসনগুলো সীমান্ত নিরাপত্তায় শিথিলতা দেখানোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইরান অনেক ‘স্লিপার সেল’ সদস্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকিয়েছে। এরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে সমাজে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে, বিভিন্ন অপরাধী চক্র বা ইরানি কমিউনিটির সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তোলে। এরপর তারা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা, বিশৃঙ্খলা তৈরি কিংবা অন্যান্য সহিংস কাজ চালানোর সুযোগ খোঁজে।
মঙ্গলবার ন্যাটো সম্মেলনে যাওয়ার পথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করেন, তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন, ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেন প্রচুর সুপার সেল ঢুকতে দিয়েছে। অনেক ইরানি ঢুকেছে। তবে আমরা আশা করি, শিগগিরই তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ‘সুপার সেল’ বলতে তিনি মূলত ‘স্লিপার সেলের’ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের হাতে আসা এক সরকারি নথি অনুযায়ী, বাইডেনের প্রেসিডেন্সির সময় ১ হাজার ৫০০—এর বেশি ইরানি নাগরিককে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার সময় ধরা হয়। তাদের অর্ধেককেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
এটা কেবল সরকারের জানা সংখ্যা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসনের সময় যারা সীমান্তে ধরা পড়েনি এমন মানুষের সংখ্যা সরকারি হিসাবে উল্লেখ করা সংখ্যার চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। নিউইয়র্কের সাবেক হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্মকর্তা মাইকেল বালবোনি বলেন, ‘আমি যদি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা হতাম এবং দেখতাম এভাবে সহজে লোকজন সীমান্ত পার হতে পারছে, তাহলে অবশ্যই সেখানে আমার গুপ্তচর পাঠাতাম।’
বালবোনি জানান, সাধারণত এ ধরনের গুপ্তচরেরা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ইরানি অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে মিশে যায়, চাকরি নেয় এবং তাদের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থায় তথ্য পাঠায়। তিনি আরও বলেন, ‘এরপরই আসে “গো সিগন্যাল”, অর্থাৎ হামলা বা নাশকতার নির্দেশ।’
যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারলে এই গুপ্তচররা অপরাধী চক্রের লোকজনকেও কাজে লাগায়। এদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি তেহরানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, কেবল টাকার বিনিময়ে কাজ করে। গত বছর মার্কিন বিচার বিভাগ অভিযোগ আনে, ইরানি নাগরিক ফারহাদ শাকেরি তেহরানের নির্দেশে ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন। ২০২০ সালে ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই এই পরিকল্পনা করা হয়।
শাকেরি তাঁর জেল জীবনের অপরাধী নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে নিউইয়র্কের দুই অপরাধী কার্লাইল ‘পপ’ রিভেরা ও জনাথন লোডহোল্টকে ভাড়াটে খুনি হিসেবে নিয়োগের চেষ্টা করেন। ওই দুজনকে ব্রুকলিনে কোনো এক ব্যক্তিকে অপহরণ বা হত্যার বিনিময়ে ১ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
২০১১ সালে ইরানি-মার্কিন নাগরিক মনসুর আরবাবসিয়ার বিরুদ্ধে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের ক্যাফে মিলানোতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে বোমা হামলায় হত্যার চেষ্টা করেন। এ জন্য তিনি ১৫ লাখ ডলার ঘুষ দিতে প্রস্তুত ছিলেন এবং বলেন, হামলায় যদি নিরীহ লোকজনও মারা যায়, তাতে তার কিছু আসে-যায় না। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বসেরা ওই লোকটাকে শেষ করতে বলেছে। ওর সঙ্গে যদি আরও ১০০ জন মরে, তো মরুক।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ইরানি বংশোদ্ভূত অনেকেই হয়তো এখনো তেহরান সরকারের প্রতি আনুগত্য বোধ করেন। আবার অনেকের পরিবার ইরানে থাকায়, তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বা ব্ল্যাকমেল করে কাজে লাগানো হতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভও বিপথগামী তরুণদের সংগ্রহের সহজ মাধ্যম হতে পারে বলে মনে করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা ও আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল রুবিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যখন আত্মঘৃণা আর আমেরিকা বিরোধিতা ফ্যাশনে পরিণত হয়, তখন সেটা গুপ্তচর বা সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্য নিয়োগের আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।’
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ইরানি হ্যাকারদের হামলার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। এরা কারও ব্যক্তিগত বা গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে ইরানপন্থী কাজে বাধ্য করতে পারে। কোথায়, কখন, কীভাবে এই ‘স্লিপার সেল’ হামলা চালাতে পারে, তা স্পষ্ট নয়। তবে অতীতের নজির থেকে দেখা যায়, ইরান সাধারণত মার্কিন উসকানির পাল্টা জবাব দেয়।
২০২০ সালে ট্রাম্পের নির্দেশে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর, ইরান ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ১৪টি ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ফেলেছে। এর পাল্টা জবাবে ইরানও ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটির দিকে। তবে সেটাকে বেশির ভাগই ‘মৃদু’ প্রতিক্রিয়া বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা, যা বড় কোনো যুদ্ধ উসকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশ্লেষক থমাস ওয়ারিক বলেন, ‘ইরানের প্রতিশোধের নিজস্ব এক অদ্ভুত ধারাবাহিকতা রয়েছে। আমি হলে, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত হতাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইরান অতীতে অপরাধী গ্যাং ব্যবহার করে হত্যা বা নাশকতার চেষ্টা করেছে। ভবিষ্যতেও তারা একই কাজ করতে পারে।’
ইরান জানে, তারা সামরিক শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারবে না। তাই তারা বিকল্প কৌশলে এগোচ্ছে, যেটা বেশ ভয়াবহ হতে পারে। ইউক্রেনের ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’—এর উদাহরণ দেন অনেকেই, যেখানে ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে তারা দেশটির এক-তৃতীয়াংশ বোমারু বিমান ধ্বংস করেছে।
রুবিন বলেন, ‘আমেরিকানরা বোকার মতো নিজেকে অরক্ষিত ভাবছে। তারা বুঝছে না, শত্রুরা আমাদের ভেতর ঢুকে পড়ছে। পরবর্তী যুদ্ধ শুরু হবে না কোনো আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বা পার্ল হারবার ধরনের হামলা দিয়ে। শুরু হবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই স্লিপার সেলদের ড্রোন হামলা বা গুপ্তহত্যা দিয়ে।’
ইরানি স্লিপার সেলরা যদি যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালায়, তাহলে সেটি ট্রাম্প প্রশাসনের নিরাপত্তা দক্ষতার বড় পরীক্ষা হবে। কারণ ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বিভাগগুলোতে বড় ধরনের রদবদল করেছে। তবে অনেকে আশা করছেন, ট্রাম্পের প্রকাশ্য বক্তব্য স্লিপার সেলগুলোর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করবে, আর তারা কোনো ভুল করলে, যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধরতে পারবে।
এখনো কেউ নিশ্চিত নয়, ইরানি স্লিপার সেল কতটা গভীরভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছে। তবে অনেকেই মনে করছেন, এটি নিঃসন্দেহে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি। আর গত সপ্তাহান্তে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যে ১৫ টন বোমা পড়েছে, সেটি হয়তো তাদের ঘুম ভাঙানোর জন্য যথেষ্ট।

ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে অপমান সহ্য করেছে, সেটা তারা এত সহজে ভুলবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের ‘স্লিপার সেলের’ হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালানোর পর এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
স্লিপার সেল বলতে বোঝানো হয়, প্রতিপক্ষ দেশের ভেতরে গোপনে থাকা গুপ্তচর বা সন্ত্রাসীদের। যারা সাধারণ নাগরিকের ভেতর মিশে থাকে এবং নির্দিষ্ট সময় বা নির্দেশ পেলে সক্রিয় হয়। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কিছুটা কমে এলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ট্রাম্পের আগের প্রশাসনগুলো সীমান্ত নিরাপত্তায় শিথিলতা দেখানোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইরান অনেক ‘স্লিপার সেল’ সদস্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকিয়েছে। এরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে সমাজে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে, বিভিন্ন অপরাধী চক্র বা ইরানি কমিউনিটির সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তোলে। এরপর তারা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা, বিশৃঙ্খলা তৈরি কিংবা অন্যান্য সহিংস কাজ চালানোর সুযোগ খোঁজে।
মঙ্গলবার ন্যাটো সম্মেলনে যাওয়ার পথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করেন, তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন, ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেন প্রচুর সুপার সেল ঢুকতে দিয়েছে। অনেক ইরানি ঢুকেছে। তবে আমরা আশা করি, শিগগিরই তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ‘সুপার সেল’ বলতে তিনি মূলত ‘স্লিপার সেলের’ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের হাতে আসা এক সরকারি নথি অনুযায়ী, বাইডেনের প্রেসিডেন্সির সময় ১ হাজার ৫০০—এর বেশি ইরানি নাগরিককে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার সময় ধরা হয়। তাদের অর্ধেককেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
এটা কেবল সরকারের জানা সংখ্যা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসনের সময় যারা সীমান্তে ধরা পড়েনি এমন মানুষের সংখ্যা সরকারি হিসাবে উল্লেখ করা সংখ্যার চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। নিউইয়র্কের সাবেক হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্মকর্তা মাইকেল বালবোনি বলেন, ‘আমি যদি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা হতাম এবং দেখতাম এভাবে সহজে লোকজন সীমান্ত পার হতে পারছে, তাহলে অবশ্যই সেখানে আমার গুপ্তচর পাঠাতাম।’
বালবোনি জানান, সাধারণত এ ধরনের গুপ্তচরেরা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ইরানি অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে মিশে যায়, চাকরি নেয় এবং তাদের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থায় তথ্য পাঠায়। তিনি আরও বলেন, ‘এরপরই আসে “গো সিগন্যাল”, অর্থাৎ হামলা বা নাশকতার নির্দেশ।’
যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারলে এই গুপ্তচররা অপরাধী চক্রের লোকজনকেও কাজে লাগায়। এদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি তেহরানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, কেবল টাকার বিনিময়ে কাজ করে। গত বছর মার্কিন বিচার বিভাগ অভিযোগ আনে, ইরানি নাগরিক ফারহাদ শাকেরি তেহরানের নির্দেশে ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন। ২০২০ সালে ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই এই পরিকল্পনা করা হয়।
শাকেরি তাঁর জেল জীবনের অপরাধী নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে নিউইয়র্কের দুই অপরাধী কার্লাইল ‘পপ’ রিভেরা ও জনাথন লোডহোল্টকে ভাড়াটে খুনি হিসেবে নিয়োগের চেষ্টা করেন। ওই দুজনকে ব্রুকলিনে কোনো এক ব্যক্তিকে অপহরণ বা হত্যার বিনিময়ে ১ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
২০১১ সালে ইরানি-মার্কিন নাগরিক মনসুর আরবাবসিয়ার বিরুদ্ধে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের ক্যাফে মিলানোতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে বোমা হামলায় হত্যার চেষ্টা করেন। এ জন্য তিনি ১৫ লাখ ডলার ঘুষ দিতে প্রস্তুত ছিলেন এবং বলেন, হামলায় যদি নিরীহ লোকজনও মারা যায়, তাতে তার কিছু আসে-যায় না। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বসেরা ওই লোকটাকে শেষ করতে বলেছে। ওর সঙ্গে যদি আরও ১০০ জন মরে, তো মরুক।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ইরানি বংশোদ্ভূত অনেকেই হয়তো এখনো তেহরান সরকারের প্রতি আনুগত্য বোধ করেন। আবার অনেকের পরিবার ইরানে থাকায়, তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বা ব্ল্যাকমেল করে কাজে লাগানো হতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভও বিপথগামী তরুণদের সংগ্রহের সহজ মাধ্যম হতে পারে বলে মনে করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা ও আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল রুবিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যখন আত্মঘৃণা আর আমেরিকা বিরোধিতা ফ্যাশনে পরিণত হয়, তখন সেটা গুপ্তচর বা সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্য নিয়োগের আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।’
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ইরানি হ্যাকারদের হামলার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। এরা কারও ব্যক্তিগত বা গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে ইরানপন্থী কাজে বাধ্য করতে পারে। কোথায়, কখন, কীভাবে এই ‘স্লিপার সেল’ হামলা চালাতে পারে, তা স্পষ্ট নয়। তবে অতীতের নজির থেকে দেখা যায়, ইরান সাধারণত মার্কিন উসকানির পাল্টা জবাব দেয়।
২০২০ সালে ট্রাম্পের নির্দেশে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর, ইরান ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ১৪টি ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ফেলেছে। এর পাল্টা জবাবে ইরানও ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটির দিকে। তবে সেটাকে বেশির ভাগই ‘মৃদু’ প্রতিক্রিয়া বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা, যা বড় কোনো যুদ্ধ উসকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশ্লেষক থমাস ওয়ারিক বলেন, ‘ইরানের প্রতিশোধের নিজস্ব এক অদ্ভুত ধারাবাহিকতা রয়েছে। আমি হলে, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত হতাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইরান অতীতে অপরাধী গ্যাং ব্যবহার করে হত্যা বা নাশকতার চেষ্টা করেছে। ভবিষ্যতেও তারা একই কাজ করতে পারে।’
ইরান জানে, তারা সামরিক শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারবে না। তাই তারা বিকল্প কৌশলে এগোচ্ছে, যেটা বেশ ভয়াবহ হতে পারে। ইউক্রেনের ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’—এর উদাহরণ দেন অনেকেই, যেখানে ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে তারা দেশটির এক-তৃতীয়াংশ বোমারু বিমান ধ্বংস করেছে।
রুবিন বলেন, ‘আমেরিকানরা বোকার মতো নিজেকে অরক্ষিত ভাবছে। তারা বুঝছে না, শত্রুরা আমাদের ভেতর ঢুকে পড়ছে। পরবর্তী যুদ্ধ শুরু হবে না কোনো আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বা পার্ল হারবার ধরনের হামলা দিয়ে। শুরু হবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই স্লিপার সেলদের ড্রোন হামলা বা গুপ্তহত্যা দিয়ে।’
ইরানি স্লিপার সেলরা যদি যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালায়, তাহলে সেটি ট্রাম্প প্রশাসনের নিরাপত্তা দক্ষতার বড় পরীক্ষা হবে। কারণ ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বিভাগগুলোতে বড় ধরনের রদবদল করেছে। তবে অনেকে আশা করছেন, ট্রাম্পের প্রকাশ্য বক্তব্য স্লিপার সেলগুলোর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করবে, আর তারা কোনো ভুল করলে, যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধরতে পারবে।
এখনো কেউ নিশ্চিত নয়, ইরানি স্লিপার সেল কতটা গভীরভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছে। তবে অনেকেই মনে করছেন, এটি নিঃসন্দেহে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি। আর গত সপ্তাহান্তে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যে ১৫ টন বোমা পড়েছে, সেটি হয়তো তাদের ঘুম ভাঙানোর জন্য যথেষ্ট।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে অপমান সহ্য করেছে, সেটা তারা এত সহজে ভুলবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের ‘স্লিপার সেলের’ হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের
২৭ জুন ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে অপমান সহ্য করেছে, সেটা তারা এত সহজে ভুলবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের ‘স্লিপার সেলের’ হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের
২৭ জুন ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে অপমান সহ্য করেছে, সেটা তারা এত সহজে ভুলবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের ‘স্লিপার সেলের’ হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের
২৭ জুন ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে অপমান সহ্য করেছে, সেটা তারা এত সহজে ভুলবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের ‘স্লিপার সেলের’ হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের
২৭ জুন ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগে