অনলাইন ডেস্ক
মাস কয়েক আগেও, অনেক কানাডীয়র অনুমান ছিল—আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই জিতবে। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, বিষয়টি এখন আর অতটা নিশ্চিত নয়। কানাডার প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য, বিশেষ করে কানাডাকে অঙ্গরাজ্য বানানোসহ শুল্কারোপ ও অন্যান্য হুমকি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টির জনসমর্থন বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে কানাডার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে।
ট্রাম্পের হুমকি কানাডীয় ভোটারদের তাদের অগ্রাধিকারগুলোর বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক লুক টার্জিওনের মতে, ট্রাম্পের বক্তব্য স্বাস্থ্যসেবা, অপরাধ এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে আড়ালে ঠেলে দিয়েছে। তার পরিবর্তে, ভোটারেরা এখন ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড থেকে কানাডার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিকে বেশি মনোনিবেশ করছেন।
এই পরিবর্তনের ফলে ট্রুডোর সমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর ট্রুডোর রেটিং যা ছিল তা থেকে প্রায় ১২ পয়েন্ট বেড়েছে। ট্রুডো ২০২৫ সালের শুরুতে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও তাঁর নেতৃত্বেই লিবারেল পার্টি দারুণভাবে ফিরে এসেছে।
আজ রোববার লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে। নতুন নেতাকে দুটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে—১. ট্রাম্পের হুমকির জবাব কীভাবে দেবেন এবং ২. জাতীয় নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে। এই সিদ্ধান্তগুলো দলটির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কানাডার ফেডারেল নির্বাচন ২০ অক্টোবরের মধ্যে অবশ্যই অনুষ্ঠিত হতে হবে। তবে ক্ষমতাসীন দল চাইলে এটি এই সপ্তাহেই ডাকতে পারে। জরিপগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, অনেক কানাডীয় এখনো নেতৃত্ব পরিবর্তনের পক্ষে, তবে সেই পরিবর্তন কনজারভেটিভদের দিকে যাবে নাকি লিবারেল নেতৃত্বের অধীনে একটি নতুন দিক নির্ধারণ করবে তা অনিশ্চিত।
টরন্টোভিত্তিক ইনোভেটিভ রিসার্চ গ্রুপের প্রেসিডেন্ট গ্রেগ লাইল উল্লেখ করেছেন, পিয়েরে পোয়েলিয়েভরের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টি আগে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। তবে, রাজনৈতিক গতিশীলতা এখন অনেক বেশি পরিবর্তনশীল।
কনজারভেটিভরা তাদের প্রচারণায় জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, আবাসন সাশ্রয়, অপরাধ এবং চাপমুক্ত স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয়গুলোতে নিবদ্ধ করেছে। পোয়েলিয়েভর এই সামাজিক সমস্যাগুলোকে ট্রুডোর নীতির ফলাফল বলে দাবি করেছেন এবং ‘কমন সেন্সের রাজনীতি’ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু ট্রুডোর পদত্যাগ এবং ট্রাম্পের শুল্কের কারণে এই বার্তা প্রাসঙ্গিকতা হারাতে শুরু করেছে। লাইলের জরিপ অনুসারে, কানাডীয়রা এখন ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি এবং কানাডার অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।
ট্রাম্পের কানাডার রপ্তানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক—যার কিছু অংশ ২ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে—কানাডার অর্থনীতিকে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। দেশটি মোট রপ্তানির প্রায় তিন-চতুর্থাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র এবং শুল্কের ফলে কানাডায় ১০ লাখের বেশি মানুষ চাকরি হারাতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, শুল্ক অব্যাহত থাকলে কানাডা মন্দার মুখোমুখি হতে পারে। ট্রুডো ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের কারণ, বিশেষ করে সীমান্ত জুড়ে ফেন্টানিল প্রবাহ সম্পর্কে তাঁর দাবি, অযৌক্তিক বলে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন। ট্রুডো এটাও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ট্রাম্পের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো কানাডার অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেশটিকে সংযুক্ত করা সহজ করা।
কানাডার ওপর ট্রাম্পের প্রভাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ আসন্ন নির্বাচনের একটি নির্ধারিত বিষয় হয়ে উঠেছে। অধ্যাপক টার্জিওন উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্পের হুমকি থেকে কানাডাকে রক্ষা করার জন্য কে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে সেই প্রশ্নটি এখন রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যদিও কনজারভেটিভ পার্টি জরিপে ৪০ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছে। কিন্তু, লিবারেলরাও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, তাদের সমর্থন ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। অথচ, গত জানুয়ারিতেই এটি মাত্র ২০ শতাংশ ছিল।
লিবারেলরা পোয়েলিয়েভর এবং ট্রাম্পের মধ্যে মিল তুলে ধরার চেষ্টা করেছে, বিশেষ করে তাদের বক্তব্যে। সাম্প্রতিক এক বিতর্কে, লিবারেল প্রার্থীরা পোয়েলিয়েভরকে ‘আমাদের ছোট্ট ট্রাম্প’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুকরণ করার চেষ্টা করছেন।
লিবারেল পার্টির এক আক্রমণাত্মক বিজ্ঞাপনে ট্রাম্প ও পোয়েলিয়েভরের তুলনা টেনেছেন, যেখানে তাদের উভয়কে ‘ভুয়া সংবাদ’ এবং ‘কট্টর বাম’—এর মতো বাক্যাংশ ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এই আক্রমণ সত্ত্বেও পোয়েলিয়েভর এবং ট্রাম্পের রাজনৈতিক শৈলীতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আছে। তদুপরি, ট্রাম্প নিজেও এই তুলনাকে খাটো করে বলেছেন, পোয়েলিয়েভর তাঁর ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ পর্যায়ের নেতা নন।
সাম্প্রতিক জরিপে আরও দেখা গেছে, অনেক কানাডীয় বিশ্বাস করেন যে—লিবারেল নেতৃত্বের ফ্রন্টরানার মার্ক কার্নি ট্রাম্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আরও ভালোভাবে সক্ষম, বিশেষ করে শুল্ক এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট এবং ব্রেক্সিটের মতো অর্থনৈতিক সংকটের অভিজ্ঞতা কার্নিকে লিবারেল পার্টির মধ্যে শক্ত প্রার্থী করে তুলেছে।
রাজনৈতিক মেজাজের পরিবর্তন কনজারভেটিভদের তাদের বার্তা পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করেছে। ট্রাম্পের হুমকি কানাডীয়দের মাঝে দেশপ্রেমের শক্তিশালী অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছে। অনেক কানাডীয় মার্কিন পণ্য বর্জন করছেন এবং এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বাতিল করছেন।
প্রতিক্রিয়ায়, কনজারভেটিভরা তাদের বক্তব্যে পরিবর্তন এনেছে। তারা তাদের পূর্ববর্তী স্লোগান ‘কানাডা ভেঙে গেছে’ থেকে সরে আরও জাতীয়তাবাদী ‘কানাডা ফার্স্ট’ স্লোগান গ্রহণ করেছে। কনজারভেটিভরা এখন কার্নিকে আক্রমণে মনোনিবেশ করেছে, তাঁর কানাডার প্রতি আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিরোধীরা কার্নির কোম্পানি ব্রুকফিল্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সভাপতি থাকাকালীন টরন্টো থেকে নিউইয়র্কে সদর দপ্তর স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে তাঁর ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যদিও কার্নি এই সিদ্ধান্তে তাঁর জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পের নীতি সম্পর্কে কানাডার ভবিষ্যৎ নিয়ে কানাডীয়দের উদ্বেগ উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। লাইল পরামর্শ দিয়েছেন, কার্নির কানাডার প্রতি আনুগত্য নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা জরিপে তাঁর অবস্থানের ক্ষতি করতে পারে।
মাস কয়েক আগেও, অনেক কানাডীয়র অনুমান ছিল—আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই জিতবে। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, বিষয়টি এখন আর অতটা নিশ্চিত নয়। কানাডার প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য, বিশেষ করে কানাডাকে অঙ্গরাজ্য বানানোসহ শুল্কারোপ ও অন্যান্য হুমকি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টির জনসমর্থন বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে কানাডার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এক নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে।
ট্রাম্পের হুমকি কানাডীয় ভোটারদের তাদের অগ্রাধিকারগুলোর বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক লুক টার্জিওনের মতে, ট্রাম্পের বক্তব্য স্বাস্থ্যসেবা, অপরাধ এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে আড়ালে ঠেলে দিয়েছে। তার পরিবর্তে, ভোটারেরা এখন ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড থেকে কানাডার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিকে বেশি মনোনিবেশ করছেন।
এই পরিবর্তনের ফলে ট্রুডোর সমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর ট্রুডোর রেটিং যা ছিল তা থেকে প্রায় ১২ পয়েন্ট বেড়েছে। ট্রুডো ২০২৫ সালের শুরুতে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও তাঁর নেতৃত্বেই লিবারেল পার্টি দারুণভাবে ফিরে এসেছে।
আজ রোববার লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে। নতুন নেতাকে দুটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে—১. ট্রাম্পের হুমকির জবাব কীভাবে দেবেন এবং ২. জাতীয় নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে। এই সিদ্ধান্তগুলো দলটির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কানাডার ফেডারেল নির্বাচন ২০ অক্টোবরের মধ্যে অবশ্যই অনুষ্ঠিত হতে হবে। তবে ক্ষমতাসীন দল চাইলে এটি এই সপ্তাহেই ডাকতে পারে। জরিপগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, অনেক কানাডীয় এখনো নেতৃত্ব পরিবর্তনের পক্ষে, তবে সেই পরিবর্তন কনজারভেটিভদের দিকে যাবে নাকি লিবারেল নেতৃত্বের অধীনে একটি নতুন দিক নির্ধারণ করবে তা অনিশ্চিত।
টরন্টোভিত্তিক ইনোভেটিভ রিসার্চ গ্রুপের প্রেসিডেন্ট গ্রেগ লাইল উল্লেখ করেছেন, পিয়েরে পোয়েলিয়েভরের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টি আগে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। তবে, রাজনৈতিক গতিশীলতা এখন অনেক বেশি পরিবর্তনশীল।
কনজারভেটিভরা তাদের প্রচারণায় জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, আবাসন সাশ্রয়, অপরাধ এবং চাপমুক্ত স্বাস্থ্যসেবার মতো বিষয়গুলোতে নিবদ্ধ করেছে। পোয়েলিয়েভর এই সামাজিক সমস্যাগুলোকে ট্রুডোর নীতির ফলাফল বলে দাবি করেছেন এবং ‘কমন সেন্সের রাজনীতি’ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু ট্রুডোর পদত্যাগ এবং ট্রাম্পের শুল্কের কারণে এই বার্তা প্রাসঙ্গিকতা হারাতে শুরু করেছে। লাইলের জরিপ অনুসারে, কানাডীয়রা এখন ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি এবং কানাডার অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।
ট্রাম্পের কানাডার রপ্তানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক—যার কিছু অংশ ২ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে—কানাডার অর্থনীতিকে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। দেশটি মোট রপ্তানির প্রায় তিন-চতুর্থাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র এবং শুল্কের ফলে কানাডায় ১০ লাখের বেশি মানুষ চাকরি হারাতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, শুল্ক অব্যাহত থাকলে কানাডা মন্দার মুখোমুখি হতে পারে। ট্রুডো ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের কারণ, বিশেষ করে সীমান্ত জুড়ে ফেন্টানিল প্রবাহ সম্পর্কে তাঁর দাবি, অযৌক্তিক বলে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন। ট্রুডো এটাও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ট্রাম্পের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো কানাডার অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেশটিকে সংযুক্ত করা সহজ করা।
কানাডার ওপর ট্রাম্পের প্রভাব নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ আসন্ন নির্বাচনের একটি নির্ধারিত বিষয় হয়ে উঠেছে। অধ্যাপক টার্জিওন উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্পের হুমকি থেকে কানাডাকে রক্ষা করার জন্য কে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে সেই প্রশ্নটি এখন রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যদিও কনজারভেটিভ পার্টি জরিপে ৪০ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছে। কিন্তু, লিবারেলরাও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, তাদের সমর্থন ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। অথচ, গত জানুয়ারিতেই এটি মাত্র ২০ শতাংশ ছিল।
লিবারেলরা পোয়েলিয়েভর এবং ট্রাম্পের মধ্যে মিল তুলে ধরার চেষ্টা করেছে, বিশেষ করে তাদের বক্তব্যে। সাম্প্রতিক এক বিতর্কে, লিবারেল প্রার্থীরা পোয়েলিয়েভরকে ‘আমাদের ছোট্ট ট্রাম্প’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুকরণ করার চেষ্টা করছেন।
লিবারেল পার্টির এক আক্রমণাত্মক বিজ্ঞাপনে ট্রাম্প ও পোয়েলিয়েভরের তুলনা টেনেছেন, যেখানে তাদের উভয়কে ‘ভুয়া সংবাদ’ এবং ‘কট্টর বাম’—এর মতো বাক্যাংশ ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এই আক্রমণ সত্ত্বেও পোয়েলিয়েভর এবং ট্রাম্পের রাজনৈতিক শৈলীতে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আছে। তদুপরি, ট্রাম্প নিজেও এই তুলনাকে খাটো করে বলেছেন, পোয়েলিয়েভর তাঁর ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ পর্যায়ের নেতা নন।
সাম্প্রতিক জরিপে আরও দেখা গেছে, অনেক কানাডীয় বিশ্বাস করেন যে—লিবারেল নেতৃত্বের ফ্রন্টরানার মার্ক কার্নি ট্রাম্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আরও ভালোভাবে সক্ষম, বিশেষ করে শুল্ক এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে। ২০০৮ সালের আর্থিক সংকট এবং ব্রেক্সিটের মতো অর্থনৈতিক সংকটের অভিজ্ঞতা কার্নিকে লিবারেল পার্টির মধ্যে শক্ত প্রার্থী করে তুলেছে।
রাজনৈতিক মেজাজের পরিবর্তন কনজারভেটিভদের তাদের বার্তা পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করেছে। ট্রাম্পের হুমকি কানাডীয়দের মাঝে দেশপ্রেমের শক্তিশালী অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছে। অনেক কানাডীয় মার্কিন পণ্য বর্জন করছেন এবং এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ বাতিল করছেন।
প্রতিক্রিয়ায়, কনজারভেটিভরা তাদের বক্তব্যে পরিবর্তন এনেছে। তারা তাদের পূর্ববর্তী স্লোগান ‘কানাডা ভেঙে গেছে’ থেকে সরে আরও জাতীয়তাবাদী ‘কানাডা ফার্স্ট’ স্লোগান গ্রহণ করেছে। কনজারভেটিভরা এখন কার্নিকে আক্রমণে মনোনিবেশ করেছে, তাঁর কানাডার প্রতি আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিরোধীরা কার্নির কোম্পানি ব্রুকফিল্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সভাপতি থাকাকালীন টরন্টো থেকে নিউইয়র্কে সদর দপ্তর স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে তাঁর ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যদিও কার্নি এই সিদ্ধান্তে তাঁর জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।
নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পের নীতি সম্পর্কে কানাডার ভবিষ্যৎ নিয়ে কানাডীয়দের উদ্বেগ উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। লাইল পরামর্শ দিয়েছেন, কার্নির কানাডার প্রতি আনুগত্য নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা জরিপে তাঁর অবস্থানের ক্ষতি করতে পারে।
মিয়ানমারের সাংবাদিকদের পরিচালিত থাইল্যান্ড–ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর খবরে বলা হয়েছে, রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের সময় মান্ডালায়, নেপিডো এবং অন্যান্য এলাকার বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়ে। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহরের কাছে।
১৫ মিনিট আগেসরকার তাৎক্ষণিক, একতরফা ও আকস্মিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, বাজেট ভাষণে তারা ২ শতাংশ কর বাতিল করেছে। এরপর অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ৬ শতাংশ ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স, যা সাধারণত ‘গুগল ট্যাক্স’ নামে পরিচিত, সেটিও তুলে দেওয়া হবে। এখন, ট্রাম্পকে তারা আর কী কী দেবেন?’
১ ঘণ্টা আগেগত বুধবার (২৬ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা গাড়ি এবং যানবাহনের যন্ত্রাংশের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প এবং বলেন, ‘এটি স্থায়ী সিদ্ধান্ত’। যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি রপ্তানিকারক শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে—মেক্সিকো, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও জার্মানির মতো ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ
১ ঘণ্টা আগেভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে সম্প্রতি প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে হত্যার দুটি ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে পুরো রাজ্যেই আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এমন ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে এক যুবক তাঁর স্ত্রীকে নিজেই প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে