আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধে হেরে যেতে পারে বলে মনে না হলেও ইতিহাসে এমন নজির বিরল নয়। ১৯৪২ সালের আজকের এই দিনে (৯ এপ্রিল) ‘বাতানের যুদ্ধে’ জাপানের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় মার্কিন সেনাবাহিনী।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক করুণ অধ্যায় হলো বাতানের যুদ্ধ, যা শেষ হয় মার্কিন ও ফিলিপিনো বাহিনীর জাপানের কাছে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয়, যেখানে প্রায় ৭৫ হাজার সেনা বন্দী হয়।
১৯৪১ সালের ৮ ডিসেম্বর ফিলিপাইনে আক্রমণ চালায় জাপান, যা ছিল পার্ল হারবার হামলার ঠিক এক দিন পর। জাপানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের যৌথ বাহিনী ম্যানিলার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বাতান দ্বীপে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। প্রায় তিন মাস ধরে প্রতিরোধ গড়ে টিকে থাকে দুই দেশের সেনারা। কিন্তু খাদ্য, ওষুধ ও অস্ত্রের ঘাটতি ক্রমশ তাদের দুর্বল করে তোলে।
পরে জাপানিদের তীব্র আক্রমণের মুখে ১৯৪২ সালের ৯ এপ্রিল, মার্কিন জেনারেল এডওয়ার্ড কিং আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর শুরু হয় ভয়াবহ ‘বাতান মৃত্যু মার্চ’, যেখানে বন্দী সেনাদের প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ বিরামহীন হাঁটিয়ে নেওয়া হয়। বর্বর এই আচরণে খাবার, পানি ও বিশ্রামের অভাবে পথেই প্রাণ হারান হাজার হাজার সেনা।
সামরিক ইতিহাসে আত্মসমর্পণ প্রায়ই কৌশলগত প্রয়োজনে ঘটে; যেমন রসদ ফুরিয়ে গেলে, শত্রুরা ঘিরে ফেললে, অথবা প্রাণ রক্ষার্থে। ছোট আত্মসমর্পণগুলো উনিশ শতকে বা গেরিলা যুদ্ধের সময় স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। কিন্তু বাতানের মতো ব্যাপক আত্মসমর্পণ মার্কিন কৌশলের জন্য অত্যন্ত বিরল।
বহু যুদ্ধেই আত্মসমর্পণ করেছে মার্কিন সেনারা; কিন্তু বাতানের আত্মসমর্পণকে বিরল মনে করা হয়। কারণ, মার্কিন ইতিহাসে এত বিপুলসংখ্যক সৈন্য নিয়ে আত্মসমর্পণ করার মতো পরিস্থিতির মুখে এর আগে বা পরে কখনোই তারা পড়েনি; বিশেষ করে যে উপায়ে সেনাদের মৃত্যু হয়েছে, তা বিরল। শত কিলোমিটার রাস্তা বিনা বিশ্রামে হাঁটিয়ে নেওয়া হয়েছে সেনাদের। ‘বাতান মৃত্যু মার্চ’ জাপানিদের যুদ্ধাপরাধের প্রতীক হিসেবে ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা বাতান যুদ্ধের গুরুত্ব ও ভয়াবহতাকে আরও গভীরভাবে মানবিক ও ঐতিহাসিক মাত্রা দিয়েছে। এ ছাড়া এই পরাজয়কে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন শক্তির জন্য একটি দুঃখজনক মোড় বলেও মনে করা হয়।
মার্কিন বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে এমন আরও কিছু যুদ্ধ—
ডেট্রয়েটের যুদ্ধ (১৮১২)
গণহত্যার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট দুর্গে যুদ্ধ শুরুর আগেই ব্রিটিশ ও স্থানীয় মার্কিন বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন মার্কিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইলিয়াম হল। পরিণতিতে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সৈন্য বন্দী হয়।
গৃহযুদ্ধকালে যত আত্মসমর্পণ (১৮৬১–৬৫)
ফোর্ট সামটার (১৮৬১) : স্বাধীনতাকামী কনফেডারেট বাহিনীর সংক্ষিপ্ত গোলাবর্ষণের পর মার্কিন সেনারা রবার্ট অ্যান্ডারসনের নেতৃত্বে বাহিনীটির কাছে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় ৮৫ জন সেনা ছিল সেখানে।
হারপার্স ফেরি (১৮৬২) : অ্যান্টিটাম অভিযানের সময় ইউনিয়ন কর্নেল ডিক্সন এস. মাইলস প্রায় ১২ হাজার ৫০০ সেনা নিয়ে কনফেডারেট জেনারেল স্টোনওয়াল জ্যাকসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এটি ছিল যুদ্ধে ইউনিয়নের অন্যতম বড় আত্মসমর্পণ।
রেড ইন্ডিয়ানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (১৯ শতক)
ফেটারম্যান ফাইট (১৮৬৬) : রেড ক্লাউড যুদ্ধে আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ান গোষ্ঠী লাকোটা, চেয়েন এবং আরাপাহো যোদ্ধাদের আক্রমণে ক্যাপ্টেন উইলিয়াম জে. ফেটারম্যানের নেতৃত্বাধীন প্রায় ৮০ জনের একটি দল নিঃশেষ হয়ে যায়। এখানে কোনো আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ ঘটেনি; কারণ, পুরো ইউনিটই ধ্বংস হয়ে যায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
ফিলিপাইনের বাতান ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে মার্কিন বাহিনীর ছোট বেশ কয়েকটি ইউনিট আত্মসমর্পণ করে:
গুয়াম ও ওয়েক দ্বীপ (১৯৪১) : ১৯৪১ সালের ডিসেম্বর প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপ দুটিতে জাপানি বাহিনীর কাছে মার্কিন ইউনিট আত্মসমর্পণ করে। গুয়ামে প্রায় ৫৪০ জন এবং ওয়েকে প্রায় ৪৫০ জন মার্কিন সেনা ছিল।
ক্যাসারিন পাস (১৯৪৩) : তিউনিসিয়া অভিযানে কিছু মার্কিন ইউনিট জার্মান বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে। যদিও পুরো বাহিনীর পক্ষ থেকে একত্রে আত্মসমর্পণ করা হয়নি।
কোরিয়া যুদ্ধ (১৯৫০–৫৩)
১৯৫০ সালের জুলাইয়ে যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে তেজনের যুদ্ধে মার্কিন ২৪তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের কিছু ইউনিট উত্তর কোরিয়ার বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে বিচ্ছিন্নভাবে আত্মসমর্পণ করে। মার্কিন বাহিনীর মেজর জেনারেল উইলিয়াম এফ. ডিন সৈন্যদের সংগঠিত করতে গিয়ে ধরা পড়েন।
ভিয়েতনাম যুদ্ধ (১৯৬৫–৭৩)
এ সময়ে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে, যেখানে ছোট ইউনিট বা একক সৈনিক আত্মসমর্পণ করে বা বন্দী হয়। যেমন ১৯৬৫ সালে ইয়া দ্রাং-এর যুদ্ধ। তবে বড় পরিসরে কোনো আত্মসমর্পণের ঘটনা ঘটেনি।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধে হেরে যেতে পারে বলে মনে না হলেও ইতিহাসে এমন নজির বিরল নয়। ১৯৪২ সালের আজকের এই দিনে (৯ এপ্রিল) ‘বাতানের যুদ্ধে’ জাপানের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় মার্কিন সেনাবাহিনী।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক করুণ অধ্যায় হলো বাতানের যুদ্ধ, যা শেষ হয় মার্কিন ও ফিলিপিনো বাহিনীর জাপানের কাছে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয়, যেখানে প্রায় ৭৫ হাজার সেনা বন্দী হয়।
১৯৪১ সালের ৮ ডিসেম্বর ফিলিপাইনে আক্রমণ চালায় জাপান, যা ছিল পার্ল হারবার হামলার ঠিক এক দিন পর। জাপানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের যৌথ বাহিনী ম্যানিলার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বাতান দ্বীপে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। প্রায় তিন মাস ধরে প্রতিরোধ গড়ে টিকে থাকে দুই দেশের সেনারা। কিন্তু খাদ্য, ওষুধ ও অস্ত্রের ঘাটতি ক্রমশ তাদের দুর্বল করে তোলে।
পরে জাপানিদের তীব্র আক্রমণের মুখে ১৯৪২ সালের ৯ এপ্রিল, মার্কিন জেনারেল এডওয়ার্ড কিং আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর শুরু হয় ভয়াবহ ‘বাতান মৃত্যু মার্চ’, যেখানে বন্দী সেনাদের প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ বিরামহীন হাঁটিয়ে নেওয়া হয়। বর্বর এই আচরণে খাবার, পানি ও বিশ্রামের অভাবে পথেই প্রাণ হারান হাজার হাজার সেনা।
সামরিক ইতিহাসে আত্মসমর্পণ প্রায়ই কৌশলগত প্রয়োজনে ঘটে; যেমন রসদ ফুরিয়ে গেলে, শত্রুরা ঘিরে ফেললে, অথবা প্রাণ রক্ষার্থে। ছোট আত্মসমর্পণগুলো উনিশ শতকে বা গেরিলা যুদ্ধের সময় স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। কিন্তু বাতানের মতো ব্যাপক আত্মসমর্পণ মার্কিন কৌশলের জন্য অত্যন্ত বিরল।
বহু যুদ্ধেই আত্মসমর্পণ করেছে মার্কিন সেনারা; কিন্তু বাতানের আত্মসমর্পণকে বিরল মনে করা হয়। কারণ, মার্কিন ইতিহাসে এত বিপুলসংখ্যক সৈন্য নিয়ে আত্মসমর্পণ করার মতো পরিস্থিতির মুখে এর আগে বা পরে কখনোই তারা পড়েনি; বিশেষ করে যে উপায়ে সেনাদের মৃত্যু হয়েছে, তা বিরল। শত কিলোমিটার রাস্তা বিনা বিশ্রামে হাঁটিয়ে নেওয়া হয়েছে সেনাদের। ‘বাতান মৃত্যু মার্চ’ জাপানিদের যুদ্ধাপরাধের প্রতীক হিসেবে ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা বাতান যুদ্ধের গুরুত্ব ও ভয়াবহতাকে আরও গভীরভাবে মানবিক ও ঐতিহাসিক মাত্রা দিয়েছে। এ ছাড়া এই পরাজয়কে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন শক্তির জন্য একটি দুঃখজনক মোড় বলেও মনে করা হয়।
মার্কিন বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে এমন আরও কিছু যুদ্ধ—
ডেট্রয়েটের যুদ্ধ (১৮১২)
গণহত্যার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ডেট্রয়েট দুর্গে যুদ্ধ শুরুর আগেই ব্রিটিশ ও স্থানীয় মার্কিন বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন মার্কিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উইলিয়াম হল। পরিণতিতে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সৈন্য বন্দী হয়।
গৃহযুদ্ধকালে যত আত্মসমর্পণ (১৮৬১–৬৫)
ফোর্ট সামটার (১৮৬১) : স্বাধীনতাকামী কনফেডারেট বাহিনীর সংক্ষিপ্ত গোলাবর্ষণের পর মার্কিন সেনারা রবার্ট অ্যান্ডারসনের নেতৃত্বে বাহিনীটির কাছে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় ৮৫ জন সেনা ছিল সেখানে।
হারপার্স ফেরি (১৮৬২) : অ্যান্টিটাম অভিযানের সময় ইউনিয়ন কর্নেল ডিক্সন এস. মাইলস প্রায় ১২ হাজার ৫০০ সেনা নিয়ে কনফেডারেট জেনারেল স্টোনওয়াল জ্যাকসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এটি ছিল যুদ্ধে ইউনিয়নের অন্যতম বড় আত্মসমর্পণ।
রেড ইন্ডিয়ানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ (১৯ শতক)
ফেটারম্যান ফাইট (১৮৬৬) : রেড ক্লাউড যুদ্ধে আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ান গোষ্ঠী লাকোটা, চেয়েন এবং আরাপাহো যোদ্ধাদের আক্রমণে ক্যাপ্টেন উইলিয়াম জে. ফেটারম্যানের নেতৃত্বাধীন প্রায় ৮০ জনের একটি দল নিঃশেষ হয়ে যায়। এখানে কোনো আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ ঘটেনি; কারণ, পুরো ইউনিটই ধ্বংস হয়ে যায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
ফিলিপাইনের বাতান ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে মার্কিন বাহিনীর ছোট বেশ কয়েকটি ইউনিট আত্মসমর্পণ করে:
গুয়াম ও ওয়েক দ্বীপ (১৯৪১) : ১৯৪১ সালের ডিসেম্বর প্রশান্ত মহাসাগরের এই দ্বীপ দুটিতে জাপানি বাহিনীর কাছে মার্কিন ইউনিট আত্মসমর্পণ করে। গুয়ামে প্রায় ৫৪০ জন এবং ওয়েকে প্রায় ৪৫০ জন মার্কিন সেনা ছিল।
ক্যাসারিন পাস (১৯৪৩) : তিউনিসিয়া অভিযানে কিছু মার্কিন ইউনিট জার্মান বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে। যদিও পুরো বাহিনীর পক্ষ থেকে একত্রে আত্মসমর্পণ করা হয়নি।
কোরিয়া যুদ্ধ (১৯৫০–৫৩)
১৯৫০ সালের জুলাইয়ে যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে তেজনের যুদ্ধে মার্কিন ২৪তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের কিছু ইউনিট উত্তর কোরিয়ার বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে বিচ্ছিন্নভাবে আত্মসমর্পণ করে। মার্কিন বাহিনীর মেজর জেনারেল উইলিয়াম এফ. ডিন সৈন্যদের সংগঠিত করতে গিয়ে ধরা পড়েন।
ভিয়েতনাম যুদ্ধ (১৯৬৫–৭৩)
এ সময়ে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে, যেখানে ছোট ইউনিট বা একক সৈনিক আত্মসমর্পণ করে বা বন্দী হয়। যেমন ১৯৬৫ সালে ইয়া দ্রাং-এর যুদ্ধ। তবে বড় পরিসরে কোনো আত্মসমর্পণের ঘটনা ঘটেনি।

মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে অরুণাচল প্রদেশের ওপর চীনের দাবিকে তাদের ‘কোর ইন্টারেস্ট’ বা মূল স্বার্থ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই স্বার্থগুলোর বিষয়ে চীন কোনো ধরনের আলোচনা বা আপস করতে রাজি নয়।
৩৮ মিনিট আগে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনে অবস্থিত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র ক্রিপ্টোমাইনিংয়ে কাজে লাগাতে চান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি দেশটির অর্থনীতিকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম কমারস্যান্তের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের গুরগাঁওয়ে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। মাত্র ছয় মাসের পরিচয়ের ভিত্তিতে এক যুবক বিয়ের প্রস্তাব দেন এক বিবাহিত তরুণীকে। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাঁকে গুলি করেন সেই যুবক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, মার্কিন বাহিনী উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএল (আইএসআইএস) যোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে অরুণাচল প্রদেশের ওপর চীনের দাবিকে তাদের ‘কোর ইন্টারেস্ট’ বা মূল স্বার্থ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই স্বার্থগুলোর বিষয়ে চীন কোনো ধরনের আলোচনা বা আপস করতে রাজি নয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের নেতৃত্ব তাদের ‘মূল স্বার্থে’র পরিধি আরও বাড়িয়ে এখন তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগরের সার্বভৌমত্ব ও সামুদ্রিক বিরোধ, সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ২০৪৯ সালের মধ্যে ‘চীনা জাতির মহান পুনর্জাগরণের’ জন্য চীন ও এই বিতর্কিত অঞ্চলগুলোর একীকরণ একটি ‘স্বাভাবিক আবশ্যকতা।’ এই ‘পুনর্জাগরণ’ সম্পন্ন হলে চীন বিশ্বমঞ্চে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং এমন এক ‘বিশ্বমানের’ সামরিক বাহিনী গড়ে তুলবে যা যেকোনো যুদ্ধে ‘লড়তে ও জিততে’ সক্ষম হবে। একই সঙ্গে এই বাহিনী বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থ অত্যন্ত ‘দৃঢ়ভাবে রক্ষা’ করবে।
নথিতে চীনের পুনর্জাগরণের জন্য তিনটি মূল স্বার্থের কথা বলা হয়েছে, যেখানে কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই। এর মধ্যে রয়েছে—চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা, অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসার এবং চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক দাবির প্রতিরক্ষা ও সম্প্রসারণ।
মূল্যায়নে আরও দেখা গেছে, সিপিসি তাদের শাসনের প্রতি যেকোনো অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক হুমকি বা সমালোচনার বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল। বিশেষ করে, চীনা স্বার্থ রক্ষায় তারা ব্যর্থ হচ্ছে—এমন কোনো সমালোচনা তারা সহ্য করে না।
ভারত-চীন সম্পর্কের বিষয়ে প্রতিবেদনে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের দুই দিন আগে ভারত সরকার চীনের সঙ্গে এলএসি-এর অমীমাংসিত স্থানগুলো থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার চুক্তির কথা ঘোষণা করে।
এই বৈঠকের মাধ্যমেই দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের মাসিক আলোচনার পথ উন্মুক্ত হয়। যেখানে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে সরাসরি বিমান চলাচল, ভিসা সুবিধা সহজীকরণ এবং শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
যদিও চীন এলএসিতে উত্তেজনা কমিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে চায়, যার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ভারত-মার্কিন সম্পর্ক যেন আরও গভীর হতে না পারে। তবে প্রতিবেদনটি এও বলছে যে, ভারত সম্ভবত চীনের কাজ ও উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান থাকবে। পারস্পরিক অবিশ্বাস ও অন্যান্য অস্বস্তিকর বিষয়গুলো দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতিকে সীমিত করে রাখবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, পেন্টাগনের এই প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। তাদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান ছড়িয়ে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে। তারা দাবি করেছে, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাসের বিষয়টি ব্যবহার করে বেইজিং ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছে—পেন্টাগনের এমন দাবি ভিত্তিহীন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘পেন্টাগনের এই প্রতিবেদন চীনের প্রতিরক্ষা নীতিকে বিকৃত করেছে এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে চীনের বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। মূলত নিজেদের সামরিক আধিপত্য বজায় রাখতেই যুক্তরাষ্ট্র এমন অজুহাত খুঁজছে।’ চীন এই প্রতিবেদনের তীব্র বিরোধিতা করছে বলে তিনি জানান।
পৃথকভাবে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাং শিয়াওগাং-ও এই প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে পাকিস্তান ও চীনের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ গবেষণার সহযোগিতা এবং সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনার যে উল্লেখ রয়েছে, ঝাং সেটিকে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বছরের পর বছর ধরে এসব মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। তারা চীনের প্রতিরক্ষা নীতিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে এবং আমাদের সামরিক বাহিনীর স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডকে কলঙ্কিত করছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনটি ভূ-রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করতে ‘চীনা সামরিক হুমকি’র বিষয়টি বাড়িয়ে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে এই ধরনের মিথ্যা বয়ান এবং উসকানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে লিন জিয়ান জানান, বেইজিং দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ককে কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ শক্তিশালী করতে, পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে এবং মতপার্থক্য সঠিকভাবে পরিচালনা করে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।’
এলএসি প্রসঙ্গে লিন স্পষ্ট করে বলেন, ‘সীমান্ত সমস্যা চীন ও ভারতের নিজস্ব বিষয়। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি মোটের ওপর স্থিতিশীল এবং দুই দেশের যোগাযোগের পথও খোলা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো দেশের ভিত্তিহীন মন্তব্য চীন মেনে নেবে না।’
২০২৫ সালের জন্য প্রকাশিত এই বার্ষিক প্রতিবেদনে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ আরও বলেছে, চীন সম্ভবত পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে অতিরিক্ত সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সেখানে বেইজিং সামরিক সুবিধা বাড়ানোর বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।

মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে অরুণাচল প্রদেশের ওপর চীনের দাবিকে তাদের ‘কোর ইন্টারেস্ট’ বা মূল স্বার্থ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই স্বার্থগুলোর বিষয়ে চীন কোনো ধরনের আলোচনা বা আপস করতে রাজি নয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের নেতৃত্ব তাদের ‘মূল স্বার্থে’র পরিধি আরও বাড়িয়ে এখন তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগরের সার্বভৌমত্ব ও সামুদ্রিক বিরোধ, সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, ২০৪৯ সালের মধ্যে ‘চীনা জাতির মহান পুনর্জাগরণের’ জন্য চীন ও এই বিতর্কিত অঞ্চলগুলোর একীকরণ একটি ‘স্বাভাবিক আবশ্যকতা।’ এই ‘পুনর্জাগরণ’ সম্পন্ন হলে চীন বিশ্বমঞ্চে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং এমন এক ‘বিশ্বমানের’ সামরিক বাহিনী গড়ে তুলবে যা যেকোনো যুদ্ধে ‘লড়তে ও জিততে’ সক্ষম হবে। একই সঙ্গে এই বাহিনী বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থ অত্যন্ত ‘দৃঢ়ভাবে রক্ষা’ করবে।
নথিতে চীনের পুনর্জাগরণের জন্য তিনটি মূল স্বার্থের কথা বলা হয়েছে, যেখানে কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই। এর মধ্যে রয়েছে—চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা, অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রসার এবং চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক দাবির প্রতিরক্ষা ও সম্প্রসারণ।
মূল্যায়নে আরও দেখা গেছে, সিপিসি তাদের শাসনের প্রতি যেকোনো অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক হুমকি বা সমালোচনার বিষয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল। বিশেষ করে, চীনা স্বার্থ রক্ষায় তারা ব্যর্থ হচ্ছে—এমন কোনো সমালোচনা তারা সহ্য করে না।
ভারত-চীন সম্পর্কের বিষয়ে প্রতিবেদনে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের দুই দিন আগে ভারত সরকার চীনের সঙ্গে এলএসি-এর অমীমাংসিত স্থানগুলো থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার চুক্তির কথা ঘোষণা করে।
এই বৈঠকের মাধ্যমেই দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের মাসিক আলোচনার পথ উন্মুক্ত হয়। যেখানে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে সরাসরি বিমান চলাচল, ভিসা সুবিধা সহজীকরণ এবং শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
যদিও চীন এলএসিতে উত্তেজনা কমিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে চায়, যার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ভারত-মার্কিন সম্পর্ক যেন আরও গভীর হতে না পারে। তবে প্রতিবেদনটি এও বলছে যে, ভারত সম্ভবত চীনের কাজ ও উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান থাকবে। পারস্পরিক অবিশ্বাস ও অন্যান্য অস্বস্তিকর বিষয়গুলো দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতিকে সীমিত করে রাখবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, পেন্টাগনের এই প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। তাদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান ছড়িয়ে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে। তারা দাবি করেছে, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাসের বিষয়টি ব্যবহার করে বেইজিং ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছে—পেন্টাগনের এমন দাবি ভিত্তিহীন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘পেন্টাগনের এই প্রতিবেদন চীনের প্রতিরক্ষা নীতিকে বিকৃত করেছে এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে চীনের বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। মূলত নিজেদের সামরিক আধিপত্য বজায় রাখতেই যুক্তরাষ্ট্র এমন অজুহাত খুঁজছে।’ চীন এই প্রতিবেদনের তীব্র বিরোধিতা করছে বলে তিনি জানান।
পৃথকভাবে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাং শিয়াওগাং-ও এই প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়েছেন। প্রতিবেদনে পাকিস্তান ও চীনের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ গবেষণার সহযোগিতা এবং সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনার যে উল্লেখ রয়েছে, ঝাং সেটিকে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বছরের পর বছর ধরে এসব মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। তারা চীনের প্রতিরক্ষা নীতিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে এবং আমাদের সামরিক বাহিনীর স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডকে কলঙ্কিত করছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনটি ভূ-রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করতে ‘চীনা সামরিক হুমকি’র বিষয়টি বাড়িয়ে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে এই ধরনের মিথ্যা বয়ান এবং উসকানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে লিন জিয়ান জানান, বেইজিং দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ককে কৌশলগত ও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ শক্তিশালী করতে, পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে এবং মতপার্থক্য সঠিকভাবে পরিচালনা করে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রস্তুত।’
এলএসি প্রসঙ্গে লিন স্পষ্ট করে বলেন, ‘সীমান্ত সমস্যা চীন ও ভারতের নিজস্ব বিষয়। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি মোটের ওপর স্থিতিশীল এবং দুই দেশের যোগাযোগের পথও খোলা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো দেশের ভিত্তিহীন মন্তব্য চীন মেনে নেবে না।’
২০২৫ সালের জন্য প্রকাশিত এই বার্ষিক প্রতিবেদনে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ আরও বলেছে, চীন সম্ভবত পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে অতিরিক্ত সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সেখানে বেইজিং সামরিক সুবিধা বাড়ানোর বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধে হেরে যেতে পারে বলে মনে না হলেও ইতিহাসে এমন নজির বিরল নয়। ১৯৪২ সালের আজকের এই দিনে (৯ এপ্রিল) ‘বাতানের যুদ্ধে’ জাপানের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় মার্কিন সেনাবাহিনী।
০৯ এপ্রিল ২০২৫
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনে অবস্থিত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র ক্রিপ্টোমাইনিংয়ে কাজে লাগাতে চান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি দেশটির অর্থনীতিকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম কমারস্যান্তের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের গুরগাঁওয়ে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। মাত্র ছয় মাসের পরিচয়ের ভিত্তিতে এক যুবক বিয়ের প্রস্তাব দেন এক বিবাহিত তরুণীকে। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাঁকে গুলি করেন সেই যুবক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, মার্কিন বাহিনী উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএল (আইএসআইএস) যোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনে অবস্থিত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র ক্রিপ্টোমাইনিংয়ে কাজে লাগাতে চান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি দেশটির অর্থনীতিকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম কমারস্যান্তের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
রুশ সংবাদমাধ্যম কমারস্যান্তের বরাতে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, জাপোরোজিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে (জেডএনপিপি) প্রস্তাবিত অংশীদারিত্ব ব্যবহার করে ওয়াশিংটন সেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং কার্যক্রম চালাতে আগ্রহী।
২০২২ সাল থেকে কেন্দ্রটি সম্পূর্ণভাবে রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এবং খবর পাওয়া গেছে যে, এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেন শান্তির জন্য প্রস্তাবিত ২৮ দফার রোডম্যাপে স্থান পেয়েছে।
বাণিজ্য বিষয়ক দৈনিক কমারস্যান্ত বৃহস্পতিবার জানায়, পুতিন বলেছেন যে—চলমান রুশ-মার্কিন আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূতরা মস্কোর সাথে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ ভাগ করে নিতে এবং ওয়াশিংটনের অংশ ব্যবহার করে ক্রিপ্টো মাইনিং করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই কেন্দ্র থেকে আবারও ইউক্রেনকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার একটি মার্কিন প্রস্তাবও মস্কো বিবেচনা করছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, পুতিনের বিশেষ দূত কিরিল দিমিত্রিভ সম্প্রতি মিয়ামি থেকে ফেরার পর, ‘শাটল ডিপ্লোম্যাসি—shuttle diplomacy’—এর সর্বশেষ ধাপে ওয়াশিংটনের দেওয়া একটি পাল্টা প্রস্তাব বর্তমানে রাশিয়া বিশ্লেষণ করছে।
এর এক দিন আগে ভ্লাদিমির জেলেনস্কি তাঁর নিজস্ব একটি খসড়া পরিকল্পনা উন্মোচন করেন, যেখানে তিনি রাশিয়ার দখলে থাকা এই পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইউক্রেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৫০/৫০ ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন।
ইউক্রেনীয় নেতা মস্কোর কাছ থেকে আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন, যদিও বর্তমানে যুদ্ধের সামনের সারিতে রুশ বাহিনী সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তিনি ইউক্রেনের জন্য ৮ লাখ সৈন্যের একটি শান্তিকালীন সেনাবাহিনী রাখা এবং ওয়াশিংটন, ন্যাটো ও ইউরোপীয় মিত্রদের কাছ থেকে ন্যাটোর ‘আর্টিকেল-৫’ এর মতো নিরাপত্তা নিশ্চয়তার দাবি জানিয়েছেন।
মস্কো দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেন এবং তার পশ্চিম ইউরোপীয় পৃষ্ঠপোষকরা এমন সব শর্ত যোগ করছে, যা রাশিয়ার জন্য গ্রহণ করা একেবারেই অসম্ভব এবং এর মাধ্যমে তারা মার্কিন শান্তি প্রচেষ্টাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।
ক্রেমলিনের বৈদেশিক নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং জ্যেষ্ঠ রুশ আলোচক ইউরি উশাকভ এই সপ্তাহের শুরুর দিকে বলেছিলেন, তারা যেসব ধারা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছে তা ‘নথিগুলোর উন্নতি ঘটায়নি কিংবা দীর্ঘমেয়াদী শান্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাও তৈরি করেনি।’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনে অবস্থিত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র ক্রিপ্টোমাইনিংয়ে কাজে লাগাতে চান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি দেশটির অর্থনীতিকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম কমারস্যান্তের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
রুশ সংবাদমাধ্যম কমারস্যান্তের বরাতে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, জাপোরোজিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে (জেডএনপিপি) প্রস্তাবিত অংশীদারিত্ব ব্যবহার করে ওয়াশিংটন সেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং কার্যক্রম চালাতে আগ্রহী।
২০২২ সাল থেকে কেন্দ্রটি সম্পূর্ণভাবে রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এবং খবর পাওয়া গেছে যে, এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেন শান্তির জন্য প্রস্তাবিত ২৮ দফার রোডম্যাপে স্থান পেয়েছে।
বাণিজ্য বিষয়ক দৈনিক কমারস্যান্ত বৃহস্পতিবার জানায়, পুতিন বলেছেন যে—চলমান রুশ-মার্কিন আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূতরা মস্কোর সাথে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ ভাগ করে নিতে এবং ওয়াশিংটনের অংশ ব্যবহার করে ক্রিপ্টো মাইনিং করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই কেন্দ্র থেকে আবারও ইউক্রেনকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার একটি মার্কিন প্রস্তাবও মস্কো বিবেচনা করছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, পুতিনের বিশেষ দূত কিরিল দিমিত্রিভ সম্প্রতি মিয়ামি থেকে ফেরার পর, ‘শাটল ডিপ্লোম্যাসি—shuttle diplomacy’—এর সর্বশেষ ধাপে ওয়াশিংটনের দেওয়া একটি পাল্টা প্রস্তাব বর্তমানে রাশিয়া বিশ্লেষণ করছে।
এর এক দিন আগে ভ্লাদিমির জেলেনস্কি তাঁর নিজস্ব একটি খসড়া পরিকল্পনা উন্মোচন করেন, যেখানে তিনি রাশিয়ার দখলে থাকা এই পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইউক্রেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ৫০/৫০ ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন।
ইউক্রেনীয় নেতা মস্কোর কাছ থেকে আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন, যদিও বর্তমানে যুদ্ধের সামনের সারিতে রুশ বাহিনী সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। তিনি ইউক্রেনের জন্য ৮ লাখ সৈন্যের একটি শান্তিকালীন সেনাবাহিনী রাখা এবং ওয়াশিংটন, ন্যাটো ও ইউরোপীয় মিত্রদের কাছ থেকে ন্যাটোর ‘আর্টিকেল-৫’ এর মতো নিরাপত্তা নিশ্চয়তার দাবি জানিয়েছেন।
মস্কো দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেন এবং তার পশ্চিম ইউরোপীয় পৃষ্ঠপোষকরা এমন সব শর্ত যোগ করছে, যা রাশিয়ার জন্য গ্রহণ করা একেবারেই অসম্ভব এবং এর মাধ্যমে তারা মার্কিন শান্তি প্রচেষ্টাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।
ক্রেমলিনের বৈদেশিক নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং জ্যেষ্ঠ রুশ আলোচক ইউরি উশাকভ এই সপ্তাহের শুরুর দিকে বলেছিলেন, তারা যেসব ধারা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছে তা ‘নথিগুলোর উন্নতি ঘটায়নি কিংবা দীর্ঘমেয়াদী শান্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাও তৈরি করেনি।’

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধে হেরে যেতে পারে বলে মনে না হলেও ইতিহাসে এমন নজির বিরল নয়। ১৯৪২ সালের আজকের এই দিনে (৯ এপ্রিল) ‘বাতানের যুদ্ধে’ জাপানের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় মার্কিন সেনাবাহিনী।
০৯ এপ্রিল ২০২৫
মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে অরুণাচল প্রদেশের ওপর চীনের দাবিকে তাদের ‘কোর ইন্টারেস্ট’ বা মূল স্বার্থ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই স্বার্থগুলোর বিষয়ে চীন কোনো ধরনের আলোচনা বা আপস করতে রাজি নয়।
৩৮ মিনিট আগে
ভারতের গুরগাঁওয়ে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। মাত্র ছয় মাসের পরিচয়ের ভিত্তিতে এক যুবক বিয়ের প্রস্তাব দেন এক বিবাহিত তরুণীকে। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাঁকে গুলি করেন সেই যুবক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, মার্কিন বাহিনী উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএল (আইএসআইএস) যোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের গুরগাঁওয়ে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। মাত্র ছয় মাসের পরিচয়ের ভিত্তিতে এক যুবক বিয়ের প্রস্তাব দেয় এক বিবাহিত তরুণীকে। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাঁকে গুলি করেন সেই যুবক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গুরুগাঁওয়ের একটি ক্লাবের ভেতরে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে গুলি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২০ ডিসেম্বর ভোরের দিকে এমজি রোডে।
পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবর্ষণের ঘটনায় এক নারী আহত হওয়ার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় পায়। গুরুতর আহত হওয়ায় শুরুতে তিনি জবানবন্দি দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না।
দিল্লির নাজাফগড়ের বাসিন্দা ওই নারীর স্বামী অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে যে, তাঁর স্ত্রী কল্পনা (২৫) গুরুগ্রামের একটি ক্লাবে কাজ করতেন এবং তাঁকে দিল্লির সঙ্গম বিহারের বাসিন্দা তুষার গুলি করেছেন।
অভিযোগে ওই স্বামী জানান, তাঁর স্ত্রী ১৯ ডিসেম্বর কাজে গিয়েছিলেন এবং রাত ১টার দিকে তাঁকে ফোন করে জানান, তাঁকে গুলি করা হয়েছে। অভিযোগকারী আরও যোগ করেন, ‘প্রায় এক মাস আগে তুষার আমাদের বাড়িতে এসেছিল, আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করেছিল এবং চলে গিয়েছিল।’
এই অভিযোগের ভিত্তিতে সেক্টর ২৯ থানায় একটি এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়। তদন্ত চলাকালীন, ক্রাইম ইউনিটের একটি দল উত্তর প্রদেশের বারাউত থেকে দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলো তুষার ওরফে জন্টি (২৫) এবং তার বন্ধু শুভম ওরফে জনি (২৪)। দুজনেই দিল্লির সঙ্গম বিহারের বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, তুষার স্বীকার করেছেন যে প্রায় ছয় মাস আগে ওই নারীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয় এবং তিনি তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ওই নারী বারবার তা প্রত্যাখ্যান করেন।
পুলিশের অভিযোগ অনুযায়ী, ১৯ ডিসেম্বর রাতে তুষার তাঁর বন্ধু শুভমকে নিয়ে ওই ক্লাবে যান এবং আবারও বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তিনি ওই নারীকে গুলি করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার আরও তদন্ত চলছে।

ভারতের গুরগাঁওয়ে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। মাত্র ছয় মাসের পরিচয়ের ভিত্তিতে এক যুবক বিয়ের প্রস্তাব দেয় এক বিবাহিত তরুণীকে। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাঁকে গুলি করেন সেই যুবক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গুরুগাঁওয়ের একটি ক্লাবের ভেতরে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে গুলি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২০ ডিসেম্বর ভোরের দিকে এমজি রোডে।
পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবর্ষণের ঘটনায় এক নারী আহত হওয়ার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় পায়। গুরুতর আহত হওয়ায় শুরুতে তিনি জবানবন্দি দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না।
দিল্লির নাজাফগড়ের বাসিন্দা ওই নারীর স্বামী অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে যে, তাঁর স্ত্রী কল্পনা (২৫) গুরুগ্রামের একটি ক্লাবে কাজ করতেন এবং তাঁকে দিল্লির সঙ্গম বিহারের বাসিন্দা তুষার গুলি করেছেন।
অভিযোগে ওই স্বামী জানান, তাঁর স্ত্রী ১৯ ডিসেম্বর কাজে গিয়েছিলেন এবং রাত ১টার দিকে তাঁকে ফোন করে জানান, তাঁকে গুলি করা হয়েছে। অভিযোগকারী আরও যোগ করেন, ‘প্রায় এক মাস আগে তুষার আমাদের বাড়িতে এসেছিল, আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করেছিল এবং চলে গিয়েছিল।’
এই অভিযোগের ভিত্তিতে সেক্টর ২৯ থানায় একটি এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়। তদন্ত চলাকালীন, ক্রাইম ইউনিটের একটি দল উত্তর প্রদেশের বারাউত থেকে দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলো তুষার ওরফে জন্টি (২৫) এবং তার বন্ধু শুভম ওরফে জনি (২৪)। দুজনেই দিল্লির সঙ্গম বিহারের বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, তুষার স্বীকার করেছেন যে প্রায় ছয় মাস আগে ওই নারীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয় এবং তিনি তাঁকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ওই নারী বারবার তা প্রত্যাখ্যান করেন।
পুলিশের অভিযোগ অনুযায়ী, ১৯ ডিসেম্বর রাতে তুষার তাঁর বন্ধু শুভমকে নিয়ে ওই ক্লাবে যান এবং আবারও বিয়ের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তিনি ওই নারীকে গুলি করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার আরও তদন্ত চলছে।

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধে হেরে যেতে পারে বলে মনে না হলেও ইতিহাসে এমন নজির বিরল নয়। ১৯৪২ সালের আজকের এই দিনে (৯ এপ্রিল) ‘বাতানের যুদ্ধে’ জাপানের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় মার্কিন সেনাবাহিনী।
০৯ এপ্রিল ২০২৫
মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে অরুণাচল প্রদেশের ওপর চীনের দাবিকে তাদের ‘কোর ইন্টারেস্ট’ বা মূল স্বার্থ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই স্বার্থগুলোর বিষয়ে চীন কোনো ধরনের আলোচনা বা আপস করতে রাজি নয়।
৩৮ মিনিট আগে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনে অবস্থিত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র ক্রিপ্টোমাইনিংয়ে কাজে লাগাতে চান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি দেশটির অর্থনীতিকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম কমারস্যান্তের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, মার্কিন বাহিনী উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএল (আইএসআইএস) যোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, মার্কিন বাহিনী উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএল (আইএসআইএস) যোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘আজ রাতে কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে আমার নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় আইএসআইএস সন্ত্রাসী আবর্জনার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী এবং প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে।’
ট্রাম্প বলেন, আইএসআইএল যোদ্ধারা ‘প্রাথমিকভাবে নির্দোষ খ্রিষ্টানদের লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, যা বহু বছর এমনকি শতাব্দীর মধ্যেও দেখা যায়নি!’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি এর আগে এই সন্ত্রাসীদের সতর্ক করেছিলাম যে তারা যদি খ্রিষ্টানদের হত্যা বন্ধ না করে; তবে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে এবং আজ রাতে সেটাই হয়েছে।’
আফ্রিকায় মার্কিন সামরিক কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা আফ্রিকা কমান্ড (AFRICOM) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, এই বিমান হামলাটি ‘নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে’ চালানো হয়েছে এবং এতে ‘একাধিক আইএসআইএস সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বিস্তারিত কোনো তথ্য না দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘নাইজেরীয় সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ। সামনে আরও আসবে।
এক বিবৃতিতে আফ্রিকম জানিয়েছে, এই হামলাটি নাইজেরিয়ার সবতো রাজ্যে সংঘটিত হয়েছে, যা মূলত নাইজেরিয়ার সোকোতো রাজ্যকে নির্দেশ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, নাইজেরিয়ার সবতো নামে কোনো রাজ্য নেই।
নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান নির্যাতনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প পেন্টাগনকে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা শুরু করার নির্দেশ দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর এই মার্কিন সামরিক পদক্ষেপটি এল।
নাইজেরিয়া সরকার এর আগে ট্রাম্পের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা বলেছিল, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দেশের মুসলিম এবং খ্রিষ্টান উভয় সম্প্রদায়কেই লক্ষ্যবস্তু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি একটি জটিল নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করে না এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করে।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ শুক্রবার সকালে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষ ‘সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থার মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাঠামোগত নিরাপত্তা সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছে।’ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ‘এর ফলে উত্তর-পশ্চিমে বিমান হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুগুলোতে নিখুঁতভাবে আঘাত করা সম্ভব হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, মার্কিন বাহিনী উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসআইএল (আইএসআইএস) যোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘আজ রাতে কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে আমার নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় আইএসআইএস সন্ত্রাসী আবর্জনার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী এবং প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে।’
ট্রাম্প বলেন, আইএসআইএল যোদ্ধারা ‘প্রাথমিকভাবে নির্দোষ খ্রিষ্টানদের লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, যা বহু বছর এমনকি শতাব্দীর মধ্যেও দেখা যায়নি!’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি এর আগে এই সন্ত্রাসীদের সতর্ক করেছিলাম যে তারা যদি খ্রিষ্টানদের হত্যা বন্ধ না করে; তবে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে এবং আজ রাতে সেটাই হয়েছে।’
আফ্রিকায় মার্কিন সামরিক কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা আফ্রিকা কমান্ড (AFRICOM) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, এই বিমান হামলাটি ‘নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে’ চালানো হয়েছে এবং এতে ‘একাধিক আইএসআইএস সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বিস্তারিত কোনো তথ্য না দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘নাইজেরীয় সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ। সামনে আরও আসবে।
এক বিবৃতিতে আফ্রিকম জানিয়েছে, এই হামলাটি নাইজেরিয়ার সবতো রাজ্যে সংঘটিত হয়েছে, যা মূলত নাইজেরিয়ার সোকোতো রাজ্যকে নির্দেশ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, নাইজেরিয়ার সবতো নামে কোনো রাজ্য নেই।
নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান নির্যাতনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প পেন্টাগনকে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা শুরু করার নির্দেশ দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর এই মার্কিন সামরিক পদক্ষেপটি এল।
নাইজেরিয়া সরকার এর আগে ট্রাম্পের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা বলেছিল, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দেশের মুসলিম এবং খ্রিষ্টান উভয় সম্প্রদায়কেই লক্ষ্যবস্তু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি একটি জটিল নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করে না এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করে।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ শুক্রবার সকালে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে, নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষ ‘সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থার মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাঠামোগত নিরাপত্তা সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছে।’ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ‘এর ফলে উত্তর-পশ্চিমে বিমান হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুগুলোতে নিখুঁতভাবে আঘাত করা সম্ভব হয়েছে।’

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র কোনো যুদ্ধে হেরে যেতে পারে বলে মনে না হলেও ইতিহাসে এমন নজির বিরল নয়। ১৯৪২ সালের আজকের এই দিনে (৯ এপ্রিল) ‘বাতানের যুদ্ধে’ জাপানের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় মার্কিন সেনাবাহিনী।
০৯ এপ্রিল ২০২৫
মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে অরুণাচল প্রদেশের ওপর চীনের দাবিকে তাদের ‘কোর ইন্টারেস্ট’ বা মূল স্বার্থ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই স্বার্থগুলোর বিষয়ে চীন কোনো ধরনের আলোচনা বা আপস করতে রাজি নয়।
৩৮ মিনিট আগে
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনে অবস্থিত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র ক্রিপ্টোমাইনিংয়ে কাজে লাগাতে চান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি দেশটির অর্থনীতিকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম কমারস্যান্তের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের গুরগাঁওয়ে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। মাত্র ছয় মাসের পরিচয়ের ভিত্তিতে এক যুবক বিয়ের প্রস্তাব দেন এক বিবাহিত তরুণীকে। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাঁকে গুলি করেন সেই যুবক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে