
জন আর্চিবল্ডের জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি এসেছিল ২০১৮ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম সংবাদ প্রকাশক অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপের পত্রিকায় প্রকাশিত ধারাবাহিক মন্তব্য প্রতিবেদনের জন্য পুলিৎজার জিতেছিলেন তিনি।
গত সোমবার (৮ মে) এল আরেক স্মরণীয় মুহূর্ত। পৌর পুলিশ বাহিনীর বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য পুলিৎজার পেলেন তিনি, সঙ্গে তাঁর ছেলে রামসে আর্চিবল্ড। সহকর্মীদের একটি দলের অংশ হিসেবে আর্চিবল্ড স্থানীয় রিপোর্টিংয়ে দ্বিতীয়বার পুরস্কার জিতলেন।
ছেলের এই অর্জনে উচ্ছ্বসিত জন আর্চিবল্ড এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি বাকরুদ্ধ। এটি একটি বড় সম্মান। আপনার সন্তানের সঙ্গে এমন উদ্যাপন—এটি সোনালি মুহূর্ত।’
এএল ডটকমের চার সাংবাদিক ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে বাকি দুজন হলেন অনুসন্ধানী সম্পাদক অ্যাশলি রেমকাস ও শানেল স্টিফেনস।
সোমবার অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপ দুটি পুলিৎজার জিতে নিয়েছে। প্রায় ১১০ জন সাংবাদিক নিয়ে গঠিত বার্তা বিভাগের জন্য এটি একটি বিস্ময়কর কীর্তি বলেই মনে করা হচ্ছে। সংবাদপত্র প্রকাশক প্রতিষ্ঠানটি কাইল হোয়াইটমায়ার কলামের জন্য মন্তব্য প্রতিবেদন ক্যাটাগরিতেও পুরস্কার জিতেছে। কাইল হোয়াইটমায়ার একজন রাজনৈতিক কলাম লেখক। কীভাবে অ্যালাবামার কনফেডারেট ইতিহাস আজও এই অঙ্গরাজ্যকে প্রভাবিত করে, সেটি নিয়েই তিনি ধারাবাহিক কলাম লিখেছেন।
যেখানে পাঠকেরা এখন প্রথাগত ছাপা কাগজের সংবাদপত্র পড়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছে, করপোরেট মালিকেরা সংবাদপত্র বন্ধ করে দিচ্ছেন। সেখানে খুব কমসংখ্যক সংবাদ সংস্থার স্থানীয় সরকার বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এবং ঝুঁকিপূর্ণ সাংবাদিকতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে।
এএল ডটকম বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে দৃঢ়ভাবে টিকে থাকতে পেরেছে। অ্যাডভান্স লোকালের মালিকানাধীন একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রের প্রকাশক অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপ তিনটি সংবাদপত্র প্রকাশ করত: দ্য বার্মিংহাম নিউজ, মোবাইল’স প্রেস-রেজিস্টার ও দ্য হান্টসভিল টাইমস। এএল ডটকমের প্রধান সম্পাদক কেলি অ্যান স্কট গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছেন, সংস্থাটি সেই সংবাদপত্রগুলো ছাপানো বন্ধ করবে। পাঠক ও বিজ্ঞাপনদাতাদের অভ্যাস পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে সেই সব সংবাদপত্রের পাঠকদের এএল ডটকমে আসার আহ্বান জানান কেলি।
তবে গত সোমবার কেলি স্কট এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপে পাঁচ বছর আগের তুলনায় অনেক বেশি সাংবাদিক রয়েছে।
কেলি স্কট বলেন, ‘আমেরিকায় স্থানীয় সাংবাদিকতা এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেই সব লোকের মাধ্যমে তৈরি হওয়া গল্প ও মন্তব্য বা আলোচনা জাতীয় সংলাপে উঠে আসছে, যাঁরা নিজেরা যেখান থেকে এসেছেন সেই সব স্থানকে ভালোবাসেন। এটি দেখতে দুর্দান্ত লাগে।’
রামসে আর্চিবল্ড (৩১) অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপের একজন ডেটা রিপোর্টার। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তাঁর বাবা জন এবং অনুসন্ধানী সম্পাদক অ্যাশলি রেমকাসের সঙ্গে যোগ দেন। এই অনুসন্ধানী দলের প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে, ব্রুকসাইড শহরের স্থানীয় পুলিশ বাহিনী তাদের রাজস্ব বাড়াতে আক্রমণাত্মক পুলিশিংয়ে জড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের পর পুলিশের প্রধান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে রাজ্য সরকার এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে।
অ্যাশলি রেমকাসের অবশ্য এটি দ্বিতীয় পুলিৎজার। ২০২১ সালে বছরব্যাপী এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তিনি পুলিশের সাহায্যকারী কুকুরের আক্রমণে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তুলে এনেছিলেন।
রেমকাস এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তাঁর কোম্পানি সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদপত্র ছাপানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেও তিনি অ্যালাবামার স্থানীয় সংবাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘ছাপা কাগজে আসছে নাকি অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে, সেটি বিষয় নয়, বরং সাংবাদিকতাই প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি না যে পাঠকের কাছে সংবাদ পৌঁছানোর পদ্ধতি আমাদের সেই কাজটি করা থেকে বিরত রাখছে।’
বার্মিংহামে নিজেদের বাড়িতে গত সোমবার পুলিৎজার জয় উদ্যাপন করেছেন রামসে আর্চিবল্ড। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ব্রুকসাইডের অনুসন্ধানটি প্রাথমিকভাবে শহরে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎকার নেওয়া, সহকর্মীদের সঙ্গে ফোন কল এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করা হয়েছিল। কারণ তখনো (করোনার কারণে) অফিসে ফেরার আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
জন আর্চিবল্ড বলেন, তিনি তাঁর ছেলের সাংবাদিকতায় আসা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। কারণ কয়েক দশক ধরে এই শিল্প অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকির মুখে রয়েছে। জন বলেন, কিন্তু তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানতেন যে ছেলের পথ আটকে দাঁড়ানোর চেষ্টা করাটা বিফল হবে!
‘আমি কখনই তাকে নিরুৎসাহিত করব না, কারণ আমার নিজের জীবন থেকে আমি জানি যে একমাত্র এই ব্যাপারটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার কাজ থেকে কেমন অনুভূতি পাচ্ছেন।’ যোগ করেন জন আর্চিবল্ড।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে এবার পুলিৎজার জিতল যারা:
জনসেবায় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)
ব্রেকিং নিউজে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদনে দ্য আটলান্টিকের কেইটলিন ডিকারসন
স্থানীয় সাংবাদিকতায় এএল ডটকম এবং মিসিসিপি টু ডে
জাতীয় সাংবাদিকতায় ওয়াশিংটন পোস্টের ক্যারোলিন কিচনার
আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতায় নিউইয়র্ক টাইমস
ফিচার লেখায় ওয়াশিংটন পোস্টের এলি স্যাসলো
মন্তব্য প্রতিবেদনে এএল ডটকমের কাইল হোয়াইটমায়ার
সমালোচনায় নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনের আন্দ্রেয়া লং চু
সম্পাদকীয়তে মায়ামি হেরাল্ডের পাঁচ সাংবাদিক
সচিত্র প্রতিবেদন এবং কমেন্টারিতে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রদায়ক মোনা শালাবি
ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফিতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের আলোকচিত্রীর দল
ফিচার ফটোগ্রাফিতে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের ক্রিস্টিনা হাউস
অডিও রিপোর্টিংয়ে গিমলেট মিডিয়ার কর্মীরা

জন আর্চিবল্ডের জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি এসেছিল ২০১৮ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম সংবাদ প্রকাশক অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপের পত্রিকায় প্রকাশিত ধারাবাহিক মন্তব্য প্রতিবেদনের জন্য পুলিৎজার জিতেছিলেন তিনি।
গত সোমবার (৮ মে) এল আরেক স্মরণীয় মুহূর্ত। পৌর পুলিশ বাহিনীর বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য পুলিৎজার পেলেন তিনি, সঙ্গে তাঁর ছেলে রামসে আর্চিবল্ড। সহকর্মীদের একটি দলের অংশ হিসেবে আর্চিবল্ড স্থানীয় রিপোর্টিংয়ে দ্বিতীয়বার পুরস্কার জিতলেন।
ছেলের এই অর্জনে উচ্ছ্বসিত জন আর্চিবল্ড এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি বাকরুদ্ধ। এটি একটি বড় সম্মান। আপনার সন্তানের সঙ্গে এমন উদ্যাপন—এটি সোনালি মুহূর্ত।’
এএল ডটকমের চার সাংবাদিক ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে বাকি দুজন হলেন অনুসন্ধানী সম্পাদক অ্যাশলি রেমকাস ও শানেল স্টিফেনস।
সোমবার অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপ দুটি পুলিৎজার জিতে নিয়েছে। প্রায় ১১০ জন সাংবাদিক নিয়ে গঠিত বার্তা বিভাগের জন্য এটি একটি বিস্ময়কর কীর্তি বলেই মনে করা হচ্ছে। সংবাদপত্র প্রকাশক প্রতিষ্ঠানটি কাইল হোয়াইটমায়ার কলামের জন্য মন্তব্য প্রতিবেদন ক্যাটাগরিতেও পুরস্কার জিতেছে। কাইল হোয়াইটমায়ার একজন রাজনৈতিক কলাম লেখক। কীভাবে অ্যালাবামার কনফেডারেট ইতিহাস আজও এই অঙ্গরাজ্যকে প্রভাবিত করে, সেটি নিয়েই তিনি ধারাবাহিক কলাম লিখেছেন।
যেখানে পাঠকেরা এখন প্রথাগত ছাপা কাগজের সংবাদপত্র পড়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছে, করপোরেট মালিকেরা সংবাদপত্র বন্ধ করে দিচ্ছেন। সেখানে খুব কমসংখ্যক সংবাদ সংস্থার স্থানীয় সরকার বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এবং ঝুঁকিপূর্ণ সাংবাদিকতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে।
এএল ডটকম বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে দৃঢ়ভাবে টিকে থাকতে পেরেছে। অ্যাডভান্স লোকালের মালিকানাধীন একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রের প্রকাশক অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপ তিনটি সংবাদপত্র প্রকাশ করত: দ্য বার্মিংহাম নিউজ, মোবাইল’স প্রেস-রেজিস্টার ও দ্য হান্টসভিল টাইমস। এএল ডটকমের প্রধান সম্পাদক কেলি অ্যান স্কট গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছেন, সংস্থাটি সেই সংবাদপত্রগুলো ছাপানো বন্ধ করবে। পাঠক ও বিজ্ঞাপনদাতাদের অভ্যাস পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে সেই সব সংবাদপত্রের পাঠকদের এএল ডটকমে আসার আহ্বান জানান কেলি।
তবে গত সোমবার কেলি স্কট এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপে পাঁচ বছর আগের তুলনায় অনেক বেশি সাংবাদিক রয়েছে।
কেলি স্কট বলেন, ‘আমেরিকায় স্থানীয় সাংবাদিকতা এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেই সব লোকের মাধ্যমে তৈরি হওয়া গল্প ও মন্তব্য বা আলোচনা জাতীয় সংলাপে উঠে আসছে, যাঁরা নিজেরা যেখান থেকে এসেছেন সেই সব স্থানকে ভালোবাসেন। এটি দেখতে দুর্দান্ত লাগে।’
রামসে আর্চিবল্ড (৩১) অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপের একজন ডেটা রিপোর্টার। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তাঁর বাবা জন এবং অনুসন্ধানী সম্পাদক অ্যাশলি রেমকাসের সঙ্গে যোগ দেন। এই অনুসন্ধানী দলের প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে, ব্রুকসাইড শহরের স্থানীয় পুলিশ বাহিনী তাদের রাজস্ব বাড়াতে আক্রমণাত্মক পুলিশিংয়ে জড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের পর পুলিশের প্রধান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে রাজ্য সরকার এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে।
অ্যাশলি রেমকাসের অবশ্য এটি দ্বিতীয় পুলিৎজার। ২০২১ সালে বছরব্যাপী এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তিনি পুলিশের সাহায্যকারী কুকুরের আক্রমণে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য তুলে এনেছিলেন।
রেমকাস এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তাঁর কোম্পানি সাম্প্রতিক সময়ে সংবাদপত্র ছাপানো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেও তিনি অ্যালাবামার স্থানীয় সংবাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘ছাপা কাগজে আসছে নাকি অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে, সেটি বিষয় নয়, বরং সাংবাদিকতাই প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি না যে পাঠকের কাছে সংবাদ পৌঁছানোর পদ্ধতি আমাদের সেই কাজটি করা থেকে বিরত রাখছে।’
বার্মিংহামে নিজেদের বাড়িতে গত সোমবার পুলিৎজার জয় উদ্যাপন করেছেন রামসে আর্চিবল্ড। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ব্রুকসাইডের অনুসন্ধানটি প্রাথমিকভাবে শহরে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎকার নেওয়া, সহকর্মীদের সঙ্গে ফোন কল এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করা হয়েছিল। কারণ তখনো (করোনার কারণে) অফিসে ফেরার আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
জন আর্চিবল্ড বলেন, তিনি তাঁর ছেলের সাংবাদিকতায় আসা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন। কারণ কয়েক দশক ধরে এই শিল্প অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকির মুখে রয়েছে। জন বলেন, কিন্তু তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানতেন যে ছেলের পথ আটকে দাঁড়ানোর চেষ্টা করাটা বিফল হবে!
‘আমি কখনই তাকে নিরুৎসাহিত করব না, কারণ আমার নিজের জীবন থেকে আমি জানি যে একমাত্র এই ব্যাপারটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার কাজ থেকে কেমন অনুভূতি পাচ্ছেন।’ যোগ করেন জন আর্চিবল্ড।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে এবার পুলিৎজার জিতল যারা:
জনসেবায় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)
ব্রেকিং নিউজে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদনে দ্য আটলান্টিকের কেইটলিন ডিকারসন
স্থানীয় সাংবাদিকতায় এএল ডটকম এবং মিসিসিপি টু ডে
জাতীয় সাংবাদিকতায় ওয়াশিংটন পোস্টের ক্যারোলিন কিচনার
আন্তর্জাতিক সাংবাদিকতায় নিউইয়র্ক টাইমস
ফিচার লেখায় ওয়াশিংটন পোস্টের এলি স্যাসলো
মন্তব্য প্রতিবেদনে এএল ডটকমের কাইল হোয়াইটমায়ার
সমালোচনায় নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনের আন্দ্রেয়া লং চু
সম্পাদকীয়তে মায়ামি হেরাল্ডের পাঁচ সাংবাদিক
সচিত্র প্রতিবেদন এবং কমেন্টারিতে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রদায়ক মোনা শালাবি
ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফিতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের আলোকচিত্রীর দল
ফিচার ফটোগ্রাফিতে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের ক্রিস্টিনা হাউস
অডিও রিপোর্টিংয়ে গিমলেট মিডিয়ার কর্মীরা

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করে।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালায় এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেয়। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তর চেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করে।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপি শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালায় এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেয়। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তর চেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

এএল ডটকম বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে দৃঢ়ভাবে টিকে থাকতে পেরেছে। অ্যাডভান্স লোকালের মালিকানাধীন একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রের প্রকাশক অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপ তিনটি সংবাদপত্র প্রকাশ করত: দ্য বার্মিংহাম নিউজ, মোবাইল’স প্রেস-রেজিস্টার ও দ্য হান্টসভিল টাইমস।
১০ মে ২০২৩
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এএল ডটকম বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে দৃঢ়ভাবে টিকে থাকতে পেরেছে। অ্যাডভান্স লোকালের মালিকানাধীন একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রের প্রকাশক অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপ তিনটি সংবাদপত্র প্রকাশ করত: দ্য বার্মিংহাম নিউজ, মোবাইল’স প্রেস-রেজিস্টার ও দ্য হান্টসভিল টাইমস।
১০ মে ২০২৩
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

এএল ডটকম বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে দৃঢ়ভাবে টিকে থাকতে পেরেছে। অ্যাডভান্স লোকালের মালিকানাধীন একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রের প্রকাশক অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপ তিনটি সংবাদপত্র প্রকাশ করত: দ্য বার্মিংহাম নিউজ, মোবাইল’স প্রেস-রেজিস্টার ও দ্য হান্টসভিল টাইমস।
১০ মে ২০২৩
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

এএল ডটকম বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের মধ্যে দৃঢ়ভাবে টিকে থাকতে পেরেছে। অ্যাডভান্স লোকালের মালিকানাধীন একাধিক জাতীয় সংবাদপত্রের প্রকাশক অ্যালাবামা মিডিয়া গ্রুপ তিনটি সংবাদপত্র প্রকাশ করত: দ্য বার্মিংহাম নিউজ, মোবাইল’স প্রেস-রেজিস্টার ও দ্য হান্টসভিল টাইমস।
১০ মে ২০২৩
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতেও বড়দিনকেন্দ্র
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
১ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে