আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা আরও বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সেখানে তারা এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ যখন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছিল, তখন পশ্চিম তীরে দখলদার সেনাবাহিনী ও অবৈধ ইহুদি বসতির বাসিন্দারা ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়ন আরও বাড়িয়ে দেয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে পশ্চিম তীরে সহিংস অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনি গ্রামবাসীদের ওপর ইসরায়েলি দখলদার বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা আরও বেড়েছে, যা থামানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের হাতে সর্বশেষ নিহত ব্যক্তি হলেন—সামির বাসেম আল-জাগারনে। ১ জুলাই তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, আল-জাগারনে পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমকে বিভক্তকারী ‘সেপারেশন ব্যারিয়ারের’ কাছে নিহত হন। ২০০২ সালে ওই ব্যারিয়ার নির্মাণ শুরু করে ইসরায়েল, যা বহু ফিলিস্তিনি জনপদ ও কৃষিজমি বিভক্ত করে দিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও অবৈধ ইহুদি বসতি গড়ে তোলা সন্ত্রাসী দখলদারেরা পশ্চিম তীরকে গ্রাস করে ফেলছে। এই দখলদারেরা আকস্মিক বিভিন্ন শহরে হামলা চালায়, ঘরবাড়িতে আগুন দেয়, আক্রমণ করে এবং ফিলিস্তিনিদের নিজ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি নিরাপত্তাবাহিনী বিভিন্ন শরণার্থীশিবির ঘিরে রেখেছে, নিয়মিত সেখানে অভিযান চালাচ্ছে, বাসিন্দাদের বের করে দিচ্ছে স্থায়ীভাবে।
অনেক দখলদারকে আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে ‘একীভূত’ করা হয়েছে। কারণ, গাজায় যুদ্ধ চালানোর জন্য সেনাবাহিনীর বড় অংশ মোতায়েন থাকায় পশ্চিম তীরে ‘বিকল্প বাহিনী’ হিসেবে এই দখলদারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে দখলদারদের সহিংসতা আরও বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, বিশেষজ্ঞ, অধিকারকর্মী ও পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সহিংসতার মূল লক্ষ্য হচ্ছে—ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে জমি দখল এবং পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে একীভূত করা। ইসরায়েলি অধিকার সংগঠন ‘পিস নাউ’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের যত জমি দখল করেছে, তা গত ২০ বছরের সম্মিলিত জমি দখলের চেয়েও বেশি।
এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ‘সেটেলমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নামে একটি নতুন দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেন। এই পদ ব্যবহার করে তিনি পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলের বেসামরিক আইন চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
স্মতরিচ একের পর এক নতুন অবৈধ বসতি অনুমোদন দিচ্ছেন, জমি দখল করছেন এবং তথাকথিত ‘নির্মাণ-বসতি নীতিমালা’ চালু করছেন। আসলে, ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করতে এবং নতুন অবৈধ বসতি গড়ে তুলতে তিনি সেনাবাহিনী ও দখলদারদের সহিংসতাকে কাজে লাগাচ্ছেন।
ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের নামে গঠিত স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা শিরিন মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম এক মাসে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত দুই মাসে নিহতের সংখ্যা ৩৪ জন।
এসব হত্যার বড় অংশই নিয়মিত ইসরায়েলি অভিযানের ফলে ঘটেছে। ইসরায়েলের দাবি, তারা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নির্মূল করতে অভিযান চালাচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে পশ্চিম তীরে এসব গোষ্ঠী গড়ে ওঠে, কারণ তখন থেকে ইসরায়েলের দমন-পীড়ন আরও তীব্র হয়।
তবে বাস্তবতা হলো—অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ উদাহরণ সৃষ্টি করছে। তারা নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করছে, নিহতদের পরিবারকে দাফনের সুযোগ দিচ্ছে না এবং পুরো পাড়া-মহল্লা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, যাতে আরও বেশি ফিলিস্তিনি ঘরহারা হয়। জেনিন, তুলকারেম, নূর শামস, ফারা’আ এবং নাবলুসের শরণার্থীশিবিরে চলছে এসব অভিযান। এসব স্থানে ইসরায়েল গাজায় যেভাবে পুরোপুরি অবরোধ আরোপ করেছিল, এখানেও তাই করছে। ফলে ব্যাপক মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। ইসরায়েল হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে, তুলকারেম ও জেনিন শিবিরে বোমাবর্ষণ করছে, এতে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু বাড়ছে।
টেক ফর প্যালেস্টাইন নামে মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম তীরে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি দখলদার হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে দখলদারদের হামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৪। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
এসব হামলার বেশির ভাগ ঘটছে পশ্চিম তীরের ‘এরিয়া সি’ অঞ্চলে। ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তিতে পশ্চিম তীরকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়—এরিয়া এ, বি ও সি। এরিয়া এ পুরোটাই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা, এরিয়া বি-তে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের, কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের। আর এরিয়া সি—যা পশ্চিম তীরের ৬০ শতাংশের বেশি এলাকা—পুরোটাই ইসরায়েলের প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে।
ইসরায়েল থামবে এমন কোনো লক্ষণ নেই। বিপরীতে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হামলা আরও বেড়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল এরিয়া সি-র মাসাফের ইয়াত্তা অঞ্চলের ১২টি ফিলিস্তিনি কমিউনিটি উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। তারা এলাকাটিকে ‘সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকা’ ঘোষণা দিয়ে এই উচ্ছেদকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। গত কয়েক দশক ধরেই ফিলিস্তিনিদের জমি দখলের জন্য ইসরায়েল এই অজুহাত ব্যবহার করে আসছে।
সর্বশেষ, ২৫ জুন কাফার মালিক গ্রামে ১০০ জনের বেশি ভারী অস্ত্র সজ্জিত ইহুদি দখলদার ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়। তারা ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। ফিলিস্তিনিরা বাধা দিলে তিনজন নিহত হন। পাশের টাইবেহ গ্রামে দখলদাররা একটি গাড়িতে আগুন দেয়। পরে ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বেতসেলেমের সংগ্রহ করা ভিডিওতে গাড়ির পুড়ে যাওয়া অবস্থা দেখা যায়।
আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বহু ফিলিস্তিনি জানিয়েছেন, তারা আরও বড় হামলার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। তারা প্রায়ই বলেন, তাদের কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই। আর প্রতিরোধের চেষ্টা করলে দখলদার ও সেনাদের হাতে আরও ভয়াবহ হামলার শিকার হতে হবে।

ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা আরও বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সেখানে তারা এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ যখন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছিল, তখন পশ্চিম তীরে দখলদার সেনাবাহিনী ও অবৈধ ইহুদি বসতির বাসিন্দারা ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়ন আরও বাড়িয়ে দেয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে পশ্চিম তীরে সহিংস অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনি গ্রামবাসীদের ওপর ইসরায়েলি দখলদার বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা আরও বেড়েছে, যা থামানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের হাতে সর্বশেষ নিহত ব্যক্তি হলেন—সামির বাসেম আল-জাগারনে। ১ জুলাই তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, আল-জাগারনে পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমকে বিভক্তকারী ‘সেপারেশন ব্যারিয়ারের’ কাছে নিহত হন। ২০০২ সালে ওই ব্যারিয়ার নির্মাণ শুরু করে ইসরায়েল, যা বহু ফিলিস্তিনি জনপদ ও কৃষিজমি বিভক্ত করে দিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও অবৈধ ইহুদি বসতি গড়ে তোলা সন্ত্রাসী দখলদারেরা পশ্চিম তীরকে গ্রাস করে ফেলছে। এই দখলদারেরা আকস্মিক বিভিন্ন শহরে হামলা চালায়, ঘরবাড়িতে আগুন দেয়, আক্রমণ করে এবং ফিলিস্তিনিদের নিজ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি নিরাপত্তাবাহিনী বিভিন্ন শরণার্থীশিবির ঘিরে রেখেছে, নিয়মিত সেখানে অভিযান চালাচ্ছে, বাসিন্দাদের বের করে দিচ্ছে স্থায়ীভাবে।
অনেক দখলদারকে আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে ‘একীভূত’ করা হয়েছে। কারণ, গাজায় যুদ্ধ চালানোর জন্য সেনাবাহিনীর বড় অংশ মোতায়েন থাকায় পশ্চিম তীরে ‘বিকল্প বাহিনী’ হিসেবে এই দখলদারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে দখলদারদের সহিংসতা আরও বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, বিশেষজ্ঞ, অধিকারকর্মী ও পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সহিংসতার মূল লক্ষ্য হচ্ছে—ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে জমি দখল এবং পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে একীভূত করা। ইসরায়েলি অধিকার সংগঠন ‘পিস নাউ’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের যত জমি দখল করেছে, তা গত ২০ বছরের সম্মিলিত জমি দখলের চেয়েও বেশি।
এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ‘সেটেলমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নামে একটি নতুন দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেন। এই পদ ব্যবহার করে তিনি পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলের বেসামরিক আইন চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
স্মতরিচ একের পর এক নতুন অবৈধ বসতি অনুমোদন দিচ্ছেন, জমি দখল করছেন এবং তথাকথিত ‘নির্মাণ-বসতি নীতিমালা’ চালু করছেন। আসলে, ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করতে এবং নতুন অবৈধ বসতি গড়ে তুলতে তিনি সেনাবাহিনী ও দখলদারদের সহিংসতাকে কাজে লাগাচ্ছেন।
ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের নামে গঠিত স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা শিরিন মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম এক মাসে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত দুই মাসে নিহতের সংখ্যা ৩৪ জন।
এসব হত্যার বড় অংশই নিয়মিত ইসরায়েলি অভিযানের ফলে ঘটেছে। ইসরায়েলের দাবি, তারা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নির্মূল করতে অভিযান চালাচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে পশ্চিম তীরে এসব গোষ্ঠী গড়ে ওঠে, কারণ তখন থেকে ইসরায়েলের দমন-পীড়ন আরও তীব্র হয়।
তবে বাস্তবতা হলো—অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ উদাহরণ সৃষ্টি করছে। তারা নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করছে, নিহতদের পরিবারকে দাফনের সুযোগ দিচ্ছে না এবং পুরো পাড়া-মহল্লা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, যাতে আরও বেশি ফিলিস্তিনি ঘরহারা হয়। জেনিন, তুলকারেম, নূর শামস, ফারা’আ এবং নাবলুসের শরণার্থীশিবিরে চলছে এসব অভিযান। এসব স্থানে ইসরায়েল গাজায় যেভাবে পুরোপুরি অবরোধ আরোপ করেছিল, এখানেও তাই করছে। ফলে ব্যাপক মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। ইসরায়েল হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে, তুলকারেম ও জেনিন শিবিরে বোমাবর্ষণ করছে, এতে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু বাড়ছে।
টেক ফর প্যালেস্টাইন নামে মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম তীরে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি দখলদার হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে দখলদারদের হামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৪। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
এসব হামলার বেশির ভাগ ঘটছে পশ্চিম তীরের ‘এরিয়া সি’ অঞ্চলে। ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তিতে পশ্চিম তীরকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়—এরিয়া এ, বি ও সি। এরিয়া এ পুরোটাই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা, এরিয়া বি-তে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের, কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের। আর এরিয়া সি—যা পশ্চিম তীরের ৬০ শতাংশের বেশি এলাকা—পুরোটাই ইসরায়েলের প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে।
ইসরায়েল থামবে এমন কোনো লক্ষণ নেই। বিপরীতে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হামলা আরও বেড়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল এরিয়া সি-র মাসাফের ইয়াত্তা অঞ্চলের ১২টি ফিলিস্তিনি কমিউনিটি উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। তারা এলাকাটিকে ‘সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকা’ ঘোষণা দিয়ে এই উচ্ছেদকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। গত কয়েক দশক ধরেই ফিলিস্তিনিদের জমি দখলের জন্য ইসরায়েল এই অজুহাত ব্যবহার করে আসছে।
সর্বশেষ, ২৫ জুন কাফার মালিক গ্রামে ১০০ জনের বেশি ভারী অস্ত্র সজ্জিত ইহুদি দখলদার ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়। তারা ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। ফিলিস্তিনিরা বাধা দিলে তিনজন নিহত হন। পাশের টাইবেহ গ্রামে দখলদাররা একটি গাড়িতে আগুন দেয়। পরে ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বেতসেলেমের সংগ্রহ করা ভিডিওতে গাড়ির পুড়ে যাওয়া অবস্থা দেখা যায়।
আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বহু ফিলিস্তিনি জানিয়েছেন, তারা আরও বড় হামলার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। তারা প্রায়ই বলেন, তাদের কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই। আর প্রতিরোধের চেষ্টা করলে দখলদার ও সেনাদের হাতে আরও ভয়াবহ হামলার শিকার হতে হবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা আরও বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সেখানে তারা এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ যখন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছিল, তখন পশ্চিম তীরে দখলদার সেনাবাহিনী ও অবৈধ ইহুদি বসতির বাসিন্দারা ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়ন আরও বাড়িয়ে দেয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে পশ্চিম তীরে সহিংস অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনি গ্রামবাসীদের ওপর ইসরায়েলি দখলদার বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা আরও বেড়েছে, যা থামানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের হাতে সর্বশেষ নিহত ব্যক্তি হলেন—সামির বাসেম আল-জাগারনে। ১ জুলাই তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, আল-জাগারনে পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমকে বিভক্তকারী ‘সেপারেশন ব্যারিয়ারের’ কাছে নিহত হন। ২০০২ সালে ওই ব্যারিয়ার নির্মাণ শুরু করে ইসরায়েল, যা বহু ফিলিস্তিনি জনপদ ও কৃষিজমি বিভক্ত করে দিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও অবৈধ ইহুদি বসতি গড়ে তোলা সন্ত্রাসী দখলদারেরা পশ্চিম তীরকে গ্রাস করে ফেলছে। এই দখলদারেরা আকস্মিক বিভিন্ন শহরে হামলা চালায়, ঘরবাড়িতে আগুন দেয়, আক্রমণ করে এবং ফিলিস্তিনিদের নিজ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি নিরাপত্তাবাহিনী বিভিন্ন শরণার্থীশিবির ঘিরে রেখেছে, নিয়মিত সেখানে অভিযান চালাচ্ছে, বাসিন্দাদের বের করে দিচ্ছে স্থায়ীভাবে।
অনেক দখলদারকে আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে ‘একীভূত’ করা হয়েছে। কারণ, গাজায় যুদ্ধ চালানোর জন্য সেনাবাহিনীর বড় অংশ মোতায়েন থাকায় পশ্চিম তীরে ‘বিকল্প বাহিনী’ হিসেবে এই দখলদারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে দখলদারদের সহিংসতা আরও বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, বিশেষজ্ঞ, অধিকারকর্মী ও পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সহিংসতার মূল লক্ষ্য হচ্ছে—ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে জমি দখল এবং পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে একীভূত করা। ইসরায়েলি অধিকার সংগঠন ‘পিস নাউ’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের যত জমি দখল করেছে, তা গত ২০ বছরের সম্মিলিত জমি দখলের চেয়েও বেশি।
এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ‘সেটেলমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নামে একটি নতুন দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেন। এই পদ ব্যবহার করে তিনি পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলের বেসামরিক আইন চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
স্মতরিচ একের পর এক নতুন অবৈধ বসতি অনুমোদন দিচ্ছেন, জমি দখল করছেন এবং তথাকথিত ‘নির্মাণ-বসতি নীতিমালা’ চালু করছেন। আসলে, ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করতে এবং নতুন অবৈধ বসতি গড়ে তুলতে তিনি সেনাবাহিনী ও দখলদারদের সহিংসতাকে কাজে লাগাচ্ছেন।
ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের নামে গঠিত স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা শিরিন মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম এক মাসে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত দুই মাসে নিহতের সংখ্যা ৩৪ জন।
এসব হত্যার বড় অংশই নিয়মিত ইসরায়েলি অভিযানের ফলে ঘটেছে। ইসরায়েলের দাবি, তারা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নির্মূল করতে অভিযান চালাচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে পশ্চিম তীরে এসব গোষ্ঠী গড়ে ওঠে, কারণ তখন থেকে ইসরায়েলের দমন-পীড়ন আরও তীব্র হয়।
তবে বাস্তবতা হলো—অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ উদাহরণ সৃষ্টি করছে। তারা নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করছে, নিহতদের পরিবারকে দাফনের সুযোগ দিচ্ছে না এবং পুরো পাড়া-মহল্লা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, যাতে আরও বেশি ফিলিস্তিনি ঘরহারা হয়। জেনিন, তুলকারেম, নূর শামস, ফারা’আ এবং নাবলুসের শরণার্থীশিবিরে চলছে এসব অভিযান। এসব স্থানে ইসরায়েল গাজায় যেভাবে পুরোপুরি অবরোধ আরোপ করেছিল, এখানেও তাই করছে। ফলে ব্যাপক মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। ইসরায়েল হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে, তুলকারেম ও জেনিন শিবিরে বোমাবর্ষণ করছে, এতে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু বাড়ছে।
টেক ফর প্যালেস্টাইন নামে মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম তীরে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি দখলদার হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে দখলদারদের হামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৪। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
এসব হামলার বেশির ভাগ ঘটছে পশ্চিম তীরের ‘এরিয়া সি’ অঞ্চলে। ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তিতে পশ্চিম তীরকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়—এরিয়া এ, বি ও সি। এরিয়া এ পুরোটাই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা, এরিয়া বি-তে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের, কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের। আর এরিয়া সি—যা পশ্চিম তীরের ৬০ শতাংশের বেশি এলাকা—পুরোটাই ইসরায়েলের প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে।
ইসরায়েল থামবে এমন কোনো লক্ষণ নেই। বিপরীতে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হামলা আরও বেড়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল এরিয়া সি-র মাসাফের ইয়াত্তা অঞ্চলের ১২টি ফিলিস্তিনি কমিউনিটি উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। তারা এলাকাটিকে ‘সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকা’ ঘোষণা দিয়ে এই উচ্ছেদকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। গত কয়েক দশক ধরেই ফিলিস্তিনিদের জমি দখলের জন্য ইসরায়েল এই অজুহাত ব্যবহার করে আসছে।
সর্বশেষ, ২৫ জুন কাফার মালিক গ্রামে ১০০ জনের বেশি ভারী অস্ত্র সজ্জিত ইহুদি দখলদার ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়। তারা ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। ফিলিস্তিনিরা বাধা দিলে তিনজন নিহত হন। পাশের টাইবেহ গ্রামে দখলদাররা একটি গাড়িতে আগুন দেয়। পরে ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বেতসেলেমের সংগ্রহ করা ভিডিওতে গাড়ির পুড়ে যাওয়া অবস্থা দেখা যায়।
আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বহু ফিলিস্তিনি জানিয়েছেন, তারা আরও বড় হামলার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। তারা প্রায়ই বলেন, তাদের কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই। আর প্রতিরোধের চেষ্টা করলে দখলদার ও সেনাদের হাতে আরও ভয়াবহ হামলার শিকার হতে হবে।

ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা আরও বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সেখানে তারা এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ যখন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছিল, তখন পশ্চিম তীরে দখলদার সেনাবাহিনী ও অবৈধ ইহুদি বসতির বাসিন্দারা ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়ন আরও বাড়িয়ে দেয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে পশ্চিম তীরে সহিংস অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, ফিলিস্তিনি গ্রামবাসীদের ওপর ইসরায়েলি দখলদার বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা আরও বেড়েছে, যা থামানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের হাতে সর্বশেষ নিহত ব্যক্তি হলেন—সামির বাসেম আল-জাগারনে। ১ জুলাই তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, আল-জাগারনে পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমকে বিভক্তকারী ‘সেপারেশন ব্যারিয়ারের’ কাছে নিহত হন। ২০০২ সালে ওই ব্যারিয়ার নির্মাণ শুরু করে ইসরায়েল, যা বহু ফিলিস্তিনি জনপদ ও কৃষিজমি বিভক্ত করে দিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও অবৈধ ইহুদি বসতি গড়ে তোলা সন্ত্রাসী দখলদারেরা পশ্চিম তীরকে গ্রাস করে ফেলছে। এই দখলদারেরা আকস্মিক বিভিন্ন শহরে হামলা চালায়, ঘরবাড়িতে আগুন দেয়, আক্রমণ করে এবং ফিলিস্তিনিদের নিজ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি নিরাপত্তাবাহিনী বিভিন্ন শরণার্থীশিবির ঘিরে রেখেছে, নিয়মিত সেখানে অভিযান চালাচ্ছে, বাসিন্দাদের বের করে দিচ্ছে স্থায়ীভাবে।
অনেক দখলদারকে আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে ‘একীভূত’ করা হয়েছে। কারণ, গাজায় যুদ্ধ চালানোর জন্য সেনাবাহিনীর বড় অংশ মোতায়েন থাকায় পশ্চিম তীরে ‘বিকল্প বাহিনী’ হিসেবে এই দখলদারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে দখলদারদের সহিংসতা আরও বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা, বিশেষজ্ঞ, অধিকারকর্মী ও পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সহিংসতার মূল লক্ষ্য হচ্ছে—ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে জমি দখল এবং পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে একীভূত করা। ইসরায়েলি অধিকার সংগঠন ‘পিস নাউ’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইসরায়েল পশ্চিম তীরের যত জমি দখল করেছে, তা গত ২০ বছরের সম্মিলিত জমি দখলের চেয়েও বেশি।
এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ‘সেটেলমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নামে একটি নতুন দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেন। এই পদ ব্যবহার করে তিনি পশ্চিম তীরের ওপর ইসরায়েলের বেসামরিক আইন চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন, যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
স্মতরিচ একের পর এক নতুন অবৈধ বসতি অনুমোদন দিচ্ছেন, জমি দখল করছেন এবং তথাকথিত ‘নির্মাণ-বসতি নীতিমালা’ চালু করছেন। আসলে, ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করতে এবং নতুন অবৈধ বসতি গড়ে তুলতে তিনি সেনাবাহিনী ও দখলদারদের সহিংসতাকে কাজে লাগাচ্ছেন।
ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহের নামে গঠিত স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা শিরিন মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম এক মাসে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গত দুই মাসে নিহতের সংখ্যা ৩৪ জন।
এসব হত্যার বড় অংশই নিয়মিত ইসরায়েলি অভিযানের ফলে ঘটেছে। ইসরায়েলের দাবি, তারা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নির্মূল করতে অভিযান চালাচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে পশ্চিম তীরে এসব গোষ্ঠী গড়ে ওঠে, কারণ তখন থেকে ইসরায়েলের দমন-পীড়ন আরও তীব্র হয়।
তবে বাস্তবতা হলো—অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ উদাহরণ সৃষ্টি করছে। তারা নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করছে, নিহতদের পরিবারকে দাফনের সুযোগ দিচ্ছে না এবং পুরো পাড়া-মহল্লা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, যাতে আরও বেশি ফিলিস্তিনি ঘরহারা হয়। জেনিন, তুলকারেম, নূর শামস, ফারা’আ এবং নাবলুসের শরণার্থীশিবিরে চলছে এসব অভিযান। এসব স্থানে ইসরায়েল গাজায় যেভাবে পুরোপুরি অবরোধ আরোপ করেছিল, এখানেও তাই করছে। ফলে ব্যাপক মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন। ইসরায়েল হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে, তুলকারেম ও জেনিন শিবিরে বোমাবর্ষণ করছে, এতে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু বাড়ছে।
টেক ফর প্যালেস্টাইন নামে মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পশ্চিম তীরে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি দখলদার হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে দখলদারদের হামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৪। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
এসব হামলার বেশির ভাগ ঘটছে পশ্চিম তীরের ‘এরিয়া সি’ অঞ্চলে। ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তিতে পশ্চিম তীরকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়—এরিয়া এ, বি ও সি। এরিয়া এ পুরোটাই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা, এরিয়া বি-তে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের, কিন্তু নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের। আর এরিয়া সি—যা পশ্চিম তীরের ৬০ শতাংশের বেশি এলাকা—পুরোটাই ইসরায়েলের প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে।
ইসরায়েল থামবে এমন কোনো লক্ষণ নেই। বিপরীতে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হামলা আরও বেড়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল এরিয়া সি-র মাসাফের ইয়াত্তা অঞ্চলের ১২টি ফিলিস্তিনি কমিউনিটি উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। তারা এলাকাটিকে ‘সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকা’ ঘোষণা দিয়ে এই উচ্ছেদকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। গত কয়েক দশক ধরেই ফিলিস্তিনিদের জমি দখলের জন্য ইসরায়েল এই অজুহাত ব্যবহার করে আসছে।
সর্বশেষ, ২৫ জুন কাফার মালিক গ্রামে ১০০ জনের বেশি ভারী অস্ত্র সজ্জিত ইহুদি দখলদার ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায়। তারা ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। ফিলিস্তিনিরা বাধা দিলে তিনজন নিহত হন। পাশের টাইবেহ গ্রামে দখলদাররা একটি গাড়িতে আগুন দেয়। পরে ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা বেতসেলেমের সংগ্রহ করা ভিডিওতে গাড়ির পুড়ে যাওয়া অবস্থা দেখা যায়।
আল-জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বহু ফিলিস্তিনি জানিয়েছেন, তারা আরও বড় হামলার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। তারা প্রায়ই বলেন, তাদের কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই। আর প্রতিরোধের চেষ্টা করলে দখলদার ও সেনাদের হাতে আরও ভয়াবহ হামলার শিকার হতে হবে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা আরও বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সেখানে তারা এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ যখন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছিল, তখন পশ্চিম তীরে দখলদার সেনাবাহিনী ও অবৈধ ইহুদি বসতির বাসিন্দারা ফিলিস্তিনিদের ওপর
০২ জুলাই ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা আরও বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সেখানে তারা এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ যখন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছিল, তখন পশ্চিম তীরে দখলদার সেনাবাহিনী ও অবৈধ ইহুদি বসতির বাসিন্দারা ফিলিস্তিনিদের ওপর
০২ জুলাই ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা আরও বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সেখানে তারা এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ যখন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছিল, তখন পশ্চিম তীরে দখলদার সেনাবাহিনী ও অবৈধ ইহুদি বসতির বাসিন্দারা ফিলিস্তিনিদের ওপর
০২ জুলাই ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা আরও বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সেখানে তারা এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ যখন বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছিল, তখন পশ্চিম তীরে দখলদার সেনাবাহিনী ও অবৈধ ইহুদি বসতির বাসিন্দারা ফিলিস্তিনিদের ওপর
০২ জুলাই ২০২৫
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে