অনলাইন ডেস্ক
ইরানে হামলা চালিয়ে ফেরার পথে অব্যবহৃত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র গাজায় নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান—এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। ইসরায়েলি সামরিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, ইরানে পরিচালিত অভিযানের প্রথম দিক থেকেই পাইলটেরা দেশে ফেরার পথে অব্যবহৃত গোলাবারুদ গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। আইডিএফের কমান্ডারেরা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে সহযোগিতা করেন। এরপর পুরো ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধকালে কৌশলটি ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হয়।
আইডিএফ দাবি করেছে, শুরুতে এই উদ্যোগ তাৎক্ষণিক হলেও পরে সব হামলা ‘সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে’ পরিচালিত হয়। জানা গেছে, ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল তোমার বার এই ‘অব্যবহৃত গোলাবারুদ ব্যবহারের’ নির্দেশ দেন।
গত ১৪ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ইরানবিরোধী ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর সময় গাজায় বেসামরিক প্রাণহানি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশেষ করে খাদ্য সহায়তা বিতরণকেন্দ্রের কাছে গুলিবর্ষণের কারণে শতাধিক বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়। তবে ঠিক কতজন বিমান হামলায় নিহত হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
ইরানে চলমান অভিযানে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো আশাতীত সাফল্য পায়। ইরানের অধিকাংশ আকাশসীমায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারা ইসলামিক রিপাবলিকের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলা চালায়। এ নিয়ে ইসরায়েলি রাজনীতিক ও সামরিক কর্মকর্তারা ‘তেহরানের পথে মুক্ত মহাসড়ক’ পাওয়ার কথা বলেন।
অভিযানের একপর্যায়ে ইসরায়েলি বিমানগুলো ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণস্থলগুলো ধ্বংসে নিয়োজিত হয়, যাতে ইসরায়েলের বেসামরিক এলাকাগুলোয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কমানো যায়।
যুদ্ধের ইতি টানতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ
ইরানবিরোধী অভিযানে ‘সফলতা’র পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তির বিষয়ে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন। ফলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিবিনিময় চুক্তি ঘোষণার আশা তৈরি হয়েছে।
মিসরীয় সংবাদমাধ্যম আল-রাদ জানিয়েছে, আলোচ্য চুক্তির আওতায় ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং প্রথম দফার জিম্মি মুক্তির পরপরই স্থায়ী সমাধানের আলোচনা শুরু হবে—এই প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি হিসেবে থাকবে।
চুক্তির সম্ভাব্য কাঠামোয় বলা হয়েছে, প্রথম দিনে আটজন জীবিত জিম্মি মুক্তি পাবে, সপ্তম দিনে পাঁচজনের মরদেহ হস্তান্তর হবে, ৩০তম দিনে আরও পাঁচটি মরদেহ, ৫০তম দিনে দুজন জীবিত, ৬০তম দিনে আরও আটটি মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। পর্যায়ক্রমিক বিনিময়ের এই তথ্য এপি ও নিউইয়র্ক টাইমসের খবরেও প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল এত দিন হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূলের কথা বললেও এখন মনে হচ্ছে, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধ সমাপ্তির বিষয়ে আলোচনা চালাতে তারা প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেছেন, ‘জিম্মিদের মুক্তিই এখন অগ্রাধিকার।’ নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আলোচ্য কাঠামোর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন, যা জিম্মি পরিবারগুলোর মধ্যেও আশা তৈরি করেছে। তবে একই সঙ্গে তিনি ‘হামাসকে ধ্বংসের’ আগের অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, তারা যেন কাতারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। যদি হামাস আলোচনায় না আসে, তাদের প্রতিনিধিকেও কাতার থেকে বহিষ্কার করার অনুরোধ করেছে। ইতিমধ্যে কাতার হামাস নেতাদের ব্যক্তিগত অস্ত্র জমা দিতে বলেছে, যা ইসলামপন্থীদের কাছে অপমানজনক হলেও প্রতীকীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের কিছু মহল মনে করছে, ট্রাম্পের আগের মন্তব্য—গাজার জনগণকে সরিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ‘রিভেরা’ বানানোর হুমকি হামাস নেতাদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চলতি সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই সফরে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিবিনিময় চুক্তির বিষয়ে মৌখিক ঘোষণা আসতে পারে। এরপর আনুষ্ঠানিক কারিগরি আলোচনা কাতার বা মিসরের তত্ত্বাবধানে এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হতে পারে।
এই সম্ভাব্য চুক্তিতে হামাস জিম্মি হস্তান্তরের সময় কোনো আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির সময় কিছু জিম্মিকে ক্যামেরার সামনে জোর করে ধন্যবাদ দিতে বাধ্য করা হয়, যা ইসরায়েলসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার জন্ম দেয়।
ইরানে হামলা চালিয়ে ফেরার পথে অব্যবহৃত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র গাজায় নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান—এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। ইসরায়েলি সামরিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, ইরানে পরিচালিত অভিযানের প্রথম দিক থেকেই পাইলটেরা দেশে ফেরার পথে অব্যবহৃত গোলাবারুদ গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। আইডিএফের কমান্ডারেরা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে সহযোগিতা করেন। এরপর পুরো ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধকালে কৌশলটি ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হয়।
আইডিএফ দাবি করেছে, শুরুতে এই উদ্যোগ তাৎক্ষণিক হলেও পরে সব হামলা ‘সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে’ পরিচালিত হয়। জানা গেছে, ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল তোমার বার এই ‘অব্যবহৃত গোলাবারুদ ব্যবহারের’ নির্দেশ দেন।
গত ১৪ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ইরানবিরোধী ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর সময় গাজায় বেসামরিক প্রাণহানি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশেষ করে খাদ্য সহায়তা বিতরণকেন্দ্রের কাছে গুলিবর্ষণের কারণে শতাধিক বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়। তবে ঠিক কতজন বিমান হামলায় নিহত হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
ইরানে চলমান অভিযানে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো আশাতীত সাফল্য পায়। ইরানের অধিকাংশ আকাশসীমায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারা ইসলামিক রিপাবলিকের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলা চালায়। এ নিয়ে ইসরায়েলি রাজনীতিক ও সামরিক কর্মকর্তারা ‘তেহরানের পথে মুক্ত মহাসড়ক’ পাওয়ার কথা বলেন।
অভিযানের একপর্যায়ে ইসরায়েলি বিমানগুলো ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণস্থলগুলো ধ্বংসে নিয়োজিত হয়, যাতে ইসরায়েলের বেসামরিক এলাকাগুলোয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কমানো যায়।
যুদ্ধের ইতি টানতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ
ইরানবিরোধী অভিযানে ‘সফলতা’র পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তির বিষয়ে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন। ফলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিবিনিময় চুক্তি ঘোষণার আশা তৈরি হয়েছে।
মিসরীয় সংবাদমাধ্যম আল-রাদ জানিয়েছে, আলোচ্য চুক্তির আওতায় ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং প্রথম দফার জিম্মি মুক্তির পরপরই স্থায়ী সমাধানের আলোচনা শুরু হবে—এই প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি হিসেবে থাকবে।
চুক্তির সম্ভাব্য কাঠামোয় বলা হয়েছে, প্রথম দিনে আটজন জীবিত জিম্মি মুক্তি পাবে, সপ্তম দিনে পাঁচজনের মরদেহ হস্তান্তর হবে, ৩০তম দিনে আরও পাঁচটি মরদেহ, ৫০তম দিনে দুজন জীবিত, ৬০তম দিনে আরও আটটি মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। পর্যায়ক্রমিক বিনিময়ের এই তথ্য এপি ও নিউইয়র্ক টাইমসের খবরেও প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল এত দিন হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূলের কথা বললেও এখন মনে হচ্ছে, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধ সমাপ্তির বিষয়ে আলোচনা চালাতে তারা প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেছেন, ‘জিম্মিদের মুক্তিই এখন অগ্রাধিকার।’ নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আলোচ্য কাঠামোর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন, যা জিম্মি পরিবারগুলোর মধ্যেও আশা তৈরি করেছে। তবে একই সঙ্গে তিনি ‘হামাসকে ধ্বংসের’ আগের অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, তারা যেন কাতারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। যদি হামাস আলোচনায় না আসে, তাদের প্রতিনিধিকেও কাতার থেকে বহিষ্কার করার অনুরোধ করেছে। ইতিমধ্যে কাতার হামাস নেতাদের ব্যক্তিগত অস্ত্র জমা দিতে বলেছে, যা ইসলামপন্থীদের কাছে অপমানজনক হলেও প্রতীকীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের কিছু মহল মনে করছে, ট্রাম্পের আগের মন্তব্য—গাজার জনগণকে সরিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ‘রিভেরা’ বানানোর হুমকি হামাস নেতাদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চলতি সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই সফরে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিবিনিময় চুক্তির বিষয়ে মৌখিক ঘোষণা আসতে পারে। এরপর আনুষ্ঠানিক কারিগরি আলোচনা কাতার বা মিসরের তত্ত্বাবধানে এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হতে পারে।
এই সম্ভাব্য চুক্তিতে হামাস জিম্মি হস্তান্তরের সময় কোনো আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির সময় কিছু জিম্মিকে ক্যামেরার সামনে জোর করে ধন্যবাদ দিতে বাধ্য করা হয়, যা ইসরায়েলসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার জন্ম দেয়।
ফ্রান্সের সাহসী নারী জিসেল পেলিকোকে দেশটির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘নাইট অব দ্য লেজিয়ন অব অনার’-এ ভূষিত করা হয়েছে। ফ্রান্সের বাস্তিল দিবসের (১৪ জুলাই) প্রাক্কালে প্রকাশিত সম্মানপ্রাপ্তদের তালিকায় ৫৮৯ জনের মধ্যে ৭২ বছর বয়সী পেলিকোর নাম বিশেষভাবে আলোচিত।
৬ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ-পূর্ব স্পেনের তোরে-পাচেকো শহরে শনিবার রাতে উত্তর আফ্রিকান অভিবাসীদের সঙ্গে উগ্র-ডানপন্থী গোষ্ঠী ও স্থানীয়দের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক দিন আগে বয়স্ক এক ব্যক্তি অজ্ঞাত হামলাকারীদের হাতে আহত হওয়ার পর এই উত্তেজনা শুরু হয়।
৭ ঘণ্টা আগেপৃথিবীতে পাওয়া সবচেয়ে বড় মঙ্গলের খণ্ডটি এবার নিলামে উঠছে। নিউইয়র্কের বিখ্যাত নিলাম প্রতিষ্ঠান সোথবিস ১৬ জুলাই এটি নিলামে তুলবে। ‘এনডব্লিউএ ১৬৭৮৮’ নামে পরিচিত এই বিরল উল্কাপিণ্ডের ওজন ২৫ কেজির বেশি এবং প্রস্থ ১৫ ইঞ্চি।
৮ ঘণ্টা আগেবিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফা (আই) দাবি করেছে, মিয়ানমারে তাদের ক্যাম্প লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার (১১ জুলাই) দিবাগত ভোররাতের দিকে চালানো এই ড্রোন হামলায় উলফার অন্তত তিনজন শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এমন কোনো অভিযানের বিষ
৯ ঘণ্টা আগে