আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরানে হামলা চালিয়ে ফেরার পথে অব্যবহৃত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র গাজায় নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান—এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। ইসরায়েলি সামরিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, ইরানে পরিচালিত অভিযানের প্রথম দিক থেকেই পাইলটেরা দেশে ফেরার পথে অব্যবহৃত গোলাবারুদ গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। আইডিএফের কমান্ডারেরা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে সহযোগিতা করেন। এরপর পুরো ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধকালে কৌশলটি ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হয়।
আইডিএফ দাবি করেছে, শুরুতে এই উদ্যোগ তাৎক্ষণিক হলেও পরে সব হামলা ‘সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে’ পরিচালিত হয়। জানা গেছে, ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল তোমার বার এই ‘অব্যবহৃত গোলাবারুদ ব্যবহারের’ নির্দেশ দেন।
গত ১৪ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ইরানবিরোধী ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর সময় গাজায় বেসামরিক প্রাণহানি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশেষ করে খাদ্য সহায়তা বিতরণকেন্দ্রের কাছে গুলিবর্ষণের কারণে শতাধিক বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়। তবে ঠিক কতজন বিমান হামলায় নিহত হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
ইরানে চলমান অভিযানে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো আশাতীত সাফল্য পায়। ইরানের অধিকাংশ আকাশসীমায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারা ইসলামিক রিপাবলিকের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলা চালায়। এ নিয়ে ইসরায়েলি রাজনীতিক ও সামরিক কর্মকর্তারা ‘তেহরানের পথে মুক্ত মহাসড়ক’ পাওয়ার কথা বলেন।
অভিযানের একপর্যায়ে ইসরায়েলি বিমানগুলো ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণস্থলগুলো ধ্বংসে নিয়োজিত হয়, যাতে ইসরায়েলের বেসামরিক এলাকাগুলোয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কমানো যায়।
যুদ্ধের ইতি টানতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ
ইরানবিরোধী অভিযানে ‘সফলতা’র পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তির বিষয়ে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন। ফলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিবিনিময় চুক্তি ঘোষণার আশা তৈরি হয়েছে।
মিসরীয় সংবাদমাধ্যম আল-রাদ জানিয়েছে, আলোচ্য চুক্তির আওতায় ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং প্রথম দফার জিম্মি মুক্তির পরপরই স্থায়ী সমাধানের আলোচনা শুরু হবে—এই প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি হিসেবে থাকবে।
চুক্তির সম্ভাব্য কাঠামোয় বলা হয়েছে, প্রথম দিনে আটজন জীবিত জিম্মি মুক্তি পাবে, সপ্তম দিনে পাঁচজনের মরদেহ হস্তান্তর হবে, ৩০তম দিনে আরও পাঁচটি মরদেহ, ৫০তম দিনে দুজন জীবিত, ৬০তম দিনে আরও আটটি মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। পর্যায়ক্রমিক বিনিময়ের এই তথ্য এপি ও নিউইয়র্ক টাইমসের খবরেও প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল এত দিন হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূলের কথা বললেও এখন মনে হচ্ছে, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধ সমাপ্তির বিষয়ে আলোচনা চালাতে তারা প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেছেন, ‘জিম্মিদের মুক্তিই এখন অগ্রাধিকার।’ নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আলোচ্য কাঠামোর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন, যা জিম্মি পরিবারগুলোর মধ্যেও আশা তৈরি করেছে। তবে একই সঙ্গে তিনি ‘হামাসকে ধ্বংসের’ আগের অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, তারা যেন কাতারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। যদি হামাস আলোচনায় না আসে, তাদের প্রতিনিধিকেও কাতার থেকে বহিষ্কার করার অনুরোধ করেছে। ইতিমধ্যে কাতার হামাস নেতাদের ব্যক্তিগত অস্ত্র জমা দিতে বলেছে, যা ইসলামপন্থীদের কাছে অপমানজনক হলেও প্রতীকীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের কিছু মহল মনে করছে, ট্রাম্পের আগের মন্তব্য—গাজার জনগণকে সরিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ‘রিভেরা’ বানানোর হুমকি হামাস নেতাদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চলতি সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই সফরে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিবিনিময় চুক্তির বিষয়ে মৌখিক ঘোষণা আসতে পারে। এরপর আনুষ্ঠানিক কারিগরি আলোচনা কাতার বা মিসরের তত্ত্বাবধানে এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হতে পারে।
এই সম্ভাব্য চুক্তিতে হামাস জিম্মি হস্তান্তরের সময় কোনো আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির সময় কিছু জিম্মিকে ক্যামেরার সামনে জোর করে ধন্যবাদ দিতে বাধ্য করা হয়, যা ইসরায়েলসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার জন্ম দেয়।

ইরানে হামলা চালিয়ে ফেরার পথে অব্যবহৃত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র গাজায় নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান—এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। ইসরায়েলি সামরিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, ইরানে পরিচালিত অভিযানের প্রথম দিক থেকেই পাইলটেরা দেশে ফেরার পথে অব্যবহৃত গোলাবারুদ গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। আইডিএফের কমান্ডারেরা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে সহযোগিতা করেন। এরপর পুরো ১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধকালে কৌশলটি ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হয়।
আইডিএফ দাবি করেছে, শুরুতে এই উদ্যোগ তাৎক্ষণিক হলেও পরে সব হামলা ‘সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে’ পরিচালিত হয়। জানা গেছে, ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল তোমার বার এই ‘অব্যবহৃত গোলাবারুদ ব্যবহারের’ নির্দেশ দেন।
গত ১৪ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ইরানবিরোধী ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এর সময় গাজায় বেসামরিক প্রাণহানি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। বিশেষ করে খাদ্য সহায়তা বিতরণকেন্দ্রের কাছে গুলিবর্ষণের কারণে শতাধিক বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়। তবে ঠিক কতজন বিমান হামলায় নিহত হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
ইরানে চলমান অভিযানে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো আশাতীত সাফল্য পায়। ইরানের অধিকাংশ আকাশসীমায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারা ইসলামিক রিপাবলিকের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলা চালায়। এ নিয়ে ইসরায়েলি রাজনীতিক ও সামরিক কর্মকর্তারা ‘তেহরানের পথে মুক্ত মহাসড়ক’ পাওয়ার কথা বলেন।
অভিযানের একপর্যায়ে ইসরায়েলি বিমানগুলো ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণস্থলগুলো ধ্বংসে নিয়োজিত হয়, যাতে ইসরায়েলের বেসামরিক এলাকাগুলোয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কমানো যায়।
যুদ্ধের ইতি টানতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ
ইরানবিরোধী অভিযানে ‘সফলতা’র পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের দ্রুত সমাপ্তির বিষয়ে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন। ফলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিবিনিময় চুক্তি ঘোষণার আশা তৈরি হয়েছে।
মিসরীয় সংবাদমাধ্যম আল-রাদ জানিয়েছে, আলোচ্য চুক্তির আওতায় ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং প্রথম দফার জিম্মি মুক্তির পরপরই স্থায়ী সমাধানের আলোচনা শুরু হবে—এই প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গ্যারান্টি হিসেবে থাকবে।
চুক্তির সম্ভাব্য কাঠামোয় বলা হয়েছে, প্রথম দিনে আটজন জীবিত জিম্মি মুক্তি পাবে, সপ্তম দিনে পাঁচজনের মরদেহ হস্তান্তর হবে, ৩০তম দিনে আরও পাঁচটি মরদেহ, ৫০তম দিনে দুজন জীবিত, ৬০তম দিনে আরও আটটি মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। পর্যায়ক্রমিক বিনিময়ের এই তথ্য এপি ও নিউইয়র্ক টাইমসের খবরেও প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল এত দিন হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূলের কথা বললেও এখন মনে হচ্ছে, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও যুদ্ধ সমাপ্তির বিষয়ে আলোচনা চালাতে তারা প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সম্প্রতি বলেছেন, ‘জিম্মিদের মুক্তিই এখন অগ্রাধিকার।’ নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ আলোচ্য কাঠামোর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন, যা জিম্মি পরিবারগুলোর মধ্যেও আশা তৈরি করেছে। তবে একই সঙ্গে তিনি ‘হামাসকে ধ্বংসের’ আগের অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, তারা যেন কাতারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। যদি হামাস আলোচনায় না আসে, তাদের প্রতিনিধিকেও কাতার থেকে বহিষ্কার করার অনুরোধ করেছে। ইতিমধ্যে কাতার হামাস নেতাদের ব্যক্তিগত অস্ত্র জমা দিতে বলেছে, যা ইসলামপন্থীদের কাছে অপমানজনক হলেও প্রতীকীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের কিছু মহল মনে করছে, ট্রাম্পের আগের মন্তব্য—গাজার জনগণকে সরিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ‘রিভেরা’ বানানোর হুমকি হামাস নেতাদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চলতি সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই সফরে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিবিনিময় চুক্তির বিষয়ে মৌখিক ঘোষণা আসতে পারে। এরপর আনুষ্ঠানিক কারিগরি আলোচনা কাতার বা মিসরের তত্ত্বাবধানে এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হতে পারে।
এই সম্ভাব্য চুক্তিতে হামাস জিম্মি হস্তান্তরের সময় কোনো আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির সময় কিছু জিম্মিকে ক্যামেরার সামনে জোর করে ধন্যবাদ দিতে বাধ্য করা হয়, যা ইসরায়েলসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার জন্ম দেয়।

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটি একটি ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
১৬ মিনিট আগে
বিদ্রোহী জোটের ঝটিকা অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দামেস্কের পতন হওয়ার পর এক বছর পূর্ণ হলো। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রধান বিমানবন্দর
২১ মিনিট আগে
পূর্ব ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ার আকাশে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশ থেকে চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত বেলুন বারবার ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছে ভিলনিয়াস। লিথুয়ানিয়া জানাচ্ছে, বেলারুশ থেকে আসা চোরাচালানের বেলুন আকাশপথে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তাই আজ মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
৩৭ মিনিট আগে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটি একটি ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানিয়ে সেন্ট্রাল জাকার্তা পুলিশের প্রধান সুসাত্যো পুরনোমো চন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভবনটির এক তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে উপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সময় কিছু কর্মচারী দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন, আবার অনেকে কার্যালয়ের বাইরে ছিলেন।
হতাহতদের উদ্ধার ও আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণের চেষ্টা চলছে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
চন্দ্র আরও জানান, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে। ভবনের ভেতরে আর কেউ আছে কি না খুঁজে দেখা হচ্ছে।
হতাহতদের ক্রামাত জাতি পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভবনটিতে টেরা ড্রোন ইন্দোনেশিয়ার কার্যালয় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি খনি থেকে শুরু করে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে এরিয়াল সার্ভে কার্যক্রমের জন্য ড্রোন সরবরাহ করে। সংস্থাটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি জাপানি ড্রোন সংস্থা টেরা ড্রোন কর্পোরেশনের (Terra Drone Corporation) ইন্দোনেশীয় ইউনিট।
ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম কম্পাস টিভির সম্প্রচারে দেখা যায়, অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের একাধিক দল ভবনে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। কয়েকজনকে ভবন থেকে মৃতদেহ বহনকারী ব্যাগ নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া কিছু কর্মীকে ভবনের উঁচু তলা থেকে পোর্টেবল সিঁড়ি ব্যবহার করে নিচে নামতেও দেখা গেছে।
আগুনের ঘটনায় টেরা ড্রোন ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক জবাব মেলেনি।

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটি একটি ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানিয়ে সেন্ট্রাল জাকার্তা পুলিশের প্রধান সুসাত্যো পুরনোমো চন্দ্র সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ভবনটির এক তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে উপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সময় কিছু কর্মচারী দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন, আবার অনেকে কার্যালয়ের বাইরে ছিলেন।
হতাহতদের উদ্ধার ও আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণের চেষ্টা চলছে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
চন্দ্র আরও জানান, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে। ভবনের ভেতরে আর কেউ আছে কি না খুঁজে দেখা হচ্ছে।
হতাহতদের ক্রামাত জাতি পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভবনটিতে টেরা ড্রোন ইন্দোনেশিয়ার কার্যালয় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি খনি থেকে শুরু করে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে এরিয়াল সার্ভে কার্যক্রমের জন্য ড্রোন সরবরাহ করে। সংস্থাটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এটি জাপানি ড্রোন সংস্থা টেরা ড্রোন কর্পোরেশনের (Terra Drone Corporation) ইন্দোনেশীয় ইউনিট।
ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম কম্পাস টিভির সম্প্রচারে দেখা যায়, অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের একাধিক দল ভবনে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে। কয়েকজনকে ভবন থেকে মৃতদেহ বহনকারী ব্যাগ নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া কিছু কর্মীকে ভবনের উঁচু তলা থেকে পোর্টেবল সিঁড়ি ব্যবহার করে নিচে নামতেও দেখা গেছে।
আগুনের ঘটনায় টেরা ড্রোন ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক জবাব মেলেনি।

ইসরায়েলি সামরিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, ইরানে পরিচালিত অভিযানের প্রথম দিক থেকেই পাইলটেরা দেশে ফেরার পথে অব্যবহৃত গোলাবারুদ গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। আইডিএফের কমান্ডারেরা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে সহযোগিতা করেন।
০৩ জুলাই ২০২৫
বিদ্রোহী জোটের ঝটিকা অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দামেস্কের পতন হওয়ার পর এক বছর পূর্ণ হলো। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রধান বিমানবন্দর
২১ মিনিট আগে
পূর্ব ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ার আকাশে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশ থেকে চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত বেলুন বারবার ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছে ভিলনিয়াস। লিথুয়ানিয়া জানাচ্ছে, বেলারুশ থেকে আসা চোরাচালানের বেলুন আকাশপথে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তাই আজ মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
৩৭ মিনিট আগে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিদ্রোহী জোটের ঝটিকা অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দামেস্কের পতন হওয়ার পর এক বছর পূর্ণ হলো। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রধান বিমানবন্দর এবং যুদ্ধবিমানসহ সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে চলেছে এসব হামলা।
আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা-এর তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে (৮ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ২৮ নভেম্বর ২০২৫) ইসরায়েল সিরিয়া জুড়ে ৬০০ টিরও বেশি বিমান, ড্রোন বা আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। এর অর্থ, প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুটি করে আক্রমণ চালানো হয়েছে সিরিয়ার ভূখণ্ডে।
ইসরায়েলি আক্রমণের বেশির ভাগই হয়েছে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে—কুনেইত্রা, দেরা ও দামেস্কের গভর্নরশিপগুলোতে। রেকর্ড করা মোট হামলার প্রায় ৮০ শতাংশই এই অঞ্চলে সংঘটিত। দেখা গেছে—
কুনেইত্রা: ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমির সীমান্তবর্তী এই গভর্নরশিপটি কমপক্ষে ২৩২ বার হামলার শিকার হয়েছে।
দেরা: ১৬৭টি হামলার শিকার হয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক লক্ষ্যবস্তু ছিল দেরা, যেখানে সাবেক সরকারের সামরিক স্থাপনা এবং সন্দেহজনক অস্ত্র সমাবেশ স্থলগুলোয় নজর দেওয়া হয়।
দামেস্ক: গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহাসড়ক এবং লজিস্টিক হাব রয়েছে দামেস্ক গভর্নরশিপে। এই এলাকায় কমপক্ষে ৭৭ বার হামলা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী দামেস্ক শহরেই ২০ বার হামলা চালানো হয়েছে। গত ১৬ জুলাই ইসরায়েলি বিমান হামলায় সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছাকাছি একটি স্থানে আঘাত হানে।
ইসরায়েল বহু বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে আসছে। তারা বরাবরই যুক্তি দেয়, ইরানি সামরিক ঘাঁটিগুলো নির্মূল করার লক্ষ্যেই তাদের এই অভিযান। কিন্তু আসাদ সরকারের পতনের পর তেল আবিব দাবি করছে, তারা অস্ত্র যাতে ‘চরমপন্থীদের’ হাতে না যায়, তা নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। ইসরায়েলের এই ‘চরমপন্থী’ তালিকায় সম্প্রতি আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার নেতৃত্ব দেওয়া প্রধান বিরোধী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-ও রয়েছে।
আসাদের পতনের মাত্র চার দিন পরেই ইসরায়েল ঘোষণা করে, তারা সিরিয়ার ৮০ শতাংশেরও বেশি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে, যার ফলে নতুন সিরিয়া কোনো সামরিক হুমকি তৈরি করতে পারবে না।
অন্যদিকে, আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া আহমেদ আল-শারা ক্রমাগত বলে আসছেন, তাঁর সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সংঘাত চায় না এবং কোনো বিদেশি শক্তিকে সিরিয়ার ভূমি ব্যবহার করে হামলা চালানোর অনুমতি দেবে না।
আসাদের পতনের পরের দিনগুলোতে ইসরায়েলি সেনারা গোলান মালভূমির সিরিয়া অংশে প্রবেশ করে, যা ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘ-মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জাতিসংঘ-নিয়ন্ত্রিত ডিমিলিটারাইজড জোনের (অসামরিক অঞ্চল) মধ্যে জাবাল আল-শেখ এবং সংলগ্ন গ্রামগুলোতে বেশ কয়েকটি সামরিক চৌকি স্থাপন করেছে। এখানে তারা প্রায়শই বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালায়।
ইসরায়েলের এই ভূমি দখলের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। জাতিসংঘ এবং বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইন ও সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা করেছে।
তবে এই নিন্দা সত্ত্বেও, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা দেন, ইসরায়েলি বাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য এই এলাকায় থাকবে—যাতে তারা ‘ইসরায়েলি নাগরিকদের রক্ষা করতে’ পারে এবং ‘শত্রু শক্তিকে সীমান্তে ঘাঁটি স্থাপন করা থেকে বিরত রাখতে’ পারে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমি ১ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এর সঙ্গে, তারা জাতিসংঘ বাফার জোনের ২৩৫ বর্গ কিলোমিটার এবং বাফার জোনের বাইরে সিরিয়ার আরও প্রায় ৪২০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল দখল করেছে। এই অতিরিক্ত দখল করা অঞ্চলটির আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার শহরের আকারের প্রায় সমান।

বিদ্রোহী জোটের ঝটিকা অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দামেস্কের পতন হওয়ার পর এক বছর পূর্ণ হলো। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রধান বিমানবন্দর এবং যুদ্ধবিমানসহ সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে চলেছে এসব হামলা।
আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা-এর তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে (৮ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ২৮ নভেম্বর ২০২৫) ইসরায়েল সিরিয়া জুড়ে ৬০০ টিরও বেশি বিমান, ড্রোন বা আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। এর অর্থ, প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুটি করে আক্রমণ চালানো হয়েছে সিরিয়ার ভূখণ্ডে।
ইসরায়েলি আক্রমণের বেশির ভাগই হয়েছে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে—কুনেইত্রা, দেরা ও দামেস্কের গভর্নরশিপগুলোতে। রেকর্ড করা মোট হামলার প্রায় ৮০ শতাংশই এই অঞ্চলে সংঘটিত। দেখা গেছে—
কুনেইত্রা: ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমির সীমান্তবর্তী এই গভর্নরশিপটি কমপক্ষে ২৩২ বার হামলার শিকার হয়েছে।
দেরা: ১৬৭টি হামলার শিকার হয়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক লক্ষ্যবস্তু ছিল দেরা, যেখানে সাবেক সরকারের সামরিক স্থাপনা এবং সন্দেহজনক অস্ত্র সমাবেশ স্থলগুলোয় নজর দেওয়া হয়।
দামেস্ক: গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহাসড়ক এবং লজিস্টিক হাব রয়েছে দামেস্ক গভর্নরশিপে। এই এলাকায় কমপক্ষে ৭৭ বার হামলা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী দামেস্ক শহরেই ২০ বার হামলা চালানো হয়েছে। গত ১৬ জুলাই ইসরায়েলি বিমান হামলায় সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছাকাছি একটি স্থানে আঘাত হানে।
ইসরায়েল বহু বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে আসছে। তারা বরাবরই যুক্তি দেয়, ইরানি সামরিক ঘাঁটিগুলো নির্মূল করার লক্ষ্যেই তাদের এই অভিযান। কিন্তু আসাদ সরকারের পতনের পর তেল আবিব দাবি করছে, তারা অস্ত্র যাতে ‘চরমপন্থীদের’ হাতে না যায়, তা নিশ্চিত করতে চাচ্ছে। ইসরায়েলের এই ‘চরমপন্থী’ তালিকায় সম্প্রতি আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার নেতৃত্ব দেওয়া প্রধান বিরোধী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-ও রয়েছে।
আসাদের পতনের মাত্র চার দিন পরেই ইসরায়েল ঘোষণা করে, তারা সিরিয়ার ৮০ শতাংশেরও বেশি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে, যার ফলে নতুন সিরিয়া কোনো সামরিক হুমকি তৈরি করতে পারবে না।
অন্যদিকে, আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া আহমেদ আল-শারা ক্রমাগত বলে আসছেন, তাঁর সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সংঘাত চায় না এবং কোনো বিদেশি শক্তিকে সিরিয়ার ভূমি ব্যবহার করে হামলা চালানোর অনুমতি দেবে না।
আসাদের পতনের পরের দিনগুলোতে ইসরায়েলি সেনারা গোলান মালভূমির সিরিয়া অংশে প্রবেশ করে, যা ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘ-মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জাতিসংঘ-নিয়ন্ত্রিত ডিমিলিটারাইজড জোনের (অসামরিক অঞ্চল) মধ্যে জাবাল আল-শেখ এবং সংলগ্ন গ্রামগুলোতে বেশ কয়েকটি সামরিক চৌকি স্থাপন করেছে। এখানে তারা প্রায়শই বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালায়।
ইসরায়েলের এই ভূমি দখলের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। জাতিসংঘ এবং বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইন ও সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা করেছে।
তবে এই নিন্দা সত্ত্বেও, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা দেন, ইসরায়েলি বাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য এই এলাকায় থাকবে—যাতে তারা ‘ইসরায়েলি নাগরিকদের রক্ষা করতে’ পারে এবং ‘শত্রু শক্তিকে সীমান্তে ঘাঁটি স্থাপন করা থেকে বিরত রাখতে’ পারে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমি ১ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এর সঙ্গে, তারা জাতিসংঘ বাফার জোনের ২৩৫ বর্গ কিলোমিটার এবং বাফার জোনের বাইরে সিরিয়ার আরও প্রায় ৪২০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল দখল করেছে। এই অতিরিক্ত দখল করা অঞ্চলটির আয়তন যুক্তরাষ্ট্রের ডেনভার শহরের আকারের প্রায় সমান।

ইসরায়েলি সামরিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, ইরানে পরিচালিত অভিযানের প্রথম দিক থেকেই পাইলটেরা দেশে ফেরার পথে অব্যবহৃত গোলাবারুদ গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। আইডিএফের কমান্ডারেরা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে সহযোগিতা করেন।
০৩ জুলাই ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটি একটি ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
১৬ মিনিট আগে
পূর্ব ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ার আকাশে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশ থেকে চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত বেলুন বারবার ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছে ভিলনিয়াস। লিথুয়ানিয়া জানাচ্ছে, বেলারুশ থেকে আসা চোরাচালানের বেলুন আকাশপথে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তাই আজ মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
৩৭ মিনিট আগে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পূর্ব ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ার আকাশে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশ থেকে চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত বেলুন বারবার ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছে ভিলনিয়াস। লিথুয়ানিয়া জানাচ্ছে, বেলারুশ থেকে আসা চোরাচালানের বেলুন আকাশপথে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তাই আজ মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সরকার সামরিক বাহিনীকে পুলিশ ও সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য পার্লামেন্টের কাছে আবেদন জানিয়েছে। লিথুয়ানিয়া বলছে, সিগারেট পাচারকারীরা আবহাওয়ার বেলুন পাঠাচ্ছে। এই ধরনের বেলুন রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের পক্ষ থেকে একটি ‘হাইব্রিড আক্রমণ।’ এ কারণে ভিলনিয়াস বিমানবন্দর বারবার বন্ধ করতে হয়েছে।
লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্লাদিস্লাভ কন্দ্রাতোভিচ মঙ্গলবার এক সরকারি বৈঠকে বলেছেন, ‘কেবল বেসামরিক বিমান চলাচলে বিঘ্নের জন্য নয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেও এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।’
বেলারুশ এই বেলুনের দায় অস্বীকার করেছে এবং লিথুয়ানিয়ার বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ এনেছে, যার মধ্যে ‘উগ্রবাদী বস্তু’ ফেলার জন্য একটি ড্রোন পাঠানোর অভিযোগও রয়েছে, যা লিথুয়ানিয়া অস্বীকার করেছে।
কন্দ্রাতোভিচ জানিয়েছেন, লিথুয়ানিয়া সরকার জরুরি অবস্থার সময় পুলিশ, সীমান্তরক্ষী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য এবং প্রয়োজনে নিজস্বভাবে কাজ করার জন্য সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা দেওয়ার অনুরোধ করেছে সংসদের কাছে।
যদি পার্লামেন্ট এতে সম্মত হয়, তবে সেনাবাহিনীকে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় প্রবেশাধিকার সীমিত করা, যানবাহন থামানো ও তল্লাশি করা, লোকজনকে পরীক্ষা করা, তাদের কাগজপত্র ও জিনিসপত্র পরীক্ষা করা এবং যারা প্রতিরোধ করবে বা অপরাধে সন্দেহভাজন তাদের আটক করার অনুমতি দেওয়া হবে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্টাস কাউনাস বলেছেন, এই কাজগুলোর জন্য সামরিক বাহিনী শক্তি ব্যবহার করার অনুমতি পাবে। সাবেক সরকার যত দিন না তুলে নিচ্ছে, তত দিন এই জরুরি পদক্ষেপগুলো বহাল থাকবে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়ন গত ১ ডিসেম্বর বলেছিলেন, সীমান্তে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে এবং বেলুনের অনুপ্রবেশকে বেলারুশের একটি ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য হাইব্রিড আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
অবৈধভাবে সীমান্ত পার করে অভিবাসী পাঠানোর জন্য বেলারুশের একটি অভিযানের কারণে লিথুয়ানিয়া ২০২১ সালেও বেলারুশ সীমান্ত অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। এর পরের বছর, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর লিথুয়ানিয়াও লক্ষ্যবস্তু হতে পারে এই আশঙ্কায় ভিলনিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল।

পূর্ব ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ার আকাশে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশ থেকে চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত বেলুন বারবার ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছে ভিলনিয়াস। লিথুয়ানিয়া জানাচ্ছে, বেলারুশ থেকে আসা চোরাচালানের বেলুন আকাশপথে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তাই আজ মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সরকার সামরিক বাহিনীকে পুলিশ ও সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য পার্লামেন্টের কাছে আবেদন জানিয়েছে। লিথুয়ানিয়া বলছে, সিগারেট পাচারকারীরা আবহাওয়ার বেলুন পাঠাচ্ছে। এই ধরনের বেলুন রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের পক্ষ থেকে একটি ‘হাইব্রিড আক্রমণ।’ এ কারণে ভিলনিয়াস বিমানবন্দর বারবার বন্ধ করতে হয়েছে।
লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্লাদিস্লাভ কন্দ্রাতোভিচ মঙ্গলবার এক সরকারি বৈঠকে বলেছেন, ‘কেবল বেসামরিক বিমান চলাচলে বিঘ্নের জন্য নয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেও এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।’
বেলারুশ এই বেলুনের দায় অস্বীকার করেছে এবং লিথুয়ানিয়ার বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ এনেছে, যার মধ্যে ‘উগ্রবাদী বস্তু’ ফেলার জন্য একটি ড্রোন পাঠানোর অভিযোগও রয়েছে, যা লিথুয়ানিয়া অস্বীকার করেছে।
কন্দ্রাতোভিচ জানিয়েছেন, লিথুয়ানিয়া সরকার জরুরি অবস্থার সময় পুলিশ, সীমান্তরক্ষী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য এবং প্রয়োজনে নিজস্বভাবে কাজ করার জন্য সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা দেওয়ার অনুরোধ করেছে সংসদের কাছে।
যদি পার্লামেন্ট এতে সম্মত হয়, তবে সেনাবাহিনীকে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় প্রবেশাধিকার সীমিত করা, যানবাহন থামানো ও তল্লাশি করা, লোকজনকে পরীক্ষা করা, তাদের কাগজপত্র ও জিনিসপত্র পরীক্ষা করা এবং যারা প্রতিরোধ করবে বা অপরাধে সন্দেহভাজন তাদের আটক করার অনুমতি দেওয়া হবে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্টাস কাউনাস বলেছেন, এই কাজগুলোর জন্য সামরিক বাহিনী শক্তি ব্যবহার করার অনুমতি পাবে। সাবেক সরকার যত দিন না তুলে নিচ্ছে, তত দিন এই জরুরি পদক্ষেপগুলো বহাল থাকবে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়ন গত ১ ডিসেম্বর বলেছিলেন, সীমান্তে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে এবং বেলুনের অনুপ্রবেশকে বেলারুশের একটি ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য হাইব্রিড আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
অবৈধভাবে সীমান্ত পার করে অভিবাসী পাঠানোর জন্য বেলারুশের একটি অভিযানের কারণে লিথুয়ানিয়া ২০২১ সালেও বেলারুশ সীমান্ত অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। এর পরের বছর, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর লিথুয়ানিয়াও লক্ষ্যবস্তু হতে পারে এই আশঙ্কায় ভিলনিয়াস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল।

ইসরায়েলি সামরিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, ইরানে পরিচালিত অভিযানের প্রথম দিক থেকেই পাইলটেরা দেশে ফেরার পথে অব্যবহৃত গোলাবারুদ গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। আইডিএফের কমান্ডারেরা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে সহযোগিতা করেন।
০৩ জুলাই ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটি একটি ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
১৬ মিনিট আগে
বিদ্রোহী জোটের ঝটিকা অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দামেস্কের পতন হওয়ার পর এক বছর পূর্ণ হলো। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রধান বিমানবন্দর
২১ মিনিট আগে
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লোকসভায় বিশেষ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্কিমচন্দ্রকে চারবার ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধন করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন, তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত, আনন্দমঠের পৃষ্ঠভূমি মনে রাখলে বন্দে মাতরম মুসলিমদের ইরিটেট করতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতায় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বন্দে মাতরমকে টুকরো করা হলো। বন্দে মাতরম এত মহান হওয়া সত্ত্বেও কেন তার প্রতি অন্যায় করা হলো, কেন বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো, কোন শক্তি যার ইচ্ছা পূজ্য বাপুর ভাবনাকেও বাতিল করে দিল। কংগ্রেস বন্দে মাতরমকে বাতিল করে দিল। তুষ্টীকরণের রাজনীতি করল। তাই কংগ্রেসকে ভারতের বিভাজনও মেনে নিতে হয়েছে। কংগ্রেসের নীতি সে রকমই আছে, আজও কংগ্রেস বন্দে মাতরমের বিরোধ করে যাচ্ছে।’
নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণে বার চারেক বঙ্কিমচন্দ্রকে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্কিমদা যখন বন্দে মাতরম লিখলেন, তখন তা দেশের স্বর হয়ে উঠল।’ একাধিকবার বঙ্কিমদা বলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় বলেন, ‘অন্ততপক্ষে বঙ্কিমবাবু বলুন।’ মোদি বলেন, ‘আমি আপনার ভাবনাকে সমর্থন করি। বঙ্কিমবাবু বলছি।’ তারপর তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে তো দাদা বলি। সেটা বলব তো। নাকি তাতেও আপনি আপত্তি করবেন?’
বঙ্কিমচন্দ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অভ্র ঘোষ বলেছেন, ‘এমন ধৃষ্টতা কেমন করে হয়? বঙ্কিমচন্দ্রকে কেউ কখনো বঙ্কিমদা বলেছেন বলে শুনিনি। শ্রীঅরবিন্দ ১৯০৫ সালে প্রথমে বলেন ঋষি বঙ্কিম। তার পর থেকে অনেকেই তাঁকে ঋষি বঙ্কিম বলেন, বঙ্কিমদা কেউ বলেননি।’ প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র বলেছেন, ‘হয়তো প্রধানমন্ত্রী একটু বেশি বাঙালি হতে চেয়েছেন।’
মোদি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘বন্দে মাতরমের ১৫০ বছরের যাত্রা অনেক পর্বের মধ্যে দিয়ে গেছে। এই গান যখন লেখা হয়, তখন দেশ পরাধীন ছিল। এই গান লেখার ১০০ বছর যখন পূর্ণ হলো, তখন দেশ জরুরি অবস্থার শিকলে বন্দী ছিল। তখন সংবিধানের গলা চেপে ধরা হয়েছিল। দেশভক্তির জন্য যাঁরা বাঁচতেন, মারা যেতেন, তাঁদের জেলে বন্দী করি হলো। দুর্ভাগ্য, বন্দে মাতরমের ১০০ বছরে এই কালখণ্ডও ইতিহাসে ঢুকে গেল।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দে মাতরম কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল না, তার থেকে আরও বেশি কিছু ছিল। দেশবাসীর গর্ব হওয়া উচিত।’ তাঁর ভাষ্য, ‘জওহরলাল নেহরুর উচিত ছিল, জিন্নার আধারহীন বক্তব্যের কঠোর জবাব দেওয়া, নিন্দা করা। কিন্তু তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত হলেন। কংগ্রেস মুসলিম লিগের সামনে হাঁটু মুড়ে বসল।’ মোদির দাবি, ‘বন্দে মাতরম রাস্তা তৈরি করেছে, তাই আমরা এখানে এসেছি। বন্দে মাতরম আমাদের প্রেরণা।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র প্রশ্ন করেন, ‘আজ এই বিতর্কের প্রয়োজন কী? বন্দে মাতরম তো দেশের সর্বত্র মানুষের মনে আছে। আমাদের জাতীয় গান নিয়ে কিসের বিতর্ক? তা-ও এ নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তার প্রথম কারণ, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন আসছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের ভূমিকা পালন করতে চান। দ্বিতীয় কারণ, একটা পুরোনো উদ্দেশ্য, যারা স্বাধীনতার লড়াই লড়েছে, তাদের বদনাম করা। দেশের জ্বলন্ত সমস্যার থেকে মানুষের নজর ঘোরানো।’
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মহাপুরুষদের অপমান করেছেন। সংবিধান সভাকে অপমান করেছেন। তিনি যত দিন প্রধানমন্ত্রী আছেন, তত দিন নেহরু জেলে ছিলেন। এরপর ১৭ বছর ধরে তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নেহরু দেশের জন্য বেঁচেছেন, দেশের সেবা করতে করতে মৃত্যু হয়েছে। এর থেকে ভালো হবে, স্পিকার সময় ঠিক করে দিন। যতক্ষণ তিনি শান্ত না হচ্ছেন, আমরা কথা বলব। নেহরু, ইন্দিরা, রাজীব, পরিবারবাদ নিয়ে তাঁর যা বলার একবারে বলে দিন। তারপর বিষয়টি ক্লোজ করুন। তারপর বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে কথা বলুন। নারীদের অবস্থা নিয়ে কথা বলুন।’
তৃণমূল সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘যখন বেকারি ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, দিল্লিতে বায়ুদূষণের পরিমাণ ৮০০ ছাড়িয়েছে, বিরোধী রাজ্যগুলোতে ১০০ দিনের কাজ, গরিবদের জন্য বাড়ি ও জলের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না, যখন লাখ লাখ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বিরোধীরা সংসদে জাতীয় বিষয়গুলো তুলতে পারছে না, তখন সরকার কেন বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা এতটা জরুরি ও এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করল। দুই সপ্তাহ আগে রাজ্যসভার বুলেটিন বলেছে, বন্দে মাতরম, জয় হিন্দ ও অন্য স্লোগান দেওয়া যাবে না। সরকার মনে করছে বন্দে মাতরম স্লোগানও নন সিরিয়াস।’

বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে লোকসভায় বিশেষ আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্কিমচন্দ্রকে চারবার ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধন করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন, বন্দে মাতরম লোকের মুখে মুখে ফিরছে। তা জাতীয় সংগীত হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও মুসলিম লিগের দাবির কাছে নতিস্বীকার করেন জওহরলাল নেহরু। নেতাজিকে চিঠি লিখে নেহরু বলেন, তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত, আনন্দমঠের পৃষ্ঠভূমি মনে রাখলে বন্দে মাতরম মুসলিমদের ইরিটেট করতে পারে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতায় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বন্দে মাতরমকে টুকরো করা হলো। বন্দে মাতরম এত মহান হওয়া সত্ত্বেও কেন তার প্রতি অন্যায় করা হলো, কেন বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো, কোন শক্তি যার ইচ্ছা পূজ্য বাপুর ভাবনাকেও বাতিল করে দিল। কংগ্রেস বন্দে মাতরমকে বাতিল করে দিল। তুষ্টীকরণের রাজনীতি করল। তাই কংগ্রেসকে ভারতের বিভাজনও মেনে নিতে হয়েছে। কংগ্রেসের নীতি সে রকমই আছে, আজও কংগ্রেস বন্দে মাতরমের বিরোধ করে যাচ্ছে।’
নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণে বার চারেক বঙ্কিমচন্দ্রকে ‘বঙ্কিমদা’ বলে সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্কিমদা যখন বন্দে মাতরম লিখলেন, তখন তা দেশের স্বর হয়ে উঠল।’ একাধিকবার বঙ্কিমদা বলার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় বলেন, ‘অন্ততপক্ষে বঙ্কিমবাবু বলুন।’ মোদি বলেন, ‘আমি আপনার ভাবনাকে সমর্থন করি। বঙ্কিমবাবু বলছি।’ তারপর তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে তো দাদা বলি। সেটা বলব তো। নাকি তাতেও আপনি আপত্তি করবেন?’
বঙ্কিমচন্দ্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অভ্র ঘোষ বলেছেন, ‘এমন ধৃষ্টতা কেমন করে হয়? বঙ্কিমচন্দ্রকে কেউ কখনো বঙ্কিমদা বলেছেন বলে শুনিনি। শ্রীঅরবিন্দ ১৯০৫ সালে প্রথমে বলেন ঋষি বঙ্কিম। তার পর থেকে অনেকেই তাঁকে ঋষি বঙ্কিম বলেন, বঙ্কিমদা কেউ বলেননি।’ প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র বলেছেন, ‘হয়তো প্রধানমন্ত্রী একটু বেশি বাঙালি হতে চেয়েছেন।’
মোদি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘বন্দে মাতরমের ১৫০ বছরের যাত্রা অনেক পর্বের মধ্যে দিয়ে গেছে। এই গান যখন লেখা হয়, তখন দেশ পরাধীন ছিল। এই গান লেখার ১০০ বছর যখন পূর্ণ হলো, তখন দেশ জরুরি অবস্থার শিকলে বন্দী ছিল। তখন সংবিধানের গলা চেপে ধরা হয়েছিল। দেশভক্তির জন্য যাঁরা বাঁচতেন, মারা যেতেন, তাঁদের জেলে বন্দী করি হলো। দুর্ভাগ্য, বন্দে মাতরমের ১০০ বছরে এই কালখণ্ডও ইতিহাসে ঢুকে গেল।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্দে মাতরম কেবল রাজনৈতিক স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল না, তার থেকে আরও বেশি কিছু ছিল। দেশবাসীর গর্ব হওয়া উচিত।’ তাঁর ভাষ্য, ‘জওহরলাল নেহরুর উচিত ছিল, জিন্নার আধারহীন বক্তব্যের কঠোর জবাব দেওয়া, নিন্দা করা। কিন্তু তিনি জিন্নার ভাবনার সঙ্গে সহমত হলেন। কংগ্রেস মুসলিম লিগের সামনে হাঁটু মুড়ে বসল।’ মোদির দাবি, ‘বন্দে মাতরম রাস্তা তৈরি করেছে, তাই আমরা এখানে এসেছি। বন্দে মাতরম আমাদের প্রেরণা।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র প্রশ্ন করেন, ‘আজ এই বিতর্কের প্রয়োজন কী? বন্দে মাতরম তো দেশের সর্বত্র মানুষের মনে আছে। আমাদের জাতীয় গান নিয়ে কিসের বিতর্ক? তা-ও এ নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে তার প্রথম কারণ, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন আসছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের ভূমিকা পালন করতে চান। দ্বিতীয় কারণ, একটা পুরোনো উদ্দেশ্য, যারা স্বাধীনতার লড়াই লড়েছে, তাদের বদনাম করা। দেশের জ্বলন্ত সমস্যার থেকে মানুষের নজর ঘোরানো।’
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মহাপুরুষদের অপমান করেছেন। সংবিধান সভাকে অপমান করেছেন। তিনি যত দিন প্রধানমন্ত্রী আছেন, তত দিন নেহরু জেলে ছিলেন। এরপর ১৭ বছর ধরে তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নেহরু দেশের জন্য বেঁচেছেন, দেশের সেবা করতে করতে মৃত্যু হয়েছে। এর থেকে ভালো হবে, স্পিকার সময় ঠিক করে দিন। যতক্ষণ তিনি শান্ত না হচ্ছেন, আমরা কথা বলব। নেহরু, ইন্দিরা, রাজীব, পরিবারবাদ নিয়ে তাঁর যা বলার একবারে বলে দিন। তারপর বিষয়টি ক্লোজ করুন। তারপর বেকারি, মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি নিয়ে কথা বলুন। নারীদের অবস্থা নিয়ে কথা বলুন।’
তৃণমূল সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘যখন বেকারি ২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, দিল্লিতে বায়ুদূষণের পরিমাণ ৮০০ ছাড়িয়েছে, বিরোধী রাজ্যগুলোতে ১০০ দিনের কাজ, গরিবদের জন্য বাড়ি ও জলের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না, যখন লাখ লাখ মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বিরোধীরা সংসদে জাতীয় বিষয়গুলো তুলতে পারছে না, তখন সরকার কেন বন্দে মাতরম নিয়ে আলোচনা এতটা জরুরি ও এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করল। দুই সপ্তাহ আগে রাজ্যসভার বুলেটিন বলেছে, বন্দে মাতরম, জয় হিন্দ ও অন্য স্লোগান দেওয়া যাবে না। সরকার মনে করছে বন্দে মাতরম স্লোগানও নন সিরিয়াস।’

ইসরায়েলি সামরিক সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, ইরানে পরিচালিত অভিযানের প্রথম দিক থেকেই পাইলটেরা দেশে ফেরার পথে অব্যবহৃত গোলাবারুদ গাজায় হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। আইডিএফের কমান্ডারেরা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে সহযোগিতা করেন।
০৩ জুলাই ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা ভবনে আগুন লেগে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ভবনটি একটি ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
১৬ মিনিট আগে
বিদ্রোহী জোটের ঝটিকা অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে দামেস্কের পতন হওয়ার পর এক বছর পূর্ণ হলো। তবে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে উল্লেখযোগ্যভাবে সামরিক অভিযান বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রধান বিমানবন্দর
২১ মিনিট আগে
পূর্ব ইউরোপের দেশ লিথুয়ানিয়ার আকাশে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশ থেকে চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত বেলুন বারবার ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছে ভিলনিয়াস। লিথুয়ানিয়া জানাচ্ছে, বেলারুশ থেকে আসা চোরাচালানের বেলুন আকাশপথে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তাই আজ মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
৩৭ মিনিট আগে