অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল গত শুক্রবার ইরানে আক্রমণ চালানোর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় সংঘাতের সূচনা করে। এরপর দুদিন ইরান খুব ছোট পরিসরে জবাব দিলেও তৃতীয় দিন থেকে ইসরায়েলের ওপর যেন স্রেফ নরক নামিয়ে এনেছে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র মুহুর্মুহু আঘাত হানছে ইসরায়েলি শহরগুলোতে। বেশির ভাগ বাসিন্দাকেই আশ্রয় নিতে হয়ে কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে।
ইরান এমনভাবে মারাত্মকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে—এমনটা বোধ হয় ইসরায়েলি নীতি নির্ধারকেরাও ভাবেননি। একই সঙ্গে, ইসরায়েলিদেরও সেই ভুল ভেঙে গেছে যে, তারা নিজ দেশে নিরাপদ। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সেই ভুল ভেঙে দিয়েছে। ইরানের হামলায় স্রেফ হতবিহ্বল ও ভীত হয়ে পড়েছেন ইসরায়েলিরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের জেরুজালেম প্রতিনিধি জেরেমি ডায়মন্ড ইরানি হামলার পর তেল আবিবের রাস্তায় ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেছেন। সেখানে উদ্ধারকারী ও সামরিক কর্মীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এমন দৃশ্য তৈরি হয়েছে।
এক নারী জানান, তিনি তাঁর বাড়ির ভূগর্ভস্থ বেসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং সেখান থেকেই হামলার ‘তীব্র অনুভব’ করেছেন। তিনি ডায়মন্ডকে বলেন, ‘আমরা খুব সাবধানে বেরিয়ে এসেছিলাম, কারণ আমরা ভীত ছিলাম।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা যখন হাঁটছিলাম, তখন ভবনগুলো ধসে পড়ছিল আমাদের চোখের সামনেই।’
ওই নারী বলেন, ‘বাতাসে ধোঁয়ার গন্ধ...আমাকে টি-শার্ট দিয়ে নাক ঢাকতে হয়েছিল। বেসমেন্টে বিষাক্ত নিশ্বাস নেওয়া থেকে বাঁচতে আমাদের খোলা রাস্তায় বেরিয়ে এসে হাঁটতে হয়েছে।’
ডায়মন্ড জানান, ঘটনাস্থলের কাছে একটি আবাসিক ভবন আংশিকভাবে ধসে পড়েছে এবং কয়েক ব্লক দূর থেকেও ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, অন্তত ১০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিপুল পরিমাণ মানুষ হামলার ক্ষয়ক্ষতি দেখতে বেরিয়ে এসেছিলেন এবং পরিবার ও বন্ধুরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। ইরানি হামলার ধাক্কা সেখানকার বাসিন্দাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ডায়মন্ড বলেন, ‘১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের পর থেকে তেল আবিব ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এত ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি আর কখনোই হয়নি। সেই সময় শহরটিতে স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারলে বর্তমান পরিস্থিত ‘অনেক বেশি মারাত্মক’ হতে পারত।
সিএনএনের এই সাংবাদিক বলেন, ‘এই হামলায় বেঁচে যাওয়া প্রতিটি মানুষ, যাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা আঘাতের মুহূর্তে কোনো না কোনো বোমা আশ্রয়কেন্দ্র বা ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন। এর কারণ হলো, ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টা আগে ইরান থেকে সম্ভাব্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।’
ইসরায়েল গত শুক্রবার ইরানে আক্রমণ চালানোর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় সংঘাতের সূচনা করে। এরপর দুদিন ইরান খুব ছোট পরিসরে জবাব দিলেও তৃতীয় দিন থেকে ইসরায়েলের ওপর যেন স্রেফ নরক নামিয়ে এনেছে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র মুহুর্মুহু আঘাত হানছে ইসরায়েলি শহরগুলোতে। বেশির ভাগ বাসিন্দাকেই আশ্রয় নিতে হয়ে কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে।
ইরান এমনভাবে মারাত্মকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে—এমনটা বোধ হয় ইসরায়েলি নীতি নির্ধারকেরাও ভাবেননি। একই সঙ্গে, ইসরায়েলিদেরও সেই ভুল ভেঙে গেছে যে, তারা নিজ দেশে নিরাপদ। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সেই ভুল ভেঙে দিয়েছে। ইরানের হামলায় স্রেফ হতবিহ্বল ও ভীত হয়ে পড়েছেন ইসরায়েলিরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের জেরুজালেম প্রতিনিধি জেরেমি ডায়মন্ড ইরানি হামলার পর তেল আবিবের রাস্তায় ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেছেন। সেখানে উদ্ধারকারী ও সামরিক কর্মীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এমন দৃশ্য তৈরি হয়েছে।
এক নারী জানান, তিনি তাঁর বাড়ির ভূগর্ভস্থ বেসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং সেখান থেকেই হামলার ‘তীব্র অনুভব’ করেছেন। তিনি ডায়মন্ডকে বলেন, ‘আমরা খুব সাবধানে বেরিয়ে এসেছিলাম, কারণ আমরা ভীত ছিলাম।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা যখন হাঁটছিলাম, তখন ভবনগুলো ধসে পড়ছিল আমাদের চোখের সামনেই।’
ওই নারী বলেন, ‘বাতাসে ধোঁয়ার গন্ধ...আমাকে টি-শার্ট দিয়ে নাক ঢাকতে হয়েছিল। বেসমেন্টে বিষাক্ত নিশ্বাস নেওয়া থেকে বাঁচতে আমাদের খোলা রাস্তায় বেরিয়ে এসে হাঁটতে হয়েছে।’
ডায়মন্ড জানান, ঘটনাস্থলের কাছে একটি আবাসিক ভবন আংশিকভাবে ধসে পড়েছে এবং কয়েক ব্লক দূর থেকেও ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, অন্তত ১০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিপুল পরিমাণ মানুষ হামলার ক্ষয়ক্ষতি দেখতে বেরিয়ে এসেছিলেন এবং পরিবার ও বন্ধুরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। ইরানি হামলার ধাক্কা সেখানকার বাসিন্দাদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ডায়মন্ড বলেন, ‘১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের পর থেকে তেল আবিব ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এত ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি আর কখনোই হয়নি। সেই সময় শহরটিতে স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারলে বর্তমান পরিস্থিত ‘অনেক বেশি মারাত্মক’ হতে পারত।
সিএনএনের এই সাংবাদিক বলেন, ‘এই হামলায় বেঁচে যাওয়া প্রতিটি মানুষ, যাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা আঘাতের মুহূর্তে কোনো না কোনো বোমা আশ্রয়কেন্দ্র বা ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন। এর কারণ হলো, ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কয়েক ঘণ্টা আগে ইরান থেকে সম্ভাব্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।’
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী ক্রমাগত মানুষ হত্যা করছে, অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। দখলদার এই বাহিনীর বর্বর কর্মকাণ্ডে পুরো গাজা এক মৃত্যু উপত্যকা হয়ে উঠেছে। ফিলিস্তিনি এই অঞ্চলটিতে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী বিগত পৌনে দুই বছরের বেশি সময় ধরে যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে তাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে।
১৬ মিনিট আগেমার্কিন বি-৫২ এইচ কৌশলগত বোমারু বিমান ও যুদ্ধবিমানের যৌথ মহড়া দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় এ মহড়া দেয় তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতা চুক্তি শক্তিশালী করায় নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার
৭ ঘণ্টা আগেএশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে একধরনের ‘শীতল যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তার থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক প্রতিশ্রুতি; প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুই পরাশক্তির লড়াই এখন আর গোপন কিছু নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে কেন্দ্র করে এই লড়াই ক্রমেই আরও স্পষ্ট হচ্ছে
৮ ঘণ্টা আগেতুরস্কের রাষ্ট্রবিরোধী লড়াইয়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে নিয়োজিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) যোদ্ধারা আজ শুক্রবার উত্তর ইরাকে একটি প্রতীকী অনুষ্ঠানে অস্ত্র সমর্পণ করেছেন। এই পদক্ষেপকে পিকেকের দীর্ঘ সশস্ত্র সংগ্রামের অবসান এবং শান্তিপূর্ণ রাজনীতির পথে যাত্রার প্রথম দৃশ্যমান পদক্ষেপ হিসেবে
৯ ঘণ্টা আগে