আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘ভূতের ভয়ে’ ভুগছেন এবং এ কারণে যত্রতত্র হামলা করে বেড়াচ্ছেন। আর সবকিছু জানার পরও মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদেশের প্রধানমন্ত্রীর লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ সিরিয়ায় হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনে নেতানিয়াহু ওরফে বিবির বিরুদ্ধে অসন্তোষ বেড়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ইসরায়েল বারবার সিরিয়ার ভেতরে হামলা চালিয়ে দেশটিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে এবং ইসরায়েল-সিরিয়া নিরাপত্তা চুক্তির সম্ভাবনাকে দুর্বল করছে বলে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাক্সিওসকে এসব কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁদের একজন নেতানিয়াহুর ডাকনাম উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা বিবিকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে তাঁকে এটা থামাতে হবে। এটা যদি চলতেই থাকে, তবে সে নিজেই নিজের ক্ষতি ডেকে আনবে।’
সিরিয়াকে স্থিতিশীল করতে প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা এবং তাঁকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য কৌশলের মূল লক্ষ্যগুলোর একটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর দল বারবার সিরিয়ার সরকারের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন, বিশেষ করে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো বিরোধ দেখা দিলে। মধ্যপ্রাচ্যে এই ধরনের অবস্থান শুধু সিরিয়ার ক্ষেত্রেই দেখা গেছে।
গত রোববার ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে আল-শারার প্রতি সমর্থন জানিয়ে লেখেন, ‘সিরিয়ার সঙ্গে দৃঢ় ও সত্যি কথনভিত্তিক আলোচনায় থাকা এবং সিরিয়ার সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে উত্তরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এমন কিছু না করা থেকে বিরত থাকা ইসরায়েলের জন্য অত্যন্ত জরুরি।’
মার্কিন কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানান, তাঁদের মতে নেতানিয়াহু অত্যন্ত ক্ষতিকর হস্তক্ষেপ করছেন। তিনি সীমান্তের ওপারে সিরিয়ার ভেতর বহুবার সামরিক অভিযান চালিয়েছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতেও। গত শুক্রবার সিরিয়ার ভেতরে প্রায় ১০ মাইল ঢুকে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সন্দেহভাজন কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করার পর অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে ছয় ইসরায়েলি সেনা আহত হয়।
সেখানে থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে গিয়ে আইডিএফ যে বিমান হামলা চালায়, তাতে ১৩ জন সিরিয়ান নিহত হয়, তাদের বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক। এই অভিযান ও বিমান হামলা সিরিয়ার সেই অংশে হয়েছে, যা আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরায়েল দখলে রেখেছে তার বাইরেও। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সিরিয়ার সরকার, দেশজুড়ে প্রতিশোধ নেওয়ার দাবিও ওঠে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘সিরিয়ানরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। নিজেদের নাগরিক নিহত হওয়ায় জনগোষ্ঠীই প্রতিশোধ চাইছিল।’ মার্কিন কর্মকর্তারা অ্যাক্সিওসকে বলেন, হোয়াইট হাউসকে আগে থেকে জানানো হয়নি এই অভিযানের ব্যাপারে। আগের মতো সিরিয়াকেও ইসরায়েলি সামরিক চ্যানেল দিয়ে সতর্ক করা হয়নি।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দাবি করেন, আটক সন্দেহভাজনরা হামাস ও হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠীর সদস্য এবং তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছিল। ইসরায়েল নাকি গোয়েন্দা চ্যানেলের মাধ্যমে সিরিয়াকে জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে কাজ করা মার্কিন কর্মকর্তারা বহু মাস ধরেই নেতানিয়াহুর ‘আগে গুলি, পরে প্রশ্ন’ নীতির প্রতি ক্ষুব্ধ।
এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘সিরিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে ঝামেলা চায় না। এটা লেবানন নয়।’ তিনি সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়া ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলার পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, ‘কিন্তু বিবি যেন সর্বত্র ভূত দেখছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিবিকে বলছি তাকে এটা থামাতে হবে। এটা চললে সে নিজেদের বিশাল কূটনৈতিক সুযোগ হারাবে এবং নতুন সিরিয়ান সরকারকে শত্রুতে পরিণত করবে।’
এ প্রথম নয় যে এমন অসন্তোষ প্রকাশিত হলো। গত জুনে দামেস্কে ইসরায়েলের দুঃসাহসী হামলার পর হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেন, ‘বিবি পাগল হয়ে যেতেন। তিনি সব সময়ই, সর্বত্র, সবকিছুতে বোমা মারেন। এতে ট্রাম্প যা করতে চাইছেন সব নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’
সাবেক আল-কায়েদা কমান্ডার আল-শারাকে ট্রাম্পের উষ্ণ আমন্ত্রণ ইসরায়েলকে উদ্বিগ্ন করেছে। গত মে মাসে সৌদি আরবে ট্রাম্প যখন আল-শারার সঙ্গে প্রথম দেখা করেন, তখনই ইসরায়েল এতে হতবাক হয়। চলতি মাসে ঐতিহাসিক ওভাল অফিস বৈঠকে তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতাও ইসরায়েলকে অস্বস্তিতে ফেলে।
এ ছাড়া সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইসরায়েল-সিরিয়া নিরাপত্তা চুক্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেও তা খুবই সতর্কভাবে এবং সর্বোচ্চ দাবি তুলে ধরে করেছে। দুই মার্কিন কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে জানান, নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক পদক্ষেপে এখন এই চুক্তির কাজে আংশিক বিঘ্ন ঘটেছে। ওয়াশিংটনের আশা ছিল, এ চুক্তিই পরে সিরিয়ার আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের প্রথম ধাপ হবে।
শুক্রবারের ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়াবিষয়ক দূত টম বারাক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা তাঁদের ইসরায়েলি সমকক্ষদের সঙ্গে এ নিয়ে টানটান আলোচনা চালাচ্ছেন। ঝামেলা আরও বাড়তে না দেওয়ার জন্য মার্কিন কর্মকর্তারা সিরিয়ানদের সঙ্গেও একই ধরনের আলোচনা করেছেন। রোববার বারাক দামেস্কে আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, রন ডারমার পদত্যাগের পর ইসরায়েল সরকারের মধ্যে এখন সিরিয়া ইস্যুটি কার হাতে তা পরিষ্কার নয়। রোববার ট্রাম্প আবারও প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে আল-শারার প্রশংসা করেন এবং ইসরায়েলকে সতর্ক করেন। এই পোস্টের পরই ট্রাম্প নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে শুধু বলা হয়, ট্রাম্প তাঁকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, সিরিয়া নিয়ে কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘ভূতের ভয়ে’ ভুগছেন এবং এ কারণে যত্রতত্র হামলা করে বেড়াচ্ছেন। আর সবকিছু জানার পরও মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদেশের প্রধানমন্ত্রীর লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ সিরিয়ায় হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনে নেতানিয়াহু ওরফে বিবির বিরুদ্ধে অসন্তোষ বেড়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ইসরায়েল বারবার সিরিয়ার ভেতরে হামলা চালিয়ে দেশটিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে এবং ইসরায়েল-সিরিয়া নিরাপত্তা চুক্তির সম্ভাবনাকে দুর্বল করছে বলে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাক্সিওসকে এসব কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁদের একজন নেতানিয়াহুর ডাকনাম উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা বিবিকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে তাঁকে এটা থামাতে হবে। এটা যদি চলতেই থাকে, তবে সে নিজেই নিজের ক্ষতি ডেকে আনবে।’
সিরিয়াকে স্থিতিশীল করতে প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা এবং তাঁকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য কৌশলের মূল লক্ষ্যগুলোর একটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর দল বারবার সিরিয়ার সরকারের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন, বিশেষ করে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো বিরোধ দেখা দিলে। মধ্যপ্রাচ্যে এই ধরনের অবস্থান শুধু সিরিয়ার ক্ষেত্রেই দেখা গেছে।
গত রোববার ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে আল-শারার প্রতি সমর্থন জানিয়ে লেখেন, ‘সিরিয়ার সঙ্গে দৃঢ় ও সত্যি কথনভিত্তিক আলোচনায় থাকা এবং সিরিয়ার সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে উত্তরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এমন কিছু না করা থেকে বিরত থাকা ইসরায়েলের জন্য অত্যন্ত জরুরি।’
মার্কিন কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানান, তাঁদের মতে নেতানিয়াহু অত্যন্ত ক্ষতিকর হস্তক্ষেপ করছেন। তিনি সীমান্তের ওপারে সিরিয়ার ভেতর বহুবার সামরিক অভিযান চালিয়েছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতেও। গত শুক্রবার সিরিয়ার ভেতরে প্রায় ১০ মাইল ঢুকে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সন্দেহভাজন কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করার পর অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে ছয় ইসরায়েলি সেনা আহত হয়।
সেখানে থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে গিয়ে আইডিএফ যে বিমান হামলা চালায়, তাতে ১৩ জন সিরিয়ান নিহত হয়, তাদের বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক। এই অভিযান ও বিমান হামলা সিরিয়ার সেই অংশে হয়েছে, যা আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরায়েল দখলে রেখেছে তার বাইরেও। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সিরিয়ার সরকার, দেশজুড়ে প্রতিশোধ নেওয়ার দাবিও ওঠে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘সিরিয়ানরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। নিজেদের নাগরিক নিহত হওয়ায় জনগোষ্ঠীই প্রতিশোধ চাইছিল।’ মার্কিন কর্মকর্তারা অ্যাক্সিওসকে বলেন, হোয়াইট হাউসকে আগে থেকে জানানো হয়নি এই অভিযানের ব্যাপারে। আগের মতো সিরিয়াকেও ইসরায়েলি সামরিক চ্যানেল দিয়ে সতর্ক করা হয়নি।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দাবি করেন, আটক সন্দেহভাজনরা হামাস ও হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠীর সদস্য এবং তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছিল। ইসরায়েল নাকি গোয়েন্দা চ্যানেলের মাধ্যমে সিরিয়াকে জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে কাজ করা মার্কিন কর্মকর্তারা বহু মাস ধরেই নেতানিয়াহুর ‘আগে গুলি, পরে প্রশ্ন’ নীতির প্রতি ক্ষুব্ধ।
এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘সিরিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে ঝামেলা চায় না। এটা লেবানন নয়।’ তিনি সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়া ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলার পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, ‘কিন্তু বিবি যেন সর্বত্র ভূত দেখছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিবিকে বলছি তাকে এটা থামাতে হবে। এটা চললে সে নিজেদের বিশাল কূটনৈতিক সুযোগ হারাবে এবং নতুন সিরিয়ান সরকারকে শত্রুতে পরিণত করবে।’
এ প্রথম নয় যে এমন অসন্তোষ প্রকাশিত হলো। গত জুনে দামেস্কে ইসরায়েলের দুঃসাহসী হামলার পর হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেন, ‘বিবি পাগল হয়ে যেতেন। তিনি সব সময়ই, সর্বত্র, সবকিছুতে বোমা মারেন। এতে ট্রাম্প যা করতে চাইছেন সব নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’
সাবেক আল-কায়েদা কমান্ডার আল-শারাকে ট্রাম্পের উষ্ণ আমন্ত্রণ ইসরায়েলকে উদ্বিগ্ন করেছে। গত মে মাসে সৌদি আরবে ট্রাম্প যখন আল-শারার সঙ্গে প্রথম দেখা করেন, তখনই ইসরায়েল এতে হতবাক হয়। চলতি মাসে ঐতিহাসিক ওভাল অফিস বৈঠকে তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতাও ইসরায়েলকে অস্বস্তিতে ফেলে।
এ ছাড়া সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইসরায়েল-সিরিয়া নিরাপত্তা চুক্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেও তা খুবই সতর্কভাবে এবং সর্বোচ্চ দাবি তুলে ধরে করেছে। দুই মার্কিন কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে জানান, নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক পদক্ষেপে এখন এই চুক্তির কাজে আংশিক বিঘ্ন ঘটেছে। ওয়াশিংটনের আশা ছিল, এ চুক্তিই পরে সিরিয়ার আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের প্রথম ধাপ হবে।
শুক্রবারের ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়াবিষয়ক দূত টম বারাক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা তাঁদের ইসরায়েলি সমকক্ষদের সঙ্গে এ নিয়ে টানটান আলোচনা চালাচ্ছেন। ঝামেলা আরও বাড়তে না দেওয়ার জন্য মার্কিন কর্মকর্তারা সিরিয়ানদের সঙ্গেও একই ধরনের আলোচনা করেছেন। রোববার বারাক দামেস্কে আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, রন ডারমার পদত্যাগের পর ইসরায়েল সরকারের মধ্যে এখন সিরিয়া ইস্যুটি কার হাতে তা পরিষ্কার নয়। রোববার ট্রাম্প আবারও প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে আল-শারার প্রশংসা করেন এবং ইসরায়েলকে সতর্ক করেন। এই পোস্টের পরই ট্রাম্প নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে শুধু বলা হয়, ট্রাম্প তাঁকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, সিরিয়া নিয়ে কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘ভূতের ভয়ে’ ভুগছেন এবং এ কারণে যত্রতত্র হামলা করে বেড়াচ্ছেন। আর সবকিছু জানার পরও মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদেশের প্রধানমন্ত্রীর লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ সিরিয়ায় হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনে নেতানিয়াহু ওরফে বিবির বিরুদ্ধে অসন্তোষ বেড়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ইসরায়েল বারবার সিরিয়ার ভেতরে হামলা চালিয়ে দেশটিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে এবং ইসরায়েল-সিরিয়া নিরাপত্তা চুক্তির সম্ভাবনাকে দুর্বল করছে বলে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাক্সিওসকে এসব কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁদের একজন নেতানিয়াহুর ডাকনাম উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা বিবিকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে তাঁকে এটা থামাতে হবে। এটা যদি চলতেই থাকে, তবে সে নিজেই নিজের ক্ষতি ডেকে আনবে।’
সিরিয়াকে স্থিতিশীল করতে প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা এবং তাঁকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য কৌশলের মূল লক্ষ্যগুলোর একটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর দল বারবার সিরিয়ার সরকারের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন, বিশেষ করে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো বিরোধ দেখা দিলে। মধ্যপ্রাচ্যে এই ধরনের অবস্থান শুধু সিরিয়ার ক্ষেত্রেই দেখা গেছে।
গত রোববার ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে আল-শারার প্রতি সমর্থন জানিয়ে লেখেন, ‘সিরিয়ার সঙ্গে দৃঢ় ও সত্যি কথনভিত্তিক আলোচনায় থাকা এবং সিরিয়ার সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে উত্তরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এমন কিছু না করা থেকে বিরত থাকা ইসরায়েলের জন্য অত্যন্ত জরুরি।’
মার্কিন কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানান, তাঁদের মতে নেতানিয়াহু অত্যন্ত ক্ষতিকর হস্তক্ষেপ করছেন। তিনি সীমান্তের ওপারে সিরিয়ার ভেতর বহুবার সামরিক অভিযান চালিয়েছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতেও। গত শুক্রবার সিরিয়ার ভেতরে প্রায় ১০ মাইল ঢুকে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সন্দেহভাজন কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করার পর অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে ছয় ইসরায়েলি সেনা আহত হয়।
সেখানে থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে গিয়ে আইডিএফ যে বিমান হামলা চালায়, তাতে ১৩ জন সিরিয়ান নিহত হয়, তাদের বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক। এই অভিযান ও বিমান হামলা সিরিয়ার সেই অংশে হয়েছে, যা আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরায়েল দখলে রেখেছে তার বাইরেও। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সিরিয়ার সরকার, দেশজুড়ে প্রতিশোধ নেওয়ার দাবিও ওঠে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘সিরিয়ানরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। নিজেদের নাগরিক নিহত হওয়ায় জনগোষ্ঠীই প্রতিশোধ চাইছিল।’ মার্কিন কর্মকর্তারা অ্যাক্সিওসকে বলেন, হোয়াইট হাউসকে আগে থেকে জানানো হয়নি এই অভিযানের ব্যাপারে। আগের মতো সিরিয়াকেও ইসরায়েলি সামরিক চ্যানেল দিয়ে সতর্ক করা হয়নি।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দাবি করেন, আটক সন্দেহভাজনরা হামাস ও হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠীর সদস্য এবং তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছিল। ইসরায়েল নাকি গোয়েন্দা চ্যানেলের মাধ্যমে সিরিয়াকে জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে কাজ করা মার্কিন কর্মকর্তারা বহু মাস ধরেই নেতানিয়াহুর ‘আগে গুলি, পরে প্রশ্ন’ নীতির প্রতি ক্ষুব্ধ।
এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘সিরিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে ঝামেলা চায় না। এটা লেবানন নয়।’ তিনি সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়া ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলার পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, ‘কিন্তু বিবি যেন সর্বত্র ভূত দেখছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিবিকে বলছি তাকে এটা থামাতে হবে। এটা চললে সে নিজেদের বিশাল কূটনৈতিক সুযোগ হারাবে এবং নতুন সিরিয়ান সরকারকে শত্রুতে পরিণত করবে।’
এ প্রথম নয় যে এমন অসন্তোষ প্রকাশিত হলো। গত জুনে দামেস্কে ইসরায়েলের দুঃসাহসী হামলার পর হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেন, ‘বিবি পাগল হয়ে যেতেন। তিনি সব সময়ই, সর্বত্র, সবকিছুতে বোমা মারেন। এতে ট্রাম্প যা করতে চাইছেন সব নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’
সাবেক আল-কায়েদা কমান্ডার আল-শারাকে ট্রাম্পের উষ্ণ আমন্ত্রণ ইসরায়েলকে উদ্বিগ্ন করেছে। গত মে মাসে সৌদি আরবে ট্রাম্প যখন আল-শারার সঙ্গে প্রথম দেখা করেন, তখনই ইসরায়েল এতে হতবাক হয়। চলতি মাসে ঐতিহাসিক ওভাল অফিস বৈঠকে তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতাও ইসরায়েলকে অস্বস্তিতে ফেলে।
এ ছাড়া সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইসরায়েল-সিরিয়া নিরাপত্তা চুক্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেও তা খুবই সতর্কভাবে এবং সর্বোচ্চ দাবি তুলে ধরে করেছে। দুই মার্কিন কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে জানান, নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক পদক্ষেপে এখন এই চুক্তির কাজে আংশিক বিঘ্ন ঘটেছে। ওয়াশিংটনের আশা ছিল, এ চুক্তিই পরে সিরিয়ার আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের প্রথম ধাপ হবে।
শুক্রবারের ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়াবিষয়ক দূত টম বারাক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা তাঁদের ইসরায়েলি সমকক্ষদের সঙ্গে এ নিয়ে টানটান আলোচনা চালাচ্ছেন। ঝামেলা আরও বাড়তে না দেওয়ার জন্য মার্কিন কর্মকর্তারা সিরিয়ানদের সঙ্গেও একই ধরনের আলোচনা করেছেন। রোববার বারাক দামেস্কে আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, রন ডারমার পদত্যাগের পর ইসরায়েল সরকারের মধ্যে এখন সিরিয়া ইস্যুটি কার হাতে তা পরিষ্কার নয়। রোববার ট্রাম্প আবারও প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে আল-শারার প্রশংসা করেন এবং ইসরায়েলকে সতর্ক করেন। এই পোস্টের পরই ট্রাম্প নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে শুধু বলা হয়, ট্রাম্প তাঁকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, সিরিয়া নিয়ে কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘ভূতের ভয়ে’ ভুগছেন এবং এ কারণে যত্রতত্র হামলা করে বেড়াচ্ছেন। আর সবকিছু জানার পরও মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদেশের প্রধানমন্ত্রীর লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ সিরিয়ায় হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনে নেতানিয়াহু ওরফে বিবির বিরুদ্ধে অসন্তোষ বেড়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ইসরায়েল বারবার সিরিয়ার ভেতরে হামলা চালিয়ে দেশটিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে এবং ইসরায়েল-সিরিয়া নিরাপত্তা চুক্তির সম্ভাবনাকে দুর্বল করছে বলে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাক্সিওসকে এসব কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁদের একজন নেতানিয়াহুর ডাকনাম উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা বিবিকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে তাঁকে এটা থামাতে হবে। এটা যদি চলতেই থাকে, তবে সে নিজেই নিজের ক্ষতি ডেকে আনবে।’
সিরিয়াকে স্থিতিশীল করতে প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করা এবং তাঁকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য কৌশলের মূল লক্ষ্যগুলোর একটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর দল বারবার সিরিয়ার সরকারের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন, বিশেষ করে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো বিরোধ দেখা দিলে। মধ্যপ্রাচ্যে এই ধরনের অবস্থান শুধু সিরিয়ার ক্ষেত্রেই দেখা গেছে।
গত রোববার ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে আল-শারার প্রতি সমর্থন জানিয়ে লেখেন, ‘সিরিয়ার সঙ্গে দৃঢ় ও সত্যি কথনভিত্তিক আলোচনায় থাকা এবং সিরিয়ার সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে উত্তরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এমন কিছু না করা থেকে বিরত থাকা ইসরায়েলের জন্য অত্যন্ত জরুরি।’
মার্কিন কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানান, তাঁদের মতে নেতানিয়াহু অত্যন্ত ক্ষতিকর হস্তক্ষেপ করছেন। তিনি সীমান্তের ওপারে সিরিয়ার ভেতর বহুবার সামরিক অভিযান চালিয়েছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতেও। গত শুক্রবার সিরিয়ার ভেতরে প্রায় ১০ মাইল ঢুকে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সন্দেহভাজন কয়েকজন যোদ্ধাকে আটক করার পর অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে ছয় ইসরায়েলি সেনা আহত হয়।
সেখানে থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধার করতে গিয়ে আইডিএফ যে বিমান হামলা চালায়, তাতে ১৩ জন সিরিয়ান নিহত হয়, তাদের বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক। এই অভিযান ও বিমান হামলা সিরিয়ার সেই অংশে হয়েছে, যা আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরায়েল দখলে রেখেছে তার বাইরেও। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সিরিয়ার সরকার, দেশজুড়ে প্রতিশোধ নেওয়ার দাবিও ওঠে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘সিরিয়ানরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। নিজেদের নাগরিক নিহত হওয়ায় জনগোষ্ঠীই প্রতিশোধ চাইছিল।’ মার্কিন কর্মকর্তারা অ্যাক্সিওসকে বলেন, হোয়াইট হাউসকে আগে থেকে জানানো হয়নি এই অভিযানের ব্যাপারে। আগের মতো সিরিয়াকেও ইসরায়েলি সামরিক চ্যানেল দিয়ে সতর্ক করা হয়নি।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দাবি করেন, আটক সন্দেহভাজনরা হামাস ও হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্ট একটি গোষ্ঠীর সদস্য এবং তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছিল। ইসরায়েল নাকি গোয়েন্দা চ্যানেলের মাধ্যমে সিরিয়াকে জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে কাজ করা মার্কিন কর্মকর্তারা বহু মাস ধরেই নেতানিয়াহুর ‘আগে গুলি, পরে প্রশ্ন’ নীতির প্রতি ক্ষুব্ধ।
এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘সিরিয়া ইসরায়েলের সঙ্গে ঝামেলা চায় না। এটা লেবানন নয়।’ তিনি সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়া ও লেবাননে ইসরায়েলের হামলার পার্থক্য তুলে ধরে বলেন, ‘কিন্তু বিবি যেন সর্বত্র ভূত দেখছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিবিকে বলছি তাকে এটা থামাতে হবে। এটা চললে সে নিজেদের বিশাল কূটনৈতিক সুযোগ হারাবে এবং নতুন সিরিয়ান সরকারকে শত্রুতে পরিণত করবে।’
এ প্রথম নয় যে এমন অসন্তোষ প্রকাশিত হলো। গত জুনে দামেস্কে ইসরায়েলের দুঃসাহসী হামলার পর হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেন, ‘বিবি পাগল হয়ে যেতেন। তিনি সব সময়ই, সর্বত্র, সবকিছুতে বোমা মারেন। এতে ট্রাম্প যা করতে চাইছেন সব নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’
সাবেক আল-কায়েদা কমান্ডার আল-শারাকে ট্রাম্পের উষ্ণ আমন্ত্রণ ইসরায়েলকে উদ্বিগ্ন করেছে। গত মে মাসে সৌদি আরবে ট্রাম্প যখন আল-শারার সঙ্গে প্রথম দেখা করেন, তখনই ইসরায়েল এতে হতবাক হয়। চলতি মাসে ঐতিহাসিক ওভাল অফিস বৈঠকে তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতাও ইসরায়েলকে অস্বস্তিতে ফেলে।
এ ছাড়া সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইসরায়েল-সিরিয়া নিরাপত্তা চুক্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেও তা খুবই সতর্কভাবে এবং সর্বোচ্চ দাবি তুলে ধরে করেছে। দুই মার্কিন কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে জানান, নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক পদক্ষেপে এখন এই চুক্তির কাজে আংশিক বিঘ্ন ঘটেছে। ওয়াশিংটনের আশা ছিল, এ চুক্তিই পরে সিরিয়ার আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের প্রথম ধাপ হবে।
শুক্রবারের ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়াবিষয়ক দূত টম বারাক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা তাঁদের ইসরায়েলি সমকক্ষদের সঙ্গে এ নিয়ে টানটান আলোচনা চালাচ্ছেন। ঝামেলা আরও বাড়তে না দেওয়ার জন্য মার্কিন কর্মকর্তারা সিরিয়ানদের সঙ্গেও একই ধরনের আলোচনা করেছেন। রোববার বারাক দামেস্কে আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, রন ডারমার পদত্যাগের পর ইসরায়েল সরকারের মধ্যে এখন সিরিয়া ইস্যুটি কার হাতে তা পরিষ্কার নয়। রোববার ট্রাম্প আবারও প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে আল-শারার প্রশংসা করেন এবং ইসরায়েলকে সতর্ক করেন। এই পোস্টের পরই ট্রাম্প নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেন। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে শুধু বলা হয়, ট্রাম্প তাঁকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, সিরিয়া নিয়ে কোনো কথা উল্লেখ করা হয়নি।

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
৩ মিনিট আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর বা সহযোগী হিসাবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুঈন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও, এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসাবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে, যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে, আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে, তাঁর মৃত্য ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসাবে কাজ করে যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএল-এর সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিশরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সর্বদা একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন এমনকি, ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে অবস্থিত পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে, তার সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন যে, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন যারা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তার গোষ্ঠী তাদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এরপর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলি আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসাবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি—এমনকি যারা হামাসের বিরোধী—আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তার ভাগ্য ক্রমশ নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল।

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর বা সহযোগী হিসাবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুঈন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও, এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসাবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে, যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে, আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে, তাঁর মৃত্য ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসাবে কাজ করে যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএল-এর সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিশরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সর্বদা একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন এমনকি, ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে অবস্থিত পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে, তার সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন যে, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন যারা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তার গোষ্ঠী তাদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এরপর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলি আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসাবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি—এমনকি যারা হামাসের বিরোধী—আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত, যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তার ভাগ্য ক্রমশ নিশ্চিত বলেই মনে হচ্ছিল।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘ভূতের ভয়ে’ ভুগছেন এবং এ কারণে যত্রতত্র হামলা করে বেড়াচ্ছেন। আর সবকিছু জানার পরও মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদেশের প্রধানমন্ত্রীর লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ সিরিয়ায় হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনে নেতানিয়াহু ওরফে বিবির
৩ দিন আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ যুদ্ধ ও ব্যাপক অভিবাসনের কারণে ইউক্রেন ভয়াবহ জনসংখ্যার সংকটে পড়েছে। দেশটির সামনে এখন বড় প্রশ্ন—মানুষই যদি না থাকে, তাহলে যুদ্ধ শেষ হলে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেবে কারা?
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ হওয়ার কথা ছিল।’
২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের আগে ইউক্রেনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। বর্তমানে তা কমে ৩ কোটি ৬০ লাখের নিচে নেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৫১ সালে দেশটির জনসংখ্যা মাত্র আড়াই কোটিতে নেমে আসতে পারে।
এদিকে বিভিন্ন জরিপে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে এখন একেকটি জন্মের বিপরীতে মৃত্যু হচ্ছে তিনটি। এই মুহূর্তে এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অনুপাত। যুদ্ধের কারণে দেশটির পুরুষদের গড় আয়ু এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭.৩ বছর। নারীদের ক্ষেত্রেও তা ৭৪.৪ থেকে নেমে ৭০.৯ বছরে এসেছে।
হশচা অঞ্চলে এখন স্মৃতি হয়ে আছে বহু তরুণ ও পুরুষের ছবি, যাঁরা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এই অঞ্চলের ১৪১ জন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠাচ্ছে। স্কুলগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। হশচার কাছাকাছি সাদোভে গ্রামে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৯ জনে নেমে আসায় স্কুল বন্ধ করতে হয়েছে।
যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন ও প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের লাখো কর্মীর প্রয়োজন হবে। তাই সরকার ২০৪০ সাল পর্যন্ত একটি জনসংখ্যা পুনর্গঠন পরিকল্পনা করেছে। এতে অভিবাসন কমানো, বিদেশে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা এবং প্রয়োজনে বিদেশি শ্রমিক আকৃষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—যদি বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তবে ২০৪০ সালেও জনসংখ্যা ২ কোটি ৯০ লাখের নিচে নেমে আসতে পারে।

অস্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাই এখন ইউক্রেনে পরিবার গঠনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হশচার ২১ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া বলেন, ‘এখন পরিবার শুরু করা মানে অস্থির ভবিষ্যৎ। ঘরবাড়ির খরচ বেড়েছে, পরিকল্পনা করা অসম্ভব হয়ে গেছে।’
তবুও সন্তান এক ধরনের আশার প্রতীক। স্থানীয় কর্মকর্তা আনাস্তাসিয়া তাবেকোভা স্বামী যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা অবস্থায়ই সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম, আমি গর্ভবতী, তার কয়েক দিন পরই আমার স্বামীকে ডাকা হয়েছিল।’
আনাস্তাসিয়া আরও বলেন, ‘আমি অনেক স্ত্রীকে জানি যাদের স্বামীরা লড়াই করছে। আমি এমন স্ত্রীদের জানি যাদের স্বামীরা দুর্ভাগ্যবশত আর আমাদের মাঝে নেই। তাদের কেউ কেউ এখন থেরাপিতে আছে, কারও কারও কাছে তাদের সন্তানেরাই আনন্দের মুহূর্ত, হাল না ছাড়ার কারণ।’
ইউক্রেনের এই জনসংখ্যা সংকট এখন শুধু পরিসংখ্যান নয়—এটি যুদ্ধের দীর্ঘ ছায়া, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও তাড়া করে ফিরবে।

দীর্ঘ যুদ্ধ ও ব্যাপক অভিবাসনের কারণে ইউক্রেন ভয়াবহ জনসংখ্যার সংকটে পড়েছে। দেশটির সামনে এখন বড় প্রশ্ন—মানুষই যদি না থাকে, তাহলে যুদ্ধ শেষ হলে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেবে কারা?
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ হওয়ার কথা ছিল।’
২০২২ সালে রাশিয়ার আক্রমণের আগে ইউক্রেনের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ। বর্তমানে তা কমে ৩ কোটি ৬০ লাখের নিচে নেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৫১ সালে দেশটির জনসংখ্যা মাত্র আড়াই কোটিতে নেমে আসতে পারে।
এদিকে বিভিন্ন জরিপে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে এখন একেকটি জন্মের বিপরীতে মৃত্যু হচ্ছে তিনটি। এই মুহূর্তে এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ অনুপাত। যুদ্ধের কারণে দেশটির পুরুষদের গড় আয়ু এখন কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫৭.৩ বছর। নারীদের ক্ষেত্রেও তা ৭৪.৪ থেকে নেমে ৭০.৯ বছরে এসেছে।
হশচা অঞ্চলে এখন স্মৃতি হয়ে আছে বহু তরুণ ও পুরুষের ছবি, যাঁরা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এই অঞ্চলের ১৪১ জন যুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
এদিকে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পরিবার তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠাচ্ছে। স্কুলগুলো খালি হয়ে যাচ্ছে। হশচার কাছাকাছি সাদোভে গ্রামে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ৯ জনে নেমে আসায় স্কুল বন্ধ করতে হয়েছে।
যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠন ও প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের লাখো কর্মীর প্রয়োজন হবে। তাই সরকার ২০৪০ সাল পর্যন্ত একটি জনসংখ্যা পুনর্গঠন পরিকল্পনা করেছে। এতে অভিবাসন কমানো, বিদেশে থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা এবং প্রয়োজনে বিদেশি শ্রমিক আকৃষ্ট করার কথা বলা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—যদি বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তবে ২০৪০ সালেও জনসংখ্যা ২ কোটি ৯০ লাখের নিচে নেমে আসতে পারে।

অস্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাই এখন ইউক্রেনে পরিবার গঠনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হশচার ২১ বছর বয়সী আনাস্তাসিয়া বলেন, ‘এখন পরিবার শুরু করা মানে অস্থির ভবিষ্যৎ। ঘরবাড়ির খরচ বেড়েছে, পরিকল্পনা করা অসম্ভব হয়ে গেছে।’
তবুও সন্তান এক ধরনের আশার প্রতীক। স্থানীয় কর্মকর্তা আনাস্তাসিয়া তাবেকোভা স্বামী যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা অবস্থায়ই সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন জানতে পারলাম, আমি গর্ভবতী, তার কয়েক দিন পরই আমার স্বামীকে ডাকা হয়েছিল।’
আনাস্তাসিয়া আরও বলেন, ‘আমি অনেক স্ত্রীকে জানি যাদের স্বামীরা লড়াই করছে। আমি এমন স্ত্রীদের জানি যাদের স্বামীরা দুর্ভাগ্যবশত আর আমাদের মাঝে নেই। তাদের কেউ কেউ এখন থেরাপিতে আছে, কারও কারও কাছে তাদের সন্তানেরাই আনন্দের মুহূর্ত, হাল না ছাড়ার কারণ।’
ইউক্রেনের এই জনসংখ্যা সংকট এখন শুধু পরিসংখ্যান নয়—এটি যুদ্ধের দীর্ঘ ছায়া, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও তাড়া করে ফিরবে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘ভূতের ভয়ে’ ভুগছেন এবং এ কারণে যত্রতত্র হামলা করে বেড়াচ্ছেন। আর সবকিছু জানার পরও মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদেশের প্রধানমন্ত্রীর লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ সিরিয়ায় হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনে নেতানিয়াহু ওরফে বিবির
৩ দিন আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
৩ মিনিট আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। গত সেপ্টেম্বরে কার্যকর হয় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভিসা কমপ্লায়েন্স নীতি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভিসা স্পনসর করতে হলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিবছর ‘বেসিক কমপ্লায়েন্স অ্যাসেসমেন্ট’ (বিসিএ) নামের একটি মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হয়। এই মূল্যায়নে তিনটি সূচক দেখা হয়। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার, যুক্তরাজ্যে এসে কোর্সে উপস্থিত না হওয়া এবং মাঝপথে কোর্স ত্যাগের হার।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যেন মোট ভিসা আবেদনকারীর ৫ শতাংশের বেশি প্রত্যাখ্যাত না হয়। ইতিপূর্বে এই হার ছিল ১০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ১৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তা ২২ শতাংশ, যা নতুন সীমা থেকে অনেক বেশি।
এই কারণে অন্তত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এই দুই দেশ থেকে শিক্ষার্থী নিয়োগ স্থগিত বা কমিয়ে দিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার পাকিস্তান থেকে ভর্তি ২০২৬ সালের শরৎকাল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। ওভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—দুই দেশ থেকেই স্নাতক পর্যায়ের আবেদন বন্ধ করেছে। সান্ডারল্যান্ড এবং কোভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এটি শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার ‘বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’।
গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান, অক্সফোর্ড ব্রুকস, ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারসহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নিয়োগ নীতিতে সাময়িক পরিবর্তন এনেছে। বেশির ভাগের দাবি, ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সময়, ভুয়া আবেদন ও নিয়ম লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতেই এই সিদ্ধান্ত।
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক সংস্কারের লক্ষ্য হলো ভুয়া আবেদন প্রতিরোধ এবং মোট অভিবাসন কমানো। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা শিক্ষার্থী ভিসাধারীদের মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন বেড়েছে, যা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দেশটির শিক্ষা উপদেষ্টা মরিয়ম আব্বাস এই সিদ্ধান্তকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দাবি, প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা শেষ সময়ে আবেদন বাতিলের কারণে বিপাকে পড়ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু বিদেশি শিক্ষা এজেন্ট শুধু কমিশনের ভিত্তিতে ভর্তি করাতে আগ্রহী, যা ভুয়া আবেদন বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্ন টিউশন ফি নির্ভর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না। ফলে এই নীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হতে পারে গুরুতর।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র অফিস জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব বোঝে। তবে একই সঙ্গে নিশ্চিত করতে চায়, যারা যুক্তরাজ্যে যাবে—তারা যেন প্রকৃত ও যোগ্য শিক্ষার্থী হন।

যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। গত সেপ্টেম্বরে কার্যকর হয় যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভিসা কমপ্লায়েন্স নীতি। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভিসা স্পনসর করতে হলে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিবছর ‘বেসিক কমপ্লায়েন্স অ্যাসেসমেন্ট’ (বিসিএ) নামের একটি মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হতে হয়। এই মূল্যায়নে তিনটি সূচক দেখা হয়। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার, যুক্তরাজ্যে এসে কোর্সে উপস্থিত না হওয়া এবং মাঝপথে কোর্স ত্যাগের হার।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যেন মোট ভিসা আবেদনকারীর ৫ শতাংশের বেশি প্রত্যাখ্যাত না হয়। ইতিপূর্বে এই হার ছিল ১০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ১৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে তা ২২ শতাংশ, যা নতুন সীমা থেকে অনেক বেশি।
এই কারণে অন্তত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এই দুই দেশ থেকে শিক্ষার্থী নিয়োগ স্থগিত বা কমিয়ে দিয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার পাকিস্তান থেকে ভর্তি ২০২৬ সালের শরৎকাল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। ওভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ—দুই দেশ থেকেই স্নাতক পর্যায়ের আবেদন বন্ধ করেছে। সান্ডারল্যান্ড এবং কোভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, এটি শিক্ষার্থী ভিসা ব্যবস্থার ‘বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’।
গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান, অক্সফোর্ড ব্রুকস, ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারসহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নিয়োগ নীতিতে সাময়িক পরিবর্তন এনেছে। বেশির ভাগের দাবি, ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সময়, ভুয়া আবেদন ও নিয়ম লঙ্ঘনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতেই এই সিদ্ধান্ত।
যুক্তরাজ্যের অভিবাসন ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক সংস্কারের লক্ষ্য হলো ভুয়া আবেদন প্রতিরোধ এবং মোট অভিবাসন কমানো। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা শিক্ষার্থী ভিসাধারীদের মধ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন বেড়েছে, যা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দেশটির শিক্ষা উপদেষ্টা মরিয়ম আব্বাস এই সিদ্ধান্তকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দাবি, প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীরা শেষ সময়ে আবেদন বাতিলের কারণে বিপাকে পড়ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু বিদেশি শিক্ষা এজেন্ট শুধু কমিশনের ভিত্তিতে ভর্তি করাতে আগ্রহী, যা ভুয়া আবেদন বাড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্ন টিউশন ফি নির্ভর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না। ফলে এই নীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হতে পারে গুরুতর।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র অফিস জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের গুরুত্ব বোঝে। তবে একই সঙ্গে নিশ্চিত করতে চায়, যারা যুক্তরাজ্যে যাবে—তারা যেন প্রকৃত ও যোগ্য শিক্ষার্থী হন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘ভূতের ভয়ে’ ভুগছেন এবং এ কারণে যত্রতত্র হামলা করে বেড়াচ্ছেন। আর সবকিছু জানার পরও মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদেশের প্রধানমন্ত্রীর লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ সিরিয়ায় হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনে নেতানিয়াহু ওরফে বিবির
৩ দিন আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
৩ মিনিট আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানিয়ে মোদি প্রটোকল ভেঙেছেন এবং এই আচরণ রুশ পক্ষকে বিস্মিত করেছে। রিপোর্টে বলা হয়, মোদির এই পদক্ষেপ সম্পর্কে রাশিয়াকে আগে জানানো হয়নি। ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপিও এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছে, নিয়মের বাইরে গিয়ে মোদি নিজেই বিমানবন্দরে পুতিনকে বরণ করেছেন।
দুই দিনব্যাপী ভারত সফরে পুতিন দশম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেবেন। আজ রাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারি বাসভবনে দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত ডিনার অনুষ্ঠিত হবে। ডিনার সম্পর্কে অফিশিয়াল তথ্য প্রকাশ না হলেও এটি ঘনিষ্ঠ আলোচনার পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিমানবন্দর থেকে মোদি ও পুতিন একটি টয়োটা ফর্চুনার গাড়িতে চড়ে রওনা দেন। গাড়িটি মোদি ব্যবহার করেন। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে পুতিন তাঁর সরকারি গাড়িতে মোদিকে যাত্রাসঙ্গী করেছিলেন। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির দায়ে দেশটির পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আগামীকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) পুতিন ও মোদির মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দু হবে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিস্তার।
বর্তমানে ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত রপ্তানি বাড়াতে চাইছে—বিশেষত সামুদ্রিক পণ্য, আলু, ডালিম, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভোক্তাসামগ্রী ও ওষুধ খাতে।
অন্যদিকে ভারত এখনো রুশ সার আমদানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। প্রতিবছর দেশটি রাশিয়া থেকে তিন থেকে পাঁচ মিলিয়ন টন সার আমদানি করে এবং ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরও গভীর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই সফরকে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে স্বাগত জানান। দুই নেতা করমর্দন, আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তাঁরা একই গাড়িতে বিমানবন্দর ছাড়েন।
রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক জানিয়েছে, পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানিয়ে মোদি প্রটোকল ভেঙেছেন এবং এই আচরণ রুশ পক্ষকে বিস্মিত করেছে। রিপোর্টে বলা হয়, মোদির এই পদক্ষেপ সম্পর্কে রাশিয়াকে আগে জানানো হয়নি। ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপিও এক্সে পোস্ট করে জানিয়েছে, নিয়মের বাইরে গিয়ে মোদি নিজেই বিমানবন্দরে পুতিনকে বরণ করেছেন।
দুই দিনব্যাপী ভারত সফরে পুতিন দশম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেবেন। আজ রাতেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকারি বাসভবনে দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত ডিনার অনুষ্ঠিত হবে। ডিনার সম্পর্কে অফিশিয়াল তথ্য প্রকাশ না হলেও এটি ঘনিষ্ঠ আলোচনার পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিমানবন্দর থেকে মোদি ও পুতিন একটি টয়োটা ফর্চুনার গাড়িতে চড়ে রওনা দেন। গাড়িটি মোদি ব্যবহার করেন। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে চীনে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে পুতিন তাঁর সরকারি গাড়িতে মোদিকে যাত্রাসঙ্গী করেছিলেন। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির দায়ে দেশটির পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আগামীকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) পুতিন ও মোদির মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দু হবে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিস্তার।
বর্তমানে ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত রপ্তানি বাড়াতে চাইছে—বিশেষত সামুদ্রিক পণ্য, আলু, ডালিম, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভোক্তাসামগ্রী ও ওষুধ খাতে।
অন্যদিকে ভারত এখনো রুশ সার আমদানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। প্রতিবছর দেশটি রাশিয়া থেকে তিন থেকে পাঁচ মিলিয়ন টন সার আমদানি করে এবং ভবিষ্যতে এই সহযোগিতা আরও গভীর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই সফরকে দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘ভূতের ভয়ে’ ভুগছেন এবং এ কারণে যত্রতত্র হামলা করে বেড়াচ্ছেন। আর সবকিছু জানার পরও মধ্যপ্রাচ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদেশের প্রধানমন্ত্রীর লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ সিরিয়ায় হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনে নেতানিয়াহু ওরফে বিবির
৩ দিন আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবোরেটর...
৩ মিনিট আগে
রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হশচা শহরের মাতৃত্ব বিভাগ যেন থমকে গেছে। ২০১২ সালেও এই শহরে বছরে চার শতাধিক শিশু জন্ম নিত। অথচ চলতি বছরে মাত্র ১৩৯টি জন্ম রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শহরের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইয়েভহেন হেকেল বলেন, ‘অনেক তরুণ মারা গেছেন, যাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অংশ
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি পাকিস্তান ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধতা আরোপ বা স্থগিত করেছে। ভিসা জটিলতা এবং অভিবাসন নীতির কঠোরতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
১০ ঘণ্টা আগে