আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শীর্ষ কর্তারা বলছেন, নিকট ভবিষ্যতেও এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির গ্লোবাল নিউজ ডিরেক্টর ফিল চেটউইন্ড বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বাধীন গণমাধ্যমকে দূরে রাখা বা তাদের টার্গেট করা হলে বুঝতে হবে এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে। আমাদের বলা হচ্ছে—এটা আমাদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু সাংবাদিকেরা গত ১০০ বছর ধরে যুদ্ধ কাভার করছেন, ঝুঁকি নিতে তাঁরা প্রস্তুত। তারপরও গাজায় সাংবাদিক প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর কারণ, তারা যুদ্ধ ও সামরিক অভিযানের পূর্ণ চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে আসতে দিতে চায় না।’
চেটউইন্ড বলেন, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকেরা অসাধারণ কাজ করছেন। কিন্তু এএফপির পুরো গাজা টিমকে এক বছরেরও বেশি আগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা আবারও গাজায় ফিরে যেতে চান। নতুন চোখে মাঠের বাস্তবতা দেখা দরকার।
গত দুই বছরে ইসরায়েল শুধু ‘এম্বেডেড’ বা সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে সাংবাদিকদের গাজায় ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর কিছু ব্রিটিশ গণমাধ্যম—যেমন বিবিসি ও চ্যানেল-৪ নিউজ এসব সীমিত কাভারেজে অংশ নেয়। কয়েকজন মার্কিন সাংবাদিকও অনুরূপ অনুমতি পেয়েছিলেন।
তবে এই প্রবেশাধিকার ছিল খুবই সীমিত। এবিসি অস্ট্রেলিয়ার একটি টিম ২০২৫ সালের আগস্টে বারবার আবেদন করার পর অবশেষে সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ গাজার কেরেম শালোম সাহায্যকেন্দ্র সফরের সুযোগ পায়।
এবিসি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ ডোরান তাঁর প্রতিবেদনে লেখেন, এই সফরগুলো ‘অত্যন্ত পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত’ ছিল। তবু তিনি সফরে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি দেখতে চেয়েছিলেন, গাজার জনগণকে সাহায্য করার নামে ইসরায়েল আসলে কী করে, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ও বিশ্বনেতারা প্রশ্ন তুলেছেন।
ডোরান বলেন, ‘আমাদের সেই ছোট দলে ছিলেন এক ইসরায়েলি গণমাধ্যম প্রতিনিধি, এক লেখক ও কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। তাঁরা মূলত ইসরায়েলপন্থী বার্তা ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী ছিলেন।’
গত দুই বছরে বিভিন্ন সংস্থা গাজায় সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেরুজালেমের ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (এফপিএ) ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সংস্থাটি জানায়, তারা এক বছর আগে দ্বিতীয় পিটিশন জমা দিয়েছিল, কিন্তু আদালত সরকারের অনুরোধে বারবার শুনানি পিছিয়ে দিচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস’ ও ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস’ (সিপিজে) এ বিষয়ে একাধিক আবেদন করে। তারা একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ড বন্ধেরও দাবি তুলেছিল। কিন্তু কোনো আবেদনেই কাজ হয়নি।
সিপিজের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় অন্তত ১৯২ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন সাংবাদিককে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হয়েছে বলে সিপিজের ধারণা। সংস্থাটি বলেছে, এটি সাংবাদিকদের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত।
তবে ইসরায়েল সাংবাদিকদের টার্গেট করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উল্টো তারা কিছু ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে ‘সন্ত্রাসী’ বলে দাবি করেছে। সিপিজে বলেছে, ইসরায়েল যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই সাংবাদিকদের ‘যোদ্ধা’ বা ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিচ্ছে, যা বন্ধ করা উচিত।
সেপ্টেম্বরে বিবিসি, এএফপি, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও রয়টার্স যৌথভাবে একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের জন্য গাজা উন্মুক্ত করার আহ্বান জানায়। ভিডিওতে উপস্থাপক ডেভিড ডিম্বলবি বলেন, ‘আমরা চাই, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দিক, যাতে তাঁরা গাজার ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারেন এবং বিশ্ববাসীর সামনে সত্য তুলে ধরতে পারেন।’
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বর্তমান অবস্থায় পরিস্থিতির পরিবর্তন শিগগির হবে না। অনেকে ব্যঙ্গ করে বলছেন—হয়তো প্রথমবারের মতো গাজায় আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার তখনই মিলবে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেস ক্যারাভ্যান’ সেখানে গিয়ে ট্রাম্পের কল্পিত গাজা রিভিয়েরা পুনর্গঠনের চিত্র ধারণ করবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শীর্ষ কর্তারা বলছেন, নিকট ভবিষ্যতেও এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির গ্লোবাল নিউজ ডিরেক্টর ফিল চেটউইন্ড বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বাধীন গণমাধ্যমকে দূরে রাখা বা তাদের টার্গেট করা হলে বুঝতে হবে এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে। আমাদের বলা হচ্ছে—এটা আমাদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু সাংবাদিকেরা গত ১০০ বছর ধরে যুদ্ধ কাভার করছেন, ঝুঁকি নিতে তাঁরা প্রস্তুত। তারপরও গাজায় সাংবাদিক প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর কারণ, তারা যুদ্ধ ও সামরিক অভিযানের পূর্ণ চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে আসতে দিতে চায় না।’
চেটউইন্ড বলেন, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকেরা অসাধারণ কাজ করছেন। কিন্তু এএফপির পুরো গাজা টিমকে এক বছরেরও বেশি আগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা আবারও গাজায় ফিরে যেতে চান। নতুন চোখে মাঠের বাস্তবতা দেখা দরকার।
গত দুই বছরে ইসরায়েল শুধু ‘এম্বেডেড’ বা সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে সাংবাদিকদের গাজায় ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর কিছু ব্রিটিশ গণমাধ্যম—যেমন বিবিসি ও চ্যানেল-৪ নিউজ এসব সীমিত কাভারেজে অংশ নেয়। কয়েকজন মার্কিন সাংবাদিকও অনুরূপ অনুমতি পেয়েছিলেন।
তবে এই প্রবেশাধিকার ছিল খুবই সীমিত। এবিসি অস্ট্রেলিয়ার একটি টিম ২০২৫ সালের আগস্টে বারবার আবেদন করার পর অবশেষে সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ গাজার কেরেম শালোম সাহায্যকেন্দ্র সফরের সুযোগ পায়।
এবিসি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ ডোরান তাঁর প্রতিবেদনে লেখেন, এই সফরগুলো ‘অত্যন্ত পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত’ ছিল। তবু তিনি সফরে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি দেখতে চেয়েছিলেন, গাজার জনগণকে সাহায্য করার নামে ইসরায়েল আসলে কী করে, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ও বিশ্বনেতারা প্রশ্ন তুলেছেন।
ডোরান বলেন, ‘আমাদের সেই ছোট দলে ছিলেন এক ইসরায়েলি গণমাধ্যম প্রতিনিধি, এক লেখক ও কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। তাঁরা মূলত ইসরায়েলপন্থী বার্তা ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী ছিলেন।’
গত দুই বছরে বিভিন্ন সংস্থা গাজায় সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেরুজালেমের ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (এফপিএ) ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সংস্থাটি জানায়, তারা এক বছর আগে দ্বিতীয় পিটিশন জমা দিয়েছিল, কিন্তু আদালত সরকারের অনুরোধে বারবার শুনানি পিছিয়ে দিচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস’ ও ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস’ (সিপিজে) এ বিষয়ে একাধিক আবেদন করে। তারা একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ড বন্ধেরও দাবি তুলেছিল। কিন্তু কোনো আবেদনেই কাজ হয়নি।
সিপিজের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় অন্তত ১৯২ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন সাংবাদিককে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হয়েছে বলে সিপিজের ধারণা। সংস্থাটি বলেছে, এটি সাংবাদিকদের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত।
তবে ইসরায়েল সাংবাদিকদের টার্গেট করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উল্টো তারা কিছু ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে ‘সন্ত্রাসী’ বলে দাবি করেছে। সিপিজে বলেছে, ইসরায়েল যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই সাংবাদিকদের ‘যোদ্ধা’ বা ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিচ্ছে, যা বন্ধ করা উচিত।
সেপ্টেম্বরে বিবিসি, এএফপি, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও রয়টার্স যৌথভাবে একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের জন্য গাজা উন্মুক্ত করার আহ্বান জানায়। ভিডিওতে উপস্থাপক ডেভিড ডিম্বলবি বলেন, ‘আমরা চাই, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দিক, যাতে তাঁরা গাজার ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারেন এবং বিশ্ববাসীর সামনে সত্য তুলে ধরতে পারেন।’
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বর্তমান অবস্থায় পরিস্থিতির পরিবর্তন শিগগির হবে না। অনেকে ব্যঙ্গ করে বলছেন—হয়তো প্রথমবারের মতো গাজায় আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার তখনই মিলবে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেস ক্যারাভ্যান’ সেখানে গিয়ে ট্রাম্পের কল্পিত গাজা রিভিয়েরা পুনর্গঠনের চিত্র ধারণ করবে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের গাজা অঞ্চলের প্রধান খলিল আল-হাইয়া গতকাল শনিবার বলেছেন, ইসরায়েলি দখলদারত্ব শেষ হলে তাঁর গোষ্ঠী অস্ত্র ত্যাগ করবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অবস্থান তুলে ধরেন।
৩৪ মিনিট আগে
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অব্যাহত সামরিক হামলার কৌশলকে তুলে ধরে অস্ত্র বিক্রির নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো। গত সোম ও মঙ্গলবার তেল আবিবে অনুষ্ঠিত ‘ইসরায়েল ডিফেন্স টেক উইক’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে...
২ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে পশ্চিম গোলার্ধ তথা পুরো আমেরিকা মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রাধান্য’ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে তাইওয়ানকে রক্ষা এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার সুরক্ষায় ভা
২ ঘণ্টা আগে
গাজার যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টার বা জামিনদার কাতার, মিসর ও তুরস্ক ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছেন, এই ভঙ্গুর চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর করতে এই পদক্ষেপগুলো ‘অপরিহার্য’। একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সৌদ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের গাজা অঞ্চলের প্রধান খলিল আল-হাইয়া গতকাল শনিবার বলেছেন, ইসরায়েলি দখলদারত্ব শেষ হলে তাঁর গোষ্ঠী অস্ত্র ত্যাগ করবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অবস্থান তুলে ধরেন।
খলিল আল-হাইয়া বলেন, ‘আমাদের অস্ত্র দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে জড়িত। দখলদারত্ব মিটে গেলেই এই অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে রাষ্ট্রের হাতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অস্ত্রের বিষয়টি এখনো বিভিন্ন উপগোষ্ঠী ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে এবং চুক্তিটি এখনো একেবারে প্রাথমিক স্তরে আছে।’
সাক্ষাৎকারকালে আল-হাইয়া এটাও উল্লেখ করেন, ‘ইসরায়েলি দখলদারদের কিছু বন্দীর লাশের খোঁজে রোববার নতুন এলাকায় প্রবেশ করা হবে।’ অক্টোবরের ১০ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির সময় গাজার মানবিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আল-হাইয়া অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েল ‘গাজায় প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যেন আমরা এখনো যুদ্ধের মধ্যে আছি।’
হামাসের এই নেতা বলেন, ‘গাজা ভূখণ্ডে যে পরিমাণ সাহায্য ঢুকছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই, আমরা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি।’ স্মরণ রাখা দরকার, হামাস এর আগে অস্ত্র ছাড়তে অস্বীকার করে একে একটি ‘রেডলাইন বা চূড়ান্ত সীমা’ বলে উল্লেখ করেছিল। অন্যদিকে ইসরায়েল গাজায় হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি উপগোষ্ঠীর নিরস্ত্রীকরণকেই গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের একটি প্রধান শর্ত বলে জোর দিচ্ছে।
এদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি সতর্ক করে বলেছেন, গাজার যুদ্ধবিরতি এক ‘নাজুক মুহূর্তে’ এসে পৌঁছেছে এবং স্থায়ী শান্তির দিকে দ্রুত অগ্রগতি না হলে এটি ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দোহা ফোরামে বক্তৃতাকালে কাতারের প্রধানমন্ত্রী জানান, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য স্থিতিশীলতা ও চলাফেরার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
এই সতর্কবার্তা মিসর, কাতার, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির ভঙ্গুরতাও তুলে ধরে। যদিও এই যুদ্ধবিরতি প্রথমে লড়াই থামিয়েছিল, কিন্তু হামাসের নিরস্ত্রীকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ মতপার্থক্যের কারণে এর দ্বিতীয় ধাপের বাস্তবায়ন থমকে গেছে।
নভেম্বরে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েল তার অবস্থান থেকে সরে আসবে এবং গাজা পরিচালিত হবে ‘বোর্ড অব পিস’ নামে একটি অন্তর্বর্তী শাসনকাঠামোর মাধ্যমে। এই পরিকল্পনায় একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের কথাও বলা হয়েছে।
তবে সেই কাঠামোর রূপরেখা এখনো অনিশ্চিত। তাত্ত্বিকভাবে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বোর্ডের প্রধান হিসেবে থাকার কথা থাকলেও অন্য সদস্যদের পরিচয় এখনো ঘোষণা করা হয়নি। উপরন্তু খবর আছে যে আরব এবং মুসলিম দেশগুলো স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে দ্বিধা প্রকাশ করেছে। কারণ, তাদের ভয়, এটি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে যেতে পারে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের গাজা অঞ্চলের প্রধান খলিল আল-হাইয়া গতকাল শনিবার বলেছেন, ইসরায়েলি দখলদারত্ব শেষ হলে তাঁর গোষ্ঠী অস্ত্র ত্যাগ করবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অবস্থান তুলে ধরেন।
খলিল আল-হাইয়া বলেন, ‘আমাদের অস্ত্র দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে জড়িত। দখলদারত্ব মিটে গেলেই এই অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে রাষ্ট্রের হাতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অস্ত্রের বিষয়টি এখনো বিভিন্ন উপগোষ্ঠী ও মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে এবং চুক্তিটি এখনো একেবারে প্রাথমিক স্তরে আছে।’
সাক্ষাৎকারকালে আল-হাইয়া এটাও উল্লেখ করেন, ‘ইসরায়েলি দখলদারদের কিছু বন্দীর লাশের খোঁজে রোববার নতুন এলাকায় প্রবেশ করা হবে।’ অক্টোবরের ১০ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির সময় গাজার মানবিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আল-হাইয়া অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েল ‘গাজায় প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যেন আমরা এখনো যুদ্ধের মধ্যে আছি।’
হামাসের এই নেতা বলেন, ‘গাজা ভূখণ্ডে যে পরিমাণ সাহায্য ঢুকছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই, আমরা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি।’ স্মরণ রাখা দরকার, হামাস এর আগে অস্ত্র ছাড়তে অস্বীকার করে একে একটি ‘রেডলাইন বা চূড়ান্ত সীমা’ বলে উল্লেখ করেছিল। অন্যদিকে ইসরায়েল গাজায় হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি উপগোষ্ঠীর নিরস্ত্রীকরণকেই গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপের একটি প্রধান শর্ত বলে জোর দিচ্ছে।
এদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি সতর্ক করে বলেছেন, গাজার যুদ্ধবিরতি এক ‘নাজুক মুহূর্তে’ এসে পৌঁছেছে এবং স্থায়ী শান্তির দিকে দ্রুত অগ্রগতি না হলে এটি ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দোহা ফোরামে বক্তৃতাকালে কাতারের প্রধানমন্ত্রী জানান, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য স্থিতিশীলতা ও চলাফেরার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
এই সতর্কবার্তা মিসর, কাতার, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির ভঙ্গুরতাও তুলে ধরে। যদিও এই যুদ্ধবিরতি প্রথমে লড়াই থামিয়েছিল, কিন্তু হামাসের নিরস্ত্রীকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ মতপার্থক্যের কারণে এর দ্বিতীয় ধাপের বাস্তবায়ন থমকে গেছে।
নভেম্বরে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইসরায়েল তার অবস্থান থেকে সরে আসবে এবং গাজা পরিচালিত হবে ‘বোর্ড অব পিস’ নামে একটি অন্তর্বর্তী শাসনকাঠামোর মাধ্যমে। এই পরিকল্পনায় একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের কথাও বলা হয়েছে।
তবে সেই কাঠামোর রূপরেখা এখনো অনিশ্চিত। তাত্ত্বিকভাবে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বোর্ডের প্রধান হিসেবে থাকার কথা থাকলেও অন্য সদস্যদের পরিচয় এখনো ঘোষণা করা হয়নি। উপরন্তু খবর আছে যে আরব এবং মুসলিম দেশগুলো স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে দ্বিধা প্রকাশ করেছে। কারণ, তাদের ভয়, এটি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে যেতে পারে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অব্যাহত সামরিক হামলার কৌশলকে তুলে ধরে অস্ত্র বিক্রির নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো। গত সোম ও মঙ্গলবার তেল আবিবে অনুষ্ঠিত ‘ইসরায়েল ডিফেন্স টেক উইক’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে...
২ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে পশ্চিম গোলার্ধ তথা পুরো আমেরিকা মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রাধান্য’ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে তাইওয়ানকে রক্ষা এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার সুরক্ষায় ভা
২ ঘণ্টা আগে
গাজার যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টার বা জামিনদার কাতার, মিসর ও তুরস্ক ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছেন, এই ভঙ্গুর চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর করতে এই পদক্ষেপগুলো ‘অপরিহার্য’। একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সৌদ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অব্যাহত সামরিক হামলার কৌশলকে তুলে ধরে অস্ত্র বিক্রির নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো। গত সোম ও মঙ্গলবার তেল আবিবে অনুষ্ঠিত ‘ইসরায়েল ডিফেন্স টেক উইক’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে ইউরোপ ও এশিয়ার কয়েক ডজন দেশের সামরিক প্রতিনিধিদের কাছে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হয়।
তেল আবিব ইউনিভার্সিটি এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই ইভেন্টটিতে অংশগ্রহণকারী ছিল ২ হাজারের বেশি। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের সামরিক ও সরকারি প্রতিনিধিরাও ছিলেন। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রদর্শনীতে অন্তত একটি ভিডিও দেখানো হয়, যেখানে গাজার একটি ভবনে দুটি ইসরায়েলি ড্রোন আঘাত হানার পর ধ্বংসের চিত্র দেখা যায়। অর্থাৎ, গাজা যুদ্ধে এই অস্ত্রগুলোর কার্যকারিতাকেই মূল বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
চলমান গাজা সংঘাতের পটভূমিতে এই অস্ত্র প্রদর্শনী আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় যে সামরিক অভিযান শুরু করে, তাতে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার ১০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অসংখ্য মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ, বিশ্বনেতা ও জাতিসংঘ এই যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে। ইসরায়েলি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে এখনো প্রতিদিন মানুষ মারছে।
তবে এসব আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও প্রদর্শনীতে উজবেকিস্তান, সিঙ্গাপুর ও ভারতের মতো এশীয় দেশগুলোর পাশাপাশি ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। যদিও এসব দেশের অনেকগুলোই প্রকাশ্যে ইসরায়েলের নিন্দা করে। তাদের এই অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে থাকা ইউরোপীয় দেশগুলোর দ্বিচারিতাকেও উন্মোচিত করেছে।
যুক্তরাজ্য সরকার গাজায় চলমান হামলার কারণে লন্ডনে অনুষ্ঠেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় অস্ত্র প্রদর্শনীতে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের যোগদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অথচ গত সপ্তাহে ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তেল আবিবের এই প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন এবং গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ব্যবহৃত সামরিক প্রযুক্তি খতিয়ে দেখেন। ব্রিটিশ দূতাবাস তাদের কর্মকর্তাদের উপস্থিতির বিষয়টি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে নিশ্চিত করেছে।
আরেকটি উদাহরণ হলো নরওয়ে। গত আগস্টে নরওয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলি ব্যাংক ও আমেরিকান নির্মাণ সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক ক্যাটারপিলার ইনকরপোরেশন থেকে বিনিয়োগ তুলে নেয়। নরওয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিশ্বের বৃহত্তম সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের (১.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) কার্যনির্বাহী বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ক্যাটারপিলারের মতো সংস্থাগুলো ‘যুদ্ধ ও সংঘাত পরিস্থিতিতে মানুষের অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনে অবদান রাখছে’। তবুও নরওয়ের সরকারি কর্মকর্তারা এই অস্ত্র প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন।
গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। জুন মাসে প্রকাশিত মার্কিন জরিপ সংস্থা পিউ রিসার্চের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইতালি থেকে জাপান পর্যন্ত বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের এখন ইসরায়েল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। আমেরিকাতেও, বিশেষ করে তরুণ রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি বিরূপ মনোভাব বাড়ছে।
তবে সরকার পর্যায়ে এই জনপ্রিয়তার পতন অস্ত্র বিক্রিতে কোনো প্রভাব ফেলেনি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশটির অস্ত্র রপ্তানি সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে, যার মূল্যমান ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। মন্ত্রণালয় জুনে এক বিবৃতিতে জানায়, গাজা যুদ্ধের ‘অর্জন’ এই চাহিদা বাড়াতে সহায়তা করেছে।
গত বছর মোট রপ্তানির ৫৪ শতাংশই কিনেছে ইউরোপীয় দেশগুলো। এ ছাড়া, আব্রাহাম অ্যাকর্ডস স্বাক্ষরকারী আরব দেশগুলোতেও বিক্রি বেড়েছে, যা ২০২৩ সালের ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে গত বছর ১২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক মেগা-ডিলগুলোর মধ্যে রয়েছে জার্মানির সঙ্গে অ্যারো ৩ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ৪ বিলিয়ন ইউরোর (৪.৬ বিলিয়ন ডলার) চুক্তি। ইসরায়েলের ইতিহাসে বৃহত্তম প্রতিরক্ষা রপ্তানি চুক্তি এটি। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো ইসরায়েল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কিনছে। জুলাই মাসে রোমানিয়া ইসরায়েলের রাফায়েল থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ঘোষণা দেয়। এমনকি গ্রিসও তুরস্কের সঙ্গে উত্তেজনার অজুহাতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ঐতিহাসিক নৈকট্য থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলের সামরিক সরঞ্জাম কিনছে। গ্রিক পার্লামেন্ট সম্প্রতি ইসরায়েলের কাছ থেকে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের ৩৬টি পিইউএলএস রকেট আর্টিলারি সিস্টেম কেনার অনুমোদন দিয়েছে।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অব্যাহত সামরিক হামলার কৌশলকে তুলে ধরে অস্ত্র বিক্রির নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো। গত সোম ও মঙ্গলবার তেল আবিবে অনুষ্ঠিত ‘ইসরায়েল ডিফেন্স টেক উইক’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে ইউরোপ ও এশিয়ার কয়েক ডজন দেশের সামরিক প্রতিনিধিদের কাছে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হয়।
তেল আবিব ইউনিভার্সিটি এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই ইভেন্টটিতে অংশগ্রহণকারী ছিল ২ হাজারের বেশি। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের সামরিক ও সরকারি প্রতিনিধিরাও ছিলেন। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রদর্শনীতে অন্তত একটি ভিডিও দেখানো হয়, যেখানে গাজার একটি ভবনে দুটি ইসরায়েলি ড্রোন আঘাত হানার পর ধ্বংসের চিত্র দেখা যায়। অর্থাৎ, গাজা যুদ্ধে এই অস্ত্রগুলোর কার্যকারিতাকেই মূল বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
চলমান গাজা সংঘাতের পটভূমিতে এই অস্ত্র প্রদর্শনী আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় যে সামরিক অভিযান শুরু করে, তাতে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার ১০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অসংখ্য মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ, বিশ্বনেতা ও জাতিসংঘ এই যুদ্ধকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে। ইসরায়েলি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে এখনো প্রতিদিন মানুষ মারছে।
তবে এসব আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও প্রদর্শনীতে উজবেকিস্তান, সিঙ্গাপুর ও ভারতের মতো এশীয় দেশগুলোর পাশাপাশি ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। যদিও এসব দেশের অনেকগুলোই প্রকাশ্যে ইসরায়েলের নিন্দা করে। তাদের এই অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে থাকা ইউরোপীয় দেশগুলোর দ্বিচারিতাকেও উন্মোচিত করেছে।
যুক্তরাজ্য সরকার গাজায় চলমান হামলার কারণে লন্ডনে অনুষ্ঠেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় অস্ত্র প্রদর্শনীতে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের যোগদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অথচ গত সপ্তাহে ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তেল আবিবের এই প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন এবং গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ব্যবহৃত সামরিক প্রযুক্তি খতিয়ে দেখেন। ব্রিটিশ দূতাবাস তাদের কর্মকর্তাদের উপস্থিতির বিষয়টি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে নিশ্চিত করেছে।
আরেকটি উদাহরণ হলো নরওয়ে। গত আগস্টে নরওয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলি ব্যাংক ও আমেরিকান নির্মাণ সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক ক্যাটারপিলার ইনকরপোরেশন থেকে বিনিয়োগ তুলে নেয়। নরওয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিশ্বের বৃহত্তম সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের (১.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) কার্যনির্বাহী বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ক্যাটারপিলারের মতো সংস্থাগুলো ‘যুদ্ধ ও সংঘাত পরিস্থিতিতে মানুষের অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনে অবদান রাখছে’। তবুও নরওয়ের সরকারি কর্মকর্তারা এই অস্ত্র প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন।
গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। জুন মাসে প্রকাশিত মার্কিন জরিপ সংস্থা পিউ রিসার্চের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইতালি থেকে জাপান পর্যন্ত বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের এখন ইসরায়েল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। আমেরিকাতেও, বিশেষ করে তরুণ রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি বিরূপ মনোভাব বাড়ছে।
তবে সরকার পর্যায়ে এই জনপ্রিয়তার পতন অস্ত্র বিক্রিতে কোনো প্রভাব ফেলেনি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশটির অস্ত্র রপ্তানি সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে, যার মূল্যমান ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। মন্ত্রণালয় জুনে এক বিবৃতিতে জানায়, গাজা যুদ্ধের ‘অর্জন’ এই চাহিদা বাড়াতে সহায়তা করেছে।
গত বছর মোট রপ্তানির ৫৪ শতাংশই কিনেছে ইউরোপীয় দেশগুলো। এ ছাড়া, আব্রাহাম অ্যাকর্ডস স্বাক্ষরকারী আরব দেশগুলোতেও বিক্রি বেড়েছে, যা ২০২৩ সালের ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে গত বছর ১২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক মেগা-ডিলগুলোর মধ্যে রয়েছে জার্মানির সঙ্গে অ্যারো ৩ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ৪ বিলিয়ন ইউরোর (৪.৬ বিলিয়ন ডলার) চুক্তি। ইসরায়েলের ইতিহাসে বৃহত্তম প্রতিরক্ষা রপ্তানি চুক্তি এটি। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো ইসরায়েল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কিনছে। জুলাই মাসে রোমানিয়া ইসরায়েলের রাফায়েল থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ঘোষণা দেয়। এমনকি গ্রিসও তুরস্কের সঙ্গে উত্তেজনার অজুহাতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ঐতিহাসিক নৈকট্য থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলের সামরিক সরঞ্জাম কিনছে। গ্রিক পার্লামেন্ট সম্প্রতি ইসরায়েলের কাছ থেকে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের ৩৬টি পিইউএলএস রকেট আর্টিলারি সিস্টেম কেনার অনুমোদন দিয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের গাজা অঞ্চলের প্রধান খলিল আল-হাইয়া গতকাল শনিবার বলেছেন, ইসরায়েলি দখলদারত্ব শেষ হলে তাঁর গোষ্ঠী অস্ত্র ত্যাগ করবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অবস্থান তুলে ধরেন।
৩৪ মিনিট আগে
পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে পশ্চিম গোলার্ধ তথা পুরো আমেরিকা মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রাধান্য’ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে তাইওয়ানকে রক্ষা এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার সুরক্ষায় ভা
২ ঘণ্টা আগে
গাজার যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টার বা জামিনদার কাতার, মিসর ও তুরস্ক ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছেন, এই ভঙ্গুর চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর করতে এই পদক্ষেপগুলো ‘অপরিহার্য’। একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সৌদ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে পশ্চিম গোলার্ধ তথা পুরো আমেরিকা মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রাধান্য’ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে তাইওয়ানকে রক্ষা এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার সুরক্ষায় ভারতকে প্রধান্য দেওয়ার বিষয়টিও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার প্রকাশিত এই ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি বা জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নথিতে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখার এবং তাইওয়ান দখল করা থেকে চীনকে বিরত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে ২০২২ সালে প্রকাশিত এর পূর্ববর্তী নথির মতো নতুন নথিতে চীনের ওপর নজর দেওয়া হয়নি কিংবা বেইজিংয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি।
তার বদলে মার্কিন প্রশাসন হস্তক্ষেপবিরোধী নীতির ওপর জোর দিয়েছে। এটি বহুপাক্ষিকতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি ট্রাম্পের অনীহার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘পৃথিবীর মৌলিক রাজনৈতিক একক হলো জাতি-রাষ্ট্র এবং এটি ভবিষ্যতেও জাতি-রাষ্ট্রই থাকবে।’
এর আগের দুটি জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে, যার মধ্যে ট্রাম্পের প্রথম আমলে প্রকাশিত একটিও ছিল, চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। কিন্তু এই নতুন কৌশলে বেইজিংয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে সামনে ও কেন্দ্রে রাখা হয়নি।
তবু এই নথিতে এশিয়াতে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় জেতা এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে এটি বেইজিংয়ের মোকাবিলায় ভারসাম্য তৈরির জন্য এশীয় মিত্রদের সঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে, যেখানে ভারতকে আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগরীয় সুরক্ষায় নয়াদিল্লিকে অবদান রাখতে উৎসাহিত করতে হলে আমাদের অবশ্যই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক (ও অন্যান্য) সম্পর্ক উন্নত করতে হবে।’
নথিতে তাইওয়ানকে চীনের বলপূর্বক দখল করে নেওয়ার ঝুঁকিগুলো স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে যে এই স্বশাসিত দ্বীপটি, যা বেইজিং নিজের বলে দাবি করে, কম্পিউটার চিপের অন্যতম প্রধান উৎপাদক। এতে আরও জোর দিয়ে বলা হয়েছে, তাইওয়ান দখল করলে চীন এশিয়া প্যাসিফিকের দ্বিতীয় দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশাধিকার পাবে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে এর অবস্থান জোরদার করবে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ জলপথ।
নথিতে বলা হয়েছে, ‘অতএব তাইওয়ান নিয়ে একটি সংঘাত ঠেকানো, আদর্শগতভাবে সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মাধ্যমে, একটি অগ্রাধিকার।’ এই কৌশল সংঘাত এড়াতে এই অঞ্চলের মার্কিন অংশীদারদের তাদের সামরিক ব্যয় বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা এমন একটি সামরিক বাহিনী তৈরি করব, যা প্রথম দ্বীপপুঞ্জের যেকোনো জায়গায় আগ্রাসন ব্যর্থ করে দিতে সক্ষম, কিন্তু আমেরিকান সামরিক বাহিনী একা এটি করতে পারে না, আর করা উচিতও নয়। আমাদের মিত্রদের সম্মিলিত সুরক্ষার জন্য আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে, আরও অনেক বেশি কাজ করতে হবে।’

পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে পশ্চিম গোলার্ধ তথা পুরো আমেরিকা মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রাধান্য’ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে তাইওয়ানকে রক্ষা এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার সুরক্ষায় ভারতকে প্রধান্য দেওয়ার বিষয়টিও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার প্রকাশিত এই ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি বা জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নথিতে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখার এবং তাইওয়ান দখল করা থেকে চীনকে বিরত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে ২০২২ সালে প্রকাশিত এর পূর্ববর্তী নথির মতো নতুন নথিতে চীনের ওপর নজর দেওয়া হয়নি কিংবা বেইজিংয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি।
তার বদলে মার্কিন প্রশাসন হস্তক্ষেপবিরোধী নীতির ওপর জোর দিয়েছে। এটি বহুপাক্ষিকতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি ট্রাম্পের অনীহার প্রতিফলন ঘটিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘পৃথিবীর মৌলিক রাজনৈতিক একক হলো জাতি-রাষ্ট্র এবং এটি ভবিষ্যতেও জাতি-রাষ্ট্রই থাকবে।’
এর আগের দুটি জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে, যার মধ্যে ট্রাম্পের প্রথম আমলে প্রকাশিত একটিও ছিল, চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। কিন্তু এই নতুন কৌশলে বেইজিংয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে সামনে ও কেন্দ্রে রাখা হয়নি।
তবু এই নথিতে এশিয়াতে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় জেতা এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে এটি বেইজিংয়ের মোকাবিলায় ভারসাম্য তৈরির জন্য এশীয় মিত্রদের সঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে, যেখানে ভারতকে আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগরীয় সুরক্ষায় নয়াদিল্লিকে অবদান রাখতে উৎসাহিত করতে হলে আমাদের অবশ্যই ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক (ও অন্যান্য) সম্পর্ক উন্নত করতে হবে।’
নথিতে তাইওয়ানকে চীনের বলপূর্বক দখল করে নেওয়ার ঝুঁকিগুলো স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে যে এই স্বশাসিত দ্বীপটি, যা বেইজিং নিজের বলে দাবি করে, কম্পিউটার চিপের অন্যতম প্রধান উৎপাদক। এতে আরও জোর দিয়ে বলা হয়েছে, তাইওয়ান দখল করলে চীন এশিয়া প্যাসিফিকের দ্বিতীয় দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশাধিকার পাবে এবং দক্ষিণ চীন সাগরে এর অবস্থান জোরদার করবে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ জলপথ।
নথিতে বলা হয়েছে, ‘অতএব তাইওয়ান নিয়ে একটি সংঘাত ঠেকানো, আদর্শগতভাবে সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মাধ্যমে, একটি অগ্রাধিকার।’ এই কৌশল সংঘাত এড়াতে এই অঞ্চলের মার্কিন অংশীদারদের তাদের সামরিক ব্যয় বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা এমন একটি সামরিক বাহিনী তৈরি করব, যা প্রথম দ্বীপপুঞ্জের যেকোনো জায়গায় আগ্রাসন ব্যর্থ করে দিতে সক্ষম, কিন্তু আমেরিকান সামরিক বাহিনী একা এটি করতে পারে না, আর করা উচিতও নয়। আমাদের মিত্রদের সম্মিলিত সুরক্ষার জন্য আরও বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে, আরও অনেক বেশি কাজ করতে হবে।’

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের গাজা অঞ্চলের প্রধান খলিল আল-হাইয়া গতকাল শনিবার বলেছেন, ইসরায়েলি দখলদারত্ব শেষ হলে তাঁর গোষ্ঠী অস্ত্র ত্যাগ করবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অবস্থান তুলে ধরেন।
৩৪ মিনিট আগে
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অব্যাহত সামরিক হামলার কৌশলকে তুলে ধরে অস্ত্র বিক্রির নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো। গত সোম ও মঙ্গলবার তেল আবিবে অনুষ্ঠিত ‘ইসরায়েল ডিফেন্স টেক উইক’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে...
২ ঘণ্টা আগে
গাজার যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টার বা জামিনদার কাতার, মিসর ও তুরস্ক ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছেন, এই ভঙ্গুর চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর করতে এই পদক্ষেপগুলো ‘অপরিহার্য’। একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সৌদ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজার যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টার বা জামিনদার কাতার, মিসর ও তুরস্ক ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, এই ভঙ্গুর চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর করতে এই পদক্ষেপগুলো ‘অপরিহার্য’। একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সৌদি আরবও।
গতকাল শনিবার কাতারের রাজধানীতে দোহা ফোরাম সম্মেলনে এক প্যানেল আলোচনায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি জানান, মধ্যস্থতাকারীরা এখন যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। সেখানে এই ব্যবস্থাগুলোর রূপরেখা রয়েছে। ইসরায়েল এবং হামাস এখনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রাথমিক ধাপের পর কীভাবে এগোবে, সে বিষয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছায়নি।
প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ভেতরের নির্দিষ্ট ‘হলুদ লাইন’-এর পেছনে সরে গিয়েছিল, আর হামাস তাদের হেফাজতে থাকা জীবিত সব জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল এবং একজন ছাড়া মৃত সকল বন্দীর মরদেহ ফিরিয়ে দিয়েছে। আল-থানি বলেন, ‘আমরা এখন সংকটাপন্ন মুহূর্তে রয়েছি। এখনো কাজটি সম্পূর্ণ হয়নি। আমরা যা করেছি, তা কেবলই একটি বিরতি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণ হবে না এবং গাজায় স্থিতিশীলতাও ফিরবে না।’
এদিকে শনিবার এক জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তা গাজায় যুদ্ধবিরতির ‘সংজ্ঞা পুনর্বিবেচনা বন্ধ করতে’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অনুমোদিত শর্তাবলি নিয়ে পুনরায় আলোচনা এড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মানাল রাদওয়ান দোহা ফোরামে বলেন, ‘আমরা যা নিয়ে ইতিমধ্যে একমত হয়েছি এবং যা নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব হিসেবে জারি হয়েছে এবং সব পক্ষ স্বাগত জানিয়েছে, তা পুনরায় সংজ্ঞায়িত করা এবং পুনরায় আলোচনার জন্য আমরা উন্মুক্ত হতে পারি না।’
তিনি যোগ করেন, ‘সুতরাং আমরা যুদ্ধবিরতি বলতে কী বুঝি, এমনকি নিরস্ত্রীকরণ বলতে কী বুঝি, গাজা শাসনের জন্য ফিলিস্তিনি নেতৃত্বাধীন প্রক্রিয়া বলতে কী বুঝি—তাতে ফিরে গিয়ে নতুন করে সংজ্ঞা দিতে পারি না।’ রাদওয়ান বলেন, যে মূলনীতি পরিবর্তন করলে অঞ্চলটি ‘অন্য পথে’ চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়, যেখানে সংঘাতের মূল লক্ষ্য থেকে সরে এসে কৌশলগত বিবরণের ওপর মনোযোগ দেওয়া হয়।
রাদওয়ান আরও বলেন, ‘আমরা এই বিষয়গুলোর বারবার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে এবং কী, কে, কখন—এই ধরনের বহু বিশদে প্রবেশ করে নিজেদের এমন এক পার্শ্ব পথে নিয়ে যেতে পারি না, যেখানে আমরা সামগ্রিক ও সংঘাতের মূল লক্ষ্য থেকে চোখ সরিয়ে ফেলি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই একমত যে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানই হলো একমাত্র সমাধান। যদি তা-ই হয়, তবে জনগণকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, এই বাস্তবায়ন সম্ভব করতে তারা কী করতে চলেছেন।’
অপর দিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের জন্য ইসরায়েলকে গাজায় তাদের অবস্থানগুলো থেকে সরে আসতে, একটি অন্তর্বর্তী শাসনকাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে এবং আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা মিশন মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে মিসর। দোহা ফোরামে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি বলেন, ‘আমাদের যত দ্রুত সম্ভব এই বাহিনীকে মাটিতে মোতায়েন করতে হবে। কারণ, ইসরায়েল একপক্ষীয়ভাবে প্রতিদিন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে।’
এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এই সমাবেশে বলেছেন, স্থিতিশীলতা বাহিনী নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে এবং কে এর নেতৃত্ব দেবে এবং কোন কোন দেশ এতে অংশগ্রহণ করবে, সে সংক্রান্ত প্রধান অমীমাংসিত বিষয়গুলো রয়ে গেছে। ফিদানের দেশ তুরস্কও এই যুদ্ধবিরতির আরেক জামিনদার। তিনি বলেন, এই বাহিনীর প্রাথমিক মিশন ‘ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলিদের থেকে আলাদা করা।’ তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। এরপর আমরা অন্য সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারি।’
আবদেলাত্তি এতে সম্মত হন এবং যুদ্ধবিরতি ‘যাচাই ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য হলুদ রেখা’ বরাবর এই বাহিনী মোতায়েন করার আহ্বান জানিয়েছেন। তুরস্ক এই স্থিতিশীলতা বাহিনীতে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে, কিন্তু ইসরায়েলি সরকার তাদের অংশগ্রহণের বিরোধিতা করেছে। ফিদান পরে বলেন, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ গাজায় শীর্ষ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘প্রক্রিয়াটিতে নিরস্ত্রীকরণ প্রথম কাজ হতে পারে না। আমাদের বিষয়গুলোকে সঠিক ক্রমে সাজাতে হবে, আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।’
উল্লেখ্য, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এলাকায় এখনো বোমাবর্ষণ ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটি প্রায় ৬০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, যাতে ৩৬০ জনের বেশি নিহত ও ৯০০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যা দুই বছরের ইসরায়েলি যুদ্ধের অবসান ঘটায়। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এই যুদ্ধে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু এবং প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার লোক আহত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই ও মিডল ইস্ট মনিটর

গাজার যুদ্ধবিরতির গ্যারান্টার বা জামিনদার কাতার, মিসর ও তুরস্ক ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, এই ভঙ্গুর চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর করতে এই পদক্ষেপগুলো ‘অপরিহার্য’। একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সৌদি আরবও।
গতকাল শনিবার কাতারের রাজধানীতে দোহা ফোরাম সম্মেলনে এক প্যানেল আলোচনায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি জানান, মধ্যস্থতাকারীরা এখন যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। সেখানে এই ব্যবস্থাগুলোর রূপরেখা রয়েছে। ইসরায়েল এবং হামাস এখনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রাথমিক ধাপের পর কীভাবে এগোবে, সে বিষয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছায়নি।
প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ভেতরের নির্দিষ্ট ‘হলুদ লাইন’-এর পেছনে সরে গিয়েছিল, আর হামাস তাদের হেফাজতে থাকা জীবিত সব জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল এবং একজন ছাড়া মৃত সকল বন্দীর মরদেহ ফিরিয়ে দিয়েছে। আল-থানি বলেন, ‘আমরা এখন সংকটাপন্ন মুহূর্তে রয়েছি। এখনো কাজটি সম্পূর্ণ হয়নি। আমরা যা করেছি, তা কেবলই একটি বিরতি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণ হবে না এবং গাজায় স্থিতিশীলতাও ফিরবে না।’
এদিকে শনিবার এক জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তা গাজায় যুদ্ধবিরতির ‘সংজ্ঞা পুনর্বিবেচনা বন্ধ করতে’ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অনুমোদিত শর্তাবলি নিয়ে পুনরায় আলোচনা এড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মানাল রাদওয়ান দোহা ফোরামে বলেন, ‘আমরা যা নিয়ে ইতিমধ্যে একমত হয়েছি এবং যা নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব হিসেবে জারি হয়েছে এবং সব পক্ষ স্বাগত জানিয়েছে, তা পুনরায় সংজ্ঞায়িত করা এবং পুনরায় আলোচনার জন্য আমরা উন্মুক্ত হতে পারি না।’
তিনি যোগ করেন, ‘সুতরাং আমরা যুদ্ধবিরতি বলতে কী বুঝি, এমনকি নিরস্ত্রীকরণ বলতে কী বুঝি, গাজা শাসনের জন্য ফিলিস্তিনি নেতৃত্বাধীন প্রক্রিয়া বলতে কী বুঝি—তাতে ফিরে গিয়ে নতুন করে সংজ্ঞা দিতে পারি না।’ রাদওয়ান বলেন, যে মূলনীতি পরিবর্তন করলে অঞ্চলটি ‘অন্য পথে’ চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়, যেখানে সংঘাতের মূল লক্ষ্য থেকে সরে এসে কৌশলগত বিবরণের ওপর মনোযোগ দেওয়া হয়।
রাদওয়ান আরও বলেন, ‘আমরা এই বিষয়গুলোর বারবার সংজ্ঞা পরিবর্তন করে এবং কী, কে, কখন—এই ধরনের বহু বিশদে প্রবেশ করে নিজেদের এমন এক পার্শ্ব পথে নিয়ে যেতে পারি না, যেখানে আমরা সামগ্রিক ও সংঘাতের মূল লক্ষ্য থেকে চোখ সরিয়ে ফেলি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই একমত যে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানই হলো একমাত্র সমাধান। যদি তা-ই হয়, তবে জনগণকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, এই বাস্তবায়ন সম্ভব করতে তারা কী করতে চলেছেন।’
অপর দিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের জন্য ইসরায়েলকে গাজায় তাদের অবস্থানগুলো থেকে সরে আসতে, একটি অন্তর্বর্তী শাসনকাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে এবং আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা মিশন মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছে মিসর। দোহা ফোরামে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি বলেন, ‘আমাদের যত দ্রুত সম্ভব এই বাহিনীকে মাটিতে মোতায়েন করতে হবে। কারণ, ইসরায়েল একপক্ষীয়ভাবে প্রতিদিন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে।’
এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এই সমাবেশে বলেছেন, স্থিতিশীলতা বাহিনী নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে এবং কে এর নেতৃত্ব দেবে এবং কোন কোন দেশ এতে অংশগ্রহণ করবে, সে সংক্রান্ত প্রধান অমীমাংসিত বিষয়গুলো রয়ে গেছে। ফিদানের দেশ তুরস্কও এই যুদ্ধবিরতির আরেক জামিনদার। তিনি বলেন, এই বাহিনীর প্রাথমিক মিশন ‘ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলিদের থেকে আলাদা করা।’ তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। এরপর আমরা অন্য সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারি।’
আবদেলাত্তি এতে সম্মত হন এবং যুদ্ধবিরতি ‘যাচাই ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য হলুদ রেখা’ বরাবর এই বাহিনী মোতায়েন করার আহ্বান জানিয়েছেন। তুরস্ক এই স্থিতিশীলতা বাহিনীতে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে, কিন্তু ইসরায়েলি সরকার তাদের অংশগ্রহণের বিরোধিতা করেছে। ফিদান পরে বলেন, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ গাজায় শীর্ষ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘প্রক্রিয়াটিতে নিরস্ত্রীকরণ প্রথম কাজ হতে পারে না। আমাদের বিষয়গুলোকে সঠিক ক্রমে সাজাতে হবে, আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।’
উল্লেখ্য, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এলাকায় এখনো বোমাবর্ষণ ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটি প্রায় ৬০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে, যাতে ৩৬০ জনের বেশি নিহত ও ৯০০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, যা দুই বছরের ইসরায়েলি যুদ্ধের অবসান ঘটায়। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এই যুদ্ধে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু এবং প্রায় ১ লাখ ৭১ হাজার লোক আহত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই ও মিডল ইস্ট মনিটর

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের গাজা অঞ্চলের প্রধান খলিল আল-হাইয়া গতকাল শনিবার বলেছেন, ইসরায়েলি দখলদারত্ব শেষ হলে তাঁর গোষ্ঠী অস্ত্র ত্যাগ করবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই অবস্থান তুলে ধরেন।
৩৪ মিনিট আগে
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অব্যাহত সামরিক হামলার কৌশলকে তুলে ধরে অস্ত্র বিক্রির নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলো। গত সোম ও মঙ্গলবার তেল আবিবে অনুষ্ঠিত ‘ইসরায়েল ডিফেন্স টেক উইক’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে...
২ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে নথি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে পশ্চিম গোলার্ধ তথা পুরো আমেরিকা মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রাধান্য’ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে তাইওয়ানকে রক্ষা এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকার সুরক্ষায় ভা
২ ঘণ্টা আগে