আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শীর্ষ কর্তারা বলছেন, নিকট ভবিষ্যতেও এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির গ্লোবাল নিউজ ডিরেক্টর ফিল চেটউইন্ড বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বাধীন গণমাধ্যমকে দূরে রাখা বা তাদের টার্গেট করা হলে বুঝতে হবে এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে। আমাদের বলা হচ্ছে—এটা আমাদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু সাংবাদিকেরা গত ১০০ বছর ধরে যুদ্ধ কাভার করছেন, ঝুঁকি নিতে তাঁরা প্রস্তুত। তারপরও গাজায় সাংবাদিক প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর কারণ, তারা যুদ্ধ ও সামরিক অভিযানের পূর্ণ চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে আসতে দিতে চায় না।’
চেটউইন্ড বলেন, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকেরা অসাধারণ কাজ করছেন। কিন্তু এএফপির পুরো গাজা টিমকে এক বছরেরও বেশি আগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা আবারও গাজায় ফিরে যেতে চান। নতুন চোখে মাঠের বাস্তবতা দেখা দরকার।
গত দুই বছরে ইসরায়েল শুধু ‘এম্বেডেড’ বা সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে সাংবাদিকদের গাজায় ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর কিছু ব্রিটিশ গণমাধ্যম—যেমন বিবিসি ও চ্যানেল-৪ নিউজ এসব সীমিত কাভারেজে অংশ নেয়। কয়েকজন মার্কিন সাংবাদিকও অনুরূপ অনুমতি পেয়েছিলেন।
তবে এই প্রবেশাধিকার ছিল খুবই সীমিত। এবিসি অস্ট্রেলিয়ার একটি টিম ২০২৫ সালের আগস্টে বারবার আবেদন করার পর অবশেষে সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ গাজার কেরেম শালোম সাহায্যকেন্দ্র সফরের সুযোগ পায়।
এবিসি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ ডোরান তাঁর প্রতিবেদনে লেখেন, এই সফরগুলো ‘অত্যন্ত পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত’ ছিল। তবু তিনি সফরে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি দেখতে চেয়েছিলেন, গাজার জনগণকে সাহায্য করার নামে ইসরায়েল আসলে কী করে, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ও বিশ্বনেতারা প্রশ্ন তুলেছেন।
ডোরান বলেন, ‘আমাদের সেই ছোট দলে ছিলেন এক ইসরায়েলি গণমাধ্যম প্রতিনিধি, এক লেখক ও কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। তাঁরা মূলত ইসরায়েলপন্থী বার্তা ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী ছিলেন।’
গত দুই বছরে বিভিন্ন সংস্থা গাজায় সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেরুজালেমের ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (এফপিএ) ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সংস্থাটি জানায়, তারা এক বছর আগে দ্বিতীয় পিটিশন জমা দিয়েছিল, কিন্তু আদালত সরকারের অনুরোধে বারবার শুনানি পিছিয়ে দিচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস’ ও ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস’ (সিপিজে) এ বিষয়ে একাধিক আবেদন করে। তারা একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ড বন্ধেরও দাবি তুলেছিল। কিন্তু কোনো আবেদনেই কাজ হয়নি।
সিপিজের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় অন্তত ১৯২ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন সাংবাদিককে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হয়েছে বলে সিপিজের ধারণা। সংস্থাটি বলেছে, এটি সাংবাদিকদের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত।
তবে ইসরায়েল সাংবাদিকদের টার্গেট করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উল্টো তারা কিছু ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে ‘সন্ত্রাসী’ বলে দাবি করেছে। সিপিজে বলেছে, ইসরায়েল যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই সাংবাদিকদের ‘যোদ্ধা’ বা ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিচ্ছে, যা বন্ধ করা উচিত।
সেপ্টেম্বরে বিবিসি, এএফপি, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও রয়টার্স যৌথভাবে একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের জন্য গাজা উন্মুক্ত করার আহ্বান জানায়। ভিডিওতে উপস্থাপক ডেভিড ডিম্বলবি বলেন, ‘আমরা চাই, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দিক, যাতে তাঁরা গাজার ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারেন এবং বিশ্ববাসীর সামনে সত্য তুলে ধরতে পারেন।’
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বর্তমান অবস্থায় পরিস্থিতির পরিবর্তন শিগগির হবে না। অনেকে ব্যঙ্গ করে বলছেন—হয়তো প্রথমবারের মতো গাজায় আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার তখনই মিলবে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেস ক্যারাভ্যান’ সেখানে গিয়ে ট্রাম্পের কল্পিত গাজা রিভিয়েরা পুনর্গঠনের চিত্র ধারণ করবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শীর্ষ কর্তারা বলছেন, নিকট ভবিষ্যতেও এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির গ্লোবাল নিউজ ডিরেক্টর ফিল চেটউইন্ড বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বাধীন গণমাধ্যমকে দূরে রাখা বা তাদের টার্গেট করা হলে বুঝতে হবে এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে। আমাদের বলা হচ্ছে—এটা আমাদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু সাংবাদিকেরা গত ১০০ বছর ধরে যুদ্ধ কাভার করছেন, ঝুঁকি নিতে তাঁরা প্রস্তুত। তারপরও গাজায় সাংবাদিক প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর কারণ, তারা যুদ্ধ ও সামরিক অভিযানের পূর্ণ চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে আসতে দিতে চায় না।’
চেটউইন্ড বলেন, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকেরা অসাধারণ কাজ করছেন। কিন্তু এএফপির পুরো গাজা টিমকে এক বছরেরও বেশি আগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা আবারও গাজায় ফিরে যেতে চান। নতুন চোখে মাঠের বাস্তবতা দেখা দরকার।
গত দুই বছরে ইসরায়েল শুধু ‘এম্বেডেড’ বা সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে সাংবাদিকদের গাজায় ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর কিছু ব্রিটিশ গণমাধ্যম—যেমন বিবিসি ও চ্যানেল-৪ নিউজ এসব সীমিত কাভারেজে অংশ নেয়। কয়েকজন মার্কিন সাংবাদিকও অনুরূপ অনুমতি পেয়েছিলেন।
তবে এই প্রবেশাধিকার ছিল খুবই সীমিত। এবিসি অস্ট্রেলিয়ার একটি টিম ২০২৫ সালের আগস্টে বারবার আবেদন করার পর অবশেষে সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ গাজার কেরেম শালোম সাহায্যকেন্দ্র সফরের সুযোগ পায়।
এবিসি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ ডোরান তাঁর প্রতিবেদনে লেখেন, এই সফরগুলো ‘অত্যন্ত পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত’ ছিল। তবু তিনি সফরে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি দেখতে চেয়েছিলেন, গাজার জনগণকে সাহায্য করার নামে ইসরায়েল আসলে কী করে, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ও বিশ্বনেতারা প্রশ্ন তুলেছেন।
ডোরান বলেন, ‘আমাদের সেই ছোট দলে ছিলেন এক ইসরায়েলি গণমাধ্যম প্রতিনিধি, এক লেখক ও কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। তাঁরা মূলত ইসরায়েলপন্থী বার্তা ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী ছিলেন।’
গত দুই বছরে বিভিন্ন সংস্থা গাজায় সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেরুজালেমের ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (এফপিএ) ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সংস্থাটি জানায়, তারা এক বছর আগে দ্বিতীয় পিটিশন জমা দিয়েছিল, কিন্তু আদালত সরকারের অনুরোধে বারবার শুনানি পিছিয়ে দিচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস’ ও ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস’ (সিপিজে) এ বিষয়ে একাধিক আবেদন করে। তারা একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ড বন্ধেরও দাবি তুলেছিল। কিন্তু কোনো আবেদনেই কাজ হয়নি।
সিপিজের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় অন্তত ১৯২ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন সাংবাদিককে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হয়েছে বলে সিপিজের ধারণা। সংস্থাটি বলেছে, এটি সাংবাদিকদের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত।
তবে ইসরায়েল সাংবাদিকদের টার্গেট করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উল্টো তারা কিছু ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে ‘সন্ত্রাসী’ বলে দাবি করেছে। সিপিজে বলেছে, ইসরায়েল যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই সাংবাদিকদের ‘যোদ্ধা’ বা ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিচ্ছে, যা বন্ধ করা উচিত।
সেপ্টেম্বরে বিবিসি, এএফপি, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও রয়টার্স যৌথভাবে একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের জন্য গাজা উন্মুক্ত করার আহ্বান জানায়। ভিডিওতে উপস্থাপক ডেভিড ডিম্বলবি বলেন, ‘আমরা চাই, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দিক, যাতে তাঁরা গাজার ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারেন এবং বিশ্ববাসীর সামনে সত্য তুলে ধরতে পারেন।’
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বর্তমান অবস্থায় পরিস্থিতির পরিবর্তন শিগগির হবে না। অনেকে ব্যঙ্গ করে বলছেন—হয়তো প্রথমবারের মতো গাজায় আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার তখনই মিলবে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেস ক্যারাভ্যান’ সেখানে গিয়ে ট্রাম্পের কল্পিত গাজা রিভিয়েরা পুনর্গঠনের চিত্র ধারণ করবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শীর্ষ কর্তারা বলছেন, নিকট ভবিষ্যতেও এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির গ্লোবাল নিউজ ডিরেক্টর ফিল চেটউইন্ড বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বাধীন গণমাধ্যমকে দূরে রাখা বা তাদের টার্গেট করা হলে বুঝতে হবে এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে। আমাদের বলা হচ্ছে—এটা আমাদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু সাংবাদিকেরা গত ১০০ বছর ধরে যুদ্ধ কাভার করছেন, ঝুঁকি নিতে তাঁরা প্রস্তুত। তারপরও গাজায় সাংবাদিক প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর কারণ, তারা যুদ্ধ ও সামরিক অভিযানের পূর্ণ চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে আসতে দিতে চায় না।’
চেটউইন্ড বলেন, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকেরা অসাধারণ কাজ করছেন। কিন্তু এএফপির পুরো গাজা টিমকে এক বছরেরও বেশি আগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা আবারও গাজায় ফিরে যেতে চান। নতুন চোখে মাঠের বাস্তবতা দেখা দরকার।
গত দুই বছরে ইসরায়েল শুধু ‘এম্বেডেড’ বা সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে সাংবাদিকদের গাজায় ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর কিছু ব্রিটিশ গণমাধ্যম—যেমন বিবিসি ও চ্যানেল-৪ নিউজ এসব সীমিত কাভারেজে অংশ নেয়। কয়েকজন মার্কিন সাংবাদিকও অনুরূপ অনুমতি পেয়েছিলেন।
তবে এই প্রবেশাধিকার ছিল খুবই সীমিত। এবিসি অস্ট্রেলিয়ার একটি টিম ২০২৫ সালের আগস্টে বারবার আবেদন করার পর অবশেষে সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ গাজার কেরেম শালোম সাহায্যকেন্দ্র সফরের সুযোগ পায়।
এবিসি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ ডোরান তাঁর প্রতিবেদনে লেখেন, এই সফরগুলো ‘অত্যন্ত পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত’ ছিল। তবু তিনি সফরে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি দেখতে চেয়েছিলেন, গাজার জনগণকে সাহায্য করার নামে ইসরায়েল আসলে কী করে, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ও বিশ্বনেতারা প্রশ্ন তুলেছেন।
ডোরান বলেন, ‘আমাদের সেই ছোট দলে ছিলেন এক ইসরায়েলি গণমাধ্যম প্রতিনিধি, এক লেখক ও কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। তাঁরা মূলত ইসরায়েলপন্থী বার্তা ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী ছিলেন।’
গত দুই বছরে বিভিন্ন সংস্থা গাজায় সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেরুজালেমের ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (এফপিএ) ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সংস্থাটি জানায়, তারা এক বছর আগে দ্বিতীয় পিটিশন জমা দিয়েছিল, কিন্তু আদালত সরকারের অনুরোধে বারবার শুনানি পিছিয়ে দিচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস’ ও ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস’ (সিপিজে) এ বিষয়ে একাধিক আবেদন করে। তারা একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ড বন্ধেরও দাবি তুলেছিল। কিন্তু কোনো আবেদনেই কাজ হয়নি।
সিপিজের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় অন্তত ১৯২ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন সাংবাদিককে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হয়েছে বলে সিপিজের ধারণা। সংস্থাটি বলেছে, এটি সাংবাদিকদের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত।
তবে ইসরায়েল সাংবাদিকদের টার্গেট করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উল্টো তারা কিছু ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে ‘সন্ত্রাসী’ বলে দাবি করেছে। সিপিজে বলেছে, ইসরায়েল যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই সাংবাদিকদের ‘যোদ্ধা’ বা ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিচ্ছে, যা বন্ধ করা উচিত।
সেপ্টেম্বরে বিবিসি, এএফপি, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও রয়টার্স যৌথভাবে একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের জন্য গাজা উন্মুক্ত করার আহ্বান জানায়। ভিডিওতে উপস্থাপক ডেভিড ডিম্বলবি বলেন, ‘আমরা চাই, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দিক, যাতে তাঁরা গাজার ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারেন এবং বিশ্ববাসীর সামনে সত্য তুলে ধরতে পারেন।’
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বর্তমান অবস্থায় পরিস্থিতির পরিবর্তন শিগগির হবে না। অনেকে ব্যঙ্গ করে বলছেন—হয়তো প্রথমবারের মতো গাজায় আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার তখনই মিলবে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেস ক্যারাভ্যান’ সেখানে গিয়ে ট্রাম্পের কল্পিত গাজা রিভিয়েরা পুনর্গঠনের চিত্র ধারণ করবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শীর্ষ কর্তারা বলছেন, নিকট ভবিষ্যতেও এই অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির গ্লোবাল নিউজ ডিরেক্টর ফিল চেটউইন্ড বলেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বাধীন গণমাধ্যমকে দূরে রাখা বা তাদের টার্গেট করা হলে বুঝতে হবে এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে। আমাদের বলা হচ্ছে—এটা আমাদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু সাংবাদিকেরা গত ১০০ বছর ধরে যুদ্ধ কাভার করছেন, ঝুঁকি নিতে তাঁরা প্রস্তুত। তারপরও গাজায় সাংবাদিক প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এর কারণ, তারা যুদ্ধ ও সামরিক অভিযানের পূর্ণ চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে আসতে দিতে চায় না।’
চেটউইন্ড বলেন, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকেরা অসাধারণ কাজ করছেন। কিন্তু এএফপির পুরো গাজা টিমকে এক বছরেরও বেশি আগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা আবারও গাজায় ফিরে যেতে চান। নতুন চোখে মাঠের বাস্তবতা দেখা দরকার।
গত দুই বছরে ইসরায়েল শুধু ‘এম্বেডেড’ বা সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে সাংবাদিকদের গাজায় ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর কিছু ব্রিটিশ গণমাধ্যম—যেমন বিবিসি ও চ্যানেল-৪ নিউজ এসব সীমিত কাভারেজে অংশ নেয়। কয়েকজন মার্কিন সাংবাদিকও অনুরূপ অনুমতি পেয়েছিলেন।
তবে এই প্রবেশাধিকার ছিল খুবই সীমিত। এবিসি অস্ট্রেলিয়ার একটি টিম ২০২৫ সালের আগস্টে বারবার আবেদন করার পর অবশেষে সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ গাজার কেরেম শালোম সাহায্যকেন্দ্র সফরের সুযোগ পায়।
এবিসি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ ডোরান তাঁর প্রতিবেদনে লেখেন, এই সফরগুলো ‘অত্যন্ত পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত’ ছিল। তবু তিনি সফরে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি দেখতে চেয়েছিলেন, গাজার জনগণকে সাহায্য করার নামে ইসরায়েল আসলে কী করে, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা ও বিশ্বনেতারা প্রশ্ন তুলেছেন।
ডোরান বলেন, ‘আমাদের সেই ছোট দলে ছিলেন এক ইসরায়েলি গণমাধ্যম প্রতিনিধি, এক লেখক ও কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। তাঁরা মূলত ইসরায়েলপন্থী বার্তা ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী ছিলেন।’
গত দুই বছরে বিভিন্ন সংস্থা গাজায় সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেরুজালেমের ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (এফপিএ) ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সংস্থাটি জানায়, তারা এক বছর আগে দ্বিতীয় পিটিশন জমা দিয়েছিল, কিন্তু আদালত সরকারের অনুরোধে বারবার শুনানি পিছিয়ে দিচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস’ ও ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস’ (সিপিজে) এ বিষয়ে একাধিক আবেদন করে। তারা একই সঙ্গে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ড বন্ধেরও দাবি তুলেছিল। কিন্তু কোনো আবেদনেই কাজ হয়নি।
সিপিজের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় অন্তত ১৯২ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ জন সাংবাদিককে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হয়েছে বলে সিপিজের ধারণা। সংস্থাটি বলেছে, এটি সাংবাদিকদের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত।
তবে ইসরায়েল সাংবাদিকদের টার্গেট করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উল্টো তারা কিছু ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে ‘সন্ত্রাসী’ বলে দাবি করেছে। সিপিজে বলেছে, ইসরায়েল যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই সাংবাদিকদের ‘যোদ্ধা’ বা ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিচ্ছে, যা বন্ধ করা উচিত।
সেপ্টেম্বরে বিবিসি, এএফপি, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ও রয়টার্স যৌথভাবে একটি ভিডিও প্রকাশ করে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের জন্য গাজা উন্মুক্ত করার আহ্বান জানায়। ভিডিওতে উপস্থাপক ডেভিড ডিম্বলবি বলেন, ‘আমরা চাই, ইসরায়েল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দিক, যাতে তাঁরা গাজার ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারেন এবং বিশ্ববাসীর সামনে সত্য তুলে ধরতে পারেন।’
তবে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বর্তমান অবস্থায় পরিস্থিতির পরিবর্তন শিগগির হবে না। অনেকে ব্যঙ্গ করে বলছেন—হয়তো প্রথমবারের মতো গাজায় আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার তখনই মিলবে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেস ক্যারাভ্যান’ সেখানে গিয়ে ট্রাম্পের কল্পিত গাজা রিভিয়েরা পুনর্গঠনের চিত্র ধারণ করবে।

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৬ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
৬ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, মেক্সিকো উপসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী রুটে চলাচল করে ওই ট্রেন। ট্রেনটিতে ২৪১ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু ছিলেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, নিজান্দা শহরের কাছে একটি বাঁক ঘোরার সময় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আরও জানান, নেভির সেক্রেটারিসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা লাইনচ্যুত ট্রেন থেকে যাত্রীদের নামতে সহায়তা করছেন। ট্রেনটি রেললাইন থেকে ছিটকে পড়ে আংশিকভাবে একটি খাদের পাশে কাত হয়ে যায়।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের বন্দর সালিনা ক্রুজকে উপসাগরীয় উপকূলের কোয়াটজাকোয়ালকোসের সঙ্গে যুক্ত করা ‘ইন্টারওশেনিক’ (Interoceanic) ট্রেনটিতে দুটি লোকোমোটিভ ও চারটি যাত্রীবাহী বগি ছিল। মেক্সিকোর নৌবাহিনী দেশটির রেলওয়ে নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে।
ওয়াহাকা রাজ্যের গভর্নর সলোমোন জারা ক্রুজ এক বিবৃতিতে দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় রাজ্য সরকার ফেডারেল সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
আঞ্চলিক অর্থনীতি চাঙা করতে সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের উদ্যোগে দুই বছর আগে ইন্টারওশেনিক রেলসংযোগটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।
আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী দূরত্ব কমিয়ে আনতে তেহুয়ান্তেপেক ইস্থমাস এলাকাজুড়ে রেল যোগাযোগ আধুনিকায়নের লক্ষ্যে অঞ্চলটিকে একটি কৌশলগত বাণিজ্য করিডোরে রূপ দিতে চেয়েছে মেক্সিকো সরকার। এর অংশ হিসেবে বন্দর, রেলপথ ও শিল্প অবকাঠামো সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এই রেল পরিষেবাটি দক্ষিণ মেক্সিকোতে যাত্রী ও পণ্যবাহী রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় অংশ।

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, মেক্সিকো উপসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী রুটে চলাচল করে ওই ট্রেন। ট্রেনটিতে ২৪১ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু ছিলেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, নিজান্দা শহরের কাছে একটি বাঁক ঘোরার সময় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আরও জানান, নেভির সেক্রেটারিসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা লাইনচ্যুত ট্রেন থেকে যাত্রীদের নামতে সহায়তা করছেন। ট্রেনটি রেললাইন থেকে ছিটকে পড়ে আংশিকভাবে একটি খাদের পাশে কাত হয়ে যায়।
নৌবাহিনী জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের বন্দর সালিনা ক্রুজকে উপসাগরীয় উপকূলের কোয়াটজাকোয়ালকোসের সঙ্গে যুক্ত করা ‘ইন্টারওশেনিক’ (Interoceanic) ট্রেনটিতে দুটি লোকোমোটিভ ও চারটি যাত্রীবাহী বগি ছিল। মেক্সিকোর নৌবাহিনী দেশটির রেলওয়ে নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে।
ওয়াহাকা রাজ্যের গভর্নর সলোমোন জারা ক্রুজ এক বিবৃতিতে দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় রাজ্য সরকার ফেডারেল সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।
আঞ্চলিক অর্থনীতি চাঙা করতে সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের উদ্যোগে দুই বছর আগে ইন্টারওশেনিক রেলসংযোগটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।
আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী দূরত্ব কমিয়ে আনতে তেহুয়ান্তেপেক ইস্থমাস এলাকাজুড়ে রেল যোগাযোগ আধুনিকায়নের লক্ষ্যে অঞ্চলটিকে একটি কৌশলগত বাণিজ্য করিডোরে রূপ দিতে চেয়েছে মেক্সিকো সরকার। এর অংশ হিসেবে বন্দর, রেলপথ ও শিল্প অবকাঠামো সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এই রেল পরিষেবাটি দক্ষিণ মেক্সিকোতে যাত্রী ও পণ্যবাহী রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় অংশ।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৬ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
৬ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
শহরটির ফায়ার অ্যান্ড রেস্কিউ এজেন্সির প্রধান জিমি রোটিনসুলু জানান, নার্সিং হোমটিতে স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৩১ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
জিমি জানান, ভুক্তভোগীদের অনেক দেহ তাঁদের ঘরের ভেতরেই পাওয়া গেছে। তিনি আরও যোগ করেন, সন্ধ্যায় যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন বয়স্ক বাসিন্দাদের অনেকেই সম্ভবত তাদের নিজ নিজ ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যম মেট্রো টিভি-তে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন নার্সিং হোমটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে নিয়েছে এবং স্থানীয়রা এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছেন।
১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুব একটা বিরল নয়। চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২২ জন নিহত হন। ২০২৩ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি নিকেল প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
শহরটির ফায়ার অ্যান্ড রেস্কিউ এজেন্সির প্রধান জিমি রোটিনসুলু জানান, নার্সিং হোমটিতে স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৩১ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
জিমি জানান, ভুক্তভোগীদের অনেক দেহ তাঁদের ঘরের ভেতরেই পাওয়া গেছে। তিনি আরও যোগ করেন, সন্ধ্যায় যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন বয়স্ক বাসিন্দাদের অনেকেই সম্ভবত তাদের নিজ নিজ ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যম মেট্রো টিভি-তে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন নার্সিং হোমটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে নিয়েছে এবং স্থানীয়রা এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছেন।
১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুব একটা বিরল নয়। চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২২ জন নিহত হন। ২০২৩ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি নিকেল প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
৬ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
এছাড়া, শিল্পজাত হেম্প ও হেম্প বীজের তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল (CBD) ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (THC)-এর ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নথি বরাতে দ্য ডন জানিয়েছে, সিআরএ গাঁজা চাষের লাইসেন্স ফি ৬ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করেছে এবং গাঁজা প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ১৫ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ১০ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া হেম্প প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ৭ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলের ওপর আবগারি শুল্ক প্রতি কেজিতে ৩ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার রুপি করা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর আবগারি, কর ও মাদকদ্রব্য বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, ওই বৈঠকটি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতা ছিল, যেখানে এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
নথি অনুযায়ী, সিআরএ-এর বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়ার জন্য প্রস্তাবিত হেম্প মডেল কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আবগারি, কর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব জোর দিয়ে বলেন, ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করা এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত মডেলটি আরও সরল করা প্রয়োজন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে হেম্প চাষের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে।
হেম্প চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি) নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ফরম, পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন ফরমসহ অন্যান্য বাধ্যতামূলক রেজিস্টার অনুমোদন করেছে সিআরএ।
শিল্প ও কৃষকদের যৌথ উদ্যোগে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট (বিওআই) এবং শিল্প বিভাগ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কৃষকদের নিবন্ধন ব্যক্তিগত বা সমবায় কোম্পানি হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
হেম্প বীজ আমদানি ও এর শংসাপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ আপাতত স্থগিত রাখা হবে এবং ওষুধ শিল্পের প্রয়োজনীয় গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও এর পণ্য ব্যবস্থাপনা পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির (ডিআরএপি) চাহিদা ও মানদণ্ডের আলোকে বিবেচনা করা হবে।
নথিতে আরও বলা হয়, ক্যানাবিস মডেল প্রণয়ন এবং ক্যানাবিস সংক্রান্ত বিধিবিধান পুনর্বিবেচনার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হবে।

গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
এছাড়া, শিল্পজাত হেম্প ও হেম্প বীজের তেলের ওপর থেকে আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল (CBD) ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (THC)-এর ওপর আবগারি শুল্ক বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সরকারি নথি বরাতে দ্য ডন জানিয়েছে, সিআরএ গাঁজা চাষের লাইসেন্স ফি ৬ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করেছে এবং গাঁজা প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ১৫ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ১০ লাখ রুপি নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া হেম্প প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্স ফি ৭ লাখ রুপি থেকে কমিয়ে ৫ লাখ রুপি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফুল-স্পেকট্রাম ক্যানাবিডিওল ও টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনলের ওপর আবগারি শুল্ক প্রতি কেজিতে ৩ হাজার রুপি থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার রুপি করা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ২২ ডিসেম্বর আবগারি, কর ও মাদকদ্রব্য বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে আরও বলা হয়, ওই বৈঠকটি ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-কমিটির বৈঠকের ধারাবাহিকতা ছিল, যেখানে এসব পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল।
নথি অনুযায়ী, সিআরএ-এর বৈঠকে খাইবার পাখতুনখোয়ার জন্য প্রস্তাবিত হেম্প মডেল কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আবগারি, কর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য সচিব জোর দিয়ে বলেন, ব্যবসা পরিচালনাকে সহজ করা এবং বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে প্রস্তাবিত মডেলটি আরও সরল করা প্রয়োজন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পরীক্ষামূলকভাবে হেম্প চাষের লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কৃষকদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে।
হেম্প চাষ ও প্রক্রিয়াকরণের লাইসেন্সের আবেদন ফরম, টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল (টিএইচসি) নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ফরম, পর্যায়ক্রমিক পরিদর্শন ফরমসহ অন্যান্য বাধ্যতামূলক রেজিস্টার অনুমোদন করেছে সিআরএ।
শিল্প ও কৃষকদের যৌথ উদ্যোগে বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট (বিওআই) এবং শিল্প বিভাগ সহায়তা প্রদানের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কৃষকদের নিবন্ধন ব্যক্তিগত বা সমবায় কোম্পানি হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে।
হেম্প বীজ আমদানি ও এর শংসাপত্রের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াকরণ আপাতত স্থগিত রাখা হবে এবং ওষুধ শিল্পের প্রয়োজনীয় গাঁজা নিয়ন্ত্রণ ও এর পণ্য ব্যবস্থাপনা পাকিস্তানের ড্রাগ রেগুলেটরি অথরিটির (ডিআরএপি) চাহিদা ও মানদণ্ডের আলোকে বিবেচনা করা হবে।
নথিতে আরও বলা হয়, ক্যানাবিস মডেল প্রণয়ন এবং ক্যানাবিস সংক্রান্ত বিধিবিধান পুনর্বিবেচনার জন্য ১৫ দিনের মধ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৬ ঘণ্টা আগে
লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে গত শনিবার একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদে আয়োজিত এই সমাবেশে স্বাধীন খালিস্তানপন্থী শিখ অধিকার কর্মী এবং একদল হিন্দু বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রিটিশ পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি দৈনিক ডন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশে খালিস্তান রেফারেন্ডাম অভিযানের সমন্বয়ক পরমজিৎ সিং পাম্মা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে হরদীপ সিং নিজ্জার এবং শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি দেখা গেছে। সমাবেশের একপর্যায়ে ভারতীয় এক হিন্দু বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পাম্মার কথা-কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে সেখানে দায়িত্বরত মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন এবং দুই পক্ষকে আলাদা করে দেন।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রবেশপথের কাছে একটি কর্ডন তৈরি করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যান। এ সময় তাঁরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন। বিশেষ করে হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা এবং অন্যান্য শিখ নেতাদের খুনের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পরমজিৎ সিং পাম্মাকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট’ বা অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করলেও পাম্মা ও তাঁর সমর্থকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
গত বছরের জুনে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার খুন হওয়ার পর থেকে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার ধারণ করেছে। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
লন্ডনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সেই বৈশ্বিক উত্তেজনার ছায়া দেখা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
খালিস্তান আন্দোলনের শিকড় ১৯৪৭ সালের ভারত ভাগ এবং পাঞ্জাব বিভাজনের সময় পর্যন্ত বিস্তৃত। স্বাধীন শিখ রাষ্ট্রের দাবিতে এই আন্দোলন দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে। এই আন্দোলন বর্তমানে বৈশ্বিক রাজনীতিতে ভারত-কানাডা এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সারা বিশ্বের গণমাধ্যম ব্যস্ত মুক্ত ইসরায়েলি বন্দী, মুক্ত ফিলিস্তিনি বন্দী ও তাঁদের পরিবারের গল্প তুলে ধরতে। তবে এসব সংবাদ তারা যুদ্ধের মূল কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করছে, কারণ, ইসরায়েল এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
১৬ অক্টোবর ২০২৫
মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৬ ঘণ্টা আগে
গাঁজা চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লাইসেন্স ফি কমানোর অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় গাঁজা চাষের এই ফি কমাচ্ছে ক্যানাবিস রেগুলেটরি অথরিটি (সিআরএ)।
৬ ঘণ্টা আগে