Ajker Patrika

বাবার হাতে ইউটিউবার তিবা আলী খুন, ইরাকে নারীবিদ্বেষই এর কারণ?

আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫: ০৫
বাবার হাতে ইউটিউবার তিবা আলী খুন, ইরাকে নারীবিদ্বেষই এর কারণ?

তারুণ্য-সজীবতায় ভরা চঞ্চল স্বভাবের ইউটিউবার তিবা আল-আলি। নিজের জীবনের মজাদার ভিডিও তৈরি করে তিনি জনপ্রিয় হয়েছিলেন। কিন্তু এই জনপ্রিয়তাই তাঁর জীবন কেড়ে নিল। অনার কিলিং বা পরিবার ও সমাজের মুখ রক্ষায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তিনি। বাবা তাঁকে খুন করেছেন।

২০১৭ সালে ১৭ বছর বয়সে ইরাক থেকে তুরস্কে গিয়েই ইউটিউবে ভিডিও বানানো শুরু করেন তিনি। সেখানে নিজের স্বাধীনতা, বিয়ে, মেকআপসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিজ দেশ ইরাকে যান তিবা। সেখানে বাবার সঙ্গে নানা বিষয়ে মতের মিল হয়নি তাঁর। তাতেই জীবনের যবনিকাপাত হলো। বাবার হাতেই মৃত্যু হয় তিবার।

এই ইউটিউবারের বাবা তায়িপ আলিকে মাত্র ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন দেশটির আদালত। বাবার হাতে তিবার মৃত্যু, অনার কিলিংয়ের বিষয় নিয়ে আদালতের রায়ের পর দেশটিতে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকে নারীদের কোন চোখে দেখা হয়, তা তিবার মৃত্যুর ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেছে। সেখানে এখনো কোন মাত্রায় রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি বিরাজ করছে, তাও তুলে ধরা হয়েছে।

ইরাক ছেড়ে তুরস্কে যাওয়া কিংবা সিরীয় বংশোদ্ভূতকে বিয়ে—এসবের কিছুই মানতে পারেননি তিবার বাবা। বাবার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিবা। ৩১ জানুয়ারি শ্বাসরোধে তিবাকে হত্যা করেন তায়িপ আলি। এরপর পুলিশের কাছে নিজেই ধরা দেন। এপ্রিলে মাত্র ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তায়িপ আলিকে।

তিবাকে হত্যার পর অনার কিলিং নিয়ে বিদ্যমান আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানিয়ে আসছে হাজার হাজার নারী। মৃত্যুর পর তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতিদিনই ভিডিও পোস্ট করতেন তিনি। তুরস্কে যে স্বাধীনতা ভোগ করতেন তা যে ইরাকে সম্ভব নয়, সে কথাও বলেছেন তিনি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতা ও অপরাধের ক্ষেত্রে অনার কিলিং বা সম্মান রক্ষার্থে খুনের শাস্তি প্রশমিত করাকে অনুমোদন করে ইরাক। কোনো উসকানি কিংবা ‘সম্মান রক্ষার’ উদ্দেশ্য থাকলে সেই খুনের শাস্তি কমানোর কথা বলা হয়েছে।

ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল সাদ মান বলেন, ‘তিবা আল-আলি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। আইনের দৃষ্টিতে এটি একটি অপরাধমূলক দুর্ঘটনা এবং অন্যভাবে দেখলে, এটা অনার কিলিং। ঘটনার আগের দিন তিবা ও তার বাবার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছিল। স্থানীয় পুলিশকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল।’

এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের অবস্থান জানতে চাইলে জেনারেল সাদ মান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছে, সঙ্গে সঙ্গে আইনের প্রয়োগও ঘটিয়েছে। তারা প্রাথমিক ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে, সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ করেছে এবং সাজা দেওয়ার জন্য ফাইলটি বিচার বিভাগের কাছে পাঠিয়েছে।

তিবার মৃত্যু এবং তাঁর বাবাকে দেওয়া লঘুদণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরাকের হাজারো নারী। ইরাকের আইনে পারিবারিক সহিংসতা থেকে মেয়ে ও নারীদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা নেই জানিয়ে বিশ্বজুড়ে আন্দোলন করেছেন নারী অধিকার কর্মীরা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ইরাকের দণ্ডবিধির ৪১ অনুচ্ছেদে ‘স্বামীর দ্বারা স্ত্রীর শাস্তি’ এবং ‘বাবা-মায়ের দ্বারা...নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে তাদের কর্তৃত্বাধীন শিশুদের শাসনকে’ আইনগত অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

৪০৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি তাঁর স্ত্রীকে পরপুরুষের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় এবং অবিলম্বে তাঁদের একজন বা দুজনকেই হত্যা করে, বা তাদের মারধর করে পঙ্গু বানিয়ে ফেলে; তবে তার শাস্তি তিন বছরের বেশি হবে না।

নারী অধিকারকর্মী ড. লেয়লা হুসেইন বিবিসিকে বলেন, এসব খুনের উৎস নারীবিদ্বেষ এবং নারীদের শরীর ও আচরণকে নিয়ন্ত্রণের আকাঙ্ক্ষা। ‘অনার কিলিং’ শব্দটির ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই ভিকটিম এবং তাদের পরিবারের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই শব্দ ব্যবহার করে ‘ভিকটিম তার মৃত্যুর জন্য নিজেই দায়ী, খুব বাজে কোনো কাজ করে তার মৃত্যু হয়েছে’—এমন ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রতিবছর অনার কিলিংয়ের শিকার হয়ে পরিবারের সদস্যদের দ্বারা খুন হন বিশ্বের প্রায় ৫ হাজার নারী।

তিবার মৃত্যুর পাঁচ দিন পর বাগদাদের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কোর্টের সামনে বিক্ষোভরত ২০ জন নারী অধিকারকর্মীকে আটক করেছে ইরাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘নারী হত্যা বন্ধ করুন। নারীদের হত্যা করায় কোনো সম্মান নেই।’

ইরাকের মানবাধিকারকর্মী রুয়া খালাফের মতে, তিবার বাবাকে দেওয়া শাস্তি অন্যায়। এবং তিনি এজাতীয় মামলাকে নারী অধিকার লঙ্ঘনকারী বিধান এবং আইনের প্রমাণ হিসেবে দেখেছেন। খালাফ বলেন, ‘ইরাকি আইনের ব্যাপক উন্নতি, সংশোধন এবং আন্তর্জাতিক কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান অত্যন্ত জরুরি।’

নারী অধিকারকর্মী ইরাকি আইনজীবী হানান আবদেল খালেক বলেছেন, ‘একটি সমাধান খুঁজে বের করতেই হবে। নারী হত্যা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। নারীদের হত্যা করা এখন খুবই সহজ হয়ে গেছে। শ্বাসরোধ, ছুরিকাঘাত করা এখানে অনেক সহজ। আমরা আশা করি, ৪০৯ নম্বর ধারাটি বাতিল করা হবে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নারীরা বলেছেন, তিবা হত্যা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তা ছাড়া, অনেক অনার কিলিংয়ের ঘটনা প্রকাশ পায়নি। নারীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আইনের ধারা আরও কঠোর করার দাবি কেবল ইরানেই নয়, উঠেছে বিশ্বের নানা দেশেও।

ইরাকি পার্লামেন্টে কুর্দিস্তান ব্লকের প্যাট্রিয়টিক ইউনিয়নের প্রধান আলা তালাবানি বলেছেন, ‘আমাদের সমাজে নারীরা আইনি বাধা এবং সরকারি পদক্ষেপের অনুপস্থিতির কারণে পশ্চাৎপদ প্রথার কাছে এখনো জিম্মি। বর্তমানে পারিবারিক সহিংসতা যে আকারে হচ্ছে, তা হ্রাস করার জন্য আইনি বাধা এবং সরকারি পদক্ষেপের অনুপস্থিতি কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’

পরিবারের সদস্যদের হত্যাসহ গুরুতর শারীরিক সহিংসতা থেকে রক্ষায় পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইনের খসড়া পাস করার আহ্বান জানান তিনি।

তিবা হত্যাকে ‘ঘৃণ্য’ আখ্যা দিয়ে ইরাকে জাতিসংঘের মিশন বলেছে, ইরাকে এখনো নারীদের প্রতি সহিংসতা ও অবিচারের সংস্কৃতি যে কতটা শক্তিশালী, এ ঘটনা সেটাই প্রকাশ করে। সেই সঙ্গে, নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে আইন ও নীতিগুলোকে সমর্থন করা, এই ধরনের অপরাধের সব অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা এবং নারীদের অধিকার সুরক্ষিত করার মাধ্যমে দায়মুক্তি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইরাকি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

পুরোনো আইনগুলো যে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে নারীদের আর লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে পারছে না, অনেকের কাছেই সেই ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করেছে তিবার গল্প। কিন্তু অন্যদের কাছে তিবা কেবল আরও একটি উদাহরণ, যাদের গল্প ঢেকে রাখা হয়; যাদের কথা বলা হয়নি কোনো দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এনসিপিতে আসিফ মাহমুদ, হলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘২০২৫’ নিয়ে ১৯৯৮ সালে করা আমেরিকানদের ভবিষ্যদ্বাণী কতটুকু মিলেছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০: ৫৭
ছবি: সিএনএন
ছবি: সিএনএন

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।

এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।

একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।

তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।

জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।

তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।

গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এনসিপিতে আসিফ মাহমুদ, হলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুতিনের বাসভবনে ড্রোন হামলার অভিযোগ—‘মিথ্যা’ বলছে ইউক্রেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি
ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।

লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’

জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।

এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।

রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এনসিপিতে আসিফ মাহমুদ, হলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তাইওয়ানকে ঘিরে ধরেছে চীনের যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মহড়ায় সরাসরি গুলির অনুশীলনও করা হচ্ছে। ছবি: চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড
মহড়ায় সরাসরি গুলির অনুশীলনও করা হচ্ছে। ছবি: চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।

চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।

এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এনসিপিতে আসিফ মাহমুদ, হলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৭ বছরের সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আপিল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। ছবি: এএফপি
ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।

আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।

আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।

আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।

আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।

আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।

প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।

এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।

ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এনসিপিতে আসিফ মাহমুদ, হলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত