Ajker Patrika

ইহুদিদের বিদেশ ভ্রমণে সতর্ক করল ইসরায়েল

ইহুদিদের বিদেশ ভ্রমণে সতর্ক করল ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে বিশ্বজুড়ে ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে গেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার তাঁদের বিদেশ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। 

এছাড়া যারা বাইরে যাবেন, তাঁদের নিজেদের ইহুদি ও ইসরায়েলি পরিচয় প্রকাশ না করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলিদের দেশ ছাড়ার আগে তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা মূল্যায়ন করা উচিত এবং দেশের বাইরে থাকাকালীন অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। 

এতে বলা হয়, ইসরায়েলি দূতাবাস, যেসব বিমানবন্দর ইসরায়েল থেকে ফ্লাইট নিয়ে আসে, সেই সঙ্গে ইহুদি সম্প্রদায় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ‘ইহুদিবিরোধী বিক্ষোভ ও হামলার চেষ্টার প্রধান টার্গেট’।

বিবৃতিতে ইসরায়েলিদের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করা দেশগুলোতে ভ্রমণ না করার আহ্বান জানানো হয়। বিশেষ করে আরব দেশ, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর ককেশাস এবং ইরানের সীমান্তবর্তী দেশগুলোতে ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। 

এতে আরও বলা হয়, যেসব দেশগুলোতে ভ্রমণে সতর্কতা নেই সেসব দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে  বিক্ষোভ ও সহিংসতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।   

এছাড়াও ইসরায়েলিদের ‘সেনাবাহিনীসহ ইসরায়েলি নিরাপত্তা সেবায় কাজ করার বিষয়ে’ অপরিচিতদের সঙ্গে আলোচনা করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে মিশর, জর্ডান এবং তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা বাড়িয়েছে এবং যেসব ইসরায়েলি এ দেশগুলোতে অবস্থান করছেন তাদের অবিলম্বে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। 

এর আগে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দাগেস্তানের একটি বিমানবন্দরে ইহুদি বিরোধী দাঙ্গার পর চলতি সপ্তাহের শুরুতে তারা বলেছিল, ইসরায়েলের নাগরিকদের রাশিয়ার উত্তর ককেশাস ভ্রমণ এড়িয়ে যাওয়া উচিত এবং যারা ইতিমধ্যে সেখানে রয়েছেন তাদের চলে যাওয়া উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২০২৫ সালে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত দেখলেন ৪০ যুদ্ধ কভার করা বিবিসি সাংবাদিক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: বিবিসি
ছবি: বিবিসি

বিশ্বজুড়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ ও সংঘাত কভার করা বিবিসির সাংবাদিক জন সিম্পসন বলেছেন, তাঁর দীর্ঘ পেশাগত জীবনে ২০২৫ সালের মতো উদ্বেগজনক বছর তিনি আর দেখেননি। ১৯৬০-এর দশক থেকে শুরু করে স্নায়ু যুদ্ধে চূড়ান্ত সময় ও এর পতন—সবই তিনি দেখেছেন। কিন্তু তাঁর মতে, চলতি বছরটি শুধু একাধিক বড় যুদ্ধের কারণে নয়, বরং এর ভূরাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ইতিহাসে আলাদা হয়ে উঠেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে, সেই বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। প্রায় ৬০ বছর ধরে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা থেকে সিম্পসনও মনে করেন—এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো আশঙ্কা করছে, পশ্চিমা বিশ্বের যোগাযোগব্যবস্থা সচল রাখা সমুদ্রতলের কেবলগুলো কেটে দিতে পারে রাশিয়া। একই সঙ্গে ন্যাটো দেশগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর রুশ ড্রোন নজরদারি ও সাইবার হামলার অভিযোগও উঠছে।

পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিদেশে আশ্রয় নেওয়া ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যাচেষ্টা চালাচ্ছে। ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের সলসবেরিতে সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপালের ওপর বিষপ্রয়োগের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এই হামলার অনুমোদন রাশিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনই এই হত্যাচেষ্টার অনুমোদন দিয়েছিলেন।

২০২৫ সালে বিশ্ব তিনটি বড় যুদ্ধে বিপর্যস্ত। এর মধ্যে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, শুধু ইউক্রেনে প্রায় ১৪ হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। আর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের পাল্টা অভিযানে এখন পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, সুদানে দুই সামরিক গোষ্ঠীর গৃহযুদ্ধে গত দুই বছরে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে এবং ঘরছাড়া হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করলেও সিম্পসনের মতে, এই যুদ্ধের স্থায়ী সমাধান এখনো হয়নি। তবে তিনি মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের গুরুত্ব অন্য সব সংঘাতের চেয়েও আলাদা। কারণ এটি সরাসরি বৈশ্বিক শান্তি ও শক্তির ভারসাম্যকে চ্যালেঞ্জ করছে।

সিম্পসনের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ কমে যাওয়া এবং ‘একঘরে’ নীতির দিকে ঝুঁকে পড়ার সুযোগ নিচ্ছে রাশিয়া। ২০২৬ সালে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। একই সঙ্গে চীন-তাইওয়ান প্রশ্নেও উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সব মিলিয়ে জন সিম্পসনের মতে, ভবিষ্যতের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়তো সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্রের সংঘর্ষ হবে না; বরং কূটনৈতিক চাপ, সামরিক চালচিত্র ও ক্ষমতার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে—যার পরিণতি হবে আরও ভয়াবহ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধে অগ্রগতি হলেও দনবাস ইস্যু এখনো অমীমাংসিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত দুই ঘণ্টার এই বৈঠকে শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে বলে দুই নেতাই দাবি করেছেন। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, পূর্ব ইউক্রেনের দনবাসের নিয়ন্ত্রণ এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মতো কিছু ‘জটিল ইস্যু’ এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

বৈঠকের পর আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জেলেনস্কি জানান, শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৫ বছরের নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়ে ঐকমত্য প্রায় ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে।

জেলেনস্কি বলেছেন, খসড়া নথিতে যুক্তরাষ্ট্র ১৫ বছরের মেয়াদে নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ইউক্রেন এই মেয়াদ ৩০ থেকে ৫০ বছর করার দাবি জানাচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে রাশিয়ার আক্রমণ স্থায়ীভাবে ঠেকানো যায়। এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকেও এই নিরাপত্তা প্রচেষ্টায় বড় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে বর্তমানে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দনবাস (দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক) অঞ্চল। রাশিয়া এই পুরো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ চায়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ইস্যুটিকে ‘অমীমাংসিত’ বললেও দাবি করেছেন, তাঁরা সমস্যা সমাধানের খুব কাছাকাছি আছেন।

জেলেনস্কি প্রস্তাব দিয়েছেন, যেকোনো শান্তি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার আগে ইউক্রেনে একটি গণভোট হওয়া উচিত। আর এই ভোটের জন্য কমপক্ষে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। তবে ক্রেমলিন এই ধরনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের ঠিক আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টা টেলিফোনে কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুতিন ও ট্রাম্প একমত হয়েছেন, ইউক্রেন ও ইউরোপের প্রস্তাবিত অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শুধু সংঘাতকেই দীর্ঘায়িত করবে।

পুতিন দাবি করেছেন, ইউক্রেনকে দনবাস, ঝাপোরিঝিয়া ও খেরসন থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে হবে এবং ন্যাটোতে যোগদানের আশা ত্যাগ করতে হবে।

জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি ‘ত্রিপক্ষীয় আলোচনার’ ইঙ্গিত দিয়েছেন। আগামী জানুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল এবং মার্কিন প্রতিনিধিদের মধ্যে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে আলোচনার মধ্যেও ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলা অব্যাহত রয়েছে। রোববার রাতে রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ২৫টি ড্রোন হামলা চালায়, যার মধ্যে ২১টি ভূপাতিত করার দাবি করেছে কিয়েভ। অন্যদিকে রাশিয়া ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে ৮৯টি ইউক্রেনীয় ইউএভি প্রতিহত করার কথা জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ১৩ জনের মৃত্যু, আহত শতাধিক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৯
মেক্সিকোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ছবি: বিবিসি
মেক্সিকোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ছবি: বিবিসি

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির নৌবাহিনীর বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াহাকা রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নৌবাহিনী জানিয়েছে, মেক্সিকো উপসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী রুটে চলাচল করে ওই ট্রেন। ট্রেনটিতে ২৪১ জন যাত্রী ও ৯ জন ক্রু ছিলেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, নিজান্দা শহরের কাছে একটি বাঁক ঘোরার সময় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।

ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আরও জানান, নেভির সেক্রেটারিসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন।

দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা লাইনচ্যুত ট্রেন থেকে যাত্রীদের নামতে সহায়তা করছেন। ট্রেনটি রেললাইন থেকে ছিটকে পড়ে আংশিকভাবে একটি খাদের পাশে কাত হয়ে যায়।

নৌবাহিনী জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের বন্দর সালিনা ক্রুজকে উপসাগরীয় উপকূলের কোয়াটজাকোয়ালকোসের সঙ্গে যুক্ত করা ‘ইন্টারওশেনিক’ (Interoceanic) ট্রেনটিতে দুটি লোকোমোটিভ ও চারটি যাত্রীবাহী বগি ছিল। মেক্সিকোর নৌবাহিনী দেশটির রেলওয়ে নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে।

ওয়াহাকা রাজ্যের গভর্নর সলোমোন জারা ক্রুজ এক বিবৃতিতে দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় রাজ্য সরকার ফেডারেল সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।

আঞ্চলিক অর্থনীতি চাঙা করতে সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের উদ্যোগে দুই বছর আগে ইন্টারওশেনিক রেলসংযোগটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।

আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী দূরত্ব কমিয়ে আনতে তেহুয়ান্তেপেক ইস্থমাস এলাকাজুড়ে রেল যোগাযোগ আধুনিকায়নের লক্ষ্যে অঞ্চলটিকে একটি কৌশলগত বাণিজ্য করিডোরে রূপ দিতে চেয়েছে মেক্সিকো সরকার। এর অংশ হিসেবে বন্দর, রেলপথ ও শিল্প অবকাঠামো সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এই রেল পরিষেবাটি দক্ষিণ মেক্সিকোতে যাত্রী ও পণ্যবাহী রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বড় অংশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইন্দোনেশিয়ায় নার্সিং হোমে আগুনে ১৬ জনের মৃত্যু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ায় একটি নার্সিং হোমে আগুন লেগে ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার এএফপির প্রতিবেদনে স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাতে জানানো হয়, উত্তর সুলাওয়েসি প্রদেশের রাজধানী মানাদোর একটি নার্সিং হোমে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

শহরটির ফায়ার অ্যান্ড রেস্কিউ এজেন্সির প্রধান জিমি রোটিনসুলু জানান, নার্সিং হোমটিতে স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টা ৩১ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৩ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।

জিমি জানান, ভুক্তভোগীদের অনেক দেহ তাঁদের ঘরের ভেতরেই পাওয়া গেছে। তিনি আরও যোগ করেন, সন্ধ্যায় যখন আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন বয়স্ক বাসিন্দাদের অনেকেই সম্ভবত তাদের নিজ নিজ ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।

কর্তৃপক্ষ ১২ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যম মেট্রো টিভি-তে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন নার্সিং হোমটিকে পুরোপুরি গ্রাস করে নিয়েছে এবং স্থানীয়রা এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে সরিয়ে নিতে সাহায্য করছেন।

১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খুব একটা বিরল নয়। চলতি মাসেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় একটি সাততলা অফিস ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২২ জন নিহত হন। ২০২৩ সালে দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি নিকেল প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত