Ajker Patrika

মার্কিন হামলার আশঙ্কায় ভেনেজুয়েলায় গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৫
ভেনেজুয়েলার সামরিক বাহিনী । ছবি: সংগৃহীত
ভেনেজুয়েলার সামরিক বাহিনী । ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো হামলার ক্ষেত্রে গেরিলা কৌশলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা বা দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করছে ভেনেজুয়েলা। এ সংক্রান্ত একাধিক নথি ও বিভিন্ন সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে। এই কৌশলের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলা সরকার এরই মধ্যে পুরোনো রুশ অস্ত্র মোতায়েন শুরু করেছে।

বিশ্লেষকেরা এই পদক্ষেপকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির সামরিক জনবল ও সরঞ্জামের ঘাটতির এক নীরব স্বীকারোক্তি বলে মনে করছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় স্থল অভিযান চালানোর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন, তিনি বলেছেন ‘পরবর্তী লক্ষ্য হবে স্থল।’ এমন মন্তব্যের পর একাধিক সন্দেহভাজন মাদক পরিবহন জাহাজে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে হামলা চালানো হয়েছে এবং ওই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক শক্তি ব্যাপকভাবে মোতায়েন করা হয়েছে। পরে তিনি অবশ্য স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলায় সরাসরি হামলার কথা ভাবছেন না।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন ট্রাম্প তাকে উৎখাত করার চেষ্টা করছেন এবং ভেনেজুয়েলার নাগরিক ও সেনারা সেই চেষ্টা প্রতিরোধ করবে। ভেনেজুয়েলার সামরিক শক্তি মার্কিন সামরিক শক্তির তুলনায় যথেষ্ট ক্ষীণ। প্রশিক্ষণের অভাব, কম বেতন এবং পুরোনো সরঞ্জামের কারণে দুর্বল হয়ে আছে এই বাহিনী।

ভেনেজুয়েলার সামরিক সক্ষমতার বিষয়ে অবগত ছয়টি সূত্র জানিয়েছে, কিছু ইউনিট কমান্ডার স্থানীয় খাদ্য উৎপাদকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের সৈন্যদের খাবার জোগাড় করতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, সরকারি সরবরাহ পর্যাপ্ত নয়।

এই বাস্তবতা মাদুরোর সরকারকে দুইটি সম্ভাব্য কৌশলের ওপর বাজি ধরতে বাধ্য করেছে—এর মধ্যে একটি গেরিলা-কৌশলে প্রতিরোধ। এই পরিকল্পনা এরই মধ্যে শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, যদিও বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। তবে এবং অন্য কৌশলটি কী তা এখনো জানা যায়নি।

মাদুরো বলেছেন, ৮০ লাখ নাগরিক মিলিশিয়ায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ভেনেজুয়েলাকে রক্ষা করার জন্য এবং কিছু নাগরিক রয়টার্সকে সম্প্রতি বলেছেন—তারা বিদেশি বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত। তবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত সূত্রের অনুমান করেছে যে, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে খুব সামান্য সংখ্যক মানুষই প্রতিরোধে অংশ নেবে। তবে ভেনেজুয়েলার প্রায় ৬০ হাজার সদস্যের সেনা ও ন্যাশনাল গার্ড রয়েছে এবং এই বাহিনীই গেরিলা কৌশল বাস্তবায়নে মূল বাহিনী হবে।

তবে ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনীর সরঞ্জামের অধিকাংশই রাশিয়ান তৈরি এবং কয়েক দশক পুরোনো। দেশটি ২০০০-এর দশকে রাশিয়া থেকে প্রায় ২০টি সুখোই ফাইটার জেট কিনেছে, কিন্তু "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমানের তুলনায় এগুলো কিছুই নয়—বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত একটি সূত্র। তিনি আরও বলেছেন, ভেনেজুয়েলার রাশিয়ার হেলিকপ্টার, ট্যাংক এবং কম উচ্চতায় উড়ন্ত বিমান ধ্বংস করতে সক্ষম কাঁধে বহনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও পুরোনো।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে জানিয়েছে তারা ভেনেজুয়েলার সহায়তার জন্য প্রস্তুত, তবে উত্তেজনা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে। মাদুরো মস্কোর কাছে সুখোই জেট মেরামত, রাডার সিস্টেমের উন্নতি এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের আবেদন করেছেন। ভেনেজুয়েলা এরই মধ্যে রাশিয়ার তৈরি ৫ হাজার ইগলা ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে এক সূত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

লন্ডনে চিকিৎসা যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী ১৪ জন, তালিকায় ছয় চিকিৎসক ও দুই এসএসএফ

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

ঢাকার তিনটিসহ আরও ২৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা বাকি থাকল

মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ