প্রতিনিধি

কলকাতা: কোভিডকালে ভারতের পাঁচ রাজ্য এবং ইউনিয়ন টেরিটোরি পডুচেরির ভোটে প্রত্যাশিত ফল পাচ্ছে না বিজেপি বা কংগ্রেস কেউই। বুথফেরত জরিপে এই বৃহৎ দুই দলের কোনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য চূড়ান্ত ফল জানতে রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বুথফেরত জরিপে স্পষ্ট ইঙ্গিত, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস, তামিলনাডুতে এমকে স্টালিনের ডিএমকে এবং কেরালায় পিনারাই বিজয়নের হাত ধরে বামেদের পক্ষেই রয়েছে জনমত।
এছাড়া কোভিডকালে ভোট আয়োজনে পাঁচ মাস আগে বিহারে ভারতের নির্বাচন কমিশন সাফল্য পেলেও এবারের ভোটে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অভিযোগে আঙ্গুল উঠছে তাদের দিকেই। কয়েক দফায় ভোটগ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রীসহ শাসক দলের ইচ্ছেমতো জনসমাবেশ করতে দেওয়ার কারণে কমিশনের বিরুদ্ধে সংক্রমণের পরিবেশ তৈরি করার পাশাপাশি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলছেন অনেকে।
২০১৯ সালে প্রবল বিক্রমে নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে দিল্লিতে প্রত্যাবর্তন ঘটে বিজেপির। মোদিকে সামনে রেখেই বিভিন্ন রাজ্যে ভোটে লড়ছে বিজেপি। কিন্তু দ্বিতীয় দফার মোদি সরকারের নয়া কৃষি আইন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, ক্ষমতায় এসেই কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ, দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশে বিজেপির শাসনে একাধিক সমালোচিত ঘটনা– শাসক দলকে বারবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি থেকে প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে কংগ্রেস সরকারবিরোধী আবেগকে ভোটে রূপান্তরিত করতে পারেনি। মাত্র পাঁচ মাস আগে 'মহাগাঁট বন্ধন' করেও বিহারে হারানো যায়নি বিজেপির জোটকে। কারণ সেই কংগ্রেস। শরিক দলগুলো ভালো ফল করলেও কংগ্রেস প্রার্থীরা ভোটারদের মনে দাগ কাটতে ব্যর্থ হন। বিহার-ব্যর্থতার জন্য কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার পাশাপাশি রাহুল গান্ধী ও তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর লাগাতার কর্মসূচির অভাবকেও অনেকে দায়ী করেন।
কারণ যাইহোক জরিপে নিশ্চিত, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের বিন্দুমাত্র দাগ কাটতে পারবে না। পুরোনো শত্রু বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়েও কোনও লাভ যে হচ্ছে না, সেটি কংগ্রেস নেতারা একান্তে স্বীকারও করছেন। পশ্চিমবঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে বামেরাও। এবারের লড়াই মোদি বনাম মমতার। পশ্চিমবঙ্গ জিততে মরিয়া মোদি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন প্রচারে। মমতার পাল্টা কোনও রাজ্য নেতাকে সামনে না রেখে, মোদির ইমেজকেই বাজি ধরেন বিজেপি নেতারা। কোভিডকালেও দিল্লির বিজেপি নেতারা বিমানে 'ডেলি-প্যাসেঞ্জারি' করেন। তৃণমূলের একঝাঁক নেতা-মন্ত্রী নাম লেখান বিজেপিতে। প্রশ্ন ওঠে, 'কোথায় বিজেপি! প্রার্থীরা তো অনেকেই তৃণমূলের ঘরের লোক!'
তৃণমূলের বহু নেতা এবার ছিলেন বিজেপির প্রার্থী। দলে মমতার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায় আগেই বিজেপিতে ভিড়েছেন। ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে আরও অনেক হেভিওয়েট।
একদিকে, ভারতের শাসক দলের প্রধানমন্ত্রীসহ একঝাঁক তারকা মন্ত্রী, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো জনপ্রিয় অভিনেতা, সঙ্গে আবার দলছুট তৃণমূল নেতা-নেত্রী। অন্যদিকে, মমতা একা। একার গ্ল্যামারকে পুঁজি করে লড়েছেন গদি রক্ষায়। বেশিরভাগ জরিপের আভাস, তিনিই থাকছেন। থাকুন বা না থাকুন, রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে একা যেভাবে ভোটকে হাড্ডাহাড্ডি পর্যায়ে তুলে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন, সেটাও কম নয়। ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করছেন বিজেপিরই নেতারা।
জরিপ বলছে, এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ) এবং সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) নিয়ে বিতর্কের মধ্যেও আসামে ক্ষমতায় ফিরতে পারে বিজেপির জোট। কিন্তু এই জরিপেই দেখাচ্ছে বিজেপির মিত্রজোটের থেকে কংগ্রেসের মহাজোট অন্তত ৫ শতাংশ ভোট বেশি পাচ্ছে। আর এটা পাচ্ছে, মহাজোটের বাকি নয় শরিকের হাত ধরে। ১২৬টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস একাই প্রার্থী দিয়েছে ৮০টিতে। বাকিরা ৪৬। জরিপের ইঙ্গিত, শরিকরা ভালো ফল করবে, কংগ্রেস নয়। কারণ? নেতৃত্বের দুর্বলতা।
আবার বিজেপির জোট ক্ষমতায় এলেও ভোট কমবে তাঁদের। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপি নেতারা গোটা আসামও চষে বেড়ান। তবু ভোট কম। মোদি-ম্যাজিক উধাও জরিপে। অথচ, রাজ্যে নিজেদের সরকার থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের বদলে মোদি-মডেল সামনে রেখে ভোট করে বিজেপি। সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে। তবু 'হাড্ডাহাড্ডি' লড়াই মোটেই স্বস্তি দিচ্ছে না বিজেপিকে।
আসামে তবু ক্ষমতায় ফেরার চান্স আছে। কিন্তু ভারতের দাক্ষিণাত্যে কর্নাটক ছাড়া 'পদ্ম-চাষ'-এর সম্ভাবনা এখনও অধরা। কেরালা এখন দেশের একমাত্র বামশাসিত রাজ্য। রাহুল গান্ধী এখান থেকেই জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্য। প্রতি পাঁচ বছর পর সরকার পরিবর্তন এখানকার নিয়ম।। সেই হিসাবে বামেদের হটিয়ে কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসার কথা। বিজেপিও সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপায়। কিন্তু জরিপ বলছে, কেরালায় ফের ফিরছে বামেরা। কংগ্রেস ও বিজেপি পরাস্ত ভারতের সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্যটিতে। জরিপ মতে, প্রবীণ সিপিএম নেতা মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কোভিড ম্যানেজমেন্টই রক্ষা করেছে দেশের একমাত্র লালদুর্গ। এখানকার মহামারি ব্যবস্থা গোটা দুনিয়াতেই প্রশংসিত। তাই শিক্ষিত রাজ্যবাসী ভুল করেননি সফল সরকারকে যোগ্য মর্যাদা দিতে।
কংগ্রেসের একমাত্র 'ললিপপ' তামিলনাড়ু। ডিএমকের হাত ধরে তাঁরা ক্ষমতায় ফিরতে পারে। সব বুথফেরত জরিপই এমন বলছে। হারছে বিজেপি-এআইডিএমকে। কিন্তু এই জয়ে কংগ্রেসের ভূমিকা অতি সামান্য। কারণ রাজ্যের ২৩৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস লড়েছেই ২৫টিতে। জিতছে ডিএমকে একাই। জয়ে সঙ্গে রয়েছে কংগ্রেস। ছোট্ট রাজ্য পডুচেরিতে গতবার জিতেছিল কংগ্রেস। কিন্তু ভোটের ক'দিন আগে দলবদলে কংগ্রেস তছনছ। দলছুটদের ভরসায় সেখানে ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপির জোট।
সবই সমীক্ষার ইঙ্গিত। আসল ছবি জানা যাবে রোববার। পাঁচ রাজ্যের ভোটগণনা। তবু, জরিপের আভাস কংগ্রেস ও বিজেপির জন্য খুব একটা স্বস্তির হচ্ছে না। বড়জোড় দুয়েক রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারেন তাঁরা। লোকসভার সেই ইমেজ নেই বিজেপির। কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানো এখনও বিশবাঁও জলে! ফের জোট রাজনীতিই ভারতের ভবিতব্য কিনা সেটি অবশ্য বলার সময় এখনো আসেনি। যদিও আভাস মিলতে পারে ২০২২-এর শুরুতেই। আগামী বছরের শেষ নাগাদ ভোট রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, মণিপুর ও উত্তরাখণ্ডে এবং বছর শেষে গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশ। ২০২৪-এর শুরুতে ভারতে সাধারণ নির্বাচন। তাই মোদির গদি এখন সুরক্ষিত, কিন্তু ইমেজ ধরে টান দিয়েছে জরিপের ফলাফল।
কংগ্রেস ও বিজেপি ছাড়াও কোভিডকালের এই ভোট ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছেও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। কলকাতা ও মাদ্রাজ হাইকোর্ট যেভাবে কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছেন সেটা অভূতপূর্ব। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতও কমিশনের ভূমিকায় মোটেই সন্তুষ্ট নন। কারণ অতিমারির সময় নেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ব্যর্থ কমিশন। তাই, মাদ্রাজ হাইকোর্ট কমিশনের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট ভারতের সাবেক মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টিএন শেষণের উদাহরণ টেনে বর্তমান কর্মকতাদের ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। বেড়েছে পক্ষপাতের অভিযোগও। সবমিলিয়ে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি প্রশ্ন চিহ্নের সামনে ভারতের নির্বাচন কমিশনও।

কলকাতা: কোভিডকালে ভারতের পাঁচ রাজ্য এবং ইউনিয়ন টেরিটোরি পডুচেরির ভোটে প্রত্যাশিত ফল পাচ্ছে না বিজেপি বা কংগ্রেস কেউই। বুথফেরত জরিপে এই বৃহৎ দুই দলের কোনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য চূড়ান্ত ফল জানতে রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বুথফেরত জরিপে স্পষ্ট ইঙ্গিত, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস, তামিলনাডুতে এমকে স্টালিনের ডিএমকে এবং কেরালায় পিনারাই বিজয়নের হাত ধরে বামেদের পক্ষেই রয়েছে জনমত।
এছাড়া কোভিডকালে ভোট আয়োজনে পাঁচ মাস আগে বিহারে ভারতের নির্বাচন কমিশন সাফল্য পেলেও এবারের ভোটে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অভিযোগে আঙ্গুল উঠছে তাদের দিকেই। কয়েক দফায় ভোটগ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রীসহ শাসক দলের ইচ্ছেমতো জনসমাবেশ করতে দেওয়ার কারণে কমিশনের বিরুদ্ধে সংক্রমণের পরিবেশ তৈরি করার পাশাপাশি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলছেন অনেকে।
২০১৯ সালে প্রবল বিক্রমে নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে দিল্লিতে প্রত্যাবর্তন ঘটে বিজেপির। মোদিকে সামনে রেখেই বিভিন্ন রাজ্যে ভোটে লড়ছে বিজেপি। কিন্তু দ্বিতীয় দফার মোদি সরকারের নয়া কৃষি আইন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, ক্ষমতায় এসেই কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ, দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশে বিজেপির শাসনে একাধিক সমালোচিত ঘটনা– শাসক দলকে বারবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি থেকে প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে কংগ্রেস সরকারবিরোধী আবেগকে ভোটে রূপান্তরিত করতে পারেনি। মাত্র পাঁচ মাস আগে 'মহাগাঁট বন্ধন' করেও বিহারে হারানো যায়নি বিজেপির জোটকে। কারণ সেই কংগ্রেস। শরিক দলগুলো ভালো ফল করলেও কংগ্রেস প্রার্থীরা ভোটারদের মনে দাগ কাটতে ব্যর্থ হন। বিহার-ব্যর্থতার জন্য কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার পাশাপাশি রাহুল গান্ধী ও তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর লাগাতার কর্মসূচির অভাবকেও অনেকে দায়ী করেন।
কারণ যাইহোক জরিপে নিশ্চিত, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের বিন্দুমাত্র দাগ কাটতে পারবে না। পুরোনো শত্রু বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়েও কোনও লাভ যে হচ্ছে না, সেটি কংগ্রেস নেতারা একান্তে স্বীকারও করছেন। পশ্চিমবঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে বামেরাও। এবারের লড়াই মোদি বনাম মমতার। পশ্চিমবঙ্গ জিততে মরিয়া মোদি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন প্রচারে। মমতার পাল্টা কোনও রাজ্য নেতাকে সামনে না রেখে, মোদির ইমেজকেই বাজি ধরেন বিজেপি নেতারা। কোভিডকালেও দিল্লির বিজেপি নেতারা বিমানে 'ডেলি-প্যাসেঞ্জারি' করেন। তৃণমূলের একঝাঁক নেতা-মন্ত্রী নাম লেখান বিজেপিতে। প্রশ্ন ওঠে, 'কোথায় বিজেপি! প্রার্থীরা তো অনেকেই তৃণমূলের ঘরের লোক!'
তৃণমূলের বহু নেতা এবার ছিলেন বিজেপির প্রার্থী। দলে মমতার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায় আগেই বিজেপিতে ভিড়েছেন। ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে আরও অনেক হেভিওয়েট।
একদিকে, ভারতের শাসক দলের প্রধানমন্ত্রীসহ একঝাঁক তারকা মন্ত্রী, মিঠুন চক্রবর্তীর মতো জনপ্রিয় অভিনেতা, সঙ্গে আবার দলছুট তৃণমূল নেতা-নেত্রী। অন্যদিকে, মমতা একা। একার গ্ল্যামারকে পুঁজি করে লড়েছেন গদি রক্ষায়। বেশিরভাগ জরিপের আভাস, তিনিই থাকছেন। থাকুন বা না থাকুন, রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে একা যেভাবে ভোটকে হাড্ডাহাড্ডি পর্যায়ে তুলে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন, সেটাও কম নয়। ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করছেন বিজেপিরই নেতারা।
জরিপ বলছে, এনআরসি (জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ) এবং সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) নিয়ে বিতর্কের মধ্যেও আসামে ক্ষমতায় ফিরতে পারে বিজেপির জোট। কিন্তু এই জরিপেই দেখাচ্ছে বিজেপির মিত্রজোটের থেকে কংগ্রেসের মহাজোট অন্তত ৫ শতাংশ ভোট বেশি পাচ্ছে। আর এটা পাচ্ছে, মহাজোটের বাকি নয় শরিকের হাত ধরে। ১২৬টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস একাই প্রার্থী দিয়েছে ৮০টিতে। বাকিরা ৪৬। জরিপের ইঙ্গিত, শরিকরা ভালো ফল করবে, কংগ্রেস নয়। কারণ? নেতৃত্বের দুর্বলতা।
আবার বিজেপির জোট ক্ষমতায় এলেও ভোট কমবে তাঁদের। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপি নেতারা গোটা আসামও চষে বেড়ান। তবু ভোট কম। মোদি-ম্যাজিক উধাও জরিপে। অথচ, রাজ্যে নিজেদের সরকার থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের বদলে মোদি-মডেল সামনে রেখে ভোট করে বিজেপি। সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে। তবু 'হাড্ডাহাড্ডি' লড়াই মোটেই স্বস্তি দিচ্ছে না বিজেপিকে।
আসামে তবু ক্ষমতায় ফেরার চান্স আছে। কিন্তু ভারতের দাক্ষিণাত্যে কর্নাটক ছাড়া 'পদ্ম-চাষ'-এর সম্ভাবনা এখনও অধরা। কেরালা এখন দেশের একমাত্র বামশাসিত রাজ্য। রাহুল গান্ধী এখান থেকেই জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্য। প্রতি পাঁচ বছর পর সরকার পরিবর্তন এখানকার নিয়ম।। সেই হিসাবে বামেদের হটিয়ে কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসার কথা। বিজেপিও সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপায়। কিন্তু জরিপ বলছে, কেরালায় ফের ফিরছে বামেরা। কংগ্রেস ও বিজেপি পরাস্ত ভারতের সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্যটিতে। জরিপ মতে, প্রবীণ সিপিএম নেতা মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কোভিড ম্যানেজমেন্টই রক্ষা করেছে দেশের একমাত্র লালদুর্গ। এখানকার মহামারি ব্যবস্থা গোটা দুনিয়াতেই প্রশংসিত। তাই শিক্ষিত রাজ্যবাসী ভুল করেননি সফল সরকারকে যোগ্য মর্যাদা দিতে।
কংগ্রেসের একমাত্র 'ললিপপ' তামিলনাড়ু। ডিএমকের হাত ধরে তাঁরা ক্ষমতায় ফিরতে পারে। সব বুথফেরত জরিপই এমন বলছে। হারছে বিজেপি-এআইডিএমকে। কিন্তু এই জয়ে কংগ্রেসের ভূমিকা অতি সামান্য। কারণ রাজ্যের ২৩৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস লড়েছেই ২৫টিতে। জিতছে ডিএমকে একাই। জয়ে সঙ্গে রয়েছে কংগ্রেস। ছোট্ট রাজ্য পডুচেরিতে গতবার জিতেছিল কংগ্রেস। কিন্তু ভোটের ক'দিন আগে দলবদলে কংগ্রেস তছনছ। দলছুটদের ভরসায় সেখানে ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপির জোট।
সবই সমীক্ষার ইঙ্গিত। আসল ছবি জানা যাবে রোববার। পাঁচ রাজ্যের ভোটগণনা। তবু, জরিপের আভাস কংগ্রেস ও বিজেপির জন্য খুব একটা স্বস্তির হচ্ছে না। বড়জোড় দুয়েক রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারেন তাঁরা। লোকসভার সেই ইমেজ নেই বিজেপির। কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানো এখনও বিশবাঁও জলে! ফের জোট রাজনীতিই ভারতের ভবিতব্য কিনা সেটি অবশ্য বলার সময় এখনো আসেনি। যদিও আভাস মিলতে পারে ২০২২-এর শুরুতেই। আগামী বছরের শেষ নাগাদ ভোট রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, মণিপুর ও উত্তরাখণ্ডে এবং বছর শেষে গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশ। ২০২৪-এর শুরুতে ভারতে সাধারণ নির্বাচন। তাই মোদির গদি এখন সুরক্ষিত, কিন্তু ইমেজ ধরে টান দিয়েছে জরিপের ফলাফল।
কংগ্রেস ও বিজেপি ছাড়াও কোভিডকালের এই ভোট ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছেও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। কলকাতা ও মাদ্রাজ হাইকোর্ট যেভাবে কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছেন সেটা অভূতপূর্ব। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতও কমিশনের ভূমিকায় মোটেই সন্তুষ্ট নন। কারণ অতিমারির সময় নেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ব্যর্থ কমিশন। তাই, মাদ্রাজ হাইকোর্ট কমিশনের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন। কলকাতা হাইকোর্ট ভারতের সাবেক মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টিএন শেষণের উদাহরণ টেনে বর্তমান কর্মকতাদের ব্যর্থতা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। বেড়েছে পক্ষপাতের অভিযোগও। সবমিলিয়ে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি প্রশ্ন চিহ্নের সামনে ভারতের নির্বাচন কমিশনও।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
৩ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন।
গোপন নথি ফাঁসের দায়ে বর্তমানে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ফেল্ডস্টাইন এই প্রথম সরাসরি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনলেন।
ইলাই ফেল্ডস্টাইন জানান, ৭ অক্টোবরের সেই রক্তক্ষয়ী হামলার ঠিক পরেই নেতানিয়াহু তাঁকে ‘প্রথম কাজ’ হিসেবে দিয়েছিলেন—কীভাবে জবাবদিহি বা দায়বদ্ধতার প্রশ্ন থেকে রেহাই পাওয়া যায় তার উপায় বের করা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘হামলার পর নেতানিয়াহু আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘এখন কী ধরনের সংবাদ প্রচার হচ্ছে? তারা কি এখনো দায়বদ্ধতার কথা বলছে?’’ তাঁকে তখন বেশ আতঙ্কিত দেখাচ্ছিল। নেতানিয়াহু চেয়েছিলেন এমন কিছু বলা হোক, যাতে গণমাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে যে ঝড় উঠেছে, তা স্তিমিত হয়ে যায়।’
ফেল্ডস্টাইন আরও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেন যেকোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ‘দায়বদ্ধতা’ (Responsibility) শব্দটি ব্যবহার না করা হয়।
তবে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এই সাক্ষাৎকারকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং নিজের অপরাধ থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে এক ব্যক্তি এমন ডাহা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
কে এই ইলাই ফেল্ডস্টাইন
ইলাই ফেল্ডস্টাইন নেতানিয়াহুর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি দুটি বড় কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। গোপন নথি ফাঁস—গত আগস্টে গাজায় ছয় জিম্মি নিহতের পর প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমে সামরিক গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে তাঁর বিচার চলছে। কাতারগেট স্ক্যান্ডাল—নেতানিয়াহুর হয়ে কাজ করার সময় কাতারের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মধ্যে তিনি একজন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হয়। অনেকে মনে করেন, এই ব্যর্থতার দায় ঠেকানোর জন্য নেতানিয়াহু বরাবরই স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনে বাধা দিয়ে আসছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন।
গোপন নথি ফাঁসের দায়ে বর্তমানে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ফেল্ডস্টাইন এই প্রথম সরাসরি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনলেন।
ইলাই ফেল্ডস্টাইন জানান, ৭ অক্টোবরের সেই রক্তক্ষয়ী হামলার ঠিক পরেই নেতানিয়াহু তাঁকে ‘প্রথম কাজ’ হিসেবে দিয়েছিলেন—কীভাবে জবাবদিহি বা দায়বদ্ধতার প্রশ্ন থেকে রেহাই পাওয়া যায় তার উপায় বের করা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘হামলার পর নেতানিয়াহু আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘এখন কী ধরনের সংবাদ প্রচার হচ্ছে? তারা কি এখনো দায়বদ্ধতার কথা বলছে?’’ তাঁকে তখন বেশ আতঙ্কিত দেখাচ্ছিল। নেতানিয়াহু চেয়েছিলেন এমন কিছু বলা হোক, যাতে গণমাধ্যমে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে যে ঝড় উঠেছে, তা স্তিমিত হয়ে যায়।’
ফেল্ডস্টাইন আরও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যেন যেকোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ‘দায়বদ্ধতা’ (Responsibility) শব্দটি ব্যবহার না করা হয়।
তবে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এই সাক্ষাৎকারকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এবং নিজের অপরাধ থেকে মানুষের দৃষ্টি সরাতে এক ব্যক্তি এমন ডাহা মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
কে এই ইলাই ফেল্ডস্টাইন
ইলাই ফেল্ডস্টাইন নেতানিয়াহুর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি দুটি বড় কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। গোপন নথি ফাঁস—গত আগস্টে গাজায় ছয় জিম্মি নিহতের পর প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমে সামরিক গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে তাঁর বিচার চলছে। কাতারগেট স্ক্যান্ডাল—নেতানিয়াহুর হয়ে কাজ করার সময় কাতারের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মধ্যে তিনি একজন।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবরের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখা হয়। অনেকে মনে করেন, এই ব্যর্থতার দায় ঠেকানোর জন্য নেতানিয়াহু বরাবরই স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনে বাধা দিয়ে আসছেন।

কোভিডকালে ভারতের পাঁচ রাজ্য এবং ইউনিয়ন টেরিটোরি পডুচেরির ভোটে প্রত্যাশিত ফল পাচ্ছে না বিজেপি বা কংগ্রেস কেউই। বুথফেরত জরিপে এই বৃহৎ দুই দলের কোনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য চূড়ান্ত ফল জানতে রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
৩০ এপ্রিল ২০২১
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক, তুলা, সবজি এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। বিপরীতে সেখান থেকে আমদানিপণ্য হিসেবে আসে প্রক্রিয়াজাত চামড়া। কাউন্সিল অব লেদার এক্সপোর্টের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আঞ্চলিক কমিটির সদস্য জিয়া নাফিস বলেন, ‘প্রতি বছর কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের মাধ্যমে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার প্রক্রিয়াজাত চামড়া আমদানি করা হয়। এই চামড়া মূলত ব্যাগ তৈরির কাজে লাগে। এখানকার চামড়ার চেয়ে গুণগত মান আলাদা এবং দাম কিছুটা সস্তা হওয়ায় আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তবে আমদানিকারকরা ঠিক তেমনই সমস্যায় পড়বেন, যেমনটা হয়েছিল চীনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সময়।’ নাফিসের মতে, চামড়া একটি প্রাকৃতিক পণ্য, তাই এর মান একেক লটে একেক রকম হয়। আমদানির আগে সরাসরি গিয়ে মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। ভিসা না থাকলে সশরীরে পণ্য দেখা সম্ভব হবে না, ফলে পণ্যের গুণগত মান নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়। ব্যবসা সচল রাখতে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ করা দরকার।
গত সোমবার নিজ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের মুখে দিল্লির কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলার মিশন ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত নোটিশও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির এখন ভরা মৌসুম। ঠিক এই সময়েই এমন স্থগিতাদেশ এল। এক রপ্তানি প্রতিনিধি জানান, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ঈদ পর্যন্ত পোশাকের চাহিদা খুব বেশি থাকে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০ টন পোশাক রপ্তানি হয়।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইন্ডিগোর একটি কার্গো ফ্লাইট কলকাতা থেকে ঢাকা শুধু পোশাকই নিয়ে যায়, অথচ এখন আরও কার্গো ফ্লাইটের প্রয়োজন ছিল।
বেঙ্গানি কমোডিটিসের পরিচালক এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের সাবেক আঞ্চলিক চেয়ারম্যান বিমল বেঙ্গানি জানান, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে প্রতি মাসে বাংলাদেশে যেতাম। গত এক বছরে একবারও যাইনি। বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ৬০০ ট্রাক বাংলাদেশে যেত; এখন তা নেমে এসেছে ৮ শতে। সমস্যা মেটানো আর নতুন বাজার খোঁজার জন্য ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করাটা খুব জরুরি।’
বিমল বেঙ্গানি মূলত পোলট্রি ফিড, মসলা এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করেন। তিনি যোগ করেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য গড়ে উঠেছে পারস্পরিক আস্থা ও যোগাযোগের ওপর। আমরা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগকে সম্মান করি, তবে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত ভিসা সমস্যার সমাধান চাই। ব্যবসায়ী, রোগী এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকা দুই দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এয়ারলাইনগুলোও চিন্তিত। বাংলাদেশের একটি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা জানান, ‘যাত্রী কমে যাওয়ায় ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। বর্তমানে যেসব ফ্লাইট চলছে তাতে যাত্রী ভালোই আছে, কিন্তু ভিসার ওপর কড়াকড়ি শুরু হলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব।’

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ তৈরি পোশাক, তুলা, সবজি এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়। বিপরীতে সেখান থেকে আমদানিপণ্য হিসেবে আসে প্রক্রিয়াজাত চামড়া। কাউন্সিল অব লেদার এক্সপোর্টের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার আঞ্চলিক কমিটির সদস্য জিয়া নাফিস বলেন, ‘প্রতি বছর কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং কসবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের মাধ্যমে প্রায় ১২৫ কোটি টাকার প্রক্রিয়াজাত চামড়া আমদানি করা হয়। এই চামড়া মূলত ব্যাগ তৈরির কাজে লাগে। এখানকার চামড়ার চেয়ে গুণগত মান আলাদা এবং দাম কিছুটা সস্তা হওয়ায় আমরা সেখান থেকে আমদানি করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যদি ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়, তবে আমদানিকারকরা ঠিক তেমনই সমস্যায় পড়বেন, যেমনটা হয়েছিল চীনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সময়।’ নাফিসের মতে, চামড়া একটি প্রাকৃতিক পণ্য, তাই এর মান একেক লটে একেক রকম হয়। আমদানির আগে সরাসরি গিয়ে মান যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। ভিসা না থাকলে সশরীরে পণ্য দেখা সম্ভব হবে না, ফলে পণ্যের গুণগত মান নিয়ে ঝুঁকি থেকে যায়। ব্যবসা সচল রাখতে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ করা দরকার।
গত সোমবার নিজ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের মুখে দিল্লির কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলার মিশন ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত নোটিশও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির এখন ভরা মৌসুম। ঠিক এই সময়েই এমন স্থগিতাদেশ এল। এক রপ্তানি প্রতিনিধি জানান, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ অর্থাৎ ঈদ পর্যন্ত পোশাকের চাহিদা খুব বেশি থাকে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৬০ টন পোশাক রপ্তানি হয়।’ তিনি আরও জানান, বর্তমানে ইন্ডিগোর একটি কার্গো ফ্লাইট কলকাতা থেকে ঢাকা শুধু পোশাকই নিয়ে যায়, অথচ এখন আরও কার্গো ফ্লাইটের প্রয়োজন ছিল।
বেঙ্গানি কমোডিটিসের পরিচালক এবং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের সাবেক আঞ্চলিক চেয়ারম্যান বিমল বেঙ্গানি জানান, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা কমে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে প্রতি মাসে বাংলাদেশে যেতাম। গত এক বছরে একবারও যাইনি। বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। আগে প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ১ হাজার ৬০০ ট্রাক বাংলাদেশে যেত; এখন তা নেমে এসেছে ৮ শতে। সমস্যা মেটানো আর নতুন বাজার খোঁজার জন্য ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করাটা খুব জরুরি।’
বিমল বেঙ্গানি মূলত পোলট্রি ফিড, মসলা এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করেন। তিনি যোগ করেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য গড়ে উঠেছে পারস্পরিক আস্থা ও যোগাযোগের ওপর। আমরা নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগকে সম্মান করি, তবে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত ভিসা সমস্যার সমাধান চাই। ব্যবসায়ী, রোগী এবং শিক্ষার্থীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকা দুই দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী যাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এয়ারলাইনগুলোও চিন্তিত। বাংলাদেশের একটি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তা জানান, ‘যাত্রী কমে যাওয়ায় ফ্লাইটের সংখ্যা কমানো হয়েছে। বর্তমানে যেসব ফ্লাইট চলছে তাতে যাত্রী ভালোই আছে, কিন্তু ভিসার ওপর কড়াকড়ি শুরু হলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ব।’

কোভিডকালে ভারতের পাঁচ রাজ্য এবং ইউনিয়ন টেরিটোরি পডুচেরির ভোটে প্রত্যাশিত ফল পাচ্ছে না বিজেপি বা কংগ্রেস কেউই। বুথফেরত জরিপে এই বৃহৎ দুই দলের কোনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য চূড়ান্ত ফল জানতে রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
৩০ এপ্রিল ২০২১
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতিতে তৈরি হওয়া ২০ দফার এই পরিকল্পনার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকানরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এই পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধ শেষ করার মূল রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, এতে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে রাশিয়া পুনরায় ইউক্রেন আক্রমণ করলে সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জেলেনস্কি বলেন, একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গঠন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে থাকায় মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা একটি অসামরিক অঞ্চল অথবা মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখানে দুটি পথ খোলা আছে—হয় যুদ্ধ চলবে, নতুবা সম্ভাব্য সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ এই ২০ দফার পরিকল্পনাটিকে কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার সঙ্গে করা ২৮ দফার মূল দলিলের একটি হালনাগাদ সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের সেই দলিলটি মূলত ক্রেমলিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যেই তৈরি বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়েছিল।
শান্তি চুক্তির বিনিময়ে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা থেকে ইউক্রেনকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলের বাকি অংশ ইতিমধ্যে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জেলেনস্কি ব্যাখ্যা করেন, ভূখণ্ড বিষয়ক স্পর্শকাতর প্রশ্নসহ অন্যান্য জটিল বিষয়গুলো ‘নেতৃপর্যায়ে’ সমাধান করতে হবে। তবে এই নতুন খসড়া ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ৮ লাখ সৈন্যের এক বিশাল সামরিক শক্তি নিশ্চিত করবে।
হালনাগাদ করা এই পরিকল্পনার অনেকটাই বার্লিনে সাম্প্রতিক আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে মার্কিন মধ্যস্থতাকারী উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা অংশ নিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহান্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সরে যায় মিয়ামিতে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রুশ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ এবং পরে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
ভূখণ্ড বিষয়ক ইস্যুতে এখন অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেনীয় পক্ষ এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ইউক্রেন যদি দোনেৎস্কের অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ এলাকায় একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তুলতে তাদের ভারী সামরিক সরঞ্জাম ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার পিছিয়ে নিতে রাজি হয়—যাতে এলাকাটি কার্যত অসামরিক হয়ে পড়ে—তবে জেলেনস্কির মতে, রাশিয়াকেও ‘অনুরূপভাবে ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার’ পিছু হটতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশেও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং নিপ্রোপেত্রভস্ক, মাইকোলাইভ, সুমি ও খারকিভ—এই চারটি অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতিতে তৈরি হওয়া ২০ দফার এই পরিকল্পনার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকানরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এই পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধ শেষ করার মূল রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, এতে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে রাশিয়া পুনরায় ইউক্রেন আক্রমণ করলে সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জেলেনস্কি বলেন, একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গঠন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে থাকায় মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা একটি অসামরিক অঞ্চল অথবা মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখানে দুটি পথ খোলা আছে—হয় যুদ্ধ চলবে, নতুবা সম্ভাব্য সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ এই ২০ দফার পরিকল্পনাটিকে কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার সঙ্গে করা ২৮ দফার মূল দলিলের একটি হালনাগাদ সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের সেই দলিলটি মূলত ক্রেমলিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যেই তৈরি বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়েছিল।
শান্তি চুক্তির বিনিময়ে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা থেকে ইউক্রেনকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলের বাকি অংশ ইতিমধ্যে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জেলেনস্কি ব্যাখ্যা করেন, ভূখণ্ড বিষয়ক স্পর্শকাতর প্রশ্নসহ অন্যান্য জটিল বিষয়গুলো ‘নেতৃপর্যায়ে’ সমাধান করতে হবে। তবে এই নতুন খসড়া ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ৮ লাখ সৈন্যের এক বিশাল সামরিক শক্তি নিশ্চিত করবে।
হালনাগাদ করা এই পরিকল্পনার অনেকটাই বার্লিনে সাম্প্রতিক আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে মার্কিন মধ্যস্থতাকারী উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা অংশ নিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহান্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সরে যায় মিয়ামিতে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রুশ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ এবং পরে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
ভূখণ্ড বিষয়ক ইস্যুতে এখন অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেনীয় পক্ষ এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ইউক্রেন যদি দোনেৎস্কের অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ এলাকায় একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তুলতে তাদের ভারী সামরিক সরঞ্জাম ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার পিছিয়ে নিতে রাজি হয়—যাতে এলাকাটি কার্যত অসামরিক হয়ে পড়ে—তবে জেলেনস্কির মতে, রাশিয়াকেও ‘অনুরূপভাবে ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার’ পিছু হটতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশেও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং নিপ্রোপেত্রভস্ক, মাইকোলাইভ, সুমি ও খারকিভ—এই চারটি অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।

কোভিডকালে ভারতের পাঁচ রাজ্য এবং ইউনিয়ন টেরিটোরি পডুচেরির ভোটে প্রত্যাশিত ফল পাচ্ছে না বিজেপি বা কংগ্রেস কেউই। বুথফেরত জরিপে এই বৃহৎ দুই দলের কোনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য চূড়ান্ত ফল জানতে রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
৩০ এপ্রিল ২০২১
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
৩ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
৪ ঘণ্টা আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ ফয়সাল নোমান ২০০১ সালে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁকে ফজর নামাজের পরপরই মদিনার আল-বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল-বাকি কবরস্থান জান্নাতুল বাকি নামেও পরিচিত। এটি মদিনার সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি গোরস্তান। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সাহাবিদেরসহ হাজার হাজার প্রারম্ভিক যুগের মুসলিমদের শেষ আশ্রয়স্থল এটি।
শেখ ফয়সালের মৃত্যুর পর মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ তাঁর দেওয়া শেষ আজানের একটি আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছে। গত ২ নভেম্বর তিনি এই শেষ আজানটি দিয়েছিলেন।
আজানের সুর যেন শেখ ফয়সালের রক্তে মিশে ছিল। তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই মহান সেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা ও দাদা—উভয়েই এই পবিত্র মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দাদা যেমন মুয়াজ্জিন ছিলেন, তেমনি তাঁর বাবাও মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ৯০ বছরের বেশি বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাঁর বাবা এই খেদমত করে গেছেন। বাবার ইন্তেকালের পরই শেখ ফয়সাল নোমানকে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুই পবিত্র মসজিদের ধর্মীয় বিষয়াবলিসংক্রান্ত প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস তাঁর নিজের এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কর্মীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শেখ সুদাইস মরহুম মুয়াজ্জিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন যে, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং মসজিদে নববিতে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ার জন্য তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এবং কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের প্রধান শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল আল-শেখ ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে শেখ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজানকে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।

মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ ফয়সাল নোমান ২০০১ সালে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁকে ফজর নামাজের পরপরই মদিনার আল-বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল-বাকি কবরস্থান জান্নাতুল বাকি নামেও পরিচিত। এটি মদিনার সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি গোরস্তান। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সাহাবিদেরসহ হাজার হাজার প্রারম্ভিক যুগের মুসলিমদের শেষ আশ্রয়স্থল এটি।
শেখ ফয়সালের মৃত্যুর পর মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ তাঁর দেওয়া শেষ আজানের একটি আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছে। গত ২ নভেম্বর তিনি এই শেষ আজানটি দিয়েছিলেন।
আজানের সুর যেন শেখ ফয়সালের রক্তে মিশে ছিল। তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই মহান সেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা ও দাদা—উভয়েই এই পবিত্র মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দাদা যেমন মুয়াজ্জিন ছিলেন, তেমনি তাঁর বাবাও মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ৯০ বছরের বেশি বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাঁর বাবা এই খেদমত করে গেছেন। বাবার ইন্তেকালের পরই শেখ ফয়সাল নোমানকে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুই পবিত্র মসজিদের ধর্মীয় বিষয়াবলিসংক্রান্ত প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস তাঁর নিজের এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কর্মীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শেখ সুদাইস মরহুম মুয়াজ্জিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন যে, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং মসজিদে নববিতে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ার জন্য তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এবং কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের প্রধান শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল আল-শেখ ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে শেখ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজানকে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।

কোভিডকালে ভারতের পাঁচ রাজ্য এবং ইউনিয়ন টেরিটোরি পডুচেরির ভোটে প্রত্যাশিত ফল পাচ্ছে না বিজেপি বা কংগ্রেস কেউই। বুথফেরত জরিপে এই বৃহৎ দুই দলের কোনও আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য চূড়ান্ত ফল জানতে রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
৩০ এপ্রিল ২০২১
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরপরই প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই ঘটনার দায় এড়ানোর উপায় খুঁজতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখপাত্র ইলাই ফেল্ডস্টাইন গত সোমবার রাতে ইসরায়েলের ‘কান’ নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক দাবি
৩ ঘণ্টা আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা ও কনস্যুলার সেবা স্থগিতের সিদ্ধান্তে কলকাতার আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা এখন যথেষ্ট শঙ্কিত। তাই তারা দ্রুত এই সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপ ও যোগাযোগ
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে