Ajker Patrika

শশী থারুরের কাছে যদি মোদি এতই ভালো, তবে তিনি কংগ্রেসে কী করছেন: সন্দীপ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৮
শশী থারুর। ছবি: সংগৃহীত
শশী থারুর। ছবি: সংগৃহীত

কংগ্রেস এমপি শশী থারুর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের প্রশংসা করে তোপের মুখে পড়েছেন। রামনাথ গোয়েঙ্কা লেকচারে মোদির দেওয়া ভাষণে ‘উপস্থিত থাকতে পেরে ভালো লাগছে’ মন্তব্য করেন শশী থারুর। তাঁর এই অবস্থানের প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত থারুরের সমালোচনা করেছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত প্রশ্ন তুলেছেন—যদি শশী থারুরের মনে হয় যে, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কৌশলগুলোই বেশি কার্যকর, তাহলে তিনি কংগ্রেসে আছেন কেন? দীক্ষিত বলেন, ‘শশী থারুরের সমস্যা হলো—আমার মনে হয়, তিনি দেশের সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না। আপনার কাছে যদি মনে হয়, কেউ কংগ্রেসের নীতির বিরোধিতা করে দেশের ভালো করছে, তাহলে আপনি তাদেরই নীতি অনুসরণ করুন। আপনি কংগ্রেসে কী করছেন? শুধু এমপি বলে?’

দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ গতকাল বুধবার আরও বলেন, ‘আপনি যদি সত্যিই মনে করেন যে, বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রী মোদির কৌশলগুলো আপনার দলের তুলনায় বেশি কার্যকর, তাহলে আপনাকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। যদি দিতে না পারেন, তাহলে আপনি ভণ্ড।’

এর এক দিন আগে তিরুবনন্তপুরমের লোকসভা এমপি শশী থারুর বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির রামনাথ গোয়েঙ্কা লেকচার ছিল একই সঙ্গে অর্থনৈতিক রূপরেখা ও সাংস্কৃতিক আহ্বান। এর কয়েক ঘণ্টা পর কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে জানতে চান, থারুর সেখানে প্রশংসার সুযোগ খুঁজে পেলেন কীভাবে?

এক্সে গত মঙ্গলবার দেওয়া পোস্টে শশী থারুর জানান, তিনি অনুষ্ঠানের আয়োজক সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের আমন্ত্রণে লেকচারে যোগ দেন। তিনি লিখেছেন, ‘গত রাতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রামনাথ গোয়েঙ্কা লেকচারে উপস্থিত ছিলাম। তিনি ভারতের উন্নয়নের অস্থিরতা নিয়ে গঠনমূলক কথা বললেন এবং জোর দিলেন উপনিবেশোত্তর মানসিকতার ওপর।’

শশী থারুর আরও লেখেন, ‘মোটের ওপর, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ছিল অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচির আহ্বান। জাতিকে উন্নতির জন্য অস্থির হতে আহ্বান জানালেন। তীব্র সর্দি-কাশির মধ্যেও উপস্থিত থাকতে পেরে খুশি লাগছে!’

শশী থারুরের এই টুইটের পর শ্রীনাতে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আসলে ‘স্বচ্ছ সাংবাদিকতার সমস্যা’ ব্যাখ্যা করা উচিত ছিল। শ্রীনাতে দাবি করেন মোদি ‘দিনরাত’ কংগ্রেস নিয়ে ভাবেন। শ্রীনাতে বলেন, ‘আমি তাঁর বক্তৃতায় প্রশংসার মতো কিছু পাইনি। আমার মনে হয়, প্রধানমন্ত্রীকে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। তিনি একটি সংবাদপত্রের আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তাঁর বলা উচিত ছিল তাঁর স্বচ্ছ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ঠিক কী কী সমস্যা। সত্য দেখানো বা বলা যাদের পেশা, তাঁদের প্রতি তিনি অসন্তুষ্ট কেন…তাই আমি কোনো প্রশংসার কারণ দেখিনি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি জানি না, তিনি (থারুর) কীভাবে প্রশংসার জায়গা খুঁজে পেলেন…আমার কাছে ওটা ক্ষুদ্র মানসিকতার বক্তৃতা মনে হয়েছে। তিনি সেখানে কংগ্রেসকেও আক্রমণ করলেন। প্রধানমন্ত্রী দিনরাত কংগ্রেসকে ভাবেন। বিষয়টা বিস্ময়কর।’

ষষ্ঠ রামনাথ গোয়েঙ্কা লেকচারে মোদি বিহার নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, এই ফলাফল রাজ্য সরকারগুলোকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, উন্নয়ন নীতিই নির্ধারণ করে দেবে তাদের ভবিষ্যৎ। তিনি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, নকশালবাদী ও মাওবাদী সন্ত্রাসকে সমর্থনকারী শক্তিগুলো দেশে জায়গা হারাচ্ছে, কিন্তু মূল বিরোধী দলে তাদের প্রভাব বাড়ছে।

শশী থারুর প্রধানমন্ত্রী মোদি বা বিজেপি সরকারের প্রশংসা করে নিজ দলে এর আগেও আক্রমণের মুখে পড়েছেন। এর আগে তিনি, বলেছিলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে পারিবারিক রাজনীতি ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য ‘গুরুতর হুমকি’ এবং সময় এসেছে ভারতের ‘বংশতন্ত্রের বদলে মেধাতন্ত্র’ বেছে নেওয়ার।

বিজেপি থারুরের ওই মন্তব্য দ্রুত লুফে নেয়। দলটি এটিকে ‘খুব সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ’ বলে আখ্যা দেয় এবং বলে, এই বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে—কীভাবে ভারতীয় রাজনীতি পারিবারিক ব্যবসায়ে পরিণত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ