Ajker Patrika

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল আজ, ব্যবধান গড়ে দেবে যে রাজ্যগুলো 

আপডেট : ০৪ জুন ২০২৪, ১৫: ১৮
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল আজ, ব্যবধান গড়ে দেবে যে রাজ্যগুলো 

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে আজ মঙ্গলবার। টানা ৪৪ দিন ধরে চলা সাত ধাপের ভোট শেষে ফলাফল ঘোষণা হতে যাচ্ছে আজ। এই নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ভারতের প্রায় ৬৪ কোটি মানুষ। বুথফেরত জরিপ বলছে, নরেন্দ্র মোদির বিজেপির নেতৃত্বে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স বা এনডিএ টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। তবে বিরোধীরা বারবার বলছেন, এবার তারাই জিতবেন। 

তবে যে বা যারাই জিতুক না কেন, সেখানে ব্যবধান গড়ে দেবে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য। আর সেগুলো হলো—বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, বিহার, তেলেঙ্গানা, ওডিশা, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক ও উত্তর প্রদেশ। এ ছাড়া, বিজেপি ভারতের দক্ষিণের অন্যান্য রাজ্যে কতটা ভালো করে, তারা ওপরও অনেক কিছুই নির্ভর করেছে। 

পশ্চিমবঙ্গ 

এই রাজ্যে ৪২টি লোকসভা আসন আছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ২২টি আসন, যা ২০১৪ সালের নির্বাচনের চেয়ে ১২টি কম। বিপরীতে ২০১৪ সালে মাত্র দুটি আসনে জেতা বিজেপি ২০১৯ সালে পেয়েছিল ১৮টি আসন। 

সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনের আগে ও নির্বাচন চলাকালে মোদি বেশ কয়েকবার পশ্চিমবঙ্গ সফর করেছেন। এ থেকেই বোঝা যায় তাঁর দল বিজেপি পশ্চিমবঙ্গকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এ ছাড়া, ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাজ্যটির বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যদি লোকসভায় ভালো ফলাফল করে, তবে তা সেই নির্বাচনেও প্রভাব ফেলবে। 

বুথফেরত জরিপ অবশ্য বলছে, এই রাজ্যে বিজেপিই এগিয়ে থাকবে। তবে বুথফেরত জরিপ যা-ই বলুক না কেন, বিরোধী জোট ইন্ডিয়া এই রাজ্যে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী। তৃণমূল কংগ্রেস তো বটেই, এই রাজ্যে জয় ইন্ডিয়া জোটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

মহারাষ্ট্র

 ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ও স্থানীয় রাজনৈতিক দল শিবসেনা মিলে ৪৮টি আসনের মধ্যে ৪১ টিতে জিতেছিল। তবে এবার শিবসেনা দুই ভাগে বিভক্ত। একাংশ অবশ্যই বিজেপির সঙ্গে আছে। কিন্তু অপর অংশ যোগ দিয়েছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে। ফলে জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না, এই রাজ্যে কোন শিবসেনা বিজয়ী রূপে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। 

শারদ পাওয়ারের ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টিও দুই ভাগে বিভক্ত। একাংশ বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার সঙ্গে, অপরাংশ বিজেপির জোটে। ফলে, এনসিপির কোন অংশ ভোটে প্রাধান্য বিস্তার করবে, তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। হিন্দুপ্রধান এই রাজ্যে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া যদি ভালো ফলাফল করতে পারে, তবে তা বিজেপির জোটের বিরুদ্ধে তাদের অনেকাংশেই এগিয়ে দেবে। অধিকাংশ বুথফেরত জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে বিজেপি জোটের আসনসংখ্যা কমতে পারে এই রাজ্যে। 
 
ওডিশা
বিজেপি এবারের নির্বাচনে বিজু জনতা দলের ঘাঁটি বলে পরিচিত ওডিশায়ও ভালো ফলের আশা করছে। এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজু জনতা দল ২১টি আসনের মধ্যে ১২টিতে জিতেছিল। বিপরীতে বিজেপি পেয়েছিল আটটি আসন। এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি আরও ভালো করার আশা করছে। কারণ, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মাত্র একটি আসন পাওয়া বিজেপি পরের নির্বাচনেই পেয়েছিল আটটি আসন। 

নির্বাচনের আগে বিজেপি বিজু জনতা দলের সঙ্গে জোট গঠনের চেষ্টা চালালেও তা ভেস্তে যায়। তবে এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ দলের শীর্ষ নেতারা রাজ্যটিতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। বুথফেরত জরিপগুলো রাজ্যটিতে বিজেপির বিশাল জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে বিরোধীরা এটিকে উড়িয়ে দিয়েছে। 

বিহার
ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে বিহার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য, যে রাজ্যে বর্ণ রাজনীতি অনেক বড় ভূমিকা পালন করে ভোটের লড়াইয়ে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির এনডিএ জোটের অংশীদার ছিল জনতা দল (ইউনাইটে)। সেবার রাজ্যের ৪০ আসনের মধ্যে ৩৯টিই জিতেছিল বিজেপি ও জেডিইউ। 

কিন্তু কিছুদিন পরেই বিজেপির জোট ভেঙে জনতা দলের নিতীশ কুমার চির প্রতিদ্বন্দ্বী লালু প্রাসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে যোগ দেয়। গত বছর সেই জোটও ভেঙে নিতীশ ফের বিজেপির কোলে ওঠেন। আর রাষ্ট্রীয় জনতা দল যায় বিরোধী জোট ইন্ডিয়ায়। বিরোধী জোট বিহারে ভালো ফলের আশা করছে। বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ রাহুল গান্ধী রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদবের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। 

তবে আশার বিপরীতে বুথফেরত জরিপ বলছে, এবারের নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোট দুই অঙ্কের সংখ্যাই পার হতে পারবে না। বিপরীতে এনডিএ জোটই এই রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে আবির্ভূত হবে। বিরোধীরা এই জরিপের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে এটিকে ‘মনস্তাত্ত্বিক প্রতারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে। 

তেলেঙ্গানা

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অন্যতম ব্যাটলগ্রাউন্ড বা রণক্ষেত্র হলো দক্ষিণী রাজ্য তেলেঙ্গানা। বছরখানেক আগেই এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস স্থানীয় নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করেছে। তবে এর আগের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি ১৭ লোকসভা আসনের মধ্যে ৯টিতে জিতেছিল। বিজেপি জিতেছিল চারটি এবং কংগ্রেস মাত্র তিনটি। এবারে চিত্রটা ভিন্ন হতে পারে। কারণ, রাজ্যটিতে এখন কংগ্রেস ক্ষমতায়। 

বুথফেরত জরিপগুলো বলছে, তেলেঙ্গানায় বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বিপরীতে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। 

কর্ণাটক

তেলেঙ্গানার পাশাপাশি কর্ণাটকেও ক্ষমতায় আছে কংগ্রেস। গত বছর অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে ভূমিধস জয়লাভ করে। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যের ২৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২৫টিতেই জিতেছিল। সে সময় জোটে থাকা স্থানীয় দল জেডিএস ও কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র একটি করে আসন। গতবার জেডিএস কংগ্রেসের সঙ্গে থাকলেও এবার দলটি বিজেপির এনডিএ জোটে গেছে। 

কর্ণাটকে জয় কংগ্রেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতায় আছে সেখানে এটি দলটির সাংগঠনিক শক্তির পরীক্ষা। তবে বেশির ভাগ বুথফেরত জরিপ কর্ণাটকে বিজেপিকে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিপরীতে কংগ্রেস দুই অঙ্কের সংখ্যা পার হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার ভবিষ্যদ্বাণী বাতিল করেছেন। 
 
এ ছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশ রাজ্যও এই নির্বাচনে ব্যবধান গড়ে দিতে ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের সঙ্গে প্রতারণা, ৪০ লাখ ডলার আত্মসাতের নেপথ্যে এক ইসরায়েলি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের দিয়ে ভিডিও বানিয়ে লাখ লাখ ডলার হাতিয়েছে প্রতারক চক্র। ছবি: স্ক্রিনশট
ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের দিয়ে ভিডিও বানিয়ে লাখ লাখ ডলার হাতিয়েছে প্রতারক চক্র। ছবি: স্ক্রিনশট

অসুস্থ বা মৃত্যুপথযাত্রী শিশুদের অসহায় বাবা-মায়েদের মানবিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বজুড়ে একটি বৃহৎ অনলাইন প্রতারণা চক্র লাখ লাখ ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এই মানবিক আবেদনগুলো শিশুদের জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহের দাবি করে জনসাধারণকে প্রতারিত করে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই প্রতারণার শিকার অন্তত ১৫টি পরিবার তাদের নামে সংগৃহীত তহবিলের সামান্য অংশই পেয়েছে, অনেকে কিছুই পাননি। অনেক ক্ষেত্রেই পরিবারগুলো জানতেও পারেনি যে তাদের মর্মান্তিক দৃশ্যের শুটিং করা হলেও ক্যাম্পেইনটি আদৌ প্রকাশিত হয়েছে কিনা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ফিলিপাইনের সেবু শহরের সাত বছরের শিশু খলিলকে নিয়ে একটি ভিডিও তৈরির জন্য তার মা আলজিন তাবাসাকে রাজি করানো হয়। খলিলের ক্যানসার ছিল। আলজিনের ভাষ্যমতে, শুটিংয়ের জন্য তার ছেলেকে দিয়ে অভিনয় করানো হয় এবং তাকে একটি ভুয়া স্যালাইন ড্রিপে যুক্ত করে পরিবারের সদস্যদের দিয়ে সাজানো জন্মদিনের অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। সবচেয়ে নির্মম হলো, শিশুটিকে ইংরেজিতে বলার জন্য একটি স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয়, যেখানে সে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আমার ক্যানসার হয়েছে, আমার জীবন বাঁচান।’

খলিলের কান্না দেখানোর জন্য চোখের নিচে মেনথল এবং পাশে কাটা পেঁয়াজ রাখা হয়েছিল। ১২ ঘণ্টা ধরে এই শুটিং চলে এবং বারবার রিটেক নিতে বলা হয়।

খলিলের নামে প্রকাশিত এই ক্যাম্পেইনে ২৭ হাজার ডলার সংগৃহীত হলেও, আলজিনকে বলা হয়েছিল ক্যাম্পেইনটি ব্যর্থ। তিনি শুধু শুটিংয়ের জন্য ৭০০ ডলার ‘পারিশ্রমিক’ পেয়েছিলেন। এক বছর পর খলিল মারা যায়। আলজিন আক্ষেপ করে বলেন, ‘যদি আমি জানতে পারতাম আমাদের জন্য এত টাকা উঠেছে, তবে হয়তো খলিল আজও আমাদের মাঝে থাকত। আমি বুঝতে পারছি না তারা কীভাবে আমাদের সঙ্গে এটা করতে পারল।’

বিবিসির সঙ্গে কথা বলা ৯টি পরিবার, যাদের ক্যাম্পেইন একই প্রতারণা চক্রের অংশ বলে মনে করা হয়, তারা জানিয়েছে, তাদের নামে তোলা প্রায় ৪০ লাখ ডলার তহবিলের কোনো অংশই তাঁরা পাননি।

এই প্রতারণা চক্রের একজন হুইসেলব্লোয়ার (পর্দা ফাঁসকারী) জানান, ক্যাম্পেইনের জন্য শিশুদের বেছে নেওয়ার করার ক্ষেত্রে তাদের সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি ছিল। তারা এমন শিশুদের খুঁজত যারা দেখতে ‘সুন্দর’ এবং তিন থেকে নয় বছর বয়সের মধ্যে, ন্যাড়ামাথা’।

অনুসন্ধানে ইরেজ হাদারী নামের কানাডাবাসী এক ইসরায়েলি ব্যক্তিকে এই চক্রের মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চান্স লেতিকভা বা চান্স ফর হোপ এবং ‘ওয়ালস অব হোপ’ নামের সংগঠনগুলো এসব ক্যাম্পেইন প্রচার করত। ইরেজ হাদারী যখন তহবিল সম্পর্কে আলজিনের জেরার মুখে পড়েন, তখন তিনি কোনো প্রমাণ ছাড়াই জানান যে বিজ্ঞাপন বাবদ সব অর্থ খরচ হয়ে গেছে এবং সংস্থার লোকসান হয়েছে। যদিও চ্যারিটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাম্পেইনের মোট সংগৃহীত অর্থের ২০ শতাংশের বেশি বিজ্ঞাপনের পেছনে খরচ হওয়ার কথা নয়।

চক্রের সঙ্গে যুক্ত একজন স্বীকার করেছেন তাঁরা একটি কনভেয়র বেল্টের মতো কাজ করেন। ডজনখানেক কোম্পানি একইভাবে তহবিল সংগ্রহ করে।

ফিলিপাইনের মতো কলম্বিয়া ও ইউক্রেনেও একই ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে।

কলম্বিয়ায় আট বছর বয়সী আনার (ব্রেন টিউমার রোগী) বাবাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজি করানো হয়। আনার নামে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার সংগৃহীত হয়েছিল। মজার বিষয় হলো, আনা সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও স্থানীয় দালাল ইজাবেল তাকে মেসেজ করে হাসপাতালের আরও ছবি দিতে বলে। পরে বলে, ক্যাম্পেইনের জন্য বানানো ভিডিওটি অনলাইনে আপলোডই করা হয়নি। যদিও তারা এই ভিডিও দিয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছে।

ইউক্রেনের পাঁচ বছর বয়সী ভিক্তোরিয়ার (ব্রেন ক্যানসার রোগী) মা ওলেনা ফিরসোভা জানান, তাঁর মেয়ের ছবি ব্যবহার করে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার সংগ্রহ করা হলেও তিনি এই ক্যাম্পেইন সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ভিক্তোরিয়ার শুটিং হয়েছিল অ্যাঞ্জেলহোম ক্লিনিকে। জানা যায়, এই ক্যাম্পেইনের সঙ্গে যুক্ত তেতিয়ানা খালিয়াভকা ওই ক্লিনিকের বিজ্ঞাপন ও যোগাযোগ বিভাগের কর্মী ছিলেন। যদিও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরে তাঁর নিয়োগ বাতিল করে দেয় এবং তহবিল সংগ্রহের সঙ্গে তাদের যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে।

ওলেনা যে চুক্তিতে সই করেছিলেন, তাতে ফিল্মিং (শুটিং) ফি বাবদ ১ হাজার ৫০০ ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে অতিরিক্ত ৮ হাজার ডলার দেওয়ার কথা থাকলেও, লক্ষ্যমাত্রার ঘরটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল।

অনুসন্ধান চলাকালীন ইরেজ হাদারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো অভিযোগেরই উত্তর দেননি।

সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো, ফিলিপাইনের খলিল এবং মেক্সিকোর হেক্টর—এই দুই শিশুই মারা গেছে—তাদের নামে তৈরি করা তহবিল সংগ্রহের ক্যাম্পেইন এখনো অনলাইনে চালু আছে এবং অর্থ সংগ্রহ চলছেই।

দ্বিতীয়বার ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ভিক্তোরিয়ার মা ওলেনা এই চক্রের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জেনে বলেন, ‘যখন আপনার সন্তান জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, আর কেউ সেই সুযোগ নিয়ে টাকা কামাচ্ছে, এটা খুবই নোংরা কাজ। এটা প্রাণের বিনিময়ে টাকা।’

বিবিসি তেতিয়ানা খালিয়াভকা এবং অ্যালেক্স কোহেন এবং চান্স লেতিকভা, ওয়ালস অব হোপ, সেন্ট রাফেল, লিটল অ্যাঞ্জেলস এবং সেন্ট তেরেসা নামক সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব চাওয়া হলেও তারা কেউই সাড়া দেয়নি।

ইসরায়েলের অলাভজনক সংস্থাগুলোর তত্ত্বাবধানকারী ইসরায়েলি করপোরেশন অথোরিটি বিবিসিকে বলেছে, যদি তাদের কাছে প্রমাণ থাকে যে প্রতিষ্ঠাতারা ‘অবৈধ কার্যকলাপের আড়াল’ হিসেবে সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছেন, তাহলে দেশে নিবন্ধন বাতিল করা হতে পারে এবং প্রতিষ্ঠাতাকে এই খাতে কাজ করতে বাধা দেওয়া হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা চ্যারিটি কমিশন, দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে দান করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সব সময় সংস্থাগুলো সম্পর্কে আগে খোঁজখবর নেওয়ার পরামর্শ দেয়। সংস্থাটি নিবন্ধিত কিনা তা যাচাই করতে এবং সন্দেহ হলে উপযুক্ত তহবিল সংগ্রহ নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসে রাহুলের পোস্টেও বাংলাদেশ নেই, একাত্তরে সীমান্ত রক্ষায় ‘ভারতীয় বীর’দের শ্রদ্ধা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৫০
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় ভারতের সীমান্ত রক্ষায় বীরত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে অবদান রাখায় দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো তাঁর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ অনুপস্থিত। এমনকি যুদ্ধ কার সঙ্গে কোথায় হয়েছে সেই বিষয়েও কোনো উল্লেখ নেই।

আজ মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বিজয় দিবসে আমি আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, যারা ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের সীমান্ত রক্ষা করার সময় তাদের বীরত্ব, নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প দিয়ে বিশ্বজুড়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।’

কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, ‘তাদের অদম্য সাহস, সংগ্রাম এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ সর্বদা প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’

এর আগে, বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে আবারও ভারতের ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তিনি এই দাবি করেন। এমনকি টুইটে বাংলাদেশের নামও নেননি মোদি।

নরেন্দ্র মোদি ইংরেজিতে দেওয়া টুইটের বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈন্যদের স্মরণ করি, যাঁদের সাহস ও আত্মত্যাগ ১৯৭১ সালে ভারতের এক ঐতিহাসিক বিজয় নিশ্চিত করেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের দৃঢ় সংকল্প এবং নিঃস্বার্থ সেবা আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং আমাদের ইতিহাসে গর্বের একটি মুহূর্ত খোদাই করে রেখেছে। এই দিন তাঁদের বীরত্বকে স্যালুট জানায় এবং তাঁদের অতুলনীয় চেতনার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাঁদের বীরত্ব ভারতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।’

অবশ্য এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মোদি একই ধরনের কাজ করেছেন। ২০২৪ সালেও বিজয় দিবসে তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয় বলে দাবি করেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আজ, বিজয় দিবসে আমরা সেই সাহসী সৈনিকদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই, যাঁরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রেখেছিলেন। তাঁদের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করেছে এবং আমাদের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। দিনটি তাঁদের অসামান্য বীরত্ব এবং অবিচল আত্মার প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে অমর হয়ে থাকবে।’

ঐতিহাসিক দলিল বলে, ভারত ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনী হিসেবে যোগ দেয়। ইন্সট্রুমেন্ট অব সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণের দলিলেও পাকিস্তানি বাহিনী ‘ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর’ কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। অথচ এর আগের প্রায় ৯ মাস পুরো মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা।

বাংলাদেশের জনগণের ওপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর অতর্কিত বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত ১১টি সেক্টরের কমান্ডারও ছিলেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআর এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা, যাঁরা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। এ ছাড়া পুরো মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে লাখ লাখ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। যেখানে কয়েক দিনের যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির সংখ্যা খুবই নগণ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইমরানকে বন্দী করে সাংবিধানিক ক্যুর মাধ্যমে আজীবন দায়মুক্তি নিয়েছেন সেনাপ্রধান: ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৪
ইমরান খান ও আসিম মুনির।
ইমরান খান ও আসিম মুনির।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ‘শান্তির জন্য নেতৃত্ব’ শীর্ষক উন্মুক্ত বিতর্কে জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানের বক্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে ভারতের ‘অবিচ্ছেদ্য এবং অনস্বীকার্য অংশ’ বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে নয়াদিল্লি।

জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত হরিশ পর্বতানেনি বলেন, ‘এগুলো অতীতে ভারতের ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’ বিতর্কে পাকিস্তানের প্রতিনিধি যে বক্তব্য দেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে পর্বতানেনি ভারতের এবং ভারতের জনগণের ক্ষতি করার বিষয়ে ইসলামাবাদের ‘মোহাবিষ্ট মানসিকতা’র কঠোর সমালোচনা করেন।

সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দু’ হিসেবে অভিহিত করেন। পর্বতানেনির ভাষায়, ‘ভারত ৬৫ বছর আগে সদিচ্ছা এবং বন্ধুত্বের মনোভাব নিয়ে সিন্ধু নদ পানিবণ্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। গত সাড়ে ৬ দশকে পাকিস্তান ভারতের ওপর তিনটি যুদ্ধ এবং হাজার হাজার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এই চুক্তির মর্যাদা লঙ্ঘন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, গত চার দশকে পাকিস্তানে মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী হামলায় হাজার হাজার ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি চলতি বছরের এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত হামলার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে এক বিদেশি নাগরিকসহ ২৬ বেসামরিক মানুষ নিহত হন।

ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এই প্রেক্ষাপটেই ভারত ঘোষণা করেছে, যতক্ষণ না পাকিস্তান—যা সন্ত্রাসবাদের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্রবিন্দু—বিশ্বাসযোগ্য এবং স্থায়ীভাবে আন্তসীমান্ত ও সব ধরনের সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া বন্ধ করছে, ততক্ষণ এই চুক্তি স্থগিত থাকবে।’

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্যে পর্বতানেনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারাবাস, তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নিষিদ্ধ করা এবং ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরকে আজীবন দায়মুক্তি দেওয়ার বিষয়গুলোকে ‘সাংবিধানিক ক্যু’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানানোর জন্য পাকিস্তানের এক অনন্য উপায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জেল খাটানো, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে সাংবিধানিক ক্যু ঘটাতে দেওয়া ও সেনাপ্রধানকে আজীবন দায়মুক্তি প্রদান করা।’

এর পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—ভারত তার সমস্ত শক্তি দিয়ে পাকিস্তান-স্পনসরকৃত সন্ত্রাসবাদের প্রতিটি রূপ ও প্রকাশকে মোকাবিলা করবে।’

পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার সমালোচনা করে জম্মু-কাশ্মীরকে ‘অমীমাংসিত বিরোধ’ হিসেবে উল্লেখ করলে তার জবাবেই ভারতের এই বক্তব্য আসে।

আসিম আহমেদ বলেন, ‘পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়, কিন্তু শান্তি কোনো একতরফা প্রচেষ্টা হতে পারে না।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর নিরাপত্তা পরিষদের অ্যাজেন্ডায় থাকা অন্যতম প্রাচীন অমীমাংসিত বিরোধ। এর জন্য জাতিসংঘের সনদ, নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব এবং কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি ন্যায়সংগত নিষ্পত্তি প্রয়োজন—যা ভারত ক্রমাগত লঙ্ঘন ও অস্বীকার করে চলেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বন্ডাই বিচ ট্র্যাজেডি: ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্টে ফিলিপাইনে গিয়েছিল হামলাকারী বাবা-ছেলে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৭
বাবা সাজিদ আকরাম ও ছেলে নাভিদ আকরাম। ছবি: সংগৃহীত
বাবা সাজিদ আকরাম ও ছেলে নাভিদ আকরাম। ছবি: সংগৃহীত

বন্ডির ঘটনার অভিযুক্ত দুই বন্দুকধারী—সাজিদ আকরাম (৫০) এবং তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম (২৪) —গত নভেম্বরের শুরুতে ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন। নভেম্বরের ২৮ তারিখ ফিলিপাইন ত্যাগ করেন তাঁরা। ফিলিপাইনের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।

ইমিগ্রেশন ব্যুরোর মুখপাত্র ডানা স্যান্ডোভাল জানান, সাজিদ আকরাম ভারতে ইস্যু করা একটি পাসপোর্ট ব্যবহার করে ফিলিপাইনে যান, অন্যদিকে তাঁর ছেলে নাভিদ আকরাম একটি অস্ট্রেলীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন।

স্যান্ডোভাল আরও বলেন, তাঁরা ফিলিপাইনে তাঁদের চূড়ান্ত গন্তব্য হিসেবে দক্ষিণের শহর ডাভাওকে ঘোষণা করেছিলেন এবং তাঁদের অস্ট্রেলিয়া ফেরার ফ্লাইটটি সিডনির জন্য নির্ধারিত ছিল।

ডাভাও হলো ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ মিন্দানাও-এর পূর্বে অবস্থিত একটি বিস্তৃত মহানগরী। উল্লেখ্য, মিন্দানাও-এর কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ-পশ্চিমের দরিদ্র এলাকাগুলোতে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের তৎপরতার খবর পাওয়া যায়।

এদিকে, ফিলিপাইনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি সে দেশে থাকাকালীন ‘সামরিক ধাঁচের প্রশিক্ষণ’ নিয়েছিলেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তাঁরা এখনো তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত