
ভারতের সবচেয়ে সম্মানিত ও মানবদরদি শিল্পপতিদের একজন রতন নাভাল টাটা বা রতন এন টাটা। গতকাল বুধবার তিনি ৮৬ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত কয়েক দিন ধরেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
রতন টাটা ১৯৯১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ২১ বছর টাটা গ্রুপকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে টাটা গ্রুপের মূলধন ৫০০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার কোটি ডলারে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টাটা গ্রুপকে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে কেবল শিল্পক্ষেত্রেই নয়, ভারতকে তিনি এগিয়ে নিয়েছেন অন্যভাবেও। দেশে এবং দেশের বাইরে তিনি ‘সবার আগে ভারত এবং ভারতীয়রা’—এই নীতির ব্যাপক প্রচার-প্রসার করেছেন।
রতন এন টাটা মুম্বাইয়ের একটি পারসি পরিবারে জন্ম নেন ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর। শৈশবেই তাঁর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর তাঁকে লালনপালন করেন তাঁর দাদি নওয়াজবাই টাটা। রতন টাটা যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি ও হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে রতন টাটা ১৯৬১ সালে টাটা স্টিলে যোগদান করেন। সে সময় তিনি সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গেই অফিস করতেন। দীর্ঘ সময় তিনি সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। আর বিষয়টি তাঁকে মানুষকে বোঝার অসাধারণ দক্ষতা দেয়, যা পরবর্তী সময়ে টাটা গ্রুপের সম্প্রসারণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
রতন টাটা তাঁর পূর্বসূরি জাহাঙ্গীর রতনজি দাদাভাই টাটা বা জেআরডি টাটার স্থলাভিষিক্ত হন ১৯৯১ সালে। সে সময় ভারতের অন্যতম কনগ্লোরামেট বা শিল্পগোষ্ঠী ছিল টাটা গ্রুপ, যার বার্ষিক আয় ছিল ৫ বিলিয়ন তথা ৫০০ কোটি ডলার। কিন্তু রতন টাটার মিশনারি নেতৃত্ব টাটাকে ভারতের গণ্ডি থেকে বের করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেয় এবং ২০১২ সাল নাগাদ গ্রুপের বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ বিলিয়ন ডলারে। রতন টাটার নেতৃত্বেই টাটা গ্রুপ বিশ্বের শতাধিক দেশে বিভিন্ন ব্যবসায়—স্টিল থেকে শুরু করে মোটরগাড়ি হয়ে আইটি এবং অন্যান্য পণ্য সম্প্রসারণ করে।
রতন টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ ২০০০ সালে প্রথম কোনো ভারতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করে। সে বছর টাটা গ্রুপ ৪৫ কোটি ডলারের বিনিময়ে ব্রিটিশ চা কোম্পানি টেটলিকে কিনে নেয়। এর মধ্যে বিশ্ববাজারে ভারতীয় কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়।
এরপর ২০০৭ সালে টাটা গ্রুপ ব্রিটিশ-ডাচ স্টিল উৎপাদনকারী কোম্পানি কোরাস কিনে নেয় ১৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। পরে এর নামকরণ করা হয় টাটা স্টিল ইউরোপ। এই কোম্পানি কিনে নেওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্টিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় টাটা।
কোরাস কিনে নেওয়ার এক বছর পর টাটা গ্রুপ রতন টাটার নেতৃত্বে আরও একটি দারুণ উদ্যোগ নেয়। এবার প্রতিষ্ঠানটি ব্রিটেনের আইকনিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কিনে নেয়। ২০০৮ সালে ২৩০ কোটি ডলারের বিনিময়ে টাটা গ্রুপ জাগুয়ারকে অধিগ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে টাটা গ্রুপ বৈশ্বিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কিনে নেওয়ার বছরই (২০০৮ সালে) টাটা গ্রুপ ভারতে ‘টাটা ন্যানো’ গাড়ি নামায়। মূলত টাটার ‘সবার আগে ভারত ও ভারতীয়রা’—এই নীতির প্রতিফলন ছিল এটি। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল মূলত বিশ্বের সবচেয়ে কমদামি গাড়ি উৎপাদন, যার মূল্য ছিল মাত্র ১ লাখ রুপি। তবে এই উদ্যোগ বাণিজ্যিক সফলতার মুখ দেখেনি।
ব্যবসার বাইরেও সামাজিক পরিমণ্ডলে রতন এন টাটার প্রভাব ছিল। তিনি করপোরেট দুনিয়ায় সামাজিক কল্যাণ ও টেকসই ব্যবস্থা আনয়নের অন্যতম পথিকৃৎ। যেমন, টাটা গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান টাটা সনসের নিয়ন্ত্রণে থাকা টাটা ট্রাস্ট ভারতের অন্যতম শীর্ষ দাতব্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং টেকসই জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
কোভিড-১৯ মহামারির সময় রতন এন টাটা ৫০০ কোটি রুপি দান করেছিলেন। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে তিনি একটি এক্সিকিউটিভ সেন্টার নির্মাণে ৫০ মিলিয়ন ডলার তহবিল যুগিয়েছেন। এ ছাড়া, কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টার এবং বেশ কিছু শিক্ষামূলক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি দেশের অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের চেষ্টায় অবদান রেখেছেন।
মুম্বাই ২০০৮ সালের নভেম্বরের ২৬ তারিখে টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন হোটেল তাজে যে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য সহায়তা করার জন্য ‘তাজ পাবলিক সার্ভিস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন রতন এন টাটা। রতন টাটার নম্র ও সাদাসিধে আচরণ তাঁকে ভারত ও ভারতের বাইরে একজন প্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করে তুলেছে। অন্যান্য করপোরেট ম্যাগনেটদের বিপরীতে তিনি নিজেকে খুবই সাধারণভাবে উপস্থাপন করতেন।
রতন এন টাটা ২০২১ সালে দুই বছর ধরে অসুস্থ এক কর্মীকে দেখতে মুম্বাই থেকে পুনেতে গিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর এই উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিল। সমাজ ও অর্থনীতিতে দারুণ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ভারত সরকার ২০০০ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ ও ২০০৮ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক পদ্মবিভূষণে ভূষিত করে।
পোষা প্রাণী ও বেওয়ারিশ প্রাণীর প্রতি রতন এন টাটার ভালোবাসা ছিল। মুম্বাইয়ে অবস্থিত টাটা সনসের বৈশ্বিক হেডকোয়ার্টারে বেওয়ারিশ কুকুরের যত্ন নেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট দলই গঠন করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর ১ কোটি অনুসারী আছে।
তথ্যসূত্র: আউটলুক বিজনেস

ভারতের সবচেয়ে সম্মানিত ও মানবদরদি শিল্পপতিদের একজন রতন নাভাল টাটা বা রতন এন টাটা। গতকাল বুধবার তিনি ৮৬ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত কয়েক দিন ধরেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।
রতন টাটা ১৯৯১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ২১ বছর টাটা গ্রুপকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে টাটা গ্রুপের মূলধন ৫০০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার কোটি ডলারে। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টাটা গ্রুপকে পৌঁছে দিয়েছেন। তবে কেবল শিল্পক্ষেত্রেই নয়, ভারতকে তিনি এগিয়ে নিয়েছেন অন্যভাবেও। দেশে এবং দেশের বাইরে তিনি ‘সবার আগে ভারত এবং ভারতীয়রা’—এই নীতির ব্যাপক প্রচার-প্রসার করেছেন।
রতন এন টাটা মুম্বাইয়ের একটি পারসি পরিবারে জন্ম নেন ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর। শৈশবেই তাঁর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়। এরপর তাঁকে লালনপালন করেন তাঁর দাদি নওয়াজবাই টাটা। রতন টাটা যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি ও হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে রতন টাটা ১৯৬১ সালে টাটা স্টিলে যোগদান করেন। সে সময় তিনি সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গেই অফিস করতেন। দীর্ঘ সময় তিনি সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। আর বিষয়টি তাঁকে মানুষকে বোঝার অসাধারণ দক্ষতা দেয়, যা পরবর্তী সময়ে টাটা গ্রুপের সম্প্রসারণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
রতন টাটা তাঁর পূর্বসূরি জাহাঙ্গীর রতনজি দাদাভাই টাটা বা জেআরডি টাটার স্থলাভিষিক্ত হন ১৯৯১ সালে। সে সময় ভারতের অন্যতম কনগ্লোরামেট বা শিল্পগোষ্ঠী ছিল টাটা গ্রুপ, যার বার্ষিক আয় ছিল ৫ বিলিয়ন তথা ৫০০ কোটি ডলার। কিন্তু রতন টাটার মিশনারি নেতৃত্ব টাটাকে ভারতের গণ্ডি থেকে বের করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেয় এবং ২০১২ সাল নাগাদ গ্রুপের বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ বিলিয়ন ডলারে। রতন টাটার নেতৃত্বেই টাটা গ্রুপ বিশ্বের শতাধিক দেশে বিভিন্ন ব্যবসায়—স্টিল থেকে শুরু করে মোটরগাড়ি হয়ে আইটি এবং অন্যান্য পণ্য সম্প্রসারণ করে।
রতন টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ ২০০০ সালে প্রথম কোনো ভারতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করে। সে বছর টাটা গ্রুপ ৪৫ কোটি ডলারের বিনিময়ে ব্রিটিশ চা কোম্পানি টেটলিকে কিনে নেয়। এর মধ্যে বিশ্ববাজারে ভারতীয় কোম্পানির যাত্রা শুরু হয়।
এরপর ২০০৭ সালে টাটা গ্রুপ ব্রিটিশ-ডাচ স্টিল উৎপাদনকারী কোম্পানি কোরাস কিনে নেয় ১৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। পরে এর নামকরণ করা হয় টাটা স্টিল ইউরোপ। এই কোম্পানি কিনে নেওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্টিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় টাটা।
কোরাস কিনে নেওয়ার এক বছর পর টাটা গ্রুপ রতন টাটার নেতৃত্বে আরও একটি দারুণ উদ্যোগ নেয়। এবার প্রতিষ্ঠানটি ব্রিটেনের আইকনিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কিনে নেয়। ২০০৮ সালে ২৩০ কোটি ডলারের বিনিময়ে টাটা গ্রুপ জাগুয়ারকে অধিগ্রহণ করে। এর মধ্য দিয়ে টাটা গ্রুপ বৈশ্বিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার কিনে নেওয়ার বছরই (২০০৮ সালে) টাটা গ্রুপ ভারতে ‘টাটা ন্যানো’ গাড়ি নামায়। মূলত টাটার ‘সবার আগে ভারত ও ভারতীয়রা’—এই নীতির প্রতিফলন ছিল এটি। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল মূলত বিশ্বের সবচেয়ে কমদামি গাড়ি উৎপাদন, যার মূল্য ছিল মাত্র ১ লাখ রুপি। তবে এই উদ্যোগ বাণিজ্যিক সফলতার মুখ দেখেনি।
ব্যবসার বাইরেও সামাজিক পরিমণ্ডলে রতন এন টাটার প্রভাব ছিল। তিনি করপোরেট দুনিয়ায় সামাজিক কল্যাণ ও টেকসই ব্যবস্থা আনয়নের অন্যতম পথিকৃৎ। যেমন, টাটা গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান টাটা সনসের নিয়ন্ত্রণে থাকা টাটা ট্রাস্ট ভারতের অন্যতম শীর্ষ দাতব্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং টেকসই জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
কোভিড-১৯ মহামারির সময় রতন এন টাটা ৫০০ কোটি রুপি দান করেছিলেন। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে তিনি একটি এক্সিকিউটিভ সেন্টার নির্মাণে ৫০ মিলিয়ন ডলার তহবিল যুগিয়েছেন। এ ছাড়া, কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টার এবং বেশ কিছু শিক্ষামূলক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি দেশের অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের চেষ্টায় অবদান রেখেছেন।
মুম্বাই ২০০৮ সালের নভেম্বরের ২৬ তারিখে টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন হোটেল তাজে যে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য সহায়তা করার জন্য ‘তাজ পাবলিক সার্ভিস ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন রতন এন টাটা। রতন টাটার নম্র ও সাদাসিধে আচরণ তাঁকে ভারত ও ভারতের বাইরে একজন প্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করে তুলেছে। অন্যান্য করপোরেট ম্যাগনেটদের বিপরীতে তিনি নিজেকে খুবই সাধারণভাবে উপস্থাপন করতেন।
রতন এন টাটা ২০২১ সালে দুই বছর ধরে অসুস্থ এক কর্মীকে দেখতে মুম্বাই থেকে পুনেতে গিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর এই উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিল। সমাজ ও অর্থনীতিতে দারুণ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ভারত সরকার ২০০০ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ ও ২০০৮ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক পদ্মবিভূষণে ভূষিত করে।
পোষা প্রাণী ও বেওয়ারিশ প্রাণীর প্রতি রতন এন টাটার ভালোবাসা ছিল। মুম্বাইয়ে অবস্থিত টাটা সনসের বৈশ্বিক হেডকোয়ার্টারে বেওয়ারিশ কুকুরের যত্ন নেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট দলই গঠন করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর ১ কোটি অনুসারী আছে।
তথ্যসূত্র: আউটলুক বিজনেস

বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে।
২ ঘণ্টা আগে
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
৪ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে। কিন্তু এক বছর না পেরোতেই সেই কারাগারগুলো আবার ভরে উঠছে। এবার নতুন সরকারের অধীনেই সিরিয়ায় আবারও ফিরে এসেছে গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ।
রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গত এক বছরে অন্তত ৮২৯ জন নিরাপত্তাজনিত কারণে আটক হয়েছেন। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের বড় অংশই কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা আদালতের আদেশ ছাড়াই বন্দী রয়েছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদ-পরবর্তী সিরিয়ায় প্রথম দফার গ্রেপ্তার শুরু হয়েছিল বিদ্রোহীদের বিজয়ের পরপরই। সে সময় মূলত আসাদের আমলের সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে শীতের শেষ দিকে উপকূলীয় অঞ্চলে সহিংসতার জের ধরে আলাউইত সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন। বসন্ত ও গ্রীষ্মে দ্রুজ অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক ধরপাকড় চলে। একই সঙ্গে সুন্নি, খ্রিষ্টান ও শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনও ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’ বা আসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অস্পষ্ট অভিযোগে আটক হন।
রয়টার্স জানিয়েছে, আসাদ আমলের অন্তত ২৮টি কারাগার ও আটক কেন্দ্র আবার সক্রিয় হয়েছে। এগুলোর অনেকগুলোই অতীতে নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত ছিল। যদিও বর্তমান সরকার বলছে, অপরাধীদের বিচারের প্রয়োজনে এসব কেন্দ্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অনেক বন্দীকে ইতিমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান তারা প্রকাশ করেনি।
সাক্ষাৎকারে সাবেক বন্দী ও স্বজনেরা জানিয়েছেন, আটক কেন্দ্রগুলোতে ভয়াবহ মানবেতর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গাদাগাদি করে বন্দী রাখা, খাবার ও চিকিৎসার অভাব, ত্বকের রোগ এবং নিয়মিত মারধরের অভিযোগ রয়েছে। অন্তত ১১ জন বন্দী কারা হেফাজতে মারা গেছেন বলে নথিভুক্ত করেছে রয়টার্স। এদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পরিবার জানতই না—দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর তারা বিষয়টি জানতে পারে।
চাঁদাবাজিও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ১৪টি পরিবার জানিয়েছে, স্বজনকে মুক্তির বিনিময়ে ৫০০ থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এই অঙ্ক ৯০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থ পরিশোধের পরও অনেকেই মুক্তি পাননি।
এদিকে সরকার স্বীকার করেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনের সময় কিছু ‘ফাঁকফোকর’ তৈরি হয়েছে এবং কিছু নিরাপত্তা সদস্য নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। তাদের দাবি, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৫৯ জন নিরাপত্তা সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ব্যাপক আটক ও গুমের অভিযোগ নতুন সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরও আসাদের পতনের পর ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্বিচার আটক’-এর তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
আসাদের শাসনামলের মতো নির্মম নির্যাতন না হলেও, পুরোনো কারাগার ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন সিরিয়ার নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে। মানবাধিকারকর্মীদের ভাষায়, ‘শাসক বদলেছে, কিন্তু কারাগারের ছায়া এখনো কাটেনি।’

বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে। কিন্তু এক বছর না পেরোতেই সেই কারাগারগুলো আবার ভরে উঠছে। এবার নতুন সরকারের অধীনেই সিরিয়ায় আবারও ফিরে এসেছে গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ।
রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গত এক বছরে অন্তত ৮২৯ জন নিরাপত্তাজনিত কারণে আটক হয়েছেন। প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের বড় অংশই কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা আদালতের আদেশ ছাড়াই বন্দী রয়েছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসাদ-পরবর্তী সিরিয়ায় প্রথম দফার গ্রেপ্তার শুরু হয়েছিল বিদ্রোহীদের বিজয়ের পরপরই। সে সময় মূলত আসাদের আমলের সেনা সদস্য ও কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে শীতের শেষ দিকে উপকূলীয় অঞ্চলে সহিংসতার জের ধরে আলাউইত সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন। বসন্ত ও গ্রীষ্মে দ্রুজ অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলেও ব্যাপক ধরপাকড় চলে। একই সঙ্গে সুন্নি, খ্রিষ্টান ও শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনও ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’ বা আসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অস্পষ্ট অভিযোগে আটক হন।
রয়টার্স জানিয়েছে, আসাদ আমলের অন্তত ২৮টি কারাগার ও আটক কেন্দ্র আবার সক্রিয় হয়েছে। এগুলোর অনেকগুলোই অতীতে নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত ছিল। যদিও বর্তমান সরকার বলছে, অপরাধীদের বিচারের প্রয়োজনে এসব কেন্দ্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অনেক বন্দীকে ইতিমধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান তারা প্রকাশ করেনি।
সাক্ষাৎকারে সাবেক বন্দী ও স্বজনেরা জানিয়েছেন, আটক কেন্দ্রগুলোতে ভয়াবহ মানবেতর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গাদাগাদি করে বন্দী রাখা, খাবার ও চিকিৎসার অভাব, ত্বকের রোগ এবং নিয়মিত মারধরের অভিযোগ রয়েছে। অন্তত ১১ জন বন্দী কারা হেফাজতে মারা গেছেন বলে নথিভুক্ত করেছে রয়টার্স। এদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পরিবার জানতই না—দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর তারা বিষয়টি জানতে পারে।
চাঁদাবাজিও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ১৪টি পরিবার জানিয়েছে, স্বজনকে মুক্তির বিনিময়ে ৫০০ থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত দাবি করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে এই অঙ্ক ৯০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। অর্থ পরিশোধের পরও অনেকেই মুক্তি পাননি।
এদিকে সরকার স্বীকার করেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠনের সময় কিছু ‘ফাঁকফোকর’ তৈরি হয়েছে এবং কিছু নিরাপত্তা সদস্য নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। তাদের দাবি, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ১৫৯ জন নিরাপত্তা সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ব্যাপক আটক ও গুমের অভিযোগ নতুন সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরও আসাদের পতনের পর ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্বিচার আটক’-এর তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
আসাদের শাসনামলের মতো নির্মম নির্যাতন না হলেও, পুরোনো কারাগার ব্যবস্থার পুনরুজ্জীবন সিরিয়ার নতুন ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে। মানবাধিকারকর্মীদের ভাষায়, ‘শাসক বদলেছে, কিন্তু কারাগারের ছায়া এখনো কাটেনি।’

কোভিড-১৯ মহামারির সময় রতন এন টাটা ৫০০ কোটি রুপি দান করেছিলেন। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে তিনি একটি এক্সিকিউটিভ সেন্টার নির্মাণে ৫০ মিলিয়ন ডলার তহবিল যুগিয়েছেন। এ ছাড়া, কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টার এবং বেশ কিছু শিক্ষামূলক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি দেশের অনগ্রসর সম্প্রদায়ের
১০ অক্টোবর ২০২৪
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
৪ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলায় দেশটির শীর্ষস্থানীয় এক জেনারেল নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে রুশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বরাতে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফানিল সারভারভ (৫৬)। তিনি রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় সারভারভকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, একটি সাদা রঙের গাড়ি বিস্ফোরণে দুমড়েমুচড়ে গেছে এবং সেটির যন্ত্রাংশ উড়ে গিয়ে পাশে থাকা অন্য যানবাহনের ওপর পড়েছে।
রুশ ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে রুশ কর্মকর্তাদের ধারণা, এই হামলার নেপথ্যে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত থাকতে পারে। তবে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, জেনারেল সারভারভের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তা জানানো হয়েছে।
৫৬ বছর বয়সী ফানিল সারভারভ রুশ সামরিক বাহিনীর অত্যন্ত অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ছিলেন। রুশ গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ফানিল সারভারভ নব্বইয়ের দশক এবং ২০০০ সালের শুরুতে তিনি ওসেটিয়ান-ইঙ্গুশ সংঘাত ও চেচেন যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৫-১৬ সালে সিরিয়ায় রুশ সামরিক অভিযানেও তিনি নেতৃত্ব দেন।
২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে মস্কোতে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ওপর বেশ কয়েকটি বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র আলেকজান্ডার দুগিনের কন্যা দারিয়া দুগিনা গাড়িবোমা হামলায় নিহত হন।
চলতি বছরের এপ্রিলে জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক ও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জেনারেল ইগর কিরিলভও একই ধরনের হামলায় প্রাণ হারান।
নীতিগত কারণে ইউক্রেন সাধারণত এ ধরনের হামলার দায় স্বীকার করে না। তবে গত বছর জেনারেল কিরিলভ নিহতের ঘটনায় ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল বিবিসির একটি সূত্র।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলায় দেশটির শীর্ষস্থানীয় এক জেনারেল নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে রুশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বরাতে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফানিল সারভারভ (৫৬)। তিনি রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে গুরুতর আহত অবস্থায় সারভারভকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, একটি সাদা রঙের গাড়ি বিস্ফোরণে দুমড়েমুচড়ে গেছে এবং সেটির যন্ত্রাংশ উড়ে গিয়ে পাশে থাকা অন্য যানবাহনের ওপর পড়েছে।
রুশ ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে রুশ কর্মকর্তাদের ধারণা, এই হামলার নেপথ্যে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত থাকতে পারে। তবে ইউক্রেন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, জেনারেল সারভারভের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তা জানানো হয়েছে।
৫৬ বছর বয়সী ফানিল সারভারভ রুশ সামরিক বাহিনীর অত্যন্ত অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ছিলেন। রুশ গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ফানিল সারভারভ নব্বইয়ের দশক এবং ২০০০ সালের শুরুতে তিনি ওসেটিয়ান-ইঙ্গুশ সংঘাত ও চেচেন যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৫-১৬ সালে সিরিয়ায় রুশ সামরিক অভিযানেও তিনি নেতৃত্ব দেন।
২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে মস্কোতে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের ওপর বেশ কয়েকটি বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র আলেকজান্ডার দুগিনের কন্যা দারিয়া দুগিনা গাড়িবোমা হামলায় নিহত হন।
চলতি বছরের এপ্রিলে জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক ও ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জেনারেল ইগর কিরিলভও একই ধরনের হামলায় প্রাণ হারান।
নীতিগত কারণে ইউক্রেন সাধারণত এ ধরনের হামলার দায় স্বীকার করে না। তবে গত বছর জেনারেল কিরিলভ নিহতের ঘটনায় ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা সংস্থার জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল বিবিসির একটি সূত্র।

কোভিড-১৯ মহামারির সময় রতন এন টাটা ৫০০ কোটি রুপি দান করেছিলেন। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে তিনি একটি এক্সিকিউটিভ সেন্টার নির্মাণে ৫০ মিলিয়ন ডলার তহবিল যুগিয়েছেন। এ ছাড়া, কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টার এবং বেশ কিছু শিক্ষামূলক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি দেশের অনগ্রসর সম্প্রদায়ের
১০ অক্টোবর ২০২৪
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে।
২ ঘণ্টা আগে
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
৪ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্বদিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) কলকাতায় আরএসএসের শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘১০০ ব্যাখ্যান মালা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধানে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ শব্দ জোড়ানোর কোনো পরিকল্পনা বা দাবি সংঘের আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘সূর্য পূর্বদিকে ওঠে; আমরা জানি না কত দিন ধরে এটি ঘটছে। এর জন্য কি আমাদের সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন আছে? হিন্দুস্তান একটি হিন্দু রাষ্ট্র। যারা এই দেশকে মাতৃভূমি মনে করে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করে, তারা সবাই এই দর্শনের অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ যদি কখনো সংবিধান সংশোধন করে এই শব্দটি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা ভালো। কিন্তু তারা তা করুক বা না করুক—তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। কারণ, সত্য এটাই যে আমাদের দেশ একটি হিন্দু রাষ্ট্র।’
জাতপাত নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে আরএসএস প্রধান স্পষ্ট করে বলেন, ‘জন্মভিত্তিক বর্ণপ্রথা বা জাতপাত হিন্দুত্বের বৈশিষ্ট্য নয়।’
আরএসএসকে প্রায়ই মুসলিমবিরোধী হিসেবে গণ্য করা হয়। এই প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত মানুষকে সরাসরি সংঘের শাখা বা অফিসগুলো ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ অত্যন্ত স্বচ্ছ। আপনারা যেকোনো সময় এসে দেখে যান। যদি আমাদের কার্যক্রমে মুসলিমবিরোধী কিছু খুঁজে পান, তবে আপনাদের ধারণা বজায় রাখুন। কিন্তু যদি তা না দেখেন, তবে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন।’
তিনি দাবি করেন, মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে আরএসএস হিন্দুদের সুরক্ষার কথা বলে এবং তারা কট্টর জাতীয়তাবাদী, কিন্তু তারা ‘মুসলিমবিরোধী’ নয়।
উল্লেখ্য, ভারতের সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ (Secular) শব্দটি ছিল না। ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আনা ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে এটি যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে, আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, ভারতের সংস্কৃতি এবং জনতাত্ত্বিক কাঠামোর কারণেই এটি প্রাকৃতিকভাবে একটি হিন্দু রাষ্ট্র।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্বদিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
গতকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) কলকাতায় আরএসএসের শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘১০০ ব্যাখ্যান মালা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধানে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ শব্দ জোড়ানোর কোনো পরিকল্পনা বা দাবি সংঘের আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মোহন ভাগবত বলেন, ‘সূর্য পূর্বদিকে ওঠে; আমরা জানি না কত দিন ধরে এটি ঘটছে। এর জন্য কি আমাদের সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন আছে? হিন্দুস্তান একটি হিন্দু রাষ্ট্র। যারা এই দেশকে মাতৃভূমি মনে করে এবং ভারতীয় সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করে, তারা সবাই এই দর্শনের অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ যদি কখনো সংবিধান সংশোধন করে এই শব্দটি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা ভালো। কিন্তু তারা তা করুক বা না করুক—তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। কারণ, সত্য এটাই যে আমাদের দেশ একটি হিন্দু রাষ্ট্র।’
জাতপাত নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে আরএসএস প্রধান স্পষ্ট করে বলেন, ‘জন্মভিত্তিক বর্ণপ্রথা বা জাতপাত হিন্দুত্বের বৈশিষ্ট্য নয়।’
আরএসএসকে প্রায়ই মুসলিমবিরোধী হিসেবে গণ্য করা হয়। এই প্রসঙ্গে মোহন ভাগবত মানুষকে সরাসরি সংঘের শাখা বা অফিসগুলো ঘুরে দেখার আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ অত্যন্ত স্বচ্ছ। আপনারা যেকোনো সময় এসে দেখে যান। যদি আমাদের কার্যক্রমে মুসলিমবিরোধী কিছু খুঁজে পান, তবে আপনাদের ধারণা বজায় রাখুন। কিন্তু যদি তা না দেখেন, তবে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন।’
তিনি দাবি করেন, মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে আরএসএস হিন্দুদের সুরক্ষার কথা বলে এবং তারা কট্টর জাতীয়তাবাদী, কিন্তু তারা ‘মুসলিমবিরোধী’ নয়।
উল্লেখ্য, ভারতের সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ (Secular) শব্দটি ছিল না। ১৯৭৬ সালে জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী সরকারের আনা ৪২তম সংশোধনীর মাধ্যমে এটি যুক্ত করা হয়। অন্যদিকে, আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, ভারতের সংস্কৃতি এবং জনতাত্ত্বিক কাঠামোর কারণেই এটি প্রাকৃতিকভাবে একটি হিন্দু রাষ্ট্র।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

কোভিড-১৯ মহামারির সময় রতন এন টাটা ৫০০ কোটি রুপি দান করেছিলেন। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে তিনি একটি এক্সিকিউটিভ সেন্টার নির্মাণে ৫০ মিলিয়ন ডলার তহবিল যুগিয়েছেন। এ ছাড়া, কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টার এবং বেশ কিছু শিক্ষামূলক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি দেশের অনগ্রসর সম্প্রদায়ের
১০ অক্টোবর ২০২৪
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে।
২ ঘণ্টা আগে
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার।
গত ২১ নভেম্বর পাপিরির সেন্ট মেরি’স ক্যাথলিক স্কুল থেকে ২৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং কর্মী অপহৃত হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিশুকে চলতি মাসের শুরুর দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
অবশিষ্ট ১৩০ জন শিশু ও কর্মীকে উদ্ধারের’ বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘একজন শিক্ষার্থীও আর বন্দিদশায় নেই।’
গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র বায়ো ওনানুগা জানান, মুক্ত শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা এখন ২৩০ জন। অপহরণের পর থেকে ঠিক কতজনকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং কতজন বন্দিদশায় ছিল, সে বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। সরকার কীভাবে সর্বশেষ এই মুক্তি নিশ্চিত করেছে বা কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
ওনানুগা আরও জানান, আশা করা হচ্ছে, মুক্ত শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার নাইজারের রাজধানী মিন্নায় পৌঁছাবে।
গত নভেম্বরে ঘটে যাওয়া এ অপহরণের ঘটনাটি উত্তর ও মধ্য নাইজেরিয়ার স্কুল এবং উপাসনালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান লক্ষ্যবস্তু হামলার সর্বশেষ ঘটনা। এ অপহরণের সময় ৫০ জন শিক্ষার্থী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল বলে জানায় ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া।
এর আগে ১৮ নভেম্বর সেন্ট মেরি’স-এ হামলার ঠিক কয়েক দিন আগে আরও কিছু গণ-অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। কোয়ারা রাজ্যের ক্রাইস্ট অ্যাপোস্টোলিক চার্চে এক হামলায় দুজন নিহত এবং ৩৮ জন অপহৃত হন। এর আগের দিন কেব্বি রাজ্যের গভর্নমেন্ট গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দুজন নিহত এবং ২৫ জন মুসলিম শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছিল। কোয়ারা এবং কেব্বি হামলার ঘটনায় যাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
এই অপহরণগুলোর পেছনে কারা রয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণা, মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপরাধী চক্রগুলো এই কাজ করছে।
গত ৯ ডিসেম্বর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু বলেছিলেন, তাঁর সরকার আমাদের স্কুলগুলোকে নিরাপদ করতে এবং ছোটদের জন্য শিক্ষার পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও অনুকূল করতে নাইজার এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য নাইজারে একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত ১৩০ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ এক গণ-অপহরণের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করে সবার মুক্তির পর একে ‘বিজয় এবং স্বস্তির মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেছে নাইজেরিয়ার সরকার।
গত ২১ নভেম্বর পাপিরির সেন্ট মেরি’স ক্যাথলিক স্কুল থেকে ২৫০ জনেরও বেশি শিশু এবং কর্মী অপহৃত হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ১০০ জন শিশুকে চলতি মাসের শুরুর দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
অবশিষ্ট ১৩০ জন শিশু ও কর্মীকে উদ্ধারের’ বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘একজন শিক্ষার্থীও আর বন্দিদশায় নেই।’
গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র বায়ো ওনানুগা জানান, মুক্ত শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা এখন ২৩০ জন। অপহরণের পর থেকে ঠিক কতজনকে তুলে নেওয়া হয়েছিল এবং কতজন বন্দিদশায় ছিল, সে বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল। সরকার কীভাবে সর্বশেষ এই মুক্তি নিশ্চিত করেছে বা কোনো মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
ওনানুগা আরও জানান, আশা করা হচ্ছে, মুক্ত শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার নাইজারের রাজধানী মিন্নায় পৌঁছাবে।
গত নভেম্বরে ঘটে যাওয়া এ অপহরণের ঘটনাটি উত্তর ও মধ্য নাইজেরিয়ার স্কুল এবং উপাসনালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান লক্ষ্যবস্তু হামলার সর্বশেষ ঘটনা। এ অপহরণের সময় ৫০ জন শিক্ষার্থী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল বলে জানায় ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব নাইজেরিয়া।
এর আগে ১৮ নভেম্বর সেন্ট মেরি’স-এ হামলার ঠিক কয়েক দিন আগে আরও কিছু গণ-অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। কোয়ারা রাজ্যের ক্রাইস্ট অ্যাপোস্টোলিক চার্চে এক হামলায় দুজন নিহত এবং ৩৮ জন অপহৃত হন। এর আগের দিন কেব্বি রাজ্যের গভর্নমেন্ট গার্লস সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দুজন নিহত এবং ২৫ জন মুসলিম শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছিল। কোয়ারা এবং কেব্বি হামলার ঘটনায় যাদের তুলে নেওয়া হয়েছিল, তারা সবাই ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে।
এই অপহরণগুলোর পেছনে কারা রয়েছে তা স্পষ্ট নয়, তবে অধিকাংশ বিশ্লেষকের ধারণা, মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে অপরাধী চক্রগুলো এই কাজ করছে।
গত ৯ ডিসেম্বর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু বলেছিলেন, তাঁর সরকার আমাদের স্কুলগুলোকে নিরাপদ করতে এবং ছোটদের জন্য শিক্ষার পরিবেশকে আরও নিরাপদ ও অনুকূল করতে নাইজার এবং অন্যান্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

কোভিড-১৯ মহামারির সময় রতন এন টাটা ৫০০ কোটি রুপি দান করেছিলেন। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে তিনি একটি এক্সিকিউটিভ সেন্টার নির্মাণে ৫০ মিলিয়ন ডলার তহবিল যুগিয়েছেন। এ ছাড়া, কলকাতার টাটা মেডিকেল সেন্টার এবং বেশ কিছু শিক্ষামূলক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি দেশের অনগ্রসর সম্প্রদায়ের
১০ অক্টোবর ২০২৪
বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ার মানুষ ভেবেছিল—দেশটির কুখ্যাত কারাগার অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। বিদ্রোহীরা জেলখানার দরজা ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করেছিল, পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়েছিল নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে।
২ ঘণ্টা আগে
আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে মস্কোর দক্ষিণাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের পার্কিং লটে এই বিস্ফোরণ ঘটে। জেনারেল সারভারভের গাড়ির নিচে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। গাড়িটি চালু করার পরপরই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ এবং এর জন্য কোনো সাংবিধানিক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর মতে, এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য এবং সূর্য পূর্ব দিকে ওঠার মতোই ধ্রুব।
৪ ঘণ্টা আগে