
তথাকথিত ‘অনার কিলিং’-এর শিকার এক যুবকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মঞ্চে জন্ম নিল এক নজিরবিহীন নাটকীয় ঘটনা। জাতপাতের ভেদাভেদের কারণে প্রেমিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে, প্রেমিকা তাঁর মৃতদেহেই সিঁদুর পরিয়ে দিলেন এবং শ্বশুরবাড়িতে নববধূর বেশে থাকার শপথ নিলেন। এই ঘটনা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে...

প্রেমের মরা জলে ডোবে না—এই গানের কথা যেন সত্যি হলো ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেদে। নিচু জাতের ছেলে হয়ে উচ্চবর্ণের মেয়ে আঁচলের প্রেমে মজেছিলেন সক্ষম তাঁতী (২০)। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! জাত প্রথার কাছে হেরে গেছে সক্ষমের ভালোবাসা।

স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।

তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’