আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর দেশকে বিশ্বের কারখানায় পরিণত করতে চান। ইতিমধ্যে ভারত সস্তা আইফোন এবং ওষুধ উৎপাদনে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা গড়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বিদেশি সরকারগুলোর কাছে ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধজাহাজ বিক্রি করতে চান।
ইউক্রেনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ভারত এখন রপ্তানিতে জোর দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক (এক্সিম) দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই ঋণ সেই দেশগুলোর জন্য, যাদের রাজনৈতিক বা ঋণের ঝুঁকির কারণে সাধারণ ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুই ভারতীয় কর্মকর্তা ও তিন শিল্প সূত্র।
নয়াদিল্লি বিদেশি দূতাবাসগুলোতে প্রতিরক্ষা সংযুক্তির (ডিফেন্স অ্যাটাশে) সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এটি একটি নতুন কর্মসূচির অংশ, যেখানে সরকার সরাসরি অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে। ভারতীয় চার কর্মকর্তার মতে, ভারত বিশেষভাবে সেই দেশগুলোকে লক্ষ্য করছে, যারা দীর্ঘদিন রাশিয়ার অস্ত্রের ওপর নির্ভর করেছে।
ভারতের এই পরিকল্পনা আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট ১৫ জন সূত্রের সঙ্গে রয়টার্সের কথোপকথনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বে অস্ত্রের চাহিদা বাড়ার এই সময়ে এটি ভারতের প্রথম বড় পদক্ষেপ। বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠিত হচ্ছে, আর ভারত এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
ভারতীয় আমলারা এত দিন রাশিয়ার সুখোই যুদ্ধবিমান ও যুক্তরাষ্ট্রের হাউইটজার কেনার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। এটি চীন ও পাকিস্তান—দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশকে মোকাবিলার জন্য। তবে ভারতের অস্ত্র উৎপাদন খাত ছোট হলেও সম্প্রতি বেসরকারি কোম্পানিগুলো উচ্চমানের অস্ত্র ও সরঞ্জাম তৈরি শুরু করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মোদির দপ্তর এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এক্সিম ব্যাংকও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চলতি মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, `ভারত প্রতিরক্ষা রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোর ওপর নির্ভর করত, তারা বিকল্প খুঁজছে। আর এই জায়গাই দখলের চেষ্টা করছে ভারত।
ভারত পশ্চিমা ও রুশ প্রযুক্তি কেনার অভিজ্ঞতার কারণে নতুন করে অনুসন্ধান পাচ্ছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রপ্তানিকারক রোসোবোরনএক্সপোর্ট বলেছে, তারা ভারতের সঙ্গে তৃতীয় দেশে যৌথভাবে সরঞ্জাম উৎপাদন ও প্রচার নিয়ে আলোচনা করছে। তবে পেন্টাগন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র উৎপাদন করেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি। ভারতীয় তৈরি কিছু আর্টিলারি শেল ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভের পক্ষে ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দিল্লি বিদেশি প্রতিনিধিদল ও দেশীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করছে। সামরিক মহড়ায় যুদ্ধ হেলিকপ্টারের মতো উন্নত সরঞ্জাম প্রদর্শন করছে। তবে লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক বিরাজ সোলাঙ্কি বলেন, ভারতের নতুন ও উচ্চমানের অস্ত্র বিক্রিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না ভারত নিজের তৈরি সরঞ্জাম বেশি ব্যবহার করে এবং এর কার্যকারিতা প্রমাণ করে, সম্ভাব্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা কঠিন হবে।’
মোদির সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে অস্ত্র রপ্তানি দ্বিগুণ করে ৬ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। বর্তমানে ভারতের রপ্তানি গোলাবারুদ, ছোট অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উপাদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি আরও উন্নত পণ্যের দিকে যেতে চায়।
সাম্প্রতিক অর্থবছরে ভারত ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তবে এটি এক দশক আগের ২৩০ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় বড় অগ্রগতি। বিশ্বে প্রতিরক্ষা বাজেট সীমিত থাকায় ভারত সস্তা উৎপাদক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছে।
দুই ভারতীয় সূত্র জানান, ভারত ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি গোলাবারুদ প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ ডলারে উৎপাদন করতে পারে, যেখানে ইউরোপীয় গোলাবারুদের দাম ৩ হাজার ডলারের বেশি। ভারতীয় হাউইটজার প্রতি ৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়, যা ইউরোপীয় সংস্করণের অর্ধেক।
শীতল যুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র উৎপাদন কমিয়ে দিলেও ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিউনিশনস ইন্ডিয়া উৎপাদন ধরে রেখেছে। কেপিএমজির ভারতীয় অ্যারোস্পেস ও প্রতিরক্ষা পরামর্শক গৌতম নন্দা বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সংঘাতের কারণে ভারত উৎপাদন ক্ষমতা কমায়নি।’
আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এবং এসএমপিপির মতো বেসরকারি কোম্পানি এখন ১৫৫ মিলিমিটার গোলাবারুদ তৈরি করছে। এসএমপিপির প্রধান নির্বাহী আশিস কানসাল বলেন, ‘বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আর্টিলারি গোলাবারুদের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।’
ভারত এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে অস্ত্র রপ্তানির অর্থায়ন বাড়াতে চায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই ব্যাংকের ঋণ পোর্টফোলিও ছিল ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থায়ন বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হবে, যেখানে সরকার আর্থিক গ্যারান্টি দেবে কিন্তু জাতীয় বাজেট থেকে পুরো টাকা দেবে না।
একজন ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, ভারতের বেশির ভাগ ব্যাংক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অস্ত্র রপ্তানির ঋণ দিতে অনিচ্ছুক। এটি ফ্রান্স, তুরস্ক ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভারতকে পিছিয়ে রেখেছে, যারা আকর্ষণীয় ঋণ বা ক্রেডিট গ্যারান্টি দেয়।
ভারত ব্রাজিলে তার বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। এই জানুয়ারিতে এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলে একটি অফিস খুলেছে। সংশ্লিষ্ট দুই শিল্প সূত্র ও দুই ব্রাজিলীয় কর্মকর্তার মতে, দিল্লি ব্রাসিলিয়ার কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির আলোচনা করছে। এ ছাড়া ভারতের নিজের জাহাজ নির্মাণ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলেও তারা ব্রাজিলের জন্য যুদ্ধজাহাজ তৈরি করার চুক্তিও চেয়েছে।
ভারত ইলেকট্রনিকস ক্ষেপণাস্ত্রের উপাদান তৈরি করে। চলতি বছর ভারতীয় এই কোম্পানি সাও পাওলোতে একটি বিপণন অফিস খুলেছে। এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলের কিছু চুক্তিরও অর্থায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রাজিলের সেনাবাহিনী রয়টার্সকে ই-মেইলে জানিয়েছে, ভারতীয় নির্মাতারা তথ্যের জন্য তাদের অনুরোধের জবাব দিয়েছে, তবে ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ভারত ইলেকট্রনিকসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো সাড়া দেয়নি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর দেশকে বিশ্বের কারখানায় পরিণত করতে চান। ইতিমধ্যে ভারত সস্তা আইফোন এবং ওষুধ উৎপাদনে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা গড়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বিদেশি সরকারগুলোর কাছে ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধজাহাজ বিক্রি করতে চান।
ইউক্রেনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ভারত এখন রপ্তানিতে জোর দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক (এক্সিম) দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই ঋণ সেই দেশগুলোর জন্য, যাদের রাজনৈতিক বা ঋণের ঝুঁকির কারণে সাধারণ ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুই ভারতীয় কর্মকর্তা ও তিন শিল্প সূত্র।
নয়াদিল্লি বিদেশি দূতাবাসগুলোতে প্রতিরক্ষা সংযুক্তির (ডিফেন্স অ্যাটাশে) সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এটি একটি নতুন কর্মসূচির অংশ, যেখানে সরকার সরাসরি অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে। ভারতীয় চার কর্মকর্তার মতে, ভারত বিশেষভাবে সেই দেশগুলোকে লক্ষ্য করছে, যারা দীর্ঘদিন রাশিয়ার অস্ত্রের ওপর নির্ভর করেছে।
ভারতের এই পরিকল্পনা আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট ১৫ জন সূত্রের সঙ্গে রয়টার্সের কথোপকথনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বে অস্ত্রের চাহিদা বাড়ার এই সময়ে এটি ভারতের প্রথম বড় পদক্ষেপ। বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠিত হচ্ছে, আর ভারত এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
ভারতীয় আমলারা এত দিন রাশিয়ার সুখোই যুদ্ধবিমান ও যুক্তরাষ্ট্রের হাউইটজার কেনার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। এটি চীন ও পাকিস্তান—দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশকে মোকাবিলার জন্য। তবে ভারতের অস্ত্র উৎপাদন খাত ছোট হলেও সম্প্রতি বেসরকারি কোম্পানিগুলো উচ্চমানের অস্ত্র ও সরঞ্জাম তৈরি শুরু করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মোদির দপ্তর এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এক্সিম ব্যাংকও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চলতি মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, `ভারত প্রতিরক্ষা রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোর ওপর নির্ভর করত, তারা বিকল্প খুঁজছে। আর এই জায়গাই দখলের চেষ্টা করছে ভারত।
ভারত পশ্চিমা ও রুশ প্রযুক্তি কেনার অভিজ্ঞতার কারণে নতুন করে অনুসন্ধান পাচ্ছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রপ্তানিকারক রোসোবোরনএক্সপোর্ট বলেছে, তারা ভারতের সঙ্গে তৃতীয় দেশে যৌথভাবে সরঞ্জাম উৎপাদন ও প্রচার নিয়ে আলোচনা করছে। তবে পেন্টাগন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র উৎপাদন করেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি। ভারতীয় তৈরি কিছু আর্টিলারি শেল ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভের পক্ষে ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দিল্লি বিদেশি প্রতিনিধিদল ও দেশীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করছে। সামরিক মহড়ায় যুদ্ধ হেলিকপ্টারের মতো উন্নত সরঞ্জাম প্রদর্শন করছে। তবে লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক বিরাজ সোলাঙ্কি বলেন, ভারতের নতুন ও উচ্চমানের অস্ত্র বিক্রিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না ভারত নিজের তৈরি সরঞ্জাম বেশি ব্যবহার করে এবং এর কার্যকারিতা প্রমাণ করে, সম্ভাব্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা কঠিন হবে।’
মোদির সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে অস্ত্র রপ্তানি দ্বিগুণ করে ৬ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। বর্তমানে ভারতের রপ্তানি গোলাবারুদ, ছোট অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উপাদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি আরও উন্নত পণ্যের দিকে যেতে চায়।
সাম্প্রতিক অর্থবছরে ভারত ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তবে এটি এক দশক আগের ২৩০ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় বড় অগ্রগতি। বিশ্বে প্রতিরক্ষা বাজেট সীমিত থাকায় ভারত সস্তা উৎপাদক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছে।
দুই ভারতীয় সূত্র জানান, ভারত ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি গোলাবারুদ প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ ডলারে উৎপাদন করতে পারে, যেখানে ইউরোপীয় গোলাবারুদের দাম ৩ হাজার ডলারের বেশি। ভারতীয় হাউইটজার প্রতি ৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়, যা ইউরোপীয় সংস্করণের অর্ধেক।
শীতল যুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র উৎপাদন কমিয়ে দিলেও ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিউনিশনস ইন্ডিয়া উৎপাদন ধরে রেখেছে। কেপিএমজির ভারতীয় অ্যারোস্পেস ও প্রতিরক্ষা পরামর্শক গৌতম নন্দা বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সংঘাতের কারণে ভারত উৎপাদন ক্ষমতা কমায়নি।’
আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এবং এসএমপিপির মতো বেসরকারি কোম্পানি এখন ১৫৫ মিলিমিটার গোলাবারুদ তৈরি করছে। এসএমপিপির প্রধান নির্বাহী আশিস কানসাল বলেন, ‘বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আর্টিলারি গোলাবারুদের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।’
ভারত এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে অস্ত্র রপ্তানির অর্থায়ন বাড়াতে চায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই ব্যাংকের ঋণ পোর্টফোলিও ছিল ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থায়ন বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হবে, যেখানে সরকার আর্থিক গ্যারান্টি দেবে কিন্তু জাতীয় বাজেট থেকে পুরো টাকা দেবে না।
একজন ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, ভারতের বেশির ভাগ ব্যাংক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অস্ত্র রপ্তানির ঋণ দিতে অনিচ্ছুক। এটি ফ্রান্স, তুরস্ক ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভারতকে পিছিয়ে রেখেছে, যারা আকর্ষণীয় ঋণ বা ক্রেডিট গ্যারান্টি দেয়।
ভারত ব্রাজিলে তার বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। এই জানুয়ারিতে এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলে একটি অফিস খুলেছে। সংশ্লিষ্ট দুই শিল্প সূত্র ও দুই ব্রাজিলীয় কর্মকর্তার মতে, দিল্লি ব্রাসিলিয়ার কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির আলোচনা করছে। এ ছাড়া ভারতের নিজের জাহাজ নির্মাণ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলেও তারা ব্রাজিলের জন্য যুদ্ধজাহাজ তৈরি করার চুক্তিও চেয়েছে।
ভারত ইলেকট্রনিকস ক্ষেপণাস্ত্রের উপাদান তৈরি করে। চলতি বছর ভারতীয় এই কোম্পানি সাও পাওলোতে একটি বিপণন অফিস খুলেছে। এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলের কিছু চুক্তিরও অর্থায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রাজিলের সেনাবাহিনী রয়টার্সকে ই-মেইলে জানিয়েছে, ভারতীয় নির্মাতারা তথ্যের জন্য তাদের অনুরোধের জবাব দিয়েছে, তবে ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ভারত ইলেকট্রনিকসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো সাড়া দেয়নি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর দেশকে বিশ্বের কারখানায় পরিণত করতে চান। ইতিমধ্যে ভারত সস্তা আইফোন এবং ওষুধ উৎপাদনে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা গড়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বিদেশি সরকারগুলোর কাছে ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধজাহাজ বিক্রি করতে চান।
ইউক্রেনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ভারত এখন রপ্তানিতে জোর দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক (এক্সিম) দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই ঋণ সেই দেশগুলোর জন্য, যাদের রাজনৈতিক বা ঋণের ঝুঁকির কারণে সাধারণ ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুই ভারতীয় কর্মকর্তা ও তিন শিল্প সূত্র।
নয়াদিল্লি বিদেশি দূতাবাসগুলোতে প্রতিরক্ষা সংযুক্তির (ডিফেন্স অ্যাটাশে) সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এটি একটি নতুন কর্মসূচির অংশ, যেখানে সরকার সরাসরি অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে। ভারতীয় চার কর্মকর্তার মতে, ভারত বিশেষভাবে সেই দেশগুলোকে লক্ষ্য করছে, যারা দীর্ঘদিন রাশিয়ার অস্ত্রের ওপর নির্ভর করেছে।
ভারতের এই পরিকল্পনা আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট ১৫ জন সূত্রের সঙ্গে রয়টার্সের কথোপকথনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বে অস্ত্রের চাহিদা বাড়ার এই সময়ে এটি ভারতের প্রথম বড় পদক্ষেপ। বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠিত হচ্ছে, আর ভারত এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
ভারতীয় আমলারা এত দিন রাশিয়ার সুখোই যুদ্ধবিমান ও যুক্তরাষ্ট্রের হাউইটজার কেনার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। এটি চীন ও পাকিস্তান—দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশকে মোকাবিলার জন্য। তবে ভারতের অস্ত্র উৎপাদন খাত ছোট হলেও সম্প্রতি বেসরকারি কোম্পানিগুলো উচ্চমানের অস্ত্র ও সরঞ্জাম তৈরি শুরু করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মোদির দপ্তর এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এক্সিম ব্যাংকও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চলতি মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, `ভারত প্রতিরক্ষা রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোর ওপর নির্ভর করত, তারা বিকল্প খুঁজছে। আর এই জায়গাই দখলের চেষ্টা করছে ভারত।
ভারত পশ্চিমা ও রুশ প্রযুক্তি কেনার অভিজ্ঞতার কারণে নতুন করে অনুসন্ধান পাচ্ছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রপ্তানিকারক রোসোবোরনএক্সপোর্ট বলেছে, তারা ভারতের সঙ্গে তৃতীয় দেশে যৌথভাবে সরঞ্জাম উৎপাদন ও প্রচার নিয়ে আলোচনা করছে। তবে পেন্টাগন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র উৎপাদন করেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি। ভারতীয় তৈরি কিছু আর্টিলারি শেল ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভের পক্ষে ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দিল্লি বিদেশি প্রতিনিধিদল ও দেশীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করছে। সামরিক মহড়ায় যুদ্ধ হেলিকপ্টারের মতো উন্নত সরঞ্জাম প্রদর্শন করছে। তবে লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক বিরাজ সোলাঙ্কি বলেন, ভারতের নতুন ও উচ্চমানের অস্ত্র বিক্রিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না ভারত নিজের তৈরি সরঞ্জাম বেশি ব্যবহার করে এবং এর কার্যকারিতা প্রমাণ করে, সম্ভাব্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা কঠিন হবে।’
মোদির সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে অস্ত্র রপ্তানি দ্বিগুণ করে ৬ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। বর্তমানে ভারতের রপ্তানি গোলাবারুদ, ছোট অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উপাদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি আরও উন্নত পণ্যের দিকে যেতে চায়।
সাম্প্রতিক অর্থবছরে ভারত ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তবে এটি এক দশক আগের ২৩০ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় বড় অগ্রগতি। বিশ্বে প্রতিরক্ষা বাজেট সীমিত থাকায় ভারত সস্তা উৎপাদক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছে।
দুই ভারতীয় সূত্র জানান, ভারত ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি গোলাবারুদ প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ ডলারে উৎপাদন করতে পারে, যেখানে ইউরোপীয় গোলাবারুদের দাম ৩ হাজার ডলারের বেশি। ভারতীয় হাউইটজার প্রতি ৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়, যা ইউরোপীয় সংস্করণের অর্ধেক।
শীতল যুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র উৎপাদন কমিয়ে দিলেও ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিউনিশনস ইন্ডিয়া উৎপাদন ধরে রেখেছে। কেপিএমজির ভারতীয় অ্যারোস্পেস ও প্রতিরক্ষা পরামর্শক গৌতম নন্দা বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সংঘাতের কারণে ভারত উৎপাদন ক্ষমতা কমায়নি।’
আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এবং এসএমপিপির মতো বেসরকারি কোম্পানি এখন ১৫৫ মিলিমিটার গোলাবারুদ তৈরি করছে। এসএমপিপির প্রধান নির্বাহী আশিস কানসাল বলেন, ‘বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আর্টিলারি গোলাবারুদের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।’
ভারত এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে অস্ত্র রপ্তানির অর্থায়ন বাড়াতে চায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই ব্যাংকের ঋণ পোর্টফোলিও ছিল ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থায়ন বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হবে, যেখানে সরকার আর্থিক গ্যারান্টি দেবে কিন্তু জাতীয় বাজেট থেকে পুরো টাকা দেবে না।
একজন ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, ভারতের বেশির ভাগ ব্যাংক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অস্ত্র রপ্তানির ঋণ দিতে অনিচ্ছুক। এটি ফ্রান্স, তুরস্ক ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভারতকে পিছিয়ে রেখেছে, যারা আকর্ষণীয় ঋণ বা ক্রেডিট গ্যারান্টি দেয়।
ভারত ব্রাজিলে তার বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। এই জানুয়ারিতে এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলে একটি অফিস খুলেছে। সংশ্লিষ্ট দুই শিল্প সূত্র ও দুই ব্রাজিলীয় কর্মকর্তার মতে, দিল্লি ব্রাসিলিয়ার কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির আলোচনা করছে। এ ছাড়া ভারতের নিজের জাহাজ নির্মাণ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলেও তারা ব্রাজিলের জন্য যুদ্ধজাহাজ তৈরি করার চুক্তিও চেয়েছে।
ভারত ইলেকট্রনিকস ক্ষেপণাস্ত্রের উপাদান তৈরি করে। চলতি বছর ভারতীয় এই কোম্পানি সাও পাওলোতে একটি বিপণন অফিস খুলেছে। এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলের কিছু চুক্তিরও অর্থায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রাজিলের সেনাবাহিনী রয়টার্সকে ই-মেইলে জানিয়েছে, ভারতীয় নির্মাতারা তথ্যের জন্য তাদের অনুরোধের জবাব দিয়েছে, তবে ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ভারত ইলেকট্রনিকসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো সাড়া দেয়নি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর দেশকে বিশ্বের কারখানায় পরিণত করতে চান। ইতিমধ্যে ভারত সস্তা আইফোন এবং ওষুধ উৎপাদনে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা গড়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বিদেশি সরকারগুলোর কাছে ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধজাহাজ বিক্রি করতে চান।
ইউক্রেনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ভারত এখন রপ্তানিতে জোর দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক (এক্সিম) দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই ঋণ সেই দেশগুলোর জন্য, যাদের রাজনৈতিক বা ঋণের ঝুঁকির কারণে সাধারণ ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুই ভারতীয় কর্মকর্তা ও তিন শিল্প সূত্র।
নয়াদিল্লি বিদেশি দূতাবাসগুলোতে প্রতিরক্ষা সংযুক্তির (ডিফেন্স অ্যাটাশে) সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এটি একটি নতুন কর্মসূচির অংশ, যেখানে সরকার সরাসরি অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে। ভারতীয় চার কর্মকর্তার মতে, ভারত বিশেষভাবে সেই দেশগুলোকে লক্ষ্য করছে, যারা দীর্ঘদিন রাশিয়ার অস্ত্রের ওপর নির্ভর করেছে।
ভারতের এই পরিকল্পনা আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট ১৫ জন সূত্রের সঙ্গে রয়টার্সের কথোপকথনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বে অস্ত্রের চাহিদা বাড়ার এই সময়ে এটি ভারতের প্রথম বড় পদক্ষেপ। বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠিত হচ্ছে, আর ভারত এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
ভারতীয় আমলারা এত দিন রাশিয়ার সুখোই যুদ্ধবিমান ও যুক্তরাষ্ট্রের হাউইটজার কেনার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। এটি চীন ও পাকিস্তান—দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশকে মোকাবিলার জন্য। তবে ভারতের অস্ত্র উৎপাদন খাত ছোট হলেও সম্প্রতি বেসরকারি কোম্পানিগুলো উচ্চমানের অস্ত্র ও সরঞ্জাম তৈরি শুরু করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মোদির দপ্তর এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এক্সিম ব্যাংকও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চলতি মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, `ভারত প্রতিরক্ষা রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোর ওপর নির্ভর করত, তারা বিকল্প খুঁজছে। আর এই জায়গাই দখলের চেষ্টা করছে ভারত।
ভারত পশ্চিমা ও রুশ প্রযুক্তি কেনার অভিজ্ঞতার কারণে নতুন করে অনুসন্ধান পাচ্ছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রপ্তানিকারক রোসোবোরনএক্সপোর্ট বলেছে, তারা ভারতের সঙ্গে তৃতীয় দেশে যৌথভাবে সরঞ্জাম উৎপাদন ও প্রচার নিয়ে আলোচনা করছে। তবে পেন্টাগন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র উৎপাদন করেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি। ভারতীয় তৈরি কিছু আর্টিলারি শেল ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভের পক্ষে ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দিল্লি বিদেশি প্রতিনিধিদল ও দেশীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করছে। সামরিক মহড়ায় যুদ্ধ হেলিকপ্টারের মতো উন্নত সরঞ্জাম প্রদর্শন করছে। তবে লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক বিরাজ সোলাঙ্কি বলেন, ভারতের নতুন ও উচ্চমানের অস্ত্র বিক্রিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না ভারত নিজের তৈরি সরঞ্জাম বেশি ব্যবহার করে এবং এর কার্যকারিতা প্রমাণ করে, সম্ভাব্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা কঠিন হবে।’
মোদির সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে অস্ত্র রপ্তানি দ্বিগুণ করে ৬ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। বর্তমানে ভারতের রপ্তানি গোলাবারুদ, ছোট অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উপাদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি আরও উন্নত পণ্যের দিকে যেতে চায়।
সাম্প্রতিক অর্থবছরে ভারত ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তবে এটি এক দশক আগের ২৩০ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় বড় অগ্রগতি। বিশ্বে প্রতিরক্ষা বাজেট সীমিত থাকায় ভারত সস্তা উৎপাদক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছে।
দুই ভারতীয় সূত্র জানান, ভারত ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি গোলাবারুদ প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ ডলারে উৎপাদন করতে পারে, যেখানে ইউরোপীয় গোলাবারুদের দাম ৩ হাজার ডলারের বেশি। ভারতীয় হাউইটজার প্রতি ৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়, যা ইউরোপীয় সংস্করণের অর্ধেক।
শীতল যুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র উৎপাদন কমিয়ে দিলেও ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিউনিশনস ইন্ডিয়া উৎপাদন ধরে রেখেছে। কেপিএমজির ভারতীয় অ্যারোস্পেস ও প্রতিরক্ষা পরামর্শক গৌতম নন্দা বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সংঘাতের কারণে ভারত উৎপাদন ক্ষমতা কমায়নি।’
আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এবং এসএমপিপির মতো বেসরকারি কোম্পানি এখন ১৫৫ মিলিমিটার গোলাবারুদ তৈরি করছে। এসএমপিপির প্রধান নির্বাহী আশিস কানসাল বলেন, ‘বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আর্টিলারি গোলাবারুদের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।’
ভারত এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে অস্ত্র রপ্তানির অর্থায়ন বাড়াতে চায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই ব্যাংকের ঋণ পোর্টফোলিও ছিল ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থায়ন বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হবে, যেখানে সরকার আর্থিক গ্যারান্টি দেবে কিন্তু জাতীয় বাজেট থেকে পুরো টাকা দেবে না।
একজন ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, ভারতের বেশির ভাগ ব্যাংক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অস্ত্র রপ্তানির ঋণ দিতে অনিচ্ছুক। এটি ফ্রান্স, তুরস্ক ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভারতকে পিছিয়ে রেখেছে, যারা আকর্ষণীয় ঋণ বা ক্রেডিট গ্যারান্টি দেয়।
ভারত ব্রাজিলে তার বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। এই জানুয়ারিতে এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলে একটি অফিস খুলেছে। সংশ্লিষ্ট দুই শিল্প সূত্র ও দুই ব্রাজিলীয় কর্মকর্তার মতে, দিল্লি ব্রাসিলিয়ার কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির আলোচনা করছে। এ ছাড়া ভারতের নিজের জাহাজ নির্মাণ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলেও তারা ব্রাজিলের জন্য যুদ্ধজাহাজ তৈরি করার চুক্তিও চেয়েছে।
ভারত ইলেকট্রনিকস ক্ষেপণাস্ত্রের উপাদান তৈরি করে। চলতি বছর ভারতীয় এই কোম্পানি সাও পাওলোতে একটি বিপণন অফিস খুলেছে। এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলের কিছু চুক্তিরও অর্থায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রাজিলের সেনাবাহিনী রয়টার্সকে ই-মেইলে জানিয়েছে, ভারতীয় নির্মাতারা তথ্যের জন্য তাদের অনুরোধের জবাব দিয়েছে, তবে ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ভারত ইলেকট্রনিকসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো সাড়া দেয়নি।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১২ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৩ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জার্মানির বার্লিনে বৈঠকের প্রাক্কালে তিনি জানান—ন্যাটো সদস্যপদের বদলে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে শক্তিশালী ও আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পেলে সেটিকে একটি সমঝোতা হিসেবে বিবেচনা করতে প্রস্তুত কিয়েভ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে জেলেনস্কি বলেন, শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রকৃত লক্ষ্য ছিল ন্যাটো সদস্যপদ, যা দেশটির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর গ্যারান্টি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এই পথে সমর্থন না দেওয়ায় বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তাঁর ভাষায়—যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ‘আর্টিকেল ফাইভ’-এর মতো প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি এবং ইউরোপ, কানাডা ও জাপানের কাছ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এসব নিশ্চয়তা অবশ্যই আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হতে হবে।
এই অবস্থান ইউক্রেনের জন্য একটি বড় নীতিগত পরিবর্তন। কারণ দেশটির সংবিধানেই ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে এটি রাশিয়ার যুদ্ধলক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করেই ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেছিল রুশ বাহিনী। তবে বর্তমানে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দখলও নিতে চাইছে। তবে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড ছাড় না দিতে এখনো অনড় রয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার দাবি করে আসছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে হবে এবং দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে হবে এবং সেখানে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা যাবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চাপের মুখে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনা এগোচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার বার্লিনে আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি প্রায় চার বছর আগে শুরু হওয়া এই যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতির সম্ভাবনার ইঙ্গিত।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন—ইউক্রেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র মিলিয়ে একটি ২০ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যার শেষ ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করছে না।
ইউরোপীয় মিত্ররা এই সময়টিকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য একটি ‘সংকটজনক মুহূর্ত’ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, তাপ ও পানিসেবা অবকাঠামো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানবিক সংকটও গভীর হচ্ছে। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করে ইউক্রেনের জনগণের ওপর সর্বোচ্চ ক্ষতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
১৭ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৩ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী ডেস্কের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন। তবে ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা অন্তত দুই শিক্ষার্থীর কাছে নতুন কিছু ছিল না। এর আগেও তাঁরা স্কুল জীবনে এই ধরনের গোলাগুলির মুখে পড়ে প্রাণে বেঁচেছিলেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী মিয়া ট্রেটা এবং ২০ বছর বয়সী জোয়ে ওয়েইসম্যান—দুজনেই অতীতে ভিন্ন ভিন্ন স্কুলে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমার সবচেয়ে বেশি যে অনুভূতিটা হচ্ছে তা হলো—এই দেশ কীভাবে আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে দিল?’
শনিবার কালো পোশাক পরা এক বন্দুকধারী ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে গুলি চালানো শুরু করলে ক্যাম্পাসে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্দেহভাজন হামলাকারী দীর্ঘ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় শত শত পুলিশ রাতভর ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়।
ওয়েইসম্যান তখন নিজের ডরমিটরিতেই ছিলেন। এক বন্ধুর ফোন পেয়ে তিনি জানতে পারেন ক্যাম্পাসে গুলিবর্ষণ চলছে। প্রথমে ভয় পেলেও সেই আতঙ্ক দ্রুত ক্ষোভে রূপ নেয়। এনবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, জীবনে আর কখনো এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে না। আট বছর পর আবারও সেই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি।’
২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে নিজের মিডল স্কুলের পাশের একটি হাইস্কুলে ভয়াবহ শুটিং প্রত্যক্ষ করেছিলেন ওয়েইসম্যান। ওই ঘটনায় ১৭ জন নিহত হয়েছিল।
অন্যদিকে, মিয়া ট্রেটা ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে সগাস হাইস্কুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তখন ১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী হামলা চালিয়ে দুজনকে হত্যা করে, যাদের একজন ছিলেন ট্রেটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গুলিতে ট্রেটার পেট গুরুতরভাবে জখম হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনার সময় নিজের ডরমিটরিতে পড়াশোনা করছিলেন ট্রেটা। তিনি মূলত যে ভবনে হামলাটি ঘটে সেখানে পড়তে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান—যা কার্যত তার প্রাণ বাঁচায়।
এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দীর্ঘদিনের দাবিকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ৩৮৯টি গণ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫০০-এর বেশি।
ট্রেটা ও ওয়েইসম্যান দুজনই বলছেন, তাঁরা কখনো ভাবেননি দ্বিতীয়বার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ওয়েইসম্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে বোঝাতাম—পরিসংখ্যান অনুযায়ী এটা আর কখনো ঘটবে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আর কেউই এমন নিশ্চয়তা দিতে পারে না।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
১৭ এপ্রিল ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১২ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৩ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডাই বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডাই বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডাই বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
১৭ এপ্রিল ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১২ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একই সঙ্গে তলব করে যে বক্তব্য জানানো হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি নিজের অবস্থান তুলে ধরেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসনোটে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে সব সময়ই ভারতের অবস্থান। ভারত আরও দাবি করে, বাংলাদেশের ‘জনগণের স্বার্থবিরোধী’ কোনো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কখনোই ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমর্থকদের আহ্বান জানাচ্ছেন—এ নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়। এসব কর্মকাণ্ড আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা বলেও অভিযোগ করে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায়’ সহায়তার অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনেরা যেন ভারতে পালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কেউ ভারতে প্রবেশ করলে তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের দায়িত্ব।
অন্য দিকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠকে জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত এবং এ লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর দেশ।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একই সঙ্গে তলব করে যে বক্তব্য জানানো হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি নিজের অবস্থান তুলে ধরেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসনোটে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে সব সময়ই ভারতের অবস্থান। ভারত আরও দাবি করে, বাংলাদেশের ‘জনগণের স্বার্থবিরোধী’ কোনো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কখনোই ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমর্থকদের আহ্বান জানাচ্ছেন—এ নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়। এসব কর্মকাণ্ড আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা বলেও অভিযোগ করে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায়’ সহায়তার অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনেরা যেন ভারতে পালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কেউ ভারতে প্রবেশ করলে তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের দায়িত্ব।
অন্য দিকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠকে জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত এবং এ লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর দেশ।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
১৭ এপ্রিল ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে শান্তি আলোচনার পথ সুগম করতে গিয়ে ন্যাটো জোটে যোগদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
১২ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনায় দুজন নিহত এবং অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। ফাইনাল পরীক্ষার সময় সংঘটিত এই হামলায় পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডাই বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
৩ ঘণ্টা আগে