আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর দেশকে বিশ্বের কারখানায় পরিণত করতে চান। ইতিমধ্যে ভারত সস্তা আইফোন এবং ওষুধ উৎপাদনে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা গড়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বিদেশি সরকারগুলোর কাছে ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধজাহাজ বিক্রি করতে চান।
ইউক্রেনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ভারত এখন রপ্তানিতে জোর দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক (এক্সিম) দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই ঋণ সেই দেশগুলোর জন্য, যাদের রাজনৈতিক বা ঋণের ঝুঁকির কারণে সাধারণ ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুই ভারতীয় কর্মকর্তা ও তিন শিল্প সূত্র।
নয়াদিল্লি বিদেশি দূতাবাসগুলোতে প্রতিরক্ষা সংযুক্তির (ডিফেন্স অ্যাটাশে) সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এটি একটি নতুন কর্মসূচির অংশ, যেখানে সরকার সরাসরি অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে। ভারতীয় চার কর্মকর্তার মতে, ভারত বিশেষভাবে সেই দেশগুলোকে লক্ষ্য করছে, যারা দীর্ঘদিন রাশিয়ার অস্ত্রের ওপর নির্ভর করেছে।
ভারতের এই পরিকল্পনা আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট ১৫ জন সূত্রের সঙ্গে রয়টার্সের কথোপকথনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বে অস্ত্রের চাহিদা বাড়ার এই সময়ে এটি ভারতের প্রথম বড় পদক্ষেপ। বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠিত হচ্ছে, আর ভারত এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
ভারতীয় আমলারা এত দিন রাশিয়ার সুখোই যুদ্ধবিমান ও যুক্তরাষ্ট্রের হাউইটজার কেনার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। এটি চীন ও পাকিস্তান—দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশকে মোকাবিলার জন্য। তবে ভারতের অস্ত্র উৎপাদন খাত ছোট হলেও সম্প্রতি বেসরকারি কোম্পানিগুলো উচ্চমানের অস্ত্র ও সরঞ্জাম তৈরি শুরু করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মোদির দপ্তর এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এক্সিম ব্যাংকও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চলতি মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, `ভারত প্রতিরক্ষা রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোর ওপর নির্ভর করত, তারা বিকল্প খুঁজছে। আর এই জায়গাই দখলের চেষ্টা করছে ভারত।
ভারত পশ্চিমা ও রুশ প্রযুক্তি কেনার অভিজ্ঞতার কারণে নতুন করে অনুসন্ধান পাচ্ছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রপ্তানিকারক রোসোবোরনএক্সপোর্ট বলেছে, তারা ভারতের সঙ্গে তৃতীয় দেশে যৌথভাবে সরঞ্জাম উৎপাদন ও প্রচার নিয়ে আলোচনা করছে। তবে পেন্টাগন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র উৎপাদন করেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি। ভারতীয় তৈরি কিছু আর্টিলারি শেল ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভের পক্ষে ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দিল্লি বিদেশি প্রতিনিধিদল ও দেশীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করছে। সামরিক মহড়ায় যুদ্ধ হেলিকপ্টারের মতো উন্নত সরঞ্জাম প্রদর্শন করছে। তবে লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক বিরাজ সোলাঙ্কি বলেন, ভারতের নতুন ও উচ্চমানের অস্ত্র বিক্রিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না ভারত নিজের তৈরি সরঞ্জাম বেশি ব্যবহার করে এবং এর কার্যকারিতা প্রমাণ করে, সম্ভাব্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা কঠিন হবে।’
মোদির সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে অস্ত্র রপ্তানি দ্বিগুণ করে ৬ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। বর্তমানে ভারতের রপ্তানি গোলাবারুদ, ছোট অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উপাদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি আরও উন্নত পণ্যের দিকে যেতে চায়।
সাম্প্রতিক অর্থবছরে ভারত ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তবে এটি এক দশক আগের ২৩০ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় বড় অগ্রগতি। বিশ্বে প্রতিরক্ষা বাজেট সীমিত থাকায় ভারত সস্তা উৎপাদক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছে।
দুই ভারতীয় সূত্র জানান, ভারত ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি গোলাবারুদ প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ ডলারে উৎপাদন করতে পারে, যেখানে ইউরোপীয় গোলাবারুদের দাম ৩ হাজার ডলারের বেশি। ভারতীয় হাউইটজার প্রতি ৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়, যা ইউরোপীয় সংস্করণের অর্ধেক।
শীতল যুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র উৎপাদন কমিয়ে দিলেও ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিউনিশনস ইন্ডিয়া উৎপাদন ধরে রেখেছে। কেপিএমজির ভারতীয় অ্যারোস্পেস ও প্রতিরক্ষা পরামর্শক গৌতম নন্দা বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সংঘাতের কারণে ভারত উৎপাদন ক্ষমতা কমায়নি।’
আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এবং এসএমপিপির মতো বেসরকারি কোম্পানি এখন ১৫৫ মিলিমিটার গোলাবারুদ তৈরি করছে। এসএমপিপির প্রধান নির্বাহী আশিস কানসাল বলেন, ‘বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আর্টিলারি গোলাবারুদের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।’
ভারত এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে অস্ত্র রপ্তানির অর্থায়ন বাড়াতে চায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই ব্যাংকের ঋণ পোর্টফোলিও ছিল ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থায়ন বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হবে, যেখানে সরকার আর্থিক গ্যারান্টি দেবে কিন্তু জাতীয় বাজেট থেকে পুরো টাকা দেবে না।
একজন ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, ভারতের বেশির ভাগ ব্যাংক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অস্ত্র রপ্তানির ঋণ দিতে অনিচ্ছুক। এটি ফ্রান্স, তুরস্ক ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভারতকে পিছিয়ে রেখেছে, যারা আকর্ষণীয় ঋণ বা ক্রেডিট গ্যারান্টি দেয়।
ভারত ব্রাজিলে তার বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। এই জানুয়ারিতে এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলে একটি অফিস খুলেছে। সংশ্লিষ্ট দুই শিল্প সূত্র ও দুই ব্রাজিলীয় কর্মকর্তার মতে, দিল্লি ব্রাসিলিয়ার কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির আলোচনা করছে। এ ছাড়া ভারতের নিজের জাহাজ নির্মাণ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলেও তারা ব্রাজিলের জন্য যুদ্ধজাহাজ তৈরি করার চুক্তিও চেয়েছে।
ভারত ইলেকট্রনিকস ক্ষেপণাস্ত্রের উপাদান তৈরি করে। চলতি বছর ভারতীয় এই কোম্পানি সাও পাওলোতে একটি বিপণন অফিস খুলেছে। এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলের কিছু চুক্তিরও অর্থায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রাজিলের সেনাবাহিনী রয়টার্সকে ই-মেইলে জানিয়েছে, ভারতীয় নির্মাতারা তথ্যের জন্য তাদের অনুরোধের জবাব দিয়েছে, তবে ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ভারত ইলেকট্রনিকসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো সাড়া দেয়নি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর দেশকে বিশ্বের কারখানায় পরিণত করতে চান। ইতিমধ্যে ভারত সস্তা আইফোন এবং ওষুধ উৎপাদনে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা গড়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বিদেশি সরকারগুলোর কাছে ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধজাহাজ বিক্রি করতে চান।
ইউক্রেনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ভারত এখন রপ্তানিতে জোর দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক (এক্সিম) দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই ঋণ সেই দেশগুলোর জন্য, যাদের রাজনৈতিক বা ঋণের ঝুঁকির কারণে সাধারণ ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুই ভারতীয় কর্মকর্তা ও তিন শিল্প সূত্র।
নয়াদিল্লি বিদেশি দূতাবাসগুলোতে প্রতিরক্ষা সংযুক্তির (ডিফেন্স অ্যাটাশে) সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এটি একটি নতুন কর্মসূচির অংশ, যেখানে সরকার সরাসরি অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে। ভারতীয় চার কর্মকর্তার মতে, ভারত বিশেষভাবে সেই দেশগুলোকে লক্ষ্য করছে, যারা দীর্ঘদিন রাশিয়ার অস্ত্রের ওপর নির্ভর করেছে।
ভারতের এই পরিকল্পনা আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট ১৫ জন সূত্রের সঙ্গে রয়টার্সের কথোপকথনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বে অস্ত্রের চাহিদা বাড়ার এই সময়ে এটি ভারতের প্রথম বড় পদক্ষেপ। বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠিত হচ্ছে, আর ভারত এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
ভারতীয় আমলারা এত দিন রাশিয়ার সুখোই যুদ্ধবিমান ও যুক্তরাষ্ট্রের হাউইটজার কেনার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। এটি চীন ও পাকিস্তান—দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশকে মোকাবিলার জন্য। তবে ভারতের অস্ত্র উৎপাদন খাত ছোট হলেও সম্প্রতি বেসরকারি কোম্পানিগুলো উচ্চমানের অস্ত্র ও সরঞ্জাম তৈরি শুরু করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মোদির দপ্তর এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এক্সিম ব্যাংকও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চলতি মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, `ভারত প্রতিরক্ষা রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোর ওপর নির্ভর করত, তারা বিকল্প খুঁজছে। আর এই জায়গাই দখলের চেষ্টা করছে ভারত।
ভারত পশ্চিমা ও রুশ প্রযুক্তি কেনার অভিজ্ঞতার কারণে নতুন করে অনুসন্ধান পাচ্ছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রপ্তানিকারক রোসোবোরনএক্সপোর্ট বলেছে, তারা ভারতের সঙ্গে তৃতীয় দেশে যৌথভাবে সরঞ্জাম উৎপাদন ও প্রচার নিয়ে আলোচনা করছে। তবে পেন্টাগন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র উৎপাদন করেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি। ভারতীয় তৈরি কিছু আর্টিলারি শেল ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভের পক্ষে ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দিল্লি বিদেশি প্রতিনিধিদল ও দেশীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করছে। সামরিক মহড়ায় যুদ্ধ হেলিকপ্টারের মতো উন্নত সরঞ্জাম প্রদর্শন করছে। তবে লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক বিরাজ সোলাঙ্কি বলেন, ভারতের নতুন ও উচ্চমানের অস্ত্র বিক্রিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না ভারত নিজের তৈরি সরঞ্জাম বেশি ব্যবহার করে এবং এর কার্যকারিতা প্রমাণ করে, সম্ভাব্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা কঠিন হবে।’
মোদির সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে অস্ত্র রপ্তানি দ্বিগুণ করে ৬ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। বর্তমানে ভারতের রপ্তানি গোলাবারুদ, ছোট অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উপাদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি আরও উন্নত পণ্যের দিকে যেতে চায়।
সাম্প্রতিক অর্থবছরে ভারত ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তবে এটি এক দশক আগের ২৩০ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় বড় অগ্রগতি। বিশ্বে প্রতিরক্ষা বাজেট সীমিত থাকায় ভারত সস্তা উৎপাদক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছে।
দুই ভারতীয় সূত্র জানান, ভারত ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি গোলাবারুদ প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ ডলারে উৎপাদন করতে পারে, যেখানে ইউরোপীয় গোলাবারুদের দাম ৩ হাজার ডলারের বেশি। ভারতীয় হাউইটজার প্রতি ৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়, যা ইউরোপীয় সংস্করণের অর্ধেক।
শীতল যুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র উৎপাদন কমিয়ে দিলেও ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিউনিশনস ইন্ডিয়া উৎপাদন ধরে রেখেছে। কেপিএমজির ভারতীয় অ্যারোস্পেস ও প্রতিরক্ষা পরামর্শক গৌতম নন্দা বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সংঘাতের কারণে ভারত উৎপাদন ক্ষমতা কমায়নি।’
আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এবং এসএমপিপির মতো বেসরকারি কোম্পানি এখন ১৫৫ মিলিমিটার গোলাবারুদ তৈরি করছে। এসএমপিপির প্রধান নির্বাহী আশিস কানসাল বলেন, ‘বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আর্টিলারি গোলাবারুদের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।’
ভারত এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে অস্ত্র রপ্তানির অর্থায়ন বাড়াতে চায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই ব্যাংকের ঋণ পোর্টফোলিও ছিল ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থায়ন বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হবে, যেখানে সরকার আর্থিক গ্যারান্টি দেবে কিন্তু জাতীয় বাজেট থেকে পুরো টাকা দেবে না।
একজন ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, ভারতের বেশির ভাগ ব্যাংক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অস্ত্র রপ্তানির ঋণ দিতে অনিচ্ছুক। এটি ফ্রান্স, তুরস্ক ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভারতকে পিছিয়ে রেখেছে, যারা আকর্ষণীয় ঋণ বা ক্রেডিট গ্যারান্টি দেয়।
ভারত ব্রাজিলে তার বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। এই জানুয়ারিতে এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলে একটি অফিস খুলেছে। সংশ্লিষ্ট দুই শিল্প সূত্র ও দুই ব্রাজিলীয় কর্মকর্তার মতে, দিল্লি ব্রাসিলিয়ার কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির আলোচনা করছে। এ ছাড়া ভারতের নিজের জাহাজ নির্মাণ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলেও তারা ব্রাজিলের জন্য যুদ্ধজাহাজ তৈরি করার চুক্তিও চেয়েছে।
ভারত ইলেকট্রনিকস ক্ষেপণাস্ত্রের উপাদান তৈরি করে। চলতি বছর ভারতীয় এই কোম্পানি সাও পাওলোতে একটি বিপণন অফিস খুলেছে। এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলের কিছু চুক্তিরও অর্থায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রাজিলের সেনাবাহিনী রয়টার্সকে ই-মেইলে জানিয়েছে, ভারতীয় নির্মাতারা তথ্যের জন্য তাদের অনুরোধের জবাব দিয়েছে, তবে ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ভারত ইলেকট্রনিকসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো সাড়া দেয়নি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর দেশকে বিশ্বের কারখানায় পরিণত করতে চান। ইতিমধ্যে ভারত সস্তা আইফোন এবং ওষুধ উৎপাদনে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা গড়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বিদেশি সরকারগুলোর কাছে ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধজাহাজ বিক্রি করতে চান।
ইউক্রেনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ভারত এখন রপ্তানিতে জোর দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক (এক্সিম) দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই ঋণ সেই দেশগুলোর জন্য, যাদের রাজনৈতিক বা ঋণের ঝুঁকির কারণে সাধারণ ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুই ভারতীয় কর্মকর্তা ও তিন শিল্প সূত্র।
নয়াদিল্লি বিদেশি দূতাবাসগুলোতে প্রতিরক্ষা সংযুক্তির (ডিফেন্স অ্যাটাশে) সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এটি একটি নতুন কর্মসূচির অংশ, যেখানে সরকার সরাসরি অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে। ভারতীয় চার কর্মকর্তার মতে, ভারত বিশেষভাবে সেই দেশগুলোকে লক্ষ্য করছে, যারা দীর্ঘদিন রাশিয়ার অস্ত্রের ওপর নির্ভর করেছে।
ভারতের এই পরিকল্পনা আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট ১৫ জন সূত্রের সঙ্গে রয়টার্সের কথোপকথনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বে অস্ত্রের চাহিদা বাড়ার এই সময়ে এটি ভারতের প্রথম বড় পদক্ষেপ। বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠিত হচ্ছে, আর ভারত এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
ভারতীয় আমলারা এত দিন রাশিয়ার সুখোই যুদ্ধবিমান ও যুক্তরাষ্ট্রের হাউইটজার কেনার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। এটি চীন ও পাকিস্তান—দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশকে মোকাবিলার জন্য। তবে ভারতের অস্ত্র উৎপাদন খাত ছোট হলেও সম্প্রতি বেসরকারি কোম্পানিগুলো উচ্চমানের অস্ত্র ও সরঞ্জাম তৈরি শুরু করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মোদির দপ্তর এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এক্সিম ব্যাংকও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চলতি মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, `ভারত প্রতিরক্ষা রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোর ওপর নির্ভর করত, তারা বিকল্প খুঁজছে। আর এই জায়গাই দখলের চেষ্টা করছে ভারত।
ভারত পশ্চিমা ও রুশ প্রযুক্তি কেনার অভিজ্ঞতার কারণে নতুন করে অনুসন্ধান পাচ্ছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রপ্তানিকারক রোসোবোরনএক্সপোর্ট বলেছে, তারা ভারতের সঙ্গে তৃতীয় দেশে যৌথভাবে সরঞ্জাম উৎপাদন ও প্রচার নিয়ে আলোচনা করছে। তবে পেন্টাগন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র উৎপাদন করেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি। ভারতীয় তৈরি কিছু আর্টিলারি শেল ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভের পক্ষে ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দিল্লি বিদেশি প্রতিনিধিদল ও দেশীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করছে। সামরিক মহড়ায় যুদ্ধ হেলিকপ্টারের মতো উন্নত সরঞ্জাম প্রদর্শন করছে। তবে লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক বিরাজ সোলাঙ্কি বলেন, ভারতের নতুন ও উচ্চমানের অস্ত্র বিক্রিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না ভারত নিজের তৈরি সরঞ্জাম বেশি ব্যবহার করে এবং এর কার্যকারিতা প্রমাণ করে, সম্ভাব্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা কঠিন হবে।’
মোদির সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে অস্ত্র রপ্তানি দ্বিগুণ করে ৬ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। বর্তমানে ভারতের রপ্তানি গোলাবারুদ, ছোট অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উপাদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি আরও উন্নত পণ্যের দিকে যেতে চায়।
সাম্প্রতিক অর্থবছরে ভারত ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তবে এটি এক দশক আগের ২৩০ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় বড় অগ্রগতি। বিশ্বে প্রতিরক্ষা বাজেট সীমিত থাকায় ভারত সস্তা উৎপাদক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছে।
দুই ভারতীয় সূত্র জানান, ভারত ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি গোলাবারুদ প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ ডলারে উৎপাদন করতে পারে, যেখানে ইউরোপীয় গোলাবারুদের দাম ৩ হাজার ডলারের বেশি। ভারতীয় হাউইটজার প্রতি ৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়, যা ইউরোপীয় সংস্করণের অর্ধেক।
শীতল যুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র উৎপাদন কমিয়ে দিলেও ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিউনিশনস ইন্ডিয়া উৎপাদন ধরে রেখেছে। কেপিএমজির ভারতীয় অ্যারোস্পেস ও প্রতিরক্ষা পরামর্শক গৌতম নন্দা বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সংঘাতের কারণে ভারত উৎপাদন ক্ষমতা কমায়নি।’
আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এবং এসএমপিপির মতো বেসরকারি কোম্পানি এখন ১৫৫ মিলিমিটার গোলাবারুদ তৈরি করছে। এসএমপিপির প্রধান নির্বাহী আশিস কানসাল বলেন, ‘বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আর্টিলারি গোলাবারুদের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।’
ভারত এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে অস্ত্র রপ্তানির অর্থায়ন বাড়াতে চায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই ব্যাংকের ঋণ পোর্টফোলিও ছিল ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থায়ন বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হবে, যেখানে সরকার আর্থিক গ্যারান্টি দেবে কিন্তু জাতীয় বাজেট থেকে পুরো টাকা দেবে না।
একজন ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, ভারতের বেশির ভাগ ব্যাংক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অস্ত্র রপ্তানির ঋণ দিতে অনিচ্ছুক। এটি ফ্রান্স, তুরস্ক ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভারতকে পিছিয়ে রেখেছে, যারা আকর্ষণীয় ঋণ বা ক্রেডিট গ্যারান্টি দেয়।
ভারত ব্রাজিলে তার বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। এই জানুয়ারিতে এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলে একটি অফিস খুলেছে। সংশ্লিষ্ট দুই শিল্প সূত্র ও দুই ব্রাজিলীয় কর্মকর্তার মতে, দিল্লি ব্রাসিলিয়ার কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির আলোচনা করছে। এ ছাড়া ভারতের নিজের জাহাজ নির্মাণ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলেও তারা ব্রাজিলের জন্য যুদ্ধজাহাজ তৈরি করার চুক্তিও চেয়েছে।
ভারত ইলেকট্রনিকস ক্ষেপণাস্ত্রের উপাদান তৈরি করে। চলতি বছর ভারতীয় এই কোম্পানি সাও পাওলোতে একটি বিপণন অফিস খুলেছে। এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলের কিছু চুক্তিরও অর্থায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রাজিলের সেনাবাহিনী রয়টার্সকে ই-মেইলে জানিয়েছে, ভারতীয় নির্মাতারা তথ্যের জন্য তাদের অনুরোধের জবাব দিয়েছে, তবে ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ভারত ইলেকট্রনিকসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো সাড়া দেয়নি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর দেশকে বিশ্বের কারখানায় পরিণত করতে চান। ইতিমধ্যে ভারত সস্তা আইফোন এবং ওষুধ উৎপাদনে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা গড়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বিদেশি সরকারগুলোর কাছে ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধজাহাজ বিক্রি করতে চান।
ইউক্রেনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ভারত এখন রপ্তানিতে জোর দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক (এক্সিম) দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এই ঋণ সেই দেশগুলোর জন্য, যাদের রাজনৈতিক বা ঋণের ঝুঁকির কারণে সাধারণ ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া কঠিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুই ভারতীয় কর্মকর্তা ও তিন শিল্প সূত্র।
নয়াদিল্লি বিদেশি দূতাবাসগুলোতে প্রতিরক্ষা সংযুক্তির (ডিফেন্স অ্যাটাশে) সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এটি একটি নতুন কর্মসূচির অংশ, যেখানে সরকার সরাসরি অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে। ভারতীয় চার কর্মকর্তার মতে, ভারত বিশেষভাবে সেই দেশগুলোকে লক্ষ্য করছে, যারা দীর্ঘদিন রাশিয়ার অস্ত্রের ওপর নির্ভর করেছে।
ভারতের এই পরিকল্পনা আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি। সংশ্লিষ্ট ১৫ জন সূত্রের সঙ্গে রয়টার্সের কথোপকথনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বে অস্ত্রের চাহিদা বাড়ার এই সময়ে এটি ভারতের প্রথম বড় পদক্ষেপ। বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠিত হচ্ছে, আর ভারত এই সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
ভারতীয় আমলারা এত দিন রাশিয়ার সুখোই যুদ্ধবিমান ও যুক্তরাষ্ট্রের হাউইটজার কেনার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। এটি চীন ও পাকিস্তান—দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশকে মোকাবিলার জন্য। তবে ভারতের অস্ত্র উৎপাদন খাত ছোট হলেও সম্প্রতি বেসরকারি কোম্পানিগুলো উচ্চমানের অস্ত্র ও সরঞ্জাম তৈরি শুরু করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মোদির দপ্তর এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। এক্সিম ব্যাংকও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চলতি মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, `ভারত প্রতিরক্ষা রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোর ওপর নির্ভর করত, তারা বিকল্প খুঁজছে। আর এই জায়গাই দখলের চেষ্টা করছে ভারত।
ভারত পশ্চিমা ও রুশ প্রযুক্তি কেনার অভিজ্ঞতার কারণে নতুন করে অনুসন্ধান পাচ্ছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রপ্তানিকারক রোসোবোরনএক্সপোর্ট বলেছে, তারা ভারতের সঙ্গে তৃতীয় দেশে যৌথভাবে সরঞ্জাম উৎপাদন ও প্রচার নিয়ে আলোচনা করছে। তবে পেন্টাগন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র উৎপাদন করেছে, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি। ভারতীয় তৈরি কিছু আর্টিলারি শেল ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভের পক্ষে ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দিল্লি বিদেশি প্রতিনিধিদল ও দেশীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের মধ্যে বৈঠকের আয়োজন করছে। সামরিক মহড়ায় যুদ্ধ হেলিকপ্টারের মতো উন্নত সরঞ্জাম প্রদর্শন করছে। তবে লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক বিরাজ সোলাঙ্কি বলেন, ভারতের নতুন ও উচ্চমানের অস্ত্র বিক্রিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না ভারত নিজের তৈরি সরঞ্জাম বেশি ব্যবহার করে এবং এর কার্যকারিতা প্রমাণ করে, সম্ভাব্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা কঠিন হবে।’
মোদির সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে অস্ত্র রপ্তানি দ্বিগুণ করে ৬ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে। বর্তমানে ভারতের রপ্তানি গোলাবারুদ, ছোট অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের উপাদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে এটি আরও উন্নত পণ্যের দিকে যেতে চায়।
সাম্প্রতিক অর্থবছরে ভারত ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, তবে এটি এক দশক আগের ২৩০ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় বড় অগ্রগতি। বিশ্বে প্রতিরক্ষা বাজেট সীমিত থাকায় ভারত সস্তা উৎপাদক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছে।
দুই ভারতীয় সূত্র জানান, ভারত ১৫৫ মিলিমিটার আর্টিলারি গোলাবারুদ প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ ডলারে উৎপাদন করতে পারে, যেখানে ইউরোপীয় গোলাবারুদের দাম ৩ হাজার ডলারের বেশি। ভারতীয় হাউইটজার প্রতি ৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়, যা ইউরোপীয় সংস্করণের অর্ধেক।
শীতল যুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র উৎপাদন কমিয়ে দিলেও ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মিউনিশনস ইন্ডিয়া উৎপাদন ধরে রেখেছে। কেপিএমজির ভারতীয় অ্যারোস্পেস ও প্রতিরক্ষা পরামর্শক গৌতম নন্দা বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সংঘাতের কারণে ভারত উৎপাদন ক্ষমতা কমায়নি।’
আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এবং এসএমপিপির মতো বেসরকারি কোম্পানি এখন ১৫৫ মিলিমিটার গোলাবারুদ তৈরি করছে। এসএমপিপির প্রধান নির্বাহী আশিস কানসাল বলেন, ‘বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আর্টিলারি গোলাবারুদের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।’
ভারত এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে অস্ত্র রপ্তানির অর্থায়ন বাড়াতে চায়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই ব্যাংকের ঋণ পোর্টফোলিও ছিল ১৮ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থায়ন বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হবে, যেখানে সরকার আর্থিক গ্যারান্টি দেবে কিন্তু জাতীয় বাজেট থেকে পুরো টাকা দেবে না।
একজন ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, ভারতের বেশির ভাগ ব্যাংক উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অস্ত্র রপ্তানির ঋণ দিতে অনিচ্ছুক। এটি ফ্রান্স, তুরস্ক ও চীনের মতো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভারতকে পিছিয়ে রেখেছে, যারা আকর্ষণীয় ঋণ বা ক্রেডিট গ্যারান্টি দেয়।
ভারত ব্রাজিলে তার বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। এই জানুয়ারিতে এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলে একটি অফিস খুলেছে। সংশ্লিষ্ট দুই শিল্প সূত্র ও দুই ব্রাজিলীয় কর্মকর্তার মতে, দিল্লি ব্রাসিলিয়ার কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির আলোচনা করছে। এ ছাড়া ভারতের নিজের জাহাজ নির্মাণ ক্ষমতার ঘাটতি থাকলেও তারা ব্রাজিলের জন্য যুদ্ধজাহাজ তৈরি করার চুক্তিও চেয়েছে।
ভারত ইলেকট্রনিকস ক্ষেপণাস্ত্রের উপাদান তৈরি করে। চলতি বছর ভারতীয় এই কোম্পানি সাও পাওলোতে একটি বিপণন অফিস খুলেছে। এক্সিম ব্যাংক ব্রাজিলের কিছু চুক্তিরও অর্থায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রাজিলের সেনাবাহিনী রয়টার্সকে ই-মেইলে জানিয়েছে, ভারতীয় নির্মাতারা তথ্যের জন্য তাদের অনুরোধের জবাব দিয়েছে, তবে ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ভারত ইলেকট্রনিকসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো সাড়া দেয়নি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩০ মিনিট আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
১৭ এপ্রিল ২০২৫
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
১৭ এপ্রিল ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩০ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
১৭ এপ্রিল ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩০ মিনিট আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
১৭ এপ্রিল ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩০ মিনিট আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে