আজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০ বছর আগে জুলাইয়ের ৭ তারিখে লন্ডনে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটনা। গোয়েন্দা ব্যর্থতায় সেই হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। হামলাকারী মোহাম্মদ সিদ্দিক খানকে ২০০১ সালে আল-কায়েদা প্রশিক্ষণ শিবিরে দেখা গেলেও, ২০০৪ সালে অন্যান্য সন্দেহভাজনদের সঙ্গে বৈঠকের পরও তদন্তে তাঁকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। এই ব্যর্থতার কারণে ৫২ জন সাধারণ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার সেই ব্যর্থতার দায় স্বীকারও করেন।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমানে ব্রিটেনের উন্নত সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, ২০০৫ সালের চেয়ে বর্তমান হুমকিগুলো অনেক বেশি জটিল। কারণে এখন ইন্টারনেটে বিচিত্র সহিংস কনটেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়েও হামলার ঘটনা ঘটছে। অনেক হামলার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা আদর্শ থাকে না। ফলে এসব হুমকি আগেভাগে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০০৫ সালের ৭ / ৭ হামলা যুক্তরাজ্যের সেকেলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা ছিল। উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির (আইআরএ) বিরুদ্ধে সামরিক ধাঁচের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা আল-কায়েদার মতো গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে পুরোপুরি কার্যকর ছিল না। গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ৫ এবং পুলিশ বুঝতে পারে যে আল-কায়েদার সেলগুলোতে অনুপ্রবেশ করতে তাদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে এবং গোয়েন্দা তথ্য দ্রুত ও ব্যাপকভাবে শেয়ার করতে হবে।
তৎকালীন সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের প্রধান পিটার ক্লার্ক, এই হামলাকে ‘অবশ্যই একটি ব্যর্থতা’ বলে স্বীকার করেন। এমআই৫-এর প্রাক্তন প্রধান লর্ড জোনাথন ইভান্স জানান, সেই সময় গোয়েন্দা টিমগুলোর ওপর ব্যাপক চাপ ছিল এবং সব হুমকি তদন্ত করা সম্ভব ছিল না, তাই অগ্রাধিকার নির্ধারণে ভুল হয়েছিল। হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় সিদ্দিক খানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
২০০৫ সালের হামলার পর, কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে তদন্তের অগ্রাধিকার নির্ধারণে পরিবর্তন আনা জরুরি। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে বিশাল অর্থ বিনিয়োগ করা হয় এবং এমআই ৫ ও পুলিশ একটি উন্নত ‘ট্রায়াজ’ সিস্টেম তৈরি করে। এর ফলে পুলিশ দ্রুত প্রমাণ জব্দ করে অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হয়।
৭ / ৭ এর এক বছর পর সংঘটিত ‘অপারেশন ওভার্ট’-এর সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই অভিযানে আল-কায়েদার ‘তরল বোমা’ তৈরির পরিকল্পনা ব্যর্থ করা হয়, যে বোমা আটলান্টিক পাড়ি দেওয়া উড়োজাহাজ উড়িয়ে দিতে ব্যবহৃত হতে পারত। এমআই ৫ রিয়েল-টাইমে তথ্য শেয়ার করে এবং পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে। এই সাফল্য প্রমাণ করে, এ ধরনের সন্ত্রাসী পরিকল্পনা দ্রুত ব্যর্থ করে দেওয়া সম্ভব।
লর্ড ইভান্স আরও উল্লেখ করেন, হুমকি কেবল লন্ডন-ভিত্তিক নয়, বরং জাতীয় হওয়ায় আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা হয়। ২০০৬ সালে, পার্লামেন্ট সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে নতুন আইন তৈরি করে, যা পুলিশকে হামলাকারীর পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা দেয়।
২০১৪ সাল থেকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হয়। যারা সিরিয়া ও ইরাকে যেতে পারেনি, তাদের নিজ দেশে কমান্ডারের নির্দেশনা ছাড়াই হামলা চালানোর নির্দেশ দেয় আইএস। এর ফলে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ জুড়ে ‘ডিআইওয়াই’ (Do-It-Yourself) বা স্ব-উদ্যোগে হামলার ঢেউ শুরু হয়। সরকার সন্দেহভাজনদের পাসপোর্ট বাতিল বা নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেয়।
২০১৭ সালে ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ ও পার্লামেন্টে হামলা এবং ম্যানচেস্টার এরেনা হামলা (যেখানে ২২ জন নিহত হয়) এই নতুন ধরনের হুমকির উদাহরণ। ম্যানচেস্টার হামলায় এমআই৫-এর ব্যর্থতায় পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি জনসমাবেশে শিথিল নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। ফিগেন মুরে, যার ছেলে এই হামলায় নিহত হন, তাঁর প্রচেষ্টায় ‘মার্টিন’স ল’ তৈরি হয়, যা জনসমাগমস্থলে নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাধ্যতামূলক করে।
উগ্র-ডানপন্থী চরমপন্থীরাও এই ‘ডিআইওয়াই’ সহিংসতা থেকে শিখেছে। ২০১৫ সালে শিখ-বংশোদ্ভূত এক দন্ত্য চিকিৎসকের ওপর হামলা এবং লেবার এমপি জো কক্স হত্যায় এর প্রমাণ মেলে। এই হামলাগুলো ছিল ইন্টারনেট থেকে চরমপন্থী কনটেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত। ব্রিটেনের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো এখন ‘অনলাইন রোল-প্লেয়ার’ দল তৈরি করেছে, যারা অনলাইন চ্যাট গ্রুপে চরমপন্থী নিয়োগকারীর ছদ্মবেশে সম্ভাব্য হামলাকারীদের চিহ্নিত করে।
‘প্রিভেন্ট’ (Prevent) সিস্টেম, সম্ভাব্য চরমপন্থীদের চিহ্নিত করা, সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা থেকে বিরত রাখার জন্য তৈরি করা হয়। এটি জনসমর্থন আদায়ে বেগ পেলেও সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ২০১৫ সাল থেকে প্রায় ৫ হাজার তরুণকে চরমপন্থার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে কর্তৃপক্ষ।
সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের বর্তমান প্রধান ভিকি ইভান্স বলেন, বর্তমানে সন্দেহভাজনরা সাধারণত বেশ কম বয়সী হয় এবং ইন্টারনেটে থাকা সহিংস কনটেন্ট এতে ভূমিকা রাখছে। কিছু ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আদর্শে অনুপ্রাণিত না হয়েও চরম সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।
সম্প্রতি সাউথপোর্টে স্কুলে হামলার ঘটনা ইন্টারনেট থেকে অনুপ্রাণিত সহিংসতা নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। সাউথপোর্টে একটি নাচের ক্লাসে ১৮ বছর বয়সী অ্যালেক্স রুডাকুবানা ছুরি নিয়ে হামলা করে তিন বালিকাকে হত্যা করে। আদালত তার ৫২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
সর্ব সম্প্রতি ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যের লেবার সরকার। এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসবিরোধী নেটওয়ার্কের হুমকি মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় কৌশল নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী নেটওয়ার্ক এখন অনেক বেশি ক্ষমতাশালী এবং সুসংগঠিত বলে মনে করা হয়। কিন্তু হুমকি আগের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়। পুলিশ বলছে, ২০১৭ সাল থেকে ১৫টি অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে এবং ৪৩টি পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ করা হয়েছে।

২০ বছর আগে জুলাইয়ের ৭ তারিখে লন্ডনে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটনা। গোয়েন্দা ব্যর্থতায় সেই হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। হামলাকারী মোহাম্মদ সিদ্দিক খানকে ২০০১ সালে আল-কায়েদা প্রশিক্ষণ শিবিরে দেখা গেলেও, ২০০৪ সালে অন্যান্য সন্দেহভাজনদের সঙ্গে বৈঠকের পরও তদন্তে তাঁকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। এই ব্যর্থতার কারণে ৫২ জন সাধারণ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার সেই ব্যর্থতার দায় স্বীকারও করেন।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমানে ব্রিটেনের উন্নত সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, ২০০৫ সালের চেয়ে বর্তমান হুমকিগুলো অনেক বেশি জটিল। কারণে এখন ইন্টারনেটে বিচিত্র সহিংস কনটেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়েও হামলার ঘটনা ঘটছে। অনেক হামলার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা আদর্শ থাকে না। ফলে এসব হুমকি আগেভাগে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০০৫ সালের ৭ / ৭ হামলা যুক্তরাজ্যের সেকেলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা ছিল। উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির (আইআরএ) বিরুদ্ধে সামরিক ধাঁচের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা আল-কায়েদার মতো গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে পুরোপুরি কার্যকর ছিল না। গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ৫ এবং পুলিশ বুঝতে পারে যে আল-কায়েদার সেলগুলোতে অনুপ্রবেশ করতে তাদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে এবং গোয়েন্দা তথ্য দ্রুত ও ব্যাপকভাবে শেয়ার করতে হবে।
তৎকালীন সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের প্রধান পিটার ক্লার্ক, এই হামলাকে ‘অবশ্যই একটি ব্যর্থতা’ বলে স্বীকার করেন। এমআই৫-এর প্রাক্তন প্রধান লর্ড জোনাথন ইভান্স জানান, সেই সময় গোয়েন্দা টিমগুলোর ওপর ব্যাপক চাপ ছিল এবং সব হুমকি তদন্ত করা সম্ভব ছিল না, তাই অগ্রাধিকার নির্ধারণে ভুল হয়েছিল। হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় সিদ্দিক খানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
২০০৫ সালের হামলার পর, কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে তদন্তের অগ্রাধিকার নির্ধারণে পরিবর্তন আনা জরুরি। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে বিশাল অর্থ বিনিয়োগ করা হয় এবং এমআই ৫ ও পুলিশ একটি উন্নত ‘ট্রায়াজ’ সিস্টেম তৈরি করে। এর ফলে পুলিশ দ্রুত প্রমাণ জব্দ করে অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হয়।
৭ / ৭ এর এক বছর পর সংঘটিত ‘অপারেশন ওভার্ট’-এর সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই অভিযানে আল-কায়েদার ‘তরল বোমা’ তৈরির পরিকল্পনা ব্যর্থ করা হয়, যে বোমা আটলান্টিক পাড়ি দেওয়া উড়োজাহাজ উড়িয়ে দিতে ব্যবহৃত হতে পারত। এমআই ৫ রিয়েল-টাইমে তথ্য শেয়ার করে এবং পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে। এই সাফল্য প্রমাণ করে, এ ধরনের সন্ত্রাসী পরিকল্পনা দ্রুত ব্যর্থ করে দেওয়া সম্ভব।
লর্ড ইভান্স আরও উল্লেখ করেন, হুমকি কেবল লন্ডন-ভিত্তিক নয়, বরং জাতীয় হওয়ায় আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা হয়। ২০০৬ সালে, পার্লামেন্ট সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে নতুন আইন তৈরি করে, যা পুলিশকে হামলাকারীর পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা দেয়।
২০১৪ সাল থেকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হয়। যারা সিরিয়া ও ইরাকে যেতে পারেনি, তাদের নিজ দেশে কমান্ডারের নির্দেশনা ছাড়াই হামলা চালানোর নির্দেশ দেয় আইএস। এর ফলে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ জুড়ে ‘ডিআইওয়াই’ (Do-It-Yourself) বা স্ব-উদ্যোগে হামলার ঢেউ শুরু হয়। সরকার সন্দেহভাজনদের পাসপোর্ট বাতিল বা নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেয়।
২০১৭ সালে ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ ও পার্লামেন্টে হামলা এবং ম্যানচেস্টার এরেনা হামলা (যেখানে ২২ জন নিহত হয়) এই নতুন ধরনের হুমকির উদাহরণ। ম্যানচেস্টার হামলায় এমআই৫-এর ব্যর্থতায় পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি জনসমাবেশে শিথিল নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। ফিগেন মুরে, যার ছেলে এই হামলায় নিহত হন, তাঁর প্রচেষ্টায় ‘মার্টিন’স ল’ তৈরি হয়, যা জনসমাগমস্থলে নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাধ্যতামূলক করে।
উগ্র-ডানপন্থী চরমপন্থীরাও এই ‘ডিআইওয়াই’ সহিংসতা থেকে শিখেছে। ২০১৫ সালে শিখ-বংশোদ্ভূত এক দন্ত্য চিকিৎসকের ওপর হামলা এবং লেবার এমপি জো কক্স হত্যায় এর প্রমাণ মেলে। এই হামলাগুলো ছিল ইন্টারনেট থেকে চরমপন্থী কনটেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত। ব্রিটেনের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো এখন ‘অনলাইন রোল-প্লেয়ার’ দল তৈরি করেছে, যারা অনলাইন চ্যাট গ্রুপে চরমপন্থী নিয়োগকারীর ছদ্মবেশে সম্ভাব্য হামলাকারীদের চিহ্নিত করে।
‘প্রিভেন্ট’ (Prevent) সিস্টেম, সম্ভাব্য চরমপন্থীদের চিহ্নিত করা, সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা থেকে বিরত রাখার জন্য তৈরি করা হয়। এটি জনসমর্থন আদায়ে বেগ পেলেও সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ২০১৫ সাল থেকে প্রায় ৫ হাজার তরুণকে চরমপন্থার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে কর্তৃপক্ষ।
সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের বর্তমান প্রধান ভিকি ইভান্স বলেন, বর্তমানে সন্দেহভাজনরা সাধারণত বেশ কম বয়সী হয় এবং ইন্টারনেটে থাকা সহিংস কনটেন্ট এতে ভূমিকা রাখছে। কিছু ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আদর্শে অনুপ্রাণিত না হয়েও চরম সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।
সম্প্রতি সাউথপোর্টে স্কুলে হামলার ঘটনা ইন্টারনেট থেকে অনুপ্রাণিত সহিংসতা নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। সাউথপোর্টে একটি নাচের ক্লাসে ১৮ বছর বয়সী অ্যালেক্স রুডাকুবানা ছুরি নিয়ে হামলা করে তিন বালিকাকে হত্যা করে। আদালত তার ৫২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
সর্ব সম্প্রতি ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যের লেবার সরকার। এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসবিরোধী নেটওয়ার্কের হুমকি মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় কৌশল নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী নেটওয়ার্ক এখন অনেক বেশি ক্ষমতাশালী এবং সুসংগঠিত বলে মনে করা হয়। কিন্তু হুমকি আগের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়। পুলিশ বলছে, ২০১৭ সাল থেকে ১৫টি অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে এবং ৪৩টি পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ করা হয়েছে।

তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৬ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমানে ব্রিটেনের উন্নত সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, ২০০৫ সালের চেয়ে বর্তমান হুমকিগুলো অনেক বেশি জটিল। কারণে এখন ইন্টারনেটে বিচিত্র সহিংস কনটেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়েও হামলার ঘটনা ঘটছে। অনেক হামলার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা আদর্শ থাকে না। ফলে এসব হুমকি আগেভাগে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে...
০৭ জুলাই ২০২৫
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৬ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

নিজেদের পারমাণবিক সক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে একটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। কে-৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে ভারতের পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন আইএনএস আরিঘাত থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নৌভিত্তিক পারমাণবিক সক্ষমতাকে বেশ শক্তিশালী করেছে।
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
অগ্নি-৩ স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি কে-৪ বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক পাল্লার সমুদ্রভিত্তিক কৌশলগত অস্ত্র। স্থল সংস্করণটিকে সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণের উপযোগী করে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে সাবমেরিনের উৎক্ষেপণ সাইলো থেকে বেরিয়ে পানির ভেতর ভেসে উঠে সমুদ্রপৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর রকেট ইঞ্জিন চালু করে আকাশে ছুটে যাওয়ার সক্ষমতা।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ২ দশমিক ৫ টন ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এবং ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।
কে-৪ হলো ভারতের পারমাণবিক ত্রিমাত্রিক প্রতিরোধব্যবস্থার সবচেয়ে নীরব অংশ। কারণ, অরিহন্ত শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলো দীর্ঘ সময় ধরে অচেনা সমুদ্রাঞ্চলে সম্পূর্ণ নীরবে প্রতিরোধ টহল পরিচালনার জন্য তৈরি।
কে-সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নামের ‘কে’ অক্ষরটি ভারতের সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির রূপকার এ পি জে আবদুল কালামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাখা হয়। ভারতের সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।

সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমানে ব্রিটেনের উন্নত সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, ২০০৫ সালের চেয়ে বর্তমান হুমকিগুলো অনেক বেশি জটিল। কারণে এখন ইন্টারনেটে বিচিত্র সহিংস কনটেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়েও হামলার ঘটনা ঘটছে। অনেক হামলার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা আদর্শ থাকে না। ফলে এসব হুমকি আগেভাগে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে...
০৭ জুলাই ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৬ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতির প্রবক্তা পেং পেইইউনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদনের বদলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নীতিটি ঘিরে তীব্র সমালোচনা দেখা গেছে। গত রোববার বেইজিংয়ে ৯৬তম জন্মদিনের ঠিক আগমুহূর্তে পেংয়ের মৃত্যুতে চীনাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা নেতিবাচক।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে পেং পেইইউনকে নারী ও শিশুবিষয়ক কাজে ‘একজন অসাধারণ নেতা’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চীনের পরিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ছিলেন তিনি।
তবে চীনের জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ভূমিষ্ঠ হতে না পারা শিশুরা ওপারে নগ্ন দেহে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায় বেইজিং এই এক সন্তান নীতি চালু করেছিল।
এর ফলে দীর্ঘ সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ থাকার পর চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শ্লথ হয়ে পড়ে এবং গত বছর টানা তৃতীয়বারের মতো জনসংখ্যা পড়তির দিকে ছিল।
ওয়েইবোতে একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘যদি এই নীতি অন্তত ১০ বছর আগে শেষ করা হতো, তাহলে চীনের জনসংখ্যা আজ এভাবে ধসে পড়ত না!’
গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩৯ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সামনের বছরগুলোতে এই নিম্নগতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
জনসংখ্যার নীতিনির্ধারক হিসেবে পেং জোর দিয়েছিলেন গ্রামীণ এলাকায়। একসময় চীনের গ্রামগুলোতে বড় পরিবার গড়ে তোলা দম্পতিদের প্রধান লক্ষ্য ছিল, যাতে বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাঁদের দেখাশোনা করতে পারে। এ ছাড়া বংশ রক্ষার জন্য ছেলেসন্তানের প্রতি ঝোঁক বেশি থাকায় মেয়েশিশুদের অবহেলা, এমনকি কন্যা ভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটত।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, ‘ওই শিশুগুলো যদি জন্ম নিত, তাহলে আজ তাদের বয়স প্রায় ৪০ হতো—জীবনের সেরা সময়।’
২০১০-এর দশকে এসে পেং প্রকাশ্যে তাঁর অবস্থান বদলান এবং বলেন, এক সন্তান নীতি শিথিল করা উচিত। বর্তমানে বেইজিং কমে যাওয়া জন্মহার বাড়াতে শিশু পরিচর্যা ভর্তুকি, দীর্ঘ মাতৃত্বকালীন ছুটি ও করছাড়ের মতো উদ্যোগ নিচ্ছে।
জনসংখ্যা হ্রাস ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি চীনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমানে ব্রিটেনের উন্নত সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, ২০০৫ সালের চেয়ে বর্তমান হুমকিগুলো অনেক বেশি জটিল। কারণে এখন ইন্টারনেটে বিচিত্র সহিংস কনটেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়েও হামলার ঘটনা ঘটছে। অনেক হামলার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা আদর্শ থাকে না। ফলে এসব হুমকি আগেভাগে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে...
০৭ জুলাই ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

কম্বোডিয়ায় হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতের জেরে থাই সেনাবাহিনী এটি ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্ত বিরোধপূর্ণ এলাকায় সম্প্রতি নির্মিত একটি হিন্দু দেবতার মূর্তি ধ্বংসের খবর আমাদের নজরে এসেছে। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতার ঐতিহ্যের অংশ। এই ধরনের কাজ সারা বিশ্বের অনুসারীদের মনে আঘাত দেয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ব্যাকহো লোডার দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রেহ বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা জানান, ২০১৪ সালে নির্মিত মূর্তিটি থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার সীমানায় ছিল। তিনি এই ঘটনাকে প্রাচীন ও পবিত্র স্থাপত্যের ওপর আঘাত হিসেবে নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি হলেও চলতি মাসে পুনরায় সংঘাত শুরু হয়েছে। নয়াদিল্লি মনে করে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমেই জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমানে ব্রিটেনের উন্নত সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, ২০০৫ সালের চেয়ে বর্তমান হুমকিগুলো অনেক বেশি জটিল। কারণে এখন ইন্টারনেটে বিচিত্র সহিংস কনটেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়েও হামলার ঘটনা ঘটছে। অনেক হামলার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা আদর্শ থাকে না। ফলে এসব হুমকি আগেভাগে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে...
০৭ জুলাই ২০২৫
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১ ঘণ্টা আগে
কে-৪ সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এর মাধ্যমে স্থল, আকাশ ও সমুদ্র—এই তিন মাধ্যম থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম দেশগুলোর তালিকায় জায়গা করে নেয় ভারত।
৪ ঘণ্টা আগে
এনডিটিভি জানিয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনে দম্পতিদের কেবল একটি সন্তান নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা কার্যকর করতে স্থানীয় কর্মকর্তারা অনেক ক্ষেত্রে নারীদের গর্ভপাত ও বন্ধ্যাকরণ করতে বাধ্য করতেন।
৬ ঘণ্টা আগে