Ajker Patrika

জি-২০ সম্মেলনে দিল্লির ব্যবসায়ীদের ১২ কোটি ডলারের ক্ষতি: ব্লুমবার্গ

আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩: ৫০
জি-২০ সম্মেলনে দিল্লির ব্যবসায়ীদের ১২ কোটি ডলারের ক্ষতি: ব্লুমবার্গ

ভারতের রাজধানীতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে তিন দিন আগে। এখন এই আয়োজনের কী অর্জন তা নিয়ে চলছে আলোচনা। কিন্তু মাথায় হাত পড়েছে নয়াদিল্লির ব্যবসায়ীদের। তিন দিন ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় প্রায় ১২ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে নয়াদিল্লিতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতারা। আর তাই নিরাপত্তার জন্য প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর সীমান্ত বন্ধ করা হয়। রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বেসরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি বিভাগগুলোও বন্ধ ছিল। একদম খালি ছিল দিল্লির রাজপথ। 

চেম্বার অব ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান ব্রিজেশ গয়াল বলেছেন, কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার কারণে বেশ কয়েকটি বাজারে লোকসমাগম ছিল স্বাভাবিক সময়ের ১০ ভাগের ১ ভাগ। পার্শ্ববর্তী শহরগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ ক্রেতা আসে রাজধানী দিল্লিতে। সম্মেলনের তিন দিনে তা ছিল না। কয়েকটি দোকান দিনের অর্ধেক সময় খোলা ছিল।

সড়কে চলাচলে ব্যাপক বিধিনিষেধের কারণে বিদেশি পর্যটকেরাও দর্শনীয় স্থান থেকে দূরে ছিলেন। পর্যটকদের কাছে বহুল জনপ্রিয় দিল্লির শপিংমল খান মার্কেটও ছিল বন্ধ। খান মার্কেট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব মেহতা জানান, তিন দিন বন্ধের কারণে তাদের প্রায় ১২ লাখ ডলার লোকসান গুনতে হয়েছে। 

নিউ দিল্লি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল ভার্গভ ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, ‘তিন দিন ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি রুপির ক্ষতি হয়েছে। আমরা সবাই এই সম্মেলনের আশায় ছিলাম। বিদেশি নাগরিকেরা যেন ইতিবাচক চিত্র নিয়ে ভারত ছাড়তে পারে, সেজন্য আমরাও নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়েছি।’

৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সব আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাময়িক অসুবিধার জন্য দিল্লির বাসিন্দাদের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিমানের ডানায় আটকে গেল প্যারাস্যুট, অলৌকিকভাবে বাঁচলেন স্কাইডাইভার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিমানটির ডানায় এভাবেই আটকে গিয়েছিলেন স্কাইডাইভার। ছবি: সংগৃহীত
বিমানটির ডানায় এভাবেই আটকে গিয়েছিলেন স্কাইডাইভার। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।

এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের টুলি এয়ারপোর্টের আকাশে ১৭ জন প্যারাস্যুটার একটি ‘সিক্সটিন-ওয়ে ফরমেশন জাম্পে’ অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন যখন বিমান থেকে বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর রিজার্ভ প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেলটি বিমানের উইং ফ্ল্যাপে আটকে যায়। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রিজার্ভ প্যারাস্যুট খুলে যায় এবং বাতাসের হঠাৎ টানে পেছনের দিকে ছিটকে গিয়ে বিমানের ডানায় ধাক্কা খান এবং আটকে যান ওই স্কাইডাইভার। এতে বিমানের ডানায় ও স্ট্যাবিলাইজারে গুরুতর ক্ষতি হয়।

প্যারাস্যুটের দড়ি স্ট্যাবিলাইজারের চারপাশে পেঁচিয়ে যাওয়ায় স্কাইডাইভার ঝুলন্ত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েন। অন্য প্যারাস্যুটারেরা জাম্প সম্পন্ন করলেও দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। ঝুলে থাকা প্যারাস্যুটার জীবন বাঁচাতে তাঁর হুক নাইফ বের করে রিজার্ভ প্যারাস্যুটের ১১টি লাইন কেটে নিজেকে মুক্ত করেন। এরপর তিনি মূল প্যারাস্যুট খুলতে সক্ষম হন, যদিও রিজার্ভ প্যারাস্যুটের কিছু লাইন তখনো তাঁকে জড়িয়ে ছিল।

এদিকে পাইলট হঠাৎ বিমানটিকে ওপরের দিকে ঢলে যেতে এবং গতি কমে যেতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন বিমানটিতে ত্রুটি হয়েছে। পরে তাঁকে জানানো হয়, একজন স্কাইডাইভার বিমানের পেছনে ডানায় ঝুলে আছেন। এ অবস্থায় পাইলট জরুরি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠান এবং প্রয়োজনে নিজেও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।

অবশেষে ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এসে পাইলট বুঝতে পারেন, বিমানটি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে নিরাপদেই অবতরণ করেন ওই স্কাইডাইভার এবং পাইলটও ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন।

এই ঘটনার পর স্কাইডাইভারদের প্রতি এক সতর্কবার্তায় ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বলেছে—বিমানের দরজার কাছে প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেল সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য হুক নাইফ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ব্যুরো আরও জানিয়েছে, বিমানের ওজন ও ভারসাম্য নির্ণয় স্কাইডাইভিং অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে এসব কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসপাতালে মিয়ানমার জান্তার বিমান হামলা, নিহত অন্তত ৩০

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
হামলার সময় ৩০০ শয্যার হাসপাতালটি রোগীতে ঠাসা ছিল। ছবি: এএফপি
হামলার সময় ৩০০ শয্যার হাসপাতালটি রোগীতে ঠাসা ছিল। ছবি: এএফপি

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে একটি হাসপাতালে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই হাসপাতালে ভর্তি রোগী। এ ঘটনায় ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যের মুরাক উ শহরের হাসপাতালটিতে বুধবার রাতে একটি সামরিক বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইন থু খা রয়টার্সকে বলেন, ‘মুরাক উ জেনারেল হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। সরাসরি হাসপাতালটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোয় হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি।’

ওয়াই হুন অং নামে স্থানীয় একজন উদ্ধারকর্মী জানান, হামলার সময় ৩০০ শয্যার হাসপাতালটি রোগীতে ঠাসা ছিল। কারণ, চলমান সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্যের বিস্তৃত অঞ্চলে বেশির ভাগ স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের কিছু ছবি শেয়ার করে ওয়াই হুন অং জানান, হামলায় হাসপাতালের ছাদ ধসে পড়েছে। আশপাশে মৃতদেহ পড়ে ছিল। হামলার পর বাকি রোগীদের একটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এসব ছবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

আরাকান আর্মির (এএ) মুখপাত্র খাইন থু খা জানান, মুরাক উ শহরটি গত বছর থেকেই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় সামরিক জান্তার সঙ্গে বড় কোনো লড়াই হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে মিয়ানমারে সংঘাত চলছে।

সম্প্রতি, জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিমানবাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে। আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্টের তথ্য অনুযায়ী—২০২৪ সালে মিয়ানমারে বিমান হামলার ঘটনা ছিল ১ হাজার ৭১৬টি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত বিমান হামলা হয়েছে ২ হাজার ১৬৫টি।

২০২৩ সালে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৪টি থেকে সামরিক বাহিনীকে বিতাড়িত করে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইসিইএএস-ইউসুফ ইশাক ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, আরাকান আর্মি বর্তমানে বেলজিয়ামের চেয়েও বড় একটি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতের নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ড: মালিক ভ্রাতৃদ্বয় থাইল্যান্ডে আটক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০০
থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। ছবি: এনডিটিভি
থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। ছবি: এনডিটিভি

ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার জনপ্রিয় নাইটক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ক্লাবটির মালিক দুই সহোদরকে থাইল্যান্ডে আটক করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত নাগেশ সিংয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটির পরপরই ফুকেটে পালিয়ে যান দুই ভাই গৌরব ও সৌরভ লুথরা।

আজ বৃহস্পতিবার নাগেশ সিং জানান, তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর এক দিন আগে দিল্লির একটি আদালত তাঁদের গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা দেওয়ার আবেদন খারিজ করেন এবং গোয়া সরকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে তাঁদের পাসপোর্ট বাতিলের অনুরোধ জানায়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, থাইল্যান্ডের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ দেশটির একটি হোটেলের রুম থেকে ওই দুই ভাইকে আটক করে। প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, অভিবাসন কর্মকর্তারা তাঁদের জিনিসপত্র পরীক্ষা করছেন এবং তাঁদের হাত বাঁধা রয়েছে।

এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের কাছ থেকে মন্তব্য না পাওয়া গেলেও তাঁদের আইনজীবী আদালতে বলেন, তাঁদের এভাবে আটক করা ‘উইচ হান্ট’-এর শিকার বানানোর মতো হয়ে যাচ্ছে।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ মীর আরও বলেন, দুই ভাই ব্যবসায়ী। তাঁরা সেই ধরনের ব্যক্তি নন, যারা ৫০০০ কোটি টাকার প্রতারণা করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে ওই ক্লাবে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার মুহূর্তটিতে ক্লাবের জনপ্রিয় আয়োজন ‘বলিউড ব্যাঞ্জার নাইট’ উপভোগ করছিলেন প্রায় ১০০ পর্যটক। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চে একজন নৃত্যশিল্পী বলিউডের বিখ্যাত গান ‘মেহবুবা ও মেহবুবা’-র তালে নাচছিলেন। হঠাৎই মঞ্চের পেছনে থাকা কনসোলের ওপর আগুনের শিখা দেখা যায়।

আগুন যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে, তখনই টনক নড়ে শিল্পী ও দর্শকদের। আগুনের শিখা বাড়তে থাকলে সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং দর্শকেরা আতঙ্কে চারদিকে সরে যেতে থাকেন।

মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই আগুন ক্লাবের ছাদজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অল্প সময়ের মধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ২৫ জন। বেশির ভাগ নিহতই ছিলেন ক্লাবের কর্মী আর পাঁচজন ছিলেন পর্যটক। আহত হন আরও ৬ জন।

তদন্তকারীদের ধারণা, ক্লাবের ভেতরে আতশবাজি ফোটানোর কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লিতে ওই দুই ভাইয়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাঁদের খোঁজে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ক্লাবের পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেওয়া সৌরভ লুথরা গত সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবার এবং আহতদের পাশে অটল সংহতি প্রকাশ করছে নাইটক্লাব কর্তৃপক্ষ। শোকাহত পরিবারগুলোকে সহায়তা, সমর্থন ও সহযোগিতা দেবে কর্তৃপক্ষ।

গত বুধবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শিগগিরই আরও গ্রেপ্তার হবে।’

আরব সাগরতীরের এক সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশ ভারতের পর্যটনসমৃদ্ধ রাজ্য গোয়া। এর প্রাণবন্ত সমুদ্রসৈকত ও রিসোর্টের কারণে প্রতিবছর লাখো পর্যটক সেখানে যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ডের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবেদন প্রকাশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৪
ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিরোধীদের নিশানা করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটিয়েছে। এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা থেকেছে সাজা ও বিচার-মুক্ত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

স্বাধীন এই মিশনের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ডের এমন সব কাজে জড়িয়ে থাকার বিশদ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসাবে গণ্য হতে পারে। ২০১৪ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর আমলে প্রতিবাদ দমনের সময় এবং পরিকল্পিত রাজনৈতিক নিপীড়নের ক্ষেত্রে এই বাহিনী নির্বিচার আটক, যৌন সহিংসতা ও নির্যাতনের মতো কাজ করে গেছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি সরকারের বিরোধিতা করে বলে মনে করা হয়েছে, তাদেরই নিশানা করা হয়েছে। ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান মার্তা ভ্যালিনাস বলেছেন, ‘আমরা যে সব তথ্য প্রমাণ পেয়েছি, তা দেখাচ্ছে যে বলিভারিয়ান ন্যাশনাল গার্ড বিরোধীদের বা যাদের বিরোধী বলে মনে করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক ও সমন্বিত দমন-পীড়নের একটা ছকে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে এসেছে, যা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে।’

এই রিপোর্টটি এমন এক সময়ে এল—যখন ওয়াশিংটন ও কারাকাসের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তেজনা বাড়ছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার ভেনেজুয়েলায় মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন মাদক চোরাচালান মোকাবিলা করার জন্য—যার নাম তিনি দিয়েছেন ‘নার্কো-টেরোরিজম বা মাদক সন্ত্রাসবাদ।’

মাদুরারো বক্তব্য, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল ভান্ডারে প্রবেশাধিকার পেতে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড রাজনৈতিক নিপীড়নে মানবতাবিরোধী অপরাধে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল—এমনটা বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ তাদের কাছে আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ঘটা ‘নক নক’ অপারেশনে সরকারবিরোধী সমালোচকদের বাড়িতে হঠাৎ হানা দেওয়া হয়। এই অভিযানের শিকার হয়েছিলেন গরিব মহল্লার সাধারণ নাগরিকেরাও।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভেনেজুয়েলার ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ নীতির অধীনে ভেনেজুয়েলার ন্যাশনাল গার্ড সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ও অভ্যন্তরীণ দমনের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা বাড়িয়েছে। এই প্রক্রিয়া চলে রাষ্ট্রপতির ও বলিভারিয়ান ন্যাশনাল আর্মড ফোর্সেসের কমান্ডার-ইন-চিফের তত্ত্বাবধানে একটি কেন্দ্রীয় কমান্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে। রিপোর্টে ন্যাশনাল গার্ডের আটককেন্দ্রে যৌন সহিংসতা, গ্রেপ্তারের সময় প্রহার এবং নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।

ভ্যালিনাস বলেন, ‘আমরা যে নির্যাতন, দুর্ব্যবহার এবং যৌন সহিংসতার ঘটনাগুলো—যার মধ্যে রয়েছে আক্রমণ ও ধর্ষণ—যাচাই করেছি, তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো ভুক্তভোগীদের শাস্তি দেওয়া ও মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহৃত নির্যাতনের একটা ছকের অংশ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

শিশু উদ্ধারে ৪০ ফুট গর্ত করে চলছে সুড়ঙ্গ করার কাজ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত