
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। ২০২৫ সালের শুরু থেকে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, মারা গেছেন অন্তত ১৭ জন। ফিজি, সামোয়া ও টোঙ্গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি শুরুর সতর্কবার্তা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক সিনড্রোমিক সারভেইলেন্স সিস্টেমের (পিএসএসএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ও অঞ্চলগুলোতে ১৬ হাজার ৫০২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছে ১৭ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ২০১৬ সালের পর এ বছরই সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ফিজি, সামোয়া ও টোঙ্গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
প্যাসিফিক কমিউনিটির (এসপিসি) উপ-মহাপরিচালক ডা. পাউলা ভিভিলি জানান, আগে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল মৌসুমি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংক্রমণের মৌসুম দীর্ঘ হচ্ছে আর কিছু এলাকায় এখন সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে।’
ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে—ব্যাপক জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, গিঁট ও মাংসপেশিতে ব্যথা, চামড়ায় ফুসকুড়ি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মৃত্যু। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও আর্দ্রতা মশার প্রজননের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করছে। এর ফলে যেখানে আগে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল না, সেখানেও ঝুঁকি বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপোজারস, ডিজিজেস, জেনোমিকস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ও মহামারীবিদ ডা. জোয়েল কফম্যান বলেন, ‘ডেঙ্গু এমন একটি রোগ, যার প্রকোপ সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের ফল বলে আমরা বলতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টিপাত পানির স্তর বাড়িয়ে দেয়, যা মশার ডিম ফোটায়—এটি তাদের প্রাকৃতিক প্রজনন প্রক্রিয়ার অংশ। ভারী বৃষ্টিতে স্থির পানির জায়গা বেড়ে যায়, যা মশার বংশবৃদ্ধির সুযোগ বাড়ায়।’
কফম্যান সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই প্রাদুর্ভাব আরও বড় জনস্বাস্থ্য সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি এমন রোগগুলোর শুরু, যেগুলো পৃথিবীর উষ্ণতার সঙ্গে আরও সাধারণ ও মারাত্মক হয়ে উঠবে।’
এপ্রিল মাসে প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করার পর সামোয়ায় এখন পর্যন্ত ছয়জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছে, এর মধ্যে দুই ভাইবোনও রয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৬০০ জনের বেশি। ফিজিতে এ বছর ডেঙ্গুতে আটজন মারা গেছে, আক্রান্ত ১০ হাজার ৯৬৯ জন। ফেব্রুয়ারিতে প্রাদুর্ভাব ঘোষণার পর থেকে টোঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছে ৮০০ জনের বেশি এবং মারা গেছে তিন জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রাদুর্ভাব দেখিয়ে দিচ্ছে জলবায়ু সংবেদনশীল রোগের প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভঙ্গুরতা কতটা বেশি, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে আরও তীব্র হবে।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) তথ্য অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ বিশ্বের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসারণের মাত্র ০.০৩ শতাংশের জন্য দায়ী। তবু তারাই জলবায়ুজনিত সবচেয়ে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে—বিশেষ করে মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পালাউ, পাপুয়া নিউগিনি ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পাপুয়া নিউগিনি, নাউরু ও ফিজির কিছু অংশে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক রিসার্চ (এনআইডাব্লিউএ) জানিয়েছে, এই বৈপরীত্য অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
কফম্যান বলেন, ‘যদিও বেশি বৃষ্টি মশার প্রজননের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে, চরম আবহাওয়াও মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়াতে পারে।’ এনআইডাব্লিউএ জানিয়েছে, বছরের প্রথমার্ধে প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় অতি শুষ্ক বা প্রায় শুষ্ক অবস্থা দেখা গেছে। কফম্যান বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম শুষ্কতা মশাবাহিত রোগ কমাবে, কিন্তু বাস্তবে উল্টোটা ঘটেছে। বরং সংক্রমণের গতি বেড়েছে।’
ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে সামোয়া, কুক আইল্যান্ডস ও আমেরিকান সামোয়া জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। কুক আইল্যান্ডসে পুরো দ্বীপজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, নজরদারি জোরদার এবং লক্ষ্যভিত্তিক স্প্রে কার্যক্রম চালানো হয়েছে। টোঙ্গা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপগুলোতে প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে কাজ করেছে। টুভ্যালু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্বাস্থ্য প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। সামোয়া স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে এবং জনস্বাস্থ্য প্রচারণা জোরদার করেছে।
নিউজিল্যান্ড সামোয়ায় একটি চিকিৎসক দল পাঠিয়েছে এবং ৩ লাখ নিউজিল্যান্ড ডলার (১ লাখ ৭৮ হাজার মার্কিন ডলার) মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় ও সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপ্রতুল নজরদারি ব্যবস্থার কারণে এসব পদক্ষেপ কার্যকারিতা হারাচ্ছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের রোগ-পরিবেশবিদ ডা. ববি রেইনার বলেন, ‘বর্তমান রোগ নজরদারি ব্যবস্থা সচরাচর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়। এর প্রমাণ হচ্ছে এ অঞ্চলে ডেঙ্গুর ক্রমবর্ধমান প্রকোপ, যা বৈশ্বিকভাবেও সত্য।’
মশা নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস, লার্ভিসাইড প্রয়োগ বা কীটনাশক ছিটানো। এ ছাড়া জীববৈজ্ঞানিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কমিউনিটি পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানও এর মধ্যে পড়ে। কিন্তু রেইনারের মতে, এসব পদ্ধতির অনেকগুলো কখনো কার্যকর প্রমাণিত হয়নি।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। ২০২৫ সালের শুরু থেকে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, মারা গেছেন অন্তত ১৭ জন। ফিজি, সামোয়া ও টোঙ্গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি শুরুর সতর্কবার্তা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক সিনড্রোমিক সারভেইলেন্স সিস্টেমের (পিএসএসএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ও অঞ্চলগুলোতে ১৬ হাজার ৫০২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছে ১৭ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ২০১৬ সালের পর এ বছরই সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ফিজি, সামোয়া ও টোঙ্গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
প্যাসিফিক কমিউনিটির (এসপিসি) উপ-মহাপরিচালক ডা. পাউলা ভিভিলি জানান, আগে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল মৌসুমি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংক্রমণের মৌসুম দীর্ঘ হচ্ছে আর কিছু এলাকায় এখন সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে।’
ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে—ব্যাপক জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, গিঁট ও মাংসপেশিতে ব্যথা, চামড়ায় ফুসকুড়ি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মৃত্যু। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও আর্দ্রতা মশার প্রজননের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করছে। এর ফলে যেখানে আগে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল না, সেখানেও ঝুঁকি বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপোজারস, ডিজিজেস, জেনোমিকস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ও মহামারীবিদ ডা. জোয়েল কফম্যান বলেন, ‘ডেঙ্গু এমন একটি রোগ, যার প্রকোপ সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের ফল বলে আমরা বলতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টিপাত পানির স্তর বাড়িয়ে দেয়, যা মশার ডিম ফোটায়—এটি তাদের প্রাকৃতিক প্রজনন প্রক্রিয়ার অংশ। ভারী বৃষ্টিতে স্থির পানির জায়গা বেড়ে যায়, যা মশার বংশবৃদ্ধির সুযোগ বাড়ায়।’
কফম্যান সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই প্রাদুর্ভাব আরও বড় জনস্বাস্থ্য সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি এমন রোগগুলোর শুরু, যেগুলো পৃথিবীর উষ্ণতার সঙ্গে আরও সাধারণ ও মারাত্মক হয়ে উঠবে।’
এপ্রিল মাসে প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করার পর সামোয়ায় এখন পর্যন্ত ছয়জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছে, এর মধ্যে দুই ভাইবোনও রয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৬০০ জনের বেশি। ফিজিতে এ বছর ডেঙ্গুতে আটজন মারা গেছে, আক্রান্ত ১০ হাজার ৯৬৯ জন। ফেব্রুয়ারিতে প্রাদুর্ভাব ঘোষণার পর থেকে টোঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছে ৮০০ জনের বেশি এবং মারা গেছে তিন জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রাদুর্ভাব দেখিয়ে দিচ্ছে জলবায়ু সংবেদনশীল রোগের প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভঙ্গুরতা কতটা বেশি, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে আরও তীব্র হবে।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) তথ্য অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ বিশ্বের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসারণের মাত্র ০.০৩ শতাংশের জন্য দায়ী। তবু তারাই জলবায়ুজনিত সবচেয়ে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে—বিশেষ করে মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পালাউ, পাপুয়া নিউগিনি ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পাপুয়া নিউগিনি, নাউরু ও ফিজির কিছু অংশে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক রিসার্চ (এনআইডাব্লিউএ) জানিয়েছে, এই বৈপরীত্য অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
কফম্যান বলেন, ‘যদিও বেশি বৃষ্টি মশার প্রজননের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে, চরম আবহাওয়াও মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়াতে পারে।’ এনআইডাব্লিউএ জানিয়েছে, বছরের প্রথমার্ধে প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় অতি শুষ্ক বা প্রায় শুষ্ক অবস্থা দেখা গেছে। কফম্যান বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম শুষ্কতা মশাবাহিত রোগ কমাবে, কিন্তু বাস্তবে উল্টোটা ঘটেছে। বরং সংক্রমণের গতি বেড়েছে।’
ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে সামোয়া, কুক আইল্যান্ডস ও আমেরিকান সামোয়া জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। কুক আইল্যান্ডসে পুরো দ্বীপজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, নজরদারি জোরদার এবং লক্ষ্যভিত্তিক স্প্রে কার্যক্রম চালানো হয়েছে। টোঙ্গা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপগুলোতে প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে কাজ করেছে। টুভ্যালু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্বাস্থ্য প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। সামোয়া স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে এবং জনস্বাস্থ্য প্রচারণা জোরদার করেছে।
নিউজিল্যান্ড সামোয়ায় একটি চিকিৎসক দল পাঠিয়েছে এবং ৩ লাখ নিউজিল্যান্ড ডলার (১ লাখ ৭৮ হাজার মার্কিন ডলার) মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় ও সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপ্রতুল নজরদারি ব্যবস্থার কারণে এসব পদক্ষেপ কার্যকারিতা হারাচ্ছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের রোগ-পরিবেশবিদ ডা. ববি রেইনার বলেন, ‘বর্তমান রোগ নজরদারি ব্যবস্থা সচরাচর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়। এর প্রমাণ হচ্ছে এ অঞ্চলে ডেঙ্গুর ক্রমবর্ধমান প্রকোপ, যা বৈশ্বিকভাবেও সত্য।’
মশা নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস, লার্ভিসাইড প্রয়োগ বা কীটনাশক ছিটানো। এ ছাড়া জীববৈজ্ঞানিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কমিউনিটি পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানও এর মধ্যে পড়ে। কিন্তু রেইনারের মতে, এসব পদ্ধতির অনেকগুলো কখনো কার্যকর প্রমাণিত হয়নি।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। ২০২৫ সালের শুরু থেকে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, মারা গেছেন অন্তত ১৭ জন। ফিজি, সামোয়া ও টোঙ্গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি শুরুর সতর্কবার্তা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক সিনড্রোমিক সারভেইলেন্স সিস্টেমের (পিএসএসএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ও অঞ্চলগুলোতে ১৬ হাজার ৫০২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছে ১৭ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ২০১৬ সালের পর এ বছরই সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ফিজি, সামোয়া ও টোঙ্গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
প্যাসিফিক কমিউনিটির (এসপিসি) উপ-মহাপরিচালক ডা. পাউলা ভিভিলি জানান, আগে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল মৌসুমি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংক্রমণের মৌসুম দীর্ঘ হচ্ছে আর কিছু এলাকায় এখন সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে।’
ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে—ব্যাপক জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, গিঁট ও মাংসপেশিতে ব্যথা, চামড়ায় ফুসকুড়ি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মৃত্যু। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও আর্দ্রতা মশার প্রজননের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করছে। এর ফলে যেখানে আগে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল না, সেখানেও ঝুঁকি বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপোজারস, ডিজিজেস, জেনোমিকস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ও মহামারীবিদ ডা. জোয়েল কফম্যান বলেন, ‘ডেঙ্গু এমন একটি রোগ, যার প্রকোপ সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের ফল বলে আমরা বলতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টিপাত পানির স্তর বাড়িয়ে দেয়, যা মশার ডিম ফোটায়—এটি তাদের প্রাকৃতিক প্রজনন প্রক্রিয়ার অংশ। ভারী বৃষ্টিতে স্থির পানির জায়গা বেড়ে যায়, যা মশার বংশবৃদ্ধির সুযোগ বাড়ায়।’
কফম্যান সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই প্রাদুর্ভাব আরও বড় জনস্বাস্থ্য সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি এমন রোগগুলোর শুরু, যেগুলো পৃথিবীর উষ্ণতার সঙ্গে আরও সাধারণ ও মারাত্মক হয়ে উঠবে।’
এপ্রিল মাসে প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করার পর সামোয়ায় এখন পর্যন্ত ছয়জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছে, এর মধ্যে দুই ভাইবোনও রয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৬০০ জনের বেশি। ফিজিতে এ বছর ডেঙ্গুতে আটজন মারা গেছে, আক্রান্ত ১০ হাজার ৯৬৯ জন। ফেব্রুয়ারিতে প্রাদুর্ভাব ঘোষণার পর থেকে টোঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছে ৮০০ জনের বেশি এবং মারা গেছে তিন জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রাদুর্ভাব দেখিয়ে দিচ্ছে জলবায়ু সংবেদনশীল রোগের প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভঙ্গুরতা কতটা বেশি, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে আরও তীব্র হবে।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) তথ্য অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ বিশ্বের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসারণের মাত্র ০.০৩ শতাংশের জন্য দায়ী। তবু তারাই জলবায়ুজনিত সবচেয়ে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে—বিশেষ করে মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পালাউ, পাপুয়া নিউগিনি ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পাপুয়া নিউগিনি, নাউরু ও ফিজির কিছু অংশে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক রিসার্চ (এনআইডাব্লিউএ) জানিয়েছে, এই বৈপরীত্য অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
কফম্যান বলেন, ‘যদিও বেশি বৃষ্টি মশার প্রজননের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে, চরম আবহাওয়াও মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়াতে পারে।’ এনআইডাব্লিউএ জানিয়েছে, বছরের প্রথমার্ধে প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় অতি শুষ্ক বা প্রায় শুষ্ক অবস্থা দেখা গেছে। কফম্যান বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম শুষ্কতা মশাবাহিত রোগ কমাবে, কিন্তু বাস্তবে উল্টোটা ঘটেছে। বরং সংক্রমণের গতি বেড়েছে।’
ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে সামোয়া, কুক আইল্যান্ডস ও আমেরিকান সামোয়া জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। কুক আইল্যান্ডসে পুরো দ্বীপজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, নজরদারি জোরদার এবং লক্ষ্যভিত্তিক স্প্রে কার্যক্রম চালানো হয়েছে। টোঙ্গা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপগুলোতে প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে কাজ করেছে। টুভ্যালু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্বাস্থ্য প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। সামোয়া স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে এবং জনস্বাস্থ্য প্রচারণা জোরদার করেছে।
নিউজিল্যান্ড সামোয়ায় একটি চিকিৎসক দল পাঠিয়েছে এবং ৩ লাখ নিউজিল্যান্ড ডলার (১ লাখ ৭৮ হাজার মার্কিন ডলার) মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় ও সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপ্রতুল নজরদারি ব্যবস্থার কারণে এসব পদক্ষেপ কার্যকারিতা হারাচ্ছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের রোগ-পরিবেশবিদ ডা. ববি রেইনার বলেন, ‘বর্তমান রোগ নজরদারি ব্যবস্থা সচরাচর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়। এর প্রমাণ হচ্ছে এ অঞ্চলে ডেঙ্গুর ক্রমবর্ধমান প্রকোপ, যা বৈশ্বিকভাবেও সত্য।’
মশা নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস, লার্ভিসাইড প্রয়োগ বা কীটনাশক ছিটানো। এ ছাড়া জীববৈজ্ঞানিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কমিউনিটি পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানও এর মধ্যে পড়ে। কিন্তু রেইনারের মতে, এসব পদ্ধতির অনেকগুলো কখনো কার্যকর প্রমাণিত হয়নি।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। ২০২৫ সালের শুরু থেকে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত, মারা গেছেন অন্তত ১৭ জন। ফিজি, সামোয়া ও টোঙ্গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি শুরুর সতর্কবার্তা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক সিনড্রোমিক সারভেইলেন্স সিস্টেমের (পিএসএসএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ও অঞ্চলগুলোতে ১৬ হাজার ৫০২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে মারা গেছে ১৭ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ২০১৬ সালের পর এ বছরই সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ফিজি, সামোয়া ও টোঙ্গা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
প্যাসিফিক কমিউনিটির (এসপিসি) উপ-মহাপরিচালক ডা. পাউলা ভিভিলি জানান, আগে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল মৌসুমি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংক্রমণের মৌসুম দীর্ঘ হচ্ছে আর কিছু এলাকায় এখন সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে।’
ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এর উপসর্গের মধ্যে রয়েছে—ব্যাপক জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, গিঁট ও মাংসপেশিতে ব্যথা, চামড়ায় ফুসকুড়ি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মৃত্যু। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও আর্দ্রতা মশার প্রজননের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করছে। এর ফলে যেখানে আগে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল না, সেখানেও ঝুঁকি বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপোজারস, ডিজিজেস, জেনোমিকস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ও মহামারীবিদ ডা. জোয়েল কফম্যান বলেন, ‘ডেঙ্গু এমন একটি রোগ, যার প্রকোপ সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের ফল বলে আমরা বলতে পারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টিপাত পানির স্তর বাড়িয়ে দেয়, যা মশার ডিম ফোটায়—এটি তাদের প্রাকৃতিক প্রজনন প্রক্রিয়ার অংশ। ভারী বৃষ্টিতে স্থির পানির জায়গা বেড়ে যায়, যা মশার বংশবৃদ্ধির সুযোগ বাড়ায়।’
কফম্যান সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই প্রাদুর্ভাব আরও বড় জনস্বাস্থ্য সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি এমন রোগগুলোর শুরু, যেগুলো পৃথিবীর উষ্ণতার সঙ্গে আরও সাধারণ ও মারাত্মক হয়ে উঠবে।’
এপ্রিল মাসে প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করার পর সামোয়ায় এখন পর্যন্ত ছয়জন ডেঙ্গু রোগী মারা গেছে, এর মধ্যে দুই ভাইবোনও রয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৬০০ জনের বেশি। ফিজিতে এ বছর ডেঙ্গুতে আটজন মারা গেছে, আক্রান্ত ১০ হাজার ৯৬৯ জন। ফেব্রুয়ারিতে প্রাদুর্ভাব ঘোষণার পর থেকে টোঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছে ৮০০ জনের বেশি এবং মারা গেছে তিন জন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রাদুর্ভাব দেখিয়ে দিচ্ছে জলবায়ু সংবেদনশীল রোগের প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভঙ্গুরতা কতটা বেশি, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে আরও তীব্র হবে।
আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) তথ্য অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ বিশ্বের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসারণের মাত্র ০.০৩ শতাংশের জন্য দায়ী। তবু তারাই জলবায়ুজনিত সবচেয়ে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে—বিশেষ করে মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পালাউ, পাপুয়া নিউগিনি ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পাপুয়া নিউগিনি, নাউরু ও ফিজির কিছু অংশে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক রিসার্চ (এনআইডাব্লিউএ) জানিয়েছে, এই বৈপরীত্য অন্তত অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
কফম্যান বলেন, ‘যদিও বেশি বৃষ্টি মশার প্রজননের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে, চরম আবহাওয়াও মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়াতে পারে।’ এনআইডাব্লিউএ জানিয়েছে, বছরের প্রথমার্ধে প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় অতি শুষ্ক বা প্রায় শুষ্ক অবস্থা দেখা গেছে। কফম্যান বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম শুষ্কতা মশাবাহিত রোগ কমাবে, কিন্তু বাস্তবে উল্টোটা ঘটেছে। বরং সংক্রমণের গতি বেড়েছে।’
ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে সামোয়া, কুক আইল্যান্ডস ও আমেরিকান সামোয়া জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। কুক আইল্যান্ডসে পুরো দ্বীপজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, নজরদারি জোরদার এবং লক্ষ্যভিত্তিক স্প্রে কার্যক্রম চালানো হয়েছে। টোঙ্গা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপগুলোতে প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে কাজ করেছে। টুভ্যালু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্বাস্থ্য প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। সামোয়া স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে এবং জনস্বাস্থ্য প্রচারণা জোরদার করেছে।
নিউজিল্যান্ড সামোয়ায় একটি চিকিৎসক দল পাঠিয়েছে এবং ৩ লাখ নিউজিল্যান্ড ডলার (১ লাখ ৭৮ হাজার মার্কিন ডলার) মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় ও সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপ্রতুল নজরদারি ব্যবস্থার কারণে এসব পদক্ষেপ কার্যকারিতা হারাচ্ছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের রোগ-পরিবেশবিদ ডা. ববি রেইনার বলেন, ‘বর্তমান রোগ নজরদারি ব্যবস্থা সচরাচর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়। এর প্রমাণ হচ্ছে এ অঞ্চলে ডেঙ্গুর ক্রমবর্ধমান প্রকোপ, যা বৈশ্বিকভাবেও সত্য।’
মশা নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস, লার্ভিসাইড প্রয়োগ বা কীটনাশক ছিটানো। এ ছাড়া জীববৈজ্ঞানিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং কমিউনিটি পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানও এর মধ্যে পড়ে। কিন্তু রেইনারের মতে, এসব পদ্ধতির অনেকগুলো কখনো কার্যকর প্রমাণিত হয়নি।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয়...
১২ আগস্ট ২০২৫
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সকল নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লালগালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সকল নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লালগালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয়...
১২ আগস্ট ২০২৫
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচি সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫, কলকাতায় ৩৫, চেন্নাইয়ে ২৬ এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএলের নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলো পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচি সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫, কলকাতায় ৩৫, চেন্নাইয়ে ২৬ এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএলের নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলো পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয়...
১২ আগস্ট ২০২৫
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
২ ঘণ্টা আগে
গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর বা সহযোগী হিসেবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুইন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসেবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে তাঁর মৃত্যু ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসেবে কাজ করে, যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএলের সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিসরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা-সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সব সময় একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন, এমনকি ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে তাঁর সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট, এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন, যাঁরা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তাঁর গোষ্ঠী তাঁদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এর পর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলো আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসেবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি এমনকি যারা হামাসের বিরোধী, আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনো অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তাঁর ভাগ্য ক্রমেই নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছিল।

গাজার মিলিশিয়া নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর বাহিনী পপুলার ফোর্সেস এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যম। আবু শাবাব ইসরায়েলি সমর্থনে গাজায় নিজেকে হামাসের বিকল্প হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ইসরায়েলের কোলাবরেটর বা সহযোগী হিসেবে ব্যাপকভাবে উপহাসের পাত্র ছিলেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার বেদুইন তারাবিন উপজাতির এই নেতার বয়স ৩০-এর কোঠায়। গত বছর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবে উত্থান না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে তিনি কার্যত অচেনা ছিলেন।
আবু শাবাবের গোষ্ঠী প্রাথমিকভাবে ‘অ্যান্টি-টেরর সার্ভিস’ নামে পরিচিত হলেও এই বছরের মে মাস নাগাদ এটি ‘পপুলার ফোর্সেস’ হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি ছিল অন্তত ১০০ জন যোদ্ধার একটি সুসজ্জিত দল, যা গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করত।
গোষ্ঠীটি একটি অপরাধী চক্র এবং ইসরায়েলি প্রক্সি ফোর্সের মাঝামাঝি অবস্থানে কাজ করত, তবে নিজেদেরকে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিবেদিত একটি জাতীয়তাবাদী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হিসেবে তুলে ধরত।
এই প্রচারের একটি উদ্দেশ্য ইসরায়েলের জন্য ছিল, কিন্তু এই গোষ্ঠীর চূড়ান্ত লক্ষ্য কী ছিল তা কখনোই স্পষ্ট ছিল না। বিশেষ করে যখন এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পপুলার ফোর্সেসের কোনো ধরনের ব্যাপক জনসমর্থন নেই। এর কারণ হলো, অনেক ফিলিস্তিনিদের চোখে আবু শাবাব ছিলেন অপরাধী। গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে তিনি জেল থেকে পালান। তিনি মাদক-সম্পর্কিত অভিযোগে বেশ কয়েক বছর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কারাবন্দী ছিলেন।
পরে, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার সময় ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর জোট অধিকাংশ ফিলিস্তিনির চোখে তাঁকে অপরাধী করে তোলে। এমনকি তাঁর নিজের গোত্রও এক বিবৃতিতে বলেছিল যে তাঁর মৃত্যু ‘একটি অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসেবে কাজ করে, যা গোত্রের ইতিহাসকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আবু শাবাবের গোষ্ঠীর প্রাথমিক নামকরণ ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ ভাষা ব্যবহার করে করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি ছিল হাস্যকর। কারণ, তাঁর গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইএলের সংযোগের রিপোর্ট ছিল। যদিও সেই সংযোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো অভিন্ন মতাদর্শের চেয়ে মিসরীয় সিনাই উপদ্বীপ থেকে গাজায় চোরাচালানে সহযোগিতা-সম্পর্কিত ছিল।
আবু শাবাবের পটভূমি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতির মধ্যেও সব সময় একটি বৈসাদৃশ্য ছিল। তিনি ইংরেজি ভাষায় পোস্ট করতেন, এমনকি ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে লিখিত নিবন্ধও শেয়ার করেছিলেন তিনি।
সেই নিবন্ধে আবু শাবাব দাবি করেছিলেন, তাঁর পপুলার ফোর্সেস গাজার দক্ষিণে পূর্ব রাফার বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তারা ‘একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত।’ নিবন্ধটিতে বলা হয়েছিল, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো সেই ফিলিস্তিনিদের আলাদা করা, যাদের হামাসের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, যুদ্ধের আগুন থেকে।’
আবু শাবাব যখন ইসরায়েলের সঙ্গে পপুলার ফোর্সেসের সংযোগ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জুনে স্বীকার করেন যে তাঁর সরকার হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করছে। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এটি স্পষ্ট, এ ধরনের একটি গোষ্ঠী আবু শাবাবের বাহিনী।
আবু শাবাব সিএনএনকে বলেছিলেন, তিনি ‘এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন, যাঁরা মানবিক সহায়তা লুটপাট ও দুর্নীতি থেকে রক্ষা করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী হয়েছেন’, এবং তাঁর গোষ্ঠী তাঁদের বাহিনীর সাহায্য বিতরণের ছবিও শেয়ার করে।
কিন্তু এর পর থেকে আবু শাবাব এবং পপুলার ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সাহায্যের কনভয় থেকে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়। গাজার নিরাপত্তা সূত্র আল জাজিরা আরবিকে নিশ্চিত করেছে যে ইসরায়েল-সমর্থিত গোষ্ঠীটি লুটপাটে অংশ নিয়েছিল।
ইসরায়েলি বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে যখন গাজা দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছিল, সেই সময়ে এই অভিযোগগুলো আবু শাবাবকে কেবলই একজন ইসরায়েলি প্রক্সি হিসেবে দেখার ধারণাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।
তাই হয়তো এটা অবাক হওয়ার মতো নয় যে গাজার খুব কম ফিলিস্তিনি এমনকি যারা হামাসের বিরোধী, আবু শাবাবের মৃত্যুতে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
তাঁর হত্যার পরিস্থিতি এখনো অস্পষ্ট—আবু শাবাবের উৎস এবং যুদ্ধের সময় তার ভূমিকা যেমন ছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেহেতু এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে হামাসের একটি প্রকৃত বিকল্প হওয়ার মতো সমর্থন বা ক্ষমতা তার ছিল না, তাই তাঁর ভাগ্য ক্রমেই নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছিল।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। চলতি বছর সংক্রমণ এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমি নয়, বরং সারা বছর ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরীয়...
১২ আগস্ট ২০২৫
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে