Ajker Patrika

গ্রেপ্তারের পর হেগে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুতার্তেকে

অনলাইন ডেস্ক
ম্যানিলা থেকে একটি বিমান দুতার্তেকে নিয়ে হেগের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
ম্যানিলা থেকে একটি বিমান দুতার্তেকে নিয়ে হেগের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

গ্রেপ্তারের পর ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে নেদারল্যান্ডসের হেগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেই (আইসিসি) তাঁর বিচার হবে। তাঁকে বহনকারী একটি বিমান ম্যানিলা ছেড়ে গেছে। এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে আজ মঙ্গলবার ম্যানিলা বিমানবন্দরেই দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

বিবিসি জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকালে হংকং থেকে ম্যানিলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই ৭৯ বছর বয়সী দুতার্তেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র নিশ্চিত করেছেন, গ্রেপ্তারের পর দুতার্তেকে বহনকারী বিমানটি ফিলিপাইনের আকাশসীমা ত্যাগ করেছে এবং নেদারল্যান্ডসের হেগে যাচ্ছে। এই শহরেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত অবস্থিত।

এর আগে দুতার্তের কন্যা সারা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর বাবাকে জোর করে হেগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন দুতার্তে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে তাঁর নির্দেশে কঠোর মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালিত হয় এবং হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। বিচারবহির্ভূত এসব হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ ওঠে দুতার্তের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার গ্রেপ্তারের পর একটি ভিডিও বার্তায় দুতার্তে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমি কী অপরাধ করেছি? আমি আমার সময়ে দেশের শান্তি ও জনগণের শান্তিপূর্ণ জীবনের জন্য যা করা দরকার, তা করেছি।’ পরে আরেকটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘যদি আমি কোনো অপরাধ করে থাকি, তাহলে আমাকে ফিলিপাইনের আদালতে ফিলিপিনো বিচারকদের দ্বারা বিচার করুন। আমি আমার নিজ দেশে কারাবরণ করতে রাজি।’

দুতার্তের গ্রেপ্তারের পরপরই ফিলিপাইনের সুপ্রিম কোর্টে তাঁর পক্ষে একটি আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এতে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়। দাবি করা হয়, ফিলিপাইন ২০১৯ সালে আইসিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ফলে ওই আদালত দেশটির ওপর তার অধিকার হারিয়েছে।

তবে আইসিসি বলছে, দেশটি সদস্যপদ প্রত্যাহার করলেও ২০১৯ সালের আগের অপরাধের ক্ষেত্রে তাদের এখতিয়ার এখনো বজায় রয়েছে।

দুতার্তের সমর্থকেরা তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করেছে। তবে তাঁর গ্রেপ্তারকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন ফর হিউম্যান রাইটস ইন দ্য ফিলিপিন্স (আইসিএইচআরপি)। সংস্থাটির চেয়ারম্যান পিটার মারফি বলেছেন, ‘ন্যায়বিচারের দীর্ঘ পথ আজ ন্যায়ের দিকে বাঁক নিয়েছে। দুতার্তেকে গ্রেপ্তার তাঁর নিষ্ঠুর শাসনের সময় সংঘটিত গণহত্যার জন্য দায়বদ্ধতার সূচনা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চূড়ান্ত হচ্ছে সাত কলেজের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, শিগগির ঘোষণা

প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ধরা পড়া সেই নেতাকে বহিষ্কার করল ছাত্রশিবির

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিজির অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ফ্রিতে নৌকা না পেয়ে ভূমি অফিস সহকারীকে মারধর এসপির

এশিয়ার ১০টিসহ ৪৩ দেশের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত