
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ককে সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের নেতৃত্বে আনার ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প । সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিবেক রামাস্বামীর সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করবেন মাস্ক। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গঠন করবেন মাস্ক ও বিবেক। দীর্ঘদিন ধরেই এ দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন ইলন মাস্ক। এবার তিনি এক্সে কয়েক জন সরকারি চাকরিজীবীর নাম প্রকাশ করলেন যাদের তিনি ছাঁটাই করতে চান।
ট্রাম্প মাস্ক ও রামাস্বামীকে দায়িত্ব দেওয়ার পর অনেক সরকারি কর্মচারী বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁরা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। এই নাম প্রকাশ তাঁদের এ আশঙ্কার পালে হাওয়া লাগাল।
মাস্ক একটি এক্স অ্যাকাউন্টের পোস্ট রিপোস্ট করেন। সেখানে জলবায়ু সম্পর্কিত কিছু সরকারি পদে কর্মরত ব্যক্তিদের নাম ও পদবির বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছিল। মাস্কের রিপোস্টের পর পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁদের চাকরিকে ‘ভুয়া চাকরি’ আখ্যায়িত করা হয়। লাখো মানুষ পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। ওই তালিকায় থাকা এক নারী তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট মুছে দিতে বাধ্য হন।
মাস্ক যে অ্যাকাউন্টের পোস্ট রিপোস্ট করেছিলেন, তার নাম—ডেটাহ্যাজার্ড, হ্যান্ডেল ফেন্টাসিল। পরিচয় হিসেবে লেখা, অসংগঠিত থিংক ট্যাংক। যারা সরকারি দক্ষতা, নাগরিক অধিকার, ভুক্তভোগীর আইনি সহায়তার বিষয়ে কাজ করে থাকে।
ডেটাহ্যাজার্ডের ওই পোস্টে লেখা ছিল—‘আমি মনে করি না, ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশনে “ডিরেক্টর অব ক্লাইমেট ডাইভার্সিফিকেশন’ পদে একজন কর্মচারী নিয়োগের জন্য মার্কিন করদাতাদের অর্থ প্রদান করা উচিত।’ পোস্টের সঙ্গে ছবিতে একজন কর্মচারীর নাম, পদবি ও কর্মস্থল দেওয়া ছিল।’
গত বছর নিজেকে ‘সুপার প্রো ক্লাইমেট’ হিসেবে উল্লেখ করা মাস্ক ডেটাহ্যাজার্ডের পোস্টটি পুনরায় শেয়ার করে মন্তব্য করেন, ‘প্রচুর ভুয়া চাকরি।’ এই পোস্টটি তিন কোটি ৩০ লাখের বেশি ভিউ পায় এবং নেতিবাচক মন্তব্যের ঝড় ওঠে। কেউ কেউ একে জালিয়াতির চাকরি বলে আখ্যা দিয়েছে। অন্যরা মাস্কের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ থেকে এ ধরনের চাকরি বাদ দেওয়ার কথা বলেন।
ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) জানায়, তারা কোনো কর্মকর্তার পদ বা চাকরিজনিত এসব বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নয়। ডিএফসি নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিধ্বংসী প্রভাবের সম্মুখীন হওয়া অঞ্চলে জলবায়ু প্রশমন, স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজনের জন্য বিনিয়োগ সমর্থন করে।
মাস্ক একইভাবে মার্কিন শক্তি দপ্তরের লোন প্রোগ্রাম অফিসে কর্মরত প্রধান জলবায়ু কর্মকর্তাকে (চিফ ক্লাইমেট অফিসার) উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন। এই অফিস নতুন শক্তি প্রযুক্তিগুলোর জন্য প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সাহায্য করে। ২০১০ সালে টেসলা মোটরসকে ৪৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছিল, যার ফলে মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ির কোম্পানি টেসলা ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকেল) শিল্পের শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে যায়। এই অফিসে কর্মরত প্রধান জলবায়ু কর্মকর্তা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে মিলে ‘পরিবেশবান্ধব শক্তির প্রতিবন্ধকতাগুলো কমাতে ও সহায়তা করতে’ কাজ করে।
হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস (এইচএইচএস) বিভাগে পরিবেশ ন্যায্যতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকারী এক নারী মাস্কের রোষানলে পড়েছেন। বাইডেন প্রশাসনের আমলে ২০২২ সালে এইচএইচএস জনস্বাস্থ্য দূষণ ও অন্যান্য পরিবেশগত বিপদ থেকে রক্ষা করতে কাজ করে।
হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট (এইচইউডি) বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ পরামর্শকও মাস্কের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। এই পদে কর্মরত অ্যালেক্সিস পেলোসি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সাবেক স্পিকার ও প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট ন্যান্সি পেলোসির ভাই বা বোনের মেয়ে। ডেটাহ্যাজার্ডের এক্স পোস্টে বলা হয়, ক্লাইমেট অ্যাডভাইজর বা জলবায়ু পরামর্শক পদে কাজ করার জন্য তাঁকে ১ লাখ ৮১ হাজার ৬৪৮ ডলার বেতন দেওয়া উচিত নয়। মাস্ক সেই পোস্টটি শেয়ার করে লেখেন, ‘সম্ভবত তাঁর পরামর্শটি অসাধারণ।’ এরপর দুটি হাসির ইমোজি দেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা যায়, এ ধরনের কাজ মাস্ক এর আগেও করেছেন। মাস্কের চোখে যাঁরা ভুল বা পথের অন্তরায়, তাঁরা প্রায়ই তাঁর রোষানলে পড়েন। সাবেক এক সরকারি চাকরিজীবী মাস্কের রোষানলে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, আমার পরিস্থিতি অনেকটা এমনই ছিল।
জর্জ মেসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক মেরি কামিংস। এই আমেরিকান প্রকৌশলী যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলটদের মধ্যে একজন ছিলেন। ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এনএইচটিএসএ) জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত থাকাকালে টেসলার অটোপাইলট সিস্টেম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং সেটা যথাযথ নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছিলেন। এরপরই মাস্কের চক্ষুশূলে পরিণত হন তিনি। মেরির ওপর মাস্ক ও তাঁর অনুসারীদের ব্যক্তিগত আক্রমণের মাত্রা তীব্র হতে থাকে। তাঁকে মৃত্যুর হুমকি ও অন্যান্য ধরনের আক্রমণের শিকার হতে হয়।
কামিংস নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাকরি ও স্থান পরিবর্তনে বাধ্য হন। তিনি বলেন, ‘এটি মাস্কের একটি পদ্ধতি—মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য যাতে তাঁরা নিজ থেকেই চাকরি ছেড়ে দেয়। এর মাধ্যমে অন্যদের প্রতি বার্তা দেওয়া হয় ইউ আর নেক্সট অর্থাৎ তোমারও এই অবস্থা হতে পারে।’
তবে ডেটাহ্যাজার্ডের পোস্টে যাঁদের কথা বলা হয়েছে, তাঁরা সরাসরি জনগণের সঙ্গে কাজ করেন না। কিছু সরকারি চাকরিজীবী সিএনএনকে জানান, মাস্ক যেভাবে গোপনে আমলাদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য বানাচ্ছেন, তাঁরা আতঙ্কিত। তাঁদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হতে পারে। এমনকি তাঁদের ওপর সরাসরি হামলা হতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।
অনেক কর্মী বলেন, সঠিকভাবে যাচাই বাছাই না করে মাস্কের ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে প্রশাসনে যে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন মাস্ক, তার ফলে তাঁদের অনেকেরই চাকরি চলে যাবে। আমেরিকান ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের (এএফজিই) সভাপতি এভারেট কেলি বলেন, তথ্য প্রকাশের এই কৌশলগুলো সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হচ্ছে। এটি তাঁদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে, যেন মানুষ কথা বলতে ভয় পায়। ২৩ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর মধ্যে ৮ লাখেরও বেশি কর্মচারী এএফজির সদস্য।
কেলি আরও বলেন, মাস্ক নিজে সরকারি প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হয়েছেন। যেখানে ফেডারেল কন্ট্রাক্টর—যাঁরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে কাজ করেন, তাঁদের জন্য বছরে ৭৫ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হয়, যা সিভিলিয়ান ফেডারেল কর্মচারীদের জন্য খরচের তুলনায় অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক সরকারি চাকরিজীবীদের পেছনে ২০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হয়।
মাস্কের নজরে পড়া সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে সিএনএন। যাঁদের পাওয়া গেছে তাঁরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। ব্যবহারকারীদের নেতিবাচক মন্তব্যের প্রভাবে তাদের মধ্যকার এক নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এক্সের কাছে ইমেইল পাঠানো হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিও কোনো সাড়া দেয়নি।
এ বিষয়ে সাইবার হয়রানির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে সিএনএন। কিন্তু অনেকেই মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তাঁরা মাস্কের ‘লক্ষ্যবস্তু’ হতে চান না। একজন বলেন, যা ঘটেছে তা অবিশ্বাস্য এবং এটি ভীতিপ্রদ প্রভাব ফেলেছে। আরেকজন বলেন, তাঁরা মাস্কের পোস্টগুলো দেখে অবাক হননি। এগুলো ‘সাইবার হ্যারাসমেন্টের ক্ল্যাসিক প্যাটার্ন’।
সরকারি কর্ম বিভাগে মাস্কের সহকর্মী রামাস্বামী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি সিএনএনকে বলেন, ‘বেশির ভাগ সরকারি চাকরিজীবী ভালো মানুষ। তাঁদের সঙ্গে শ্রদ্ধা রেখে আচরণ করা উচিত, তবে আসল সমস্যা হলো আমলাতন্ত্র। আমাদের প্রতিপক্ষ কোনো বিশেষ ব্যক্তি নয়, আমাদের প্রতিপক্ষ হলো আমলাতন্ত্র।’
এদিকে এক ফলো-আপ পোস্টে ফেন্টাসিল অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘কাউকে কেবলমাত্র তাঁর উচ্চপদস্থ সরকারি পদে থাকার জন্য হয়রানি করা উচিত নয়—সেই পদের অস্তিত্ব থাকা উচিত না হলেও। তবে জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারা তো সাধারণ কর্মচারী নন। আমাদের জানার অধিকার আছে, কে আমাদের সরকার পরিচালনা করছে এবং তারা কী করছে।’
এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মাস্কের রোষানলে পড়া কামিংস বলেন, ‘কাউকে না কাউকে তো কথা বলতে হবে। এ বিষয়ে তিনি (মাস্ক) সফল হোন, তা চাইব না আমি।’
এর আগে গত অক্টোবরে এক সমাবেশে মাস্ক বলেছিলেন, তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত কমানো সম্ভব। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মীসংখ্যা হ্রাসের কথাও বলেন তিনি। অন্যদিকে, রামাস্বামী শিক্ষা বিভাগ, পরমাণু নিয়ন্ত্রণ কমিশন, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ ও এফবিআইয়ের মতো বিভাগ বন্ধ করার প্রস্তাব রেখেছিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ককে সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের নেতৃত্বে আনার ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প । সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বিবেক রামাস্বামীর সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করবেন মাস্ক। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানো এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থা পুনর্গঠন করবেন মাস্ক ও বিবেক। দীর্ঘদিন ধরেই এ দায়িত্ব পালনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন ইলন মাস্ক। এবার তিনি এক্সে কয়েক জন সরকারি চাকরিজীবীর নাম প্রকাশ করলেন যাদের তিনি ছাঁটাই করতে চান।
ট্রাম্প মাস্ক ও রামাস্বামীকে দায়িত্ব দেওয়ার পর অনেক সরকারি কর্মচারী বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁরা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। এই নাম প্রকাশ তাঁদের এ আশঙ্কার পালে হাওয়া লাগাল।
মাস্ক একটি এক্স অ্যাকাউন্টের পোস্ট রিপোস্ট করেন। সেখানে জলবায়ু সম্পর্কিত কিছু সরকারি পদে কর্মরত ব্যক্তিদের নাম ও পদবির বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছিল। মাস্কের রিপোস্টের পর পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁদের চাকরিকে ‘ভুয়া চাকরি’ আখ্যায়িত করা হয়। লাখো মানুষ পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। ওই তালিকায় থাকা এক নারী তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট মুছে দিতে বাধ্য হন।
মাস্ক যে অ্যাকাউন্টের পোস্ট রিপোস্ট করেছিলেন, তার নাম—ডেটাহ্যাজার্ড, হ্যান্ডেল ফেন্টাসিল। পরিচয় হিসেবে লেখা, অসংগঠিত থিংক ট্যাংক। যারা সরকারি দক্ষতা, নাগরিক অধিকার, ভুক্তভোগীর আইনি সহায়তার বিষয়ে কাজ করে থাকে।
ডেটাহ্যাজার্ডের ওই পোস্টে লেখা ছিল—‘আমি মনে করি না, ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশনে “ডিরেক্টর অব ক্লাইমেট ডাইভার্সিফিকেশন’ পদে একজন কর্মচারী নিয়োগের জন্য মার্কিন করদাতাদের অর্থ প্রদান করা উচিত।’ পোস্টের সঙ্গে ছবিতে একজন কর্মচারীর নাম, পদবি ও কর্মস্থল দেওয়া ছিল।’
গত বছর নিজেকে ‘সুপার প্রো ক্লাইমেট’ হিসেবে উল্লেখ করা মাস্ক ডেটাহ্যাজার্ডের পোস্টটি পুনরায় শেয়ার করে মন্তব্য করেন, ‘প্রচুর ভুয়া চাকরি।’ এই পোস্টটি তিন কোটি ৩০ লাখের বেশি ভিউ পায় এবং নেতিবাচক মন্তব্যের ঝড় ওঠে। কেউ কেউ একে জালিয়াতির চাকরি বলে আখ্যা দিয়েছে। অন্যরা মাস্কের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ থেকে এ ধরনের চাকরি বাদ দেওয়ার কথা বলেন।
ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) জানায়, তারা কোনো কর্মকর্তার পদ বা চাকরিজনিত এসব বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে ইচ্ছুক নয়। ডিএফসি নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বিধ্বংসী প্রভাবের সম্মুখীন হওয়া অঞ্চলে জলবায়ু প্রশমন, স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজনের জন্য বিনিয়োগ সমর্থন করে।
মাস্ক একইভাবে মার্কিন শক্তি দপ্তরের লোন প্রোগ্রাম অফিসে কর্মরত প্রধান জলবায়ু কর্মকর্তাকে (চিফ ক্লাইমেট অফিসার) উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন। এই অফিস নতুন শক্তি প্রযুক্তিগুলোর জন্য প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সাহায্য করে। ২০১০ সালে টেসলা মোটরসকে ৪৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছিল, যার ফলে মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ির কোম্পানি টেসলা ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকেল) শিল্পের শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে যায়। এই অফিসে কর্মরত প্রধান জলবায়ু কর্মকর্তা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে মিলে ‘পরিবেশবান্ধব শক্তির প্রতিবন্ধকতাগুলো কমাতে ও সহায়তা করতে’ কাজ করে।
হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস (এইচএইচএস) বিভাগে পরিবেশ ন্যায্যতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকারী এক নারী মাস্কের রোষানলে পড়েছেন। বাইডেন প্রশাসনের আমলে ২০২২ সালে এইচএইচএস জনস্বাস্থ্য দূষণ ও অন্যান্য পরিবেশগত বিপদ থেকে রক্ষা করতে কাজ করে।
হাউজিং অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট (এইচইউডি) বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ পরামর্শকও মাস্কের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন। এই পদে কর্মরত অ্যালেক্সিস পেলোসি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সাবেক স্পিকার ও প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট ন্যান্সি পেলোসির ভাই বা বোনের মেয়ে। ডেটাহ্যাজার্ডের এক্স পোস্টে বলা হয়, ক্লাইমেট অ্যাডভাইজর বা জলবায়ু পরামর্শক পদে কাজ করার জন্য তাঁকে ১ লাখ ৮১ হাজার ৬৪৮ ডলার বেতন দেওয়া উচিত নয়। মাস্ক সেই পোস্টটি শেয়ার করে লেখেন, ‘সম্ভবত তাঁর পরামর্শটি অসাধারণ।’ এরপর দুটি হাসির ইমোজি দেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা যায়, এ ধরনের কাজ মাস্ক এর আগেও করেছেন। মাস্কের চোখে যাঁরা ভুল বা পথের অন্তরায়, তাঁরা প্রায়ই তাঁর রোষানলে পড়েন। সাবেক এক সরকারি চাকরিজীবী মাস্কের রোষানলে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, আমার পরিস্থিতি অনেকটা এমনই ছিল।
জর্জ মেসন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক মেরি কামিংস। এই আমেরিকান প্রকৌশলী যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলটদের মধ্যে একজন ছিলেন। ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এনএইচটিএসএ) জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত থাকাকালে টেসলার অটোপাইলট সিস্টেম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং সেটা যথাযথ নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছিলেন। এরপরই মাস্কের চক্ষুশূলে পরিণত হন তিনি। মেরির ওপর মাস্ক ও তাঁর অনুসারীদের ব্যক্তিগত আক্রমণের মাত্রা তীব্র হতে থাকে। তাঁকে মৃত্যুর হুমকি ও অন্যান্য ধরনের আক্রমণের শিকার হতে হয়।
কামিংস নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাকরি ও স্থান পরিবর্তনে বাধ্য হন। তিনি বলেন, ‘এটি মাস্কের একটি পদ্ধতি—মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য যাতে তাঁরা নিজ থেকেই চাকরি ছেড়ে দেয়। এর মাধ্যমে অন্যদের প্রতি বার্তা দেওয়া হয় ইউ আর নেক্সট অর্থাৎ তোমারও এই অবস্থা হতে পারে।’
তবে ডেটাহ্যাজার্ডের পোস্টে যাঁদের কথা বলা হয়েছে, তাঁরা সরাসরি জনগণের সঙ্গে কাজ করেন না। কিছু সরকারি চাকরিজীবী সিএনএনকে জানান, মাস্ক যেভাবে গোপনে আমলাদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য বানাচ্ছেন, তাঁরা আতঙ্কিত। তাঁদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হতে পারে। এমনকি তাঁদের ওপর সরাসরি হামলা হতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।
অনেক কর্মী বলেন, সঠিকভাবে যাচাই বাছাই না করে মাস্কের ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে প্রশাসনে যে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন মাস্ক, তার ফলে তাঁদের অনেকেরই চাকরি চলে যাবে। আমেরিকান ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের (এএফজিই) সভাপতি এভারেট কেলি বলেন, তথ্য প্রকাশের এই কৌশলগুলো সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হচ্ছে। এটি তাঁদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে, যেন মানুষ কথা বলতে ভয় পায়। ২৩ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর মধ্যে ৮ লাখেরও বেশি কর্মচারী এএফজির সদস্য।
কেলি আরও বলেন, মাস্ক নিজে সরকারি প্রোগ্রাম থেকে উপকৃত হয়েছেন। যেখানে ফেডারেল কন্ট্রাক্টর—যাঁরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে কাজ করেন, তাঁদের জন্য বছরে ৭৫ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হয়, যা সিভিলিয়ান ফেডারেল কর্মচারীদের জন্য খরচের তুলনায় অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক সরকারি চাকরিজীবীদের পেছনে ২০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হয়।
মাস্কের নজরে পড়া সরকারি চাকরিজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে সিএনএন। যাঁদের পাওয়া গেছে তাঁরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। ব্যবহারকারীদের নেতিবাচক মন্তব্যের প্রভাবে তাদের মধ্যকার এক নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এক্সের কাছে ইমেইল পাঠানো হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিও কোনো সাড়া দেয়নি।
এ বিষয়ে সাইবার হয়রানির বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে সিএনএন। কিন্তু অনেকেই মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তাঁরা মাস্কের ‘লক্ষ্যবস্তু’ হতে চান না। একজন বলেন, যা ঘটেছে তা অবিশ্বাস্য এবং এটি ভীতিপ্রদ প্রভাব ফেলেছে। আরেকজন বলেন, তাঁরা মাস্কের পোস্টগুলো দেখে অবাক হননি। এগুলো ‘সাইবার হ্যারাসমেন্টের ক্ল্যাসিক প্যাটার্ন’।
সরকারি কর্ম বিভাগে মাস্কের সহকর্মী রামাস্বামী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি সিএনএনকে বলেন, ‘বেশির ভাগ সরকারি চাকরিজীবী ভালো মানুষ। তাঁদের সঙ্গে শ্রদ্ধা রেখে আচরণ করা উচিত, তবে আসল সমস্যা হলো আমলাতন্ত্র। আমাদের প্রতিপক্ষ কোনো বিশেষ ব্যক্তি নয়, আমাদের প্রতিপক্ষ হলো আমলাতন্ত্র।’
এদিকে এক ফলো-আপ পোস্টে ফেন্টাসিল অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, ‘কাউকে কেবলমাত্র তাঁর উচ্চপদস্থ সরকারি পদে থাকার জন্য হয়রানি করা উচিত নয়—সেই পদের অস্তিত্ব থাকা উচিত না হলেও। তবে জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারা তো সাধারণ কর্মচারী নন। আমাদের জানার অধিকার আছে, কে আমাদের সরকার পরিচালনা করছে এবং তারা কী করছে।’
এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মাস্কের রোষানলে পড়া কামিংস বলেন, ‘কাউকে না কাউকে তো কথা বলতে হবে। এ বিষয়ে তিনি (মাস্ক) সফল হোন, তা চাইব না আমি।’
এর আগে গত অক্টোবরে এক সমাবেশে মাস্ক বলেছিলেন, তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত কমানো সম্ভব। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মীসংখ্যা হ্রাসের কথাও বলেন তিনি। অন্যদিকে, রামাস্বামী শিক্ষা বিভাগ, পরমাণু নিয়ন্ত্রণ কমিশন, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ ও এফবিআইয়ের মতো বিভাগ বন্ধ করার প্রস্তাব রেখেছিলেন।

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত দুইজন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
১০ মিনিট আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১২ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত দুইজন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, গত ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারি তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়, যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয়, সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত দুইজন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, গত ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারি তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়, যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয়, সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

মাস্ক ও রামাস্বামীকে দায়িত্ব দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁরা প্রশাসনে বড় ধরনের সরকারি কাটছাঁটের সুপারিশ করবেন। সে সময় অনেক সরকারি কর্মচারী বুঝতে পারেন যে তারা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। এখন এক্স-এ কয়েকজনের নাম প্রকাশ হতে দেখে তাঁদের মনে ভয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ও তাঁর ব্যক্তিগত লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারেন ত
২৮ নভেম্বর ২০২৪
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১২ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

মাস্ক ও রামাস্বামীকে দায়িত্ব দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁরা প্রশাসনে বড় ধরনের সরকারি কাটছাঁটের সুপারিশ করবেন। সে সময় অনেক সরকারি কর্মচারী বুঝতে পারেন যে তারা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। এখন এক্স-এ কয়েকজনের নাম প্রকাশ হতে দেখে তাঁদের মনে ভয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ও তাঁর ব্যক্তিগত লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারেন ত
২৮ নভেম্বর ২০২৪
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত দুইজন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
১০ মিনিট আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঠিক আগে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতভর চালানো এই হামলায় প্রায় ৫০০ ড্রোন ও ৪০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি এই হামলাকে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় চলমান শান্তি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর এটিই তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নজিরবিহীন।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ইউক্রেনারগো জানায়, দেশজুড়ে জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। ফলে রাজধানী কিয়েভে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
এই হামলার প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডেও পড়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রেশজো ও লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিমানবন্দর দুটি আবার চালু করা হয়।
ট্রাম্প-জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে কী আছে
জেলেনস্কি বর্তমানে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টের উদ্দেশে বিমানে রয়েছেন। এক অডিও বার্তায় তিনি জানান, পথে কানাডায় থামবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপ করবেন।
এর আগে শুক্রবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি হওয়া ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনার ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ও ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা হবে।’
জেলেনস্কির মতে, যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে, সেটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কী দিতে প্রস্তুত, কখন দিতে প্রস্তুত এবং কত দিনের জন্য।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বলেছেন, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রই। পলিটিকোকে তিনি বলেন, ‘আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর (জেলেনস্কির) কিছুই চূড়ান্ত নয়। দেখা যাক, সে কী নিয়ে আসে।’ তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, রোববারের বৈঠক ভালো হবে। তিনি আরও জানান, খুব শিগগির তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে চান।
দোনেৎস্কের ভবিষ্যৎই এখন মূল প্রশ্ন
মস্কো দাবি করছে, ইউক্রেনকে দোনেৎস্কের একটি বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এই অঞ্চল রুশ বাহিনী প্রায় চার বছরের যুদ্ধেও পুরোপুরি দখল করতে পারেনি। অন্যদিকে কিয়েভ চায়, বর্তমান ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ থামানো হোক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত এক সমঝোতার আওতায়, ইউক্রেনীয় বাহিনী দোনেৎস্কের কিছু এলাকা থেকে সরে গেলে সেখানে একটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
জেলেনস্কি ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদি চুক্তিতে বড় ধরনের আঞ্চলিক ছাড় দেওয়ার প্রশ্ন আসে, তবে তিনি তা গণভোটের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তবে যুদ্ধের এমন পরিস্থিতিতে গণভোট আয়োজন অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, কিয়েভের ২০ দফা পরিকল্পনা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার চেয়ে কিছুটা ভিন্ন, তবে শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় আসার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। এখন সবার নজর রোববার ফ্লোরিডায় হতে যাওয়া ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের দিকে।

মাস্ক ও রামাস্বামীকে দায়িত্ব দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁরা প্রশাসনে বড় ধরনের সরকারি কাটছাঁটের সুপারিশ করবেন। সে সময় অনেক সরকারি কর্মচারী বুঝতে পারেন যে তারা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। এখন এক্স-এ কয়েকজনের নাম প্রকাশ হতে দেখে তাঁদের মনে ভয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ও তাঁর ব্যক্তিগত লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারেন ত
২৮ নভেম্বর ২০২৪
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত দুইজন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
১০ মিনিট আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১২ ঘণ্টা আগে
মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় একটি যাত্রীবাহী বাস গভীর খাদে পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় ইন্টার-আমেরিকান হাইওয়েতে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও অন্তত ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র লিয়ান্দ্রো আমাদোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ৩ জন নারী এবং ১টি শিশু রয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসটি গুয়াতেমালা সিটি থেকে মেক্সিকো সীমান্তবর্তী সান মার্কোস বিভাগের দিকে যাচ্ছিল। পথে টোটোনিকাপান বিভাগের ১৭২ থেকে ১৭৪ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭৫ মিটার (২৫০ ফুট) গভীর একটি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলটি ‘আলাস্কা পিক’ নামে পরিচিত। দুর্গম ভূখণ্ড এবং খাড়া ঢালের কারণে এলাকাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, কুয়াশা বা যান্ত্রিক ত্রুটি এ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, তবে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি।
দেশটির ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার কিছু ছবি শেয়ার করেছে। এতে দেখা যায়, দুমড়েমুচড়ে যাওয়া বাসটি থেকে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
আহত ১৯ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কাছের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রিয়জনদের খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালগুলোতে ভিড় করছেন স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের শুরুতেই গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি বাস খাদে পড়ে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও একই ধরনের বড় দুর্ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মাস্ক ও রামাস্বামীকে দায়িত্ব দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁরা প্রশাসনে বড় ধরনের সরকারি কাটছাঁটের সুপারিশ করবেন। সে সময় অনেক সরকারি কর্মচারী বুঝতে পারেন যে তারা চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। এখন এক্স-এ কয়েকজনের নাম প্রকাশ হতে দেখে তাঁদের মনে ভয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ও তাঁর ব্যক্তিগত লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারেন ত
২৮ নভেম্বর ২০২৪
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত দুইজন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
১০ মিনিট আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১২ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত হামলা অব্যাহত ছিল। রাজধানী কিয়েভে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা বিমান হামলার সতর্কতা স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে প্রত্যাহার করা হয়। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪৬ জন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে