Ajker Patrika

বাংলাদেশে পুশ ইনের পর যেভাবে ভারতে ফিরলেন খাইরুল

ডয়চে ভেলে  
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের আসাম রাজ্যে চলছে বিদেশি ধরপাকড় অভিযান। ২৩ মে রাজ্যের পুলিশ মরিগাঁও, বরপেটা, ধুবরি এলাকা থেকে ১৪ জন সন্দেহভাজন বাংলাদেশিকে আটক করে। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় গোয়ালপাড়ার মাটিয়ায় ভারতের সবচেয়ে বড় ডিটেনশন ক্যাম্প বা বিদেশি আটক শিবিরে। তিন দিন পর রাতের অন্ধকারে ১৪ জনকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশে। সেখানে আরও তিন দিন কাটিয়ে রাতের অন্ধকারে তাঁরা আসামে ফেরেন। ডয়চে ভেলের কাছে এমনটিই দাবি করেছেন সদ্য নিজের বাড়িতে ফেরা মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম।

আসামের মরিগাঁও জেলার এই সাবেক শিক্ষক বাড়ি ফেরার পর কিছু দিন কথা বলতে চাননি। অবশেষে ঘটনার কথা তিনি জানালেন ডয়চে ভেলেকে। খাইরুল বলেন, ‘মনে হচ্ছে পুনর্জন্ম পেয়েছি। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে গেছিলাম। একসময় মনে হয়েছিল আর তাদের দেখতে পাব না।’

২৩ মে মরিগাঁও জেলার একদল পুলিশ তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মিকিরভেটা থানায়। সেখানে তাঁর নথি নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর পুলিশের গাড়িতে বসিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। সেখানে কিছু কর্মকর্তা তাঁর নাগরিকত্ব, মামলা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করেন এবং রাতে পুলিশের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় গোয়ালপাড়া জেলায়।

খাইরুলের দাবি, বিকেল চারটে নাগাদ পুলিশের গাড়িতে বসিয়ে দেওয়া হয়। একজন কর্মকর্তা বলেন, আপাতত মাটিয়া ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে। হাত বেঁধে কড়া পাহারায় সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। খাইরুল আরেও বলেন, ‘ভোর চারটে নাগাদ সেখানে গিয়ে পৌঁছাই আমরা। আমার সঙ্গে মরিগাঁও জেলার আরও আটজন মানুষ ছিলেন। তাঁরা সবাই পুরুষ। যেখানে আমাদের রাখা হয়েছিল, আমার মতো আরও ৩১ জন ছিলেন। আমরা সবাই নাকি বিদেশি, পুলিশের মুখে এমনটাই শুনেছিলাম। আমি আগেও দুই বছর ডিটেনশন ক্যাম্পে থেকেছি, তবে সেটা অন্য জায়গায়।’

এনআরসির নামে বাঙালিবিদ্বেষ?

২৬ মে বিকেলে খাইরুলসহ ১৪ জনকে গাড়িতে উঠতে বলে পুলিশ এবং তখন খাইরুলের সন্দেহ হয়, তাঁদের সঙ্গে কিছু একটা ঘটতে চলেছে। খাইরুল ডয়চে ভেলেকে বলেন, তখন গাড়িতে উঠতে চাননি তিনি এবং এ কারণে তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার হাত বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। একেবারে পশুর মতো ব্যবহার করা হয়েছিল তখন। একসময় বুঝতে পেরেছিলাম, আর বাধা দিলে হয়তো মেরেই ফেলবে। তাই শেষমেশ হাল ছেড়ে দিই এবং তাদের কথামতোই গাড়িতে উঠি।’

তারপর গোয়ালপাড়ার মাটিয়া থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দূরে মানকাচর জেলার ঠাকুরানবাড়ি এলাকায় তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি খাইরুলের। ২৬ মে বিকেল চারটে নাগাদ তাঁদের নিয়ে রওনা দেয় পুলিশ। রাত ৯টা নাগাদ সেখানে গিয়ে পৌঁছান তাঁরা। সেখানে তাঁদের বসিয়ে রাখা হয় এবং রাত তিনটে নাগাদ বিএসএফের কিছু গাড়ি আসে। ১৪ জনকে একে একে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয় এবং ভোর চারটে নাগাদ সীমান্তের গেট খুলে তাঁদের ওপারে চলে যেতে বলে বিএসএফ।

খাইরুলের কথায়, ‘একটা ভয়ের পরিবেশ ছিল সেখানে। আমরা মাত্র ১৪ জন আর বিএসএফের বন্দুকধারী জওয়ান অনেক বেশি। সেখানে প্রতিবাদ করলে হয়তো প্রাণে বাঁচব না, এটা ভেবে চুপ থাকি। ওরা আমাদের যেভাবে সীমান্ত পেরিয়ে যেতে বলে, আমরা যেতে থাকি। অনেকটা ভেতর চলে যাওয়ার পর তারা গেট বন্ধ করে দেয়। তবে আমরা এক অজানার উদ্দেশ্যে হাঁটতে থাকি। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর ছুটে আসে বাংলাদেশের সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমে তারা আমাদের ওপর রেগে যায় এবং চিৎকার করে। আমরা তাদের কাছে হাতজোড় করি, তাদের জানাই আমরা জোর করে ঢুকে আসিনি। আমাদের এদিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) এক কর্মকর্তা এগিয়ে এসে তাঁদের কথা শোনেন এবং আপাতত তাঁদের আন্তর্জাতিক সীমান্তের জিরো লাইন বা নোম্যানস ল্যান্ডে অপেক্ষা করতে বলেন। সকালে আরও কিছু কর্মকর্তা আসেন এবং প্রত্যেকেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। খাইরুল জানান, বাংলাদেশের বরাইবারি এলাকার মানুষ তাঁদের বিস্কুটসহ অন্যান্য খাবার দিতে থাকেন। যে এলাকায় তাঁদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল, সেটা ধানখেতের মতো এবং সেখানে বৃষ্টির জমা জল ছিল। তাঁরা বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেখানেই বসে থাকেন।

দুপুরে বিজিবির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এসে তাঁদের জানান, তাঁরা বারবার বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং চিঠিও পাঠিয়েছেন, তবে বিএসএফ তাদের চিঠি গ্রহণ করছে না। খাইরুল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘বিজিবির ওই কর্মকর্তা আমাদের বলেন, আমরা বাংলায় প্রশ্ন করব, আপনারা অসমীয়ায় উত্তর দেবেন। হয়তো এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চাইছিলেন, আমরা আসামের মানুষ।’

ওই দিন সন্ধ্যায় প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বিজিবির একটি ছাউনিতে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। বিজিবি তাঁদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করে। ডাল, ভাত আর পনির তরকারি নিয়ে এসে এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, তাঁদের কাছে এটুকুই আছে। খাইরুল বলেন, ‘তাঁরা বারবার বলছিলেন, আমরা যেন কিছু মনে না করি, তাঁদের কাছে আপাতত এটুকুই খাবার আছে। এই সময়ও কেউ এমন কথা বলছে দেখে মনে কিছুটা শান্তি পাই আমরা।’

এরপর রাত ১টা নাগাদ বিজিবির কর্মকর্তারা ফের সেখানে যান এবং খাইরুলসহ সবাইকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়। গাড়িতে প্রায় তিন ঘণ্টা যাওয়ার পর জামালপুর নামের একটি জায়গায় পৌঁছান খাইরুলেরা। সেখানে একটি ঘরে আগে থেকে ১৪ জনের জন্য আলাদা আলাদা বিছানা সাজানো ছিল। পুরুষ ও নারীদের আলাদা দিকে রাখা হয়। তাঁদের খাবার দেওয়া হয় এবং ফের এক কর্মকর্তা তাঁদের ডেকে পাঠান। তাঁদের গোটা বিষয় শুনে সেই কর্মকর্তা চলে যান।

পুরোটা দিন ওই ক্যাম্পে থাকার পর সন্ধ্যায় আবার একটি গাড়িতে বসতে বলা হয়। খাইরুল বলেন, ‘বিজিবির ব্যবহার ভালো ছিল, তবে আমাদের মনে তো ভয় ছিলই। অবৈধ বিদেশি হিসেবে আরেকটা দেশে এসেছি, অন্তত জেল তো খাটতে হবে, এটা ধরেই নিয়েছিলাম। কিন্তু ওই দিন সন্ধ্যায় গাড়িতে বসিয়ে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, যেখান দিয়ে আমাদের দুদিন আগে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। গভীর রাতে বিজিবি আমাদের তুলে দেয় বিএসএফের হাতে। এরপর বিএসএফ আমাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ সবাইকে আলাদা আলাদা গাড়িতে বসিয়ে সেখান থেকে নিয়ে আসে। অন্যদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জানি না, আমাকে পাঠানো হয় মরিগাঁও জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। সেখানে কেউ বিশেষ কিছু বলেননি। শুধু কয়েক ঘণ্টা পর আমাকে বলা হয় বাড়ি চলে যেতে।’

খাইরুল সরাসরি বাড়ি ফেরেননি। তিন দিন ঘুরে বেড়িয়েছেন আত্মীয়দের বাড়ি। তাঁর দাবি, তখনো মনে ভয় ছিল, বাড়ি ফিরলেই হয়তো পুলিশ তুলে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘যখন আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, বারবার পুলিশকে জিজ্ঞেস করেছি আমার অপরাধ কী? তারা কেউ কিছু বলেনি। আমাকে প্রচণ্ড মারধর করার পর হাতজোড় করে বলেছিলাম, একটু মানবিকতা দেখাতে। তাঁদের মধ্যে একজন বলেছিলেন, আমি চুপ থাকলেই আমার মঙ্গল। তাই দেশে ফেরার পর প্রথমে চুপ ছিলাম। আমরা দুর্বল, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, আমার চাকরি গেছে, এবার এই যন্ত্রণা ভোগ করে ফিরেছি। শুধু দুই সন্তান আর স্ত্রীর জন্য এখনো বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা হারাইনি। না হলে এই অপমান সহ্য করা সহজ নয়।’

সুপ্রিম কোর্টে খাইরুলের মামলা চলছে। তাঁর আইনজীবী অভিজিৎ রায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘যেভাবে খাইরুলকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা বেআইনি। আমরা সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়টি উল্লেখ করব। খাইরুল যে ভারতীয়, তার একাধিক নথি আমাদের হাতে আছে।’ খাইরুল ও তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, ১৯৫৬ সালে মরিগাঁও জেলায় একটি চালকল চালু করেছিলেন খাইরুলের বাবা। তখন অবিভক্ত আসামের রাজধানী ছিল শিলং। শিলংয়ের এক সরকারি কার্যালয় তাঁর বাবার চালকল খোলার অনুমতি দিয়েছিল এবং তাঁদের কাছে সেই কাগজ আছে বলেও দাবি করেন খাইরুল ও তাঁর আইনজীবী। খাইরুল আরেও বলেন, তাঁর ঠাকুরদাদা একসময় বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। ১৯২৭ সালে একটি বন্দুক রাখার লাইসেন্স পেয়েছিলেন তিনি ভারত সরকারের কাছ থেকে। এ ছাড়া ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে নানা নথিও তাঁদের কাছে আছে। এইসব নথিই সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

আসামে দীর্ঘদিন ধরে এনআরসি ও নাগরিকত্ব নিয়ে আন্দোলন করছেন কমল চক্রবর্তী। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, যেভাবে নতুন করে ধরপাকড় শুরু হয়েছে, তা আইনসম্মত নয়। আর রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পার করিয়ে দেওয়া কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা অবশ্য বলেছেন, ‘বিদেশি তাড়ানোর বিষয়ে ১৯৫০ সালের একটি আইন এখনো বাতিল হয়নি। এবার থেকে ওই আইনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন বাংলাদেশিদের সীমান্তের ওপারে ঠেলে দেওয়া হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ১৯৫০ সালের ওই আইনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন বিদেশিদের সীমান্তের বাইরে পাঠানোর নির্দেশ জারি করার অধিকার জেলা শাসকের আছে। তাই এবার থেকে সে রকম কেউ ধরা পড়লে আর ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে না। আসাম বিধানসভায় গত সোমবার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহি ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: টাইমস অব ইসরায়েল
সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহি ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: টাইমস অব ইসরায়েল

সোমালিল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে একটি নতুন নজির স্থাপন করেছে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের এই বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখণ্ডটি ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পেল।

শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও সোমালিল্যান্ড একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। নেতানিয়াহু একে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গড়ে ওঠা ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’-এর চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পরস্পরের দেশে দূতাবাস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শুক্রবার রাতে (২৬ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে আল-জাজিরা জানিয়েছে, ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও সোমালিল্যান্ড এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।

সোমালিয়া সরকার বরাবরই সোমালিল্যান্ডের স্বাধীনতাকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইসরায়েলের ঘোষণার পর সোমালিয়ার সরকার একটি জরুরি বৈঠক ডাকে। এই বৈঠক থেকে ফোনালাপে মিসর, তুরস্ক ও জিবুতির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দেশটির ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলের এমন স্বীকৃতিকে জাতিসংঘ সনদের পরিপন্থী এবং ‘বিপজ্জনক নজির’ বলে আখ্যা দিয়েছে মিসর।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, ভিডিও কলে সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহিকে (আব্দিরাহমান সিরো) অভিনন্দন জানান নেতানিয়াহু এবং তাঁকে ইসরায়েল সফরের আমন্ত্রণ জানান। সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ উল্লেখ করে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার পর এই স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডের জন্য বড় সাফল্য হলেও এটি সোমালিয়ার ভেতরে নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতাকে উসকে দিতে পারে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান দলের কিছু প্রভাবশালী নেতা বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাজিব রাজাকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড, জটিল সমীকরণে মালয়েশিয়ার সরকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন; যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। ছবি: এএফপি
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন; যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। ছবি: এএফপি

মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টের বিচারক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত (প্রায় ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।

৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি ও অর্থ পাচারের ২১টিসহ মোট ২৫টি অভিযোগের সব কটিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার।

পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক সেকুয়েরাহ নাজিবের আত্মপক্ষ সমর্থনের সব যুক্তি নাকচ করে দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছিলেন, ওয়ানএমডিবির কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কিন্তু বিচারক তাঁর এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটি বিশ্বাস করা মানে কল্পনাকে রূপকথার রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। ব্রিটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে নাজিব মোটেও কোনো ‘অবুঝ গ্রাম্য লোক’ নন, তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান।

বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, নাজিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো কোনো ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বিষয় নয়, বরং ‘কঠিন ও অকাট্য’ দালিলিক প্রমাণ বলছে তিনি নিজের ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করেছেন।

আদালত নাজিবকে ১১ দশমিক ৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাঁকে অতিরিক্ত আরও ১০ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।

আদালত ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য প্রতিটি অভিযোগে ১৫ বছর এবং অর্থ পাচারের জন্য পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে সব সাজার মেয়াদ একই সঙ্গে কার্যকর হবে, ফলে তাঁকে মোট ১৫ বছর জেল খাটতে হবে।

এদিকে নাজিব বর্তমানে অন্য একটি মামলায় জেল খাটছেন যার মেয়াদ ২০২৮ সালে শেষ হবে। নতুন এই সাজা সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কার্যকর হবে।

তবে এই রায়ের ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে অস্থিরতা বাড়তে পারে। কারণ, নাজিবের দল ইউএমএনও বর্তমান সরকারের একটি বড় অংশীদার। ফলে দুর্নীতিবিরোধী ভাবমূর্তি নিয়ে ক্ষমতায় আসা আনোয়ার ইব্রাহিমের জন্য এটি একটি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

২০২২ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো দল বা জোটই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে না পারায়, শেষমেশ আনোয়ার ইব্রাহিমের দল পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট সরকার গঠন করে। এর মধ্যে পিএইচর ৮২টি, ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (ইউএমএনও) ২৬টি ও বারিসান ন্যাসিওনালের (বিএন) চারটি আসন নিয়ে এই জোট সরকার গঠিত হয়।

জেলখানায় থাকলেও দলের ওপর নাজিবের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই রায়ের পর দলের ভেতর থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমের ওপর চাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি কোনো কারণে ইউএমএনও বর্তমান জোট সরকার থেকে সরে যায়, তবে বিপাকে পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহিম।

নাজিবের প্রধান আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আগামী সোমবার আপিল করবেন।

রায়ের পর এক বিবৃতিতে নাজিব রাজাক দেশবাসীকে শান্ত ও ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই লড়াই দায়িত্ব এড়ানোর জন্য নয়, বরং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।’ তবে এই দণ্ডাদেশের ফলে নাজিবের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ বা ওয়ানএমডিবি হলো মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন একটি কৌশলগত উন্নয়ন সংস্থা। মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকসহ সংশ্লিষ্টরা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।

২০১৫ সালে ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির ঘটনাটি প্রথম সামনে আসে, যা ২০১৮ সালের নির্বাচনে নাজিব রাজাকের দলের দীর্ঘ ছয় দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। এর আগে ২০২০ সালে অন্য একটি মামলায় নাজিবকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা পরে কমিয়ে ছয় বছর করা হয়। সাত বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে ফের উদ্বেগ জানাল ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: এএনআই
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: এএনআই

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ময়মনসিংহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ফের তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে এক হিন্দু যুবককে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, এই জঘন্য অপরাধের হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’

রণধীর জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমাগত সহিংসতা ও বৈরী আচরণকে ভারত সরকার একটি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দেখছে। ভারত নিয়মিত এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণও করছে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে দিল্লির অবস্থান পুনরায় পরিষ্কার করে মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই এবং আমরা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পক্ষে।’

ভারত বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নামাজরত ফিলিস্তিনির ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলেন ইসরায়েলি সেনা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ইসরায়েল অধিকৃত গাজার পশ্চিম তীরে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তির ওপর বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) এক সেনা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এই রোমহর্ষক ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

আইডিএফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযুক্ত সেনাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বলে জানা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পিঠে রাইফেল ঝোলানো এক ব্যক্তি সিভিল পোশাকে একটি এটিভি চালিয়ে এসে নামাজরত ফিলিস্তিনি ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ওই সেনাসদস্য চিৎকার করে তাঁকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার ওই ফিলিস্তিনিকে ঘটনার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি বাড়িতে থাকলেও তাঁর দুই পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা মাজিদি আবু মোখো। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভিডিওতে দেখা না গেলেও ওই সেনা তাঁর ছেলের চোখে ‘পিপার স্প্রে’ বা মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়েছিলেন।

মাজিদি আবু মোখো ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, আক্রমণকারী ব্যক্তি ওই এলাকার একজন কট্টরপন্থী ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী। তিনি গ্রামের কাছে একটি অবৈধ চৌকি স্থাপন করেছেন। অন্য বসতি স্থাপনকারীদের নিয়ে তিনি এখানে গবাদিপশু চরাতে আসেন, রাস্তা অবরোধ করেন এবং গ্রামবাসীদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেন।

আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন রিজার্ভ সেনা ছিলেন। ঘটনার পরপরই তাঁকে সামরিক দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁর কাছে থাকা সরকারি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সেনাকে গতকাল রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় এবং বর্তমানে তিনি পাঁচ দিনের জন্য গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। এর আগে ওই ব্যক্তি গ্রামে গুলিবর্ষণ করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালটি গাজার পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের (বসতি স্থাপনকারী) হামলার ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টিকারী ‘সহিংস বছর’।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫১ জন অপহৃত হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধে গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত