
১৯৮৮ সালের জানুয়ারিতে তাইওয়ানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ পরমাণু প্রকৌশলী কর্নেল চ্যাং শিয়েন-ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেন চ্যাং। তাঁর সরবরাহ করা মূল্যবান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাইওয়ানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তাইপের পারমাণবিক উচ্চাভিলাষের অবসান ঘটে।
তাইওয়ান ১৯৬০–এর দশকে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি শুরু করে। মূলত চীন ১৯৬৪ সালে দেশটির প্রথম পারমাণবিক বোমার সফল পরীক্ষা চালানোর পর তাইওয়ান এই কর্মসূচি চালু করে। পারমাণবিক শক্তিধর চীনের হুমকি মোকাবিলায় তাইওয়ানের নেতা চিয়াং কাই-শেক এক গোপন প্রকল্প চালু করেন। যার উদ্দেশ্য ছিল দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করা। যদিও তাইওয়ান প্রকাশ্যে দাবি করে যে, তাদের পারমাণবিক গবেষণা বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তবে প্রকৃতপক্ষে এই কর্মসূচি গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছিল।
চ্যাং ১৯৬৭ সালে তাইওয়ানের সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হিসেবে এই প্রকল্পে যোগ দেন। পরে উচ্চতর পরমাণু প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয় তাঁকে। তিনি টেনেসির ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে পড়াশোনা করেন এবং ইউনিভার্সিটি অব টেনেসি থেকে পরমাণু প্রকৌশলে পিএইচডি অর্জন করেন। ১৯৭৭ সালে তাইওয়ানে ফিরে এসে তিনি ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি রিসার্চে (আইএনইআর) কাজ শুরু করেন। এখানে তাঁর মূল কাজ ছিল, কম্পিউটার কোড তৈরি করা, যা পারমাণবিক বিস্ফোরণের সিমুলেশনের জন্য ব্যবহৃত হতো। মূলত, এটি ছিল গোপনে তাইওয়ানের পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তারের ঘোর বিরোধিতা করেছে সে সময়। তাইওয়ান প্রকল্প গোপন রাখার চেষ্টা করলেও, মার্কিন কর্মকর্তারা সন্দেহ করছিলেন যে, এর প্রকৃত উদ্দেশ্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা। তবে তাঁরা নিশ্চিত প্রমাণ পাচ্ছিলেন না। আর সেটিই নিশ্চিত করেন চ্যাং শিয়েন-ই।
চ্যাং প্রথমবার সিআইএর সংস্পর্শে আসেন ১৯৬৯ বা ১৯৭০ সালে। সে সময় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তাঁকে পরমাণু শক্তি শিল্প সম্পর্কে আলোচনার জন্য মধ্যাহ্নভোজের প্রস্তাব দেন। তিনি তখন এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তবে চ্যাং তখনো বুঝতে পারেননি যে, ওই ব্যক্তি সিআইএর এজেন্ট।
এরপর, চ্যাং ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। সে সময়, তাঁর কাছে আবারও সিআইএ—এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। এবার তিনি আলোচনায় রাজি হন। চ্যাংকে নিশ্চিত করতে হয়েছিল যে, তিনি ডবল এজেন্ট নন এবং ১৯৮৪ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইএর গুপ্তচর হয়ে যান। এরপর টানা চার বছর তিনি নিয়মিত তাইপের বিভিন্ন গোপন আস্তানায় সিআইএর কর্মকর্তা ‘মার্কের’ সঙ্গে দেখা করতেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তুলতেন, গোপন তথ্য সরবরাহ করতেন এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে সুনিশ্চিত তথ্য দিতেন।
১৯৮৬ সালে ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয় ও ইসরায়েলি পারমাণবিক কর্মসূচি ফাঁস করা মর্দেকাই ভানুনুর ঘটনার পর চ্যাং বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, তাইওয়ানের পারমাণবিক উচ্চাভিলাষ অত্যন্ত বিপজ্জনক। তিনি সিআইএর মাধ্যমে কর্মসূচিটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ১৯৮৮ সালের জানুয়ারিতে সিআইএ চ্যাং ও তাঁর পরিবারকে গোপনে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যায়। তাঁর পলায়ন ও সরবরাহ করা প্রমাণের ভিত্তিতে ওয়াশিংটন নিশ্চিত হয় যে, তাইওয়ান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। এরপর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান প্রশাসন তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লি তেং-হুইকে কর্মসূচি পরিত্যাগের জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
চ্যাংয়ের পালিয়ে যাওয়ার পরপরই, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলার জন্য বিশেষজ্ঞ দল পাঠায়। একটি প্লুটোনিয়াম নিষ্কাশন কেন্দ্র ধ্বংস করা হয় এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহারের উপযোগী ভারী পানি (ডিউটেরিয়াম) ও তেজস্ক্রিয় জ্বালানি আমেরিকার তত্ত্বাবধানে অপসারণ করা হয়। ফলে কার্যত তাইওয়ানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়।
এই ঘটনার পর তাইওয়ানে চ্যাংকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ ঘোষণা করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়, যা ২০০০ সালে তামাদি হয়ে যায়। তবে তিনি আর কখনো নিজ দেশে ফেরেননি, কারণ তিনি জানতেন না তাঁকে কীভাবে গ্রহণ করা হবে।
চ্যাংয়ের এই কর্মকাণ্ড ঘিরে বিতর্ক আছে। কেউ কেউ মনে করেন, যদি তাইওয়ান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করত, তাহলে তা চীনের সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারত। কারণ, পারমাণবিক অস্ত্রযুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রত্যক্ষ যুদ্ধের ঘটনা বিরল। কৌশলগত গবেষক আলেকজান্ডার হুয়াং মনে করেন, তাইওয়ান পারমাণবিক অস্ত্র হারিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সুবিধা হারিয়েছে।
অন্যদিকে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সু সু-ইয়ুনের মতে, পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োজন নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত নির্ভুল নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র একই ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
এ ছাড়া, তাইওয়ান বিকল্প কৌশলগত সুবিধা তৈরি করেছে—সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি) বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত চিপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। এটি একটি ‘সিলিকনের ঢাল’ তৈরি করেছে। যার ফলে, চীনের তাইওয়ানের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে এবং সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসন প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে।
পারমাণবিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ডেভিড অলব্রাইট মনে করেন, যদি তাইওয়ান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করত, তাহলে তা চীনের আক্রমণের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তুলত। পাশাপাশি, পারমাণবিক বিস্তারের বিরোধী যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দিত।
বর্তমানে ৮০–এর কোঠায় পা রাখা চ্যাং শিয়েন-ই যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহোতে বসবাস করছেন এবং এখনো তাঁর সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থাশীল। তিনি বিশ্বাস করেন, তিনি তাইওয়ানের সেরা স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করেছেন এবং চীনের সঙ্গে একটি বিপজ্জনক পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে সাহায্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত এটি তাইওয়ানের জনগণের জন্য ভালো হয়েছে। অন্তত আমরা মূল ভূখণ্ডের চীনকে এমনভাবে উসকে দিইনি, যাতে তারা আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে।’
যদিও কেউ কেউ এখনো তাঁকে বিশ্বাসঘাতক মনে করেন, তবে চ্যাং আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘আমি বিবেকের কাছে সাড়া দিয়েই কাজ করেছি। এখানে কোনো বিশ্বাসঘাতকতা নেই—অন্তত আমার নিজের কাছে তো নয়।’
আরও খবর পড়ুন:

১৯৮৮ সালের জানুয়ারিতে তাইওয়ানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ পরমাণু প্রকৌশলী কর্নেল চ্যাং শিয়েন-ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেন চ্যাং। তাঁর সরবরাহ করা মূল্যবান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাইওয়ানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তাইপের পারমাণবিক উচ্চাভিলাষের অবসান ঘটে।
তাইওয়ান ১৯৬০–এর দশকে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি শুরু করে। মূলত চীন ১৯৬৪ সালে দেশটির প্রথম পারমাণবিক বোমার সফল পরীক্ষা চালানোর পর তাইওয়ান এই কর্মসূচি চালু করে। পারমাণবিক শক্তিধর চীনের হুমকি মোকাবিলায় তাইওয়ানের নেতা চিয়াং কাই-শেক এক গোপন প্রকল্প চালু করেন। যার উদ্দেশ্য ছিল দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করা। যদিও তাইওয়ান প্রকাশ্যে দাবি করে যে, তাদের পারমাণবিক গবেষণা বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তবে প্রকৃতপক্ষে এই কর্মসূচি গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছিল।
চ্যাং ১৯৬৭ সালে তাইওয়ানের সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হিসেবে এই প্রকল্পে যোগ দেন। পরে উচ্চতর পরমাণু প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয় তাঁকে। তিনি টেনেসির ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে পড়াশোনা করেন এবং ইউনিভার্সিটি অব টেনেসি থেকে পরমাণু প্রকৌশলে পিএইচডি অর্জন করেন। ১৯৭৭ সালে তাইওয়ানে ফিরে এসে তিনি ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি রিসার্চে (আইএনইআর) কাজ শুরু করেন। এখানে তাঁর মূল কাজ ছিল, কম্পিউটার কোড তৈরি করা, যা পারমাণবিক বিস্ফোরণের সিমুলেশনের জন্য ব্যবহৃত হতো। মূলত, এটি ছিল গোপনে তাইওয়ানের পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তারের ঘোর বিরোধিতা করেছে সে সময়। তাইওয়ান প্রকল্প গোপন রাখার চেষ্টা করলেও, মার্কিন কর্মকর্তারা সন্দেহ করছিলেন যে, এর প্রকৃত উদ্দেশ্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা। তবে তাঁরা নিশ্চিত প্রমাণ পাচ্ছিলেন না। আর সেটিই নিশ্চিত করেন চ্যাং শিয়েন-ই।
চ্যাং প্রথমবার সিআইএর সংস্পর্শে আসেন ১৯৬৯ বা ১৯৭০ সালে। সে সময় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তাঁকে পরমাণু শক্তি শিল্প সম্পর্কে আলোচনার জন্য মধ্যাহ্নভোজের প্রস্তাব দেন। তিনি তখন এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তবে চ্যাং তখনো বুঝতে পারেননি যে, ওই ব্যক্তি সিআইএর এজেন্ট।
এরপর, চ্যাং ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। সে সময়, তাঁর কাছে আবারও সিআইএ—এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। এবার তিনি আলোচনায় রাজি হন। চ্যাংকে নিশ্চিত করতে হয়েছিল যে, তিনি ডবল এজেন্ট নন এবং ১৯৮৪ সালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সিআইএর গুপ্তচর হয়ে যান। এরপর টানা চার বছর তিনি নিয়মিত তাইপের বিভিন্ন গোপন আস্তানায় সিআইএর কর্মকর্তা ‘মার্কের’ সঙ্গে দেখা করতেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তুলতেন, গোপন তথ্য সরবরাহ করতেন এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাকে সুনিশ্চিত তথ্য দিতেন।
১৯৮৬ সালে ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক বিপর্যয় ও ইসরায়েলি পারমাণবিক কর্মসূচি ফাঁস করা মর্দেকাই ভানুনুর ঘটনার পর চ্যাং বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, তাইওয়ানের পারমাণবিক উচ্চাভিলাষ অত্যন্ত বিপজ্জনক। তিনি সিআইএর মাধ্যমে কর্মসূচিটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ১৯৮৮ সালের জানুয়ারিতে সিআইএ চ্যাং ও তাঁর পরিবারকে গোপনে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যায়। তাঁর পলায়ন ও সরবরাহ করা প্রমাণের ভিত্তিতে ওয়াশিংটন নিশ্চিত হয় যে, তাইওয়ান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। এরপর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান প্রশাসন তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট লি তেং-হুইকে কর্মসূচি পরিত্যাগের জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
চ্যাংয়ের পালিয়ে যাওয়ার পরপরই, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলার জন্য বিশেষজ্ঞ দল পাঠায়। একটি প্লুটোনিয়াম নিষ্কাশন কেন্দ্র ধ্বংস করা হয় এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহারের উপযোগী ভারী পানি (ডিউটেরিয়াম) ও তেজস্ক্রিয় জ্বালানি আমেরিকার তত্ত্বাবধানে অপসারণ করা হয়। ফলে কার্যত তাইওয়ানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়।
এই ঘটনার পর তাইওয়ানে চ্যাংকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ ঘোষণা করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়, যা ২০০০ সালে তামাদি হয়ে যায়। তবে তিনি আর কখনো নিজ দেশে ফেরেননি, কারণ তিনি জানতেন না তাঁকে কীভাবে গ্রহণ করা হবে।
চ্যাংয়ের এই কর্মকাণ্ড ঘিরে বিতর্ক আছে। কেউ কেউ মনে করেন, যদি তাইওয়ান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করত, তাহলে তা চীনের সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারত। কারণ, পারমাণবিক অস্ত্রযুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রত্যক্ষ যুদ্ধের ঘটনা বিরল। কৌশলগত গবেষক আলেকজান্ডার হুয়াং মনে করেন, তাইওয়ান পারমাণবিক অস্ত্র হারিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সুবিধা হারিয়েছে।
অন্যদিকে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সু সু-ইয়ুনের মতে, পারমাণবিক অস্ত্রের প্রয়োজন নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত নির্ভুল নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র একই ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
এ ছাড়া, তাইওয়ান বিকল্প কৌশলগত সুবিধা তৈরি করেছে—সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি (টিএসএমসি) বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত চিপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। এটি একটি ‘সিলিকনের ঢাল’ তৈরি করেছে। যার ফলে, চীনের তাইওয়ানের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে এবং সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসন প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে।
পারমাণবিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ডেভিড অলব্রাইট মনে করেন, যদি তাইওয়ান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করত, তাহলে তা চীনের আক্রমণের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তুলত। পাশাপাশি, পারমাণবিক বিস্তারের বিরোধী যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা কমিয়ে দিত।
বর্তমানে ৮০–এর কোঠায় পা রাখা চ্যাং শিয়েন-ই যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহোতে বসবাস করছেন এবং এখনো তাঁর সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থাশীল। তিনি বিশ্বাস করেন, তিনি তাইওয়ানের সেরা স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করেছেন এবং চীনের সঙ্গে একটি বিপজ্জনক পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে সাহায্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত এটি তাইওয়ানের জনগণের জন্য ভালো হয়েছে। অন্তত আমরা মূল ভূখণ্ডের চীনকে এমনভাবে উসকে দিইনি, যাতে তারা আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে।’
যদিও কেউ কেউ এখনো তাঁকে বিশ্বাসঘাতক মনে করেন, তবে চ্যাং আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘আমি বিবেকের কাছে সাড়া দিয়েই কাজ করেছি। এখানে কোনো বিশ্বাসঘাতকতা নেই—অন্তত আমার নিজের কাছে তো নয়।’
আরও খবর পড়ুন:
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩২ মিনিট আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

১৯৮৮ সালের জানুয়ারিতে তাইওয়ানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ পরমাণু প্রকৌশলী কর্নেল চ্যাং শিয়েন-ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেন চ্যাং। তাঁর সরবরাহ মূল্যবান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাইওয়ানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে
০৩ মার্চ ২০২৫
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

১৯৮৮ সালের জানুয়ারিতে তাইওয়ানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ পরমাণু প্রকৌশলী কর্নেল চ্যাং শিয়েন-ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেন চ্যাং। তাঁর সরবরাহ মূল্যবান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাইওয়ানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে
০৩ মার্চ ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩২ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

১৯৮৮ সালের জানুয়ারিতে তাইওয়ানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ পরমাণু প্রকৌশলী কর্নেল চ্যাং শিয়েন-ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেন চ্যাং। তাঁর সরবরাহ মূল্যবান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাইওয়ানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে
০৩ মার্চ ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩২ মিনিট আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন এ
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইউক্রেনের অন্যতম সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানপ্রাপ্ত এক কমান্ডার অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনার মধ্যেই রুশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের হত্যা করছে। ‘হিরো অব ইউক্রেন’ খেতাবে ভূষিত মেজর ওলেহ শিরিয়াইভ বলেছেন, রুশ সেনারা নিয়মিত আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের গুলি করে হত্যা করছে এবং এটি এখন একটি পদ্ধতিগত নীতিতে পরিণত হয়েছে।
সম্মুখ সমরের অজ্ঞাত একটি অবস্থান থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরিয়াইভ জানান, তারা নিয়মিত এমন রেডিও ও যোগাযোগ বার্তা ধরতে পারছেন, যেখানে রুশ সামরিক নেতৃত্ব সরাসরি আত্মসমর্পণকারী সেনাদের হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রথা গত দেড় বছরে একটি নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ ভয়াবহভাবে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরাও। রুশ সেনা বা ইউক্রেনীয় ড্রোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, আত্মসমর্পণের পর নিরস্ত্র সৈন্যদের সারিবদ্ধ করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ১৯ নভেম্বর পোকারোভস্কের কাছে ধারণ করা একটি ড্রোন ভিডিওতে দেখা যায়, এক রুশ সৈন্য মাটিতে উপুড় হয়ে থাকা চারজন নিরস্ত্র ইউক্রেনীয়কে গুলি করে হত্যা করে এবং পালানোর চেষ্টা করা আরেকজনের দিকেও অস্ত্র তাক করে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউশন সার্ভিস জানিয়েছে, ২০২২ সালে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ১৪৭ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে চলতি বছরেই ১২৭ জন। ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তরের যুদ্ধাপরাধ বিভাগের প্রধান ইউরি বেলাউসভ বলেন, ‘এই সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং একটি নীতির স্পষ্ট লক্ষণ।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষকেরাও মধ্য নভেম্বরের পর থেকে রুশ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ বৃদ্ধির তথ্য নথিভুক্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন, বিশেষ করে তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দীদের হত্যা স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
এদিকে, যুদ্ধে সম্মুখ সমরে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শিরিয়াইভ। ইউক্রেনের ২২৫ তম পৃথক অ্যাসল্ট ব্যাটালিয়নের এই কমান্ডার বলেন—শান্তি আলোচনা চললেও রাশিয়া কৌশলগত সুবিধা দেখাতে তাদের হাজার হাজার সৈন্যকে সামান্য ভূমি দখলের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। শিরিয়াইভের দাবি, যুদ্ধে ইউক্রেনের ১টি সেনার বিপরীতে রুশ বাহিনী অন্তত ১০টি সেনা হারাচ্ছে।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বরাবরই দাবি করে আসছেন, রুশ বাহিনী আন্তর্জাতিক আইন মেনেই যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে আচরণ করে। অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও রুশ বন্দী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই সংখ্যাটি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
শান্তি আলোচনার অগ্রগতির কথা বললেও শিরিয়াইভ সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন যদি অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রুশ আগ্রাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

১৯৮৮ সালের জানুয়ারিতে তাইওয়ানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ পরমাণু প্রকৌশলী কর্নেল চ্যাং শিয়েন-ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেন চ্যাং। তাঁর সরবরাহ মূল্যবান গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাইওয়ানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে
০৩ মার্চ ২০২৫রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৩২ মিনিট আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৩ ঘণ্টা আগে