ইশতিয়াক হাসান

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও যেমন আছে; আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ কোনটি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। দ্বীপের সংজ্ঞা বিবেচনা করলে অস্ট্রেলিয়াও একটি দ্বীপ হওয়ার কথা। কারণ কোনো ধরনের ভূভাগের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এর। তবে একে একটি মহাদেশ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তাই আমাদের তালিকায় থাকছে না এটি। চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
গ্রিনল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের আয়তন ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ বর্গকিলোমিটার। ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের অন্তর্গত গ্রিনল্যান্ডের অবশ্য অভ্যন্তরীণ বিষয় দেখভালের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকার আছে।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলাকাটি মহাদেশের মর্যাদা না পাওয়ার একটি কারণ হতে পারে এর জনসংখ্যা। আয়তনে বিশাল হলেও এর জনসংখ্যা মোটে ৫৫ হাজার। তাদের বেশির ভাগই ইনুইট আদিবাসী। শীতল এলাকায় বাস করা এই জাতিগোষ্ঠীর মানুষের দেখা মেলে কানাডা ও আলাস্কায়। ইনুইটরা এস্কিমো নামেও পরিচিত।
গ্রিনল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশজুড়েই আছে হিমবাহ। মেরু এলাকার বাইরে এত বিশাল সব হিমবাহ পাবেন না আর কোথাও। দ্বীপটির প্রধান শহরগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে এমন কোনো সড়কও পাবেন না। মাছ ও সিল ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন এখানকার অধিবাসীদের বড় একটি অংশ। বিভিন্ন দেশের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক দর্শনে যান।
নিউগিনি
৮ লাখ ২১ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এই দ্বীপ পড়েছে দুই দেশের সীমানায়। এগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি। বছরে ৩০০ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে এখানে গভীর অরণ্য এবং নানা জাতের বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। তবে সে তুলনায় জনসংখ্যা কম।
৪০ হাজার বছরেরও বেশি আগে এখানে প্রথম মানব বসতি গড়ে ওঠে বলে ধারণা করা হয়। তামা ও সোনার বিশাল মজুতের জন্য সাগর পেরিয়ে বারবারই এখানে অনুসন্ধান চালাতে এসেছে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ।
বোর্নিও
সবচেয়ে বড় দ্বীপের তালিকায় বোর্নিওর অবস্থান ৩–এ। এর আয়তন ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৮ বর্গকিলোমিটার। এটি বিশ্বের একমাত্র, দ্বীপ যা অঞ্চলভেদে নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি দেশ— ব্রুনেই, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
গভীর অরণ্যে আচ্ছাদিত দ্বীপটিতে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেখা মেলে। যেমন: বোর্নিও ওরাংওটাং এবং দায়াক ফলখেকো বাদুড়ের দেখা মিলবে শুধু এই দ্বীপেই। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে আছে— সান্দ্রা মেঘলা চিতা ও বোর্নিও পিগমি হাতি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের ফুলের দেখা মেলে দ্বীপটিতে। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো চিরসবুজ বন, যা ১০ কোটি বছরের পুরোনো, বাড়িয়েছে জায়গাটির মর্যাদা।
অরণ্যময় এলাকা হিসেবে বোর্নিও দ্বীপের জনসংখ্যা একেবারে কম নয়। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, দ্বীপে বাস ২ কোটি ১২ লাখ ৫৮ হাজার মানুষের।
মাদাগাস্কার
বিচিত্র সব বন্যপ্রাণী ও গাছপালার জন্য বিখ্যাত মাদাগাস্কার দ্বীপের অবস্থান বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় ৪–এ। এর আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখের মতো।
আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে ভারত মহাসাগরের মাঝখানে এ দ্বীপের অবস্থান। প্রায় আড়াই লাখ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বাস এখানে। মজার ঘটনা, এগুলোর তিন ভাগের দুই ভাগই পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। পৃথিবীতে যে ৪০ প্রজাতির লেমুর আছে, এর সবগুলোই আছে মাদাগাস্কারে। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, লেমুর হলো গাছে বাস করা লোমশ একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী। মানুষ ও বানরের মতো এরাও প্রাইমেট বর্গের।
মাদাগাস্কারের প্রবাল রাজ্যও মুগ্ধ করে মানুষকে। ভারত মহাসাগরের উষ্ণ জলে সাঁতার কাটা এবং প্রবালের অসাধারণ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটক ও ডুবুরিদের প্রিয় জায়গা এটি।
বাফিন
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার সবচেয়ে বড় দ্বীপ বাফিন বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় আছে ৫–এ। আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপটির আয়তন ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৫১ বর্গকিলোমিটার।
সতেরো শতকের ব্রিটিশ অভিযাত্রী উইলিয়াম বাফিনের নামে নামকরণ করা দ্বীপটি পড়েছে উত্তর কানাডার নুনাভাট অঞ্চলে। উপকূলীয় কিছু ছোট গ্রাম ছাড়া মোটামুটি জনবসতিহীন এলাকা এটি। দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ১৩ হাজারের কিছু বেশি।
সামুদ্রিক খাঁড়ি, স্বাদু পানির হ্রদ ও হিমবাহে ভরপুর জাতীয় উদ্যান মিলিয়ে জায়গাটি দেখার মতো! তবে চরমভাবাপন্ন জলবায়ুর কারণে দ্বীপটি মানুষের বসবাসের জন্য বৈরী। এখানকার গড় বার্ষিক তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর্কটিক সার্কেলের কাছেই এই দ্বীপের অবস্থান। এ কারণে নর্দার্ন লাইট, আর্কটিক নেকড়ে, মেরু ভালুক দেখার জন্য এখানে পাড়ি জমান কোনো কোনো পর্যটক।
সুমাত্রা
বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দ্বীপ সুমাত্রার আয়তন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬ বর্গকিলোমিটার। এটি এমন এক জায়গায় অবস্থিত, যেখানে ইন্দো–অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেট একটি আরেকটিকে অতিক্রম করে গেছে। এ কারণে এখানে ভূমিকম্প ও সুনামি বলতে গেলে স্বাভাবিক ঘটনা!
বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্যের জন্য নাম আছে সুমাত্রা দ্বীপের। সুমাত্রা বাঘ, সুমাত্রা গন্ডার ও সুমাত্রা ওরাংওটাং এখানকার উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী। জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি না হলেও অরণ্য এলাকা হিসেবে একেবারে কমও নয়। দ্বীপটিতে ৬ কোটির মতো মানুষের বাস।
হনশু
জাপানের মূল চারটি দ্বীপের মধ্যে বৃহত্তম হনশু। জাপান সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত হনশুর আয়তন ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৮ বর্গকিলোমিটার।
গোটা জাপানের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে থাকা হনশু দ্বীপের মধ্যে পড়েছে টোকিও, হিরোশিমা ও ওসাকার মতো বিখ্যাত শহর। দ্বীপটিতে ১০ কোটি ৩০ লাখের মতো মানুষের বাস। জাপানের উচ্চতম পর্বত মাউন্ট ফিজি এবং সবচেয়ে বড় হ্রদ বিওয়ার অবস্থানও এই দ্বীপে।
ভিক্টোরিয়া
২ লাখ ১৭ হাজার ২৯১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভিক্টোরিয়া কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে অবস্থিত। এই দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত দ্বীপগুলোর মধ্যে এর চেয়ে বড় কেবল বাফিন দ্বীপ।
রানি ভিক্টোরিয়ার নামে নামকরণ করা দ্বীপটির স্থায়ী জনসংখ্যা ২ হাজারের কিছু বেশি। আর্কটিক অভিযাত্রী টমাস সিম্পসন ১৮৩৮ সালে দ্বীপটি আবিষ্কার করেন।
গ্রেট ব্রিটেন
ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস—এই তিন দেশ নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন। দ্বীপটির আয়তন ২ লাখ ৯ হাজার ৩৩১ বর্গকিলোমিটার। ইউনাইটেড কিংডমের অন্তর্গত দ্বীপটি। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম এবং ইউনাইটেড কিংডমের (যুক্তরাজ্য) সবচেয়ে বড় দ্বীপ।
ইউরোপের বৃহত্তম এই দ্বীপকে মহাদেশের মূল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ইংলিশ চ্যানেল ও উত্তর সাগর। দ্বীপটির পুরোনো ইতিহাসের চিহ্ন পাবেন স্টোনহেঞ্জ ও মধ্যযুগীয় সব দুর্গে। ইউরোপের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা গ্রেট ব্রিটেনের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৯০ লাখের বেশি।
এলেসমেরে
তালিকায় ১০–এ থাকা দ্বীপ এলেসমেরের আয়তন ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৩৬ বর্গকিলোমিটার। কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত এই দ্বীপটির নামকরণ হয় ১৮৫২ সালে, এলেসমেরর প্রথম আর্ল ফ্রান্সিস এগারটনের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ধারণা করা হয়, দশম শতাব্দীতে ভাইকিংরা দ্বীপটিতে আসেন।
দুর্গম ভূপ্রকৃতি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জায়গাটিতে বাস করা কঠিন। মাত্র ১৪৪ জন মানুষের বাস কানাডার নুনাভাট অঞ্চলের অন্তর্গত এই দ্বীপে। বাফিন উপসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলেসমেরের বেশির ভাগ এলাকাজুড়েই ঢেউ খেলানো পাহাড় আর বরফের রাজত্ব।
সূত্র: ব্রিটানিকা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, ট্যুরোপিয়া, উইকিপিডিয়া, ট্রাভেল ডট আর্থ

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও যেমন আছে; আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ কোনটি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। দ্বীপের সংজ্ঞা বিবেচনা করলে অস্ট্রেলিয়াও একটি দ্বীপ হওয়ার কথা। কারণ কোনো ধরনের ভূভাগের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এর। তবে একে একটি মহাদেশ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তাই আমাদের তালিকায় থাকছে না এটি। চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
গ্রিনল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের আয়তন ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ বর্গকিলোমিটার। ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের অন্তর্গত গ্রিনল্যান্ডের অবশ্য অভ্যন্তরীণ বিষয় দেখভালের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকার আছে।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলাকাটি মহাদেশের মর্যাদা না পাওয়ার একটি কারণ হতে পারে এর জনসংখ্যা। আয়তনে বিশাল হলেও এর জনসংখ্যা মোটে ৫৫ হাজার। তাদের বেশির ভাগই ইনুইট আদিবাসী। শীতল এলাকায় বাস করা এই জাতিগোষ্ঠীর মানুষের দেখা মেলে কানাডা ও আলাস্কায়। ইনুইটরা এস্কিমো নামেও পরিচিত।
গ্রিনল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশজুড়েই আছে হিমবাহ। মেরু এলাকার বাইরে এত বিশাল সব হিমবাহ পাবেন না আর কোথাও। দ্বীপটির প্রধান শহরগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে এমন কোনো সড়কও পাবেন না। মাছ ও সিল ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন এখানকার অধিবাসীদের বড় একটি অংশ। বিভিন্ন দেশের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক দর্শনে যান।
নিউগিনি
৮ লাখ ২১ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এই দ্বীপ পড়েছে দুই দেশের সীমানায়। এগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি। বছরে ৩০০ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে এখানে গভীর অরণ্য এবং নানা জাতের বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। তবে সে তুলনায় জনসংখ্যা কম।
৪০ হাজার বছরেরও বেশি আগে এখানে প্রথম মানব বসতি গড়ে ওঠে বলে ধারণা করা হয়। তামা ও সোনার বিশাল মজুতের জন্য সাগর পেরিয়ে বারবারই এখানে অনুসন্ধান চালাতে এসেছে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ।
বোর্নিও
সবচেয়ে বড় দ্বীপের তালিকায় বোর্নিওর অবস্থান ৩–এ। এর আয়তন ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৮ বর্গকিলোমিটার। এটি বিশ্বের একমাত্র, দ্বীপ যা অঞ্চলভেদে নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি দেশ— ব্রুনেই, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
গভীর অরণ্যে আচ্ছাদিত দ্বীপটিতে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেখা মেলে। যেমন: বোর্নিও ওরাংওটাং এবং দায়াক ফলখেকো বাদুড়ের দেখা মিলবে শুধু এই দ্বীপেই। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে আছে— সান্দ্রা মেঘলা চিতা ও বোর্নিও পিগমি হাতি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের ফুলের দেখা মেলে দ্বীপটিতে। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো চিরসবুজ বন, যা ১০ কোটি বছরের পুরোনো, বাড়িয়েছে জায়গাটির মর্যাদা।
অরণ্যময় এলাকা হিসেবে বোর্নিও দ্বীপের জনসংখ্যা একেবারে কম নয়। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, দ্বীপে বাস ২ কোটি ১২ লাখ ৫৮ হাজার মানুষের।
মাদাগাস্কার
বিচিত্র সব বন্যপ্রাণী ও গাছপালার জন্য বিখ্যাত মাদাগাস্কার দ্বীপের অবস্থান বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় ৪–এ। এর আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখের মতো।
আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে ভারত মহাসাগরের মাঝখানে এ দ্বীপের অবস্থান। প্রায় আড়াই লাখ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বাস এখানে। মজার ঘটনা, এগুলোর তিন ভাগের দুই ভাগই পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। পৃথিবীতে যে ৪০ প্রজাতির লেমুর আছে, এর সবগুলোই আছে মাদাগাস্কারে। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, লেমুর হলো গাছে বাস করা লোমশ একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী। মানুষ ও বানরের মতো এরাও প্রাইমেট বর্গের।
মাদাগাস্কারের প্রবাল রাজ্যও মুগ্ধ করে মানুষকে। ভারত মহাসাগরের উষ্ণ জলে সাঁতার কাটা এবং প্রবালের অসাধারণ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটক ও ডুবুরিদের প্রিয় জায়গা এটি।
বাফিন
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার সবচেয়ে বড় দ্বীপ বাফিন বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় আছে ৫–এ। আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপটির আয়তন ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৫১ বর্গকিলোমিটার।
সতেরো শতকের ব্রিটিশ অভিযাত্রী উইলিয়াম বাফিনের নামে নামকরণ করা দ্বীপটি পড়েছে উত্তর কানাডার নুনাভাট অঞ্চলে। উপকূলীয় কিছু ছোট গ্রাম ছাড়া মোটামুটি জনবসতিহীন এলাকা এটি। দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ১৩ হাজারের কিছু বেশি।
সামুদ্রিক খাঁড়ি, স্বাদু পানির হ্রদ ও হিমবাহে ভরপুর জাতীয় উদ্যান মিলিয়ে জায়গাটি দেখার মতো! তবে চরমভাবাপন্ন জলবায়ুর কারণে দ্বীপটি মানুষের বসবাসের জন্য বৈরী। এখানকার গড় বার্ষিক তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর্কটিক সার্কেলের কাছেই এই দ্বীপের অবস্থান। এ কারণে নর্দার্ন লাইট, আর্কটিক নেকড়ে, মেরু ভালুক দেখার জন্য এখানে পাড়ি জমান কোনো কোনো পর্যটক।
সুমাত্রা
বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দ্বীপ সুমাত্রার আয়তন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬ বর্গকিলোমিটার। এটি এমন এক জায়গায় অবস্থিত, যেখানে ইন্দো–অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেট একটি আরেকটিকে অতিক্রম করে গেছে। এ কারণে এখানে ভূমিকম্প ও সুনামি বলতে গেলে স্বাভাবিক ঘটনা!
বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্যের জন্য নাম আছে সুমাত্রা দ্বীপের। সুমাত্রা বাঘ, সুমাত্রা গন্ডার ও সুমাত্রা ওরাংওটাং এখানকার উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী। জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি না হলেও অরণ্য এলাকা হিসেবে একেবারে কমও নয়। দ্বীপটিতে ৬ কোটির মতো মানুষের বাস।
হনশু
জাপানের মূল চারটি দ্বীপের মধ্যে বৃহত্তম হনশু। জাপান সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত হনশুর আয়তন ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৮ বর্গকিলোমিটার।
গোটা জাপানের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে থাকা হনশু দ্বীপের মধ্যে পড়েছে টোকিও, হিরোশিমা ও ওসাকার মতো বিখ্যাত শহর। দ্বীপটিতে ১০ কোটি ৩০ লাখের মতো মানুষের বাস। জাপানের উচ্চতম পর্বত মাউন্ট ফিজি এবং সবচেয়ে বড় হ্রদ বিওয়ার অবস্থানও এই দ্বীপে।
ভিক্টোরিয়া
২ লাখ ১৭ হাজার ২৯১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভিক্টোরিয়া কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে অবস্থিত। এই দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত দ্বীপগুলোর মধ্যে এর চেয়ে বড় কেবল বাফিন দ্বীপ।
রানি ভিক্টোরিয়ার নামে নামকরণ করা দ্বীপটির স্থায়ী জনসংখ্যা ২ হাজারের কিছু বেশি। আর্কটিক অভিযাত্রী টমাস সিম্পসন ১৮৩৮ সালে দ্বীপটি আবিষ্কার করেন।
গ্রেট ব্রিটেন
ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস—এই তিন দেশ নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন। দ্বীপটির আয়তন ২ লাখ ৯ হাজার ৩৩১ বর্গকিলোমিটার। ইউনাইটেড কিংডমের অন্তর্গত দ্বীপটি। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম এবং ইউনাইটেড কিংডমের (যুক্তরাজ্য) সবচেয়ে বড় দ্বীপ।
ইউরোপের বৃহত্তম এই দ্বীপকে মহাদেশের মূল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ইংলিশ চ্যানেল ও উত্তর সাগর। দ্বীপটির পুরোনো ইতিহাসের চিহ্ন পাবেন স্টোনহেঞ্জ ও মধ্যযুগীয় সব দুর্গে। ইউরোপের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা গ্রেট ব্রিটেনের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৯০ লাখের বেশি।
এলেসমেরে
তালিকায় ১০–এ থাকা দ্বীপ এলেসমেরের আয়তন ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৩৬ বর্গকিলোমিটার। কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত এই দ্বীপটির নামকরণ হয় ১৮৫২ সালে, এলেসমেরর প্রথম আর্ল ফ্রান্সিস এগারটনের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ধারণা করা হয়, দশম শতাব্দীতে ভাইকিংরা দ্বীপটিতে আসেন।
দুর্গম ভূপ্রকৃতি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জায়গাটিতে বাস করা কঠিন। মাত্র ১৪৪ জন মানুষের বাস কানাডার নুনাভাট অঞ্চলের অন্তর্গত এই দ্বীপে। বাফিন উপসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলেসমেরের বেশির ভাগ এলাকাজুড়েই ঢেউ খেলানো পাহাড় আর বরফের রাজত্ব।
সূত্র: ব্রিটানিকা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, ট্যুরোপিয়া, উইকিপিডিয়া, ট্রাভেল ডট আর্থ
ইশতিয়াক হাসান

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও যেমন আছে; আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ কোনটি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। দ্বীপের সংজ্ঞা বিবেচনা করলে অস্ট্রেলিয়াও একটি দ্বীপ হওয়ার কথা। কারণ কোনো ধরনের ভূভাগের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এর। তবে একে একটি মহাদেশ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তাই আমাদের তালিকায় থাকছে না এটি। চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
গ্রিনল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের আয়তন ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ বর্গকিলোমিটার। ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের অন্তর্গত গ্রিনল্যান্ডের অবশ্য অভ্যন্তরীণ বিষয় দেখভালের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকার আছে।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলাকাটি মহাদেশের মর্যাদা না পাওয়ার একটি কারণ হতে পারে এর জনসংখ্যা। আয়তনে বিশাল হলেও এর জনসংখ্যা মোটে ৫৫ হাজার। তাদের বেশির ভাগই ইনুইট আদিবাসী। শীতল এলাকায় বাস করা এই জাতিগোষ্ঠীর মানুষের দেখা মেলে কানাডা ও আলাস্কায়। ইনুইটরা এস্কিমো নামেও পরিচিত।
গ্রিনল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশজুড়েই আছে হিমবাহ। মেরু এলাকার বাইরে এত বিশাল সব হিমবাহ পাবেন না আর কোথাও। দ্বীপটির প্রধান শহরগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে এমন কোনো সড়কও পাবেন না। মাছ ও সিল ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন এখানকার অধিবাসীদের বড় একটি অংশ। বিভিন্ন দেশের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক দর্শনে যান।
নিউগিনি
৮ লাখ ২১ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এই দ্বীপ পড়েছে দুই দেশের সীমানায়। এগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি। বছরে ৩০০ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে এখানে গভীর অরণ্য এবং নানা জাতের বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। তবে সে তুলনায় জনসংখ্যা কম।
৪০ হাজার বছরেরও বেশি আগে এখানে প্রথম মানব বসতি গড়ে ওঠে বলে ধারণা করা হয়। তামা ও সোনার বিশাল মজুতের জন্য সাগর পেরিয়ে বারবারই এখানে অনুসন্ধান চালাতে এসেছে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ।
বোর্নিও
সবচেয়ে বড় দ্বীপের তালিকায় বোর্নিওর অবস্থান ৩–এ। এর আয়তন ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৮ বর্গকিলোমিটার। এটি বিশ্বের একমাত্র, দ্বীপ যা অঞ্চলভেদে নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি দেশ— ব্রুনেই, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
গভীর অরণ্যে আচ্ছাদিত দ্বীপটিতে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেখা মেলে। যেমন: বোর্নিও ওরাংওটাং এবং দায়াক ফলখেকো বাদুড়ের দেখা মিলবে শুধু এই দ্বীপেই। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে আছে— সান্দ্রা মেঘলা চিতা ও বোর্নিও পিগমি হাতি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের ফুলের দেখা মেলে দ্বীপটিতে। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো চিরসবুজ বন, যা ১০ কোটি বছরের পুরোনো, বাড়িয়েছে জায়গাটির মর্যাদা।
অরণ্যময় এলাকা হিসেবে বোর্নিও দ্বীপের জনসংখ্যা একেবারে কম নয়। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, দ্বীপে বাস ২ কোটি ১২ লাখ ৫৮ হাজার মানুষের।
মাদাগাস্কার
বিচিত্র সব বন্যপ্রাণী ও গাছপালার জন্য বিখ্যাত মাদাগাস্কার দ্বীপের অবস্থান বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় ৪–এ। এর আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখের মতো।
আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে ভারত মহাসাগরের মাঝখানে এ দ্বীপের অবস্থান। প্রায় আড়াই লাখ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বাস এখানে। মজার ঘটনা, এগুলোর তিন ভাগের দুই ভাগই পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। পৃথিবীতে যে ৪০ প্রজাতির লেমুর আছে, এর সবগুলোই আছে মাদাগাস্কারে। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, লেমুর হলো গাছে বাস করা লোমশ একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী। মানুষ ও বানরের মতো এরাও প্রাইমেট বর্গের।
মাদাগাস্কারের প্রবাল রাজ্যও মুগ্ধ করে মানুষকে। ভারত মহাসাগরের উষ্ণ জলে সাঁতার কাটা এবং প্রবালের অসাধারণ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটক ও ডুবুরিদের প্রিয় জায়গা এটি।
বাফিন
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার সবচেয়ে বড় দ্বীপ বাফিন বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় আছে ৫–এ। আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপটির আয়তন ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৫১ বর্গকিলোমিটার।
সতেরো শতকের ব্রিটিশ অভিযাত্রী উইলিয়াম বাফিনের নামে নামকরণ করা দ্বীপটি পড়েছে উত্তর কানাডার নুনাভাট অঞ্চলে। উপকূলীয় কিছু ছোট গ্রাম ছাড়া মোটামুটি জনবসতিহীন এলাকা এটি। দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ১৩ হাজারের কিছু বেশি।
সামুদ্রিক খাঁড়ি, স্বাদু পানির হ্রদ ও হিমবাহে ভরপুর জাতীয় উদ্যান মিলিয়ে জায়গাটি দেখার মতো! তবে চরমভাবাপন্ন জলবায়ুর কারণে দ্বীপটি মানুষের বসবাসের জন্য বৈরী। এখানকার গড় বার্ষিক তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর্কটিক সার্কেলের কাছেই এই দ্বীপের অবস্থান। এ কারণে নর্দার্ন লাইট, আর্কটিক নেকড়ে, মেরু ভালুক দেখার জন্য এখানে পাড়ি জমান কোনো কোনো পর্যটক।
সুমাত্রা
বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দ্বীপ সুমাত্রার আয়তন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬ বর্গকিলোমিটার। এটি এমন এক জায়গায় অবস্থিত, যেখানে ইন্দো–অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেট একটি আরেকটিকে অতিক্রম করে গেছে। এ কারণে এখানে ভূমিকম্প ও সুনামি বলতে গেলে স্বাভাবিক ঘটনা!
বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্যের জন্য নাম আছে সুমাত্রা দ্বীপের। সুমাত্রা বাঘ, সুমাত্রা গন্ডার ও সুমাত্রা ওরাংওটাং এখানকার উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী। জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি না হলেও অরণ্য এলাকা হিসেবে একেবারে কমও নয়। দ্বীপটিতে ৬ কোটির মতো মানুষের বাস।
হনশু
জাপানের মূল চারটি দ্বীপের মধ্যে বৃহত্তম হনশু। জাপান সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত হনশুর আয়তন ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৮ বর্গকিলোমিটার।
গোটা জাপানের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে থাকা হনশু দ্বীপের মধ্যে পড়েছে টোকিও, হিরোশিমা ও ওসাকার মতো বিখ্যাত শহর। দ্বীপটিতে ১০ কোটি ৩০ লাখের মতো মানুষের বাস। জাপানের উচ্চতম পর্বত মাউন্ট ফিজি এবং সবচেয়ে বড় হ্রদ বিওয়ার অবস্থানও এই দ্বীপে।
ভিক্টোরিয়া
২ লাখ ১৭ হাজার ২৯১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভিক্টোরিয়া কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে অবস্থিত। এই দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত দ্বীপগুলোর মধ্যে এর চেয়ে বড় কেবল বাফিন দ্বীপ।
রানি ভিক্টোরিয়ার নামে নামকরণ করা দ্বীপটির স্থায়ী জনসংখ্যা ২ হাজারের কিছু বেশি। আর্কটিক অভিযাত্রী টমাস সিম্পসন ১৮৩৮ সালে দ্বীপটি আবিষ্কার করেন।
গ্রেট ব্রিটেন
ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস—এই তিন দেশ নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন। দ্বীপটির আয়তন ২ লাখ ৯ হাজার ৩৩১ বর্গকিলোমিটার। ইউনাইটেড কিংডমের অন্তর্গত দ্বীপটি। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম এবং ইউনাইটেড কিংডমের (যুক্তরাজ্য) সবচেয়ে বড় দ্বীপ।
ইউরোপের বৃহত্তম এই দ্বীপকে মহাদেশের মূল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ইংলিশ চ্যানেল ও উত্তর সাগর। দ্বীপটির পুরোনো ইতিহাসের চিহ্ন পাবেন স্টোনহেঞ্জ ও মধ্যযুগীয় সব দুর্গে। ইউরোপের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা গ্রেট ব্রিটেনের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৯০ লাখের বেশি।
এলেসমেরে
তালিকায় ১০–এ থাকা দ্বীপ এলেসমেরের আয়তন ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৩৬ বর্গকিলোমিটার। কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত এই দ্বীপটির নামকরণ হয় ১৮৫২ সালে, এলেসমেরর প্রথম আর্ল ফ্রান্সিস এগারটনের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ধারণা করা হয়, দশম শতাব্দীতে ভাইকিংরা দ্বীপটিতে আসেন।
দুর্গম ভূপ্রকৃতি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জায়গাটিতে বাস করা কঠিন। মাত্র ১৪৪ জন মানুষের বাস কানাডার নুনাভাট অঞ্চলের অন্তর্গত এই দ্বীপে। বাফিন উপসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলেসমেরের বেশির ভাগ এলাকাজুড়েই ঢেউ খেলানো পাহাড় আর বরফের রাজত্ব।
সূত্র: ব্রিটানিকা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, ট্যুরোপিয়া, উইকিপিডিয়া, ট্রাভেল ডট আর্থ

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও যেমন আছে; আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ কোনটি, তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। দ্বীপের সংজ্ঞা বিবেচনা করলে অস্ট্রেলিয়াও একটি দ্বীপ হওয়ার কথা। কারণ কোনো ধরনের ভূভাগের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এর। তবে একে একটি মহাদেশ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তাই আমাদের তালিকায় থাকছে না এটি। চলুন তবে পরিচিত হওয়া যাক আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
গ্রিনল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের আয়তন ২১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬ বর্গকিলোমিটার। ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের অন্তর্গত গ্রিনল্যান্ডের অবশ্য অভ্যন্তরীণ বিষয় দেখভালের জন্য একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকার আছে।
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলাকাটি মহাদেশের মর্যাদা না পাওয়ার একটি কারণ হতে পারে এর জনসংখ্যা। আয়তনে বিশাল হলেও এর জনসংখ্যা মোটে ৫৫ হাজার। তাদের বেশির ভাগই ইনুইট আদিবাসী। শীতল এলাকায় বাস করা এই জাতিগোষ্ঠীর মানুষের দেখা মেলে কানাডা ও আলাস্কায়। ইনুইটরা এস্কিমো নামেও পরিচিত।
গ্রিনল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশজুড়েই আছে হিমবাহ। মেরু এলাকার বাইরে এত বিশাল সব হিমবাহ পাবেন না আর কোথাও। দ্বীপটির প্রধান শহরগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে এমন কোনো সড়কও পাবেন না। মাছ ও সিল ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন এখানকার অধিবাসীদের বড় একটি অংশ। বিভিন্ন দেশের মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাতীয় উদ্যান নর্থইস্ট গ্রিনল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক দর্শনে যান।
নিউগিনি
৮ লাখ ২১ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বিশাল এই দ্বীপ পড়েছে দুই দেশের সীমানায়। এগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি। বছরে ৩০০ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টিপাতের কারণে এখানে গভীর অরণ্য এবং নানা জাতের বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। তবে সে তুলনায় জনসংখ্যা কম।
৪০ হাজার বছরেরও বেশি আগে এখানে প্রথম মানব বসতি গড়ে ওঠে বলে ধারণা করা হয়। তামা ও সোনার বিশাল মজুতের জন্য সাগর পেরিয়ে বারবারই এখানে অনুসন্ধান চালাতে এসেছে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ।
বোর্নিও
সবচেয়ে বড় দ্বীপের তালিকায় বোর্নিওর অবস্থান ৩–এ। এর আয়তন ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৮ বর্গকিলোমিটার। এটি বিশ্বের একমাত্র, দ্বীপ যা অঞ্চলভেদে নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি দেশ— ব্রুনেই, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
গভীর অরণ্যে আচ্ছাদিত দ্বীপটিতে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেখা মেলে। যেমন: বোর্নিও ওরাংওটাং এবং দায়াক ফলখেকো বাদুড়ের দেখা মিলবে শুধু এই দ্বীপেই। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণীর মধ্যে আছে— সান্দ্রা মেঘলা চিতা ও বোর্নিও পিগমি হাতি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকারের ফুলের দেখা মেলে দ্বীপটিতে। পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো চিরসবুজ বন, যা ১০ কোটি বছরের পুরোনো, বাড়িয়েছে জায়গাটির মর্যাদা।
অরণ্যময় এলাকা হিসেবে বোর্নিও দ্বীপের জনসংখ্যা একেবারে কম নয়। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, দ্বীপে বাস ২ কোটি ১২ লাখ ৫৮ হাজার মানুষের।
মাদাগাস্কার
বিচিত্র সব বন্যপ্রাণী ও গাছপালার জন্য বিখ্যাত মাদাগাস্কার দ্বীপের অবস্থান বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় ৪–এ। এর আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৫ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখের মতো।
আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে ভারত মহাসাগরের মাঝখানে এ দ্বীপের অবস্থান। প্রায় আড়াই লাখ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর বাস এখানে। মজার ঘটনা, এগুলোর তিন ভাগের দুই ভাগই পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। পৃথিবীতে যে ৪০ প্রজাতির লেমুর আছে, এর সবগুলোই আছে মাদাগাস্কারে। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, লেমুর হলো গাছে বাস করা লোমশ একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী। মানুষ ও বানরের মতো এরাও প্রাইমেট বর্গের।
মাদাগাস্কারের প্রবাল রাজ্যও মুগ্ধ করে মানুষকে। ভারত মহাসাগরের উষ্ণ জলে সাঁতার কাটা এবং প্রবালের অসাধারণ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটক ও ডুবুরিদের প্রিয় জায়গা এটি।
বাফিন
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার সবচেয়ে বড় দ্বীপ বাফিন বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপের তালিকায় আছে ৫–এ। আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপটির আয়তন ৫ লাখ ৭ হাজার ৪৫১ বর্গকিলোমিটার।
সতেরো শতকের ব্রিটিশ অভিযাত্রী উইলিয়াম বাফিনের নামে নামকরণ করা দ্বীপটি পড়েছে উত্তর কানাডার নুনাভাট অঞ্চলে। উপকূলীয় কিছু ছোট গ্রাম ছাড়া মোটামুটি জনবসতিহীন এলাকা এটি। দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ১৩ হাজারের কিছু বেশি।
সামুদ্রিক খাঁড়ি, স্বাদু পানির হ্রদ ও হিমবাহে ভরপুর জাতীয় উদ্যান মিলিয়ে জায়গাটি দেখার মতো! তবে চরমভাবাপন্ন জলবায়ুর কারণে দ্বীপটি মানুষের বসবাসের জন্য বৈরী। এখানকার গড় বার্ষিক তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর্কটিক সার্কেলের কাছেই এই দ্বীপের অবস্থান। এ কারণে নর্দার্ন লাইট, আর্কটিক নেকড়ে, মেরু ভালুক দেখার জন্য এখানে পাড়ি জমান কোনো কোনো পর্যটক।
সুমাত্রা
বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দ্বীপ সুমাত্রার আয়তন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬৬ বর্গকিলোমিটার। এটি এমন এক জায়গায় অবস্থিত, যেখানে ইন্দো–অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরেশিয়ান টেকটনিক প্লেট একটি আরেকটিকে অতিক্রম করে গেছে। এ কারণে এখানে ভূমিকম্প ও সুনামি বলতে গেলে স্বাভাবিক ঘটনা!
বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্যের জন্য নাম আছে সুমাত্রা দ্বীপের। সুমাত্রা বাঘ, সুমাত্রা গন্ডার ও সুমাত্রা ওরাংওটাং এখানকার উল্লেখযোগ্য বন্যপ্রাণী। জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি না হলেও অরণ্য এলাকা হিসেবে একেবারে কমও নয়। দ্বীপটিতে ৬ কোটির মতো মানুষের বাস।
হনশু
জাপানের মূল চারটি দ্বীপের মধ্যে বৃহত্তম হনশু। জাপান সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত হনশুর আয়তন ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৮ বর্গকিলোমিটার।
গোটা জাপানের অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে থাকা হনশু দ্বীপের মধ্যে পড়েছে টোকিও, হিরোশিমা ও ওসাকার মতো বিখ্যাত শহর। দ্বীপটিতে ১০ কোটি ৩০ লাখের মতো মানুষের বাস। জাপানের উচ্চতম পর্বত মাউন্ট ফিজি এবং সবচেয়ে বড় হ্রদ বিওয়ার অবস্থানও এই দ্বীপে।
ভিক্টোরিয়া
২ লাখ ১৭ হাজার ২৯১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ভিক্টোরিয়া কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে অবস্থিত। এই দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত দ্বীপগুলোর মধ্যে এর চেয়ে বড় কেবল বাফিন দ্বীপ।
রানি ভিক্টোরিয়ার নামে নামকরণ করা দ্বীপটির স্থায়ী জনসংখ্যা ২ হাজারের কিছু বেশি। আর্কটিক অভিযাত্রী টমাস সিম্পসন ১৮৩৮ সালে দ্বীপটি আবিষ্কার করেন।
গ্রেট ব্রিটেন
ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস—এই তিন দেশ নিয়ে গ্রেট ব্রিটেন। দ্বীপটির আয়তন ২ লাখ ৯ হাজার ৩৩১ বর্গকিলোমিটার। ইউনাইটেড কিংডমের অন্তর্গত দ্বীপটি। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম এবং ইউনাইটেড কিংডমের (যুক্তরাজ্য) সবচেয়ে বড় দ্বীপ।
ইউরোপের বৃহত্তম এই দ্বীপকে মহাদেশের মূল ভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ইংলিশ চ্যানেল ও উত্তর সাগর। দ্বীপটির পুরোনো ইতিহাসের চিহ্ন পাবেন স্টোনহেঞ্জ ও মধ্যযুগীয় সব দুর্গে। ইউরোপের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা গ্রেট ব্রিটেনের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৯০ লাখের বেশি।
এলেসমেরে
তালিকায় ১০–এ থাকা দ্বীপ এলেসমেরের আয়তন ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৩৬ বর্গকিলোমিটার। কানাডীয় আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত এই দ্বীপটির নামকরণ হয় ১৮৫২ সালে, এলেসমেরর প্রথম আর্ল ফ্রান্সিস এগারটনের প্রতি সম্মান জানিয়ে। ধারণা করা হয়, দশম শতাব্দীতে ভাইকিংরা দ্বীপটিতে আসেন।
দুর্গম ভূপ্রকৃতি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে জায়গাটিতে বাস করা কঠিন। মাত্র ১৪৪ জন মানুষের বাস কানাডার নুনাভাট অঞ্চলের অন্তর্গত এই দ্বীপে। বাফিন উপসাগর ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত এলেসমেরের বেশির ভাগ এলাকাজুড়েই ঢেউ খেলানো পাহাড় আর বরফের রাজত্ব।
সূত্র: ব্রিটানিকা, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, ট্যুরোপিয়া, উইকিপিডিয়া, ট্রাভেল ডট আর্থ

পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
১ ঘণ্টা আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
২ ঘণ্টা আগে
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
৫ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে শুরু হয়েছে এক বিতর্কিত নির্বাচন, যা দেশ-বিদেশে ‘প্রহসন’ হিসেবে প্রত্যাখ্যাত। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপস্থিতি, শীর্ষ নেতাদের কারাবাস এবং চলমান সংঘাতের কারণে প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকারবঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচন হচ্ছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সামরিক জান্তা সরকার। ওই অভ্যুত্থান দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছিল, যা পরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
বিবিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারে আজ রোববার শুরু হওয়া ভোট গ্রহণের মধ্যে দেশটির একাধিক অঞ্চলে বিস্ফোরণ ও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
মান্দালয় অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী বিবিসিকে নিশ্চিত করেন, আজ ভোরে ওই অঞ্চলের একটি জনশূন্য বাড়িতে রকেট হামলার পর তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে গতকাল রাতে থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মায়াওয়াদ্দি শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১০টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, ওই হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে এবং তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
তবে কিছু ভোটার বিবিসির কাছে দাবি করেছেন, এবারের নির্বাচন আগের চেয়ে অনেক বেশি ‘সুশৃঙ্খল’।
মান্দালয় অঞ্চলের বাসিন্দা মা সু জারচি বলেন, ‘ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা এবার অনেক বদলে গেছে। ভোট দেওয়ার আগে আমি ভয়ে ছিলাম। এখন ভোট দিয়ে স্বস্তি পাচ্ছি। দেশের জন্য নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছি—এমন একজন নাগরিক হিসেবে আমি আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি।’
২২ বছর বয়সে প্রথমবার ভোট দিয়ে পেয়ি ফিয়ো মাউং বিবিসিকে জানান, তিনি ভোট দিয়েছেন। কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন ভোট দেওয়া ‘প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব’।
মাউং বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। আমি এমন কাউকে সমর্থন করতে চাই, যিনি লড়াই করা এসব মানুষের জন্য নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনতে পারবেন। আমি এমন একজন প্রেসিডেন্ট চাই, যিনি সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবেন।’
এদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এই নির্বাচন ঘিরে সব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য দেশকে ‘বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা’।
রাজধানী নেপিডোর এক কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ভোটকেন্দ্রে আজ ভোট দিয়ে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বিবিসিকে বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
জান্তাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। একজন সরকারি চাকরিজীবী। আমি চাইলেই বলতে পারি না, আমি প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, যারা ভোট প্রত্যাখ্যান করছে, তারা আসলে ‘গণতন্ত্রের পথে অগ্রগতিকে’ প্রত্যাখ্যান করছে।
মিয়ানমারে নতুন এক আইনের অধীনে নির্বাচনে বাধা দেওয়া বা বিরোধিতা করার অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই আইনে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মিয়ানমারে শুরু হয়েছে এক বিতর্কিত নির্বাচন, যা দেশ-বিদেশে ‘প্রহসন’ হিসেবে প্রত্যাখ্যাত। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপস্থিতি, শীর্ষ নেতাদের কারাবাস এবং চলমান সংঘাতের কারণে প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকারবঞ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই নির্বাচন হচ্ছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর তিন ধাপে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সামরিক জান্তা সরকার। ওই অভ্যুত্থান দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছিল, যা পরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
বিবিসি জানিয়েছে, মিয়ানমারে আজ রোববার শুরু হওয়া ভোট গ্রহণের মধ্যে দেশটির একাধিক অঞ্চলে বিস্ফোরণ ও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
মান্দালয় অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী বিবিসিকে নিশ্চিত করেন, আজ ভোরে ওই অঞ্চলের একটি জনশূন্য বাড়িতে রকেট হামলার পর তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে গতকাল রাতে থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে মায়াওয়াদ্দি শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১০টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, ওই হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে এবং তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
তবে কিছু ভোটার বিবিসির কাছে দাবি করেছেন, এবারের নির্বাচন আগের চেয়ে অনেক বেশি ‘সুশৃঙ্খল’।
মান্দালয় অঞ্চলের বাসিন্দা মা সু জারচি বলেন, ‘ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা এবার অনেক বদলে গেছে। ভোট দেওয়ার আগে আমি ভয়ে ছিলাম। এখন ভোট দিয়ে স্বস্তি পাচ্ছি। দেশের জন্য নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছি—এমন একজন নাগরিক হিসেবে আমি আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছি।’
২২ বছর বয়সে প্রথমবার ভোট দিয়ে পেয়ি ফিয়ো মাউং বিবিসিকে জানান, তিনি ভোট দিয়েছেন। কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন ভোট দেওয়া ‘প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব’।
মাউং বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। আমি এমন কাউকে সমর্থন করতে চাই, যিনি লড়াই করা এসব মানুষের জন্য নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে আনতে পারবেন। আমি এমন একজন প্রেসিডেন্ট চাই, যিনি সব মানুষের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবেন।’
এদিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এই নির্বাচন ঘিরে সব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য দেশকে ‘বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা’।
রাজধানী নেপিডোর এক কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ভোটকেন্দ্রে আজ ভোট দিয়ে জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং বিবিসিকে বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
জান্তাপ্রধান জোর দিয়ে বলেন, ‘আমি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। একজন সরকারি চাকরিজীবী। আমি চাইলেই বলতে পারি না, আমি প্রেসিডেন্ট হতে চাই।’
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন, যারা ভোট প্রত্যাখ্যান করছে, তারা আসলে ‘গণতন্ত্রের পথে অগ্রগতিকে’ প্রত্যাখ্যান করছে।
মিয়ানমারে নতুন এক আইনের অধীনে নির্বাচনে বাধা দেওয়া বা বিরোধিতা করার অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই আইনে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। এমনকি কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আজ পরিচিত হব আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
২ ঘণ্টা আগে
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
৫ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই নারী যখন ক্যামেরার সামনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এবং তাঁদের কথোপকথনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের কথা বলেন তখন ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমার কিছুই হবে না।’
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অশোক সিং। তিনি রামপুর বাঘেলান নগর পরিষদের এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অশোক সিংকে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করতে এবং ভুক্তভোগী নারীকে হুমকি দিতে দেখা যায়। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ক্লিপটিতে অভিযুক্তকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কী হবে? কিছুই হবে না। যেখানে খুশি অভিযোগ করো, আমার কিছুই হবে না।’ ভিডিওর নেপথ্যে ভুক্তভোগী নারীকে কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ দায়েরের কথা বলতে শোনা যায়।
গত সোমবার সাতনার পুলিশ সুপার (এসপি) হংসরাজ সিংয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে ওই ঘটনা ঘটেছে। নিজের ও পরিবারের প্রাণনাশের হুমকির কারণে এতদিন তিনি মুখ খোলেননি। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এসপি তদন্তের দায়িত্ব ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) মনোজ ত্রিবেদীর কাছে হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ অনুযায়ী, কারহি এলাকার বাসিন্দা অশোক সিং তাঁর বাড়িতে ঢুকে ছুরির মুখে তাঁকে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে এবং এই বিষয়ে মুখ খুললে নারী ও তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ওই নারী অভিযোগে আরও বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর অশোক সিং আবার তাঁর কাছে আসেন, তাঁর শ্লীলতাহানি করেন এবং আবারও ভিডিওটি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেন। বলেন, তাঁর কথামতো না চললে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীর দাবি, অশোক সিংয়ের বিরুদ্ধে আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল এবং একসময় তাঁকে জেলা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এই কারণেই সে নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে প্রকাশ্যে তাঁকে হুমকি দিতে সাহস পেয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অশোক সিং নিয়মিত তাঁর দোকানে এসে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বারবার হুমকি দেন। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার ভীতি ও হয়রানির মধ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
ওই নারী আরও অভিযোগ করেছেন, পাঁচ দিন আগে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি। তিনি বলেন, তাঁর বা তাঁর পরিবারের কোনো ক্ষতি হলে এর জন্য পুলিশই দায়ী থাকবে।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে এবং সব প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই নারী যখন ক্যামেরার সামনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন এবং তাঁদের কথোপকথনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের কথা বলেন তখন ওই ব্যক্তি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমার কিছুই হবে না।’
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম অশোক সিং। তিনি রামপুর বাঘেলান নগর পরিষদের এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামী। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে অশোক সিংকে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করতে এবং ভুক্তভোগী নারীকে হুমকি দিতে দেখা যায়। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ক্লিপটিতে অভিযুক্তকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কী হবে? কিছুই হবে না। যেখানে খুশি অভিযোগ করো, আমার কিছুই হবে না।’ ভিডিওর নেপথ্যে ভুক্তভোগী নারীকে কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ দায়েরের কথা বলতে শোনা যায়।
গত সোমবার সাতনার পুলিশ সুপার (এসপি) হংসরাজ সিংয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। অভিযোগে তিনি বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে ওই ঘটনা ঘটেছে। নিজের ও পরিবারের প্রাণনাশের হুমকির কারণে এতদিন তিনি মুখ খোলেননি। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এসপি তদন্তের দায়িত্ব ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) মনোজ ত্রিবেদীর কাছে হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ অনুযায়ী, কারহি এলাকার বাসিন্দা অশোক সিং তাঁর বাড়িতে ঢুকে ছুরির মুখে তাঁকে ধর্ষণ করে। মোবাইল ফোনে সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে এবং এই বিষয়ে মুখ খুললে নারী ও তাঁর পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
ওই নারী অভিযোগে আরও বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর অশোক সিং আবার তাঁর কাছে আসেন, তাঁর শ্লীলতাহানি করেন এবং আবারও ভিডিওটি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দেন। বলেন, তাঁর কথামতো না চললে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগীর দাবি, অশোক সিংয়ের বিরুদ্ধে আগেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল এবং একসময় তাঁকে জেলা থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল। এই কারণেই সে নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে প্রকাশ্যে তাঁকে হুমকি দিতে সাহস পেয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অশোক সিং নিয়মিত তাঁর দোকানে এসে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বারবার হুমকি দেন। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার ভীতি ও হয়রানির মধ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
ওই নারী আরও অভিযোগ করেছেন, পাঁচ দিন আগে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তিনি। তিনি বলেন, তাঁর বা তাঁর পরিবারের কোনো ক্ষতি হলে এর জন্য পুলিশই দায়ী থাকবে।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে এবং সব প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। এমনকি কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আজ পরিচিত হব আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
১ ঘণ্টা আগে
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
৫ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোকিও থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গুনমা প্রিফেকচারের মিনাকামিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হলে পেছনে থাকা গাড়িগুলো একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকে। এই চেইন রিঅ্যাকশনের ফলে অন্তত ১০টি গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সাড়ে সাত ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে টোকিওর একজন ৭৭ বছর বয়সী নারী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি পুড়ে যাওয়া ট্রাকের চালকের আসন থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ২৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি ২১ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ওই এলাকায় ভারী তুষারপাতের সতর্কতা জারি ছিল। পুলিশের ধারণা, রাস্তার ওপর বরফ জমে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকগুলো পিছলে যায়। যার ফলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ষাটোর্ধ্ব এক প্রত্যক্ষদর্শী জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-কে জানান, সংঘর্ষের সময় তিনি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন এবং দেখেন সামনের গাড়িগুলোতে আগুন ধরে গেছে। দ্রুত সেই আগুন অন্যান্য গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, তাঁকেসহ প্রায় ৫০ জনকে নিকটবর্তী একটি টোল প্লাজায় সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে তাঁরা সারা রাত অবস্থান করেন।
দুর্ঘটনার পর এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। রাস্তা পরিচালনাকারী সংস্থা নেক্সকো জানিয়েছে, আগুনের তাপে রাস্তার কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সংস্থাটি আপাতত ওই রুট ব্যবহার না করার জন্য ভ্রমণকারীদের সতর্ক করেছে।

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। এমনকি কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আজ পরিচিত হব আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
১ ঘণ্টা আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
২ ঘণ্টা আগে
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

গাজায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগ দিতে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে যদি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত থাকে, তবে পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে না। আজ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার এ কথা বলেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেসের ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সাফল্য পর্যালোচনা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার বলেন, গাজা শান্তি চুক্তির আওতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ (আইএসএফ) গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান যেকোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে ‘পিস এনফোর্সমেন্ট’ (শান্তি বলবৎকরণ) নয়, বরং ‘পিসকিপিং’ (শান্তি রক্ষা) শব্দ ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্র করা প্রসঙ্গে ইশাক দার স্পষ্ট করে বলেন, ‘যদি এই বাহিনীর ম্যান্ডেটে হামাসকে নিরস্ত্র করার কোনো ভূমিকা থাকে, তবে আমরা তাতে অংশ নেব না। এটি আমাদের কাজ নয়। হামাসকে নিরস্ত্র করার দায়িত্ব ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা সেখানকার স্থানীয় সরকারের।’
ইশাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের ভূমিকা শুধু শান্তি বজায় রাখায় সহায়তা করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে নিরস্ত্র করার কোনো অভিযানে পাকিস্তান তার সৈন্যদের জড়াতে চায় না।’
ইশাক দার জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পাকিস্তান এই বাহিনীর ‘টার্মস অব রেফারেন্স’ (টিওআর) এবং ম্যান্ডেট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করবে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনাকে সমর্থন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজল্যুশন পাস হয়। পাকিস্তানসহ ১৩টি দেশ এর পক্ষে ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন ভোটদানে বিরত ছিল। ওই পরিকল্পনারই একটি অন্যতম অংশ হলো এই ‘আইএসএফ’ গঠন। এখানে মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর সৈন্যদের প্রাধান্য থাকবে।
ইশাক দার জানান, ইন্দোনেশিয়া এই বাহিনীতে ২০ হাজার সৈন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিলেও তারাও হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়ে পাকিস্তানের মতোই আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এবং অভিজ্ঞ সামরিক বাহিনীর অধিকারী হওয়ায় গাজা শান্তি মিশনে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ওয়াশিংটনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের অভ্যন্তরে ধর্মীয় দলগুলোর প্রতিবাদ এবং হামাসের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি এড়াতে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই পথে এগোচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ইশাক দার দাবি করেন, একসময় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন’ বলে বিবেচিত হলেও বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় দেশটি পুনরায় বিশ্বমঞ্চে শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে এসেছে। তিনি জানান, প্রধান বৈশ্বিক ইস্যুগুলোতে পাকিস্তানের নীতিগত ও দৃঢ় অবস্থানের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

এই বিশ্বে দ্বীপের অভাব নেই। তবে আকারে বড় দ্বীপের সংখ্যা খুব বেশি নয়। এমনকি কয়েক হাজার দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আবার একটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে এমন দেশও আছে। আজ পরিচিত হব আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ দ্বীপের সঙ্গে।
২০ অক্টোবর ২০২৪
পর্যবেক্ষকদের মতে, চীনের সমর্থনে জান্তা সরকার তাদের ক্ষমতাকে বৈধতা দিতে চাইছে, তা সুসংহত করতে চাইছে, যাতে তারা চলমান অস্থিতিশীলতা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পায়।
১ ঘণ্টা আগে
এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পরে বারবার যৌন সম্পর্কে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে।
২ ঘণ্টা আগে
তীব্র তুষারপাত ও পিচ্ছিল রাস্তার কারণে জাপানের মধ্যাঞ্চলে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কান-এৎসু এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত ৫০টি গাড়ির স্তূপ তৈরি হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরে যায়।
৫ ঘণ্টা আগে