
যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্ত।
আবিদা সুলতান ১৯১৩ সালে ব্রিটিশ ভারতের উত্তর প্রদেশে ভোপালের (বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত) মুসলিম শাসক পরিবারে জন্ম নেওয়া আবিদা ছিলেন সাহসী ‘বেগমদের’ উত্তরসূরি। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আবিদার পরিবার ভোপাল শাসন করেছে। তিনি সাধারণ নারী, বিশেষত মুসলিম নারীদের ঘিরে প্রচলিত ধ্যানধারণাকে অস্বীকার করে এ ঐতিহ্য বজায় রেখেছিলেন।
আবিদা পর্দাপ্রথার বিরোধিতা করেছিলেন। সে সময়, মুসলিম ও কিছু হিন্দু নারীদের মধ্যে নিজেকে ঢেকে রাখা ও পুরুষদের থেকে আলাদা থাকার নিয়ম ছিল। ছোটবেলা থেকেই আবিদা ছিলেন সাহসী ও স্বাধীনচেতা। ১৩ বছর বয়সে তাঁর দাদি তাঁকে পর্দার মধ্যে থাকতে বাধ্য করতে চাইলে তিনি বিদ্রোহ করেন। তাঁর সাহস আর বাবার উদার মানসিকতার কারণে তিনি আর কখনোই পর্দা মেনে চলেননি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি ভোপালের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন।
কয়েক দশক ধরে তিনি তাঁর বাবার রেখে যাওয়া শানসভার সামলেছেন। তিনি তাঁর শাসনামলে ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর যে বিদ্বেষ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে তারও প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন তিনি।
আবিদা ছোটবেলা থেকেই যেন শাসকের হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন। তাঁর দাদি কঠোর শৃঙ্খলাপরায়ণ সুলতান জাহান—যিনি নিজেও ভোপালের শাসক ছিলেন—তাঁকে নিজ হাতে গড়ে তুলেছিলেন। ২০০৪ সালে প্রকাশিত আবিদা সুলতান তাঁর আত্মজীবনী ‘মেমোয়ার্স অব আ রেবেল প্রিন্সেসে’—উল্লেখ করেন, কীভাবে তাঁকে ভোর ৪টায় উঠে কোরআন পড়তে হতো। এরপর খেলাধুলা, সংগীত ও ঘোড়দৌড় শেখার পাশাপাশি ঘর ঝাড়ু দেওয়া ও টয়লেট পরিষ্কারের মতো কাজও করতে হতো।

নিজের শৈশব নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আবিদা সুলতান বলেন, ‘আমরা মেয়েরা কখনোই লিঙ্গের কারণে নিজেদের নিম্নতর ভাবতে শিখিনি। সবকিছুতেই সমতা ছিল। ছেলেদের মতোই আমাদের সব স্বাধীনতা ছিল, আমরা ঘোড়ায় চড়তে পারতাম, গাছে উঠতে পারতাম, যেকোনো খেলাধুলা করতে পারতাম। কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।’
ভোপালের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে আবিদা ১২ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী রাজ্য কুরওয়াইয়ের শাসক ও শৈশবের বন্ধু সরওয়ার আলী খানকে সঙ্গে বিয়ে করেন। বিয়ে নিয়ে নিজের মজার অভিজ্ঞতার কথাও আত্মজীবনীতে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন তিনি।
আবিদ তাঁর বইতে লিখেন, একদিন তিনি যখন তাঁর চাচাতো ভাইবোনদের সঙ্গে বালিশ লড়াইয়ে মেতেছিলেন। এ সময় তাঁর দাদি ঘরে ঢুকে তাঁকে একটি বিয়ের জন্য তৈরি হতে বলেন। কিন্তু কেউই তাকে জানায়নি যে, বিয়েটা তাঁর নিজেরই। আবিদা লিখেন, ‘কেউ আমাকে (বিয়ের জন্য) সাজিয়ে-গুছিয়ে দেয়নি বা কীভাবে আচরণ করতে হবে তাও শেখায়নি। ফলে আমি বিয়ে আসরে ঢুকেছিলাম সেখানে জড়সড় হয়ে থাকা নারীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে, মুখ খোলা রেখে এবং বরাবরের মতোই গোমড়া মুখে।’
ভোপালের এই রাজকন্যার বিয়েটি খুবই কম সময় স্থায়ী হয়েছিল—এক দশকেরও কম। তাঁর বৈবাহিক জীবন ছিল কঠিন। বিষয়টি কেবল তাঁর কম বয়সের জন্য নয়, বরং তাঁর স্বামীর পরিবারের কঠোর, ধর্মীয় পরিবেশের জন্যও। আবিদা অকপটে স্বীকার করেছেন, যৌনতা নিয়ে জ্ঞানের অভাব ও অস্বস্তি তাঁর দাম্পত্য জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
আবিদা তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ‘বিয়ের পরপরই আমি দাম্পত্য যন্ত্রণার জগতে প্রবেশ করি। আমি বুঝতে পারিনি যে, বিয়ের রাতের ঘটনাগুলো আমাকে এতটা আতঙ্কিত, অসাড় ও অপবিত্র অনুভব করাবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আমি কখনোই মেনে নিতে পারিনি।’ এর ফলে তাঁর দাম্পত্য জীবনে ভাঙন ধরে।

দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম নারীদের আত্মজীবনীমূলক লেখায় অন্তরঙ্গতা ও যৌনতা নিয়ে এক গবেষণায় ঐতিহাসিক শিভন ল্যামবার্ট-হার্লি দেখিয়েছেন, যৌনতা নিয়ে আবিদার অকপট বর্ণনা সেই প্রচলিত ধারণা ভেঙে দেয় যে, মুসলিম নারীরা যৌনতা নিয়ে লেখেন না। আবিদার লেখা বরং একটি নির্ভীক এক নারীর চরিত্রকেই উপস্থাপন করেছে।
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর আবিদা শ্বশুরবাড়ি কুরওয়াই ছেড়ে ভোপালে ফিরে আসেন। তবে একমাত্র সন্তান শাহরিয়ার মোহাম্মদ খানে অভিভাবকত্ব নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এই দীর্ঘ বিরোধে বিরক্ত হয়ে এবং ছেলেকে হারাতে না চেয়ে—আবিদা তাঁর স্বামীকে নিবৃত্ত করতে সাহসী এক পদক্ষেপ নেন। ১৯৩৫ সালের মার্চের এক উষ্ণ রাতে, আবিদা তিন ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে কুরওয়াইয়ে স্বামীর বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে তাঁর স্বামীর শোয়ার ঘরে ঢুকে একটি রিভলবার বের করে স্বামীর কোলে ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘হয় আমাকে গুলি করো, না হলে আমি তোমাকে গুলি করব।’
সেদিন আবিদা তাঁর স্বামীর সঙ্গে হাতাহাতি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন এবং জয়ী হন। এরপর, তিনি নিজ সন্তানকে নিয়ে ফিরে আসেন ছেলেকে লালনপালন করেন। আবিদা সুলতান ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত ভোপালের মন্ত্রিসভা পরিচালনা করেন। এরপর ভোপাল ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সঙ্গে একীভূত হয়।
আবিদা ব্রিটিশ সরকারের আহ্বানে ভারত শাসনব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকগুলোতে অংশ নেন। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধী, মতিলাল নেহরু এবং তাঁর ছেলে জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের অবনতি এবং ১৯৪৭ সালের দেশভাগ পরবর্তী সহিংসতাও প্রত্যক্ষ করেন।
নিজের স্মৃতিকথায় আবিদা বর্ণনা করেন, কীভাবে ভোপালে তিনি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন পদে পদে। শতাব্দীর পর শতাব্দী তাঁর পরিবার ভোপালে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করলেও তাদের ‘বহিরাগত’ হিসেবে দেখা শুরু হয় ভারত ভাগের পর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়কার একটি বিশেষত ভয়াবহ স্মৃতির কথা উল্লেখ করেন।
একদিন ভারত সরকার তাঁকে জানায়, মুসলিম শরণার্থীদের একটি ট্রেন ভোপালে পৌঁছাবে। ট্রেনটির যাত্রীদের দেখভাল করতে তিনি স্টেশনে যান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কামরাগুলো খুলতেই দেখা গেল, সবাই মৃত।’ এ ধরনের সহিংসতা এবং সাম্প্রদায়িক অবিশ্বাসই তাঁকে ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যেতে বাধ্য করে।
আবিদা চুপিসারে তাঁর ছেলেকে নিয়ে ভোপাল ছাড়েন, ভালো একটি ভবিষ্যতের আশায়। পাকিস্তানেও তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং গণতন্ত্র এবং নারীর অধিকারের পক্ষে কাজ করেন। ২০০২ সালে করাচিতে তার মৃত্যু হয়।
আবিদা পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পর ভারত সরকার তাঁর বোনকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করে। ভোপালে আজও আবিদা তাঁর ডাকনাম ‘বিয়া হুজুর’ নামে পরিচিত। ভোপালের নারী শাসকদের নিয়ে গবেষণা করা সাংবাদিক শামস উর রহমান আলভি বলেন, ‘গত কয়েক বছরের ধর্মীয় রাজনীতি তাঁর ঐতিহ্যকে ম্রিয়মাণ করেছে, তাঁকে নিয়ে তেমন কথা হয় না। কিন্তু তাঁর নাম এত সহজে ভুলে যাওয়ার মতো নয়।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্ত।
আবিদা সুলতান ১৯১৩ সালে ব্রিটিশ ভারতের উত্তর প্রদেশে ভোপালের (বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত) মুসলিম শাসক পরিবারে জন্ম নেওয়া আবিদা ছিলেন সাহসী ‘বেগমদের’ উত্তরসূরি। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আবিদার পরিবার ভোপাল শাসন করেছে। তিনি সাধারণ নারী, বিশেষত মুসলিম নারীদের ঘিরে প্রচলিত ধ্যানধারণাকে অস্বীকার করে এ ঐতিহ্য বজায় রেখেছিলেন।
আবিদা পর্দাপ্রথার বিরোধিতা করেছিলেন। সে সময়, মুসলিম ও কিছু হিন্দু নারীদের মধ্যে নিজেকে ঢেকে রাখা ও পুরুষদের থেকে আলাদা থাকার নিয়ম ছিল। ছোটবেলা থেকেই আবিদা ছিলেন সাহসী ও স্বাধীনচেতা। ১৩ বছর বয়সে তাঁর দাদি তাঁকে পর্দার মধ্যে থাকতে বাধ্য করতে চাইলে তিনি বিদ্রোহ করেন। তাঁর সাহস আর বাবার উদার মানসিকতার কারণে তিনি আর কখনোই পর্দা মেনে চলেননি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি ভোপালের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন।
কয়েক দশক ধরে তিনি তাঁর বাবার রেখে যাওয়া শানসভার সামলেছেন। তিনি তাঁর শাসনামলে ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর যে বিদ্বেষ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে তারও প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন তিনি।
আবিদা ছোটবেলা থেকেই যেন শাসকের হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন। তাঁর দাদি কঠোর শৃঙ্খলাপরায়ণ সুলতান জাহান—যিনি নিজেও ভোপালের শাসক ছিলেন—তাঁকে নিজ হাতে গড়ে তুলেছিলেন। ২০০৪ সালে প্রকাশিত আবিদা সুলতান তাঁর আত্মজীবনী ‘মেমোয়ার্স অব আ রেবেল প্রিন্সেসে’—উল্লেখ করেন, কীভাবে তাঁকে ভোর ৪টায় উঠে কোরআন পড়তে হতো। এরপর খেলাধুলা, সংগীত ও ঘোড়দৌড় শেখার পাশাপাশি ঘর ঝাড়ু দেওয়া ও টয়লেট পরিষ্কারের মতো কাজও করতে হতো।

নিজের শৈশব নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আবিদা সুলতান বলেন, ‘আমরা মেয়েরা কখনোই লিঙ্গের কারণে নিজেদের নিম্নতর ভাবতে শিখিনি। সবকিছুতেই সমতা ছিল। ছেলেদের মতোই আমাদের সব স্বাধীনতা ছিল, আমরা ঘোড়ায় চড়তে পারতাম, গাছে উঠতে পারতাম, যেকোনো খেলাধুলা করতে পারতাম। কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।’
ভোপালের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে আবিদা ১২ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী রাজ্য কুরওয়াইয়ের শাসক ও শৈশবের বন্ধু সরওয়ার আলী খানকে সঙ্গে বিয়ে করেন। বিয়ে নিয়ে নিজের মজার অভিজ্ঞতার কথাও আত্মজীবনীতে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন তিনি।
আবিদ তাঁর বইতে লিখেন, একদিন তিনি যখন তাঁর চাচাতো ভাইবোনদের সঙ্গে বালিশ লড়াইয়ে মেতেছিলেন। এ সময় তাঁর দাদি ঘরে ঢুকে তাঁকে একটি বিয়ের জন্য তৈরি হতে বলেন। কিন্তু কেউই তাকে জানায়নি যে, বিয়েটা তাঁর নিজেরই। আবিদা লিখেন, ‘কেউ আমাকে (বিয়ের জন্য) সাজিয়ে-গুছিয়ে দেয়নি বা কীভাবে আচরণ করতে হবে তাও শেখায়নি। ফলে আমি বিয়ে আসরে ঢুকেছিলাম সেখানে জড়সড় হয়ে থাকা নারীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে, মুখ খোলা রেখে এবং বরাবরের মতোই গোমড়া মুখে।’
ভোপালের এই রাজকন্যার বিয়েটি খুবই কম সময় স্থায়ী হয়েছিল—এক দশকেরও কম। তাঁর বৈবাহিক জীবন ছিল কঠিন। বিষয়টি কেবল তাঁর কম বয়সের জন্য নয়, বরং তাঁর স্বামীর পরিবারের কঠোর, ধর্মীয় পরিবেশের জন্যও। আবিদা অকপটে স্বীকার করেছেন, যৌনতা নিয়ে জ্ঞানের অভাব ও অস্বস্তি তাঁর দাম্পত্য জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
আবিদা তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ‘বিয়ের পরপরই আমি দাম্পত্য যন্ত্রণার জগতে প্রবেশ করি। আমি বুঝতে পারিনি যে, বিয়ের রাতের ঘটনাগুলো আমাকে এতটা আতঙ্কিত, অসাড় ও অপবিত্র অনুভব করাবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আমি কখনোই মেনে নিতে পারিনি।’ এর ফলে তাঁর দাম্পত্য জীবনে ভাঙন ধরে।

দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম নারীদের আত্মজীবনীমূলক লেখায় অন্তরঙ্গতা ও যৌনতা নিয়ে এক গবেষণায় ঐতিহাসিক শিভন ল্যামবার্ট-হার্লি দেখিয়েছেন, যৌনতা নিয়ে আবিদার অকপট বর্ণনা সেই প্রচলিত ধারণা ভেঙে দেয় যে, মুসলিম নারীরা যৌনতা নিয়ে লেখেন না। আবিদার লেখা বরং একটি নির্ভীক এক নারীর চরিত্রকেই উপস্থাপন করেছে।
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর আবিদা শ্বশুরবাড়ি কুরওয়াই ছেড়ে ভোপালে ফিরে আসেন। তবে একমাত্র সন্তান শাহরিয়ার মোহাম্মদ খানে অভিভাবকত্ব নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এই দীর্ঘ বিরোধে বিরক্ত হয়ে এবং ছেলেকে হারাতে না চেয়ে—আবিদা তাঁর স্বামীকে নিবৃত্ত করতে সাহসী এক পদক্ষেপ নেন। ১৯৩৫ সালের মার্চের এক উষ্ণ রাতে, আবিদা তিন ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে কুরওয়াইয়ে স্বামীর বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে তাঁর স্বামীর শোয়ার ঘরে ঢুকে একটি রিভলবার বের করে স্বামীর কোলে ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘হয় আমাকে গুলি করো, না হলে আমি তোমাকে গুলি করব।’
সেদিন আবিদা তাঁর স্বামীর সঙ্গে হাতাহাতি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন এবং জয়ী হন। এরপর, তিনি নিজ সন্তানকে নিয়ে ফিরে আসেন ছেলেকে লালনপালন করেন। আবিদা সুলতান ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত ভোপালের মন্ত্রিসভা পরিচালনা করেন। এরপর ভোপাল ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সঙ্গে একীভূত হয়।
আবিদা ব্রিটিশ সরকারের আহ্বানে ভারত শাসনব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকগুলোতে অংশ নেন। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধী, মতিলাল নেহরু এবং তাঁর ছেলে জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের অবনতি এবং ১৯৪৭ সালের দেশভাগ পরবর্তী সহিংসতাও প্রত্যক্ষ করেন।
নিজের স্মৃতিকথায় আবিদা বর্ণনা করেন, কীভাবে ভোপালে তিনি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন পদে পদে। শতাব্দীর পর শতাব্দী তাঁর পরিবার ভোপালে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করলেও তাদের ‘বহিরাগত’ হিসেবে দেখা শুরু হয় ভারত ভাগের পর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়কার একটি বিশেষত ভয়াবহ স্মৃতির কথা উল্লেখ করেন।
একদিন ভারত সরকার তাঁকে জানায়, মুসলিম শরণার্থীদের একটি ট্রেন ভোপালে পৌঁছাবে। ট্রেনটির যাত্রীদের দেখভাল করতে তিনি স্টেশনে যান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কামরাগুলো খুলতেই দেখা গেল, সবাই মৃত।’ এ ধরনের সহিংসতা এবং সাম্প্রদায়িক অবিশ্বাসই তাঁকে ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যেতে বাধ্য করে।
আবিদা চুপিসারে তাঁর ছেলেকে নিয়ে ভোপাল ছাড়েন, ভালো একটি ভবিষ্যতের আশায়। পাকিস্তানেও তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং গণতন্ত্র এবং নারীর অধিকারের পক্ষে কাজ করেন। ২০০২ সালে করাচিতে তার মৃত্যু হয়।
আবিদা পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পর ভারত সরকার তাঁর বোনকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করে। ভোপালে আজও আবিদা তাঁর ডাকনাম ‘বিয়া হুজুর’ নামে পরিচিত। ভোপালের নারী শাসকদের নিয়ে গবেষণা করা সাংবাদিক শামস উর রহমান আলভি বলেন, ‘গত কয়েক বছরের ধর্মীয় রাজনীতি তাঁর ঐতিহ্যকে ম্রিয়মাণ করেছে, তাঁকে নিয়ে তেমন কথা হয় না। কিন্তু তাঁর নাম এত সহজে ভুলে যাওয়ার মতো নয়।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৬ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।
পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।
মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।
দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।
পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্
২৫ নভেম্বর ২০২৪
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৬ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।
জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।
গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।
১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।
গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্
২৫ নভেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৬ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।
শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’
শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্
২৫ নভেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভূমধ্যসাগরের নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় একটি রুশ তেলবাহী ট্যাংকার ধ্বংসের ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। হামলার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। ইউক্রেন একে ‘অভূতপূর্ব বিশেষ অভিযান’ হিসেবে দাবি করলেও, রাশিয়া এটিকে আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে—ইউক্রেনীয় ড্রোনের আঘাতে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত তেলবাহী ট্যাংকার ‘কেনডিল’-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ জানিয়েছে, হামলাটি ইউক্রেন থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মাইল দূরে সংঘটিত হয়। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, এটি প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগরের বাইরে এবং নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের কোনো ড্রোন হামলা।
ইউক্রেন দাবি করেছে, হামলার সময় ট্যাংকারটি খালি ছিল এবং এতে কোনো তেল বা জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল না। ফলে পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বিস্ফোরণে জাহাজটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ট্যাংকারটি চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সিক্কা বন্দরে তেল খালাস করে ফিরে যাচ্ছিল।
এই ঘটনার পর মস্কো কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভূমধ্যসাগরে রুশ ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের হামলা কিছু বাস্তব লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়—যেমন বিমা প্রিমিয়াম বাড়ানো। কিন্তু এতে সরবরাহ ব্যাহত হবে না এবং প্রত্যাশিত ফলও পাওয়া যাবে না। বরং এটি অতিরিক্ত হুমকি তৈরি করবে। আমাদের দেশ এর জবাব দেবে।’
পুতিন আরও বলেন—বেসামরিক অবকাঠামোর ওপর আঘাতের বিষয়েও রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সব সময়ই একটি পাল্টা আঘাত ঘটবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, নিরপেক্ষ জলসীমায় ইউক্রেনের এই হামলা যুদ্ধের পরিধিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই সঙ্গে পুতিনের পাল্টা জবাবের ঘোষণা ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতকে আরও বিস্তৃত ও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্
২৫ নভেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।
৬ ঘণ্টা আগে