
আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে গত অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির পর থেকে বিক্ষোভ ও সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল ফ্রেলিমো নির্বাচনে জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান বিরোধী প্রার্থী ভেনান্সিও মন্ডলেনের সমর্থকেরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন, যা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে।
বিতর্কিত নির্বাচনের পর দেশটির ৩৫ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। রাজধানী মাপুতোর বিভিন্ন রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি, পোড়া টায়ার ও পাথরের টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জেইম নামে এক তরুণ শিক্ষার্থী ও দোকানি বলেন, ‘অনেকেই দেশের পরিবর্তন চায়।’ বেকারত্ব, দুর্নীতি এবং পুলিশের নির্যাতন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই তরুণ।
মোজাম্বিকে এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে এই অসন্তোষের মূলে রয়েছে আরও বড় বড় সমস্যা। আফ্রিকাজুড়ে যুব সমাজের মধ্যে জেইমের মতোই হতাশা বিরাজ করছে। এই বছর বতসোয়ানা, ঘানা এবং সেনেগালের মতো দেশে ভোটারেরা দুর্নীতি ও জীবিকা নির্বাহের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলগুলোকে ভোট দেয়নি। আর কেনিয়ায় মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে।
নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ
১৯৭৫ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই মোজাম্বিকে ক্ষমতায় রয়েছে ফ্রেলিমো দল। দেশটির নির্বাচনী কমিশন জানিয়েছে, অক্টোবরের নির্বাচনে ফ্রেলিমো দলের প্রার্থী ড্যানিয়েল চাপো ৭১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তবে এ ফলাফল কেউ বিশ্বাস করেছেন না। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ভোটে নানা অনিয়ম হয়েছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ শতাংশ ভোট পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ভেনান্সিও মন্ডলেন নিজেকে প্রকৃত বিজয়ী বলে দাবি করেছেন ও বিপ্লবের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর দাবির পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ না থাকলেও সমর্থকেরা তাঁর কথায় আস্থা রেখেছেন। নির্বাচনী কারচুপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এখন রূপ নিয়েছে সামাজিক বিদ্রোহে।
যুবকদের নেতৃত্বে শহরে শহরে বিদ্রোহ
একসময় আফ্রিকায় স্বৈরাচারী সরকার উৎখাতের জন্য গ্রামে গ্রামে বিদ্রোহই ছিল প্রধান উপায়। তবে খণ্ডকালীন পাদ্রী ও জনপ্রিয় নেতা মন্ডলেন দেশটির রাজনীতিতে নতুন কৌশল নিয়েছেন। তিনি শহরের যুবকদের হতাশাকে কাজে লাগাচ্ছেন।
দেশটির যুবকেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ‘সিআর৭ ’-এর মতো তাঁকে ‘ভিএম৭’ বলে ডাকেন। তিনি বিদেশ থেকে ফেসবুক লাইভে বিক্ষোভের বিভিন্ন কৌশল ঘোষণা করেন, যার মধ্যে রয়েছে ট্রাফিক জ্যাম তৈরি করা বা রান্নার পাত্র বাজিয়ে প্রতিবাদ করা।
মন্ডলেনের অনুসারীরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ স্টেশন, আদালত ও ফ্রেলিমো দলের অফিসে হামলা চালিয়েছে। এক শহরে কারাগার ভেঙে কয়েদিদের মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে প্রধান সীমান্ত বেশ কয়েকবার বন্ধ করে দিয়েছে।
অর্থনীতি ও দুর্নীতির প্রতি ক্ষোভ
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, নির্বাচনের ফলাফলের মতো অর্থনীতিও তাঁদের বিরুদ্ধে চলছে। মোজাম্বিকের গড় দারিদ্র্যের হার নয় বছর আগের চেয়ে আরও বেড়েছে। বার্ষিক মাথাপিছু গড় আয় মাত্র ৬০০ মার্কিন ডলার, যা বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
জনগণের দল হিসেবে দাবি করা ফ্রেলিমোকে এখন দুর্নীতির দুষ্টচক্রে আক্রান্ত হিসেবে বলে মনে করে দেশটির অধিকাংশ মানুষ। এক দশক আগে লন্ডনের ব্যাংকার এবং লেবাননের জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গোপনে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণ নেন। এই ঋণের বেশির ভার টাকাই লোপাট করে ফ্রেলিমো কর্মকর্তারা। ২০১৬ সালে এই গোপন ঋণের গোমর ফাঁস হলে অর্থনীতি ভেঙে পড়ে।
এ ঋণের টাকা দিয়ে বেশি দামে কেনা মাছ ধরার ট্রলার এখন বন্দরে অচলাবস্থায় পড়ে আছে। চলতি মাসে এগুলো নিলামে তোলা হলে একটি ক্রেতাও পাওয়া যায়নি।
মোজাম্বিকে বৈদেশিক পুঁজি প্রবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রপ্তানি থেকে লাভবান হচ্ছেন রাজনীতিবিদরা। সমাজবিজ্ঞানী জোয়াও ফেইজো বলেছেন, ‘ফ্রেলিমো কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি ব্যবসার ধান্ধাবাজি।’
দেশটির উত্তরের প্রদেশ কাবো ডেলগাডো এখন রুবি, হেরোইন ও কাঠ পাচারের প্রধান রুট হয়ে উঠেছে। এখানেই স্থানীয় ইসলামিক স্টেট শাখা তাঁদের ঘাঁটি তৈরি করেছে এবং বঞ্চিতদের নিজেদের দলে ভেড়াচ্ছে। ২০২১ সালে জিহাদিরা শত শত বেসামরিক মানুষ হত্যার পর টোটালএনার্জিজ সেখানে একটি বিশাল গ্যাস প্রকল্প স্থগিত করে।
প্রদেশটিতে বিক্ষোভকারীরা স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম গুলি চালানোর জন্য পরিচিত আলবার্তো চিপান্ডের একটি মূর্তি ভেঙে ফেলেছে। বর্তমানে চিপান্ডে নিজেকে বহু ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করেছেন।

ফ্রেলিমো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালাচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর মনিটরিং গ্রুপ প্লাটফর্মা ইলেক্টোরাল ডিসাইড জানায়, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত অন্তত ১১০ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করেছেন, তাঁরা শিশুদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
অ্যাকটিভিস্ট কুইতেরিয়া গুইরেঙ্গানে বলেন, ‘বিক্ষোভ থামছে না। সরকারের ঔদ্ধত্য দেখে মানুষ এতটাই ক্ষুব্ধ যে তাঁরা আর ভয় পাচ্ছেন না।’
বড় সংঘর্ষের আশঙ্কা
বড়দিনের সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেদিন সাংবিধানিক আদালত নির্বাচনের ফলাফল বৈধ ঘোষণা করার কথা রয়েছে। বিচারকরা জানিয়েছেন, তাঁরা মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন, যদিও হুমকিদাতাদের নাম প্রকাশ করেননি।
অক্টোবরে আদালতে আপিল জমা দেওয়ার প্রস্তুতির সময় বিরোধী দলের এক আইনজীবীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মন্ডলেন সমর্থকদের বলেছেন, বড়দিনে উৎসবের পরিকল্পনা বাতিল করুন ও আদালতে চ্যাপোর বিজয় ঘোষণা করা হলে রাস্তায় নেমে আসুন।
সমঝোতার পথ বন্ধ
কোনো পক্ষই আপসের পথে হাঁটতে রাজি নয়। মন্ডলেন বলেছেন, নতুন করে নির্বাচন দিলেও তাতে তিনি সন্তুষ্ট হবেন না। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফিলিপে নিউসি আলোচনার ইঙ্গিত দিলেও এর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেননি।
সেনাবাহিনীর মনোভাব এখনো পরিষ্কার নয়। অনিয়মিত নির্বাচন করা প্রতিবেশী সরকারগুলোও এই সংকট নিয়ে নীরব রয়েছে, এই সংঘাত আঞ্চলিক বাণিজ্যে প্রভাব ফেলছে।
নির্বাচনী বিতর্ক মিটলেও মোজাম্বিকের ভেঙে পড়া অর্থনীতি মজবুত করা কঠিন কাজ হবে। শহরের সংখ্যা বৃদ্ধি, স্মার্টফোন ও শিক্ষার প্রসার মানুষের প্রত্যাশা বাড়িয়েছে, কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। পুরো আফ্রিকাজুড়ে সরকারগুলো একই ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করছে। মোজাম্বিকে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, এটি শেষ ঘটনা নয়।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে গত অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির পর থেকে বিক্ষোভ ও সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল ফ্রেলিমো নির্বাচনে জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান বিরোধী প্রার্থী ভেনান্সিও মন্ডলেনের সমর্থকেরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন, যা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে।
বিতর্কিত নির্বাচনের পর দেশটির ৩৫ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। রাজধানী মাপুতোর বিভিন্ন রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি, পোড়া টায়ার ও পাথরের টুকরো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জেইম নামে এক তরুণ শিক্ষার্থী ও দোকানি বলেন, ‘অনেকেই দেশের পরিবর্তন চায়।’ বেকারত্ব, দুর্নীতি এবং পুলিশের নির্যাতন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই তরুণ।
মোজাম্বিকে এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে এই অসন্তোষের মূলে রয়েছে আরও বড় বড় সমস্যা। আফ্রিকাজুড়ে যুব সমাজের মধ্যে জেইমের মতোই হতাশা বিরাজ করছে। এই বছর বতসোয়ানা, ঘানা এবং সেনেগালের মতো দেশে ভোটারেরা দুর্নীতি ও জীবিকা নির্বাহের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলগুলোকে ভোট দেয়নি। আর কেনিয়ায় মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে।
নির্বাচনী অনিয়মের অভিযোগ
১৯৭৫ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই মোজাম্বিকে ক্ষমতায় রয়েছে ফ্রেলিমো দল। দেশটির নির্বাচনী কমিশন জানিয়েছে, অক্টোবরের নির্বাচনে ফ্রেলিমো দলের প্রার্থী ড্যানিয়েল চাপো ৭১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তবে এ ফলাফল কেউ বিশ্বাস করেছেন না। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ভোটে নানা অনিয়ম হয়েছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ শতাংশ ভোট পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ভেনান্সিও মন্ডলেন নিজেকে প্রকৃত বিজয়ী বলে দাবি করেছেন ও বিপ্লবের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর দাবির পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ না থাকলেও সমর্থকেরা তাঁর কথায় আস্থা রেখেছেন। নির্বাচনী কারচুপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এখন রূপ নিয়েছে সামাজিক বিদ্রোহে।
যুবকদের নেতৃত্বে শহরে শহরে বিদ্রোহ
একসময় আফ্রিকায় স্বৈরাচারী সরকার উৎখাতের জন্য গ্রামে গ্রামে বিদ্রোহই ছিল প্রধান উপায়। তবে খণ্ডকালীন পাদ্রী ও জনপ্রিয় নেতা মন্ডলেন দেশটির রাজনীতিতে নতুন কৌশল নিয়েছেন। তিনি শহরের যুবকদের হতাশাকে কাজে লাগাচ্ছেন।
দেশটির যুবকেরা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ‘সিআর৭ ’-এর মতো তাঁকে ‘ভিএম৭’ বলে ডাকেন। তিনি বিদেশ থেকে ফেসবুক লাইভে বিক্ষোভের বিভিন্ন কৌশল ঘোষণা করেন, যার মধ্যে রয়েছে ট্রাফিক জ্যাম তৈরি করা বা রান্নার পাত্র বাজিয়ে প্রতিবাদ করা।
মন্ডলেনের অনুসারীরা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ স্টেশন, আদালত ও ফ্রেলিমো দলের অফিসে হামলা চালিয়েছে। এক শহরে কারাগার ভেঙে কয়েদিদের মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে প্রধান সীমান্ত বেশ কয়েকবার বন্ধ করে দিয়েছে।
অর্থনীতি ও দুর্নীতির প্রতি ক্ষোভ
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, নির্বাচনের ফলাফলের মতো অর্থনীতিও তাঁদের বিরুদ্ধে চলছে। মোজাম্বিকের গড় দারিদ্র্যের হার নয় বছর আগের চেয়ে আরও বেড়েছে। বার্ষিক মাথাপিছু গড় আয় মাত্র ৬০০ মার্কিন ডলার, যা বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
জনগণের দল হিসেবে দাবি করা ফ্রেলিমোকে এখন দুর্নীতির দুষ্টচক্রে আক্রান্ত হিসেবে বলে মনে করে দেশটির অধিকাংশ মানুষ। এক দশক আগে লন্ডনের ব্যাংকার এবং লেবাননের জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গোপনে ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণ নেন। এই ঋণের বেশির ভার টাকাই লোপাট করে ফ্রেলিমো কর্মকর্তারা। ২০১৬ সালে এই গোপন ঋণের গোমর ফাঁস হলে অর্থনীতি ভেঙে পড়ে।
এ ঋণের টাকা দিয়ে বেশি দামে কেনা মাছ ধরার ট্রলার এখন বন্দরে অচলাবস্থায় পড়ে আছে। চলতি মাসে এগুলো নিলামে তোলা হলে একটি ক্রেতাও পাওয়া যায়নি।
মোজাম্বিকে বৈদেশিক পুঁজি প্রবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রপ্তানি থেকে লাভবান হচ্ছেন রাজনীতিবিদরা। সমাজবিজ্ঞানী জোয়াও ফেইজো বলেছেন, ‘ফ্রেলিমো কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি ব্যবসার ধান্ধাবাজি।’
দেশটির উত্তরের প্রদেশ কাবো ডেলগাডো এখন রুবি, হেরোইন ও কাঠ পাচারের প্রধান রুট হয়ে উঠেছে। এখানেই স্থানীয় ইসলামিক স্টেট শাখা তাঁদের ঘাঁটি তৈরি করেছে এবং বঞ্চিতদের নিজেদের দলে ভেড়াচ্ছে। ২০২১ সালে জিহাদিরা শত শত বেসামরিক মানুষ হত্যার পর টোটালএনার্জিজ সেখানে একটি বিশাল গ্যাস প্রকল্প স্থগিত করে।
প্রদেশটিতে বিক্ষোভকারীরা স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম গুলি চালানোর জন্য পরিচিত আলবার্তো চিপান্ডের একটি মূর্তি ভেঙে ফেলেছে। বর্তমানে চিপান্ডে নিজেকে বহু ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করেছেন।

ফ্রেলিমো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালাচ্ছে। ১০ ডিসেম্বর মনিটরিং গ্রুপ প্লাটফর্মা ইলেক্টোরাল ডিসাইড জানায়, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত অন্তত ১১০ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে অভিযোগ করেছেন, তাঁরা শিশুদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
অ্যাকটিভিস্ট কুইতেরিয়া গুইরেঙ্গানে বলেন, ‘বিক্ষোভ থামছে না। সরকারের ঔদ্ধত্য দেখে মানুষ এতটাই ক্ষুব্ধ যে তাঁরা আর ভয় পাচ্ছেন না।’
বড় সংঘর্ষের আশঙ্কা
বড়দিনের সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেদিন সাংবিধানিক আদালত নির্বাচনের ফলাফল বৈধ ঘোষণা করার কথা রয়েছে। বিচারকরা জানিয়েছেন, তাঁরা মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন, যদিও হুমকিদাতাদের নাম প্রকাশ করেননি।
অক্টোবরে আদালতে আপিল জমা দেওয়ার প্রস্তুতির সময় বিরোধী দলের এক আইনজীবীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মন্ডলেন সমর্থকদের বলেছেন, বড়দিনে উৎসবের পরিকল্পনা বাতিল করুন ও আদালতে চ্যাপোর বিজয় ঘোষণা করা হলে রাস্তায় নেমে আসুন।
সমঝোতার পথ বন্ধ
কোনো পক্ষই আপসের পথে হাঁটতে রাজি নয়। মন্ডলেন বলেছেন, নতুন করে নির্বাচন দিলেও তাতে তিনি সন্তুষ্ট হবেন না। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফিলিপে নিউসি আলোচনার ইঙ্গিত দিলেও এর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেননি।
সেনাবাহিনীর মনোভাব এখনো পরিষ্কার নয়। অনিয়মিত নির্বাচন করা প্রতিবেশী সরকারগুলোও এই সংকট নিয়ে নীরব রয়েছে, এই সংঘাত আঞ্চলিক বাণিজ্যে প্রভাব ফেলছে।
নির্বাচনী বিতর্ক মিটলেও মোজাম্বিকের ভেঙে পড়া অর্থনীতি মজবুত করা কঠিন কাজ হবে। শহরের সংখ্যা বৃদ্ধি, স্মার্টফোন ও শিক্ষার প্রসার মানুষের প্রত্যাশা বাড়িয়েছে, কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। পুরো আফ্রিকাজুড়ে সরকারগুলো একই ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করছে। মোজাম্বিকে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, এটি শেষ ঘটনা নয়।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
২ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে গত অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির পর থেকে বিক্ষোভ ও সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল ফ্রেলিমো নির্বাচনে জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান বিরোধী প্রার্থী ভেনান্সিও মন্ডলেনের সমর্থকরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন, যা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে।
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে গত অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির পর থেকে বিক্ষোভ ও সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল ফ্রেলিমো নির্বাচনে জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান বিরোধী প্রার্থী ভেনান্সিও মন্ডলেনের সমর্থকরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন, যা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে।
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে গত অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির পর থেকে বিক্ষোভ ও সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল ফ্রেলিমো নির্বাচনে জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান বিরোধী প্রার্থী ভেনান্সিও মন্ডলেনের সমর্থকরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন, যা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে।
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
২ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে গত অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনে ভোট কারচুপির পর থেকে বিক্ষোভ ও সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল ফ্রেলিমো নির্বাচনে জালিয়াতি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধান বিরোধী প্রার্থী ভেনান্সিও মন্ডলেনের সমর্থকরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন, যা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে।
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
২ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে