Ajker Patrika

নেচারে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন

৭ জেলায় মুরগির খামারে চলছে নির্বিচারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার, মারাত্মক ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ১১: ২৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাণিজ্যিক মুরগির খামারের ওপর পরিচালিত এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, মুরগি পালনে ব্যাপক হারে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে। এই খাতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে, বিশেষ করে মাংসের জন্য পালিত মুরগির মধ্যে।

সমীক্ষা অনুযায়ী, ব্রয়লার (সাদা ব্রয়লার) খামারগুলোতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হার গড়ে ৭৮ শতাংশ এবং সোনালি মুরগির খামারগুলোতে এই হার ৬৭ শতাংশ এবং ডিম পাড়া মুরগির (লেয়ার) খামারে এই হার ৪১ শতাংশ।

বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

নির্বিচারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে মুরগির মধ্যে তৈরি হওয়া অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বা জীবাণুনাশক ওষুধে প্রতিরোধ ক্ষমতা মানুষ ও প্রাণী—উভয়ের জন্য একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। এ কারণে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বাংলাদেশের মুরগির খামারে এএমইউ ধরন ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হয়েছে।

যৌথভাবে গবেষণাটি পরিচালনা করেছে বাংলাদেশের ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর), অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল সেন্টার ফর এপিডেমোলজি অ্যান্ড পপুলেশন হেলথ, বাংলাদেশের আইসিডিডিআর, বি—এর ইনফেকশাস ডিজিজ ডিভিশন, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেকের ডিপার্টমেন্ট অব ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগ। এ ছাড়া, অস্ট্রেলিয়ার গাটুনের ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ড, কুইন্সল্যান্ড অ্যালায়েন্স ফর ওয়ান হেলথ সায়েন্স, স্কুল অব ভেটেরিনারি সায়েন্স ও অস্ট্রেলিয়ার চার্লস স্টুর্ট ইউনিভার্সিটির গুলবালি ইনস্টিটিউটও এই গবেষণায় যুক্ত ছিল।

নেচারে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের সাতটি জেলার ৩৪০টি বাণিজ্যিক মুরগির খামারে একটি ‘ক্রস-সেকশনাল’ সমীক্ষা চালানো হয়। এর মধ্যে ব্রয়লার খামার ছিল ১০৯ টি, লেয়ার খামার ১০৯টি এবং সোনালি মুরগির খামার ১২২টি।

গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী ৯৩ দশমিক ২ শতাংশ খামারে (অর্থাৎ, ৩৪০টি খামারের মধ্যে ৩১৭ টিতে) উৎপাদন চক্রে অন্তত একবার হলেও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়েছে। জরিপ শুরুর আগের ১৪ দিনে ৬৭ শতাংশ খামারি মুরগিকে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছেন। মাংস উৎপাদনকারী মুরগির খামারে—যেমন ব্রয়লারের ক্ষেত্রে ৭৮ শতাংশ ও সোনালি মুরগির ক্ষেত্রে ৬৭ দশমিক ২ শতাংশ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহার করা হয়েছিল। অন্যদিকে ডিম উৎপাদনকারী লেয়ার মুরগির খামারে এই হার ছিল ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ।

গবেষণায় বাংলাদেশের পোলট্রি শিল্পে নির্বিচারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের চিত্র উঠে এসেছে। এর ফলে, মাংসে ওষুধের অবশিষ্টাংশ থেকে শুরু করে জীবাণুনাশক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তাই খামারিদের এই ধরনের ওষুধ ব্যবহার সম্পর্কিত জ্ঞান, মনোভাব ও অনুশীলন (কেএএপি) উন্নয়নে প্রশিক্ষণ জরুরি, যাতে প্রাণীর স্বাস্থ্য, মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

নুর না মামুন—বিতর্কে আবারও সংঘর্ষে বিএনপি–গণঅধিকার, আহত ৩১

১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে নির্বাচন করা কঠিন: আসিফ মাহমুদ

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মানসিক চাপ ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে শিল্পকর্ম

ফিচার ডেস্ক
মানসিক চাপ ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে শিল্পকর্ম

শুধু চোখের আরাম নয়, শিল্পকর্ম মনকেও প্রফুল্ল করে। এ বিষয়ে লন্ডনে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, আর্ট গ্যালারিতে ঘুরে বেড়ালে মানসিক চাপ ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও বাড়ে।

ভাবুন তো, নিস্তব্ধ গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে আছেন। সামনে ভ্যান গঘ বা গগ্যাঁর কোনো বিখ্যাত ছবি। হালকা আলো ও শান্ত পরিবেশে ক্যানভাসের রংগুলো ধীরে ধীরে আপনাকে যেন টেনে নিচ্ছে। এই অভিজ্ঞতা যে শুধু মনকে শান্ত করে, তা নয়; একই সঙ্গে আপনার শরীরও প্রতিক্রিয়া জানায়।

গবেষণায় কী দেখা গেল

কিংস কলেজ লন্ডনের নেতৃত্বে হওয়া এই গবেষণায় অংশ নেন যুক্তরাজ্যের ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী। দুই দলে ভাগ করে তাঁদের অর্ধেককে লন্ডনের কোর্টল্ড গ্যালারিতে আসল চিত্রকর্ম দেখানো হয়। বাকি অর্ধেক গ্যালারির বাইরের সাধারণ পরিবেশে একই ছবি দেখেন কাগজে, ছাপা আকারে। সবাইকে সেন্সর পরিয়ে হার্ট রেট, ত্বকের তাপমাত্রা, এমনকি লালার নমুনা পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়। অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের শরীর ঠিক কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে, তা জানার জন্য এত আয়োজন করা হয়।

ফলাফলে দেখা গেছে, গ্যালারিতে শিল্পীদের আসল শিল্পকর্ম দেখা গ্রুপের স্ট্রেস হরমোন গড়ে কমেছে ২২ শতাংশ। অন্যদিকে যারা বাইরের পরিবেশে কপি চিত্রকর্ম দেখেছে, তাদের সেই হরমোন কমেছে মাত্র ৮ শতাংশ।

এই গবেষণা প্রমাণ করে, শিল্পকর্ম শুধু মন প্রফুল্ল করে না, এটি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও কাজে দেয়।

শিল্প কীভাবে কাজ করে

শিল্পকর্ম একই সঙ্গে তিনটি সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। সেগুলো হলো ইমিউন সিস্টেম, এন্ডোক্রাইন সিস্টেম এবং অটোনমিক নার্ভাস সিস্টেম। গ্যালারিতে যারা আসল ছবি দেখেছে, তাদের শরীরে কয়েকটা হালকা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ত্বকের তাপমাত্রা সামান্য কমেছে, হৃৎস্পন্দন একটু বেড়েছে বা কমেছে। সহজভাবে বলতে গেলে, আসল শিল্পকর্ম স্বেচ্ছাসেবীদের শরীর সতেজ করে তুলেছিল।

গবেষক ড. টনি উডস বলেন, ‘আমরা জানতাম, শিল্প মানুষের আবেগকে নাড়া দেয়। কিন্তু একই সঙ্গে স্ট্রেস কমিয়ে তিনটি সিস্টেমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এটা সত্যিই বিস্ময়কর।’

শিল্প সবার জন্য

গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের সবার সংবেদনশীলতার ধরন ছিল আলাদা। কিন্তু তাতে ফলাফলে তেমন কোনো পার্থক্য হয়নি। অর্থাৎ আপনি খুব আবেগপ্রবণ হোন কিংবা না হোন, শিল্পকর্ম দেখার উপকার সবাই একইভাবে পেতে পারেন। আর্ট ফান্ডের পরিচালক জেনি ওয়াল্ডম্যান বলেন, ‘আমরা সব সময় বিশ্বাস করতাম যে শিল্প মানুষের জন্য। এবার তা বিজ্ঞানের ভাষাতেও আবার প্রমাণিত হলো।’

জেনি ওয়াল্ডম্যানের মতে, যেহেতু এই উপকারগুলো কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষে সীমাবদ্ধ নয়, তাই সবাইকে নিয়মিত নিকটস্থ জাদুঘর বা গ্যালারিতে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত।

দিনে দিনে ব্যস্ততা, চাপ, ক্লান্তি—এসব নীরবে আমাদের প্রায় সবার শরীরের ক্ষতি করে চলেছে। অথচ কখনো কখনো একটু সময় বের করে কোনো আর্ট গ্যালারিতে ঢুঁ মেরে এলে তা কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

নুর না মামুন—বিতর্কে আবারও সংঘর্ষে বিএনপি–গণঅধিকার, আহত ৩১

১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে নির্বাচন করা কঠিন: আসিফ মাহমুদ

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মনমেজাজ ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার জরুরি

হাসিবুল হাসান
মনমেজাজ ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার জরুরি

মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং ক্লান্তি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস এই মানসিক অবস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।

আমাদের মস্তিষ্ক কাজ করে বিভিন্ন নিউরোট্রান্সমিটার কিংবা রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে। সেরোটোনিন, ডোপামিন, গ্যাবা ইত্যাদি মানুষের মনমেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এসব তৈরির মূল কাঁচামাল পাওয়া যায় খাদ্য থেকে। যেমন ট্রিপটোফান থেকে তৈরি হয় সেরোটোনিন; যা কলা, ডিম, বাদাম ও দুধে পাওয়া যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ মানসিক প্রশান্তিতে সাহায্য করে। এটি পাওয়া যায় ইলিশ, সার্ডিন মাছ ও আখরোটে। ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ু স্থিতিশীল রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়।

সাম্প্রতিক জরিপগুলো বলছে, দেশে প্রতি চারজনে একজন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। অনেকের খাদ্যতালিকায় থাকে উচ্চমাত্রার প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি, ফাস্ট ফুড, সফট ড্রিংক। এসব মেজাজ খারাপ করে, ঘুম ব্যাহত করে, এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে বিষণ্নতা সৃষ্টি করে।

অন্যদিকে যাঁরা ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ও দইজাতীয় প্রোবায়োটিকস গ্রহণ করেন, তাঁদের মন ভালো থাকে। তাঁদের মধ্যে আবেগের ওঠানামা তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়। অন্ত্র ও মস্তিষ্কের মধ্যকার সম্পর্ক আজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।

যাঁরা দিনের শুরুতে সুষম নাশতা খান, তাঁদের মনোযোগ ও মানসিক স্থিতি ভালো থাকে। আবার যাঁরা সকালে খাবার বাদ দিয়ে শুধু কফি বা চিনিজাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে রাগ, হতাশা ও অবসাদ বেশি দেখা যায়।

দেশে কিশোর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও বিষণ্নতা বাড়ছে। তাদের খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের ঘাটতি, ভিটামিন বি১২-এর অভাব, নিয়মহীন খাবারের সময়সূচি ইত্যাদি বেশ সাধারণ। স্কুল ও পরিবারের উচিত সচেতনভাবে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা।

খাবার শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, এটি আমাদের অনুভূতি, আবেগ এবং মনের রসায়নেরও ভিত্তি। সঠিক খাবার নির্বাচন করলে মন হালকা থাকে, ঘুম ভালো হয় এবং কাজে আগ্রহ বাড়ে। অন্যদিকে ভুল খাবার গ্রহণ মানসিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে পুষ্টির বিষয়টিও সামনে আনতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে এই সংযুক্তি এখন সময়ের দাবি।

আপনি প্রতিদিন কী খাচ্ছেন, সেটি শুধু শরীর নয়, মনকেও গড়ে তুলছে। তাই মনমেজাজ ঠিক রাখতে হলে তালিকায় রাখতে হবে সঠিক ও পরিমিত খাবার।

ডায়েটিশিয়ান, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অ্যান্ড, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

নুর না মামুন—বিতর্কে আবারও সংঘর্ষে বিএনপি–গণঅধিকার, আহত ৩১

১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে নির্বাচন করা কঠিন: আসিফ মাহমুদ

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া এড়াবেন যেভাবে

ফিচার ডেস্ক
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া এড়াবেন যেভাবে

যেকোনো ঝাল কিংবা নোনতা খাবারে লবণ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে অন্যান্য খাদ্য উপাদানের মতো বেশি লবণ খাওয়া বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে। খাওয়ার সময় অনেকে পাতে আলাদা লবণ নিয়ে থাকেন, কেউ আবার সামনে রাখেন সল্ট শেকার। খাবার যা-ই নেন না কেন, পাতে ঝেড়ে নেন লবণ। অথচ কমবেশি সবারই জানা, এই লবণ বাড়িয়ে তোলে রক্তচাপ। রক্তনালিতে বেশি লবণ মানে রক্তে পানির পরিমাণ বেশি। এ কারণেই রক্তচাপ বেড়ে যায়।

প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১১ বছরের বেশি বয়সের শিশুদের দিনে ৫ থেকে ৬ গ্রামের বেশি লবণ কোনোভাবেই খাওয়া উচিত নয়। সাধারণত ৬ গ্রাম লবণ এক চা-চামচ পরিমাণ হয়।

আর তাতে থাকে ২ দশমিক ৪ গ্রাম সোডিয়াম। শিশুদের লবণ খেতে হবে আরও কম। আমরা যে খাবার খাই, তার তিন-চতুর্থাংশ রেডিমেড খাবার। সেগুলো হতে পারে রুটি, সকালের নাশতা ইত্যাদি। এই অবস্থায় কী করবেন—

খাবার পরীক্ষা করে দেখুন, তাতে লবণ কম কি না।

  • রান্নার সময় লবণ দেবেন না। এর পরিবর্তে দিন লতাগুল্মের ফ্লেভার, লেবুর রস, গোলমরিচ, মসলা।
  • কোনোভাবেই খাবারের পাতে লবণ নেবেন না।
  • টেবিলে সল্ট শেকার রাখবেন না।
  • সস বা আচার খাবেন না। এমনকি রান্নাতেও নয়।
  • টেক অ্যাওয়ে বা ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁয় যাবেন না।
  • নতুন ফ্লেভারে জিব অভ্যস্ত হলে খাবারে আর লবণ যোগ করতে হবে না।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

নুর না মামুন—বিতর্কে আবারও সংঘর্ষে বিএনপি–গণঅধিকার, আহত ৩১

১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে নির্বাচন করা কঠিন: আসিফ মাহমুদ

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ৪৮৮ জন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮৮ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে এই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৪, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮৯, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৫, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৬ জন রয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় ৫৭৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭২ হাজার ৯৬৬ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

চলতি বছরের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ নারী রয়েছে।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১, আগস্টে ৩৯ ও সেপ্টেম্বরে ৭৬, অক্টোবরে ৮০ জন মারা গেছে। মার্চে কারও মৃত্যু হয়নি। আর নভেম্বরে এখন পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ সীমান্তে সেনাসমাবেশ বাড়াচ্ছে ভারত, চিকেনস নেকের কাছে নতুন তিন গ্যারিসন

‘এখন যুবলীগের কার্যক্রম নেই, তাই এনসিপিতে এসেছি’

নুর না মামুন—বিতর্কে আবারও সংঘর্ষে বিএনপি–গণঅধিকার, আহত ৩১

১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে নির্বাচন করা কঠিন: আসিফ মাহমুদ

রিজভীর পা ছুঁয়ে সালাম করা ট্রাফিক সার্জেন্ট আরিফুল প্রত্যাহার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত