ফিচার ডেস্ক

চিনির বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম চিনির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। প্রোটিন বার, লো-কার্ব ডায়েট পণ্য থেকে শুরু করে সকালের চা-কফিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে এরিথ্রিটলের মতো কৃত্রিম চিনি। ওজন নিয়ন্ত্রণ বা ক্যালরি কমানোর লক্ষ্যে একে দারুণ সমাধান মনে করা হলেও সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন শঙ্কা। কার্ডিওভাসকুলার বিশেষজ্ঞ ড. স্ট্যানলি হ্যাজেনের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় উঠে এসেছে, এরিথ্রিটল হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
এরিথ্রিটল কী
এরিথ্রিটল একটি সুগার অ্যালকোহল। এটি দেখতে ও স্বাদে চিনির মতো হলেও এতে প্রায় কোনো ক্যালরি নেই। এটি প্রাকৃতিকভাবে কিছু ফল ও শাকসবজিতে অল্প পরিমাণে পাওয়া গেলেও বাণিজ্যিকভাবে চিনির ৭০ শতাংশ মিষ্টি, কিন্তু ক্যালরি প্রায় শূন্য। এটি রক্তে শোষিত হয়ে সরাসরি প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। বাজারে যেসব ‘সুগার-ফ্রি’, ‘ডায়াবেটিক-ফ্রেন্ডলি’, ‘কিটো ফ্রেন্ডলি’ পণ্য রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশেই এরিথ্রিটল ব্যবহৃত হয়।
গবেষণার ফল
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের গবেষক দল ২০২৩ সালে স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর পরীক্ষা চালায়। দেখা যায়, একটি মাফিন বা ডায়েট সোডায় থাকা পরিমাণ এরিথ্রিটল গ্রহণের পর রক্তে এর মাত্রা ১ হাজার গুণের বেশি বেড়ে যায়। এই বৃদ্ধির সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতাও বেড়ে যায়, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মূল কারণ। অন্যদিকে, চিনি খাওয়ার পর এমন ঝুঁকি তেমন দেখা যায়নি।
হৃদ্রোগীদের জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা
ডায়াবেটিস, স্থূলতা বা হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এরিথ্রিটল বিশেষভাবে বিপজ্জনক। ২০২২ সালে নেচার মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তে এরিথ্রিটলের উচ্চমাত্রা থাকা রোগীদের ৩ বছরের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ থাকে। ল্যাবরেটরিতে রক্তের নমুনায় এরিথ্রিটল যোগ করলে প্লাটিলেট জমাট বাঁধার ক্ষমতা বেড়ে যায়, যা প্রাণিদেহের পরীক্ষায়ও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
গবেষণার সহলেখক ও কার্ডিওলজিস্ট ড. ডব্লিউ এইচ উইলসন ট্যাং বলেছেন, ‘এরিথ্রিটলযুক্ত খাবার সরাসরি রক্ত জমাট বাঁধে। দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা না হওয়া পর্যন্ত সতর্ক থাকাই উত্তম।’ এই গবেষণা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ড. হ্যাজেনের মতে, ‘হৃদ্রোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে খাদ্যাভ্যাস যেন এই ঝুঁকি না বাড়ায়।’ যদিও এরিথ্রিটল নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন, তবে উচ্চ হৃদ্ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য এখনই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কম ক্যালরির লোভে কৃত্রিম চিনি ব্যবহারের আগে ভাবুন। স্বাদে মিষ্টি এই পণ্যগুলো হয়তো আপনার অজান্তেই হৃদয়কে বিষিয়ে তুলছে। স্বাস্থ্যসচেতন হতে গিয়ে যেন বিপদ ডেকে না আনা হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকা জরুরি।
সূত্র: আর্থ ডটকম

চিনির বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম চিনির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। প্রোটিন বার, লো-কার্ব ডায়েট পণ্য থেকে শুরু করে সকালের চা-কফিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে এরিথ্রিটলের মতো কৃত্রিম চিনি। ওজন নিয়ন্ত্রণ বা ক্যালরি কমানোর লক্ষ্যে একে দারুণ সমাধান মনে করা হলেও সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন শঙ্কা। কার্ডিওভাসকুলার বিশেষজ্ঞ ড. স্ট্যানলি হ্যাজেনের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় উঠে এসেছে, এরিথ্রিটল হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
এরিথ্রিটল কী
এরিথ্রিটল একটি সুগার অ্যালকোহল। এটি দেখতে ও স্বাদে চিনির মতো হলেও এতে প্রায় কোনো ক্যালরি নেই। এটি প্রাকৃতিকভাবে কিছু ফল ও শাকসবজিতে অল্প পরিমাণে পাওয়া গেলেও বাণিজ্যিকভাবে চিনির ৭০ শতাংশ মিষ্টি, কিন্তু ক্যালরি প্রায় শূন্য। এটি রক্তে শোষিত হয়ে সরাসরি প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। বাজারে যেসব ‘সুগার-ফ্রি’, ‘ডায়াবেটিক-ফ্রেন্ডলি’, ‘কিটো ফ্রেন্ডলি’ পণ্য রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশেই এরিথ্রিটল ব্যবহৃত হয়।
গবেষণার ফল
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের গবেষক দল ২০২৩ সালে স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর পরীক্ষা চালায়। দেখা যায়, একটি মাফিন বা ডায়েট সোডায় থাকা পরিমাণ এরিথ্রিটল গ্রহণের পর রক্তে এর মাত্রা ১ হাজার গুণের বেশি বেড়ে যায়। এই বৃদ্ধির সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতাও বেড়ে যায়, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মূল কারণ। অন্যদিকে, চিনি খাওয়ার পর এমন ঝুঁকি তেমন দেখা যায়নি।
হৃদ্রোগীদের জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা
ডায়াবেটিস, স্থূলতা বা হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এরিথ্রিটল বিশেষভাবে বিপজ্জনক। ২০২২ সালে নেচার মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তে এরিথ্রিটলের উচ্চমাত্রা থাকা রোগীদের ৩ বছরের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ থাকে। ল্যাবরেটরিতে রক্তের নমুনায় এরিথ্রিটল যোগ করলে প্লাটিলেট জমাট বাঁধার ক্ষমতা বেড়ে যায়, যা প্রাণিদেহের পরীক্ষায়ও নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
গবেষণার সহলেখক ও কার্ডিওলজিস্ট ড. ডব্লিউ এইচ উইলসন ট্যাং বলেছেন, ‘এরিথ্রিটলযুক্ত খাবার সরাসরি রক্ত জমাট বাঁধে। দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা না হওয়া পর্যন্ত সতর্ক থাকাই উত্তম।’ এই গবেষণা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ড. হ্যাজেনের মতে, ‘হৃদ্রোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর প্রধান কারণ। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে খাদ্যাভ্যাস যেন এই ঝুঁকি না বাড়ায়।’ যদিও এরিথ্রিটল নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন, তবে উচ্চ হৃদ্ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য এখনই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কম ক্যালরির লোভে কৃত্রিম চিনি ব্যবহারের আগে ভাবুন। স্বাদে মিষ্টি এই পণ্যগুলো হয়তো আপনার অজান্তেই হৃদয়কে বিষিয়ে তুলছে। স্বাস্থ্যসচেতন হতে গিয়ে যেন বিপদ ডেকে না আনা হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকা জরুরি।
সূত্র: আর্থ ডটকম

জীবনে রঙের অস্তিত্ব না থাকলে কেমন হতো? নির্জীব, একঘেয়ে কেমন যেন নিরানন্দ কিংবা নেই কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা। রঙিন কিছু দেখলেই আমাদের মন যেন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, খাবারের বেলায়ও এটি একই রকম সত্য।
৩ দিন আগে
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
৫ দিন আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
৫ দিন আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
৫ দিন আগে