মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভাগ কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। শিশুটির স্নায়বিক সমস্যা থাকায় যা করাতে হবে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) রেখে।
আবদুর রহিম ছেলের কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য পাশের জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটে (এনআইকেডিইউ) যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা নেই। রাজধানীর আরও অন্তত ১০টি বিশেষায়িত হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে রহিমের উদ্বেগ আরও বাড়ে। কারণ, এসব হাসপাতালেও সেই সুবিধা নেই। সবশেষে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে (ঢাকা শিশু হাসপাতাল) পিআইসিইউসহ ডায়ালাইসিসের সুবিধার খোঁজ পান; কিন্তু শয্যা খালি নেই। দুদিন অপেক্ষার পর ছেলেকে ভর্তি করাতে পেরেছেন।
দেশে শিশুদের কিডনি রোগের চিকিৎসার বাস্তব চিত্র অনেকটাই ফুটে উঠেছে আবদুর রহিমের অভিজ্ঞতা থেকে। জাতীয় পর্যায়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা না থাকায় দেশে শিশু কিডনি রোগীর সঠিক সংখ্যা কারও জানা নেই। তবে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মেডিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ জার্নাল বলছে, দেশে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের মধ্যে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কিডনি রোগী। আর গত অক্টোবরে ঢাকায় ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আয়োজিত একটি সম্মেলনে বলা হয়, দেশের প্রায় ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন পর্যায়ের কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে আড়াই লাখ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগী (সিকেডি)। জন্মগত, ডায়রিয়ার পরে অ্যাকিউট কিডনি ফেইলিওর এবং নেফ্রাইটিসের প্রদাহ শিশুদের কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ এবং শেষ পর্যায়ের কিডনি রোগ (ইএসআরডি) দেখা যায় না। ছয়-সাত বছরের শিশুদের মধ্যে এই পর্যায়ের কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া যেকোনো বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের কারণে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ বা অন্য কোনো কারণে কিডনির কার্যকারিতা হঠাৎ কমে যেতে পারে; যাকে অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি (একেআই) বলা হয়। সে ক্ষেত্রে শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে পিআইসিইউতে রেখে ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
কিন্তু দেশে শিশু কিডনি রোগীর তুলনায় চিকিৎসার সুবিধা একেবারেই কম। শিশুদের জন্য স্বতন্ত্র ডায়ালাইসিস মেশিন লাগে। দেশে কিডনি রোগের সরকারি সর্বোচ্চ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান এনআইকেডিইউর সূত্র জানায়, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা না থাকায় ১০ শয্যার শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট খুলতে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। দেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা ও শিক্ষার সর্বোচ্চ সরকারি এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু কিডনি রোগের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও নিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অবশ্য শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট না থাকায় ডায়ালাইসিস শিখতে তাঁদের যেতে হয় বাংলাদেশে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এনআইকেডিইউতে এখনো ১২ বছরের কম বয়সী কারও কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়নি। ৫ শয্যার পিআইসিইউতে রিভার্স অসমোসিস সুবিধা থাকায় শিশুদের জন্য ডায়ালাইসিস মেশিন এলেই সেবা চালু করা যাবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
শিশু হাসপাতাল ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিশুদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা আছে। কিছু বেসরকারি হাসপাতালে সীমিতভাবে এই সুবিধা আছে।
কিডনি মানবদেহে প্রবাহিত সব রক্ত ছেঁকে দূষিত বর্জ্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে মূত্র হিসেবে বের করে দেয়। কিডনি বিকল হলে এ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিডনির পরিবর্তে কৃত্রিম ছাঁকনি ব্যবহার করে দেহ থেকে রক্ত ছেঁকে বর্জ্য বের করার প্রক্রিয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডায়ালাইসিস বলা হয়।
কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত বড় কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। অনেকের ক্ষেত্রে এমনও হয়, কিডনি পুরোপুরি বিকল হওয়ার পর উপসর্গ প্রকাশ পায়। এ ছাড়া দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য আসেন একদম শেষ পর্যায়ে। যত দিন কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হয় না, তত দিন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
এনআইকেডিইউর তথ্য বলছে, দেশে অন্তত ২ কোটি মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে বছরে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে কিডনি রোগের শেষ পর্যায়ে পৌঁছায়। গ্লোমারুলোনেফ্রাইটিস (জিএন), ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, নেফ্রোপ্যাথি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান কারণ। দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা রয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠানে। ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে ৬৫০টি। ডায়ালাইসিস প্রয়োজন এমন রোগীদের মাত্র ২৫ শতাংশ এই সুবিধার আওতায় আসছে। এর কারণ, ডায়ালাইসিস সেবার অপর্যাপ্ততা ও উচ্চ খরচ।
বিএসএমএমইউর শিশু কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে ডায়ালাইসিস শুরু করি। এরপর শুরু হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালে। এর বাইরে কিছু বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হলেও তা উল্লেখযোগ্য নয়। শিশু কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের চাহিদার তুলনায় বিদ্যমান সুবিধা খুব নগণ্য। এই সুবিধা চালুর বিষয়ে বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারের পদক্ষেপের তেমন অগ্রগতি হয়নি।’ তিনি জানান, দেশে বর্তমানে বিএসএমএমইউ, এনআইকেডিইউ ও শিশু হাসপাতালে শিশু কিডনি রোগের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (ডক্টর অব মেডিসিন) রয়েছে। প্রতিবছর নতুন করে ৬-৭ জন শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ বের হচ্ছেন।
জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বাবরুল আলম বলেন, ‘শিশুদের কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া ইউরোলজির সব ধরনের অস্ত্রোপচার আমরা করতে পারি। এখানে শিশু কিডনি রোগ বিভাগ অনেক গোছানো। আমরা চেষ্টা করছি, শিগগির শিশুদের ডায়ালাইসিস চালু করতে পারব।’

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভাগ কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। শিশুটির স্নায়বিক সমস্যা থাকায় যা করাতে হবে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) রেখে।
আবদুর রহিম ছেলের কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য পাশের জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটে (এনআইকেডিইউ) যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা নেই। রাজধানীর আরও অন্তত ১০টি বিশেষায়িত হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে রহিমের উদ্বেগ আরও বাড়ে। কারণ, এসব হাসপাতালেও সেই সুবিধা নেই। সবশেষে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে (ঢাকা শিশু হাসপাতাল) পিআইসিইউসহ ডায়ালাইসিসের সুবিধার খোঁজ পান; কিন্তু শয্যা খালি নেই। দুদিন অপেক্ষার পর ছেলেকে ভর্তি করাতে পেরেছেন।
দেশে শিশুদের কিডনি রোগের চিকিৎসার বাস্তব চিত্র অনেকটাই ফুটে উঠেছে আবদুর রহিমের অভিজ্ঞতা থেকে। জাতীয় পর্যায়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা না থাকায় দেশে শিশু কিডনি রোগীর সঠিক সংখ্যা কারও জানা নেই। তবে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মেডিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ জার্নাল বলছে, দেশে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের মধ্যে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কিডনি রোগী। আর গত অক্টোবরে ঢাকায় ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আয়োজিত একটি সম্মেলনে বলা হয়, দেশের প্রায় ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন পর্যায়ের কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে আড়াই লাখ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগী (সিকেডি)। জন্মগত, ডায়রিয়ার পরে অ্যাকিউট কিডনি ফেইলিওর এবং নেফ্রাইটিসের প্রদাহ শিশুদের কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ এবং শেষ পর্যায়ের কিডনি রোগ (ইএসআরডি) দেখা যায় না। ছয়-সাত বছরের শিশুদের মধ্যে এই পর্যায়ের কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া যেকোনো বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের কারণে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ বা অন্য কোনো কারণে কিডনির কার্যকারিতা হঠাৎ কমে যেতে পারে; যাকে অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি (একেআই) বলা হয়। সে ক্ষেত্রে শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে পিআইসিইউতে রেখে ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
কিন্তু দেশে শিশু কিডনি রোগীর তুলনায় চিকিৎসার সুবিধা একেবারেই কম। শিশুদের জন্য স্বতন্ত্র ডায়ালাইসিস মেশিন লাগে। দেশে কিডনি রোগের সরকারি সর্বোচ্চ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান এনআইকেডিইউর সূত্র জানায়, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা না থাকায় ১০ শয্যার শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট খুলতে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। দেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা ও শিক্ষার সর্বোচ্চ সরকারি এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু কিডনি রোগের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও নিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অবশ্য শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট না থাকায় ডায়ালাইসিস শিখতে তাঁদের যেতে হয় বাংলাদেশে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এনআইকেডিইউতে এখনো ১২ বছরের কম বয়সী কারও কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়নি। ৫ শয্যার পিআইসিইউতে রিভার্স অসমোসিস সুবিধা থাকায় শিশুদের জন্য ডায়ালাইসিস মেশিন এলেই সেবা চালু করা যাবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
শিশু হাসপাতাল ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিশুদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা আছে। কিছু বেসরকারি হাসপাতালে সীমিতভাবে এই সুবিধা আছে।
কিডনি মানবদেহে প্রবাহিত সব রক্ত ছেঁকে দূষিত বর্জ্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে মূত্র হিসেবে বের করে দেয়। কিডনি বিকল হলে এ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিডনির পরিবর্তে কৃত্রিম ছাঁকনি ব্যবহার করে দেহ থেকে রক্ত ছেঁকে বর্জ্য বের করার প্রক্রিয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডায়ালাইসিস বলা হয়।
কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত বড় কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। অনেকের ক্ষেত্রে এমনও হয়, কিডনি পুরোপুরি বিকল হওয়ার পর উপসর্গ প্রকাশ পায়। এ ছাড়া দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য আসেন একদম শেষ পর্যায়ে। যত দিন কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হয় না, তত দিন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
এনআইকেডিইউর তথ্য বলছে, দেশে অন্তত ২ কোটি মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে বছরে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে কিডনি রোগের শেষ পর্যায়ে পৌঁছায়। গ্লোমারুলোনেফ্রাইটিস (জিএন), ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, নেফ্রোপ্যাথি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান কারণ। দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা রয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠানে। ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে ৬৫০টি। ডায়ালাইসিস প্রয়োজন এমন রোগীদের মাত্র ২৫ শতাংশ এই সুবিধার আওতায় আসছে। এর কারণ, ডায়ালাইসিস সেবার অপর্যাপ্ততা ও উচ্চ খরচ।
বিএসএমএমইউর শিশু কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে ডায়ালাইসিস শুরু করি। এরপর শুরু হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালে। এর বাইরে কিছু বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হলেও তা উল্লেখযোগ্য নয়। শিশু কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের চাহিদার তুলনায় বিদ্যমান সুবিধা খুব নগণ্য। এই সুবিধা চালুর বিষয়ে বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারের পদক্ষেপের তেমন অগ্রগতি হয়নি।’ তিনি জানান, দেশে বর্তমানে বিএসএমএমইউ, এনআইকেডিইউ ও শিশু হাসপাতালে শিশু কিডনি রোগের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (ডক্টর অব মেডিসিন) রয়েছে। প্রতিবছর নতুন করে ৬-৭ জন শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ বের হচ্ছেন।
জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বাবরুল আলম বলেন, ‘শিশুদের কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া ইউরোলজির সব ধরনের অস্ত্রোপচার আমরা করতে পারি। এখানে শিশু কিডনি রোগ বিভাগ অনেক গোছানো। আমরা চেষ্টা করছি, শিগগির শিশুদের ডায়ালাইসিস চালু করতে পারব।’
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভাগ কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। শিশুটির স্নায়বিক সমস্যা থাকায় যা করাতে হবে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) রেখে।
আবদুর রহিম ছেলের কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য পাশের জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটে (এনআইকেডিইউ) যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা নেই। রাজধানীর আরও অন্তত ১০টি বিশেষায়িত হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে রহিমের উদ্বেগ আরও বাড়ে। কারণ, এসব হাসপাতালেও সেই সুবিধা নেই। সবশেষে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে (ঢাকা শিশু হাসপাতাল) পিআইসিইউসহ ডায়ালাইসিসের সুবিধার খোঁজ পান; কিন্তু শয্যা খালি নেই। দুদিন অপেক্ষার পর ছেলেকে ভর্তি করাতে পেরেছেন।
দেশে শিশুদের কিডনি রোগের চিকিৎসার বাস্তব চিত্র অনেকটাই ফুটে উঠেছে আবদুর রহিমের অভিজ্ঞতা থেকে। জাতীয় পর্যায়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা না থাকায় দেশে শিশু কিডনি রোগীর সঠিক সংখ্যা কারও জানা নেই। তবে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মেডিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ জার্নাল বলছে, দেশে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের মধ্যে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কিডনি রোগী। আর গত অক্টোবরে ঢাকায় ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আয়োজিত একটি সম্মেলনে বলা হয়, দেশের প্রায় ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন পর্যায়ের কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে আড়াই লাখ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগী (সিকেডি)। জন্মগত, ডায়রিয়ার পরে অ্যাকিউট কিডনি ফেইলিওর এবং নেফ্রাইটিসের প্রদাহ শিশুদের কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ এবং শেষ পর্যায়ের কিডনি রোগ (ইএসআরডি) দেখা যায় না। ছয়-সাত বছরের শিশুদের মধ্যে এই পর্যায়ের কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া যেকোনো বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের কারণে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ বা অন্য কোনো কারণে কিডনির কার্যকারিতা হঠাৎ কমে যেতে পারে; যাকে অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি (একেআই) বলা হয়। সে ক্ষেত্রে শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে পিআইসিইউতে রেখে ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
কিন্তু দেশে শিশু কিডনি রোগীর তুলনায় চিকিৎসার সুবিধা একেবারেই কম। শিশুদের জন্য স্বতন্ত্র ডায়ালাইসিস মেশিন লাগে। দেশে কিডনি রোগের সরকারি সর্বোচ্চ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান এনআইকেডিইউর সূত্র জানায়, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা না থাকায় ১০ শয্যার শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট খুলতে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। দেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা ও শিক্ষার সর্বোচ্চ সরকারি এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু কিডনি রোগের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও নিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অবশ্য শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট না থাকায় ডায়ালাইসিস শিখতে তাঁদের যেতে হয় বাংলাদেশে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এনআইকেডিইউতে এখনো ১২ বছরের কম বয়সী কারও কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়নি। ৫ শয্যার পিআইসিইউতে রিভার্স অসমোসিস সুবিধা থাকায় শিশুদের জন্য ডায়ালাইসিস মেশিন এলেই সেবা চালু করা যাবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
শিশু হাসপাতাল ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিশুদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা আছে। কিছু বেসরকারি হাসপাতালে সীমিতভাবে এই সুবিধা আছে।
কিডনি মানবদেহে প্রবাহিত সব রক্ত ছেঁকে দূষিত বর্জ্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে মূত্র হিসেবে বের করে দেয়। কিডনি বিকল হলে এ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিডনির পরিবর্তে কৃত্রিম ছাঁকনি ব্যবহার করে দেহ থেকে রক্ত ছেঁকে বর্জ্য বের করার প্রক্রিয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডায়ালাইসিস বলা হয়।
কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত বড় কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। অনেকের ক্ষেত্রে এমনও হয়, কিডনি পুরোপুরি বিকল হওয়ার পর উপসর্গ প্রকাশ পায়। এ ছাড়া দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য আসেন একদম শেষ পর্যায়ে। যত দিন কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হয় না, তত দিন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
এনআইকেডিইউর তথ্য বলছে, দেশে অন্তত ২ কোটি মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে বছরে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে কিডনি রোগের শেষ পর্যায়ে পৌঁছায়। গ্লোমারুলোনেফ্রাইটিস (জিএন), ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, নেফ্রোপ্যাথি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান কারণ। দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা রয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠানে। ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে ৬৫০টি। ডায়ালাইসিস প্রয়োজন এমন রোগীদের মাত্র ২৫ শতাংশ এই সুবিধার আওতায় আসছে। এর কারণ, ডায়ালাইসিস সেবার অপর্যাপ্ততা ও উচ্চ খরচ।
বিএসএমএমইউর শিশু কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে ডায়ালাইসিস শুরু করি। এরপর শুরু হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালে। এর বাইরে কিছু বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হলেও তা উল্লেখযোগ্য নয়। শিশু কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের চাহিদার তুলনায় বিদ্যমান সুবিধা খুব নগণ্য। এই সুবিধা চালুর বিষয়ে বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারের পদক্ষেপের তেমন অগ্রগতি হয়নি।’ তিনি জানান, দেশে বর্তমানে বিএসএমএমইউ, এনআইকেডিইউ ও শিশু হাসপাতালে শিশু কিডনি রোগের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (ডক্টর অব মেডিসিন) রয়েছে। প্রতিবছর নতুন করে ৬-৭ জন শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ বের হচ্ছেন।
জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বাবরুল আলম বলেন, ‘শিশুদের কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া ইউরোলজির সব ধরনের অস্ত্রোপচার আমরা করতে পারি। এখানে শিশু কিডনি রোগ বিভাগ অনেক গোছানো। আমরা চেষ্টা করছি, শিগগির শিশুদের ডায়ালাইসিস চালু করতে পারব।’

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভাগ কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। শিশুটির স্নায়বিক সমস্যা থাকায় যা করাতে হবে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) রেখে।
আবদুর রহিম ছেলের কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য পাশের জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটে (এনআইকেডিইউ) যোগাযোগ করে জানতে পারেন, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা নেই। রাজধানীর আরও অন্তত ১০টি বিশেষায়িত হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে রহিমের উদ্বেগ আরও বাড়ে। কারণ, এসব হাসপাতালেও সেই সুবিধা নেই। সবশেষে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে (ঢাকা শিশু হাসপাতাল) পিআইসিইউসহ ডায়ালাইসিসের সুবিধার খোঁজ পান; কিন্তু শয্যা খালি নেই। দুদিন অপেক্ষার পর ছেলেকে ভর্তি করাতে পেরেছেন।
দেশে শিশুদের কিডনি রোগের চিকিৎসার বাস্তব চিত্র অনেকটাই ফুটে উঠেছে আবদুর রহিমের অভিজ্ঞতা থেকে। জাতীয় পর্যায়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা না থাকায় দেশে শিশু কিডনি রোগীর সঠিক সংখ্যা কারও জানা নেই। তবে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মেডিকেল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চ জার্নাল বলছে, দেশে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের মধ্যে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কিডনি রোগী। আর গত অক্টোবরে ঢাকায় ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আয়োজিত একটি সম্মেলনে বলা হয়, দেশের প্রায় ৫০ লাখ শিশু বিভিন্ন পর্যায়ের কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে আড়াই লাখ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগী (সিকেডি)। জন্মগত, ডায়রিয়ার পরে অ্যাকিউট কিডনি ফেইলিওর এবং নেফ্রাইটিসের প্রদাহ শিশুদের কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ এবং শেষ পর্যায়ের কিডনি রোগ (ইএসআরডি) দেখা যায় না। ছয়-সাত বছরের শিশুদের মধ্যে এই পর্যায়ের কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া যেকোনো বয়সী শিশুর ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের কারণে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ বা অন্য কোনো কারণে কিডনির কার্যকারিতা হঠাৎ কমে যেতে পারে; যাকে অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি (একেআই) বলা হয়। সে ক্ষেত্রে শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে পিআইসিইউতে রেখে ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
কিন্তু দেশে শিশু কিডনি রোগীর তুলনায় চিকিৎসার সুবিধা একেবারেই কম। শিশুদের জন্য স্বতন্ত্র ডায়ালাইসিস মেশিন লাগে। দেশে কিডনি রোগের সরকারি সর্বোচ্চ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান এনআইকেডিইউর সূত্র জানায়, সেখানে শিশুদের ডায়ালাইসিস সুবিধা না থাকায় ১০ শয্যার শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট খুলতে এরই মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। দেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা ও শিক্ষার সর্বোচ্চ সরকারি এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু কিডনি রোগের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও নিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। অবশ্য শিশু ডায়ালাইসিস ইউনিট না থাকায় ডায়ালাইসিস শিখতে তাঁদের যেতে হয় বাংলাদেশে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট অথবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এনআইকেডিইউতে এখনো ১২ বছরের কম বয়সী কারও কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়নি। ৫ শয্যার পিআইসিইউতে রিভার্স অসমোসিস সুবিধা থাকায় শিশুদের জন্য ডায়ালাইসিস মেশিন এলেই সেবা চালু করা যাবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
শিশু হাসপাতাল ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিশুদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা আছে। কিছু বেসরকারি হাসপাতালে সীমিতভাবে এই সুবিধা আছে।
কিডনি মানবদেহে প্রবাহিত সব রক্ত ছেঁকে দূষিত বর্জ্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে মূত্র হিসেবে বের করে দেয়। কিডনি বিকল হলে এ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিডনির পরিবর্তে কৃত্রিম ছাঁকনি ব্যবহার করে দেহ থেকে রক্ত ছেঁকে বর্জ্য বের করার প্রক্রিয়াকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডায়ালাইসিস বলা হয়।
কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনি রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত বড় কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। অনেকের ক্ষেত্রে এমনও হয়, কিডনি পুরোপুরি বিকল হওয়ার পর উপসর্গ প্রকাশ পায়। এ ছাড়া দেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য আসেন একদম শেষ পর্যায়ে। যত দিন কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হয় না, তত দিন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয়।
এনআইকেডিইউর তথ্য বলছে, দেশে অন্তত ২ কোটি মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে ভুগছে। তাদের মধ্যে বছরে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে কিডনি রোগের শেষ পর্যায়ে পৌঁছায়। গ্লোমারুলোনেফ্রাইটিস (জিএন), ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, নেফ্রোপ্যাথি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান কারণ। দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের সুবিধা রয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা রয়েছে ১০টি প্রতিষ্ঠানে। ডায়ালাইসিস মেশিন রয়েছে ৬৫০টি। ডায়ালাইসিস প্রয়োজন এমন রোগীদের মাত্র ২৫ শতাংশ এই সুবিধার আওতায় আসছে। এর কারণ, ডায়ালাইসিস সেবার অপর্যাপ্ততা ও উচ্চ খরচ।
বিএসএমএমইউর শিশু কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আফরোজা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রথমে ডায়ালাইসিস শুরু করি। এরপর শুরু হয় ঢাকা শিশু হাসপাতালে। এর বাইরে কিছু বেসরকারি হাসপাতালে শুরু হলেও তা উল্লেখযোগ্য নয়। শিশু কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের চাহিদার তুলনায় বিদ্যমান সুবিধা খুব নগণ্য। এই সুবিধা চালুর বিষয়ে বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারের পদক্ষেপের তেমন অগ্রগতি হয়নি।’ তিনি জানান, দেশে বর্তমানে বিএসএমএমইউ, এনআইকেডিইউ ও শিশু হাসপাতালে শিশু কিডনি রোগের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি (ডক্টর অব মেডিসিন) রয়েছে। প্রতিবছর নতুন করে ৬-৭ জন শিশু কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ বের হচ্ছেন।
জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বাবরুল আলম বলেন, ‘শিশুদের কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া ইউরোলজির সব ধরনের অস্ত্রোপচার আমরা করতে পারি। এখানে শিশু কিডনি রোগ বিভাগ অনেক গোছানো। আমরা চেষ্টা করছি, শিগগির শিশুদের ডায়ালাইসিস চালু করতে পারব।’

ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতনবৈষম্য দূরীকরণ এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানের দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী শনিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় সমবেত হয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন।
গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি প্রথম দুই দিন চলেছিল শহীদ মিনারে। পরে তাঁরা অবস্থান নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন দেশের ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা।
এই কর্মসূচির কারণে কয়েক দিন ধরে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে টিকা নিতে এসে অনেক মা ও শিশু ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের এ কর্মসূচির কারণে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সেবা কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে টিকা নিতে এসে মা ও শিশুরা ফিরে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে কর্মবিরতিতে যেতে তাঁরা চাননি। কিন্তু দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তাঁরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বারবার প্রতিশ্রুতির আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘আমাদের ১৬তম গ্রেড থেকে ১৪তম গ্রেডে উন্নীত করার সরকারি আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করব না। এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছে, প্রয়োজনে আরও কঠোর হতে বাধ্য হব।’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের নানা বঞ্চনার চিত্রও তুলে ধরে আন্দোলনকারীরা জানান, টিকাদানের আগে মাসজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, নবজাতক ও গর্ভবতী মায়ের রেজিস্ট্রেশন, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ, ডটস (সরাসরি পর্যবেক্ষণ থেরাপি) পদ্ধতিতে ওষুধ খাওয়ানো, উঠান বৈঠক, মা সমাবেশসহ বিভিন্ন সেবা তাঁরা দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে তিন দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সেবা দেওয়ার পরও তাঁদের মাসিক ভ্রমণভাতা মাত্র ৬০০ টাকা। আর বেতন মোট ৯ হাজার ৭০০ টাকা।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমাধারীদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া, ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা, বেতনস্কেল পুনর্নির্ধারণের সময় টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) সম্পন্নকারীদের সমমান স্বীকৃতি প্রদান।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব ফজলুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এখনো বিশ্লেষণ শুরু হয়নি।’
তিনি আরও জানান, ৬৪ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ আজ সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের দাবির বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ রয়েছে। সেখানে প্রক্রিয়াগতভাবে কিছুটা সময় লাগছে। গত তিন দিন তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছে। আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করছি, সবকিছু ভালোভাবে সমাধান হবে।’

নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতনবৈষম্য দূরীকরণ এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানের দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী শনিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় সমবেত হয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন।
গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি প্রথম দুই দিন চলেছিল শহীদ মিনারে। পরে তাঁরা অবস্থান নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন দেশের ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা।
এই কর্মসূচির কারণে কয়েক দিন ধরে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে টিকা নিতে এসে অনেক মা ও শিশু ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের এ কর্মসূচির কারণে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সেবা কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে টিকা নিতে এসে মা ও শিশুরা ফিরে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে কর্মবিরতিতে যেতে তাঁরা চাননি। কিন্তু দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তাঁরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বারবার প্রতিশ্রুতির আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘আমাদের ১৬তম গ্রেড থেকে ১৪তম গ্রেডে উন্নীত করার সরকারি আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করব না। এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছে, প্রয়োজনে আরও কঠোর হতে বাধ্য হব।’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের নানা বঞ্চনার চিত্রও তুলে ধরে আন্দোলনকারীরা জানান, টিকাদানের আগে মাসজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, নবজাতক ও গর্ভবতী মায়ের রেজিস্ট্রেশন, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ, ডটস (সরাসরি পর্যবেক্ষণ থেরাপি) পদ্ধতিতে ওষুধ খাওয়ানো, উঠান বৈঠক, মা সমাবেশসহ বিভিন্ন সেবা তাঁরা দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে তিন দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সেবা দেওয়ার পরও তাঁদের মাসিক ভ্রমণভাতা মাত্র ৬০০ টাকা। আর বেতন মোট ৯ হাজার ৭০০ টাকা।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমাধারীদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া, ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা, বেতনস্কেল পুনর্নির্ধারণের সময় টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) সম্পন্নকারীদের সমমান স্বীকৃতি প্রদান।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব ফজলুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এখনো বিশ্লেষণ শুরু হয়নি।’
তিনি আরও জানান, ৬৪ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ আজ সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের দাবির বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ রয়েছে। সেখানে প্রক্রিয়াগতভাবে কিছুটা সময় লাগছে। গত তিন দিন তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছে। আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করছি, সবকিছু ভালোভাবে সমাধান হবে।’

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভা
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভা
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেমুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভা
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা পুরুষ। তাঁদে বয়স যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ বছর।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছে।

দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা পুরুষ। তাঁদে বয়স যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ বছর।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছে।

পিরোজপুরের আবদুর রহিমের (ছদ্মনাম) ১০ মাসের ছেলে জন্মগত হৃদ্রোগের জটিলতায় ভুগছে। চিকিৎসকের পরামর্শে সম্প্রতি ভর্তি করানো হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি)। হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় উচ্চ-মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করায় শিশুটির সিরাম ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনি প্রায় শতভা
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে