ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

জরাজীর্ণ একটি ভবনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি যশোরে অবস্থিত শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্কের বর্তমান অবস্থা। ফেসবুকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে ছবিটি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘ভুবনটি দেখে প্রথমে মনে হবে; ইহা যুদ্ধাক্রান্ত সিরিয়ার কোনো স্থাপনা বিশেষ। আপনাদের ধারণা সূম্পর্ণ ভুল, একদম ভুল। ইহা যশোরের বিখ্যাত ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলোজী পার্ক’! প্রায় তিনশো কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভুবনটি ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর উদ্বোধনের পর মাত্র ৭ বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে এমতাবস্থায় পৌঁছেছে।’ (ছবির ক্যাপশনটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে।)
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের দাবিতে প্রচারিত ছবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে সংবাদ মাধ্যম সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৮ মার্চ ‘আশা দেখিয়েও হতাশার নাম যশোরের আইটি’ পার্ক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ভবনটির ভেতরের দৃশ্য পাওয়া যায়। যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজ করছেন।
এ প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, বর্তমানে পার্কটিতে ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে।
আরও খুঁজে গত মার্চের শুরুতে জাতীয় দৈনিক বণিক বার্তায় ‘যশোর আইটি পার্কবিমুখ হচ্ছেন উদ্যোক্তারা’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। গত ৩ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ছিল ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা নিয়ে। এ প্রতিবেদন থেকেও পার্কটি সচল থাকার ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়।
এ ছাড়া পার্কটির ছয় বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর ‘ছয় বছরেই স্বপ্ন ম্লান: কমিউনিটি সেন্টার হয়ে উঠছে যশোর আইটি পার্ক’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল আজকের পত্রিকা।
ওই প্রতিবেদনেও শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ৪০টির মতো কোম্পানির কার্যক্রম থাকার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে পার্কটিতে চাকরি মেলা, বিয়ে–বৌভাতের মতো অনুষ্ঠান আয়োজন এবং লোকসান ঠেকাতে পার্কে তিন তারকা মানের ডরমিটরিটিতে ‘হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’ চালুর তথ্যও পাওয়া যায়।
সংবাদ মাধ্যমের এসব প্রতিবেদনের তথ্য থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, সেটির অবস্থা এখন জরাজীর্ণ— এমন দাবিতে প্রচারিত ছবি ও তথ্য সঠিক নয়।
ভাইরাল ছবিটির নেপথ্যে
এ পর্যায়ে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের জরাজীর্ণ অবস্থা দাবিতে প্রচারিত ছবিটির উৎস খোঁজার চেষ্টা করে।
ফেসবুকে কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ‘রসিক হাকিম’ নামের একটি ফেসবুক পেজে ছবিটি নিয়ে সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি পাওয়া যায়। গত রোববার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পেজটিতে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের জরাজীর্ণ অবস্থা দাবিতে প্রচারিত ছবিটি পোস্ট করা হয়।
পোস্টটির এডিট হিস্ট্রি যাচাই করে দেখা যায়, এটি পোস্ট করার পর তিনবার ক্যাপশন এডিট করা হয়েছে। প্রথমবার ক্যাপশন দেওয়া হয়েছিল, ‘শত শত বছর পুরানো আমাদের আইটি পার্ক।’ এই ক্যাপশনের সঙ্গেই প্রথমে ছবিটি যুক্ত করা হয়।
পরে সকাল ৭টা ৩৮ মিনিটে ক্যাপশন এডিট করে লেখা হয়, ‘শত শত বছর পুরানো যশরের আইটি পার্ক।’
পোস্টটি শেষবার এডিট করা হয়েছে গত সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে। ওই সময়ই দাবিকৃত ছবিটির সঙ্গে ভাইরাল ক্যাপশনটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত এসব ফলাফলের ভিত্তিতে ধারণা করা যায়, এই পোস্ট থেকেই পরে ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

জরাজীর্ণ একটি ভবনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি যশোরে অবস্থিত শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্কের বর্তমান অবস্থা। ফেসবুকের ব্যক্তিগত বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে ছবিটি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘ভুবনটি দেখে প্রথমে মনে হবে; ইহা যুদ্ধাক্রান্ত সিরিয়ার কোনো স্থাপনা বিশেষ। আপনাদের ধারণা সূম্পর্ণ ভুল, একদম ভুল। ইহা যশোরের বিখ্যাত ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলোজী পার্ক’! প্রায় তিনশো কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভুবনটি ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর উদ্বোধনের পর মাত্র ৭ বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে এমতাবস্থায় পৌঁছেছে।’ (ছবির ক্যাপশনটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে।)
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের দাবিতে প্রচারিত ছবিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে সংবাদ মাধ্যম সময় টিভির ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৮ মার্চ ‘আশা দেখিয়েও হতাশার নাম যশোরের আইটি’ পার্ক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ভবনটির ভেতরের দৃশ্য পাওয়া যায়। যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা কাজ করছেন।
এ প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, বর্তমানে পার্কটিতে ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে।
আরও খুঁজে গত মার্চের শুরুতে জাতীয় দৈনিক বণিক বার্তায় ‘যশোর আইটি পার্কবিমুখ হচ্ছেন উদ্যোক্তারা’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। গত ৩ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনটি ছিল ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা নিয়ে। এ প্রতিবেদন থেকেও পার্কটি সচল থাকার ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়।
এ ছাড়া পার্কটির ছয় বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর ‘ছয় বছরেই স্বপ্ন ম্লান: কমিউনিটি সেন্টার হয়ে উঠছে যশোর আইটি পার্ক’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল আজকের পত্রিকা।
ওই প্রতিবেদনেও শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ৪০টির মতো কোম্পানির কার্যক্রম থাকার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে পার্কটিতে চাকরি মেলা, বিয়ে–বৌভাতের মতো অনুষ্ঠান আয়োজন এবং লোকসান ঠেকাতে পার্কে তিন তারকা মানের ডরমিটরিটিতে ‘হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট’ চালুর তথ্যও পাওয়া যায়।
সংবাদ মাধ্যমের এসব প্রতিবেদনের তথ্য থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, সেটির অবস্থা এখন জরাজীর্ণ— এমন দাবিতে প্রচারিত ছবি ও তথ্য সঠিক নয়।
ভাইরাল ছবিটির নেপথ্যে
এ পর্যায়ে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের জরাজীর্ণ অবস্থা দাবিতে প্রচারিত ছবিটির উৎস খোঁজার চেষ্টা করে।
ফেসবুকে কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ‘রসিক হাকিম’ নামের একটি ফেসবুক পেজে ছবিটি নিয়ে সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি পাওয়া যায়। গত রোববার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পেজটিতে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের জরাজীর্ণ অবস্থা দাবিতে প্রচারিত ছবিটি পোস্ট করা হয়।
পোস্টটির এডিট হিস্ট্রি যাচাই করে দেখা যায়, এটি পোস্ট করার পর তিনবার ক্যাপশন এডিট করা হয়েছে। প্রথমবার ক্যাপশন দেওয়া হয়েছিল, ‘শত শত বছর পুরানো আমাদের আইটি পার্ক।’ এই ক্যাপশনের সঙ্গেই প্রথমে ছবিটি যুক্ত করা হয়।
পরে সকাল ৭টা ৩৮ মিনিটে ক্যাপশন এডিট করে লেখা হয়, ‘শত শত বছর পুরানো যশরের আইটি পার্ক।’
পোস্টটি শেষবার এডিট করা হয়েছে গত সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে। ওই সময়ই দাবিকৃত ছবিটির সঙ্গে ভাইরাল ক্যাপশনটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত এসব ফলাফলের ভিত্তিতে ধারণা করা যায়, এই পোস্ট থেকেই পরে ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫