সভাপতি-সম্পাদকের বিভেদ ফের প্রকাশ্যে

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন উপলক্ষে কক্সবাজারের চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পৃথক কর্মসূচি পালন করেছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম, অপর পক্ষে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী।

গতকাল সোমবার বেলা ৩টায় এই দুই নেতার নেতৃত্বে পৌরশহরে আধা কিলোমিটারের মধ্যে দুই পক্ষের পৃথক কর্মসূচি হয়। জাফর আলমের অনুসারীরা চকরিয়া থানার রাস্তার মাথায় সিস্টেম চকরিয়া কমপ্লেক্সের সামনে পিকআপ ভ্যানের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ করে কর্মসূচি পালন করে। অন্যদিকে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের সভাকক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেন।

গিয়াস উদ্দিনের সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ টি এম জিয়া উদ্দিন জিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ।

এদিকে গিয়াস উদ্দিনের সহোদর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক কমর উদ্দিন আহমদ সাংসদ জাফর আলমের পক্ষে কর্মসূচি পালন করেন।

সাংসদ জাফর আলমের কর্মসূচিতে পৌরসভা আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু সঞ্চালনা করেন। এ সময় সাংসদ বক্তব্যে বলেন, ‘এ আসনে সাবেক একজন যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সড়কেরই উন্নয়ন করতে পারেননি। কিন্তু আমি তা করে দেখিয়েছি।’

অপর দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী সভায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমরা চকরিয়া-পেকুয়ায় যে সাংসদকে নির্বাচিত করেছিলাম, আজকে সেই সাংসদ এখন রাজনীতির বাইরে গিয়ে দখল-বেদখল ছাড়া কিছুই করছেন না। সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। যে আওয়ামী লীগের সভায় ‘‘গরু চোর’’ ওঠে, সেখানে আওয়ামী লীগ উঠতে পারে না।’

গত বছরের ৮ জুন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়। ওই দিন রাত ১০টার দিকে বহিষ্কারের জের ধরে কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ জাফর আলমের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।